মঙ্গলবার, ২৪ ফেব্রুয়ারী, ২০১৫

পীর ওলি দের নাম দিয়ে ভন্ড রাজনীতি

গনতন্ত্র > রাজনীতি > ভন্ড ইসলামিক দল> তাসাউফ বা সুফীবাদ নীতি । 


দাতা আলী হাজবেরী রহ বলেছেন আমরা গুদরী বা পশমি কাপড় পড়ি ও পড়িধানকারি কে ভালবাসি।

সুফিদের পোশাক বা ইসলামি পোশাক পড়ার শর্ত ;- এ কথা ভুললে চলবে না যে পেশাদার সুফি দের কথা আলাদা । কিন্তু যারা সত্যি সুফি ও নিজ মুরিদদের গুদরী পড়া অত্যাবশ্যক ভাবেন তাদের মতে গুদরী পড়া ও কাফন পড়ার একই শর্ত । 

অর্থাৎ দুনিয়া সম্পুর্ণ রুপে ত্যাগ করা যেমন একজন মৃত মানুষ দুনিয়া ত্যাগ করে । 

অন্যথা যদি আপনি লোক দেখানোর জন্য গুদরী বা ইসলামিক পোশাক পরেন তা তা থাইয়া 
করে ঘুরে বেরাতে চান তো মনে রাখুন এই গুদরী বা পোশাকই আপনাকে জাহাননামে নিয়ে যাওয়ার জন্য যথেস্ট হবে । (কাশফুল মাহজুব) 

এই কথা গুলো এ জন্য বললাম যে আজকে আমাদের দেশে সুফী দের দেখি রাজনৈতিক দল ও আছে। এরা উপরে তো সুফীবাদের প্রশংসায় মুখরিত।   কথায় কথায় ওলি আওলিয়ার বাংলাদেশ ১২ আওলিয়ার বাংলাদেশ। কিন্তু এরা কিন্তু আওলিয়া কেরামের পথ থেকে সম্পুর্ণ রুপে বিচ্যুত । 

এরা সুফীর কাপড় পরে লোক দেখানোর জন্য।  লোকদের কে মুরিদ করে দল ভারি করার জন্য। 
এরা আজ ক্ষমতার যাওয়ার জন্য কতই মিঠা মিঠা কথা গুলো কে নিজের হাতিয়ার করে নিয়েছে। 

আর রাসুলের দুষমন যারা তাদের কে এরা চোখেই দেখে না। এদের সকাল থেকে সন্ধা কাটে ওহাবি ও জামাত কে গালি দিতে দিতে।  এরা যে নিজে কত বড় ভুল করছে তা দেখে না। 

ইমাম গাজালী সাহেবের কিতাব (ইইউয়ায়ে উলুমুদ্দীন ) এর ৩ য় খন্ডের ১৪২ নং পৃষ্টা তে লিখেছেন যে আমার কাছে ইযিদ ইবনে জাবের ও তার কাছে আব্দুর রেহমান ইবনে ওমর আনসারী (রা) বর্ননা করেছেন যে হজরত ফারুকে আজোম (রা) জৈনিক আনসারী সাহাবীকে যাকাত আদায়ের কাজে নিযুক্ত করলেন ও বললেন যে তুমি এই কাজে জিহাদ কারী রূপে সওয়াব পাবে। কয়েকদিন পর দেখলেন যে সে কাজে যোগদান করেনি। তো ওমরে ফারুক (রা) তাকে জিগ্গেস করলেন তুমি কাজে যোগদান করনি কেন ? তোমার জানা নাই তুমি এই কাজে জিহাদ্কারী রূপে সওয়াব পাবে ? আনসারী সাহাবী জবাব দিলেন সাহস পাই না। ফারুকে আজোম বললেন কেন ? সে জবাব দিল আমি সুনেছি যে বেক্তি মুসলমানদের কোনো কাজে নিযুক্ত হবে কিয়ামতের দিন তাকে ঘাড়ে হাত বাধা অবস্থায় উপস্থিত করা হবে। এক মাত্র নেয় বিচার ছাড়া কোনো কিছু তার হাত খুলতে পারবে না। এর পর তাকে পুলসিরাতের উপর খাড়া করা হবে আর পুল এমন ভাবে নারা দিবে যে তার গ্রন্থী সমূহ আপন স্থান থেকে সরে যাবে। এর পর আবার পুন অবস্থায় ফিরে আসবে এর পর তার বিচার সুরু হবে। আর যদি সে পাপী হয় তা হলে পুল সেখানেই দ্বিখন্ডিত হয়ে সে জাহান্নামে পতিত হবে ৭০ বছরের পথের নিচে। ফারুকে আজোম বলেন তুমি এই হাদিস কার কাছ থেকে সুনেছ ? তিনি জবাব দেন যে আমি আবু যর ও সালমান ফারেসী (রা) এর কাছ থেকে সুনেছি। ফারুকে আজোম আবু যর ও সালমান ফারেসী (রা) কে ডেকে পাঠান ও এই হাদিসের বিসয় জিজ্ঞাসা করলে তারা বলেন যে নিস্সন্দেহে আমরা রাসুল (সা  এর মুখ থেকে এই হাদিস সুনেছি। তখন ফারুকে আজোম বলেন শাষন কার্যে এত অনিস্ট থাকলে এ কাজ কে করবে ? আবু যর (রা) বলেন সেই করবে এ কাজ যার নাক আল্লাহ তায়ালা কেটে দেন আর গন্ড মাটিতে মিশিয়ে দেন। আওজাজি বলেন এ পর্যন্ত সুনে মনসুর নাকে রুমাল দিয়ে কাদতে সুরু করেন আর এত কাদলো যে আমাকে ও কাদিয়ে দিল। আমি বললাম হে আমিরুল মোমেনিন আপনার মিতাম্হ আব্বাস ইবনে আব্দুল মুত্তালিব রাসুলুল্লাহ (স) এর কাছে মক্কা ,তায়েফ অথবা ইয়েমেনের শাসন ক্ষমতা চেয়েছিলেন। তখন তিনি এরশাদ করেন যে চাচাজান যদি আপনি নিজেকে কষ্ট থেকে দুরে রাখেন তবে ইটা সেই রাজত্ব থেকে উত্তম যা আপনি বেষ্টন করতে পারবেন না। পিত্রব্বের হিতাকাংখেই তিনি এমন কথা বলেছিলেন। (ইউইয়ায়ে উলুমুদ্দীন ৩ খ ১৪২-১৪৩ নং পৃষ্টা।  
এখন আমার কথা হচ্ছে যে উক্ত হাদিসে একজন আনসারী সাহাবী মুসলমানের একটা সামান্য দায়িত্ব নিতে সাহস পান নাই আল্লাহ পাকের ভয়ে। আর যখন ওমর ফারুক বলেন শাসন কাযে এত অনিস্ট থাকলে কে করবে এই কাজ ? তখন আবু যার (রা) বলেন যার নাক আল্লাহ কেটে দিয়েছেন আর গন্ড মাটিতে মিশিয়ে দিয়েছেন। এমন লোক এই কাজ করবে। আচ্ছা যার নাক নাই তার কি সরম আছে ? আর যার গন্ড মাটিতে মিশিয়ে দিয়েছেন আল্লাহ পাক তার কথার দাম আছে ? আর এমন লোকদের দিয়ে আমাদের কি উপকার হতে পারে ? আর এরা কোরান কে হাদিস কে নবীর সীরাত কে হাতিয়ার বানিয়েছে ক্ষমতার যাওয়ার জন্য 


আপনাদের কে যদি কোন পীর কোন সুফী তার কথা গুলো কোরান ও হাদিস ওনুসার্ বলেন তা হলেই তার কথা গুলো আপনাকে মানতে হবে। অন্যথায় নয়। 

বাংলাদেশের সকল বড় বড় আলেম আপনাদের সাথে। কিন্তু মাথার উপর গনতন্ত্র  নামের বেদাত নিয়ে আছেন । কি লাভ এই রকম বেদাত কে মাথায় নিয়ে। 

বেদাতি রা তওবা করার সময় পায় না।  মনে রাখবেন।  আর এই রাজনীতি কে বিদায় করে দাও।  
শুধু  সুফীবাদ যথেষ্ট ইসলাম কায়েমের জন্য যদি ইমান থাকে।   

তাসাউফ আর রাজনীতি

তাসাউফ কি ? আর কারা তাসাউফ এর পথের পথিক ?
আর কারা ভন্ড ? 


আলোচনা ;- দাঁতা গান্জ বখশ আলি হাজবেরী (রা)  । যার মাযারে খাজা মুইনুদ্দিন চিশতি (রহ) ৪০  চিল্লা করে ছিলেন এবং ওনার আশির্বাদ নিয়ে তিনি আজমীর এ আসেন। আর এই দাতা খেতাব টা খাজা মুইনুদদিন চিশতি (রহ) এর দেয়া । 

দাতা গান্জ বখশ আলী হাজবেরী (রহ) নিজের কিতাব কাশফুল মাহজুব এর ৫৪ নং পৃষ্টা তে লিখেছেন যে ;- হযরত মোহাম্মদ ইবনে আলী ইবনে হুসাইন ইবনে আলী ইবনে আবু তালেব (রা) বলেছেন ;- তাসাউফ সৎ স্বভাবের নাম। মানুষের স্বভাব যত উন্নত হবে তার তাসাউফ তত বৃদ্ধি পাবে । 

ডাঃ তাহেরুল কাদরী, বর্তমান জামানার সুন্নি দের চোখের মনি  । 
ওনার কিতাব (তাসাউফের আসল রুপ ) এ লিখেছেন ;- সুফী হল সেই বেক্তি যে দুনিয়া ও আখেরাতের প্রাপ্য প্রতিদানের প্রতি ভ্রুক্ষেপ না করে মাহবুবে হাকীকি তথা আল্লাহর সাথে নিখুঁত ভালবাসার রুজ্জু কে মজবুত করে ধরে । এই ধরনের লোকদের সমস্ত কাজের প্রেরনার এক মাত্র আল্লাহর জন্য হয়ে থাকে । (তাসাউফের আসল রুপ) পাতা নং ৬৪


এই কথা অননুরুপ ভাবে ইমাম গাজালী স্বীয় মাকতুবাত এ লিখেছেন যে ;- ইমানের ৫ম স্তরের লোকেরা যা কিছু করেন তা সমস্তই আল্লাহর জন্য হয়ে থাকে । তারা খানা খেয়ে থাকেন তা ক্ষুদায় পেট ভরার দন্য নয়।  বরং খানা খেয়ে শক্তি পেয়ে আবার ও ইবাদাত করার জন্য । বিয়ে করেন এই জন্য নয় যে দেহের চাহিদা হালাল মত পুর্ন করা যাবে। বরং তারা করেন নবীর উম্মত বৃদ্ধির জন্য ও আল্লাহর ইবাদাত করার জন্য যেন বান্দার বৃদ্ধি হয়।  তারা তাদের বুড়া কালের চিন্তা করা এমন করে না। 

তারা পায়খানা করেন যাতে ভিতরের কষ্ট বের হয়ে গেলে ইবাদতে মন লাগানো সজহ হবে তাই। এই রকম তারা প্রতাটা কাজ আল্লাহর রাজী খুশির জন্য করে থাকেন । 

গিয়াসুল লুগাত কিতাব এর ১১৩ নং পৃষটা তে শায়খ আয়াযুদ্দিন (রহ) লিখেছেন যে ;- যেহেতু সাহাবাদের সর্ণ যুগে বিণয়, সাধণা ও পরমানুগত্যের দরুন সত্যপন্থি রা পশমের পোশাক পরিধান করতেন। তাই তাদের কাজ কর্ম কে তাসাউফ নামে নাম করন করা হয়েছে (গিয়াসুল লুগাত) পৃষ্ঠা নং ১১৪

শায়েখ গিয়াসুদ্দিন বলেন ;- হতে পারে  তাসাউফ সুফ  শব্দ নির্গত।  যার অর্থ এক মুখি হওয়া । অন্য সব কিছু থেকে মনোযোগ হটিয়ে নেওয়া । যেহেতু আল্লাহর সাথে সম্পর্কিত বেক্তি অন্য সব কিছু থেকে নিজের মনোযোগ সরিয়ে শুধু আল্লাহর দিকেই মনোযোগ নিবদ্ধ করে । তাই তাদের এই সম্পর্ক স্থাপন করা কে তাসাউফ বলে ( গিয়াসুল লুগাত ১১৩ নং পৃষ্ঠা ) 


উপরের বরননা গুলো থেকে এটা প্রতিয়মান যে তাসাউফ পথের পাথিক যারা , তারা কিন্তু দুনিয়ার বুকে থেকে ও দুনিয়া কে বিলিন মনে করেন । আর নিজেকে একাগ্রতার সাথে রাখা পছন্দ করেন। 
তারা দুনিয়া নামের  এই নর্তকির রুপ দেখে তার জন্য সময় বেয়  করেন না । 

আজ আমাদের দেশে কত যে দল ও মত আছে তা কিন্তু দেখার মত। 

প্রকাশ্য পেটের বান্দা ও কম। 

(আল্লাহ পাক বলেন আপনি কি দেখেন নাই ? যারা নিজের নফস কে নিজের মাওলা তে পরিনত করে নিয়েছে) 

প্রকৃত পক্ষে তারা ও তাদের ণফসই মাবুদ। কারন তারা নিজের নফসের জন্যই এই সব কিছু করে থাকে । 
তারা যদি প্রকৃত মালিক আল্লাহ কে মনে করত তা হলে তারা আল্লাহর ইবাদাত করত।  অন্য কারো কারো প্রতি সামান্য অনুগত হত না । 

এ তো গেল পেট পুজারী রাজনীতি ও দলের কথা। 

আমাদের দেশে কোরান ও হাদীস আর বুযুরগ দের আকিদা কে ও বিসর্জন দিয়ে তাদের কিছু কথা কিছু বানী কে মুল অস্ত্র বানিয়ে দিব্বি ঘুড়ে বেড়াচছে  কিছু ইসলামিক দল ।

তারা তো বলে আমরা তাসাউফ পন্থি , কিন্তু তা শুধুই এক রকম ধোকা বলে টলে , কারন তাসাউফ এর নাম দুনিয়া না। বরং আল্লাহর দিকে পুরো পুরি রোখ করা। 

আজ আপনারা মিটিং করেন মিছিল করেন। কথায় কথায় সমাবেশ করেন,এত সুন্দর সুন্দর বই প্রকাশ করেন, কত মিঠা মিঠা নাত শরিফ পাঠ করেন, কত কোরানের বেক্ষা করেন। কত হাদীস কে দলিল দেন,কত আলোম কে মাথার তাজ মনে করেন, কত পীর কে সেজদা করেন কত মাজারে চাদর চড়ান , বছরে কত ওরশ করেন , প্রতি বছর কত মিলাদ করেন , বছরে কত জলসা করেন হাজারো বাহানা করে ।  তবু কেন আজ সুন্নি বা তাসাউফের চর্চা নাই জীবনে ? কেন আজ আপনারা লানছিত ? কেন আজ আপনাদের উপর হামলা হয় ? 

একটা শায়ের মনে পড়ছে আমার। 

ইশক মে জো ভী মুবতালা হোগা 
উস্কা আন্দাজ জুদা হোগা 
ওর ভাও কিউ কম হো গ্যায়া সোনে কা ? 
কিউ কি উছমে পিতল বেহেক লিয়া হোগা 

যে প্রেমের পাগল হবে তার চাল চলনই ভিন্ন হবে 
আর সোণার দাম কেন কমে গেছে ? 
মনে হয় তাতে  পিতল জড়িয়ে গেছে 

আজ আপনারা সেই প্রেমে মুবতালা নন। আজ আপনারা পীর তন্ত্রের নামে শুরু করেছেন বেবসা , বাপ পীর ছিল এখন তার ছেলে পীর । 
চলতে থাকবে যত দিন চালানো ্যায় 
নিজের মাঝে সামান্য মোজাহাদা নাই , অন্যদের কে মুরিদ করেন। 

রাজনীতি করেন। ইলেকশন করেন। এমপি সাজেন। 
 দল গঠান করেন। 
আপনারা ডুবেই আছেন এই নোংরা দুনিয়ার প্রেমে । আর পীর তন্ত্র তো আপনাদের একটা ঢাল। 
তাই আজকের দিনে আপনাদের এত কিছু কষ্ট করা কোন কাজেই আসছে না। কারন আপনি যদি কাউকে হেদায়াত করতে চান তা হলে আপনাকে আগে শুদ্ধ হতে হবে। দুনিয়া থেকে হাত গুটিয়ে মৃত মানুষের মত হতে হবে। যেন দুনিয়ার সাথে আপনার আর কোন সম্পর্ক নাই।  

আর তখন যদি আপনি কাউকে হেদায়াতের দাওয়াত করেন তখন আপনার  এই কথা গুলোই তার বুক চিড়ে যে ময়লা আছে  সে গুলো সাফ ও পরিষ্কার করে দিবে । 

আগের যুগে আলেম ওলামা ও হক্কানী আলেম সমাজ একটা কথা যদি বলত রাজা বাদশাহ দের তো তারা মাথা নত করে চুপ হয়ে তা মান্য করত।  আর তখন সুফী দের ক্ষমতার লোভ ছিল না। কিন্তু ক্ষমতা ছিল অগাধ। 

আর আজ আপনাদের মাঝে ক্ষমতার জন্য কি চাহাত , কিন্তু ক্ষমতা তো দূরের কথা কেউ আপনাদের কথা শুনতে ও রাজী না। 
আপনি তো দুরের কথা বাংলাদেশের এমন ওবস্থা যে পুরা দেশের মানুষের দাবি মানতে ও রাজী না সরকার। 

কারন কি ? 
কারন আপনাদের কে দেখে মানুষের আল্লাহর ভয় আসে না।  চেহরার মাঝে দেখা যায় না যে আপনারা আল্লাহ ওয়ালা।  আপনাদের কে দেখে মনে হয় আপনারা দুনিয়া ওয়ালা। 
তো কি ভাবে হবে ? কি লাভ হবে ? 

এত আন্দোলন এত কিছু।  কোন কি লাভ হচ্ছে ? 
আপনারা নিজ রাজনৈতিক সুবিধার জন্য সুফীবাদ এর মুল নীতি ছেড়ে দিয়েছেন। ধরেছেন রাজনীতি ,
যে জাতি তার আল্লাহ ও রাসুলের পথ থেকে বিচ্যুত , তাদের আকাবের থেকে বিচ্যুত ওলি আওলিয়া দের নীতী থেকে বিচ্যুত ! তাদের প্রতি কি আল্লাহ মেহেরবান হবেন ? 

কোন দিন না (চলবে) 

সোহেল রানা 








তাসাউফ এর আসল রুপ ইমাম আবু হানিফা




দাঁতা গানজ বখশ আলী হাজবেরী (রহ) ওনার স্বীয় কিতাব (কাশফুল মাহজুব) এ তাবে তাবেয়ীন দের মিয়া তরিকতের ইমাম দের বরননা করতে গিয়ে লিখেছেন ইমাম এ আজম আবু হানিফা (রহ) এর জীবনী।  ওনার বরননা দিতে গিয়ে তিনি লিখেছেন তো ওনেক আমি তা সব কিছু তুলে ধরা মোনাসেফ মনে করছি না। 
কিন্তু বর্তমান সুফীবাদের নোংরা চরিত্র তুলে ধরতে যা প্রয়োজন তা পেশ করলাম ( 
ইমাম এ আজম আবু হানিফা (রহ) এর সময়কার খলিফা আবু জাফর মনসুর সিদ্ধান্ত নিলেন যে :- ইমাম আবু হানিফা , ছুফিয়ান ছাওরি, শরিক ও ইবনে আছিন এর মধ্য যে কাউকে কাজীর পদে বসাতে পারলে তাদের ইমানদারী ও শারাফাত এর ফায়দা উঠানো যাবে।  তাই তিনি এই চার জন কে দরবারে ডেকে পাঠালেন। (উল্লেখ্য যে এই চারজন তাবে তাবেয়ী ছিলেন সেই সময়ের বিখ্যাত আলেম) 

ইমাম আবু হানিফা (রহ) তিন সাথী কে বললেন আমি কোন বাহানা করে কাজীর পদ নিব না ,সুফিয়ান পালিয়ে যাবে , ইবনে আছিম পাগলের ভান করবে , শরিক কাজীর পদ গ্রহন করবে । 

সুফিয়ান ছাওরি (রহ) নদী পথে ফোরাত পার হওয়ার সময় মাঝি দের কে বললেন আমাকে লুকিয়ে রাখ , আমাকে লোকজন খুঁজছে হত্যা করার জন্য। 
ওনার এই কথা মিথা্য নয়। আমার নবী বলেছেন যে কাজীর পদ গ্রহন করে তাকে ছুরি বিহিন জবাই করা হয়। 
লোকজন তাকে লুকিয়ে রাখল 

ইমাম আবু হানিফা (রহ) বললেন দরবারে গিয়ে যে আমি আরব নই। তাই আমার হুকুম লোকজন মানবে না। খলিফা মনসুর বললেন যে কাজীর পদের জন্য আরব হতে হবে এমন কোন শর্ত নাই। কাজী হওয়ার শর্ত হচ্ছে আলেম হওয়া। আপনি এ যুগের শ্রেষ্ঠ আলেম। 
ইমাম আবু হানিফা রহ বলেন;- আমি এ কাজের জন্য উপযুক্ত নই। আর একজন অনুপযুক্ত লোক কে এই বিরাট দায়িত্ব দেয়া অনুচিত। 
আর যদি বলেন আমি মিথ্যা বলছি তা হলে একজন মিথ্যাবাদি কে কাজীর পদ দেয়া তো একদম ঠিক না। 
খলিফা মনসুর চিন্তা করলেন এমন এক রোখা লোক কে কাজী লা বানানো উচিত। 
ওনাকে যেতে বললেন আর ডাক দিলেন ইবনে আছিন কে। ইবনে আছিন এসে পাগলের ভান করা শুরু করলেন। বললেন কেমন আছো ? তোমার বিবি বাচ্চা রা কেমন আছে ? টাকা পয়সার কোন ওভাব তো নাই ? আমাকে বলিও কোন ওভাব হলে। একটা বেবসথা করে দিব। 
খলিফা মনসুর দেখলেন এ বড্ড পাগল। তাই ইবনে আছিন কে বিদায় করে দিলেন। 
আর শরিক কাজীর পদ গ্রহন করল।  

এর পর ইমাম আবু হানিফা (রহ) শরিকের সাথে তার পবিত্র জীবদ্দশায় কোন দিন কথা বলেন নাই( কাশফুল মাহজুব) পেজ নং ১২৬-১২৭

তো এই হচ্ছে আমাদের ইমাম এ আজমের আকিদা।  
তাবেয়ী দের আকিদা। তাবা তাবেয়ীন দের আকিদা।  

তারা দুনিয়া কে লাথ মেরেছেন আর আখেরাত কে গ্রহন করেছেন। কবর থেকে এলাকা উত্তম শিক্ষা গ্রহন করেছেন। তাই আজকে আমি ওনাদের কথা গুলো তুলে ধরলাম। 

কিন্তু আজ !!! 
আমাদের বাংলাদেশে পীর পীর ভরে গেছে। 

দরবারে এ দরবার এর উপর ছেয়ে গেছে। 
চোখ ঘুরালে আজ মাযার আর দরবার। 
বাংলাদেশে প্রতিদিন কোথাও না কোথাও তাফসির , মিলাদ, দস্তারবন্দি ওরশ চলছে। 
আর এগুলোর পর আবার সরকারী ভাবে ও শুরু হয়েছে সুফীবাদের বেবসা।  সুফীদৈর রাজনৈতিক দল আছে। মার্কা হচ্ছে (মোমবাতি , চেয়ার) 
দাড়ী পাল্লার কথা বললাম না। কারন সে সুফী দাবি করে না। 

আজকে মোমবাতির আলোতে চেয়ারে বসে আরাম করার জন্য তারা ভোট চায়। তারা আওলাদ এ রাসুল তাহের শাহ কে পাকিস্তান থেকে ডেকে এনে মিলাদ পালন করে। আর দেখায় আমরা সুফী। 

আজ যাকে আপনারা ইমাম মনে করেন।  সেই আপনাদের ইমাম তিনি সামান্য কাজীর পদ নিতে রাজী হন নাই। 

আর আপনারা তার মাঝহাবের অনুসরন কারী দাবি করে কি করে দেশের দায়িত্ব নেয়ার দন্য অন্যের মোকাবেলা করেন ? বলবেন কি ? 

এত কিছুর পর ও কি আপনারা সুফী আছেন ? 

না কি ধর্ম ব্যাবসায়ী দুনিয়াবি মানুষ আপনারা ? 

আপনারা হয় সুফীর পথ ভালো তরে ধরুন নয় তো দুনিয়া কে ধরুন ভাল করে।  

আর যদি একবার আল্লাহ আর একবার দুনিয়া এর কথা বলেন তো তা হলে আপনাদের কোন কিছুই মিলবে না। 
মানুষ কে ধোকা দিতে পারবেন শুধু।  আর কিছু পারবেন না। 




শাহ ইসমাইল বিষয় চুড়ান্ত সিদ্ধান্ত ও মতামত

আব্দুস সালাম তার এক পোষ্ট এ আমাকে আমন্ত্রণ করেছে যে (আমি  সুফী বাদের আসল রুপ      তুমাকে এখানে  আমন্ত্রণ করলাম। 

মাশাআল্লাহ।  দাওয়াত কবুল করা তো সুন্নাহ। আর সাথে  যদি কোন তৌফা নিয়া যাওয়া যায় মেজবানের জন্য তো আর কোন কথাই নাই। 

বিষয় হচ্ছে শাহ ইসমাইল , শাহ ইসমাইল ও সাইয়েদ আহমেদ এর যৌথ কিতাব তাকবিয়াতুল ইমান। 
সে যা লিখেছে তা দেখুন :- ইনসান আপাছ মে বাড়ে ভাই হে , যো বাড়ে বুযুর্গ হে ও বাড়ে ভাই হে , যো উসকি বাড়ে কিছি তাজীম কিযিয়ে , ওর হামারা মলিক স্রেফ আল্লাহ , ওর বান্দেগী উনকা  কারনা চাহিয়ে , ইস হাদীস মে মালুম হুয়া কি আওলিয়া, আম্বিয়া, ইমাম ওর ইমামজাদে,পীর ইয়ানি জিতনে আল্লাহ কি মুকার্রার বান্দা হে ও ছাব ইনসান হি হে , মাগার আল্লাহ নে উনকো বড়া দিগর দি ওর বড়া ভাই হুয়ে .আল্লাহ হামকো উনকা ফরমাবদারী কা হুকুম কিয়াহে, হাম উনকি ছোটে হে ওর উনকি তাজীম ইনসান হোনে কি নাতে কারনা চাহিয়ে ) 
এই কথা টা তার লিখে দেওয়া। আমি একটু সুন্দর আর স্পষ্ট করে লিখে দিলাম। কারন তার উর্দু মাশাআল্লাহ ওনেক গান্ধা ।


বাংলা দেখুন ;- ইনাসান আপাস মে ভাই হে , 
প্রথমে এই কথা টার বিশ্লেষন করা প্রয়োজন। 
ইনসান আপাস মে ভাই হে এই কথার বাংলা অর্থ হচ্ছে যে ;- দুনিয়ার সকল মানুষ একে অপরের ভাই।  আর এই কথা যদি বিস্বাস করেন তা হলে হিন্দু , খৃষ্টান , বৌদ্ধ, চোর,চামার,ডোম,ডাওয়াই যত ধর্মের লোক আছে সবাই দেওবন্দিদের ভাই হয়ে যাবে। 
কয়েকদিন আগে একচা ভিডিও দেখলাম। তাতে দেওবনদি ওলামায়ে  ওয়াক থু বলতেছে শিব তাদের বাবা ও নবী , তারাও হিন্দু। 
তো তাঁরাই তাদের মত  বে-দ্বীন দের কে ও ভাই মনে করতে পারে নিজেকে হিন্দু মনে করতে পারে। 

বরং সহীহ হাদিস হচ্ছে :- 
মুসলমান গন পরস্পর ভাই ভাই।  

ইনসান সব আপাস মে ভাই হোতে হে বা দুনিয়ার সকল মানুষ একে অপরের ভাই এমন কোন হাদীস থাকলে পেশ করার জন্য অনুরোধ করা হল। তা নির্ভরযোগ্য হলে বাক্য বেতীত কবুল করা হবে । 

যো বাড়ে বুযুরগ হোতে হে  ও বাড়ে ভাই।  

যে বড় বুযুরগ হয় সে বড় ভাই 

তাদের কাছে বুযুরগ দের ইজ্জাত বড় ভাই য়ের চেয়ে বেশি নয়। 

দেওবনদি দের প্রখ্যাত আলেম আমের উসমানি 
মাসিক তাজাল্লি পত্রিকায় একটা কবিতা লিখেছিলেন তার ৭ -৮ নং লাইন টা দেখুন 
;- ৭) তোমার ফতোয়া বানের আঘাতে পূর্ববর্তী বুজুর্গ গনের বুক ঝাজরা হয়ে গেছে 
কাফির বলার ক্রমবর্ধমান আগ্রহ দেখতে পাচ্ছি। 
৮) তুমি পরকে ভালবাস , আপনকে ভাব পর !!! 
তোমার মধ্যে পরিবর্তিত উন্মাদনারই ধরন দেখতে পাচ্ছি।  

মাসিক তাজাল্লি ) দেওবন্দ থেকে প্রকাশিত পৃষ্টা ৫৩, ১৯৫৭ ইংরেজি 

তোমরা শুধু বড় বুযুর্গ দের কে ভাই না বরং তাদের বুক ঝাঝড়া করে দিয়েছ।  

মালিক স্রেফ আল্লাহ হে।  আমরা কোন দিন বলি নাই আমাদের জাতী মালিক আল্লাহ নন।  বরং মলিক ২ প্রকার হয়ে থাকে।  যেমন জাতী ও আতাই।  তোমরা জাতি মালিক আল্লাহর নামে তো চিল্লায় গলা ফাটাও কিন্তু আতাই মালিক বলতে যে একটা কথা আছে তা বুঝতে চাওনা।  
যেমন একটা গরু যা তোমার বাড়ী তে আছে।  তার মালিক তুমি , এই খানে তার যে তুমি মালিক হলে তা এই কারনে যে এই সকল কিছুর মালিক আল্লাহ।  গরু ও তোমার দুজনের মালিক আল্লাহ।  কিন্তু তুমি হচ্ছ শুধু দুনিয়াবি মালিক। তোমাকে মালিক করা হয়েছে।  আল্লাহ চাইলে তোমার কাছে থেকে ছিনিয়ে নিতে পারেন। চাইলে বেশি ও দিতে পারেন। এটা তোমাদের বোঝা উচিত। এটাই আতাই ও জাতি মালিকের পার্থক্য। তোমাকে আল্লাহ দিয়েছেন। আর আল্লাহ কে কেউ দেয় নাই। সব কিছু ওনার সৃষ্টি। 

আর ইবাদত সকলে আল্লাহর করে থাকে।  মেজবানের বাড়ীতে মেহমানদারী খেয়ে মানুষ হাত ধুয়ে আগে বলে শুক্কর আলহামদুলিল্লাহ ।  
তো আমরা ও তাই করি । 

অর ইস হাদীস মে মালুম হুয়া কি আওলিয়া আম্বিয়া সব কি সব মুকার্রার বান্দা হে ওর ইনসান ই হে । 

আমি তোমাকে চা্যনেন্জ করলাম যদি কোন খানে দেখাতে পার আল্লাহ বলেছেন এই আমার নবী মুহাম্মদ , আপনি তাদের মতই মানুষ। 

যদি আল্লাহ নবী পাক কে মানুষ বলেন নাই কোন দিন।  বরং ওনাকে ইয়া বাশিরু, ইয়া মুবাশ্বেরু, বলে ডেকেছেন।  এরা ডাকে মানুষ বলে।   কত বড় বে আদব।  
ওর হা আমরা নবী পাকের বাশারিয়াত এর এনকার  করি না। তিনি মানুষের মত ছিলেন না আমরা তা বলি না। তিনি দেখতে মানুষের মতই ছিলেন ।  এখন যদি বল এটা কেমন কথা তো তিনি কে ছিলেন ? আর মানুষ সেজে কেন আসলেন ? 

তো আমি বলব সুরা মরিয়াম আয়াত নং ১৯ দেখে নাও। যদি জিব্রাইল (আ) মানুষের রুপ নিয়ে আসতে পারেন প্রকাশ্য নুর হয়ে তে আমার নবী কেন পারবে না ? 

আর আমার নবী কোন দিন মানুষ ছিলেন না। বরং তিনি নূর হি নূর ছিলেন আর নবী দের নবী ছিলেন। মানুষ কোন  দিন ছিলেন না। 


এর পর দাবি করেছে যে ;- বাড়ে আজীজ ওর হামারী ভাই হে , লা হাওলা ওলা কুয়াতা । 

প্রথম যে কথা বলেছো যে  ইনসান আপাস মে ভাই হোতেহে , তো আমি প্রমান করেছিলাম সকল ইনসান কে যদি ভাই মনে কর তো নিজের ইমান থাকবে না আপ বে-দ্বীন দের কে ভাই কবুল করতে হবে, আর বে-দ্বীন যদি ভাই হয় তো আপনি ও বে-দ্বীন হবেন। 

এই খানে একটা সুক্ষ্ন চাল দেখুন আওলিয়া, (আম্বিয়া ) আম্বিয়া শব্দ বেবহার করেছে , কিন্তু নবী বেবহার করে নাই , যাই হোক। আল্লাহ পাকের মেহেরবানি তে আম্বিয়া কাকে বলে আমাদের জানা আছে , 
কালামুল্লাহ দেখা যাক। কি বলে কালামুল্লাহ ;- 
نَّبِيُّ أَوْلَى بِالْمُؤْمِنِينَ مِنْ أَنفُسِهِمْ وَأَزْوَاجُهُ أُمَّهَاتُهُمْ وَأُوْلُو الْأَرْحَامِ بَعْضُهُمْ أَوْلَى بِبَعْضٍ فِي كِتَابِ اللَّهِ مِنَ الْمُؤْمِنِينَ وَالْمُهَاجِرِينَ إِلَّا أَن تَفْعَلُوا إِلَى أَوْلِيَائِكُم مَّعْرُوفًا كَانَ ذَلِكَ فِي الْكِتَابِ مَسْطُورًا

06

নবী মুমিনদের নিকট তাদের নিজেদের অপেক্ষা অধিক ঘনিষ্ঠ এবং তাঁর স্ত্রীগণ তাদের মাতা। আল্লাহর বিধান অনুযায়ী মুমিন ও মুহাজিরগণের মধ্যে যারা আত্নীয়, তারা পরস্পরে অধিক ঘনিষ্ঠ। তবে তোমরা যদি তোমাদের বন্ধুদের প্রতি দয়া-দাক্ষিণ্য করতে চাও, করতে পার। এটা লওহে-মাহফুযে লিখিত আছে।

এই আয়াত দ্বারা নবী পাকের স্ত্রীদের কে মোমেন দের মাতা বলা হয়েছে , 
তোমার কথা মোতাবেক যদি নবী পাক আমাদের ভাই হয় তা হলে নবী পাকের সাম্মানিত স্ত্রী গন কি তোমার ভাবী হবে না (নাউযুবিল্লাহ ) জবাব দাও আমার। 

যে খানে নবী পাকের স্ত্রীরা মোমেনের মা হয় সে খানে নবী পাকের ইজ্জত বড় ভাই য়ের মত হয় কি করে ? জবাব দিও। 

আর শাহ ইসমাইল কে বাঁচাতে সে তার কথা সত্য দাবি করেছে . 

বাড়ে আজীজ >খুবই প্রিয়, ওর হামারা ভাই হে 
আর আমাদের ভাই।  


কি করে ভাই দাবি  কর ? 
আর খুবই প্রিয় বলে কি পার হয়ে যেতে পারবে ? নবী পাক বলেছেন ততক্ষন পর্যন্ত কেউ মোমিন হতে পারবে না যে পর্যন্ত না আমি তার কাছে প্রিয় হই তার জান মাল পিতা মাতা ওপেক্ষা । 

এর পর হযরত ওমর (রা) বর্ননা তে দেখা যায় যে :- তিনি বলেন হে আল্লাহর রাসুল। আল্লাহর শপথ নিশ্চয় আপনি আমার নিকট আমার প্রান ছারা সব চেয়ে বেশি প্রিয় । আমার নবী বললেন , হে ওমর না ( এতে তুমি মোমিন হতে পার না ) আমি যেন তোমার জীবনের চেয়ে প্রিয় হই (তা হলে মোমীন হতে পারবে ।হযরত  ওমর (রা) বললেন আল্লাহর শপথ  (এখন থেকে) আপনি আমার নিকট সকল কিছু চেয়ে প্রিয় হয়ে গেলেন। (সুরা আহযাব, তাফসীর ইবনে কাছির ৭৪১ নং পাতা ) 

এদের কাছে নবীর ইজ্জাত কত ? খুবই প্রিয় ও আমাদের ভাই ।  

নিজের ইমান প্রমান কর।  তোমার যদি এই আকিদা থাকে তো তুমি ও বেইমান ও গুসতাক এ রাসুল । 

আমাদের নবী আমাদের  রুহানীর পিতা তুল্য, হয়ত আমার রুহানীর পিতা বলা ও ভুল হবে আল্লাহ ক্ষমা করুন যদি ভুল হয়। আমার কথা আমি হাদীস থেকে বলছি ;- হযরত আবু হোরায়রা (রা) থেকে বর্নিত আছে যে ;- রাসুলুল্লাহ সাল্লেল্লাহু আলাই হে ওয়া সাল্লাম বলেছেন যে আমি তোমাদের পিতার স্থলাভীষিক্ত । আমি তোমাদের কে শিক্ষা দিচ্ছি পায়খানা করার সময় যেন কেউ কিবলার দিকে মুখ না করে , পিঠ ও যেন না করে , ডান হতে যেন ঢেলা বেবহার না করে ও ডান হাতে ইস্তেনজা ও যেন না করে ,তিনি ইস্তেনজার জন্য ৩ টি ঢিলা নিতে বলেছেন। গোবর হাড় দিয়ে ইস্তেনজা করতে নিষেদ করেছেন। (ইবনে কাছির , সুরা আহযাব এর তাফসীর পেজ নং ৭৪২) 

অন্য আয়াতে আছে ( মোহাম্মাদ (সা) তোমাদের পুরুষদের কারো পিতা নন) ৩৩:৪০  

মা আয়েশা সিদ্দিকা থেকে বর্ননিত আছে যে ;-নবী পাক কে আবুল মোমেনিন (মোমেন দের পিতা) বলা যাবে না। সুরা আহযাব এর তাফসীর , ইবনে কাছির পেজ নং ৭৪২) 

এ খানে পিতা বলতে ও আল্লাহ মানা করেছেন। তো কি ভাবে তুমি ভাই দাবি করতে পার ? আমার জবাব দিবে কি ? জানি এ পোষ্ট দেখার পর আর খুঁজে পাওয়া যাবে না । 

উক্ত কিতাবের আরো কিছু কুফরি কথা ও শাহ ইসমাইল এর বিষয় মতামত দেওবন্দ আলেম দের ;- 

ওহাবী ইমাম ইসমাঈল দেহলভী বলেন...হুযুর সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম মরে মাটির সাথে মিশে গেছেন।নাউযুবিল্লাহ
(তাকভীয়াতুল ঈমান,পৃঃ ৬০)

@@&&& 

নামাযের মধ্যে হুজুর আকরাম সাল্লাল্লাহু তায়ালা আলাইহি ওয়ালিহি ওয়াসাল্লাম এর শুধু খেয়াল আসা ও গরু-গাঁধার খেয়ালের মধ্যে ডুবে যাবার চেয়েও খুবই নিকৃষ্ট। “নাউযুবিল্লাহ”। (সিরাতে মুস্তাকিম, পৃঃ নং-৫১ লেখক-ইসমাইল দেহলভী দেওবন্দী)।
অথচ আহলে সুন্নাত ওয়াল জামায়াতের আকি্বদা হচ্ছে তাশাহুদের মধ্যে নবীজীকে স্মরন করে, হাজির জেনে অতঃপর সালাম দিতে হবে। যেমন জগৎ শ্রেষ্ঠ দার্শনিক হযরত ইমাম গাজ্জালী (রাঃ) স্বীয় কিতাব “ইহয়াউ উলুমুদ্দিন” নামক বিশ্ব বিখ্যাত গ্রন্থের “……………………………………………..” নামাযের ভেদসমূহ অধ্যায়ের মধ্যে সুস্পষ্ট লিখেছেনঃ “………………………………………………………………………..”। অর্থাৎ-আগে নিজের কলবে নবীজীকে উপস্থিত জেনে অতঃপর সালাম দাও। (“ইহয়াউ উলুমুদ্দিন” ১ম খন্ড, পৃঃ নং-২৫৮)




@@&&&&

বড় অর্থাৎ নবী, ছোট অর্থাৎ বাকী সব সাধারণ বান্দা। অর্থাৎ-মহান আল্লাহর সকল বান্দা, সাধারণ গোনাহগার বান্দা হোক আর নবী রাসূল হোক সবাই বে-খবর ও মূর্খ। “নাউযুবিল্লাহ” (তাকবিয়াতুল ঈমান, পৃঃ নং-৩)


@@&&&
 গ্রামের মধ্যে যেমনি মর্যাদা চৌধুরী ও জমিদারদের। ঠিক তেমনি উম্মতের মধ্যে, নবীর মর্যাদা। “নাউযুবিল্লাহ”। (তাকবিয়াতুল ঈমান, পৃঃ নং-৬১, লেখক-ইসমাইল দেহলভী।)
এক্ষেত্রে গ্রামের চৌধুরী ও জমিদারের মর্যাদার সাথে নবী-রাসূলের মর্যাদাকে তুলনা করে জঘন্য বেয়াদবী ও চরমভাবে মানহানী করা হয়েছে, যা প্রকাশ্য কূফরী।

@&&&&

যার নাম মুহাম্মদ অথবা আলি, তিনি কোন কিছুর এখতিয়ার রাখেন না। নবী হোক বা অলি হোক কিছুই করতে পারেন না। “নাউযুবিল্লাহ” (তাকবিয়াতুল ঈমান, পৃঃ নং-৪১, ইসমাইল দেহলভী)।



@@&&
নবী-অলিদের আল্লাহর বান্দা জানার পরও উকিল এবং সুপারিশকারী মনে করা কুফরী ও শিরক। “নাউযুবিল্লাহ” (তাকবিয়াতুল ঈমান, পৃঃ নং-২৭, ইসমাইল দেহলভী)।


@@&&&
= "বাড় মাখলুক অর্থাৎ নবী, আর ছোট
মাখলুক অর্থাৎ অন্যসব
বান্দা আল্লাহর শান বা মর্যাদার
সামনে চামার অপেক্ষাও
নিকৃষ্ট। নাউজুবিল্লাহ (তাক্বভিয়াতুল
ঈমান, পৃষ্ঠা ১৪, কৃত


@@&&&&
= আল্লাহ্র সামনে সমস্ত নবী ও
ওলী একটা নাপাক
ফোঁটা অপেক্ষাও নগণ্য। নাউজুবিল্লাহ
(তাক্বভিয়াতুল ঈমান,
পৃষ্ঠা ৫৬, ঈসমাইল দেহলভী ওহাবী)।


এবার এই কথা গুলোর বিষয় দেওবনদি আলেম রা কি বলেছে তা দেখা যাক ;- 


দেওবন্দী দের আলেম মাওলানা আশরাফ আলী থানবী সাহেব লিখেছেন ; - মলোভি শাহ ইসমাইল শাহিদ ছিল।যেহেতু সুক্ষ্ণ মুহাক্কিক ছিল , সেহেতু কয়েকটি মাসালার মতবিরোধ করেছিল।  আর নিজের পির বুজুর্গ গন যেমন শাহ ওয়ালিউল্লাহ প্রমুখ বুজুর্গ কে মানতে অশিকৃতি জানাল ( ইমদাদুল মুস্তাক ) পৃষ্টা ৭ 

আবার ও আশরাফ আলী থানবী লিখেছেন যে ;- কোনো কোনো কথা এত কঠিন , জঘন্য যে সাধারণ মানুষ বুঝতেই অক্ষম। এমন সব সব্দ থেকে জনসাধারণ এর কর্ণযুগল কে বাচানো উত্তম (আহলে হাদিস পত্রিকা ) অমৃত সর , পৃষ্টা ৮ , ১৭  এপ্রিল ১৯০৮ 


এর পর সে বলেছে যে রেজভীরা শাহ ইসমাইল কে কাফের ফতোয়া দিয়েছে। 
এটা একটা মিথ্যা কথা। যদিও আমি ব্রেলভী না আমার প্রয়োজন নাই যে আমি জবাব দেই এ সকল আপত্তির। কিন্তু একজন হক আলেমের বিরুদ্ধে অভিযোগ দেখে আমি কলম তুললাম। 

ব্রেলভী দের ইমাম আলা হযরত আহমেদ রেযা খান ফাজেলে ব্রেলভী (রহ) কোন দিন শাহ ইসমাইল কে কাফের ফতোয়া দেন নাই। 
আর আহমেদ রেযা খান যদি কোন কিতাবে লিখে থাকেন যে শাহ ইসমাইল কে আমি কাফের বললাম তো আমাকে তার দলিল দাও। 

আর হযরত আল্লামা ফজলে হক খায়রাবাদী (রহ) শাহ ইসমাইল কে ওনার ফতোয়া কিতাব (তেহকিক এ ফতোয়া ) তে শাহ ইসমাইল কে কাফের ফতোয়া দিয়েছেন। 

আলা হযরত এর বড় হচ্ছেন আল্লামা ফজলে হক খায়রাবাদী , আলা হযরত নিজে তিনি ফজলে হক খায়রাবাদী এর  পায়ের সমতুল্য মনে করতেন।  আর তিনি খায়রাবাদী এর ফতোয়া পড়েছেন। বলেছেন। কিন্তু নিজে আবার নতুন করে তাকে কাফের ফতোয়া দেন নাই। সই করেন নাই।  

ডক্টর তাহেরুল কাদরী এর ভিডিও লিং 


তাহেরুল কাদরী সাহেব ব্রেলভী দের বর্তমান সময়ের সবচেয়ে বড় আলেম ও শায়েখ।  দেখেন , কি বলেন শুনে নেন। 


এর পর আহলে হাদীস দের আলেম  সুন্নি আলেম হানিফ কোরেশী এর সাথে মুনাযেরা করতে বসে সুন্নি দের সামনে শাহ  ইসমাইল এর এমন কথা কে কুফর বলেছেন দেখুন ;- http://youtu.be/m0VDg6odZWo


পীর নাসিরুদ্দিন শাহ , যিনি হাজী এমদাদুল্লাহ মুহাজের এ মক্কি (রহ) এর সিলসিলার পীর ও আরেফ বিল্লাহ । যেমন টা কি না চরমোনাই এর সিলসিলা দেওবনদি দের ঠিক তেমন গোলড়ভী শরীফ এর পীর নাসিরুদ্দিন শাহ তিনি ও কাফের বলেছেন আশরাফ আলি থানভি ও শাহ ইসমাইল কে।  তার ভিডিও লিংক   

দেখুন :- http://youtu.be/m0VDg6odZWo


এখন বল কি বলবে ? 
তোমাদের বুযুরগ গন কাফের বলেছে।  আমরা শুধুই তাদের বলা কথা বলি। কিন্তু নিজে থেকে আবার নতুন করে ফতোয়া লিখতে চাইনা। কারন তারা আমাদের বুযুরগ।  তাদের কথা গুলো আমাদের কথার চেয়ে বেশি কার্যকর।  তাই তাদের কথা তুলে ধরা যথেষ্ট মনে করি আমি। 

সোহেল রানা।  


 

সোমবার, ৯ ফেব্রুয়ারী, ২০১৫

Job for building painting

 

 

 

CURRICULUM VITAE

 

SOHEL RANA 

Mob No+971551641734(UAE)

Dubai, UAE

E-mail : ranasohel525@gmail.com

 

 

POST APPLIED FOR: Building painter and polisher 

 

Career Objective:

 

To enhance a career that tests my professional abilities, add value and make an attempt to achieve organization and individual goals, also to further enhance my skills through learning and meet the challenges in any giving chance.

 

Work Experience:

 
➢ Presently working as a Building Painter with WMI Contraction in Dubai, U.A.E since 25.10.2010 to till date. 
➢ Worked as a Building Painter with Fab Cuting L.L.C in Dubai, U.A.E for 3 years. 

 

Educational Qualification:

▪ S.S.C Passed.

 

Personal Details:

 

Father’s Name :Abdul Khalek 

Date of Birth25.11.1986

SexMale

Religion :Muslim 

Marital StatusSingle 

NationalityBangladeshi 

Languages Known:English, Hindi, Urdu & Bengali

 

Passport Details:

 

Passport No:AF 8847987

Date of Issue :05.08.2013

Date of Expiry04.08.2018

 

 

Declaration

 

I hereby declare that the above furnished information is true & correct to the best of knowledge & belief.

          

                                                                                                                             SOHEL RANA