বৃহস্পতিবার, ১২ নভেম্বর, ২০১৫

মুতা বিয়ে হারাম ( ইমাম বুখারী )

ইমাম বুখারী রহ. বলেন, 
আলী (রাঃ) নবী সাল্লাল্লাহু 
আলাইহি ওয়া-সাল্লাম থেকে 
এটা পরিস্কার করে বলে 
দিয়েছেন, 
"মুতা'আ বিবাহ প্রথা 
রহিত(নিষিদ্ধ) 
হয়ে গেছে।(সহীহ 
বুখারি অধ্যায়ঃ বিয়ে-শাদী, 
হাদিস নাম্বারঃ ৪৭৪৪) 

মুতা'আ বিবাহ কি? 
------------------ 
উত্তর ঃ যে কোন পুরুষ 
এবং মহিলা উভয়ে একমত 
হলে তাদের পরস্পরের এই 
সম্পর্ক তিন রাতের জন্য গণ্য 
হবে। এরপর 
তারা ইচ্ছা করলে এর 
চেয়ে বেশি সময় 
স্থায়ী করতে পারে অথবা বিচ্ছিন্ন 
হতে চাইলে বিচ্ছিন্ন 
হয়ে যেতে পারে।

মালিকানাভুক্ত দাসী বলতে জিহাদের ময়দানে বন্দীকৃত নারীদেরকে গনীমতের মাল হিসাবে ধরা হয়েছিল এবং তাদেরকে ঐ সময় সাময়িক বিবাহ করতো। যাকে বলা হতো মূতা বিবাহ। কিন্তু পরে উমর (রাদিঃ)-এর সময় থেকে রহিত করা হয় এবং বলা হয় এটি ঘৃনিত কাজ। 

জাবির বিন আবদুল্লাহ বর্ণনা করেছেনঃ আমরা চুক্তি করে (মুতা) বিয়ে করতাম কয়েক মুঠো আটার বিনিময়ে। ঐ সময় আল্লাহ্র রসুল আমাদের মাঝে জীবিত ছিলেন। এই ব্যবস্থা চলতে থাকে আবু বকরের (রাদিঃ) সময় পর্যন্ত। কিন্তু হারিস নামক একজন সাহাবীর (রাদিঃ) ঘটনা শোনার পর উমর (রাদিঃ) এই ধরণের বিবাহ নিষিদ্ধ করে দেন।***সহিহ্ মুসলিমঃ বই নম্বরঃ ৮ হাদিস নম্বরঃ ২৩৪৯।  


মূসাদ্দাদ ইবনে মুসারহাদ যূহরী (রহিঃ) থেকে বর্ণিত আছ যেঃ তিনি বলেছেন যেঃ

একদা আমি উমর ইবনে আবদুল আযীযের নিকট উপস্থিত ছিলাম। এই সময় আমরা মূ'তা বিবাহ নিয়ে আলোচনা করতে থাকাকালে জনৈক ব্যক্তি যার নাম ছিল রাবিয়া ইবনে সাবুরা- তিনি বলেছেনঃ আমি যখন আমার পিতার নিকট উপস্থিত ছিলাম, তখন তিনি বলেছেন, রাসুল (সাঃ) বিদায় হজ্জ্বের সময় এরুপ করতে (মূ'তা বিবাহ) নিষেধ করেছেন। 

***আবু দাউদঃ ২০৬৮; অনুচ্ছেদঃ মূ'তা বা ভোগ বিবাহ। 

মুহাম্মদ ইবনে ইয়াহইয়া -------- রাবীয়া ইবনে সাবূরা তার পিতা থেকে বর্ণনা করেছেন যেঃ

রাসুল (সাঃ) মূ'তা বিবাহ হারাম করেছেন। 

***আবু দাউদঃ ২০৬৯; অনুচ্ছেদঃ মূ'তা বা ভোগ বিবাহ। 



মুতাহ বিয়ে মানে হল , আপনি একটা মেয়েকে কিছু টাকা দিলেন , তার সাথে বিয়ে করলেন , এবং ৩ দিনের ও কম সময়ে চাইলেই ওকে তালাক দিবেন ।সহজ মানে হল , আপনি তাকে টাকা তথা দেনমোহর দিবেন এরপর সেক্স করবেন। এবং টাকা দেওয়ার সময় চুক্তি করে নিবেন যে কতক্ষনের বিয়ে এটা ।যেমন ধরুন আপনি মেয়েটার সাথে ২ ঘনটা মজা নিতে চান তাহলে ২ ঘনটার জন্য তার সাথে বিয়ের চুক্তি করবেন। এটা ইরানে রাষ্ট্রীয়ভাবেই বৈধ , এবং এতে কোন গুনাহ আছে বলে তারা মনে করে না। সাহাবীরা নিজেরা এই কাজ করেছেন বলে এটাকে তারা সাহাবিদের করা পবিত্র কাজ হিসেবে ভাবে ।

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন