বৃহস্পতিবার, ১২ নভেম্বর, ২০১৫

ওহাবীদের ইতিহাস -২

প্রথম দিনের পর ;- বিষয় ওহাবি ও মতামত :-

আল আজহার বিশ্ববিদ্যালয় ;- আল আজহার বিশ্ববিদ্যালয়ে'র বিজ্ঞ আলেমদের মধ্য ইবনুল হাজ মোহাম্ম্দ আব্দুর রেহমান শাফেঈ (রহ)  মোহাম্ম্দ ইবনে আব্দুল ওহাব নজদি ও তার অনুসারীদেরকে আপাদ মস্তক ভ্রন্তি বলে আখ্যা দিয়েছেন।  তিনি বলেন ;- আমাদের যুগে ওহাবি নজদি ও তার মুর্খ অনুসারীরা অবশ্যই ফেতনা সৃষ্টির জন্য বের হয়েছে । তাছারা মর্যাদাশালী যেসব আলেমদের মাসআলার উপর এক্যমত ও আমাল করছিল সাধারন মানুষ তারা তা প্রত্যাখ্যান করতে অবিচল ।ওহাবিদের গোড়ার কথা বলে দেওয়া আমাদের জন্য ওয়াজীব হয়ে গেছে ।নব সৃষ্ট মতবাদের প্রতি আহব্বানকারী বিষয়গুলো স্পষ্ট করা আমাদের জন্য অপরিহার্য হয়ে গেছে । আমরা আল্লাহ তায়ালার তাওফিক্রমে তাদের খন্ডনে ও তাদের ভীতগুলো নড়বড়ে করে দেওয়াদর জন্য কিতাব লিখতে শুরু করেছি  ও সেটার নাম রেখেছি দ্বালালাতুল ওয়াহাবীয়্যিন ওয়া জ্বীহালাতুল মুতাওয়াহীবীন 
সুত্র ;- রিসালাতুস সুন্নিয়ীন পৃ ৩ ও নুরুল ইয়াক্বিন  পৃ ৩ 

সাইয়েদ আব্দুল হাদ্দাদ আলাভী আলাইহের রাহমা স্বীয় কিতাব (যালাউয যালাম ফী রদ্দে আলান নজদীয়ীল লাজী আদ্বালাল আওয়াম) 

যা ইবনে আব্দুল ওহাব নজদীর খন্ডনে বিরাটকার কিতাব । ওনেক হাদীস বর্নানা করেছেন তিনি । তিনি আরো বলেন এ অহংকারী ধোঁকার শিকার মোহাম্ম্দ ইবনে আব্দুল ওহাব তামীম গোত্রের লোক । 

সুতরাং এটা ও সম্ভব যে ঐ যুলখোয়ায় সারাহ তামীমির বংশধর  , যার সমন্ধ বুখারী শরিফে হযরত আবু সাঈদ খুদরী (রা) থেকে বর্নিত চিনি বলেন যে - নবী কারীম (সা) বলেছেন যে , তার গোত্রে এমন কিছু লোক জন্ম গ্রহন করবে , যারা কোরআন শরিফ পড়বে কিন্ত তা (কোরআনের জ্ঞান) কন্ঠ নালীর নিচে যাবে না , তারা তেমনি ভাবে ধর্ম থেকে বের হয়ে যায় যেমন কিনা তীর শিকর ভেদ করে বের হয়ে যায় । 

তারা মুসলমানদের কে হত্যা করবে ও প্রতিমা পুজারীদের কে ছেরে দিবে , আমি যদি তাদের কে পাই , তাহলে তাদের কে আদ জাতির মত হত্যা করতাম । 

বিঃদ্র ;- 
আপনি যদি সামান্য একটু চোখ ফিরিয়ে বর্তমান সময়ের যে কোন নজদি দেশ বা নজদিদের দেখেন তা হলে দেখবেন তারা আমেরিকা কে নিজের আব্বাজান ইউরোপ কে নিজের জন্মদাতা মা রাস্তা কে বড় ভাই ও চায়না কে দোস্ত করে নিয়েছে । এরাই মুসলমানদের উপর যুলম ও কাফেরদের প্রতি দরুদ পেশ করে থাকে । 

সাইয়েদ আলাভী (রহ) বর্নানা করেন যে , যখন আমি ইমামুল মুফাচ্ছেরিন আব্দুল্লাহ ইবনে আব্বাস (রা) এক যিয়ারতের জন্য বের হলাম ও তায়েফ পৌঁছলাম , তখন আল্লামা তাহের সম্বুল হানাফি ইবনে আল্লামা শায়েখ মোহাম্ম্দ সম্বুল শাফেঈ (রহ) সাথে সাক্ষাত ঘটে । তখন তিনি বলেন আমি দলটির খন্ডনে একটা কিতাব রচনা করেছি ও নাম দিয়েছি (ইন্তাসারুল আওলিয়া-ইল আবরার) 

আশা করছি যে , যে লোকের ভিতর নজদি বিদয়াত ঢুকেছে , তার সফলতার আশা করা যায় না , কারন  বুখারী শরিফে বলা হয়েছে যে তারা দ্বীন থেকে এমন ভাবে বের হয়ে যাবে যে তারা ফিরে আসবে না (আদ-দুরুসুস স্যানিয়া ) পৃ ৯০ 


আল্মা ইবনে যায়নী (রহ) যিনি মক্কা শরিফের মুফতি ছিলেন , তিনি প্লেন যে চার মাযহাবের ওনেক আলেম তার খন্ডনে ওনেক কিতাব লিখেছেন (আদ-দুরুসুস স্যানিয়া) পৃ ৪০ 


ওহাবিদের  প্রতি সাজা (- 
আবুল কালাম আজাদ তার কিতাব (আজাদ কি কাহানী উনকি আপনি জাবানি) কিতাবে লিখেছেন যে ;- ওই যুগে সরকার যাকে সন্দেহ করত , দ্রুত এসে তাকে গ্রেফতার করত , মামলা দায়ের করত , ফাঁসীর আদেশ দিত  অন্যথায় কমছে কম কালাপানি তরিপার (নির্বাসন) বা যাবত জীবন দন্ড দিত । ওনেক ওহাবি ব্যবসায়িদের কে নির্বাসনে পাঠিয়ে দিত। ফলে তাদের পুরা পরিবার ধংস হয়ে যেত । সুতরাং বাংলার ওহাবিদের ও যারা নেতা ছিল তাদের এমন অবস্থা হত এমনই , ও তারা অনেক বেশি ধনী ও ছিলেন( আযাদ কি কাহীনি ) পৃ ১০৩-১০৪

আশরাফ আলী থানবীর সাক্ষ্য ও দেয়া যেতে পারে যে তিনি তার এফাজাতুল ইয়োমিয়া কিতাবে ও এমনই করুন অবস্থা তুলে ধরেছিলেন সেই সময়ের ওহাবিদের ।

তাদের কে সাজা ;- ওহাবি মৌলভী মুহাম্ম্দ লতিফ মুহাম্ম্দ আনসারী এবং কাজী মুরাদ কে তাকল্বীদ , কবর যিয়ারতের উদ্দেশ্য বের হওয়া , নবী ও ওলিগনের ওসিলা চাওয়া , ইত্যাদিকে বিদয়াত ও হারাম বলার কারনে মদিনার শাষক (শরিফ) তাদের কে ৩৯ টা করে বেত্রাঘাত করার নির্দেশ দেন (আজাদ কি কাহানী) ১০৬ নং পৃ ।

ওহাবিদের মৌলভী নজীর হোসেন দেহলভি সমন্ধে আবুল কালাম আজাদ লিখেন যে ;- নজির হোসেন দেহলভি হজ্জে করার ইচ্ছা করলে তার মনে পড়ে যায় ওহাবি মৌলভিদের সাথে বিরুদ্ধবাদীদের আচরনের কথা ,। কারন তিনি অবগত ছিলেন যে ওহাবি আলেমদের সাথে কিরূপ আচরন করা  হয়েছিল । তাই সেখানে তাকিয়াবাজী ( নিজের আকিদা গোপন রেখে তালে তাল মিলিয়ে চলা) ছারা কোন ওহাবীই রেহাই পেত না ( আজাদ কি কাহানী ) পৃ ১১৯



উল্লেখ্য যে এই নজীর হোসেন দেহলভি তওবা করেছেন মক্কা হজ্জ করতে গিয়ে । কিন্তু কুত্তার লেজ কি আর সোজা হয়।  

দেওবন্দিদের মৌলভী ক্বারী খলিল আহমেদ তার কিতাব (সা-ইক্বাতুত তাকল্বীদ আলাল গাভ্যিয়ীল আনীদ) কিতাবে নজীর হোসেন দেহলভীর তওবা নামা তুলে ধরেছেন ।

উক্ত কিতাবের ২৮ নং পৃষ্টায় (নক্বলে ইশতেহারে মক্কা মুয়াজ্জামা ) শিরোনামে চুলে ধরেছেন যে -অতপর আমি সাইয়েদ নজীর হোসেন দেহলভি আহলে সুন্নাত ওয়া জামাতের অনুসারী । এর পরিপন্থি যত মতবাদ আছে যেমন শিয়া , রাফজী , খারেজী, ওহাবি এগুলো কে অপছন্দ করি ও আমি হানাফি ফেকাহ মোতাবেক ফতোয়া প্রদান করে থাকি  ও আমি নিজে ও হানাফি । ইতিমধ্যেই আমি যত পাপ করেছি তার সকল থেকে আমি তওবা করছি । 


এই বিজ্ঞপ্তি যখন মক্কা থেকে ভারতে আসল তখন তারা তা অস্বীকার করল ও বলে উঠল যে এই বিজ্ঞপ্তিতে কোন সীল  ও মোহর নাই।  যদি তারা সীল ও মোহর এনে দিতে পারে তো আমি ৫০ রুপি পাথেয় দিব । সুতরাং মৌলভী আব্দুর রেহমান দেহলভি মক্কা থেকে তওবা নামা মোহর অংকিত করে মুম্বাই এ প্রচার তরা হয় । 

প্রকৃত পক্ষে সেই সময় ওহাবিদের ও নজীর হোসেন দেহলবীর ওনেক বেজ্জত হয়েছিল সেই সময় ও তাদের তওবা করার তারিখ ছিল ২৬ জিলহজ্ব ১৩০০ হিজরী ।


কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন