বৃহস্পতিবার, ১২ নভেম্বর, ২০১৫

মুতা বিয়ের খন্ডন

আপনি বলেছেন যে সুরা মুমিনের ৬-৭ এর ব্যাখ্যা তে কারা মুতা বিবাহ হারাম করেছেন 
কিছু দলিল নিন ;- 
(তাফসীর ফী যিলালীল কোরআন ) ১৪ খন্ড পৃষ্টা নং ২৬ লিখেছেন যে ;- স্ত্রী ও দাসী ছারা অন্য যে কোন ভাবে যারাই যৌন সম্পর্ক স্থাপন করবে সে হালাল পথের বাইরে চলে যাবে পরিষ্কার হারামে পতিত হবে । এ হারাম অবস্থায যে পৌঁছাত যাবে সে নিজেকে ধংসের দিকেই এগিয়ে  দিবে । 

তাফসীর এ মাযহারী তে  বলা আছে যে 

প্রথমত বলা হয়েছে যে এদেরকে (স্ত্রী ও দাসী ) ছারা অন্য কাউকে কামনা করলে সে হবে সীমা লংঘনকারী  ।এখানে (আ'দুন) অর্থ সীমা ওমান্যকারী ,হালাল কে ছেড়ে হারামের দিকে গমন কারী । উল্লেখ্য যে এই আয়াতের মাধ্যমে মুতা বিবাহ রহিত করা হয়েছে । 
হযরত ইবনে আব্বাস (রা) বলেছেন যে ইসলামের প্রথম দিকে মুতায়া বৈধ ছিল । কেউ দূরের কোন শহরে গেলে সেখানকার কোন মহিলা কে কিছু দিনের জন্য বিবাহ করত । ওই মহলা তার আহার্য রন্ধন ও মাল সামানা হেফাজত করত । এরপর পুর্ববরতি আয়াত নাযিল হয় । ফলে স্ত্রী ও দাসী ছারা সকল মহিলার সাথে যৌনচরিতর্তথা রহিত হয়ে যায় । তীরমিযি তে বলা হয়েছে , মুতা মাধ্যমে যে স্ত্রী গ্রহন করা হয় প্রকৃত পক্ষে সে কিন্তু তার স্ত্রী নয় । শিয়া সম্প্রদায় এ এখন ও মুতার চলিত থাকলে ও তারা কিন্তু স্বীকার করে মুতা স্ত্রীর উত্তরাধিকার নাই । এমতো ক্ষেত্র স্বমী ও স্ত্রীর উত্তরাধিকার পায় না । সুতরাং প্রকৃত রক্ষা তারা স্বামী-স্ত্রী নয় । কিন্তু স্বমী স্ত্রীর উত্তরাধিকার কোরান কর্তৃক স্বীকৃত । আমি সুরা নিসার তাফসীরে যথাস্থানে বর্নানা করেছি (তাফসীর এ মাযহারী ) সুরা মুমিন এর তাফসীর ৬-৭ নং আয়াতের । পৃষ্টা ২০৩ 

কিতাবের পাতা দরকার মনে করলে বলতে পারেন । 

আপনার দেয়া দলিল গত
(৪) আল্লামা সাব্বির আহমাদ উস্মানি তার ‘ফাতাহ আল মুলহিম সারাহ মুসলিম’ এর ৩য় খণ্ড ৪৪০ পাতাতে
৫) তাফসির রুহ আল মাআ’আনি, আল্লাম আলুসি, ভলিউম -৯, পৃষ্ঠা-১০:) 

এটা পুরা পুরী রদ  করা হল উপরে বর্নিত তাফসীর এ মাযহারী তে বর্নিত ইবনে আব্বাস (রা) এর বর্নিত হাদিস থেকে যে এই আয়াত নাযিলের পর স্ত্রী ও দাসী ব্যাতীত সকল মহিলা   হারাম হয়ে গেছে । 

আর একটা কথা বলেছেন আপনি মক্কা বিজয়ের সময় অনুমতি দিয়েছে । 
আপনি আপনার কথার সপক্ষে দলিল পেশ করুন যে নবী পাক মুতা করার অনুমতি দিয়েছে মক্কা বিজয়ের সময় । 

বরং আমি তাফসীর এ জালালাইন  থেকে বর্নানা করেছি যে বিদায় হজ্জের সময় নবী পাক (সা) মুতা করতে নিষেদ করেছেন।  তা উপরে দেখুন । 


আমি যে সকল কথা ও রেফারেন্স তুলে ধরেছি তার প্রত্যেকটি কিতাবের পাতা দিতে বাধ্য থাকলাম সকলের সুবিধার্থে। 

আপনি ও আপনার কপি পেষ্ট মাষ্টারি ছেরে দিয়ে কিতাবের পাতা পেশ করবেন আশা করছি । কারন শিয়া দের মিথ্যাচার থেকে পবিত্র তোরান পাক ও রেহাই পায় নাই । 

সোহেল রানা 

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন