বৃহস্পতিবার, ১২ নভেম্বর, ২০১৫

শাহ ইসমাইল কাফের ও তার প্রমান

আব্দুস সালাম তার এক পোষ্ট এ আমাকে আমন্ত্রণ করেছে যে (আমি  সুফী বাদের আসল রুপ      তুমাকে এখানে  আমন্ত্রণ করলাম। 

মাশাআল্লাহ।  দাওয়াত কবুল করা তো সুন্নাহ। আর সাথে  যদি কোন তৌফা নিয়া যাওয়া যায় মেজবানের জন্য তো আর কোন কথাই নাই। 

বিষয় হচ্ছে শাহ ইসমাইল , শাহ ইসমাইল ও সাইয়েদ আহমেদ এর যৌথ কিতাব তাকবিয়াতুল ইমান। 
সে যা লিখেছে তা দেখুন :- ইনসান আপাছ মে বাড়ে ভাই হে , যো বাড়ে বুযুর্গ হে ও বাড়ে ভাই হে , যো উসকি বাড়ে কিছি তাজীম কিযিয়ে , ওর হামারা মলিক স্রেফ আল্লাহ , ওর বান্দেগী উনকা  কারনা চাহিয়ে , ইস হাদীস মে মালুম হুয়া কি আওলিয়া, আম্বিয়া, ইমাম ওর ইমামজাদে,পীর ইয়ানি জিতনে আল্লাহ কি মুকার্রার বান্দা হে ও ছাব ইনসান হি হে , মাগার আল্লাহ নে উনকো বড়া দিগর দি ওর বড়া ভাই হুয়ে .আল্লাহ হামকো উনকা ফরমাবদারী কা হুকুম কিয়াহে, হাম উনকি ছোটে হে ওর উনকি তাজীম ইনসান হোনে কি নাতে কারনা চাহিয়ে ) 
এই কথা টা তার লিখে দেওয়া। আমি একটু সুন্দর আর স্পষ্ট করে লিখে দিলাম। কারন তার উর্দু মাশাআল্লাহ ওনেক গান্ধা ।


বাংলা দেখুন ;- ইনাসান আপাস মে ভাই হে , 
প্রথমে এই কথা টার বিশ্লেষন করা প্রয়োজন। 
ইনসান আপাস মে ভাই হে এই কথার বাংলা অর্থ হচ্ছে যে ;- দুনিয়ার সকল মানুষ একে অপরের ভাই।  আর এই কথা যদি বিস্বাস করেন তা হলে হিন্দু , খৃষ্টান , বৌদ্ধ, চোর,চামার,ডোম,ডাওয়াই যত ধর্মের লোক আছে সবাই দেওবন্দিদের ভাই হয়ে যাবে। 
কয়েকদিন আগে একচা ভিডিও দেখলাম। তাতে দেওবনদি ওলামায়ে  ওয়াক থু বলতেছে শিব তাদের বাবা ও নবী , তারাও হিন্দু। 
তো তাঁরাই তাদের মত  বে-দ্বীন দের কে ও ভাই মনে করতে পারে নিজেকে হিন্দু মনে করতে পারে। 

বরং সহীহ হাদিস হচ্ছে :- 
মুসলমান গন পরস্পর ভাই ভাই।  

ইনসান সব আপাস মে ভাই হোতে হে বা দুনিয়ার সকল মানুষ একে অপরের ভাই এমন কোন হাদীস থাকলে পেশ করার জন্য অনুরোধ করা হল। তা নির্ভরযোগ্য হলে বাক্য বেতীত কবুল করা হবে । 

যো বাড়ে বুযুরগ হোতে হে  ও বাড়ে ভাই।  

যে বড় বুযুরগ হয় সে বড় ভাই 

তাদের কাছে বুযুরগ দের ইজ্জাত বড় ভাই য়ের চেয়ে বেশি নয়। 

দেওবনদি দের প্রখ্যাত আলেম আমের উসমানি 
মাসিক তাজাল্লি পত্রিকায় একটা কবিতা লিখেছিলেন তার ৭ -৮ নং লাইন টা দেখুন 
;- ৭) তোমার ফতোয়া বানের আঘাতে পূর্ববর্তী বুজুর্গ গনের বুক ঝাজরা হয়ে গেছে 
কাফির বলার ক্রমবর্ধমান আগ্রহ দেখতে পাচ্ছি। 
৮) তুমি পরকে ভালবাস , আপনকে ভাব পর !!! 
তোমার মধ্যে পরিবর্তিত উন্মাদনারই ধরন দেখতে পাচ্ছি।  

মাসিক তাজাল্লি ) দেওবন্দ থেকে প্রকাশিত পৃষ্টা ৫৩, ১৯৫৭ ইংরেজি 

তোমরা শুধু বড় বুযুর্গ দের কে ভাই না বরং তাদের বুক ঝাঝড়া করে দিয়েছ।  

মালিক স্রেফ আল্লাহ হে।  আমরা কোন দিন বলি নাই আমাদের জাতী মালিক আল্লাহ নন।  বরং মলিক ২ প্রকার হয়ে থাকে।  যেমন জাতী ও আতাই।  তোমরা জাতি মালিক আল্লাহর নামে তো চিল্লায় গলা ফাটাও কিন্তু আতাই মালিক বলতে যে একটা কথা আছে তা বুঝতে চাওনা।  
যেমন একটা গরু যা তোমার বাড়ী তে আছে।  তার মালিক তুমি , এই খানে তার যে তুমি মালিক হলে তা এই কারনে যে এই সকল কিছুর মালিক আল্লাহ।  গরু ও তোমার দুজনের মালিক আল্লাহ।  কিন্তু তুমি হচ্ছ শুধু দুনিয়াবি মালিক। তোমাকে মালিক করা হয়েছে।  আল্লাহ চাইলে তোমার কাছে থেকে ছিনিয়ে নিতে পারেন। চাইলে বেশি ও দিতে পারেন। এটা তোমাদের বোঝা উচিত। এটাই আতাই ও জাতি মালিকের পার্থক্য। তোমাকে আল্লাহ দিয়েছেন। আর আল্লাহ কে কেউ দেয় নাই। সব কিছু ওনার সৃষ্টি। 

আর ইবাদত সকলে আল্লাহর করে থাকে।  মেজবানের বাড়ীতে মেহমানদারী খেয়ে মানুষ হাত ধুয়ে আগে বলে শুক্কর আলহামদুলিল্লাহ ।  
তো আমরা ও তাই করি । 

অর ইস হাদীস মে মালুম হুয়া কি আওলিয়া আম্বিয়া সব কি সব মুকার্রার বান্দা হে ওর ইনসান ই হে । 

আমি তোমাকে চা্যনেন্জ করলাম যদি কোন খানে দেখাতে পার আল্লাহ বলেছেন এই আমার নবী মুহাম্মদ , আপনি তাদের মতই মানুষ। 

যদি আল্লাহ নবী পাক কে মানুষ বলেন নাই কোন দিন।  বরং ওনাকে ইয়া বাশিরু, ইয়া মুবাশ্বেরু, বলে ডেকেছেন।  এরা ডাকে মানুষ বলে।   কত বড় বে আদব।  
ওর হা আমরা নবী পাকের বাশারিয়াত এর এনকার  করি না। তিনি মানুষের মত ছিলেন না আমরা তা বলি না। তিনি দেখতে মানুষের মতই ছিলেন ।  এখন যদি বল এটা কেমন কথা তো তিনি কে ছিলেন ? আর মানুষ সেজে কেন আসলেন ? 

তো আমি বলব সুরা মরিয়াম আয়াত নং ১৯ দেখে নাও। যদি জিব্রাইল (আ) মানুষের রুপ নিয়ে আসতে পারেন প্রকাশ্য নুর হয়ে তে আমার নবী কেন পারবে না ? 

আর আমার নবী কোন দিন মানুষ ছিলেন না। বরং তিনি নূর হি নূর ছিলেন আর নবী দের নবী ছিলেন। মানুষ কোন  দিন ছিলেন না। 


এর পর দাবি করেছে যে ;- বাড়ে আজীজ ওর হামারী ভাই হে , লা হাওলা ওলা কুয়াতা । 

প্রথম যে কথা বলেছো যে  ইনসান আপাস মে ভাই হোতেহে , তো আমি প্রমান করেছিলাম সকল ইনসান কে যদি ভাই মনে কর তো নিজের ইমান থাকবে না আপ বে-দ্বীন দের কে ভাই কবুল করতে হবে, আর বে-দ্বীন যদি ভাই হয় তো আপনি ও বে-দ্বীন হবেন। 

এই খানে একটা সুক্ষ্ন চাল দেখুন আওলিয়া, (আম্বিয়া ) আম্বিয়া শব্দ বেবহার করেছে , কিন্তু নবী বেবহার করে নাই , যাই হোক। আল্লাহ পাকের মেহেরবানি তে আম্বিয়া কাকে বলে আমাদের জানা আছে , 
কালামুল্লাহ দেখা যাক। কি বলে কালামুল্লাহ ;- 
نَّبِيُّ أَوْلَى بِالْمُؤْمِنِينَ مِنْ أَنفُسِهِمْ وَأَزْوَاجُهُ أُمَّهَاتُهُمْ وَأُوْلُو الْأَرْحَامِ بَعْضُهُمْ أَوْلَى بِبَعْضٍ فِي كِتَابِ اللَّهِ مِنَ الْمُؤْمِنِينَ وَالْمُهَاجِرِينَ إِلَّا أَن تَفْعَلُوا إِلَى أَوْلِيَائِكُم مَّعْرُوفًا كَانَ ذَلِكَ فِي الْكِتَابِ مَسْطُورًا

06

নবী মুমিনদের নিকট তাদের নিজেদের অপেক্ষা অধিক ঘনিষ্ঠ এবং তাঁর স্ত্রীগণ তাদের মাতা। আল্লাহর বিধান অনুযায়ী মুমিন ও মুহাজিরগণের মধ্যে যারা আত্নীয়, তারা পরস্পরে অধিক ঘনিষ্ঠ। তবে তোমরা যদি তোমাদের বন্ধুদের প্রতি দয়া-দাক্ষিণ্য করতে চাও, করতে পার। এটা লওহে-মাহফুযে লিখিত আছে।

এই আয়াত দ্বারা নবী পাকের স্ত্রীদের কে মোমেন দের মাতা বলা হয়েছে , 
তোমার কথা মোতাবেক যদি নবী পাক আমাদের ভাই হয় তা হলে নবী পাকের সাম্মানিত স্ত্রী গন কি তোমার ভাবী হবে না (নাউযুবিল্লাহ ) জবাব দাও আমার। 

যে খানে নবী পাকের স্ত্রীরা মোমেনের মা হয় সে খানে নবী পাকের ইজ্জত বড় ভাই য়ের মত হয় কি করে ? জবাব দিও। 

আর শাহ ইসমাইল কে বাঁচাতে সে তার কথা সত্য দাবি করেছে . 

বাড়ে আজীজ >খুবই প্রিয়, ওর হামারা ভাই হে 
আর আমাদের ভাই।  


কি করে ভাই দাবি  কর ? 
আর খুবই প্রিয় বলে কি পার হয়ে যেতে পারবে ? নবী পাক বলেছেন ততক্ষন পর্যন্ত কেউ মোমিন হতে পারবে না যে পর্যন্ত না আমি তার কাছে প্রিয় হই তার জান মাল পিতা মাতা ওপেক্ষা । 

এর পর হযরত ওমর (রা) বর্ননা তে দেখা যায় যে :- তিনি বলেন হে আল্লাহর রাসুল। আল্লাহর শপথ নিশ্চয় আপনি আমার নিকট আমার প্রান ছারা সব চেয়ে বেশি প্রিয় । আমার নবী বললেন , হে ওমর না ( এতে তুমি মোমিন হতে পার না ) আমি যেন তোমার জীবনের চেয়ে প্রিয় হই (তা হলে মোমীন হতে পারবে ।হযরত  ওমর (রা) বললেন আল্লাহর শপথ  (এখন থেকে) আপনি আমার নিকট সকল কিছু চেয়ে প্রিয় হয়ে গেলেন। (সুরা আহযাব, তাফসীর ইবনে কাছির ৭৪১ নং পাতা ) 

এদের কাছে নবীর ইজ্জাত কত ? খুবই প্রিয় ও আমাদের ভাই ।  

নিজের ইমান প্রমান কর।  তোমার যদি এই আকিদা থাকে তো তুমি ও বেইমান ও গুসতাক এ রাসুল । 

আমাদের নবী আমাদের  রুহানীর পিতা তুল্য, হয়ত আমার রুহানীর পিতা বলা ও ভুল হবে আল্লাহ ক্ষমা করুন যদি ভুল হয়। আমার কথা আমি হাদীস থেকে বলছি ;- হযরত আবু হোরায়রা (রা) থেকে বর্নিত আছে যে ;- রাসুলুল্লাহ সাল্লেল্লাহু আলাই হে ওয়া সাল্লাম বলেছেন যে আমি তোমাদের পিতার স্থলাভীষিক্ত । আমি তোমাদের কে শিক্ষা দিচ্ছি পায়খানা করার সময় যেন কেউ কিবলার দিকে মুখ না করে , পিঠ ও যেন না করে , ডান হতে যেন ঢেলা বেবহার না করে ও ডান হাতে ইস্তেনজা ও যেন না করে ,তিনি ইস্তেনজার জন্য ৩ টি ঢিলা নিতে বলেছেন। গোবর হাড় দিয়ে ইস্তেনজা করতে নিষেদ করেছেন। (ইবনে কাছির , সুরা আহযাব এর তাফসীর পেজ নং ৭৪২) 

অন্য আয়াতে আছে ( মোহাম্মাদ (সা) তোমাদের পুরুষদের কারো পিতা নন) ৩৩:৪০  

মা আয়েশা সিদ্দিকা থেকে বর্ননিত আছে যে ;-নবী পাক কে আবুল মোমেনিন (মোমেন দের পিতা) বলা যাবে না। সুরা আহযাব এর তাফসীর , ইবনে কাছির পেজ নং ৭৪২) 

এ খানে পিতা বলতে ও আল্লাহ মানা করেছেন। তো কি ভাবে তুমি ভাই দাবি করতে পার ? আমার জবাব দিবে কি ? জানি এ পোষ্ট দেখার পর আর খুঁজে পাওয়া যাবে না । 

উক্ত কিতাবের আরো কিছু কুফরি কথা ও শাহ ইসমাইল এর বিষয় মতামত দেওবন্দ আলেম দের ;- 

ওহাবী ইমাম ইসমাঈল দেহলভী বলেন...হুযুর সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম মরে মাটির সাথে মিশে গেছেন।নাউযুবিল্লাহ
(তাকভীয়াতুল ঈমান,পৃঃ ৬০)

@@&&& 

নামাযের মধ্যে হুজুর আকরাম সাল্লাল্লাহু তায়ালা আলাইহি ওয়ালিহি ওয়াসাল্লাম এর শুধু খেয়াল আসা ও গরু-গাঁধার খেয়ালের মধ্যে ডুবে যাবার চেয়েও খুবই নিকৃষ্ট। “নাউযুবিল্লাহ”। (সিরাতে মুস্তাকিম, পৃঃ নং-৫১ লেখক-ইসমাইল দেহলভী দেওবন্দী)।
অথচ আহলে সুন্নাত ওয়াল জামায়াতের আকি্বদা হচ্ছে তাশাহুদের মধ্যে নবীজীকে স্মরন করে, হাজির জেনে অতঃপর সালাম দিতে হবে। যেমন জগৎ শ্রেষ্ঠ দার্শনিক হযরত ইমাম গাজ্জালী (রাঃ) স্বীয় কিতাব “ইহয়াউ উলুমুদ্দিন” নামক বিশ্ব বিখ্যাত গ্রন্থের “……………………………………………..” নামাযের ভেদসমূহ অধ্যায়ের মধ্যে সুস্পষ্ট লিখেছেনঃ “………………………………………………………………………..”। অর্থাৎ-আগে নিজের কলবে নবীজীকে উপস্থিত জেনে অতঃপর সালাম দাও। (“ইহয়াউ উলুমুদ্দিন” ১ম খন্ড, পৃঃ নং-২৫৮)




@@&&&&

বড় অর্থাৎ নবী, ছোট অর্থাৎ বাকী সব সাধারণ বান্দা। অর্থাৎ-মহান আল্লাহর সকল বান্দা, সাধারণ গোনাহগার বান্দা হোক আর নবী রাসূল হোক সবাই বে-খবর ও মূর্খ। “নাউযুবিল্লাহ” (তাকবিয়াতুল ঈমান, পৃঃ নং-৩)


@@&&&
 গ্রামের মধ্যে যেমনি মর্যাদা চৌধুরী ও জমিদারদের। ঠিক তেমনি উম্মতের মধ্যে, নবীর মর্যাদা। “নাউযুবিল্লাহ”। (তাকবিয়াতুল ঈমান, পৃঃ নং-৬১, লেখক-ইসমাইল দেহলভী।)
এক্ষেত্রে গ্রামের চৌধুরী ও জমিদারের মর্যাদার সাথে নবী-রাসূলের মর্যাদাকে তুলনা করে জঘন্য বেয়াদবী ও চরমভাবে মানহানী করা হয়েছে, যা প্রকাশ্য কূফরী।

@&&&&

যার নাম মুহাম্মদ অথবা আলি, তিনি কোন কিছুর এখতিয়ার রাখেন না। নবী হোক বা অলি হোক কিছুই করতে পারেন না। “নাউযুবিল্লাহ” (তাকবিয়াতুল ঈমান, পৃঃ নং-৪১, ইসমাইল দেহলভী)।



@@&&
নবী-অলিদের আল্লাহর বান্দা জানার পরও উকিল এবং সুপারিশকারী মনে করা কুফরী ও শিরক। “নাউযুবিল্লাহ” (তাকবিয়াতুল ঈমান, পৃঃ নং-২৭, ইসমাইল দেহলভী)।


@@&&&
= "বাড় মাখলুক অর্থাৎ নবী, আর ছোট
মাখলুক অর্থাৎ অন্যসব
বান্দা আল্লাহর শান বা মর্যাদার
সামনে চামার অপেক্ষাও
নিকৃষ্ট। নাউজুবিল্লাহ (তাক্বভিয়াতুল
ঈমান, পৃষ্ঠা ১৪, কৃত


@@&&&&
= আল্লাহ্র সামনে সমস্ত নবী ও
ওলী একটা নাপাক
ফোঁটা অপেক্ষাও নগণ্য। নাউজুবিল্লাহ
(তাক্বভিয়াতুল ঈমান,
পৃষ্ঠা ৫৬, ঈসমাইল দেহলভী ওহাবী)।


এবার এই কথা গুলোর বিষয় দেওবনদি আলেম রা কি বলেছে তা দেখা যাক ;- 


দেওবন্দী দের আলেম মাওলানা আশরাফ আলী থানবী সাহেব লিখেছেন ; - মলোভি শাহ ইসমাইল শাহিদ ছিল।যেহেতু সুক্ষ্ণ মুহাক্কিক ছিল , সেহেতু কয়েকটি মাসালার মতবিরোধ করেছিল।  আর নিজের পির বুজুর্গ গন যেমন শাহ ওয়ালিউল্লাহ প্রমুখ বুজুর্গ কে মানতে অশিকৃতি জানাল ( ইমদাদুল মুস্তাক ) পৃষ্টা ৭ 

আবার ও আশরাফ আলী থানবী লিখেছেন যে ;- কোনো কোনো কথা এত কঠিন , জঘন্য যে সাধারণ মানুষ বুঝতেই অক্ষম। এমন সব সব্দ থেকে জনসাধারণ এর কর্ণযুগল কে বাচানো উত্তম (আহলে হাদিস পত্রিকা ) অমৃত সর , পৃষ্টা ৮ , ১৭  এপ্রিল ১৯০৮ 


এর পর সে বলেছে যে রেজভীরা শাহ ইসমাইল কে কাফের ফতোয়া দিয়েছে। 
এটা একটা মিথ্যা কথা। যদিও আমি ব্রেলভী না আমার প্রয়োজন নাই যে আমি জবাব দেই এ সকল আপত্তির। কিন্তু একজন হক আলেমের বিরুদ্ধে অভিযোগ দেখে আমি কলম তুললাম। 

ব্রেলভী দের ইমাম আলা হযরত আহমেদ রেযা খান ফাজেলে ব্রেলভী (রহ) কোন দিন শাহ ইসমাইল কে কাফের ফতোয়া দেন নাই। 
আর আহমেদ রেযা খান যদি কোন কিতাবে লিখে থাকেন যে শাহ ইসমাইল কে আমি কাফের বললাম তো আমাকে তার দলিল দাও। 

আর হযরত আল্লামা ফজলে হক খায়রাবাদী (রহ) শাহ ইসমাইল কে ওনার ফতোয়া কিতাব (তেহকিক এ ফতোয়া ) তে শাহ ইসমাইল কে কাফের ফতোয়া দিয়েছেন। 

আলা হযরত এর বড় হচ্ছেন আল্লামা ফজলে হক খায়রাবাদী , আলা হযরত নিজে তিনি ফজলে হক খায়রাবাদী এর  পায়ের সমতুল্য মনে করতেন।  আর তিনি খায়রাবাদী এর ফতোয়া পড়েছেন। বলেছেন। কিন্তু নিজে আবার নতুন করে তাকে কাফের ফতোয়া দেন নাই। সই করেন নাই।  

ডক্টর তাহেরুল কাদরী এর ভিডিও লিং 


তাহেরুল কাদরী সাহেব ব্রেলভী দের বর্তমান সময়ের সবচেয়ে বড় আলেম ও শায়েখ।  দেখেন , কি বলেন শুনে নেন। 


এর পর আহলে হাদীস দের আলেম  সুন্নি আলেম হানিফ কোরেশী এর সাথে মুনাযেরা করতে বসে সুন্নি দের সামনে শাহ  ইসমাইল এর এমন কথা কে কুফর বলেছেন দেখুন ;- http://youtu.be/m0VDg6odZWo


পীর নাসিরুদ্দিন শাহ , যিনি হাজী এমদাদুল্লাহ মুহাজের এ মক্কি (রহ) এর সিলসিলার পীর ও আরেফ বিল্লাহ । যেমন টা কি না চরমোনাই এর সিলসিলা দেওবনদি দের ঠিক তেমন গোলড়ভী শরীফ এর পীর নাসিরুদ্দিন শাহ তিনি ও কাফের বলেছেন আশরাফ আলি থানভি ও শাহ ইসমাইল কে।  তার ভিডিও লিংক   

দেখুন :- http://youtu.be/m0VDg6odZWo


এখন বল কি বলবে ? 
তোমাদের বুযুরগ গন কাফের বলেছে।  আমরা শুধুই তাদের বলা কথা বলি। কিন্তু নিজে থেকে আবার নতুন করে ফতোয়া লিখতে চাইনা। কারন তারা আমাদের বুযুরগ।  তাদের কথা গুলো আমাদের কথার চেয়ে বেশি কার্যকর।  তাই তাদের কথা তুলে ধরা যথেষ্ট মনে করি আমি। 

সোহেল রানা।  

তাকবিয়াতুল ইমান , ইনসান আপাস মে ভাই

আব্দুস সালাম তার এক পোষ্ট এ আমাকে আমন্ত্রণ করেছে যে (আমি  সুফী বাদের আসল রুপ      তুমাকে এখানে  আমন্ত্রণ করলাম। 

মাশাআল্লাহ।  দাওয়াত কবুল করা তো সুন্নাহ। আর সাথে  যদি কোন তৌফা নিয়া যাওয়া যায় মেজবানের জন্য তো আর কোন কথাই নাই। 

বিষয় হচ্ছে শাহ ইসমাইল , শাহ ইসমাইল ও সাইয়েদ আহমেদ এর যৌথ কিতাব তাকবিয়াতুল ইমান। 
সে যা লিখেছে তা দেখুন :- ইনসান আপাছ মে বাড়ে ভাই হে , যো বাড়ে বুযুর্গ হে ও বাড়ে ভাই হে , যো উসকি বাড়ে কিছি তাজীম কিযিয়ে , ওর হামারা মলিক স্রেফ আল্লাহ , ওর বান্দেগী উনকা  কারনা চাহিয়ে , ইস হাদীস মে মালুম হুয়া কি আওলিয়া, আম্বিয়া, ইমাম ওর ইমামজাদে,পীর ইয়ানি জিতনে আল্লাহ কি মুকার্রার বান্দা হে ও ছাব ইনসান হি হে , মাগার আল্লাহ নে উনকো বড়া দিগর দি ওর বড়া ভাই হুয়ে .আল্লাহ হামকো উনকা ফরমাবদারী কা হুকুম কিয়াহে, হাম উনকি ছোটে হে ওর উনকি তাজীম ইনসান হোনে কি নাতে কারনা চাহিয়ে ) 
এই কথা টা তার লিখে দেওয়া। আমি একটু সুন্দর আর স্পষ্ট করে লিখে দিলাম। কারন তার উর্দু মাশাআল্লাহ ওনেক গান্ধা ।


বাংলা দেখুন ;- ইনাসান আপাস মে ভাই হে , 
প্রথমে এই কথা টার বিশ্লেষন করা প্রয়োজন। 
ইনসান আপাস মে ভাই হে এই কথার বাংলা অর্থ হচ্ছে যে ;- দুনিয়ার সকল মানুষ একে অপরের ভাই।  আর এই কথা যদি বিস্বাস করেন তা হলে হিন্দু , খৃষ্টান , বৌদ্ধ, চোর,চামার,ডোম,ডাওয়াই যত ধর্মের লোক আছে সবাই দেওবন্দিদের ভাই হয়ে যাবে। 
কয়েকদিন আগে একচা ভিডিও দেখলাম। তাতে দেওবনদি ওলামায়ে  ওয়াক থু বলতেছে শিব তাদের বাবা ও নবী , তারাও হিন্দু। 
তো তাঁরাই তাদের মত  বে-দ্বীন দের কে ও ভাই মনে করতে পারে নিজেকে হিন্দু মনে করতে পারে। 

বরং সহীহ হাদিস হচ্ছে :- 
মুসলমান গন পরস্পর ভাই ভাই।  

ইনসান সব আপাস মে ভাই হোতে হে বা দুনিয়ার সকল মানুষ একে অপরের ভাই এমন কোন হাদীস থাকলে পেশ করার জন্য অনুরোধ করা হল। তা নির্ভরযোগ্য হলে বাক্য বেতীত কবুল করা হবে । 

যো বাড়ে বুযুরগ হোতে হে  ও বাড়ে ভাই।  

যে বড় বুযুরগ হয় সে বড় ভাই 

তাদের কাছে বুযুরগ দের ইজ্জাত বড় ভাই য়ের চেয়ে বেশি নয়। 

দেওবনদি দের প্রখ্যাত আলেম আমের উসমানি 
মাসিক তাজাল্লি পত্রিকায় একটা কবিতা লিখেছিলেন তার ৭ -৮ নং লাইন টা দেখুন 
;- ৭) তোমার ফতোয়া বানের আঘাতে পূর্ববর্তী বুজুর্গ গনের বুক ঝাজরা হয়ে গেছে 
কাফির বলার ক্রমবর্ধমান আগ্রহ দেখতে পাচ্ছি। 
৮) তুমি পরকে ভালবাস , আপনকে ভাব পর !!! 
তোমার মধ্যে পরিবর্তিত উন্মাদনারই ধরন দেখতে পাচ্ছি।  

মাসিক তাজাল্লি ) দেওবন্দ থেকে প্রকাশিত পৃষ্টা ৫৩, ১৯৫৭ ইংরেজি 

তোমরা শুধু বড় বুযুর্গ দের কে ভাই না বরং তাদের বুক ঝাঝড়া করে দিয়েছ।  

মালিক স্রেফ আল্লাহ হে।  আমরা কোন দিন বলি নাই আমাদের জাতী মালিক আল্লাহ নন।  বরং মলিক ২ প্রকার হয়ে থাকে।  যেমন জাতী ও আতাই।  তোমরা জাতি মালিক আল্লাহর নামে তো চিল্লায় গলা ফাটাও কিন্তু আতাই মালিক বলতে যে একটা কথা আছে তা বুঝতে চাওনা।  
যেমন একটা গরু যা তোমার বাড়ী তে আছে।  তার মালিক তুমি , এই খানে তার যে তুমি মালিক হলে তা এই কারনে যে এই সকল কিছুর মালিক আল্লাহ।  গরু ও তোমার দুজনের মালিক আল্লাহ।  কিন্তু তুমি হচ্ছ শুধু দুনিয়াবি মালিক। তোমাকে মালিক করা হয়েছে।  আল্লাহ চাইলে তোমার কাছে থেকে ছিনিয়ে নিতে পারেন। চাইলে বেশি ও দিতে পারেন। এটা তোমাদের বোঝা উচিত। এটাই আতাই ও জাতি মালিকের পার্থক্য। তোমাকে আল্লাহ দিয়েছেন। আর আল্লাহ কে কেউ দেয় নাই। সব কিছু ওনার সৃষ্টি। 

আর ইবাদত সকলে আল্লাহর করে থাকে।  মেজবানের বাড়ীতে মেহমানদারী খেয়ে মানুষ হাত ধুয়ে আগে বলে শুক্কর আলহামদুলিল্লাহ ।  
তো আমরা ও তাই করি । 

অর ইস হাদীস মে মালুম হুয়া কি আওলিয়া আম্বিয়া সব কি সব মুকার্রার বান্দা হে ওর ইনসান ই হে । 

আমি তোমাকে চা্যনেন্জ করলাম যদি কোন খানে দেখাতে পার আল্লাহ বলেছেন এই আমার নবী মুহাম্মদ , আপনি তাদের মতই মানুষ। 

যদি আল্লাহ নবী পাক কে মানুষ বলেন নাই কোন দিন।  বরং ওনাকে ইয়া বাশিরু, ইয়া মুবাশ্বেরু, বলে ডেকেছেন।  এরা ডাকে মানুষ বলে।   কত বড় বে আদব।  
ওর হা আমরা নবী পাকের বাশারিয়াত এর এনকার  করি না। তিনি মানুষের মত ছিলেন না আমরা তা বলি না। তিনি দেখতে মানুষের মতই ছিলেন ।  এখন যদি বল এটা কেমন কথা তো তিনি কে ছিলেন ? আর মানুষ সেজে কেন আসলেন ? 

তো আমি বলব সুরা মরিয়াম আয়াত নং ১৯ দেখে নাও। যদি জিব্রাইল (আ) মানুষের রুপ নিয়ে আসতে পারেন প্রকাশ্য নুর হয়ে তে আমার নবী কেন পারবে না ? 

আর আমার নবী কোন দিন মানুষ ছিলেন না। বরং তিনি নূর হি নূর ছিলেন আর নবী দের নবী ছিলেন। মানুষ কোন  দিন ছিলেন না। 


এর পর দাবি করেছে যে ;- বাড়ে আজীজ ওর হামারী ভাই হে , লা হাওলা ওলা কুয়াতা । 

প্রথম যে কথা বলেছো যে  ইনসান আপাস মে ভাই হোতেহে , তো আমি প্রমান করেছিলাম সকল ইনসান কে যদি ভাই মনে কর তো নিজের ইমান থাকবে না আপ বে-দ্বীন দের কে ভাই কবুল করতে হবে, আর বে-দ্বীন যদি ভাই হয় তো আপনি ও বে-দ্বীন হবেন। 

এই খানে একটা সুক্ষ্ন চাল দেখুন আওলিয়া, (আম্বিয়া ) আম্বিয়া শব্দ বেবহার করেছে , কিন্তু নবী বেবহার করে নাই , যাই হোক। আল্লাহ পাকের মেহেরবানি তে আম্বিয়া কাকে বলে আমাদের জানা আছে , 
কালামুল্লাহ দেখা যাক। কি বলে কালামুল্লাহ ;- 
نَّبِيُّ أَوْلَى بِالْمُؤْمِنِينَ مِنْ أَنفُسِهِمْ وَأَزْوَاجُهُ أُمَّهَاتُهُمْ وَأُوْلُو الْأَرْحَامِ بَعْضُهُمْ أَوْلَى بِبَعْضٍ فِي كِتَابِ اللَّهِ مِنَ الْمُؤْمِنِينَ وَالْمُهَاجِرِينَ إِلَّا أَن تَفْعَلُوا إِلَى أَوْلِيَائِكُم مَّعْرُوفًا كَانَ ذَلِكَ فِي الْكِتَابِ مَسْطُورًا

06

নবী মুমিনদের নিকট তাদের নিজেদের অপেক্ষা অধিক ঘনিষ্ঠ এবং তাঁর স্ত্রীগণ তাদের মাতা। আল্লাহর বিধান অনুযায়ী মুমিন ও মুহাজিরগণের মধ্যে যারা আত্নীয়, তারা পরস্পরে অধিক ঘনিষ্ঠ। তবে তোমরা যদি তোমাদের বন্ধুদের প্রতি দয়া-দাক্ষিণ্য করতে চাও, করতে পার। এটা লওহে-মাহফুযে লিখিত আছে।

এই আয়াত দ্বারা নবী পাকের স্ত্রীদের কে মোমেন দের মাতা বলা হয়েছে , 
তোমার কথা মোতাবেক যদি নবী পাক আমাদের ভাই হয় তা হলে নবী পাকের সাম্মানিত স্ত্রী গন কি তোমার ভাবী হবে না (নাউযুবিল্লাহ ) জবাব দাও আমার। 

যে খানে নবী পাকের স্ত্রীরা মোমেনের মা হয় সে খানে নবী পাকের ইজ্জত বড় ভাই য়ের মত হয় কি করে ? জবাব দিও। 

আর শাহ ইসমাইল কে বাঁচাতে সে তার কথা সত্য দাবি করেছে . 

বাড়ে আজীজ >খুবই প্রিয়, ওর হামারা ভাই হে 
আর আমাদের ভাই।  


কি করে ভাই দাবি  কর ? 
আর খুবই প্রিয় বলে কি পার হয়ে যেতে পারবে ? নবী পাক বলেছেন ততক্ষন পর্যন্ত কেউ মোমিন হতে পারবে না যে পর্যন্ত না আমি তার কাছে প্রিয় হই তার জান মাল পিতা মাতা ওপেক্ষা । 

এর পর হযরত ওমর (রা) বর্ননা তে দেখা যায় যে :- তিনি বলেন হে আল্লাহর রাসুল। আল্লাহর শপথ নিশ্চয় আপনি আমার নিকট আমার প্রান ছারা সব চেয়ে বেশি প্রিয় । আমার নবী বললেন , হে ওমর না ( এতে তুমি মোমিন হতে পার না ) আমি যেন তোমার জীবনের চেয়ে প্রিয় হই (তা হলে মোমীন হতে পারবে ।হযরত  ওমর (রা) বললেন আল্লাহর শপথ  (এখন থেকে) আপনি আমার নিকট সকল কিছু চেয়ে প্রিয় হয়ে গেলেন। (সুরা আহযাব, তাফসীর ইবনে কাছির ৭৪১ নং পাতা ) 

এদের কাছে নবীর ইজ্জাত কত ? খুবই প্রিয় ও আমাদের ভাই ।  

নিজের ইমান প্রমান কর।  তোমার যদি এই আকিদা থাকে তো তুমি ও বেইমান ও গুসতাক এ রাসুল । 

আমাদের নবী আমাদের  রুহানীর পিতা তুল্য, হয়ত আমার রুহানীর পিতা বলা ও ভুল হবে আল্লাহ ক্ষমা করুন যদি ভুল হয়। আমার কথা আমি হাদীস থেকে বলছি ;- হযরত আবু হোরায়রা (রা) থেকে বর্নিত আছে যে ;- রাসুলুল্লাহ সাল্লেল্লাহু আলাই হে ওয়া সাল্লাম বলেছেন যে আমি তোমাদের পিতার স্থলাভীষিক্ত । আমি তোমাদের কে শিক্ষা দিচ্ছি পায়খানা করার সময় যেন কেউ কিবলার দিকে মুখ না করে , পিঠ ও যেন না করে , ডান হতে যেন ঢেলা বেবহার না করে ও ডান হাতে ইস্তেনজা ও যেন না করে ,তিনি ইস্তেনজার জন্য ৩ টি ঢিলা নিতে বলেছেন। গোবর হাড় দিয়ে ইস্তেনজা করতে নিষেদ করেছেন। (ইবনে কাছির , সুরা আহযাব এর তাফসীর পেজ নং ৭৪২) 

অন্য আয়াতে আছে ( মোহাম্মাদ (সা) তোমাদের পুরুষদের কারো পিতা নন) ৩৩:৪০  

মা আয়েশা সিদ্দিকা থেকে বর্ননিত আছে যে ;-নবী পাক কে আবুল মোমেনিন (মোমেন দের পিতা) বলা যাবে না। সুরা আহযাব এর তাফসীর , ইবনে কাছির পেজ নং ৭৪২) 

এ খানে পিতা বলতে ও আল্লাহ মানা করেছেন। তো কি ভাবে তুমি ভাই দাবি করতে পার ? আমার জবাব দিবে কি ? জানি এ পোষ্ট দেখার পর আর খুঁজে পাওয়া যাবে না । 

উক্ত কিতাবের আরো কিছু কুফরি কথা ও শাহ ইসমাইল এর বিষয় মতামত দেওবন্দ আলেম দের ;- 

ওহাবী ইমাম ইসমাঈল দেহলভী বলেন...হুযুর সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম মরে মাটির সাথে মিশে গেছেন।নাউযুবিল্লাহ
(তাকভীয়াতুল ঈমান,পৃঃ ৬০)

@@&&& 

নামাযের মধ্যে হুজুর আকরাম সাল্লাল্লাহু তায়ালা আলাইহি ওয়ালিহি ওয়াসাল্লাম এর শুধু খেয়াল আসা ও গরু-গাঁধার খেয়ালের মধ্যে ডুবে যাবার চেয়েও খুবই নিকৃষ্ট। “নাউযুবিল্লাহ”। (সিরাতে মুস্তাকিম, পৃঃ নং-৫১ লেখক-ইসমাইল দেহলভী দেওবন্দী)।
অথচ আহলে সুন্নাত ওয়াল জামায়াতের আকি্বদা হচ্ছে তাশাহুদের মধ্যে নবীজীকে স্মরন করে, হাজির জেনে অতঃপর সালাম দিতে হবে। যেমন জগৎ শ্রেষ্ঠ দার্শনিক হযরত ইমাম গাজ্জালী (রাঃ) স্বীয় কিতাব “ইহয়াউ উলুমুদ্দিন” নামক বিশ্ব বিখ্যাত গ্রন্থের “……………………………………………..” নামাযের ভেদসমূহ অধ্যায়ের মধ্যে সুস্পষ্ট লিখেছেনঃ “………………………………………………………………………..”। অর্থাৎ-আগে নিজের কলবে নবীজীকে উপস্থিত জেনে অতঃপর সালাম দাও। (“ইহয়াউ উলুমুদ্দিন” ১ম খন্ড, পৃঃ নং-২৫৮)




@@&&&&

বড় অর্থাৎ নবী, ছোট অর্থাৎ বাকী সব সাধারণ বান্দা। অর্থাৎ-মহান আল্লাহর সকল বান্দা, সাধারণ গোনাহগার বান্দা হোক আর নবী রাসূল হোক সবাই বে-খবর ও মূর্খ। “নাউযুবিল্লাহ” (তাকবিয়াতুল ঈমান, পৃঃ নং-৩)


@@&&&
 গ্রামের মধ্যে যেমনি মর্যাদা চৌধুরী ও জমিদারদের। ঠিক তেমনি উম্মতের মধ্যে, নবীর মর্যাদা। “নাউযুবিল্লাহ”। (তাকবিয়াতুল ঈমান, পৃঃ নং-৬১, লেখক-ইসমাইল দেহলভী।)
এক্ষেত্রে গ্রামের চৌধুরী ও জমিদারের মর্যাদার সাথে নবী-রাসূলের মর্যাদাকে তুলনা করে জঘন্য বেয়াদবী ও চরমভাবে মানহানী করা হয়েছে, যা প্রকাশ্য কূফরী।

@&&&&

যার নাম মুহাম্মদ অথবা আলি, তিনি কোন কিছুর এখতিয়ার রাখেন না। নবী হোক বা অলি হোক কিছুই করতে পারেন না। “নাউযুবিল্লাহ” (তাকবিয়াতুল ঈমান, পৃঃ নং-৪১, ইসমাইল দেহলভী)।



@@&&
নবী-অলিদের আল্লাহর বান্দা জানার পরও উকিল এবং সুপারিশকারী মনে করা কুফরী ও শিরক। “নাউযুবিল্লাহ” (তাকবিয়াতুল ঈমান, পৃঃ নং-২৭, ইসমাইল দেহলভী)।


@@&&&
= "বাড় মাখলুক অর্থাৎ নবী, আর ছোট
মাখলুক অর্থাৎ অন্যসব
বান্দা আল্লাহর শান বা মর্যাদার
সামনে চামার অপেক্ষাও
নিকৃষ্ট। নাউজুবিল্লাহ (তাক্বভিয়াতুল
ঈমান, পৃষ্ঠা ১৪, কৃত


@@&&&&
= আল্লাহ্র সামনে সমস্ত নবী ও
ওলী একটা নাপাক
ফোঁটা অপেক্ষাও নগণ্য। নাউজুবিল্লাহ
(তাক্বভিয়াতুল ঈমান,
পৃষ্ঠা ৫৬, ঈসমাইল দেহলভী ওহাবী)।


এবার এই কথা গুলোর বিষয় দেওবনদি আলেম রা কি বলেছে তা দেখা যাক ;- 


দেওবন্দী দের আলেম মাওলানা আশরাফ আলী থানবী সাহেব লিখেছেন ; - মলোভি শাহ ইসমাইল শাহিদ ছিল।যেহেতু সুক্ষ্ণ মুহাক্কিক ছিল , সেহেতু কয়েকটি মাসালার মতবিরোধ করেছিল।  আর নিজের পির বুজুর্গ গন যেমন শাহ ওয়ালিউল্লাহ প্রমুখ বুজুর্গ কে মানতে অশিকৃতি জানাল ( ইমদাদুল মুস্তাক ) পৃষ্টা ৭ 

আবার ও আশরাফ আলী থানবী লিখেছেন যে ;- কোনো কোনো কথা এত কঠিন , জঘন্য যে সাধারণ মানুষ বুঝতেই অক্ষম। এমন সব সব্দ থেকে জনসাধারণ এর কর্ণযুগল কে বাচানো উত্তম (আহলে হাদিস পত্রিকা ) অমৃত সর , পৃষ্টা ৮ , ১৭  এপ্রিল ১৯০৮ 


এর পর সে বলেছে যে রেজভীরা শাহ ইসমাইল কে কাফের ফতোয়া দিয়েছে। 
এটা একটা মিথ্যা কথা। যদিও আমি ব্রেলভী না আমার প্রয়োজন নাই যে আমি জবাব দেই এ সকল আপত্তির। কিন্তু একজন হক আলেমের বিরুদ্ধে অভিযোগ দেখে আমি কলম তুললাম। 

ব্রেলভী দের ইমাম আলা হযরত আহমেদ রেযা খান ফাজেলে ব্রেলভী (রহ) কোন দিন শাহ ইসমাইল কে কাফের ফতোয়া দেন নাই। 
আর আহমেদ রেযা খান যদি কোন কিতাবে লিখে থাকেন যে শাহ ইসমাইল কে আমি কাফের বললাম তো আমাকে তার দলিল দাও। 

আর হযরত আল্লামা ফজলে হক খায়রাবাদী (রহ) শাহ ইসমাইল কে ওনার ফতোয়া কিতাব (তেহকিক এ ফতোয়া ) তে শাহ ইসমাইল কে কাফের ফতোয়া দিয়েছেন। 

আলা হযরত এর বড় হচ্ছেন আল্লামা ফজলে হক খায়রাবাদী , আলা হযরত নিজে তিনি ফজলে হক খায়রাবাদী এর  পায়ের সমতুল্য মনে করতেন।  আর তিনি খায়রাবাদী এর ফতোয়া পড়েছেন। বলেছেন। কিন্তু নিজে আবার নতুন করে তাকে কাফের ফতোয়া দেন নাই। সই করেন নাই।  

ডক্টর তাহেরুল কাদরী এর ভিডিও লিং 


তাহেরুল কাদরী সাহেব ব্রেলভী দের বর্তমান সময়ের সবচেয়ে বড় আলেম ও শায়েখ।  দেখেন , কি বলেন শুনে নেন। 


এর পর আহলে হাদীস দের আলেম  সুন্নি আলেম হানিফ কোরেশী এর সাথে মুনাযেরা করতে বসে সুন্নি দের সামনে শাহ  ইসমাইল এর এমন কথা কে কুফর বলেছেন দেখুন ;- http://youtu.be/m0VDg6odZWo


পীর নাসিরুদ্দিন শাহ , যিনি হাজী এমদাদুল্লাহ মুহাজের এ মক্কি (রহ) এর সিলসিলার পীর ও আরেফ বিল্লাহ । যেমন টা কি না চরমোনাই এর সিলসিলা দেওবনদি দের ঠিক তেমন গোলড়ভী শরীফ এর পীর নাসিরুদ্দিন শাহ তিনি ও কাফের বলেছেন আশরাফ আলি থানভি ও শাহ ইসমাইল কে।  তার ভিডিও লিংক   

দেখুন :- http://youtu.be/m0VDg6odZWo


এখন বল কি বলবে ? 
তোমাদের বুযুরগ গন কাফের বলেছে।  আমরা শুধুই তাদের বলা কথা বলি। কিন্তু নিজে থেকে আবার নতুন করে ফতোয়া লিখতে চাইনা। কারন তারা আমাদের বুযুরগ।  তাদের কথা গুলো আমাদের কথার চেয়ে বেশি কার্যকর।  তাই তাদের কথা তুলে ধরা যথেষ্ট মনে করি আমি। 

সোহেল রানা।  


 

আন্দোলনের চেয়ে ক্ষতি বেশি ( থানবী)

ওনেক দিন কোন বিশদ আকারে পোষ্ট করা হয় না । 
আজকে দেশের এই অন্তিম মুহুর্তোতে কিছু কথা না বলে পারছি না । 
অভিজিৎ নামের এক জন নাস্তিক মরেছে , তো তার জন্য হাজার নাস্তিক দেশে মিছিল করছে , আর ইসলাম পন্থি যারা আছে তারাও আবার তাদের বিরুদ্ধে মিছিল করছে মিটিং করছি মাথায় টুপি ও পাগরি পরে । 

তোমাদের কি এতই খারাপ দিন এসে গেছে ? যে  তোমরা নাস্তিক দের জবাব নাস্তিক দের তৈরি করা তরিকা হরতাল মিছিল মিটিং করে দিতেছ ? 

তোমাদের প্রতিবাদের  তরিকা যদি হয় সেই বে-দ্বীন ও নাস্তিক দের মতই তা হলে তোমাদের উন্নতি না বরং হবে অবনতি হবে দিন দিন । 

নাস্তিক দের বিরুদ্ধে সবার আগে বিশাল আকারে প্রতিবাদ সভা করল পেটের দায়ে বাংলার তেতুল ।৩০ কোটি টাকার জমির জন্য এত দিন লালা ঝড়ীয়েছে আর যখন পেয়ে গেল তখন চুপ আর কোন কথা নাই । 
যাই হোক লালা সফী কিন্তু যে ভাবেই হোক না কেন নিজের মুখ থেকে যার জন্য লালা পড়ত তা ঠিকই বুঝিয়ে  নিয়েছে । 

একটু দেখা যাক কি বলা আছে তাদের কিতাব গুলোতে :-
আন্দোলন :-  বর্তমান কালের আন্দোলন গুলোতে লাভের চেয়ে ক্ষতি বেশি । আর নিয়ম হল,  ক্ষতির চেয়ে লাভ বেশি হলে ক্ষতি কেই বেশি প্রাধান্য দিতে হবে । আর যে কাজে মন্দ বেশি সে কাজ কি ভাবে যায়েজ হতে পারে ? ভালের সাথে মন্দ মিশ্রিত করলে মন্দই সৃষ্টি হয় (মালফুজাত এ হাকিমুল  উম্মত ) পৃষ্টা নং;- ১৫৯ 
ইসলাহুল মুসলেমিন পৃষটা ;- ৪থা অধ্যায় পৃষ্টা নং ৯৭ 

তো এটা থেকে প্রমান হয় যে এই সকল আন্দোলন কোন দিন বুযুর্গগন সমর্থন করেন নাই। আমি সুন্নি দের কথা বাদ দিলাম । তারা এখন ধর্মের নামে শুরু করেছে ধর্মের বেবসা রাজনীতি । এরা তো প্রতিদিন হারাম করে নতুন নতুন ইস্যু বানিয়ে সে যেই হোক না কেন । 
আর যে গুলো দল ধর্মের দোহাই দেন না তাদের কথা বলে তো আর মানুষ হাসানো উচিত হবে না । 
মিছিল মিটিং ;- 
শরিয়াত কর্তৃক নির্ধারিত পদ্ধতির বিপরিত কোন পদ্ধতি অবলম্বন করাকে অবশ্যই নিষিদ্ধ বলতে হইবে । বিষেশত ওই পদ্ধতি যদি অহেতুক বেহুদা ও ক্ষতিকারক হয় তো তা হলে হারাম হওয়ার বিপক্ষে সন্দেহ কোথায় ? হরতাল , মিছিল, মিটিং মুলত এই জাতীয়। ইহাতে আছে সময় , শ্রম, অর্থের ব্যয়,।  নামাজ নষ্ঠ ও সাধারনদের জীবন মালের নিরাপত্তা নষ্ঠ করা তাদের কে চলাচল এ বাঁধা বিঘ্ন সৃষ্টি করা মুলত কষ্ট দেয়া । সুতরাং ইহা কি রুপে যায়েয হইতে  পারে ? ( ইসলাহুল মুসলেমিন ) পৃষটা নং ৯৭ 

এই সকল কাজ দিয়ে দ্বীনের কোন ফায়দা হয় না বরং , তা ছাড়া অবৈধ কাজ ভাল নিয়ত নিয়ে  করলে ও তা বৈধ হয়ে যায় না। মিছিল করা মিটিং করা গলায় মালা পড়ানো এগুলো তো নাম কুড়ানোর জন্য । এই সকল কাজ পাশ্চত্যের অনুকরন ছারা কিছুই নয় ।(মালফুজাত এ হাকিমুল উম্মত ) পৃষটা নং ১২৩. ইসলাহুল মুসলেমিন পৃষ্টা নং ৯৭ 
মন্তব্য ;- আজকাল তো কোন খানে মিছিল বা  মিটিং করা হলে দেখা যায় যে ১৫ দিন আগে থেকে  পোষ্টার প্রচার করা হয় । আর এক এক জন আলেম নামের জালেম দের নামের সাথে ১৫-২০ টা করে লকব লাগানো । আর এক একজনের গলার মালা বহন করতে পাশে আবার অতিরিক্ত লোক থাকে । 
আর তাদের নামের সাথের লকব দেখে আমার তো মনে হয় ইমামে আজম আবু হানিফা (রহ) এর ও হিংসা হয় (নাউজুবিল্লাহ) কারন আজ পর্যন্ত দেখলাম না ইমাম এ আজম ইমাম আবু হানিফা (রহ) এর নামের সাথে একটা লকব লাগানো আছে । 
বর্তমান সময়ের আলেম দের নামের সাথের লকব গুলো দেখলে আমার মাঝে মাঝে মনে হয় যে তারা মনে হয় ইমাম আবু হানিফা ;রহ) কে পিছনে ছাড়িয়ে গেছেন। আপনাদের কি মনে হয় ? 
জবাব দিবেন 

মার খাওয়া ও জেলে  যাওয়া ;- ক্ষমতা না থাকলে এমন কোন  কাজ করা যার পরিবর্তে মার খাইতে হয় জেলে  যেতে হয় , শরিয়াত তা অনুমোদন করে না । ইহা না করিয়া প্রতিকুল পরিবেশে ধর্য ধরা উত্তম । ইসলামের সর্নযুগে দুইটি নিয়ম প্রচলিত ছিল । শক্তি থাকলে প্রতিরোধ করা আর তা না থাকলে , ধৈর্যধারণ করা । 
ইহা ব্যতীত সকল পদ্ধতি মানুষের মন গড়া । এই সবে  কোন বরকত নাই (মালফুজাত এ হাকিমুল উম্মত ) পৃষ্টা ১৫৫ ইসলাহুল মুসলেমিন পৃষ্টা ৯৮ । 

মন্তব্য :- আমার কাছে এসে যদি একজন খৃষ্টান বলে লা ইলাহা ইল্লাল্লাহ , ইসা মাসীউল্লাহ । তার এই কথা টা যেমন মিথ্যা নয় ও আপনাকে তা কবুল করতে হবে যে তিনি আল্লাহর একজন নবী ছিলেন ঠিক তেমন আমার কাছে যদি কোন সত্য কথা আসে কোন কাফেরের মুখ থেকে ও আমি তা এক বাক্য কবুল করে থাকি । ওনেকের মাঝে চুলকানি শুরু হতে পারে যা আমি আসরাফ আলী থানবীর কিতাব কে কেন দলিল দিচ্ছি । 
তাই এই কথা গুলো বললাম । 
মুল কথা হচ্ছে যে বাংলাদেশে একজন নাস্তিক কে হত্যা করা হল আর আপনারা ও তাদের মত যেমন টা নাস্তিক রা ব্লগ এ বসে বা ফেসবুকে বসে রচনা করছে নিত্য নতুন কাহিনি ঠিক তাই 
আপনারা ও তাদের মত বসে বসে ঘেউ ঘেউ করছেন । আপনাদের এমন অবস্থা যে কুত্তা ও বিড়াল একে অপরকে দেখে যেমন একে অপরের বিরুদ্ধে যুদ্ধ ঘোষনা করতে চায় ঠিক তেমন। কিন্তু আসন্ন যুদ্ধের ফলাফল চিন্তা করেই চুপসে যান সকলে । 
কথা হচ্ছিল যে ;- বাংলাদেশে হাজারে  হতে পারে এক জন  নাস্তিক । কিন্তু বাকি ৯৯৯ জন আস্তিক কে কি ভাবে যে নাচচ্ছে তা কিন্তু দেখার  মত । বিশেষ করে যারা মুসলিম তাদের দৃশ্য দেখার মত । 
কিন্ত এই ১ জন নাস্তিক কো সোজা করতে পারতেছে না এরা ৯৯৯ জন আস্তিক বা মুসলিম রা । 
আপনাদের কি শক্তি নাই ? সামর্থ নাই ? 

না কি ধৈর্য ধরে আছেন সু-সময়ের জন্য ? 
না কি ইমান নাই ? 
আপনাদের কাছে সকল কিছু আছে। নাই শুধু ইমান । 
যদি ইমান থাকত তা হলে নাস্তিক দের তৈরি ও তরিকা মিছিল, মিটিং করে প্রতিবাদ করতে যেতেন  না নিজের সময় . অর্থ নষ্ট করে । 

এক টিভি উপস্থাপক নুরুল ইসলাম ফারুকি সাহেব কে বাড়িতে ঢুকে হত্যা করল কে বা কারা । 

আজ পর্যন্ত কাউকে গ্রেফতার দেখাতে পারল না সরকার  । আর কাকে জানি গ্রেফতার করে ৩ দিনের  রিমান্ড দিয়েছিল কোর্ট । আর কোন খবর পেলাম না । 

কিন্তু নাস্তিক মরেছে একটা আর ফারাবী হল গ্রেফতার আর রিমান্ড হচ্ছে ১০ দিনের । 

চিন্তা করে দেখ কাদের শক্তি বেশি । আস্তিক রুপে বে-ইমান ওয়ালাদের , নাকি প্রকাশ্য নাস্তিক দাবি করা মোনাফেক দের ? 
চিন্তার বিষয় কিন্তু । 

সত্যাগ্রহ ;- ক্ষমতা থাকলে জালীমদের বিরুদ্ধে শক্তি প্রয়োগ করিতে হইবে , আর শক্তি না থাকলে ধৈর্যধারণ করা শ্রেয়। ইহার মাঝামাঝী পন্থা , যাকে সত্যাগ্রহ বলে । ইহার উৎস আমার জানা নাই (মালফুজাত এ হাকিমুল উম্মত ) পৃষ্টা নং ২৪৩ । ইসলাহুল মুসলেমিন পৃষ্টা নং ৯৮ 
এখন যারা দেওবন্দি আছেন বা চুন্নি আছেন তাদের কে বলি । বল তোমরা কোন পন্থা অবলম্বন করতেছ ? 
তোমরা ১৬ কোটি মুসলমান। তবু ও তোমাদের কি শক্তি নাই ? 
শক্তি নাই কেন ? নারীর আঁচলের নিচে কি সব লুটায় দিয়েছে ? 
চিন্তা করতে হবে ! 

শাষকদের কে গালি দেয়া ;- বিপদে আপদে অতিষ্ঠ হইয়া ওনেকে শাষকদের কে গালী গালোজ করতে থাকে । হাদীসে আছে ;- তোমরা তোমাদের শাষক দের কে গালি দিও না । কারন তাহাদের অন্তর আমার হাতের মুঠোয় । তোমরা আমার অনুগত্য কর। তা হইলো আমি তাহাদের অন্তর কে কোমল করিয়া দিব ।(ইসলাহুল মুসলেমিন পৃষ্টা ৯৮ 

আর তারা ছাড়া বিপদ আপদ আল্লাহর পক্ষ থেকে এসে থাকে । আর আল্লাহর তরফ থেকে যখন সকল বিপদ-আপদ তখন আমাদের উচিত আল্লাহর দিকে রুজ্জু করা । আল্লাহর কালাম ও নবী পাকের সুন্নাহ কে আকরে ধরা ।(ইসলাহুল মুসলেমিন ) পৃষ্টা নং ৯৮ 

 বুজুর্গগন এর জীবন থেকে শিক্ষা গ্রহন করা ও উচিত আমাদের আমি মনে করি । 

আমরা নিজেদের ইমান মজবুত করতে পারি নাই আজ পর্যন্ত। তা হলে আমাদের শাষকগন কে আল্লাহ আমাদের জন্য আরো কঠোর করে তুলবে না কেন ? 
আমরা যদি প্রতি দিন থেকে দাঁত ভাংগা জবাব দিতাম তা হলে আজকে আমাদের কে এই করুন দিন দেখতে হত না । 

আমরা তা না করে মোমবাতির আলোতে চেয়ারে বসার সপ্ন দেখি । নির্বাচন করি । লোকসভা করি । হাদিস কোরানের আয়াত কে বিক্রি করে পেট চালাই । ওলিদের মাজারে বেবসা করি । 

নারীর আঁচলের নিচে আশ্রয় তালাশ করি । 
টাকার লোভে ৫ মে এর মত আন্দোলন করি। 

তা হলে কি ভাবে আমাদের উপর রহম করবেন আল্লাহ তায়ালা ? 

জবাব কি আছে আপনাদের কাছে ? 

কি করা উচিত এই সময় আমাদের কে ? বলবেন কি ? 

সোহেল রানা 



ইবনে সীরিন (রহ) এর মিত্তু ও স্বপ্নে আভাস পাওয়া

ইবনে সীরিন (রহ) মিত্তুর খবর- 
ইমাম ইবনে সীরিন (রহ)  একজন বিখ্যাত স্বপ্ন বিশারদ ছিলেন ও তিনি একজন তাবেয়ী ছিলেন । তিনি নিজের মিতু্যর তাবীর ও নিজে করছেন :- জৈনিক মহিলা ইবনে সীরিন (রহ) এর কাছে গিয়ে বললো যে আমি একটা স্বপ্ন দেখেছি । ইবনে সীরিন (রহ) বলেন যে শোনাও । মহিলা বলেন যে আপনি খানা খাওয়া আগে শেষ করুন এর পর বলব।

ইবনে সীরিন (রহ) নিজের আহার শেষ করে বলেন যে এবার শোনাও । মহিলা বললেন , স্বপ্নে আমি চাঁদ কে দেখলাম সপ্তর্ষিমন্ডলস্থ সুরাইয়া তারকার অন্তরে (ভিতরে ) ঢুকে পড়েছে । 
আর কে যেন পিছন থেকে ডেকে বলল যে ;- হে নারী , ইবনে সীরিনের নিকট গিয়ে এর সকল বৃত্তান্ত বর্নণা কর । তিনি মহিলার হাতে ঝাঁকুনি দিয়ে বললেন কি দেখেছ আবার বল । মহিলা আবার ও তাই বললেন যা উপরে বর্নিত হয়েছে । 
ঘটনা শুনে ওনার চেহারা বিবর্ন হয়ে গেল ও নিজের পেট চেপে ধরে দাড়িয়ে গেলেন । অবস্থাদৃষ্ট দেতে ইবনে সীরিনের বোন জিগ্গ্স করল ঘটনা কি ? আপনার চেহারা বিবর্ন হয়ে গেল কেন ? 

জবাবে তিনি বলেন (বিবর্ন)  হবে না কেন ? এ মহিলা যা বলেছে তাতে বোঝা যায় ৭ দিন পর আমি কবরবাসী হব । সুতরাং সপ্তম দিনেই ওনাকে কবরে দাফন করা হয় । (ইবনে সীরিন এর বেক্ষা সম্বলিত কিতাব -স্বপ্নের বেক্ষা , পৃষ্টা নং ১৯-২০) 

তিনি নিজে এতদিন অন্যদের কে স্বপ্নের বেক্ষা প্রদান ভাল ও মন্দের দিক বলে দিতেন । 
আর আল্লাহ ওনার নিজের মিত্তুর সংবাদ ও অন্যর স্বপ্নের মাধ্যমেই ওনাকে জানিয়ে দেন। 
কি আজব লীলা খেলা । 
আল্লাহ ইবনে সীরিন ও আমাদের সকলের প্রতি রহম করুন। আমীন। 

পীর কে নজরানা দেয়া

আজকাল ফেসবুক এ নতুন নতুন মুফতীর যেমন অভাব নাই ঠিক সেই রকম আমার মত বুড়া ঘোড়ার ও কোন কমতি কিন্তু নাই । আমরা মাঠের বাইরে বসে শুধু খেলা দেখি । 
কিন্তু মাঝে মাঝে আমাদের কে ও বাধ্য হতে হয় আবার ও মাঠে নামতে । 

Imran Khan vai এর পোস্ট টা একটু দেখুন । কপি করে দিলাম (
হে ঈমানদারসকল, তোমরা যদি আমার হাবীবের সাথে একা একা কথা বলতে চাও, তাহলে তাঁকে নজরানা পেশ করো ....
(সূরাঃ মোজাদেলা,, আয়াত নং ১১
এটা তার পোষ্ট । লিং ও স্ক্রীন শুট আছে তা কমেন্ট এ দিলাম । 

এই আয়াত টা আমি দেখে বললাম যে এই আয়াত মনসুখ হয়ে গেছে । বলে তার কাছে দলিল আছে মনসুখ হয় নাই। সে কালকে (আজ) পোষ্ট করবে । বললাম ঠিক আছে । ১০ বার চিন্তা করে নাও । কারন আমি ফাল্তু কথা বলি না । 

সে তার নিজ মুডে অটল বিধায় বললাম ঠিক আছে আমি জবাব তৈরি করছি ( আর শুরু করলাম :- এই আয়াত টা সুরা মুজদালাহ এর ১১ নং আয়াত নয় । বরং ১২ নং আয়াত এটা । 

আর এই আয়াত টা যে সে পোষ্ট করেছে তা প্রকৃত পক্ষে মুল আয়াতের বিকৃত রুপ । মুল আয়াত দেখুন ( 
 يَا أَيُّهَا الَّذِينَ آمَنُوا إِذَا نَاجَيْتُمُ الرَّسُولَ فَقَدِّمُوا بَيْنَ يَدَيْ نَجْوَاكُمْ صَدَقَةً ذَلِكَ خَيْرٌ لَّكُمْ وَأَطْهَرُ فَإِن لَّمْ تَجِدُوا فَإِنَّ اللَّهَ غَفُورٌ رَّحِيمٌ
মুমিনগণ, তোমরা রসূলের কাছে কোনকথা বলতে চাইলে তৎপূর্বে সদকা প্রদান করবে। এটা তোমাদের জন্যে শ্রেয়ঃ ও পবিত্র হওয়ার ভাল উপায়। যদি তাতে সক্ষম না হও, তবে আল্লাহ ক্ষমাশীল, পরম দয়ালু।
সুরা মুজাদেলা আয়াত নং ১২ 

মুলত সে মুল আয়াত কে কেটে ও ছেঁটে পেশ করেছে , আর এতে আয়াতের মুল ভাষ্য বোধ গম্য হওয়া আমার মত মুর্খদের জন্য সোজা নয় । আপনি যদি অতি শিক্ষিত হন তা হলে অন্য বিষয় । 

তো ভুল কতটা এখানে পেলেন ? 
(১) আয়াত এর রেফারেন্স ভুল 
(২) অর্ধেকের কম আয়াত কেটে পেশ করেছে নিজের সুবিধা মত ,এটা চরম ভুল।  বরং তওবা করে নেওয়া ওয়াজীব মনে করছে আমি । 

এখন কথা হচ্ছে যে এই আয়াত কি এখন পর্যন্ত বলবৎ আছে না কি রহিত গেয়ে গেছে ? মুল বিষয় এটা । 

আমি বলেছিলাম যে এই আয়াত মনসুখ(রহিত) হয়ে গেছে । 
সে বলেছে তার কাছে দলিল আছে । 
সে কিন্তু শিয়া । আর শিয়া দের কাজ হচ্ছে ৩০ পারা কোরান কে ও মিথ্যা বলা এমন কি নবী পাক কে ও নবী নামে মাত্র মান্য করে । এদের একটা মুল কথা হচ্ছে যে (আজ নেহি কাল ছাড্ডা আলী আলী কেহেন্দে) 
আজ নয় তো কাল সবাই আলী আলী বলবে । 
তার কাছে কোন কোরান আছে তা আল্লাহ ভাল জানে । 

তাফসীর ইবনে কাছীর হাফেজ ইবনে কাছীর দামেস্কি (রহ) এর লেখা তিনি সুরা মুজাদালাহ  নং ৫৮  /২৮ পারা এর ১২ নং আয়াতের তাফসীর এ লিখেছেন যে ;- 
আল্লাহ তায়ালা রাব্বুল আলামিন মুমিনদের কে নির্দেশ দিচ্ছেন যে ;-যখন তারা হযরত মুহাম্মদ সাল্লেল্লাহু আলাইহিস সালামের সাথে দেখা করতে চাইবে একান্ত ভাবে তখন যেন তারা দেখা বা কথা বলার পুর্বে কিছু পেশ করে সদকা (এই খানে সদকা শব্দের বেবহার বাংলা তে ঠিক হয়নি বলে মনে করছি আমি , কারন ওনেকে সদকা আর যাকাত কে একই মনে করে । আমার মতে সোজা বাংলা হাদিয়া বা তৌফা বেবহার করলে বোধগম্য হত আরো ভাল । একান্ত আমার মত এটা ) যাতে তাদের অন্তর পবিত্র হয় ও তোমরা যাতে নবী (সা) এর সাথে পারমর্শ করার যোগ্য হতে পার । 
তবে হা, যদি কেউ দরিদ্র হয় তা হলে তার প্রতি আল্লাহর দয়া ও ক্ষমা রয়েছে । অর্থাৎ এই আয়াত গরীবদের জন্য প্রযোজ্য সেই সময় ও ছিল না,  তা ছিল শুধু  ধনী দের জন্য । 

এর পর দেখুন ;- এর পর আল্লাহ বলেন ;- তোমরা কি চুপি চুপি কথা বলার পুর্বে সদকা (হাদিয়া) দেয়া কে কষ্টকর মনে কর ? এবং ভয় কর যে  এই নির্দেশ কত দিনের জন্য রয়েছে ? যাক , তোমরা যদি এই সদকা (হাদিয়া) প্রদান কে কষ্টকর মনে কর থাক তবে , তোমাদের কে এই জন্য কোন চিন্তা করতে হবে না । আল্লাহ তোমাদের প্রতি অত্যন্ত ক্ষমাশীল ও দয়ালু।তিনি তোমাদের কে ক্ষমা করে দিলেন । 
এখন আর তোমাদের কে সদকা (হাদিয়া) প্রদান করতে হবে না । এখন তোমরা নামায কায়েম কর, যাকাত দিতে থাক  ও আল্লাহ ও তার রাসুলের অনুগত্য কর ।

এখান থেকেই প্রমান হয়ে যায় উক্ত আয়াত ছিল মাত্র কয়েকদিনের জন্য শুধু । 
যখন আই আয়াত বলবৎ ছিল তখন যারা অর্থশালী ছিল তাদের জন্য বাধ্যতামূলক ছিল কিছু প্রদান করা একান্ত ভাবে দেখা করার সময় । আর যারা গরিব ছিল তাদের প্রতি এই আয়াত প্রথম থেকেই লঘু ছিল না । 

এর পর দেখে যাক ;- কথিত আছে রাসুলুল্লাহ (সা) এর সাথে গোপনে পরামর্শ কারার পুর্বে সদকা (হাদিয়া) দেয়ার গৌরব এক মাত্র হযরত আলী (রা) এর যে তিনি ১ দীনার সদকা করে নবী পাকের সাথে দেখা করেন ও ও ১০ টি মাসালা জিগ্গেস করেন । 
এই  বর্ননা ওনার থেকে ও পাওয়া যায় যে তিনি বলেন এই আয়াত এর উপর না কেউ আমার আগে আমল করতে পেরেছে না কেউ আমার পরে আমল করতে পেরেছে । তিনি আরো বলেন আমার কাছে একটি সর্ণ মুদ্রা (দীনার) ছিল। আমি তা ভাংগিয়ে ১০ রিয়াল পাই । তা এক মিসকিন কে আমি আল্লাহর নামে দান করি । ও নবী পাকের খেদমতে হাজীর হয়ে গোপনে কথা বলি । এর পর এই হুকুম উঠে যায় । সুতরাং আমার পুর্বে কেউ এই আয়াত এ আমল করতে পারে নাই ও পরে ও আমল করতে পারে নাই এই বলে তিনি এ আয়াত পাঠ করেন :-
 يَا أَيُّهَا الَّذِينَ آمَنُوا إِذَا نَاجَيْتُمُ الرَّسُولَ فَقَدِّمُوا بَيْنَ يَدَيْ نَجْوَاكُمْ صَدَقَةً ذَلِكَ خَيْرٌ لَّكُمْ وَأَطْهَرُ فَإِن لَّمْ تَجِدُوا فَإِنَّ اللَّهَ غَفُورٌ رَّحِيمٌ
৫৮/১২ /২৮ পারা । ইবনে কাছীর 


হযরত আলী (রা) থেকে বর্নিত হয়েছে যে , তিনি বলেন নবী পাক (সা) ওনাকে জিগ্গেস করেন সদকা(হাদিয়া) পরিমান ১ দিনার হওয়া কি উচিত ? 
হযরত আলী কারামুল্লাহ ওয়াজুহুল কারীম বলেন এ তো ওনেক বেশি । 
নবী পাক বলেন অর্ধ দিনার ? 
হযরত আলী বলেন যে ;- প্রত্যেকের এর আদায় করার ক্ষমতা নাই / 
এর পর নবী পাক বলেন ;- তা হলে কত নির্ধারণ করবে তুমিই বলে দাও । 
তখন হযরত আলী বলেন ১ জব পরিমান সর্ণ নির্ধারণ করা হোক । 

আর এই কথা শুনে নবী পাক বললেন যে বাঃ বাঃ , তুমি তো একজন স্বাধক বেক্তি । 
হযরত আলী (রা) বলেন সুতরাং আমারি কারনে আল্লাহ এই উম্মাতের উপর কাজ সহজ ও হাল্কা করে দেন । 
নোট;- এই হাদীস ওনেক হাদীস বিশারদ গন বর্নিত করেছেন  যেমন :- ইমাম ইবনে জীরীর ইমাম তীরমিযি । 

হযরত ইবনে আব্বাস (রা) বলেন যে :- মুসলমানরা বরবরাই রাসুলুল্লাহ (সা) চুপি চুপি কথা বলার পুর্বে সদকা(হাদিয়া) পেশ করত । কিন্তু যাকাত ফরজ হওয়ার পর  এ হুকুম উঠে যায় । 
ইবনে আব্বাস (রা) বলেন যে ;- সাহাবীরা নবী পাক কে খুব বেশি বেশি প্রশ্ন করতে শুরু করেন ।ফলে তা রাসুলুল্লাহ (সা)র  উপর কঠিন বোধ হয় ।
ফলে আল্লাহ তায়ালা পুনরায় তা জারী করেন । ফলে রাসুলুল্লাহ (সা) এর উপর তা হাল্কা হয়ে যায় ।এর পর জনগন প্রশ্ন করা ছেড়ে দেয় ।অতপর আল্লাহ তায়ালা মুসলমানদের উপর প্রশস্ততা অনয়ন করেন এবং এ হুকুম রহিত করে দেন । হযরত ইকরামা (রা) ও হযরত হাসান বাসরী (রহ) এর ও এই মত যে এ হুকুম রহিত হয়ে গেছে ।হযরত কাতাদাহ ও হযরত মুকাতিল(রহ) এর ও একই মত । 

হযরত কাতাদাহ (রহ) বলেন যে শুধু দিনের কয়েক ঘন্টা শুধু এই হুকুম জারী থাকে ।হযরত আলী (রা) ও তাই বলেছেন যে আমিই সাবার আগে ও সবার সেষ মানে তিনিই একমাত্র বেক্তি যিনি এই আয়াতের উপর আমল করেছেন । 


তো এখন এটা দুপুর বেলার সুর্যের মত পরিষ্কার যে এই আয়াত মনসুখ বা রহিত হয়ে গেছে । 
এই খানে আর কোন মায়া কান্না দেখানোর প্রয়োজন নাই হযরত আলী কে যারা মোনাফেক প্রমান করেন সেই সকল শিয়া দের । 

আর তারা হতে পারে এই আয়াতের উপর এত জোর দেন কারন এই যে , আয়াতের উপর একমাত্র হযরত আলী কারামুল্লাহ ওয়াজুহুল কারীম আমল করেছেন । 

আর শিয়া দের নীতী আলীই আল্লাহ আলী মুহাম্মদ (সা) আলী সকল কিছু (নাউযুবিললাহ ) 

এদের এই আয়াতের প্রতি মায়া কান্নার কারন মনে হয় আজ প্রকাশ হল । 

তাছারা হাদিয়া নেয়া বা দেয়া । 
আপনি যদি ইতিহাস দেখেন তো দেখেছেন যে নবী পাক সেই সময় এ ওনেক রাজা বাদশাহ কে তৌফার সাতে বা হাদিয়া দিয়ে ইসলামের দাওয়াত দিয়েছেন , এমন কি ওনেক রাজা বাদশা এমন কি হাজার হাজার আম সাহাবীগন হাদীয়া দিত আমার নবী কে , আর তিনি গ্রহন করতেন সকলের হাদিয়া । 
পর্বতিতে মনে চাইলে তিনি অন্য কাউকে আবার ও দান করে দিতেন । 
কিন্ত তিনি হাদিয়া নিতেন ও দিতেন তা প্রমানিত আর এমন কি আজ পর্যন্ত তা সুন্ন্ত হয়ে আমাদের জন্য অনুসরনিয় ও অনুকরণীয় হয়ে আছে । 

আমি চাইলে এ নিয়ে শুধু ১০ টা পোষ্ট করতে পারি সেই পরিমান দলিল আছে আমার কাছে । 

তাই বলব কোন মনসুখ  আয়াত কে প্রাধান্য দিয়ে উম্ম্ত এ মোহাম্মদির উপর কোন বোঝ চাপানোর চেষ্টা করবেন না , যে বিষয় কে চাপ মনে করে আমার আল্লাহ আমাদের কে রুখসাত দিয়েছেন । তা আবার ও আমাদের ঘাড়ে চাপানোর চেষ্টা করবেন না । 
ধন্যবাদ