বৃহস্পতিবার, ১২ নভেম্বর, ২০১৫

দেওবন্দিদের আল্লাহর কবর আছে

আল্লাহর কবর , 

দেওবন্দি ,সালাফি, আহলে হাদিস, লা মাঝহাবি সহ যত রকম বাতেল ফেরকা । আর এদের ওনেক ফতোয়া আছে ওলি আউলিয়াদের কবর ও সুন্নি দের যিয়ারতের করার কারনে । 

দেওবন্দি আহলে হাদিসদের ইমাম ও মুজাদ্দিদ নিহত শাহ ইসমাইল দেহলভি তার কিতাব সিরাতিম মুসতাকিম এ লিখেছেন যে (- তারা কবরে চুম্বন করবে , আগরবাতি মোমবাতি জালাবে, শামিয়ানা টাজ্ঞাবে তখনই এর উপর শির্ক প্রমান হয় (তাকবিয়াতুল ইমান) পৃ ১২।

উপরে বর্নিত কথা গুলো শাহ ইসমাইল দেহলভি তার কিতাব তাকবিয়াতুল ইমান এ নিজেই শির্কের বর্ননা দিয়েছে যে কবরে চুমা দেয়া , আগরবাতি জালান,মোমবাতি জালান, শামিয়ানা টাজ্ঞানো শিরক ।
শুধু শাহ ইসমাইল নয় , বরং ওনেক দেওবন্দি আলেম এমন ফতোয়া প্রদান করেছেন ও আজ পর্যন্ত আর্বাচীন জাতি এটা করেই যাচ্ছে । 

শির্কের্র পরিচিত দিয়ে লিখেছেন শাহ ইসমাইল দেহলভি ( যে বস্তু গুলো আল্লাহ নিজের জন্য নির্দিষ্ট করেছেন এবং আপন বান্দাদের দায়িত্বে তাদের বান্দা হবার চিহ্ন সাব্যস্ত করেছেন ,এই বস্তু গুলো অন্য কারো পক্ষে সাব্যস্ত করা ( তাকবিয়াতুল ইমান )পৃ ৮ ।

এখন কথা হচ্ছে  ওহাবি ,দেওবন্দি ,ছাগল ,পাগল ,বকরি ,ভেড়া , গরু ,মহিষ , মেরা যত গুলোই আছে তাদের কে বলছি যে ;- তোমরা কি আল্লাহর ও কোন কবর সাব্যস্ত করেছ ? 
যে আল্লাহ তায়ালা নিজের কবরের জন্য চুমা দেয়া ,চাদর দেয়া , মোমবাতি , আগরবাতি , লোবান জ্বালানো নিজের জন্য খাস করে নিয়েছেন ? 

আর আপন বান্দাদের উপর বান্দা হওয়ার চিহ্ন সাব্যস্ত করেছেন ? 

তোমাদের কথা মত এটাই প্রমান হয় যে আল্লাহ তায়ালার কোন কবর আছে, ও সেই কবর ব্যাতীত অন্য কোন কবরে এসবের কোন কিছুই করা যাবে না । 

তো আমাদের কে বল যে আমরা তো ওলি আউলিয়াদের কবরে এসব কিছু করে থাকি , আল্লাহর কবর কোথায় আমাদের তো তা জানা নাই। তবে বলে দাও আমাদের কে , যে কোথায় আল্লাহর কবর ? কোন তীর্থস্থানে গিয়ে তোমরা এসব করে থাক ? 
জবাব দিবে কি ? 

নিশ্চয় আল্লাহ চিরন্জিব , তার মিত্তু নাই।  তাই ওনার কোন কবর হওয়ার প্রশ্ন আসে না।  আর যদি ওনার কোন কবর হওয়ার প্রশ্ন ও না আসে , তাহলে ওলি আওলিয়াদের কবরে ফুল দেয়া, শামিয়ানা দেয়া , চাদর চড়ানো, আগরবাতি জ্বালান , মোমবাতি জ্বালান কি ভাবে শিরক হবে ? 

আমার তো মনে হয় তোমরা আল্লাহর কবর খুঁজে পেয়েছ , তাই তোমরা আল্লাহর কবর ব্যাতীত অন্য কবরে এসব কিছু করা শিরক(আল্লাহর সামিল) মনে কর। কেননা। তোমাদের শির্কের্র ফতোয়ার কারনে এটা প্রতিয়মান হয় যে এই সকল কিছুর হকদার এক মাত্র আল্লাহর কবর, অন্য কোন কবর নয় ।

তোমরা এবার নিজে নিজেরাই দেখ , যে ;- তোমরা আমাদের কে মুশরিক ফতোয়া প্রদান করে কত বড় গুস্তাকি করে বসে আছ , যে তোমাদের কথা মত আল্লাহ মারা গেছেন ও তার কবর ও আছে। 
তাই এই সকল কিছু আল্লাহর কবরের প্রাপ্য ।
এটা কি হতে পারে কোন দিন ? 

যদি হতে না পারে তা হলে তোমরা কি আজ ও মুসলমান হয়ে আছে ? না কি বেইমান ও মুরতাদ হয়ে গেছ ? একবার চিন্তা করে দেখ দেখি । 




কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন