বৃহস্পতিবার, ১২ নভেম্বর, ২০১৫

মুতা বিয়ে

সূরা মুমিনিনের আয়াত ৬ মুতাকে মনসুখ (রহিত) করে দেয়)
উত্তরঃ
إِلَّا عَلَىٰ أَزْوَاجِهِمْ أَوْ مَا مَلَكَتْ أَيْمَانُهُمْ فَإِنَّهُمْ غَيْرُ مَلُومِينَ (২৩:৬)
যে আয়াতটা দেওয়া হচ্ছে মুত’আকে রদ করার জন্য সেটা মক্কায় নাজিল হয়েছে, আর মুত’আ কে রসূল সাঃ মাদিনাতে মক্কা বিজয়ের সময়ও মুত’আ করতে অনুমতি দিচ্ছে। অর্থাৎ মিভাই মুখাল্লিফিনরা কি বলতে চান যে রসূল সাঃ জানতেন না এই আয়াত দিয়ে মক্কাতেই মুত’আ নিষিদ্ধ হয়ে গিয়েছে?!!!!
সুতরাং আপনার আনা আয়াত যদি মুত’আ এর রহিত হিসাবে মানা হয় তাবে রসুলের সাঃ রসুলত্বের উপর বিশ্বাস কে জলাঞ্জলি দিতে হবে।
তা সত্বেয়ও আমি এখানে সুন্নি উলেমাদের উক্তি তুলে ধরছি যেখানে তার পরিষ্কার ভাবে আপনার কথাকে খণ্ডন করেছে।
১) “ এবং তারা, যারা নিজের স্ত্রী অথবা তাদের ডান হাত যা অধিকার করে তা ব্যতিত নিজের ব্যক্তিগত অংশ/গোপোন অংগ/গোপোন অংশ (private parts) সংরক্ষণ/ হেফাজত করে”;- এই আয়াত এর আলোচনায় আল্লামাহ সাব্বির আহমেদ উস্মান তার “ফাতাহ আল মুসলিম সারহে মুসলিম” গ্রন্থের ভলিউম-৩, পৃষ্ঠা ২২১ এ উল্লেখ করেছেন ---- “উক্ত আয়াত মক্কায় নাজিল হয়েছে”।


২) আল্লামা ওয়াহীদ উদ্দিন জামান, তার লুগাতুল হাদিস খণ্ড ৩ পাতা ১০৫
“ এই আয়াতটা ‘...স্ত্রীগন ও যাদের উপর তোমাদের দান হাত প্রসারিত ছাড়া’ দুটো সূরাতে এসেছে কিন্তু সন্ধেয়বিহীনভাবে দুটো সুরাই মক্কার। কিন্তু মুত’আ এই আয়াতের নাজিলের পরেও করা হয়েছে”।
৩) আল্লামা ওয়াহীদ উদ্দিন জামান তার বিখ্যাত বুখারির সারাহ, ‘তাইসীরুল বারী সারাহ সাহিহ আল বুখারিতে’ মুত’আ কে এই (২৩:১-৬) আয়াত দ্বারা না রহিত কারিদের খন্ডন করেছেনঃ
“যারা এই আয়াত ‘..স্ত্রীগন ও যাদের উপর তোমাদের ডান হাত প্রসারিত ছাড়া’ দ্বারা মুতা হারামবলে তাদের গলতী হয়েছে, কারণ এই আয়াত মক্কার, আর সর্বমতে মুতা এর পরেও হালাল ছিল”।
--খন্ড ৬ পাতা ১১১

৪) আল্লামা সাব্বির আহমাদ উস্মানি তার ‘ফাতাহ আল মুলহিম সারাহ মুসলিম’ এর ৩য় খণ্ড ৪৪০ পাতাতে লিখেছেনঃ
“ নিকাহ মুত’আ একটা হালকা ধরনের বিয়ে এবং এটা মুবাহ ছিল এবং এটাকে হারাম করা হয়েছে সাধারণ ভাবে,যখন এই ধরনের নিকাহ কনো লাভ আনে না- তালাক, উত্তরাধিকার অথবা অন্যান্য অধিকার প্রমানিত হয় না, যেটাসাধারণ বিয়ের ক্ষেত্রে আছে। যদিও একটা দৃষ্টিকোণ থেকে এটা এক ধরনের বিবাহ।মুতার স্ত্রীলোক ‘জাওয়াজ নাকস’ ( ) আর এই জন্যই তাদের অধিকার প্রতিষ্ঠিত হয়না, যখন আল্লাহ এই আয়াত নাজিল করলেন।
‘‘..স্ত্রীগন ও যাদের উপর তোমাদের ডান হাত প্রসারিত ছাড়া’। এই আয়াত মুতাকে বাতিল করে না,মুতার স্ত্রীলোক ও একভাবে স্ত্রী এর সংজ্ঞা এর মধ্যে আসে, যেমন আমারা প্রমান করেছি যে মুতা ঐসব ক্ষেত্রে প্রযেয্যযেখানে যেনা থেকে নিজে কে আলাদা/বাঁচানো করা যায়।#কিভাবে_এই_আয়াতকে_মুতা_নাজাইজ_হওয়ার_প্রমান_হিসাবে_দেওয়া_যেতে_পারে_যেখানে_এই_আয়াত_মক্কার, আর আমাদের জানা অনুসারে কনো আলেম একথা দাবি করেনি মুতা খাইবারের আগে বারণ হয়েছে।যদিও খাইবারের পরে মানা হওয়ার ব্যাপারে উলেমাদের মধ্যে বিভিন্ন মত আছে”।

৪) আল্লামা সাব্বির আহমাদ উস্মানি তার ‘ফাতাহ আল মুলহিম সারাহ মুসলিম’ এর ৩য় খণ্ড ৪৪০ পাতাতে
৫) তাফসির রুহ আল মাআ’আনি, আল্লাম আলুসি, ভলিউম -৯, পৃষ্ঠা-১০:
هذه المقامات صريح النقل تعين القول بأن الآية مكية بمعنى أنها نزلت قبل الهجرة وأشكل الإستدلال بها على تحريم المتعة بعد تحليلها بعد الهجرة
“...উক্ত আয়াত টি মক্কায় এবং হিজরত এর পূর্বে নাজিল হয়েছিল, আর যেহেতু হিজরত এর পরেও মুতাবিবাহ হালাল ছিল তাই, উক্ত আয়াত মুতা বিবাহের অবইধতার(হারাম) প্রমান হিসাবে দেওয়ামুসকিল”।

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন