রবিবার, ২ এপ্রিল, ২০১৭

prove about ahle sshiya

আস সালামু আলাইকুম। লম্বা ওয়েটিং জন্যে মাফ চাচ্ছি। চাকরি এবং ব্যাক্তিগত মেটারে ব্যস্ত ছিলাম। সরি আমার লেট এর কারনে সোহেল রানা মুখ থেকে বাজে কথা বেড় হয়েছে এটার জন্যে মাফ চাচ্ছি। প্রতেক মানুষ কাছে ধর্য থাকা উচিত আল্লাহ ধর্যকারীদের পছন্দ করেন
আমার পোষ্টের রিপ্লাই করার জন্যে হাজার শুকরিয়া
রিপ্লাই চেয়েছি রচনা নয়।
যেহেতু সেই রচনা লিখেছে আমাকে কিছু এক্সট্রা লিখতে হবে তা আমি দরকার মনে করি না
আমি ১ ২ ৩ ভাবে পোইন্ট আউট করতে চাই মুল বিষয়টা কে।
সোহেল ভাইয়ের পোস্ট এ বাইরব আমাকে আবার কিছু প্রশ্ন করেছে তা আমি উত্তরপ্রয়োজন মনে করি না
কারন মুল বিষয় টা হল
"রাসুলে পাক কি যাদুগ্রস্ত ছিল?"
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম
সোহেল ভাই face book id দেওবন্দিদের আসল রূপ মুল আলোচনা আগে একটক উদাহরন দিয়েছেন তা হল বিবেকের যুক্তি উদাহরণ উনি লম্বা উদাহরন দিয়েছেন স্কিন শটে পাবেন।
না বলে পারছিনা না জেনে না শুনে আমার বোন কে বা আমার মেয়ে অন্ধ ভাবে বিয়ে দিতে যাব কেন?
উনি সমাজ এবং ধর্মের লাইফ স্টাইল দিয়ে বুঝিয়েছেন যে মানুষের বিবেকের সীমা থাকতে হবে বা আছে
কিন্তু আল্লাহ এরশাদ করেন সুরা আনফাল ২২ নম্বর আয়াত
"নিঃসন্দেহে আল্লাহ তা’আলার নিকট সমস্ত প্রাণীর তুলনায় তারাই মূক ও বধির, যারা উপলদ্ধি করে না।"
এই সমাজ এবং ধর্ম কার? আল্লাহ
তাহলে উনি কিসের সাথে কি মিশাচ্ছে। বিবেকবোধ কি সমাজে বা ধর্মের কাছে দাম নেই?
সুরা আল হুজরাত আয়াত ১৩
হে মানব, আমি তোমাদেরকে এক পুরুষ ও এক নারী থেকে সৃষ্টি করেছি এবং তোমাদেরকে বিভিন্ন জাতি ও গোত্রে বিভক্ত করেছি, যাতে তোমরা পরস্পরে পরিচিতি হও। নিশ্চয় আল্লাহর কাছে সে-ই সর্বাধিক সম্ভ্রান্ত যে সর্বাধিক পরহেযগার। নিশ্চয় আল্লাহ সর্বজ্ঞ, সবকিছুর খবর রাখেন।
উপরের এক্টা আয়াত আল্লাহ এখানে জাতি সমাজ কর্ম ধর্ম এক সাথে করে কি বুঝিয়েছেন যে তাঁহার
কাছে সে-ই সর্বাধিক সম্ভ্রান্ত যে সর্বাধিক পরহেযগার। 
জীবন এ চলতে হলে বিবেক থাকা প্রয়োজন। সবার কাছে ব্রেন আছে বাট বিবেকবান মানুষ কয়টা পাবেন।
এবার আসল কথায় আসি
১)
সোহেল ভাই প্রথমে সুরা বাকারা ১০২ দিয়ে আয়াত দ্বারা আমার against যুক্তি শুরু করেন ইবনে কাথির তাফসির দিয়ে।
উনার কথায় আমি একমত নবি সুলাইমান আমলে সময় জাদু প্রচলন ছিল কাফের রা উনাকে নবি না মেনে যাদুগর বলতে লাগলো। এটা আল্লাহ বলেন নবী সুলাইমান জাদু করতেন না তা কুফুরি।
আল্লাহ নবি সাথে যাদুর কুফুরি সাথে সমর্পক নেয়
এবং ধারে কাছে নেয়। আমি কি মিথ্যা বলেছি
তাহলে যাদু আমাদের নবি রাসুলে পাকের (স) ধারে কাছে কিভাবে যেতে পারে??? যেখানে সুলাইমান যাদু
কুফরী কাজের সম্পাদন সুলাইমান (আঃ) করতেন না
তাহলে ইমামুল আনবিয়া গায়ে ঔ কুফরি কিভাবে স্পষ্ট করতে পারে
২)পরবর্তিতে কালা যাদুর বিশাল এক সম্ভার ইহুদিদের কাছে থেকে যায় । যার ফসল স্বরুপ লাবীদ ইবনে আসাম নামের একজন ইহুদি নবী সাঃ কে যাদু করেন সোহেল ভাই এর দাবি:-
দাবি মন্দ না কিন্তু সমস্যা আছে ইহুদির থেকে যাওয়া সুলাইমান আমলে জাদুর সম্ভারের বিদ্যা দিয়ে ইমামুল আনবিয়া কে জাদু করে। ঔ আমলে জাদুর কিতাব সুলাইমান(আ) কে কিছু করতে পারে না ইমামুল আনবিয়া কে কি ক্ষতি করবে? আমি এটা উত্তর আপনাদের থেকে আসা রাখি না
কারন এখনি প্রমান করে দিব যে আল্লাহ নেক বান্দা জাদু গ্রস্ত হতে পারে না এবং আয়েশা হাদিসটি মিথ্যা এবং বানোয়াট তা ইতিহাস প্রমান করে দিবে।
নবী মুহাম্মদ (সা) যাদুগ্রস্ত হওয়ার হাদিএ
হাদিস ৪৯০
ইবরাহীম ইব্ন মূসা (র)……………..আয়িশা (রা) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, নবী (সাঃ)-কে যাদু করা হয়েছিল। লায়স (র) বলেন, আমার নিকট হিশাম পত্র লিখেন, তাতে লেখা ছিল যে, তিনি তাঁর পিতার সূত্রে আয়িশা (রা) থেকে হাদীস শুনেছেন এবং তা ভাল করে মুখসত্ম করেছেন। আয়িমা (রা) বললেন, নবী (সাঃ)-কে যাদু করা হয়। এমনকি তার যাদুর খেয়াল মত হতো যে, তিনি স্ত্রীগণের বিষয়ে কোন কাজ করে ফেলেছেন অথচ তিনি তা করেন নি। মেষ পর্যমত্ম তিনি একদিন রোগ আরোগ্যের জন্য বারবার দু’আ করলেন, এরপর তিনি আমাকে বললেন, তুমি কি জান? আল্লাহ আমাকে জানিয়ে দিয়েছেন, যাতে আমার রোগের আরোগ্য নিহিত আছে? আমার নিকট দু’জন লোক আসল। তাদের একজন মাথার কাছে বসল আর অপর জন আমার পায়ের কাছে বসল। এরপর একজন অপরজনকে জিজ্ঞাসা করল এ ব্যক্তির রোগটা কি? জিজ্ঞাসিত লোকটি জবাব দিল, তাকে যাদু করা হয়েছে। প্রথম লোকটি বলল, তাকে যাদু কে করল? সে বলল, লবীদ ইব্ন আ‘সাম। প্রথম ব্যক্তি বলল, কিসের দ্বারা (যাদু করল)? দ্বিতীয় ব্যক্তি বলল, তাকে যাদু করা হয়েছে, চিরুনি, সুতার তাগা এবং খেজুরের খোসায়। প্রথম ব্যক্তি জিজ্ঞাসা করল, এগুলো কোথায় আছে? দ্বিতীয় ব্যক্তি জবাব দিল, যারওয়ান কূপে। তখন নবী (সাঃ) সেখানে গেলেন এবং ফিরে আসলেন, এরপর তিনি আয়িশা (রা)-কে বললেন, কূপের কাছে খেজুর গাছগুলো যেন এক একটা শয়তানের মুন্ড। তখন আমি (আয়িশা রা) জিজ্ঞাসা করলাম,আপনি কি সেই যাদু করা জিনিসগুলো বের করতে পেরেছেন? তিনি বলেন, না। তবে আল্লাহ আমাকে আরোগ্য দিয়েছেন। আমার আশংকা হয়েছিল এসব জিনিস বের করলে মানুষের মধ্যে ফাসাদ সৃষ্টি হতে পারে। এরপর সেই কূপটি বন্ধ করে দেয়া হল।
৩) উদাহরন সরুপ সোহেল ভাই তাফসীর ব্যবহার করেছেন আমিও তাহার বিরুদ্বে আমি তারই তাফসীর দিয়ে প্রমান করবো সত্যটা কি।
দয়া করে স্ক্রিনশট দেখে নিবেন।
আমি আপ্নাদের উপহাস করতে চাইনা, কারন অনেক কিছু শিখার আছে। কুরআনের ইতিহাস এবং রাসলের পাকের (স:) সিরাত ভিত্তিক করে আপনার দাবিতে এবং সুন্নি আকায়েদ এ অনেক সমস্যা আছে।
৪) সুরা ফালাক মক্কি পরিচিত এবং আয়াতের স্বন,সাক্ষ্য করে এটি মক্কার সূরার অনুরূপ।
"ইবনে কাছীর এবং ফি যিলালিল কুরআন তাফসীর "স্ক্রিনশট দেওয়া হয়েছে।"
৫) হিজরতের পুর্বে পবিত্র নবী (সাঃ) মক্কায় ছিলেন।
৬) মক্কাতে ইহুদিরা বাস করতো না মদিনাতে বাস করতো। তখন ইহুদিরা রাসুল পাক কে চিনতো না।
৭) সুরা ফালাক নাযিলের বহুত বছর পরে ইহুদির গোত্রের আউস এবং খাযরাজ গৌত্রের দাওয়াতে রাসুলে পাক মদিনাতে হিজরত করেন। এবং তারা মদিনাতে রাসুলের হাতে ইসলাম গ্রহন করে।
৮) রাসুলে পাকের প্রতি ইহুদির ঈষ্যা বেশিরভাগ ঘটেছে মদিনাতে মক্কাতে নয়। তাহলে হাদিসের শান সুরা ফালাক এর বিপরীত।
৯) বদর,উহুদ,খান্দাক,খাইবার এসব এতিহাসিক যুদ্ধ গুলি মদিনা হয়েছিল মক্কাতে নয়। 
১০) সুরা ফালাক নাযিলের সময় আয়েশা নবীর সাথে সংসার করে নাই তিনি কিভাবে ফালাকের সাপেক্ষে হাদিসের সাক্ষি দেন? কারম রাসলের সাথে বিবাহ জিবন মদিনা তে হিয়েছিল উনার বয়স তখন ৯ ছিল ।(স্ক্রিনশট)
১১)
যেখানে সুরা ফালাক মক্কাই অর্বনিত হয়েছে ইহুদিরাতো মদিনাতে ছিল!!
আয়েশা বলেছে হাদিসে যে লবীদ ইবন আসাম আল ইহুদি জাদু করেছে এবং ইহুদিরা তো মদিনাতে ছিল!!
কিন্তু আল্লাহ সুরা ফালাক মক্কাই নাযিল করেছেন!!
তাহলে মিথ্যাবাদী কে?
স্ক্রিনশট এ আমি কালানুক্রমিকভাবে সুরার নাযিলের লিষ্ট দিয়েছি পরে আপনি যেনো বলতে না পারেন যে
সুরা ফালাক মক্কা এবং মদিনার মধ্যে নাযিল হয়েছে!!!
তাহলে 
আপনাদের "যাদুর" হাদিস বিপরীতে কুরআন এর ইতিহাস এবং রাসুলের সিরাত "জাল এবং বানোয়াট প্রমানিত করে।( দলিল স্ক্রিনশট)
আবার বলছি,
যদি পবিত্র নবী (সাঃ), খুব সহজে, মায়াবীর জাদুবিদ্যা দ্বারা ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছিল তাই অসুস্থ হন এবং অনেক সময় বিছানায় কাটাতেন তাহলে এটা খুব সহজে তাঁর মহান লক্ষ্যে পৌঁছানো বন্ধ করে দেয়। নিশ্চই দূরদর্শিতা তাঁকে এই ধরনের একটি মহান এবং গুরুত্বপূর্ণ মিশনের জন্য পাঠিয়েছিলেন, মায়াবী এর জাদুবিদ্যা বিরুদ্ধে আল্লাহ ভবিষ্যদ্বাণী সুরক্ষিত রেখেছেন।
আবার বলছি,
যদি মহানবী (সাঃ) এর শরীরের উপর যাদুর প্রভাব ছিল় তাহলে মানুষ কল্পনা করা হতে পারে যে জাদুবিদ্যা রাসুলের পাকের পবিত্র আত্মাকে প্রভাবিত করতে পারে, এবং তার চিন্তা মায়াবী এর জাদুবিদ্যা সাপেক্ষে হতে পারে, তাই, এই ধারণা পবিত্র নবী (সাঃ) প্রতি মুসলিমের আস্থা নীতিকে ধ্বংস করে।
কারন
সুরা আল ফুরকান আয়াত ৭
তারা বলে, এ কেমন রসূল যে, খাদ্য আহার করে এবং হাটে-বাজারে চলাফেরা করে? তাঁর কাছে কেন কোন ফেরেশতা নাযিল করা হল না যে, তাঁর সাথে সতর্ককারী হয়ে থাকত?
সুরা আল ফুরকান আয়াত ৮
অথবা তিনি ধন-ভান্ডার প্রাপ্ত হলেন না কেন, অথবা তাঁর একটি বাগান হল না কেন, যা থেকে তিনি আহার করতেন? জালেমরা বলে, তোমরা তো একজন জাদুগ্রস্ত ব্যক্তিরই অনুসরণ করছ।
সুরা আল ফুরকান আয়াত ৯
দেখুন, তারা আপনার কেমন দৃষ্টান্ত বর্ণনা করে! অতএব তারা পথভ্রষ্ট হয়েছে, এখন তারা পথ পেতে পারেনা।
উপরের ৩টি কুরআনের আয়াত দারা রাব্বুল আলামিন প্রমান কররেন যে নবি জাদুগ্রস্ত হতে পারে না এবং যে এ কথা টা বলবে সেই হবে পথ হারাবে।
এতে আর ও প্রমান হয়
আপনাদের জাল হাদিস সুরা ফুরকানের আল্লাহ বাণীর বিপরিত।
সৎ নারীরর সন্তান বিধায় আমি এতো দিন ছুপ ছিলাম।

মঙ্গলবার, ১৪ মার্চ, ২০১৭

হাজির নাজির নিয়ে abdus salam দেওবন্দির জবাব

দেওবন্দিদের মাঝে বেহ্যায়া ও বে-ইমান যদি কিছু লোক থেকে থাকে তবে সে abdus salam . যার কাজ ওলামায় আহলে সুন্নাত এর নামে অপপ্রচার করা ও অভিযোগ করা ।



এত সুন্দর করে মিথ্যা প্রচার করে যে সত্য ও তার কাছে থেকে বার বার ফিরে গেছে ।



এযাবত পর্যন্ত আমি সোহেল রানা তার প্রায় শত পোষ্টের জবাব দিয়েছি ৪ বছরে । আজ পর্যন্ত তার হিম্মত হয় নাই আমার একটা পোষ্টের লিখিত জবাব দিয়ে নিজেকে হালালের সন্তান প্রমান করতে ।



বরং এমন কাজ তারাই করে যাদের জন্ম হারাম এর উপর ।

এমন মানুষের থেকে আল্লাহর পানাহ চেয়ে তার পোষ্টের লিখিত জবাব শুরু করছি ।



সে তার ৩ টা প্রশ্ন করেছিল নাকি সুফিয়ান আল ক্বাদেরী সাহেব কে । তিনি ওহাবী কাফের বলে তার জবাব নাকি প্রত্যাক্ষান করেছেন । তার পরে বলেছে সুফিয়ান আল ক্বাদেরী সাহেব তো দুর্র কথা আহমের রেজা খান ফাজেল এ বেরেলভী (রহ) ও নাকি তর জবাব দিতে পারবে না ।



আমি কোন আলেম নই , নই কোন টিভি বক্তা । তবে সেই সকল হকপন্থি আলেম ওলামাদের ছাত্র ও ওলীর দরবারের কুত্তা সোহেল রানা জবাব গুলো দিচ্ছে ।

পারলে একজন আল্লাহর ওলীর দরবারের কুত্তার জবাব দিয়ে নিজেকে হালালের সন্তান প্রমান করিও ।



আমি নিজেকে ওলীর দরবারের কুত্তা মনে করার কারনে যদি মনে করেন ভুল বলেছি তবে আশরাফ আলি থানভি সাহেব কিন্ত নিজেকে কুত্তা ও শুয়ার থেকে ও খারাপ মনে করেছেন।

যেমন তিনি লিখেছেন ;-ইফাজাতে ইতমিয়া :- জিল্দ ৪ পৃষ্টা ৪৯ এ :-

মেরে আন্ধার কিছি ভি বাথ ,কিছি চিজ ,কিছি হালাদ কি লিয়ে কই গরুর নেহি। বল্কি মে তো খুদকো কুত্তা ওর খিন্জির ছে ভি বাত্তার সামাজ্তাহু :-



বাংলা:- আমার মাঝে কোনো কথা বা কোনো জিনিস বা কোন অবস্থার জন্য গর্ব নাই। আমি তো নিজেকে কুত্তা আর শুয়ার এর চেয়ে ও খারাপ মনে করি।



আমি নিজেরে কুত্তা বলার কারনে যদি খারাপ কিছু বলে থাকি কবে কি ফতোয়া মারা হবে আমার নামে তার থেকে যেন একটা ফতোয়া বেশি মারা হয় আশরাফ আলি থানভি সাহেব কে । কারন তিনি কু্ত্তা ও শুয়ার থেকে ও নিজেকে নিকৃষ্ট মনে করেছেন ।



এবার তার প্রশ্ন ;-



(ক) রাসুলুল্লাহ সাল্লেল্লাহু আলাইহে ওয়া সাল্লাম হাজীর ও নাযির হলে মেরাজের কি প্রয়োজন ছিল ? হাজির নাযির হলে সেখানেও তিনি যেহেতু উপস্থিত ।



জবাব ;- এখানে রাসুলু্ল্লাহ সাল্লেল্লাহু আলাইহে ওয়া সাল্লাম এর হাজীর ও নাজির হওয়ার বিষয় অস্বীকর করে সন্দেহ পোষন করা সহ প্রশ্ন উপস্থিত করেছেন ।



পবিত্র কোরানে আল্লাহ তায়ালা বলেছেন ;-

পরম পবিত্র ও মহিমাময় সত্তা তিনি, যিনি স্বীয় বান্দাকে রাতে ভ্রমণ করিয়েছিলেন মসজিদে হারাম থেকে মসজিদে আকসা পর্যন্ত। যার চারদিকে আমি পর্যাপ্ত বরকত দান করেছি। যাতে আমি তাকে কুদরতের কিছু নিদর্শন দেখিয়ে দিই। নিশ্চয়ই তিনি পরম শ্রবণকারী ও দর্শনশীল। ' (সুরা বনি ইসরাইল-১)



উক্ত আয়াত থেকে এটা স্পষ্ট যে নবী (সা) মিরাজে ভ্রমন করেছিলেন , আল্লাহর সাথে সাক্ষাত করেছেন ও আমাদের জন্য কহমত স্বরুপ নামাজ এনেছেন ।



কিন্তু আপনার মুস প্রশ্ন হল নবী সাঃ হাজীর ও নাজির নয় সর্বত্র ।



দলিল (১)

يا ايها النبى انا ارسلنك شاهدا ومبشرا ونذيرا وداعيا الى الله باذنه وسراجا منيرا.

অনুবাদ: ‘হে গায়েবের সংবাদদাতা নবী! নিঃসন্দেহে আমি আপনাকে! প্রেরণ করেছি হাজির নাজির (উপস্থিত’ ‘পর্যবেণকারী) করে, সুসংবাদদাতা এবং সতর্ককারীরূপে এবং আল্লাহর প্রতি তাঁর নির্দেশে আহ্বানকারী আর আলোকোজ্জ্বলকারী সূর্যরূপে।’ (সূরায়ে আহযাব- আয়াত- ৪৫)

উক্ত আয়াতে কারীমায় আল্লাহ তা’য়ালা তাঁর হাবীব মুহাম্মাদুর রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর পাঁচটি সুন্দর গুণাবলী উল্লেখ করেছেন। যথা-

(১) شاهد (শাহিদ) তথা- হাজির ও নাজির এবং সাক্ষী।

(২) مبشر (মুবাশ্বির) মু’মিনগণকে বেহেশতের সুসংবাদদাতা।

(৩) نذير (নাযীর) কাফেরদেরকে দোযখের ভীতিপ্রদর্শনকারী।

(৪) داعيا الى الله (দা’য়িয়ান ইলাল্লাহ) আল্লাহপাকের অনুমতিক্রমে তাঁর দিকে আহ্বানকারী।

(৫) سراجا منيرا (সিরাজাম মুনীরা) হেদায়তের উজ্জ্বল সূর্যরূপে।

অত্র আয়াতে রাসূলেপাক সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর পাঁচটি গুণাবলীর মধ্যে একটি অন্যতম গুণ হল শাহিদ। এর বিস্তারিত বিশ্লেষণ নিম্নে প্রদত্ত হল।

شاهد শব্দের ব্যাখ্যা



কোরআন মজিদের শব্দব্যাখ্যা লেখক সর্বজনমান্য বুজুর্গ আল্লামা ইস্পাহানী রাদিয়াল্লাহু আনহু তদীয় ‘আল মুফরাদাত ফি গারিবীল কোরআন’ নামক কিতাবের ২৬৭ পৃষ্ঠায় شاهد (শাহিদ) শব্দের অর্থ লিখেছেন নিম্নোক্তভাবে-

شهد : الشهود والشهادة الحضور مع المشاهدة اما با لبصر او باالبصيرة

অর্থাৎ شهود (শুহুদ) ও شهادة (শাহাদাত) এর অর্থ হচ্ছে ঘটনাস্থলে প্রত্যভাবে দেখার সাথে হাজির বা উপস্থিত থাকা। এ দেখা চর্মচু দ্বারাও হতে পারে বা অন্তর চোখ দ্বারাও হতে পারে।

অনুরূপভাবে হানাফী মাযহাবের নির্ভরযোগ্য ফেকাহগ্রন্থ ‘বাহরুর রায়েক’ নামক কিতাবের ৭ম খণ্ড ৫৫ পৃষ্ঠায় উল্লেখ করা হয়েছে-

ان الشهادة اسم من المشاهدة وهى الاطلاع على الشئ عيانا فشترط فى الاداء ما ينبئ عن المشاهدة-

অর্থাৎ ‘শাহাদত’ শব্দটি ‘মুশাহাদাহ’ হতে গঠিত। আর মুশাহাদা হল, কোন বস্তুকে চাুস দেখে এ বিষয়ে অবগতি অর্জন করা । এজন্য সাক্ষ্য প্রদানে স্বচে দর্শন করা যুক্ত করা হয়েছে।

আলমনজিদ নামক অভিধানের ৪০৭ পৃষ্ঠায় উল্লেখ রয়েছে-

والشهيد الذى لايغيب شئ من علمه الشاهد الذى يخبر بما شهده

অর্থাৎ الشهيد (শাহীদ) ঐ ব্যক্তিকে বলা হয় যার ইলিম বা জ্ঞান থেকে কোন কিছুই গায়েব বা অজানা থাকে না এবং الشاهد (শাহিদ) ঐ ব্যক্তিকে বলা হয় যিনি চাুস দেখে সংবাদ প্রদান করে থাকেন।

অনুরূপ বাংলা একাডেমী কর্তৃক সম্পাদিত ও প্রকাশিত ‘আরবি-বাংলা’ অভিধান ১৪৯৭ পৃষ্ঠায় উল্লেখ রয়েছে- شاهد (শাহিদ) পরিদর্শন করিয়াছে। يشاهد দেখিয়াছে।

এভাবে ‘লুগাতে সূরাহ’ ১৩৫ পৃষ্ঠা, মিসবাহুল মুনীর ১ম জিলদের ১৪০ পৃষ্ঠা। আল কামুসূল মুহিত, ৩৭২ পৃষ্ঠা, মিসবাহুল লোগাত, ৪৫০ পৃষ্ঠা, ফিরোজুল লুগাত ৬৭ পৃষ্ঠা, মিফতাহুল লুগাত ৩৯৮ পৃষ্ঠা ও লুগাতে কেশওয়ারী ৪১০ পৃষ্ঠা, ‘শাহীদ’ শব্দের অর্থ হাজির ও নাজির লেখা রয়েছে।





আমি বেশি দলিল দিতে চাচ্ছি না এখানে , কারন পোষ্ট অনের বড় হয়ে যাবে ।



এখানে থেকে এটা সুস্পষ্ট যে নবী সাল্লেল্লাহ আলাইহে ওয়া সাল্লাম হাজীর ও নাজির । এই বিষয় সন্দেহ করা মানে কোরানের প্রতি সন্দেহ করা ।



আর যারা কোরানের প্রতি সন্দেহ প্রকাশ করে তাদের জন্মের নির্নয় করার ক্ষমতা আমার মাঝে নাই ।



সে বলেছে যদি হাজীর ও নাজির হয় তবে মিরাজের কি দরকার ?



উক্ত প্রশ্ন করার কারনে যদি তাদের কে আমি এখন পাল্টা প্রশান করি যে ;-

আল্লাহ যদি হাজির ও নাজির হয় তবে সাবানের ১৫ তম রাতে আল্লাহ সুবাহুন তায়ালা দুনিয়ার আসমানে কেন নেমে আসেন । যেমন ;- ইবনে মাজাহ শরিফে হযরত আলী (রাঃ) হতে বর্ণিত, রাসুলুল্লাহ (সাঃ) ইরশাদ করেন, শাবানের পনের তারিখ রাতে তোমরা বেশি বেশি করে ইবাদত কর এবং দিনের বেলায় রোজা রাখ। এ রাতে সন্ধ্যার পর থেকেই আল্লাহ তায়ালা দুনিয়ার আকাশে অবতরণ করে ঘোষণা করতে থাকেন, কে আছ আমার কাছে ক্ষমা প্রার্থনাকারী! আমি ক্ষমা করে দেব। কে আছ রিজিক প্রার্থনাকারী! আমি রিজিক দান করব। আছ কি কোন বিপদগ্রস্থ ব্যক্তি! আমি বিপদ থেকে রক্ষা করব। আছ কি অমুক ব্যক্তি, আছ কি অমুক ব্যক্তি! এভাবে ফজর পর্যন্ত ঘোষণা করেন।’



এমন ঠিক একই ররম হাদীস মা আয়েশা থেকেও বর্নিত আছে ।



আল্লাহ তায়ালা মাফ করুন আমি প্রশ্ন করতে চাচ্ছি এখন যে আল্লাহ তায়ালা যদি সর্বত্র হাজীর ও নাজির হল তবে যখন তিনি দুনিয়ার আসমানে অবতরন করেন বা ৪র্থ আসমানে নেমে আসেন তখন কি আল্লাহর আরশ খালি থাকে ?



আল্লাহ সুবহানু তায়ালা কোরানে বলেছেন ;-- ﻗﻮﻟﻪ ﺗﻌﺎﻟﻰ } ﻭَﻧَﺤﻦُ ﺃَﻗﺮَﺏُ ﺇِﻟَﻴﻪِ ﻣِﻦ ﺣَﺒﻞِ ﺍﻟﻮَﺭِﻳﺪِ { [ ﻕ 16 ] আর আমি বান্দার গলদেশের শিরার চেয়েও বেশি নিকটবর্তী। {সূরা কাফ-১৬}



যদি আল্লাহ সুবহানু তায়ালা বান্দার গলগন্ডের ও কাছে হয়ে থাকেন তবে কেন তিনি দুনিয়ার আসমানে শাবানের ১৫ তারিখে নেমে আসেন ?



শাবানের রাতে বলা হয়েছে বেশি বেশি দোয়া করতে ।

যাতে আল্লাহ কবুল করেন ।

অপরদিকে আল্লাহ তায়ালা বলেন

- ﻗﻮﻟﻪ ﺗﻌﺎﻟﻰ } ﻭَﺇِﺫَﺍ ﺳَﺄَﻟَﻚَ ﻋِﺒَﺎﺩِﻱ ﻋَﻨِّﻲ ﻓَﺈِﻧِّﻲ ﻗَﺮِﻳﺐٌ ﺃُﺟِﻴﺐُ ﺩَﻋْﻮَﺓَ ﺍﻟﺪَّﺍﻉِ ﺇِﺫَﺍ ﺩَﻋَﺎﻥِ } Page: 11 আর আমার বান্দারা যখন তোমার কাছে জিজ্ঞেস করে আমার ব্যাপারে বস্তুতঃ আমি রয়েছি সন্নিকটে। যারা প্রার্থনা করে, তাদের প্রার্থনা কবুল করে নেই, যখন আমার কাছে প্রার্থনা করে। {সূরা বাকারা-১৮৬





তবে দোয়া কবুলের জন্য শবে ক্বদরের রাত লাগবে কেন ?

আর কেনই বা আল্লাহ কে চতুর্থ আশমানে আসতে হবে ?





বেশি প্রশ্ন করতে চাচ্ছি না ।



আল্লাহ সুবাহানু তায়ালা কোন নবী আঃ কে এত বেশি মর্যাদা দান করেন নাই , যতটা আমাদের নবী হযরত মুহাম্মাদ (সা) কে দান করেছেন ।



যেমন আগের যুগে আল্লাহ সুবহানু তায়ালা নবী প্রেরন করতেন কোন নির্দিষ্ট দেশ ও কওমের জন্য ।



আর আমাদের নবী (সা) এর বিষয়ে আল্লাহ বলেন ;-

হে নবী) আমি তো আপনাকে সমগ্র মানবজাতিরজন্য সু-সংবাদদাতা ও সতর্ককারীরূপে প্রেরণকরেছি। (সাবা, ৩৪ : ২৮)



এমন কি কোরানে সুরা নিসা'তে আল্লাহ আরো বলেন ;-কেউ রাসূলের আনুগত্য করলে সে তো আল্লাহরই অনুগত্য করল (৪;৮০)



কোন নবী কে আল্লাহ তায়ালা এতটা সম্মান দান করেন নাই ।

যতটা আমাদের নবী (সা) কে করেছেন ।



ঠিক তেমনি তিনি মিরাজ এ ভ্রমন করিয়েছেন এটা শুধু আল্লাহ তায়ালা নবীর সম্মান বৃদ্ধির জন্যই ।



হাদিসে এসেছে



২৩১২। আবূ যার (রাঃ) হতে বর্ণিত আছে, তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ আমি (অদৃশ্য জগতের) যা দেখি তোমরা তা দেখ না, আর আমি যা শুনতে পাই তোমরা তা শুনতে পাও না। আসমান তো চড়চড় শব্দ করছে, আর সে এই শব্দ করার যোগ্য। তাতে এমন চার আঙ্গুল পরিমাণ জায়গাও নেই যেখানে কোন ফিরিশতা আল্লাহ্ তা'আলার জন্যে অবনত মস্তকে সাজদায় পড়ে না আছে। আল্লাহর শপথ! আমি যা জানি তোমরা যদি তা জানতে তাহলে তোমরা খুব কমই হাসতে, বেশি কাঁদতে এবং বিছানায় স্ত্রীদের উপভোগ করতে না, বাড়ী-ঘর ছেড়ে পথে-প্রান্তরে বেরিয়ে পড়তে, আল্লাহ তা'আলার সামনে কাকুতি-মিনতি করতে। বর্ণনাকারী বলেন, আমার মন চায় আমি যদি একটি বৃক্ষ হতাম আর তা কেটে ফেলা হতো। "আমার মন চায়....." অংশ ব্যতীত হাদীসটি হাসান, সুনান আত তিরমিজি ২৩১২ নং হাদীস ।





এখানে এটা স্পষ্ট যে নবী (সা) এর কাছে কোন কিছুই গোপন ছিল না । তিনি সব কিছুই দেখতেন ।



আল্লাহ চাইলে মিরাজ এর ভ্রমন না করিয়ে ও তিনি আমাদের জন্য নামাযের হুকুম দিতে পারতেন ও কারো সাধ্য ছিল না তা আটকে দিতে ।



কিন্ত মিরাজের ঘটনার পরে অনেক ঘটনা ঘটেছে ।



যেমন কিছু কাফের সম্প্রদায় নবী সাঃ কে নিয়ে বিদ্রুপ করেছে , কিন্তু যখন মসজিদুল আকসা , বাইতুল মুকাদ্দাস এর হুবহু বর্ননা দিলেন তখন অনেক কাফের আশ্চর্য হয়ে গেল ।



এক রাতে এত কিছুর বর্ননা শুনে অনেক কমজোর ইমানের নওমুসলিম মুরতাদ হয়ে গেল, আবার পাক্কা ইমানের আবু বক্কর নবীর নিজ মুখে না শুনেও সেই ঘটনা বিস্বাস করার কারনে আবু বক্কর থেকে সিদ্দিক এ পরিনত হল ।



এটা ছিল শুধু মাত্র আল্লাহর নবী সাঃ এর সম্মান বৃ্দ্ধির জন্যই । তা বেতীত এখানে কোন তাৎপর্য নাই ।



আল্লাহ তায়ালা হযরত ইব্রাহীম (আ) কে খলিলুল্লাহ বলেছেন , মুসা আঃ কে কালিমুল্লাহ বলেছেন ।

সকল নবীর একটা বিশেষ সম্মান দান করেছেন ।



কিন্ত আমার নবী (সা) কে তিনি এমন সম্মান দান করেছেন যা তিনি কোন নবী কে দান করেন নাই ।

যা ছিল দিদার এ ইলাহী ।



আল্লাহ যখন আমাদের নবী সাঃ দেন, যখন কথা বলেন, তিনি ভালবাসাময় শব্দ ব্যবহার করেন। ইল্কাব- যা লাকাব থেকে এসেছে, “কায়া আয়্যুহাল মুদ্দাসসির”, “ইয়া আয়্যুহাল মুযযাম্মিল”, “ইয়া আয়্যুহান্নাবি”, “ইয়া আয়্যুহাররাসুল”। অথচ কুরআনে কি পাওয়া যায়? “ইয়া জাকারিয়া”, “ইয়া ইয়াহহিয়া”, “ইয়া মুসা ইন্নানি আলাল্লাহ”। “ইয়া দাউদু ইন্নাকা জাআলনাকা খালিফাতু ফিল আরদ”, “ইয়া আদাম উস্কুন আন্তা ওয়া জাওজুকা জান্নাহ”, “ইয়া ঈসা ইন্নি মুতাওাফফিকা ওয়া রাফিউকা ইলাইয়া” এইসব নবীর ক্ষেত্রেই আমরা পাই, ইয়া এবং তাদের নাম, কিন্তু আমরা কুরআনে ইয়া মুহাম্মাদ পাইনা। এটা সেখানে নেই। “ইয়া আয়্যুহাল মুদ্দাসসির”, “ইয়া আয়্যুহাল মুযযাম্মিল”, “ইয়া আয়্যুহাররাসুল”, “ইয়া আয়্যুহান্নাবি”, । সুবহানআল্লাহ।

কতইনা মর্যাদা দেয়া হয়েছে নবী (সা:) কে। আল্লাহ তাকে তার নাম নয়, বরং উপাধি ধরে উল্লেখ করেছেন। তাকে সম্মানজনক উপাধি দিয়েছেন। এরপরে তিনি বলেছেন “ওয়া কাতাবা ফিল আও্বালিন আখাজা আল্লালাম্বিয়া আলাইহিম” (সা:)। তিনি প্রথমে পূর্বের ধর্মগ্রন্থে তার উল্লেখ করেছেন, অর্থাৎ তিনি পূর্বের লোকদেরকেও সতর্ক করেছেন যে, শেষ নবী আসছেন। এবং তিনি সকল নবী রসূলের কাছ থেকে স্বীকারোক্তি নিয়েছেন, যে তারা অবশ্যই মুহাম্মাদ (সা:) কে বিশ্বাস করবে। এবং “ওয়া উমামাহুম” আর তাদের জাতির থেকেও, যখন তিনি আসবেন, অথবা যখন তারা তার সংস্পর্শে আসবে তারাও বিশ্বাস করবে।

আযান, সালাত, কালিমা, খুৎবা, মানব ইতিহাস, আল্লাহ এবং সকল ফেরেশতা তার নামের পর সালাম পাঠ করে, এমনকি সালাতের ভিতরে পাঠ করা হয় “আল্লাহুম্মা সাল্লিয়ালা মুহাম্মাদ ওয়ালা আলি মুহাম্মাদ”।
চিন্তা করুন কি পরিমাণে করা হয়, কতোটা ভক্তির সাথে করা হয় তা নাহয় বাদ দিলাম
আল্লাহ উচ্চ মর্যাদা দিয়েছেন, ওয়ারাফা’না লাকা যিকরাক একবার দেখুন আল্লাহ তার উল্লেখকে কুরানের ভিতরেও কতোটা মর্যাদা দিয়েছেন, কুরানের ভিতরেও। সুনহাল্লাহুতা’লা।



তো আশা করছি এই সকল কথা থেকে মিরাজের বাস্তবতা বুঝতে সক্ষম হবেন ।





এখন কথা হল যারা নবী সাঃ কে হাজির নাজির মনে করে না তাদের আলেমরা যে হাজীর ও নাজির হতে পারে সেই বিস্বাস টা কিন্ত তারা ঠিকই রাখে ।





দেওবন্দীদের পীর ও গুরু এবং পীরানে পীর হাজী এমদাদুল্লাহ মুহাজেরি মক্কী (রহঃ) থেকে মীলাদে নবীজী হাজির নাজির দলীল পেশ করছি।

তিনি তার গ্রন্থ ” শামায়েলে এমদাদীয়া” এর মধ্যে বলেন,

” মিলাদ শরীফে কিয়াম করার সময় হুজুর (সলল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) এখন ভূমিষ্ট হচ্ছেন এ ধরনের বিশ্বাস না রাখা উচিৎ।আর যদি মাহফিলে তাশরীফ আনেন এমন বিশ্বাস রাখে, তাহলে অসুবিধা নেই, কারণ এ নশ্বর জগতে কাল ও স্থানের সাথে সম্পৃক্ত।আর পরকাল স্থান – কালের সম্পর্ক থেকে মুক্ত।



শামায়েলে এমদাদীয়াঃ১০৩পৃঃ,মাকতাবাতে থানবী, দেওবন্দ।





মুহাজেরি মক্কী আরো বলেন

“এ আক্বিদা ও বিশ্বাস রাখা যে, মিলাদ মাহফিলে হুজুর (সলল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) উপস্থিত হন, এটা কুফর বা শিরক নয়,বরং এমন বলা সীমা লঙ্গন ছাড়া কিছুই নয়।কেননা এ বিষয়টি যুক্তিভিত্তিক ও শরীয়তের দলীলের আলোকে সম্ভব।এমনকি অনেকক্ষেত্রে বাস্তবে তা ঘটেও থাকে।”

কুল্লীয়াতে এমদাদীয়াঃ১০৩ পৃঃ, মাকতুবাতে থানবী,দেওবন্দ, ফায়সালা এ হাফতে মাসায়েল এ হাজী ইমদাদুল্লাহ সাহেব নিজ হতে মিলাদে উপস্থিত হওয়ার বিষয়ে আরো বলেন যে আহলে তাসাউফ থেকে এমন ভুরি ভুরি প্রমান আছে ।




আল্লাহর নবী সাঃ কে হাজীর নাজির মানতে কষ্ট হয় কিন্ত মজার কথা হল যে তাদের দেওবন্দের আলেমরা ও হাজীর ও নাজির হতে পারে এমন কি মানুষ কে সহায়তা ও করতে পারে , এমন আকিদা কিন্তু তারা গর্হ করে আবার প্রচার করেন ।



যেমন :-আশরাফ আলী থান্বির কিতাব (বেহেস্তি যেবার) এর ১ খ এর ৯ নং পৃষ্টায় লিখেছেন ( কারামত ) এ থানবী তে ৭ নং কারামত এ যে ;-



তাহার জৈনিক খলিফা বলেন যে একবার আলিগরের শিল্প-প্রদর্শনীতে দোকান খুলিয়াচিলাম। তো মাগরিবের পর কোনো এক দোকানে আগুন লেগে যায়। আর আমি আমার দোকানের সমস্ত মালামাল দোকানের ভিতর থেকে বাহির করছিলাম কিন্তু আমার আকার পক্ষে সম্ভব হচ্ছিল না। হটাথ দেখি সেখানে হাকীমুল উম্মত আশরাফ আলী থানবী। তিনি আমাকে সাহায্য করছেন দোকানের মালামাল বাহির করতে। তাই আমার বিশেষ কিছু ক্ষতি হয় নাই। পরে খোজ নিয়ে দেখি হজরত তখন থানা ভবনেই অবস্থান করছিলেন। part 1 page 9



এখানে কিন্তু শিরিক হয় নাই হাজীর ও

নাজির হওয়ার কারনে শিকিক হয় নাই ।



এমন তাদের কিতাব থেকে অসংখ্য প্রমান আছে আমার কাছে যে তারা নিজেদের নবী (সা) কে হাজীর নাজির মান্য করে না কিন্তু নিজেদের আলেমের বিষয় হাজীর নাজির আকিদা রাখে ।





এমন কি মাহমুদুস সুলনক কিতাবে রশিদ আহমেদ গাংগুহী লিখেছেন মুরিদ কে এটা মনে রাখতে হবে যে পীরের রুহানিয়াত এক যায়গায় স্থির নয় বরং যে কোন য্য়গায় পৌছতে সক্ষম । মহমুদুস সুলক ১৫৫ নং পৃষ্টা ।



তো এখানে পীরের রুহানিয়াত সব খানে পৌছতে পারে কিন্ত যখন নবীর কথা বলা হয় তখন শিরক খুজে পায় ।






২ নং প্রশ্ন তার ( রাসুল সাঃ হাজীর নাজির হলে মক্কি ও মাদানি নামে সুরা হুলোকে ভাগ করা হল কেন ?



উত্তর ;-

কিছু মানুষ আছে যাদের নাম মুসলমানদের মতই কিন্ত কাজগুলে হয় ইহুদিদের মত ।



আমরা হাদিসে দেখতে পাই যে ;-

নবী সাঃ কে একবার কতগুলো সাহাবী অনেক প্রশ্ন করছিল ।

তখন নবী সাঃ বলেন যে তোমরা বনী ইসরাইল জাতির মত তোমাদের নবী কে প্রশ্ন করিও না ।



এমন অবান্তর প্রশ্নের যুগান্তকারী উত্তর দেওবন্দি রুপে ইহুদিরাই করে থাকে । আর উত্তর আশা করে কোরান হাদীস থেকে ।



তারা যদি একবার দেখত যে সুরা বাকারা তে ইহুদি জাতি তাদের নবী কে গরু কেমন , লেজ কেমন , কাল কেমন , মাথা কেমন , পা কেমন , চোখ কেমন এই সকল প্রশ্ন করতে করতে এমন পর্যায় নিয়ে যায় যে এমন গরু খুজে বের করা কঠিন করে ফেলেন ।

গরু কে গরু না রেখে এমন গরু খুজে বের করা পাহাড় কাটার মত হয়ে দাড়ায় ।



অথচ হযরত মুসা বলেছিল এই বাচ্চার শরিরে গরুর মাংসের টুকরো লাগাও তো বলে দিবে কে এই বাচ্চার বাবা ।



তাদের দরকার ছিল গরুর মাংসের একটা টুকরো। তারা টুকরো না খুজে গরু খোজ করতে শুরু করেন কেমন সেই গরু কেমন কি এটা সেটা । পরবর্তিতে কি হয়েছিল তা আপনাদেরই ভাল জানা আছে ।



আল্লাহ কোরানে সুরা নাজীল করেছেন ঠিকই। কিন্ত সুরার নামকরন ও আল্লাহ করে নাই ।



বরং এক এক সুরার নাম করন এক এক কারনে মানুষই করেছে । আবার একই সুরার অনেক নাম ও আছে ।



যেমন সুরা ফাতেহা বলে আমরা যা জানি চা সুরা ফাতেহা ছারা আরো অনেক নামে বলা হয়ে থাকে ,



সুরা ফাতিহাঃ

পবিত্র কোরআন শুরু হয়েছে এই সুরার মাধ্যমে তাই এর নাম সুরা ফাতিহা রাখা হয়েছে।

উম্মুল কিতাবঃ

যেহেতু এটি কোরআনের মৌলিক সুরা তাই এর নাম উম্মুল কিতাব বা কোরআনের মুল নামে নামকরন করা হয়েছে।

সুরাতুল হামদঃ

এই সুরা আল্লাহর প্রশংসা দিয়ে শুরু হওয়ার কারনে এর নাম সুরাতুল হামদ বা প্রশংসার সুরা নামে নামকরন করা হয়েছে।

সুরাতুস সালাতঃ

এই সুরা নামাজে পড়া আবশ্যক।তাই একে সুরাতুস সালাত বলা হয়।

সুরাতুল কাফিয়াহঃ

এই সুরা নিজে যথেষ্ট।কিন্তু অন্যান্য সুরা একে ছাড়া যথেষ্ট নয়।


সুরাতুস শিফাঃ

এই সুরা পড়ে কোন রোগীর গায়ে ফুঁ দিলে তা ভাল হয়ে যায়।তাই এর নাম সুরাতুস শিফা।


আবার সুরা বাকারাহ



বাকারাহ মানে গাভী। এ সূরার ৬৭ থেকে ৭৩ নম্বর আয়াত পর্যন্ত হযরত মুসা (আঃ) এর সময়কার বনি ইসরাইল এর গাভী কুরবানীর ঘটনা উল্লেখ থাকার কারণে এর এই নামকরণ করা হয়েছে। কুরআন মজীদের প্রত্যেকটি সূরারএত ব্যাপক বিষয়ের আলোচনা করা হয়েছে যার ফলে বিষয়বস্তুর দিক দিয়ে তাদের জন্য কোন পরিপূর্ণ ও সার্বিক অর্থবোধক শিরোনাম উদ্ভাবন করা সম্ভব নয়।



আবার সুরা আল ইমরান ,ইমরান আঃ এর নামে

ইউনুস হযরত ইউনুস আঃ এর নামে

এমন সবকল সুরাই উক্ত সুরার সাথে সামনজস্য রেখে মানুষই রেখেছে সুপা গুলের নাম ।



কিন্ত আল্লাহ এই সুরা গুলের নাম নিজে দেন নাই।



ঠিক তেমনি আল্লাহ এটা ও বলে দেন নাই এই সুরা মক্কি এই সুরা মাদানি ।



বরং মক্কি ও মাদানি সুরা নিয়ে আতে বিশাল মতভেদ



ক) মোট ১১৪টি সূরার মধ্যে ১৭টি সূরা সম্পর্কে মতভেদ দেখা যায়। এর মধ্যে ৫টি সূরা নিয়ে ব্যাপক মতভেদ আছে। বাকী ১২টির মধ্যে অধিকাংশের মতে ৪টি মাদানী ও ৮টি মাক্কী।



১. যে ৫টি সূরা সম্পর্কে ব্যাপক মতভেদ আছে — আল বাইয়েনাহ (৯৮), আল আদিয়াহ (১০০), আল মাউন (১০৭), আল ফালাক (১১৩) ও আন নাস (১১৪)।



২. অধিকাংশের মতে যে ৪টি সূরা মাদানীঃ

আর – রাদ (১৩), আর- রাহমান (৫৫), আদ- দাহর (৭৬) ও আল যিলযাল (৯৯)।

৩. অধিকাংশের মতে যে ৮টি সূরা মাক্কীঃ

আত- তীন (৯৫), আল কদর (৯৭), আত- তাকাসুর (১০২), আল- আসর (১০৩), আল কুরাইশ (১০৬), আল কাউসার (১০৮), আল কাফিরুন (১০৯) ও আল ইখলাস(১১২)।



তো এখানে যেমন কোন সুরা মক্কি ও কোন সুরা মাদানি এ নিয়ে কেউ কারো উপরে ফতোয়া মারে না , সকলে মাথা পেতে মেনে নিয়েছে ঠিক তেমনি নবী (সা) এর হাজীর ও নাজির হওয়ার করানে এই সুরার মধ্য ও কোন পার্থক্য আসবে এটা কি করে হতে পার্ ?





অনেক সময় নবী সাঃ মগিনার বাইরে দেছেন । সেখানে ও আয়াত নাজিল হয়েছে । আবার একই সুরার কিছু অংশ মক্কা ও কিছু মদিনা তে ও নাজিল হওয়ার ঘটনা আছে ।



তো সেই সকল সুরা কে কি বলবেন ?

আমি কয়েকটা আয়াত দিচ্ছি



১-

ثُمَّ اسْتَوَى عَلَى الْعَرْشِ
অতঃপর তিনি আরশের উপর ক্ষমতাশীল হোন। {সূরা হাদীদ-৩}

২-

قوله تعالى {وَإِذَا سَأَلَكَ عِبَادِي عَنِّي فَإِنِّي قَرِيبٌ أُجِيبُ دَعْوَةَ الدَّاعِ إِذَا دَعَانِ}
Page: 11

আর আমার বান্দারা যখন তোমার কাছে জিজ্ঞেস করে আমার ব্যাপারে বস্তুতঃ আমি রয়েছি সন্নিকটে। যারা প্রার্থনা করে, তাদের প্রার্থনা কবুল করে নেই, যখন আমার কাছে প্রার্থনা করে। {সূরা বাকারা-১৮৬}

৩-

قوله تعالى {وَنَحنُ أَقرَبُ إِلَيهِ مِن حَبلِ الوَرِيدِ} [ق 16] আর আমি বান্দার গলদেশের শিরার চেয়েও বেশি নিকটবর্তী। {সূরা কাফ-১৬}

৪-

فَلَوْلا إِذَا بَلَغَتِ الْحُلْقُومَ (83) وَأَنْتُمْ حِينَئِذٍ تَنْظُرُونَ (84) وَنَحْنُ أَقْرَبُ إِلَيْهِ مِنْكُمْ وَلَكِنْ لا تُبْصِرُونَ (85)
অতঃপর এমন কেন হয়না যে, যখন প্রাণ উষ্ঠাগত হয়। এবং তোমরা তাকিয়ে থাক। এবং তোমাদের চেয়ে আমিই তার বেশি কাছে থাকি। কিন্তু তোমরা দেখতে পাওনা {সূরা ওয়াকিয়া-৮৩,৮৪,৮৫}

৫-

{ وَللَّهِ الْمَشْرِقُ وَالْمَغْرِبُ فَأَيْنَمَا تُوَلُّواْ فَثَمَّ وَجْهُ اللَّهِ إِنَّ اللَّهَ وَاسِعٌ عَلِيمٌ } [البقرة-115] পূর্ব এবং পশ্চিম আল্লাহ তায়ালারই। সুতরাং যেদিকেই মুখ ফিরাও,সেদিকেই রয়েছেন আল্লাহ তায়ালা। নিশ্চয় আল্লাহ তায়ালা সর্বব্যাপী সর্বজ্ঞাত {সূরা বাকারা-১১৫}

৬-

قوله تعالى { وَهُوَ مَعَكُمْ أَيْنَمَا كُنتُمْ } [ الحديد – 4 ] তোমরা যেখানেই থাক না কেন, তিনি তোমাদের সাথে আছেন {সূরা হাদীদ-৪}

৭-

وقال تعالى عن نبيه : ( إِذْ يَقُولُ لِصَاحِبِهِ لا تَحْزَنْ إِنَّ اللَّهَ مَعَنَا (التوبة من الآية40
যখন তিনি তার সাথীকে বললেন-ভয় পেয়োনা, নিশ্চয় আমাদের সাথে আল্লাহ আছেন {সূরা হাদীদ-৪০}

৮-

قوله تعالى مَا يَكُونُ مِن نَّجْوَى ثَلاثَةٍ إِلاَّ هُوَ رَابِعُهُمْ وَلا خَمْسَةٍ إِلاَّ هُوَ سَادِسُهُمْ وَلا أَدْنَى مِن ذَلِكَ وَلا أَكْثَرَ إِلاَّ هُوَ مَعَهُمْ أَيْنَ مَا كَانُوا ثُمَّ يُنَبِّئُهُم بِمَا عَمِلُوا يَوْمَ الْقِيَامَةِ إِنَّ اللَّهَ بِكُلِّ شَيْءٍ عَلِيمٌ ( المجادلة – 7
কখনো তিন জনের মাঝে এমন কোন কথা হয়না যাতে চতুর্থ জন হিসেবে তিনি উপস্থিত না থাকেন, এবং কখনও পাঁচ জনের মধ্যে এমন কোনও গোপন কথা হয় না, যাতে ষষ্ঠজন হিসেবে তিনি উপস্থিত না থাকেন। এমনিভাবে তারা এর চেয়ে কম হোক বা বেশি, তারা যেখানেই থাকুক, আল্লাহ তাদের সঙ্গে থাকেন। অতঃপর কিয়ামতের দিন তিনি তাদেরকে অবহিত করবেন তারা যা কিছু করত। নিশ্চয় আল্লাহ সব কিছু জানেন {সূরা মুজাদালা-৭}

৯-

وَسِعَ كُرْسِيُّهُ السَّمَاوَاتِ وَالأَرْضَ
আল্লাহ তায়ালার কুরসী আসমান জমিন ব্যাপৃত {সূরা বাকারা-২৫৫}





এখানে ৯ টা আয়াতে আল্লাহ কোথায় আছেন তা নিয়ে মতভেদ আছে । সব গুলো আয়াতই মুতাশাবেহাত আয়াত ।





কিন্তু আমি জানতে চাই abdus salam এর কাছে থেকে আসলে আল্লাহ কই আছে ?



একবার বলাছে আল্লাহ আরশে , তাই তিনি তো আরশে এখানে হাজীর নাজির হলেন কি করে ?



আবার বলছেন তোমরা যেখানেই থাক না কেন তিনি তোমাদের সাথে আছেন ।



এই সকল বিষয়ে কি বলবেন স্যার ?



আপনার অবান্তর প্রশ্নের যুগান্তরি উত্তর আর কারে কাছে আশা করার আগে আমার জবাব গুলো দাও





জিহাদ বা গজওয়ায় হিন্দ :-



লিখেছে নবী সাঃ হাজীর নাজির হলে গজওয়ায় এ হিন্দ হল কেন



আরে তেতুল ;- গজওয়ায় হিন্দ কবে হয়েছে ? মুহাম্মাদ বিম কাশিম সিন্ধ দখল করেছিলেন । আচ্ছা ধরে নিলাম এটাই ছিল গজওয়ায় হিন্দ । তবে এই গজওয়ায় হিন্দের সাথে হাজীর নাজিরের সম্পর্ক কি ?



তুই বল দেখি ?



বরং গজওয়ায় হিন্দের কিছু আলামত দেখতে পাচ্ছি আমরা মাত্র। যা এখন ও সময় বাকি আছে সংঘঠিত হওয়ার জন্য ।







গাযওয়াতুল হিন্দ” বলতে ইমাম মাহদি(আঃ) এবং

ঈসা(আঃ) এর আগমনের কিছুকাল

আগে অথবা সমসাময়িক সময়ে এই পাক-ভারত-

বাংলাদেশে মুসলিম ও কাফিরদের মধ্যকার

সংগঠিত যুদ্ধকে বুঝায়।

“গাযওয়া” অর্থ যুদ্ধ, আর “হিন্দ” বলতে এই

উপমহাদেশ তথা পাক-ভারত-বাংলাদেশসহ

শ্রীলঙ্কা,নেপাল,ভুটানকে বুঝায়।

এবং বর্তমানে এই অঞ্চলের উত্তেজনাকর

পরিস্থিতি আমাদেরকে সেই গন্তব্যের

দিকে নিয়ে যাচ্ছে। আল্লাহু আ’লাম।

একটা বিষয় মাথায় রাখা উচিত আর

তা হলো রাসুলুল্লাহ(সাঃ) এর প্রতিটি কথা সত্য

এবং গত ১৪০০ বছরের ইতিহাস সেই সাক্ষী বহন

করে চলেছে। এবং ইন শা আল্লাহ্ কিয়ামত

পর্যন্ত সত্য হয়ে যাবেই। এটাই একজন মুসলিমের

ঈমানের অন্যতম ভিত্তি যে সে রাসুলুল্লাহ(সঃ)

এর সব কথা,

ভবিষ্যৎবাণীকে বিনা বাক্যে বিনা দ্বিধায়

মেনে নিবে।

রাসুলুল্লাহ(সঃ) এর কথা অনুযায়ী খোরাসান

(বর্তমান আফগানিস্থান) থেকে কালিমাখচিত

কালোপতাকাধারীদের উত্থান এবং তাদের

কাশ্মীর পর্যন্ত পৌঁছে যাওয়া, পূর্ব

প্রস্তুতি হিসেবে ভারতের কাশ্মীর সীমান্তে ৭

লক্ষ সেনা মোতায়েন, পাক-ভারত-বাংলাদেশের

হকপন্থী ইসলামী দলগুলোর আলোচনায় উঠে আসা,

পানি নিয়ে ভারতের সাথে বাংলাদেশ ও

পাকিস্তানের উত্তেজনাকর পরিস্থিতি,

কাশ্মীর নিয়ে পাকিস্তানের সাথে ভারতের

উত্তেজনাকর পরিস্থিতি, বাবরি মসজিদ ধ্বংস

এবং মুসলিমদের নির্যাতন নিয়ে ভারতের

ভেতরে মুসলিমদের ক্ষোভের বিস্ফোরণ, সেভেন

সিস্টারস তথা ভারতের ৭ টি অঙ্গরাজ্যের

স্বাধীনতার দাবি নিঃসন্দেহে ভারত বিভক্তির

ইঙ্গিত বহন করে।

সে সময় অবশ্যই পাক-ভারত-বাংলাদেশের মুসলিম

নামধারী মুনাফিকরা আলাদা হয়ে যাবে।

তারা হইতো কাফিরদের পক্ষে যোগ

দিবে অথবা পালিয়ে বেড়াবে। এবং এই ভয়ঙ্কর

যুদ্ধে মুসলিমরা জয়ী হবে এবং তারা বায়তুল

মুকাদ্দাস(বর্তমান ফিলিস্তিন) এ গিয়ে

ঈসা(আঃ) এর সাথে মিলিত হবে এবং খিলাফাত

প্রতিষ্ঠা করবে।

হাদিস শরীফে বর্ণিত “গাজওয়াতুল হিন্দ”

সম্পর্কে আসা ৫ টি হাদিসই বর্ণনা করছি।

(১) হযরত আবু হুরায়রা (রাঃ) এর প্রথম হাদিস

আবু হুরায়রা (রাঃ) কর্তৃক বর্ণিত, তিনি বলেনঃ

“আল্লাহর রাসুল সাল্লাল্লাহু

আলাইহি ওয়া সাল্লাম আমাদের

থেকে হিন্দুস্থানের সঙ্গে যুদ্ধ করার

প্রতিশ্রুতি নিয়েছেন। কাজেই আমি যদি সেই

যুদ্ধের নাগাল পেয়ে যাই,

তাহলে আমি তাতে আমার জীবন ও সমস্ত সম্পদ

ব্যয় করে ফেলব। যদি নিহত হই,

তাহলে আমি শ্রেষ্ঠ শহীদদের অন্তর্ভুক্ত হব। আর

যদি ফিরে আসি, তাহলে আমি জাহান্নাম

থেকে মুক্তিপ্রাপ্ত আবু হুরায়রা হয়ে যাব”।

(সুনানে নাসায়ী, খণ্ড ৬, পৃষ্ঠা ৪২)

(২) হযরত সা্ওবান (রাঃ) এর হাদিস

নবীজি সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের

আজাদকৃত গোলাম হযরত সা্ওবান (রাঃ)

বর্ণনা করেন, আল্লাহর রাসূল সাল্লাল্লাহু

আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন,

“আমার উম্মতের দুটি দল এমন আছে, আল্লাহ

যাদেরকে জাহান্নাম থেকে নিরাপদ

করে দিয়েছেন। একটি হল তারা,

যারা হিন্দুস্তানের সাথে যুদ্ধ করবে, আরেক দল

তারা যারা ঈসা ইবনে মারিয়ামের সঙ্গী হবে’।

(সুনানে নাসায়ী, খণ্ড ৬, পৃষ্ঠা ৪২)

(৩) হযরত আবু হুরায়রা (রাঃ) এর দ্বিতীয় হাদিস

হযরত আবু হুরায়রা (রাঃ) কর্তৃক বর্ণিত হযরত

মুহাম্মদ (সাঃ) হিন্দুস্তানের কথা উল্লেখ

করেছেন এবং বলেছেন,

“অবশ্যই আমাদের একটি দল হিন্দুস্তানের

সাথে যুদ্ধ করবে, আল্লাহ্ সেই দলের যোদ্ধাদের

সফলতা দান করবেন, আর তারা রাজাদের শিকল/

বেড়ি দিয়ে টেনে আনবে । এবং আল্লাহ্ সেই

যোদ্ধাদের ক্ষমা করে দিবেন (এই বরকতময়

যুদ্ধের দরুন)।

এবং সে মুসলিমেরা ফিরে আসবে তারা ঈসা

ইবনে মারিয়াম(আঃ) কে শাম দেশে(বর্তমান

সিরিয়ায়) পাবে”।

হযরত আবু হুরায়রা (রাঃ) বলেন,

“আমি যদি সেই গাযওয়া পেতাম, তাহলে আমার

সকল নতুন ও পুরাতন সামগ্রী বিক্রি করে দিতাম

এবং এতে অংশগ্রহণ করতাম । যখন আল্লাহ্

আমাদের সফলতা দান করতেন

এবং আমরা ফিরতাম, তখন আমি একজন মুক্ত আবু

হুরায়রা হতাম; যে কিনা সিরিয়ায় হযরত

ঈসা (আঃ) কে পাবার গর্ব নিয়ে ফিরত । ও

মুহাম্মাদ (সাঃ) ! সেটা আমার গভীর

ইচ্ছা যে আমি ঈসা (আঃ) এর এত

নিকটবর্তী হতে পারতাম,

আমি তাকে বলতে পারতাম যে আমি মুহাম্মাদ

(সাঃ) এর একজন সাহাবী”।

বর্ণনাকারী বলেন যে হযরত মুহাম্মাদ (সাঃ)

মুচকি হাসলেন এবং বললেনঃ ‘খুব কঠিন, খুব

কঠিন’।

(আল ফিতান, খণ্ড ১, পৃষ্ঠা ৪০৯)

(৪) হযরত কা’ব (রাঃ) এর হাদিস

এটা হযরত কা’ব (রাঃ) কর্তৃক বর্ণিত

হাদিসে মুহাম্মাদ (সাঃ) বলেনঃ

“জেরুসালেমের (বাই’ত-উল-মুক্বাদ্দাস)[বর্তমান

ফিলিস্তিন] একজন রাজা তার একটি সৈন্যদল

হিন্দুস্তানের দিকে পাঠাবেন,

যোদ্ধারা হিন্দের ভূমি ধ্বংস করে দিবে, এর

অর্থ-ভান্ডার ভোগদখল করবে, তারপর রাজা এসব

ধনদৌলত দিয়ে জেরুসালেম সজ্জিত করবে,

দলটি হিন্দের রাজাদের জেরুসালেমের রাজার

দরবারে উপস্থিত করবে, তার সৈন্যসামন্ত তার

নির্দেশে পূর্ব থেকে পাশ্চাত্য পর্যন্ত সকল

এলাকা বিজয় করবে, এবং হিন্দুস্তানে ততক্ষণ

অবস্থান করবে যতক্ষন না দাজ্জালের

ঘটনাটি ঘটে”।

(ইমাম বুখারী (রঃ) এর উস্তায নাঈম বিন হাম্মাদ

(রঃ) এই হাদিসটি বর্ণনা করেন তার ‘আল

ফিতান’ গ্রন্থে । এতে, সেই উধৃতিকারীর নাম

উল্লেখ নাই যে কা’ব (রাঃ)

থেকে হাদিসটি বর্ণনা করেছে)

(৫) হযরত সাফওয়ান বিন উমরু (রাঃ)

তিনি বলেন কিছু লোক তাকে বলেছেন যে রাসুল

(সাঃ) বলেছেনঃ

“আমার উম্মাহর একদল লোক হিন্দুস্তানের

সাথে যুদ্ধ করবে, আল্লাহ্ তাদের সফলতা দান

করবেন, এমনকি তারা হিন্দুস্তানের

রাজাদেরকে শিকলবদ্ধ অবস্থায় পাবে। আল্লাহ্

সেই যোদ্ধাদের ক্ষমা করে দিবেন। যখন

তারা সিরিয়া ফিরে যাবে, তখন

তারা ঈসা ইবনে মারিয়ামকে (আঃ) এর সাক্ষাত

লাভ করবে”।

(আল ফিতান, খণ্ড ১, পৃষ্ঠা ৪১০)

এখানে রাসুল (সাঃ) এর বর্ণিত তৎকালীন

হিন্দুস্তানের সীমারেখা বর্তমান ভারত, নেপাল,

শ্রীলংকা, বাংলাদেশ ও পাকিস্তান নিয়ে।

বর্তমানে এই উপমহাদেশের মুর্তিপুজারী ভূখণ্ডের

মুসলিম প্রধান ভূখণ্ডের উপর সামাজিক,

সাংস্কৃতিক, রাজনৈতিক ও অর্থনৈতিক

আগ্রাসনের অব্যাহত প্রচেষ্টা দেখলে বুঝা যায়

যে, এটি একদিন চূড়ান্ত সংঘাতময়রূপ ধারণ

করবে এবং এখানকার দ্বীন

ইসলামকে টিকিয়ে রাখতে রাসূল সাল্লাল্লাহু

আলাইহি ওয়া সাল্লামের ভবিষ্যৎ

বাণী মোতাবেক উম্মতের একটি দলকে এই

দিকে অগ্রসর হতে হবে। এবং এটি ঘটবে সেই

সমসাময়িক সময়ে যখন সমগ্র দুনিয়াতে ইসলামের

ক্রান্তিলগ্নে ইসলামকে খিলাফতের

আদলে সাজাতে আল্লাহ ইমাম মাহদিকে প্রেরণ

করবেন আর যার খেলাফতের সপ্তম

বছরে দাজ্জালের আবির্ভাব

হবে এবং দাজ্জালের সাথে মহাযুদ্ধের নেতৃত্ব

দিতে ঈসা (আঃ) এর আগমন ঘটবে



তো এখন ও গাজওয়াতুল হিন্দ সংঘঠিত হয়নি তবে হবে ।



আর এখানে এ শাক দিয়ে মাথ ঢাকতে চেষ্টা করে যাচ্ছে



সোহেল রানা