শনিবার, ৩০ আগস্ট, ২০১৪

Maodudi oparation :- 1

মাওলানা মওদুদী এর কিতাব (খেলাফত ওয়া মুল্কিয়াত) এ অনেক আপত্তি জনক কথা উল্লেখ করেছেন।   বর্তমান কিছু শিবির কর্মী ও জামাতের ভাইয়েরা মাওলানা মওদুদী এর কিতাব গুলোকে নিজের আদর্শে পরিনত করেছেন।   যা অনেক অসঙ্গতি পূর্ণ।   আমি চেষ্টা করব আমার কাছে যা কিতাব আছে তার আলোকে (খেলাফত ওয়া মুল্কিয়াত) এর কিছু আপত্তি আপনাদের সামনে তুলে ধরার।   আশা করব সকলে বিবেক দিয়ে বোঝার চেষ্টা করবেন।   
আসলে মাওলানা মওদুদী এর কিতাব কে হাজ্জাজি তলোয়ার বলা যায়।   হাজ্জাজ বিন ইউসুফ নামের একজন লোক ছিল যে তার তলোয়ার যেমন ইসলাম এর উপকার করেছে ঠিক ক্ষতি ও করেছে।  ঠিক তখন থেকেই হাজ্জাজি তলোয়ার মশহুর হয়ে যায়।   আর  কেউ যদি সামান্য গুস্তাকি বে আদবী বা বেপরোয়া হয়ে কথা বলে ঠিক তার আমলের কোনো স্থান রাসুলে পাকের বর্গায় নাই।    আমাদের কোনো ভাবেই উচিত না কোনো সাহাবা কেরামদের নামে মিথ্যা অপবাদ বা দোষারোপ বা তাদের দোষ ত্রুটি নিয়ে সমালোচনা। করা  কারণ ইটা কখনই সমীচীন না যে কোনো সাহাবী আজ ১৪০০ বছর পর কোনো মামুলি জ্ঞান পাপী আলেমের কলম এর খোচায় রক্তাক্ত হওয়া।  
আমরা সকলে জানি যে রাফ্জি বা শিয়া গণ গুস্তাক এ সাহাবা।   তারা হজরত আবু বাক্কার হজরত ওমর  মা আয়েশা সিদ্দিকা রাদিয়াল্লাহ আনহা কে নিয়ে ও আরো কিছু বাজে আকিদার কারণে সকল মাস্লক থেকে কাফের হিসেবে গণ্য হয়।    কারন শিয়া গণ গুস্তাক এ সাহাবা।    গুস্তাক এ সাহাবা হুয়ার কারণে শিয়া গণ যদি কাফের হয় তা হলে রহুল কুদ্দুস হজরত মুয়াবিয়া রাযিয়াল্লাহ আনহু এর নামের সাথে মিথ্যা অপবাদ দোষারোপ করার কারণে মাওলানা মওদুদী কেন গুস্তাক এ সাহাবা দের কাতারে গণ্য হবে না ? কেন কাফের হিসেবে গণ্য হবে না ? আমাকে জবাব দিবেন।    আমি চেষ্টা করব কিছু আপত্তি জনক কথা হজরত মুয়াবিয়া রাযিয়াল্লাহ এর বিষয় যা বলেছেন মাওলানা মওদুদী তার জবাব দেয়ার।   
১,,,) আইনের শাসন ও বিলোপ শিরোনামে লিখেছেন যে - হজরত মুয়াবিয়া বেদাত জারি করেছেন !!!!!!! 

তিনি লিখেছেন যে  ইমাম যুহুরি বর্ণনা করেন ;-  এই বাদশা (মুয়াবিয়া ) এর আমলে দ্বীনের অনুগত ছিল না ও হারাম ও হালালের কোনো তমিজ ( আদব) ছিল না।  
তিনি তার দাবির সপক্ষে যুক্তি দিয়েছেন যে ;- রাসুল পাকের সময় কাফের ও মুসলিম একে অপরের উত্তরাধিকারী হতে পারত না   কিন্তু মুয়াবিয়া  রাযিয়াল্লাহ কাফের দের কে মুসলমানদের উত্তরাধিকারী না করলে ও মুসলমানদের কে কাফেরের উত্তরাধিকারী করেন।  হজরত অমর বিন আজিজ খলিফা হয়ে এই বেদাত বিলুপ্ত করেন।   কিন্তু হিসাম বিন আব্দুল মালিক খলিফা হয়ে নিজেদের খানদানি (হজরত মুয়াবিয়ার)  প্রথা চালু করলেন।  


এখন মূল কিতাব যা অনুসরণ করে মাওলানা মওদুদী লিখেছেন তা দেখুন 

এমাম যুহুরি বর্ণনা করেন যে রাসুলুল্লাহ এর সময় কাফের ও মুসলিম গণ একে অপরের উত্তরাধিকারী হত না।  কিন্তু হজরত মুয়াবিয়া  কাফেরদের কে মুসলমানদের উত্তরাধিকারী না করলেও মুসলমানদের কে কাফেরের উত্তরাধিকারী ঘোসনা করেন।  পরবর্তী খলিফাগণ ও পরবর্তী খলিফাগণ ও সেই ধারা আব্বাহত রাখলেন।  কিন্তু ওমর বিন আব্দুল আজিজ  পুর্ববর্তি  সুন্নতটি পুনর্বহাল করেন।  পরবর্তী খলিফা ইয়াজিদ বিন আব্দুল মালিক ও তার অনুসরণ করেন।  কিন্তু হিসাম বিন আব্দুল মালিক আবার ও হজরত মুয়াবিয়া এর সুন্নাত জারি করেন অর্থাত মুসলমানদের কে কাফেরের উত্তরাধিকারী ঘোসনা করলেন।   আল বিদা ওয়ান নিহায়া খ ৯  পৃষ্টা ২৩২ ) 

মাওলানা মওদুদীর বর্ণনা ও মূল কিতাবের বর্ণনা একতু মিলে দেখুন কত পার্থক্য।   আরো একটা বর্ণনা দেখুন 
শাফেয়ী মাজহাবের হাফেজ ইবনে হাজার (রহ) লিখেছেন যে :- ইবনে শায়বা  হজরত আব্দুল্লাহ ইবনে মাকিল এর উদৃতি থেকে বলেছেন যে আর কোনো ফয়সালা আমার হজরত মুয়াবিয়ার থেকে উত্তম মনে হয়নি।  আমরা আহলে কিতাবীদের উত্তরাধিকারী হতে পারব কিন্তু তারা আমাদের উত্তরাধিকারী হোতে পারবে না যেমন আমরা তাদের মহিলাদের কে বিয়ে করতে পারব কিন্তু তারা আমাদের মহিলাদের কে বিয়ে করতে পারবে না।  
হজরত মুয়াজ বিন জাবাল রাজিয়াল্লাহ বলেন এই হাদিসটি হজরত মুয়াবিয়ার সপক্ষে মজবুত দলিল -: ইসলাম বৃদ্ধি করে , হ্রাস করে না ( ইসলামের কারণে কেউ মেরাচ থেকে বঞ্চিত হতে পারে না ) এমাম আবু দাউদ এই হাদিস বর্ণনা করেছেন ও এমাম হাকিম তা সহিহ বলে রায় দিয়েছেন।  (ফাতহুল বাড়ি অধ্যায় মুসলিম কাফেরের উত্তরাধিকার ) 

এখন এটাই প্রমাণিত হলো যে মাওলানা মওদুদী হজরত মুয়াবিয়া  এর ওপর মিথ্যা অপবাদ ও বেদাত এর ফতোয়া মেরেছেন।  
আর হালাল হারাম এর বিষয় নবী পাক বলেছেন যে ;- হালাল হারাম এর বিষয় হজরত মুয়াজ বিন জাবাল বেশি জানে সাহাবা দের মধ্যে ,( মিশকাত - বাবুল মান্কির , তিরমিজি -বাবুল মান্কির ) 

সেই মুয়াজ বিন জাবাল হজরত মুয়াবিয়ার মত কে প্রাদান্ন দিয়েন সে হাদিস আমি উপরে বর্ণনা করেছি।     আজ ১৪০০ বছর পর মাওলানা মৌদুদী কি ইজতেহাদ এর ক্ষমতা কেড়ে নিতে চান  হজরত মুয়াবিয়ার কাছ থেকে ? অথচ হজরত মাওলা আলী কারামুল্লাহ এর সাথে দুশমনি কে লক্ষ্য করে যে বীজ বুনেছেন তার বিষয় হজরত ইবনে আব্বাছ রাযিয়াল্লাহ কে জিগ্গেস করা হল  হজরত মুয়াবিয়া ১ রাকাত বিতর পরেন  আপনি কি বলেন এই বিষয় ? ইবনে আব্বাছ রাজিয়াল্লাহ বলেন তিনি তো একজন ফকিহ।  ( বুখারী সরিফ , হজরত মুয়াবিয়া অধ্যায় ) 
 আলী ইবনে আব্বাছ নিজেই হজরত মুয়াবিয়া কে মুজতাহিদ ও উচ্চ মানের ফকিহ মনে করেন।   আর মাওলানা মরদুদ আপনি কোন বলে মুয়াবিয়া রাযিয়াল্লাহ কে বেদাতি বলার হিম্মত করলেন ? আমার মত উম্মী ( মুর্খ) লোকের তো বুঝে আসে না। 
আরো মজার বিষয় হচ্ছে যে ইমামে যুহুরি (রহ) এর কথা কে তীর বানিয়ে চুরেছেন আপনি তিনি কিন্তু মুসলমানদের কে কাফের এর উত্তরাধিকারী করা কে সুন্নাত বলেছেন , বেদাত বলেন নাই।   আপনার কথা থেকে আসলো এত বড় হিম্মত রুহুল কুদ্দুস হজরত মুয়াবিয়া রাজিআল্লাহ কে বেদাতি বলার ? 
আপনারা জেনে হতবাক হবেন যে হজরত মুয়াবিয়ার কাজ ছিল রাসুলে পাকের বর্গায় ওহী লেখা যা নবী পাকের ওপর প্রত্যাদেশ হত।    এখন বলেন মাওলানা মৌদুদী ওরফে মরদুদ সয়তান কোথায় পেলেন এত বড় হিম্মত আপনি ? 
একজন সাহাবী যিনি যৌবন এর সোনালী দিন গুলো কেটে দিয়েছেন যুদ্ধের ময়দানে আজ ১৪০০ বছর পর এই অনার প্রাপ্প ছিল ? 
হে মুসলিম সমাজ জবাব দাও আমার 

সোহেল রানা 

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন