ইহা দের কে রাফজী বলার কারন এই যে ইহারা সমস্ত সাহাবা গন কে অস্বীকার করেছে , হযরত আবু বক্কর ও ওমর (রা) এর খেলাফত অস্বীকার করেছে । কেহ কেহ বলেন যে হযরত জয়নুল আবেদীন (র) এর মুখে হযরত আবু বক্কর ও ওমর (রা) এর বিষয় সম্প্রীতিমুলক উক্তি প্রকাশ পাইল , তখন তাহারা হযরত জয়নুল আবেদীন (র)'র সংঙ্গ ও অনুগত্য পরিত্যাগ করল । তখন জয়নুল আবেদীন (রহ) বলেন ইহারা আমাকে ছাড়িয়া গেল ( গুনিয়াতুত তালেবীন ) বড় পীর আবেদন ক্বাদীর জিলানী (রহ) এর লেখা কিতাব, পৃষ্ঠা নং ৮৯ ।
এবার যদি একটু পিছনে আপনি চোখ তুলে দেখেন যে , কে এই জয়নুল আবেদীন (রহ) ?
জয়নুল আবেদীন (রহ) ইমাম হুসাইন (রা) এর পুত্র ও ছেলে ও হযরত আলী যার নানা , মা ফাতেমা যার নানী, সাইয়েদুল মুরসালিন যার পরনানা ।
আর তিনি ছিলাম নবী বংশের একমাত্র পুরুষ , যার কারনে আজ আমরা সাইয়েদ কে দেখতা পাচ্ছি । কারবালার হৃদয় বিদারক ঘটনার পর তিনিই একমাত্র পুরুষ জীবিত ছিলেন দুনিয়ার বুকে নবী বংশের ।
আর এই শিয়া কা দাবী করে তারা না কী আহলে বায়েতের অনুসারী. বরং তারা আহলে বায়েতের অনুসারী নয় বরং পরিত্যাগ কারী ।
শিয়া দের কে লক্ষ করলেই দেখতে পাবেন আপনি যে তারা ইমাম জয়নুল আবেদীন (রহ) এর নামর কোন বর্ননা বয়ান করে না বা তাদের কিতাবে ও নাই । ইমাম জাফর সাদেক (রহ) এর য সকল বর্ননা পাওয়া যায় তা সুধু তাদেরই কিতাবে ।
বরং আহলে সুন্নাহ এর আলেমদের কে হত্যা করা হয়েছে হযরত আলি কারামুল্লাহ এর শান ও মান বর্নানা করার জন্য । শিয়া বলে ফতোয়া দেয়া হয়েছে , বিস্বাস না হলা দেখুন সুনানুন নেসাই শরিফের লেখক ইমাম আবু আব্দির রেহমান (রহ) যিনি হযরত আলী ইবনে আবু তালিব (রা) এর শানে কিতাব রচনা করেন (কিতাবুল খালায়িস ফী ফাদলিল আলী ইবনে আবু তালিব ) আর এই কারনে দামেস্ক বাসীগন ওনাকে মারপিট করেন । আর সেই মার খেয়ে অসুস্থ অবস্থায ওনাকে মক্কা মুকার্রামায় নিয়ে যাওয়া হয় ও সেখানে ইহধাম ত্যাগ করেন সালা মারওয়া এর মধ্যেখানে ওনাকে দাফন করা হয় ।
ইমাম তীরমিযি ও অনুরুপ স্বীকার হয়েছেন ।
আমাদের আকাবেরগন দিল জীবন , আমাদের ইমামগন দিল জীবন শিয়া ফতোয়া খেয়ে , আর তোমরা আছো মজা করতেছ অপবাদ দিয়ে দিয়ে । ধংস হও তোমরা
শিয়াদের একচা শাখার নাম কাতিয়্যা ও আর একটুর নাম গালিয়া্যহ । এদের দাবী যে আলী (রা) মাঝে প্রভুত্ব ও নবুয়াতের অংশ বিদ্যমান (নাউযুবিল্লাহ )(গুনিয়াতুত তালেবীন (৮৯)
রাফজী দের সম্মিলিত আকিদা এই যে হযরত আলী (রা) এর সম্মান রাসুলুল্লাহ (সা) এর সকল সাহাবী দের থেকে আফজাল ও শ্রেষ্ট মনে করে । এমন কি তারা রাসুলে পাকের অবর্তমানে আলী (রা) কে একমাত্র খেলাফতের হকদার মান্য করে ।তারা রাসুলে পাকের সাহাবী আবু বক্কর ওমর (রা) এর খেলাফত কে অসন্তুষ্ঠি প্রকাশ করে । তাহাদের অভিমত রাসুলে পাকের পর হযরত আলী (রা) এর নিকট বায়েত গ্রহন না করার কারনে , ৬ জন সাহাবী ব্যতীত সকলে মুরতাদ হয়ে দিয়েছে । তারা ৬ জন হলেন (১) হযরত আলী (রা) (২) হযরত আম্মার ইবনে ইয়াসের(রা) £৩£ হযরত মোকাদাদ ইবনে আসয়াদ রা(৪) সালমান ফারসী (রা) ও অন্যান্য দুই জন । গুনিয়াতুত তালেবীন ৯০ নং পৃষ্টা ।
এই খানে আমি বলতে চাই যে যদি এই জন ব্যাতীত সবাই মুরতাদ হয়ে যায় , তা হলে বলি পরিবের আর কেউ মুসলিম ছিল না ?
নবী পাকের সম্মানিত চাচা গন ও কোরায়েশ গন হাসমী গন সবাই মুরতাদ ?
আসল কথা হচ্ছে তোমরা সবাই মুরতাদ ।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন