মঙ্গলবার, ৩০ জুন, ২০১৫

রাহাতের জবাব নূর বিষয়

এবার আমার কিছু কথা :- 
আমি নিজে যে ওনেক বড়ো মুর্খ তা আমাকে যে নিজের প্রতিপক্ষ মনে করে , তার পোষ্ট থেকেই প্রমান । 
তাই আমি নিজে থেকে আমার পোষ্ট কম কথা বলা চেষ্টা করি ও কিতাবের উদ্ধৃতি দিয়ে বেশি কথা বলার চেষ্টা করি । 

আমাদের সকলের মাথার তাজ ইমাম আহমেদ রেজা খান ফাজেলে ব্রেলভী (রহ) 
আর ওনার নামের পরে যে বেক্তির নাম আসে মাসলাক আলা হযরতে তিনি হচ্ছেন মুফতি আহমেদ ইয়ার খান নঈমি (রহ) । যাকে মাসলাক আলা হযরতের লোকজন হাকিমুল উম্ম্ত ও বলে থাকেন। তিনি তার স্বীয় কিতাব (নূর এ মোহাম্ম্দি ) তে ও যা আল হক কিতাবে অকাঠ্য ভাবে নূর প্রমান করেছেন । 
কিন্তু তিনি নবী পাক কে আল্লাহর সিফাত ও জাতের সাথে মিলিত করেন নাই । আর এটা ও বলেন নাই তিনি যে নূরে মোহাম্ম্দি আল্লাহ তায়ালার জাতী নূর  থেকে । 

কি বলেছেন তিনি তা দেখা যাক হুবহু ওনার কিতাব থেকে :- তিনি নূর কে ২ ভাবে ভাগ করেছেন । 
(ক) ইন্দ্রিয় গ্রায্য (হিচ্ছি) (খ) ইন্দ্রিয় অগ্রাহ্য  যা ইন্দ্রিয় বুঝতে পারে না বা (আকলি )

(ক) ইন্দ্রিয় গ্রায্য ;- যা চোখে দেখা যায় । যেমন সুর্যের আলো , বিদু্যত্ ইত্যাদি 

(খ) যা চোখ দিয়ে দেখা যায় না কিন্তু বোঝা যায় যে ইহা ও নূর । যেমন কোরান , ইসলাম ও হেদায়াত কে ও নূর বলা যায় । 

যেমন আল্লাহ বলেন ;- আল্লাহু ওয়ালিয়ুল্লাযি আমানু ,,,,,,,,,ইলাইয়্ন্নূর 

আল্লাহ বলেন যে :- আল্লাহ মুমিনদের সাহায্যকারী । তিনি অন্ধকার থেকে মুমিনদের আলোর দিকে নিয়ে যান । 

এই আয়াতে হেদায়াত কে নূর বলা হয়েছে । 

এই রকম ওনেক আয়াত আছে । 
যেমন( ওয়া আনজালনা ইলাইকুম নূরুম মুবীন ) 
আমি তোমাদের নিকট স্পষ্ট নূর অবতীর্ন করেছি । 

এই আয়াতে নূর আল্লাহর কোরান কে বলা হয়েছে ।
এমনি করে কোরানে পাকে কখনও তাওরাত কে কখন ও জ্ঞান কে কখন ও ইসলাম কে নূর বলা হয়েছে । 
এই নূর হচ্ছে আকলি বা ইন্দ্রিয় গ্রায্য নয় এমন নূর ।
সুত্র ;- নূর এ মোহাম্ম্দি এর প্রমান। মুল লেখক আহমেদ ইয়ার খান নঈমি (রহ) পৃ ৮ 



আমার এই বেদাতি কালা জেব্রার অনুসারী লিখেছেন যে ;- আল্লাহ তায়ালার জাতী নুর থেকে তৈরি নবী পাক । 

অথচ তাদের বা আমাদের সম্মানিত বুযুরগ আহমেদ ইয়ার খান নঈমি (রহ) লিখেছেন যে ;-মহান আল্লাহ তায়ালা মুলত সত্বাগত ভাবে জাতি নূর । তিনি সয়ং আলোকিত ও তিনি যারে আলোকিত করেছেন তা ও আলোকিত হয়ে গেছে । তবে নবী পাক , কোরান , ইসলাম , ফেরেস্তা এই সকল কিছু আল্লাহ প্রদত্ত নূর বলে আলোকিত হয়েছে /  নূর এ মোহাম্ম্দি পৃ ৮ 

এর পর দেখুন ৯ নং পৃ ,

আহমেদ ইয়ার খান নঈমি লিখেছেন যে ;- নবী নূর হওয়ার অর্থ এটা নয় যে তিনি আল্লাহ তায়ালার সত্তাগত মুল দৈহিক নূরের অংশ বিষেশ  ও হুজুরের নূর আল্লাহর মত সত্তাগত চির স্থায়ী / এটা ও নয় যে রাব্বুল আলামীন নবী পাকের ভিতরে ঢুকে গেছেন ।
বরং এটার অর্থ এমন যে হুজুর (সা) আল্লাহ তায়ালার এমন একটি ফয়েজ গ্রহন কারী বাতি ,  যে এক বাতি থেকে যেমন হাজার বাতি জ্বালানো সম্ভব ঠিক তেমন । পৃ ৯ 

আল্লাহ তায়ালা ঠিক প্রথমে আমাদের নবী কে সৃষ্টি করেছেন ও সেই সৃষ্টি থেকে হাজার হাজার ওলি আওলিয়া মুমিন দের  কে আলোকিত  করেছেন । মুলত এটাই সত্য । 

আহমেদ ইয়ার খান নঈমি (রহ) আবার উদাহরন দিয়ে লিখেছেন যে ;- উদাহরন সরুপ ;- আর যখন আমি তাকে তৈরি করলাম ও তার মাঝে আমার রুহ ফুকে দিলাম , তখন সবাই তোমরা তাকে সেজদা করবে ( আল কোরান ) 

 হযরত আদম (আ) এর সেই ঘটনা।  কোরানে আল্লাহ তায়ালা বলেছেন যে আমি আমার রুহ ফুকে দিলাম আদম ( আ) এর ভিতর । 

তো এর মানে কি আদম (আ) এর ভিতরে আল্লাহর রুহ বসবাস করত ? 

আল্লাহ তায়ালা আবার ইসা (আ) কে ও রুহুল্লাহ বলেছেন ।

আবার যখন মা মরিয়মেক কাছে জিব্রাইল (আ) গেল তখন আল্লাহ বললেন আমি আমার রুহ কে পাঠিয়ে দিলাম তা পুর্ন মানব আকৃতিকে প্রকাশ হল । 

এই খানে কি আপনি বলতে পারবেন যে হা , আদম ((আ) ও ঈসা (আ) এ জিব্রাইল (-আ) এর ভিতর আল্লাহর কোন সামান্য টুকরা বসবাস করত ? 

পারবেন না। আর যদি মুখের জোরে বলে ও ফেলেন তা হবে  কুফরি ও তার জবাব দিতে হবে আপনাকে । 

আল্লাহ তায়ালা মাতা ও পিতা ছারা হযরত আদম (আ) ও পিতা ছারা (ইসা) (আ) কে রুহ দান করেছেন ।আমাদের নবী এটার অর্থ এই যে তিনি সৃষ্টি জগতের কোন মাধ্যম ছারাই আল্লাহর ফয়েজ লাভ করেছেন ।


সুত্র ;- নূর এ মোহাম্ম্দি এর প্রমান , আহমেদ ইয়ার খান নঈমি (রহ) এর লেখা পৃ ১১
আশা করছি নূর কেমন তা খোলাশা হয়েছে।  তবা হা বাকি আছে কিছু। পড়তে থাকুন। 

মোহাম্ম্দ (সা) নূর এর অর্থ এই নয় যে তিনি আল্লাহ তায়ালার সত্বাগত দৈহিক নূরের অংশ ও এটা ও নয় যে তিনি আল্লাহ তায়ালার মত চিরস্থায়ি । এটা ও নয় যে রাব্বুল আলামিন নবীর মধ্য ঢুকে গেছেন । যাতে শিরক ও কুফরি সংঘটিত হয় (  নুর এ মোহাম্ম্দি এর প্রমান ) পৃ ১০ 


এর পর নঈমি (রহ) লিখেছেন যে ;- হযরত মোহাম্ম্দি (সা) এর বিষয় এক  কথা ও হকিকতে মোহাম্ম্দি আর এক কথা । ব্যাক্তি মোহাম্মদ ওই দেহ মোবারকের নাম যা হযরত আদম থেকে পরযায়ক্রমে মা আমেনার থেকে দুনিয়া তে এসেছে ।যিনি সকল নবীর পরে দুনিয়া তে এসেছেন ও যিনি দুনিয়ার বুকে সর্ব প্রকার সম্পর্কের সাথে যুক্ত ছিলেন ।

সুফী গনের দৃষ্টিতে  হকিকতে মোহাম্ম্দি (সা) হল জাতে মোতলাকা বা আল্লাহর সত্তার  প্রথম অস্তিত্বের নাম । কোন প্রকার দৃষ্টান্ত ব্যাতিরেকে এটা বুঝে নিল যে মাছদার এর প্রথম অস্তিত্বের নাম মজি মোতলাক ,যা মাছদার হতে সৃষ্টি ।
আবার সমস্ত ছিগা ওই মাজি মোতলাক হতে সৃষ্ট ।সুতরাং মাজি মোতলাক মাছদার এর প্রথম অস্তিত্ব  এবং অবশিষ্ট অন্যান্য ছিগা সমুহ পরবর্তিতে মজি মোতলাক হতে সৃষ্ট ।
অনুরুপ আল্লাহর সমস্ত তাজাল্লির কেন্দ্রবিন্দু হুজুরে পাক তার তাজাল্লি এবং অন্যান্য সৃষ্ট জগত তারই (নবী পাকের) তাজাল্লি হতে সৃষ্টি।(
সুত্র :- নূর এ মোহাম্মাদির প্রমান , আহমেদ ইয়ার খান নঈমি লিখিত , পৃ ১২ 

এর পর আহমেদ ইয়ার খান নঈমি (রহ) তুলে ধরেছেন যে ;- ব্যাক্তি মুহাম্মদ (সা) সম্পর্কে আল্লাহ তায়ালা কোরানে পাকে বলেছেন ( কুল ইন্নামা আনা বস্সারু মিছলুকুম ) 
অর্থ ;- হে নবী আপনি বলেদিন যে (- আমি তোমাদের মতই মানুষ । 

আর হকিকতে মোহাম্মদি (সা) সম্পর্ক নবী পাক বলেছেন যে ( কুনতু নাবওয়াওদামু বায়নাল মায়া ওত্বীন)  আমি তখন ও নবী ছিলাম যখন আদম (আ) মাটি ও পানির মধ্যে নিহিত ছিল । 

হকিকতে মোহাম্ম্দি যেমন হযরত  আদম (আ) এর বংশদ্ভুত নন তেমনি হকিকতে মোহাম্ম্দি বশর ও নন । তিনি কারো পিতা ও নন আবার কারো সন্তান ও নন । সমগ্র সৃষ্টির মুল উৎস ।
এটা প্রকাশ থাকে যে বশরের সুচনা হযরত  আদম (আ) থেকে , আর আমাদের নবী তার ও আগে থেকে নবী  যখন কিনা আদম ( আ) তৈরির উপকরন ও সৃষ্টি হয়নি ।আর আমাদের নবী হযরত মোহাম্ম্দ মোস্তফা (সা) যদি বশর হতেন তা হলে হযরত আদম (আ) আবুল বশর( আদি মানব  পিতা) হতেন না । কারন বশরের শুরু হযরত আদম থেকে , তাই তিনি আদি মানব পিতা । যদি বশরের সৃষ্টি আমাদের নবী থেকে হত তা হলে আদম (আ) কি করে বশরদের (মানুষদের ) আদি পিতা হন ?
সুত্র ;- নূর এ মোহাম্ম্দি এর প্রমান 
আহমেদ ইয়ার খান নঈমি লিখিত পৃ ১৩

এখান থেকে এটা প্রমানিত যে নবী পাক সাল্লেল্লাহু আলাইহে ওয়া সাল্লামে'র হকিকত কোন দিন বশর  ছিল না  , বরং নবী ছিল  । 

আহমেদ ইয়ার খান নঈমি (রহ) এই কিতাবে বিখ্যাত তাফসির (রুহুল বয়ান)র উদ্ধৃতি দিয়ে লিখেছেন যে ;- (হুওল্লাজী খালাকাকুম মিনান নাফছে ওহেদাত ) এই আয়াতের তাফসীরে যিনি লিখেছেন যে ;- সমস্ত আত্বা হুজুর পাক (সা) এর আত্বা থেকে সৃষ্টি । তাই তিনি ( আবুল আরওয়াহ) বা রুহ জগতের পিতা । 

এই খানে যেহেতু নবী পাক কে নূর প্রমান করা নয় বরং আমাকে এটা প্রমান করতে হবে যে ;- নবী পার  আল্লাহ পাকের জাতী নূর নন , তাই আমি এই দিকেই নিজের দৃষ্টি নিবদ্ধ করলাম । 

এখানে আর একটা কথা তুলে ধরা মনে করছি যে ;- আহমেদ ইয়ার খান নঈমি (রহ) (নূর এ মোহাম্মদির প্রমান ) কিতাবে লিখেছেন যে ;-নবী পাকের সুরত চার তিনটি (১) সুরতে বাশার, (২) সুরতে মালেকি(৩) সুরতে হাক্কি 
সুত্র ;- নূর নবী এম এ জলিল লিখিত পৃ নং ৩
তিনি তাফসির এ রুহুল বয়ান  ও তাফসীরে ক্বাদরী এর উদ্ধৃতি দিয়েছেন এখানে । সুরতে বাশার সকলের জন্য কিন্ত বাকি দুই সুরত সকলের জন্য নয় । বরং তা নির্দিষ্ট কিছু মানুষের জন্য । পৃ ৬ 


রাহাত সাহেব কত গুলো তাফসীর কারকের কথিত উদ্ধৃতি দিয়ে লিখেছেন যে  নবী পাক আল্লাহ পাকের জাতী নূর। এমন কি এও বলেছে যে , যে এই কথা মানবে না যে নবী আল্লাহ পাকের জাতী নূর , সে কোরানের মতে কাফের । 

কাফের বলতে যেমন আজকাল টাকা লাগে না তেমন এই রকম ব্যাংঙের ছাতার মত মুফতিরও অভাব হয় না । 

এবার আমি কিছু তাফসীরকারকের কিছু বর্নানা তুলে ধরছি ।

(১) সুরা মায়েদা আয়াত নং ১৫ ;- ক্বাদ জায়াকুম মিনাল্লাহি নূরি ওয়া কিতাবুম মুবীন । 

এই আয়াত কে দলিল দিয়েছিল রাহাত সাহেব এর পর মিনাল্লাহি বলার কারনে নাকি আল্লাহ পাকের জাতী নূর হয়ে গিয়েছিল নবী পাক । 



তাফসীর এ খাজেনের মধ্য , আলাউদ্দিন আলী বিন মাহমুদুল খাজেন লিখেছেন যে ;-অবশ্যই তোমাদের নিকট একটা নূর অর্থাৎ মোহাম্মদ (সা) এসেছেন ।কোরানে যার নাম রাখা হয়েছে নূর।
কারন মানুষ তার মাধ্যমে হেদায়েতের নূর পায় ।যেমনি ভাবে মানুষ আলোর মাধ্যমে অন্ধকারে পথ খুঁজে পায় । ( আহমেদ ইয়ার খান নঈমি লিখিত (নূর এ মোহাম্ম্দি এর প্রমান ) পৃ ২২


মোল্লা আলী ক্বারী (রহ) স্বীয় (মওজুয়াতে কবীর) এ লিখেছেন যে ;-বর্নিত আয়াত সমুহে আল্লাহর নূর বলতে হুজুরে পাক (সা) এর ক্বলবের নূর বোঝানো হয়েছে ( আহমেদ ইয়ার খান নঈমি লিখিত (নূর এ মোহাম্ম্দি এর প্রমান ) পৃ ২৩



দেখুন ইমাম জালালুদ্দিন সুয়ুতি (রহ) বলেছেন জালালাইন শরিফে ( উক্ত আয়াতে (নূর) দ্বারা নবী পাক (সা) এর নূর কে বোঝানো হয়েছে ।

এই রকম অনেক উদ্ধৃতি দিতে পারব আমি ।

একটা কথা বলা প্রোয়োজন যে আল্লাহর জাতি নূরের তাজাল্লি থেকেই নবী পাকের নূর সৃষ্টি।  তবে তা হকিকতে নূর । এবং তা থেকেই বাকি কিছুর সৃষ্টি ।
এই খানে আর একটা বর্নানা দেয়া প্রোয়োজন মনে করছি যা আমাদের দন্দ বন্ধ করতে সহায়ক হবে বলে মনে করছি।  কারন রাহাত সাহেব দালাইলুল খয়রাত কিতাবের বর্নানা দিয়েছেন । 

দালাইলুল খায়রাত কিতাবে আবুল হাছান আশয়ারী (রহ) বলেন যে ;- আল্লাহ তায়ালা নূর , তবে অন্যান্য নূরের মত নয় ও নবী পাকের  রুহ  মোবারক সেই নূরের জ্যোতি , আর ফেরেস্তারা সেই নূরের ফুল । নবী পাক বলেছেন , আল্লাহ তায়ালা সর্ব প্রথম আমার নূর  কে সৃষ্টি করেছেন  ও আমার নূর  দ্বারা বাকি সকল কিছুর সৃষ্টি করেছেন ,(আহমেদ ইয়ার খান নঈমি লিখিত (নূর এ মোহাম্ম্দি এর প্রমান ) পৃ ৩২

এই খানে যদি নবী পাক আল্লাহ পাকের জাতীগত  নূর থেকে সৃষ্টি হতেন তা হলে আবুল হাসান আশয়ারী (রহ) এমন বলতোনা যে আল্লাহ তায়ালা নূর তবে অন্য নূরের মত না , বরং যদি নবী  পাক আল্লাহ পাকের জাতী নূরের অংশ বিশেষ হতেন তা হলে তিনি এমন লিখতেন যে আল্লাহ পাক ও নবী পাকের নূর একই রকম।  কিন্তু তিনি বলেন নাই ।

আমি আরো কত গুলো বর্ননা সংক্ষিপ্ত ভাবে তুলে ধরতে চেষ্টা করছি । তা হচ্ছে 
আহমেদ ইয়ার খান নঈমি (রহ) তার কিতাব (নূর এ মোহাম্ম্দি  এর প্রমান ) কিতাবের ৪০ নং পৃষ্টায় লিখেছেন যে ;- কোরান শরিফে আল্লাহ তায়ালা হযরত সালেহ ( আ) এর উট কে আল্লাহর উট বলেছেন । অনুরুপ ঈসা (আ) কে আল্লাহর রুহ বলেছেন ।যেহেতু তিনি পিতা ব্যাতীত সৃষ্টি । অনুরুপ প্রায় নবী কে ও নূরুল্লাহ বলা হয় ( কারন কোন মাধ্যম ব্যাতীত তিনি নবী পাকের নূর কে সৃষ্টি করেছেন) 

রাহাত সাহেব নবী পাক কে বশর স্বীকার করতে চান না । আর যারা নবী পাক কে বশর মান্য করে যেমন আমি বা আমরা তারা সকলে কাফের তার কথা মতে । 

কিন্ত আহমেদ ইয়ার খান নঈমি (রহ) তার কিতাব ( নূর মোহাম্ম্দি  প্রমান ) ৪০ নং পাতায় লিখেছেন যে ;- প্রিয়নবী আমাদের (নূর) ও (বাশার) উভয়টি। তিনি নূরানী বশর, তার হকিকত নূর ও আকৃতি বশর ।

এই খানে আরো কিছু সংযোগ করছি যে ;- (নূর এ মোহাম্ম্দি এর প্রমান)  কিতাবে আহমেদ ইয়ার খান নঈমি (রহ) ৬৯ নং পৃষ্টায় ১৫ নং আপত্তি ছিল ;- বিশ্ব নবী (সা) কে নবর বলা মানে নবী পাক কে খাট করে দেয়া । 

এর জবাবে তিনি লিখেছেন ;-এ অভিযোগ তখনই যথাযত হত যখন আমরা নবী পাকের বশার হওয়াকে অস্বীকার করতাম ।
বিশ্ব নবী (সা) তিনি নূর ও বশর উভয়টি ।শুধু মাত্র নূর ও শুধু মাত্র বশর এই উভয় অবস্থা থেকে তিনি মুক্ত ।(নূর এ মোহাম্ম্দি এর প্রমান)  কিতাবে আহমেদ ইয়ার খান নঈমি (রহ) ৬৯ নং পৃষ্টায় ১৫ নং

এখন এই কুলাংগার রাহাতের ফতোয়ার কারনে হয় আহমেদ ইয়ার খান নঈমি কাফের , হয় আলা হযরত কাফের , নয় তোবা এই কুলাংগার রাহাত কাফের ।  কার ফতোয়ায় কে কাফের হল  তা  চিন্তা করে দেখ ।

রবিবার, ২৮ জুন, ২০১৫

মোনাফেক এ ভরপুর ফেসবুক

হযরত আবু ইয়াহিয়া (রহ) বলেন যে হযরত আবু হোযায়ফা (রা) কে জিগ্গেস করা হল মোনাফেক কারা ? তখন তিনি বললেন যে ;- যে ব্যাক্তি ইসলামের প্রশংসা করে কিন্তু পালন (ইবাদত ) করে না (মুসান্নাফ এ আবু শায়বা) জিল্দ১৫ পৃ ১১৫ ।

আজ আমাদের ফেসবুক জগতে হাজারো মোনাফেক আমি দেখতে পাই । আর একটা কথা এখানে বলে রাখি যে হযরত হোযায়ফা (রা) একবার এক মোনাফেকের জানাযা নামাযে শরিক হননি । হযরত ওমর ইবনে খাত্তাব (রা) হোযায়ফা (রা) কে বললেন যে আপনি যে জানাযা তে গেলেন না , লোকটা কি মোনাফেক ছিল । হোযায়ফা (রা) বলেন জী হা । তখন হযরত ওমর ইবনে খাত্তাব (রা) বললেন যে ;- আল্লাহর কসম দিয়ে বলি আপনাকে , আমি ও কি মোনাফেক । হোযায়ফা (রা) বললেন না । এরপর বললেন যে , আমি এধরনের কথা আর কাউকে কোন দিল বলব না ( ইবনে আবু শায়বা) ৪৮১/৭

হযরত হোযায়ফা (রা) ছিলেন মুসলিমদের ইন্টেলিজেন্ট , বা গোয়েন্দী । তিনি সেই সময়ের মোনাফেকের কে হাড়ে হাড়ে চিনত। রাসুলে আরাবি  সাল্লেল্লাহু আলাইহে ওয়া সালাম ওনাকে সকল মোনাফেকের বিষয় অবহিত করে দিয়েছিলেন। আর হযরত ওমর (রা) যেহেতু আল্লাহভীরু লোক ছিলেন তাই তিনি জিগ্গেস করেছিলেন । 

যে খানে হযরত ওমর ইবনে খাত্তাব (রা) নিজের ইমান নিয়ে শংকিত ছিলেন সব সময় , আল্লাহর ভয় যার বুকের মধ্য সব সময় হাতুড়ী পিটা করত সেই আজীম ও জলিল ক্বদর সাহাবী ও এ চিন্তা করতেন যে (- আমি মোনাফেক দের কাতারে চলে গেলাম নাকি  ! 

আর আজ আমরা লম্বা লম্বা পোষ্ট লিখি হাদিস কোরানের আয়াত ও বুযুর্গদের কথা কথায় কথায় পাখির বুলির মত বলতে থাকি । আমরা আমল করি না। সকালে আমাদের ঘুম ভাংগানা , কাছে আমাদের ফেসবুকে চ্যাট করতে করতে রাত পার হয় না । আমরা কি তবু ও মোনাফেক নই ? আর আমাদের যায়গা কি জাহান্নামের সর্ব নিম্ন স্তর নয় ? তবু আমরা মুমিন  , তবু আমরা জান্নাতের আশা করি , মনে হয় এ যেন কলার মত , ছিলকা তুলে খেয়ে ফেলার মত । আল্লাহ তুমি হেদায়াত দান কর । 

আর হা। এর পর ও আপনাকে যে পীর সাহেব কে বা যে আলেম নামের জালেম কে , বা কথিত ফেসবুকে সুন্নিয়াতের ধজাধারী কে  বা নিজেকে মোনাফেক মনে হয় না তাদের কি বলব যে আপনারা ইমাম বসরী (রহ) এর উক্তি থেকে শিক্ষা গ্রহন করুন ।


;- একবার একজন লোক হযরত হাসান বসরী (রহ) কে জিগ্গেস করল , মোনাফেক কি আছ ও বিদ্যমান ? তিনি বললেন যে ;- যদি বসরার অলিগলি থেকে সমস্ত মোনাফেক বের করে দেওয়া হয় তা হলে বসরা বিরানভুমিতে পরিনত হবে । (দাজ্জালের ফেতনা) 


ইমাম হাসান বসরী (রহ) সেই সকল তাবেয়ীদের মধ্য অন্তরভুক্ত যাদের নাম হযরত ওয়ায়েস ক্বারনী (রহ) এর পরেই আসে । কারন হযরত ওয়ায়েস ক্বারনী (রহ) সমস্ত তাবা তাবেয়ীন দের ইমাম ও মাথার তাঁজ । 

কি বলেছেন ইমাম হাসান বসরী ? যে যদি সকল মোনাফেক দের কে বের করে দেওয়া হয় বসরী থেকে তাহলে বসরা শহর বিরানভুমিতে পরিনত হবে । 

সেই যুগ ছিল সাহাবা (রা) গনের পরের যুগ । 

সেই যুগের অবস্থা যদি এই হয় তবে আজকের যুগে আপনি কি ভাবে নিজেকে মোনাফেকের খাতা থেকে দূরে রাখতে চান ? 

উত্তর আশা করছি ।

আমি একচা কিতাব পড়েছিলাম। নাম মনে আসছে না । 

তাতে ছুফিয়ান সাওরি (রহ) বলেছিলেন যে ;-  আমরা সাহাবা (রা)দের দেখে পাগল মনে করতাম । কারন তারা সারা রাত ইবাদত করত ও দিনে পাগলের মত চলাচল করত । 
আর তারা আমাদের কে বলত , দুনিয়ার পাগল (পুজারী) 


সাহাবাগন ছিলেন পাগলের মত , তারা আল্লাহর ভয়ে কম্পিত হয়ে পাগলের মত চলত । 
আর তাবেয়ীদের কে দেখে বলত এরা দুনিয়ার পাগল । 

আজ আপনারা শরির থেকে এলকোহল মিশ্রিত পারফিউমের খুশবুতে রাস্তার মশা মাছির ও কষ্ট হচ্ছে , আর আপনি কতই সুন্দর মুড নিয়ে চলছেন । শর্ট শার্ট চিপা জিন্স প্যান্ট আপনার শরিরে শোভা পাচ্ছে । ফোম সেব করেন জিলেট বা আরো ভালো ব্লেড দিয়ে । তবু আপনি ইমানদার ? হায় আবসোস ।

আরো একটু যোগ করছি , আর তা হচ্ছে -
আপনারা হয়ত নিজেকে মোনাফেকি থেকে পুত-পবিত্র মনে করছেন , যে এই সোহেল সকলকেই মোনাফেকের কাতারে কেন লাইনে দাড় করাল । 
;- মুয়াল্লা বিন যায়েদ বর্নানা করেন যে ;- আমি হযরত হাসান বসরী (রা) কে মসজিদে আল্লাহর নামে শপথ করে বলতে শুনেছি যে ;-কোন মুমিন এমন অতিবাহিত হয়নি , যে নিজেকে নেফাকির ভয় করেনি  । আর এমন কোন মোনাফেক অতিবাহিত হয়নি যে নিজেকে নেফাক থেকে পবিত্র মনে করেনি । তিনি আরো বলেন যে , যে নিজের ব্যাপারে নেফাকির ভয় করে না সে প্রকৃত মোনাফেক (সহিফায় মোনাফেক , জাফর বিন মুহাম্মদ ফারাবী লিখিত ) 

তো বলুন আপনি নিজে , এবার কোন খাতায় আছেন ? শুধরায় নিন । 

আরে যদি কঠিন করে বলি তবে ;- শুনুন। আজ আপনাদের ইমান মনে হয় ইস্পাত দিয়ে তৈরি হয়েছে । আজ আপনারা এক একজন জান্নাতের ঠিকাদারি নিয়ে নিয়েছেন , আর অপর পক্ষকে কাফের বলেন এটা সেটা হাজারটা । 

আল্লাহ যদি আপনাদের কে ক্ষমতা দিতেন , তা হলে আমার মনে হয় আপনারা গুটিকতক বাদে জান্নাতে কারোই প্রবেশ করার অধিকার দিতেন না , আর জাহান্নামের এক বিন্দু যায়গা আপনারা বাকি রাখতেন না নিজেদের প্রতিপক্ষদেক দিয়ে ভরিয়ে দিতেন সব । 

হযরত আয়ুইব (রহ) বলেন  যে হাসান বসরী (রহ) বলেছেন এমন কোন মুমিন  ব্যাক্তি  এই পেরেসানী ব্যাতীত সকাল সন্ধা অতিবাহিত করেন না ,  যে কখন নেফাকি আমার ভিতরে প্রবেশ করবে ও আমি গোমরাহ হয়ে যাব । 

কথিত পীরদের মুরিদ হয়েছেন আপনি , আপনার পীর সাহেব যে কি শিক্ষা দিল তা আল্লাহ ভালো জানে । আর হা। যদি পীর সাহেব তার মুরিদদের কে শিক্ষা দিয়ে শিক্ষিত করে তুলতে না পারে তবে এমন মুরিদের কারনে পীর সাহেব মজি যে জাহান্নাম এ যাবে তা কিন্তু বলার অপেক্ষা রাখে না । 

খোলা তলোয়ার। 

মাযহাব নিয়ে বাড়াবাড়ি না করা উত্তম (গাজালী রহ)

সত্য কিছু কথা , 
বন্ধু যদিও লাগে তিতা
করতাম আমি কিতা ? 

আজকাল লা মাযহাবি বিষয়টা একটা চরম আঁকার ধারন করেছে । এদের প্রধান মাত্র জাকির নায়েক। ওনেকে কাফের নায়েক বলে। আমি মনে করি না । 

আচ্ছা বন্ধু , আপনার  জানা আছে কি ? হোজ্জাতুল ইসলাম ইমাম গাজালী (রহ) লা মাযহাবি ছিল ? 

ঝটকা লেগেছে ?

ইমাম গাজালী সাহেব কে সকল মাযহাবি আলেম ও সুফীগন আকাবের মনে করে থাকে । 

আপনাদের যদি বিস্বাস না হয় তবে ;- ইমাম গাজালী সাহেবেরে (মাকতুবাত এ গাজালী ) দেখে নিতে পারেন। 

তিনি আরো বলেছেন যে ;- যারা মেযহাবিয়াত নিয়ে বেশি বাড়াবাড়ি করেন তা তিনি পছন্দ করেন না । 

আমি নিজে ওনেক ক্ষেত্রে ইমাম গাজালী সাহেব কে অনুসরন করে থাকি । নামায পাঠ করি ওনার মতেই।  এ খেত্রে যদি কেউ আমারে হানাফি মনে না করেন তবে ঠিক আছে । 

আর হা। আর একটা কথা বলে রাখছি যে ;- দেওবন্দি যারা আছ তাদের কে বলি তোমরা নিজেরা নির্দিষ্ট কোন এক মাযহাব অনুসরন কর না। যদি বিস্বাস না হয় তবে বেহেস্তি যেবার কিতাবের (মাফকুদের মাসায়েল) দেখে নিতে পারো।  সেখানে আসরাফ আলী থানবী সাহেব ইমাম শাফেয়ী (রহ) এর ফতোয়া তুলে ধরেছেন। 

মিল কথা হচ্ছে যে ; জাতির নায়েক কোন ফেরেস্তা নয় । তিনি ও মানুষ। তিনি ভুল করলে করতে পারেন। আল্লাহ তায়ালা ওনার ভাল কাজের অসিলায় ক্ষমা করে দিতে পারেন। তবে তিনি যা ভালো কিছু উপহার দেন তা আমাদের গ্রহন করতে আপত্তি না থাকার কথা । 

তবে যা তিনি ভুল বলেন তা দূরে রাখুন। 

আমি শুধু এটাই বলব যে ;- আমরা সকলে হোজ্জাতুল ইসলাম ইমাম গাজালী সাহেব কে ইজ্জত করি । আসুন না আমরা ওনার এই কথা টা ও মান্য করি , যে তিনি যেমন বলেছেন মাযহাব নিয়ে গোড়ামি পছন্দ করেন না । 
তিনি নিজের সতন্ত্র মতের অনুসারী ছিলেন। 

আমরা ও এটা নিয়ে বাড়াবাড়ি করা বন্ধ করি ।


তবে হা। আরো কিছু কুলাংগার লা মাযহাবি আছে যারা ইমাম আবু হানিফা (রহ) সহ অন্যান্য সম্মনিত ইমাম গনের সমালোচনা করে থাকেন। 
এই সকল সম্মনিত ইমাম গনের সমালোচনা করা মানে নিজের জাহান্নাম নিজ হাতে লিখে নেওয়ার সমান বলে মনে করি । 

তাই যদি কোন ইমামের অনুসরন আপনি করা প্রয়োজন মনে না করেন তবে সমালোচনা কি করে করতে পারেন ? 
আপনি কি সত্যি এত বড় পন্ডিত হতে পেরেছেন ? 
মধ্যমপন্থা অবলম্বন করুন। এটা উত্তম সকলের জন্য। 

রশীদ আহমেদ গাংগুহি হাজির ও নাযির , কিন্তু নবী হাজির নাযির হলে কুফরি

ওনেকদিন কোন নতুন পোষ্ট করা হয়নি । শুধু টালবাহানা করে দিন চলে যাচ্ছে । আজ একটা প্রশ্ন দেওবন্দি গনের কাছে । জবাব টা ইমানি দায়িত্ব মনে করে দিন তো আমাকে । 

তাযকিয়াতুর রাশীদ কিতাবের লেখক আশেক এলাহি মারাঠি নাগীনা শহরের মৌলভী মাহমুদুল হাসানের একটা বর্ননা দিয়েছেন যে (- 
যে মাহমুদুল হাসান সাহেব বর্নানা করেছেন যে ;- আমার সেই ভাগ্যবতি আম্মাজান আমার আব্বাজানের সাথে ১২ বছর মক্কা শরিফে অবস্থান করেন । তিনি খুবই ধার্মিক ও ধর্মপরায়ণ ছিলেন ও তার শত শত হাদীস মুখস্ত ছিল ।তিনি আমাকে বলতেন যে বৎস , হযরত গাংগুহির শত শত শাগের্দ ছিল কিন্তু হজরত কে কেউ চিনতে পারেনি ।আমি যখন মক্কা শরিফে ছিলাম তখন প্রতিদিন হযরত কে হেরেম শরিফে ফজরের নামায পড়তে দেখেছি এবং লোকদের কাছ থেকেও শুনেছি যে ইনিই হযরত গাংগুহি যিনি গাংগোহ থেকে প্রতিদিন তাশরীফ অনয়ন করতেন ( তাযকিয়াতুর রশীদ, ২য় খন্ড পৃ ২১২) 

পাঠক মন্ডলি । যদি আপনাদের চোখ ঘুমে কাতর না হয় তবে নিশ্চয় পড়েছেন । 
এখানে এই বিষয়টা কিন্তু পরিষ্কার যে উক্ত মহিলার বর্ননা মোতাবেক গাংগুহি সাহেব প্রতিদিন ফজর পড়তেন পবিত্র হেরেম শরিফে । 
আর যদিও মক্কা শরিফ ও গাংগোহ এর সময়ের বিশাল তারতম্য আছে সুর্য উদয়ের এর কারনে তবু যদি কেই বর্তমান সময়ের অত্যাধুনিক বিমানে করে যেতে চায় তবুও চার ঘন্টার আগে না যাওয়া সম্ভব না আসা সম্ভব । তো প্রতিদিন যেতে আসতে যদি ৮ ঘন্টা সময় লাগে তবে তিনি যেখানে থাকেন সেখানকার লোকজন ও বিষয় টা জেনেই যাবেন । কিন্তু অন্য কেউ এমন বর্ননা করেছেন বলে প্রমান নাই । 
বরং উক্ত বর্ননা থেকে এটা প্রমান হয় যে গাংগোহ সাহেব একই সময় গাংগোহ ও হেরেম শরিফে অবস্থান করতেন। 
কাকন তিনি ফজরের নামায প্রতিদিন বাড়ির পাশের মসজিদেই আদায় করতেন তার প্রমান আছে আমাদের কাছে তাদের কিতাব থেকে । এ নিয়ে ও একটা এমন উদ্ভট কাহিনি আছে যা পরবর্তি সময় প্রকাশ করা হবে ।

আপাতত শুধু এটা মনে রাখুন যে হযরত গাংগুহি সাহেব গাংগোহ ও পবিত্র হেরেম শরিফে একই সময় অবস্থা করতেন। 

আর যদি দেওবন্দিগন এটা মানতে রাজী না থাকেন তবে এই বর্ননা মোতাবেক গাংগুহি সাহেব প্রতিদিন কটা বেজে যাত্র করত গাংগোহ থেকে ও কটা বাজে ফিরে আসত কি তার বাহন ছিল সকল প্রমান পেশ করুন ।

বিষয়টা যেহেতু হাজীর নাযির নিয়ে হচ্ছে তাই বিষয়টা আর একটু লম্বা করে সকলেকে অবগত করার চেষ্টা করছি । 

আর একটা ঘটনা শুনে রাখুন আগে । এর পর ফায়সালা শুনবেন /
হাজী দোস্ত মোহাম্ম্দ খান মাওলানা রশীদ আহমেদ গাংগেহীর একান্ত বিস্বস্ত খাদেম ছিলেন । তার স্ত্রীর রোগের বর্নানা বর্নানা করেছেন আশেক এলাকা মারাঠি সাহেব । চলুন দেখা যাক -( হাত পা অবশ হয়ে গেছে , উর্ধ শ্বাস সুরু হয়ে গেছে , হাত পা ঠান্ডা হয়ে গেছে ।স্ত্রীর প্রতি হাজী সাহেবের অগাধ মুহাব্ব্ত ছিল । তিনি এসে দেখলেন অবস্থা খারাপ । পাশে বসে সুরা ইয়াছিন পাঠ করতে শুরু করলেন । স্ত্রীর মিত্তু যাতনা শয্য হচ্চিল না । হাজী সাহেব এ দৃশ্য দেখে শয্য করতে পারল না । সাথে সাথে মোরাকাবায় বসে গাংগুহি সাহেবের দিকে মনোনিবেশ করল । আর বলল যে যদি শেষ সময় এসে যায় তবে যেন এর শুভ সমাপ্তি হয় আর যদি হায়াৎ থেকে থেকে বাকি তবে তিন দিন থেকে যা কষ্ট যাতনা ভোগ করছে তা যেন লাঘব হয়ে যায় ।
মোরাকাবা শেষ হওয়ার আগেই রোগী (হাজী সাহেবের স্ত্রী) চোখ খুলল কথা বলা শুরু করল ।সম্পুর্ণ সুস্থ হয়ে গেল , ও দুই তিন দিন পর শক্তি ও এসে গেল (তাযকিয়াতু রাশীদ খ ২ পৃ ২৩১) 
এর পর আর একটু পড়ে নিন , আর তা হচ্ছে;- 
হাজী দোস্ত মোহাম্মদ খান প্রায় সময় বলতেন যে ;- যে সময় আমি মোরাকাবায় বসেছিলাম সেই সময় আমি হুজুর কে আমার সামনে দেখেছি ।
এর পর আমার এমন অবস্থা হল যে আমি যে দিকে নজর দিতাম তিন দিন পর্যন্ত সেই দিকে ইমাম রাব্বানী হযরত গাংগুহী কে দেখতাম (তাযকিয়াতুর রশিদ ২ খ ২২১ পৃ ) 

এই খানে আবার ও কিন্তু চতুর্দিকে কাউয়া খোর রশিদ গাংগুহি কে দেখার কতা হলা হয়েছে । লক্ষ করেছেন কি আপনারা ? 

এ খানেও একই সময় ১ এর অধিক যায়গায় গাংগুহী সাহেবের উপস্থিতির কথা বলা হয়েছে । 

আগে মোরাকাবায় বসে গায়রুল্লাহর ধ্যান করা নিয়ে গাংগুহী সাহেবে ফতোয়া টাও দেখি নিন( 

প্রশ্ন ;- কোন একজন জিগ্গেস করল যে মোরাকাবায় বসে আওলিয়া কেরাম গনের ধ্যান করা কেমন ? এটাও জানতে ইচ্ছুক যে যখন ওনাদের ধ্যান করা হয় তখন ওনাকে আমাদের পাশে উপস্থিত হয়ে যায় এবং আমাদের জানা হয়ে যায় এমন বিস্বাস রাখা কেমন ? 

উ: এ রকম ধ্যান করা ঠিক নয় , এতে শিরকের সম্ভোবনা রয়েছে , এমন ধ্যান করা ঠিক নয় (ফতোয়ায় রাশিদিয়া ) ১ম খন্ড পৃ ৮ 

উপরের ফতোয়া থেকে এটা প্রমান হয় যে পীরের ধ্যান করা মোঠেই ঠিক নয় বরং শিরক হতে পারে । আর হাজী দোস্ত মোহাম্ম্দ খানের এই কর্মকান্ডের কারনে তিনি মুশরিকদের অন্তরভুক্ত হতে পারেন বা তিনি মুশরিক হয়ে গেছেন।  আর এমন লোকের বর্ননা প্রচার করা হচ্ছে তাদের বুযুরগ দের শান ও মান ইতা করার  জন্য । করতে থাকুন। এতে আমাদের কোন আপত্তি নাই । কারন আপনারা তো আপনাদের ফতোয়া মোতাবেক নিজেদের ইমান ধংস করেছেন। আমাদের কিছু বলার দরকার নাই ।

কথা হচ্চিল হাজীর ও নাযির বিষয় । 

উপরে একই সাথে একের অধিক যায়গায় উপস্থিত হওয়ার ২ টা ঘটনা বর্নানা করা হয়েছে যে এক গাংগুহী সাহেব হেরেম শরিফে প্রতিদিন ফজর আদায় করতেন ।

আর হাজী দোস্ত মোহাম্মদ খানের সামনে মোরাকাবা অবস্থায় হাজীর ছিলেন এমন কি সেই ঘটনার পর তিন দিন পর্যন্ত গাংগুহী সাহেব হাজী দোস্ত মোহাম্ম্দ এর নজরেই ছিলেন। হাজী দোস্ত মোহাম্মদ যে দিকে নজর ফিরত সেই দিকে ছিলেন গাংগুহি সাহেব । 


কিন্তু আমরা যদি বলি যে মিলাদ মেহফিলে নবী পাক তাশরীফ আনতে ও পারেন , কারন ওনার প্রতি দরুদ ও সালাম পেশ করা হয় মুহাব্ব্তের সাথে , হয়ত তিনি চাইলে এই আদনা আদনাছা গোলামদের কবুল করে আসতেও পারেন ।

কিন্তু এমন কথা অস্বীকার করে আশরাফ আলি থানভী সাহেব লিখেছেন কি তাও দেখুন (-
যদি একই সময় একের অধিক যায়গায় মিলাদ মেহফিল অনুষ্ঠীত হয় তবে কি সব যায়গায় তাশরীফ নিয়ে যাবেন ? না কি এক যায়গায় ? 
যদি কোল যায়গায় তাশরীফ নিয়ে যান ও কোন যায়গায় না নেন ,তা হলে এটা বিনা কারনে অগ্রাধিকার বুঝায় । যদি সব যায়গায় তাশরিফ নিয়ে যান মনে করা হয় তাহলে তার অস্বতিত্ব যেহেতু এক , তবে হাজার যায়গায় কি ভাবে যেতে পারে ? ( ফতোয়ায় এমদাদীয়া ২ খন্ড ৫৮ নং পেজ) 


উপরে আশরাফ আলী থানবীর এই বক্তব্য মোতাবেক নবী পাকের অস্তিত্ব এক । তাই তিনি একের অধিক যায়গায় পৌঁছতেই সক্ষম নন ।এটা কথা বলে তিনি মুলত এই বিষয়টা অস্বীকার করে গেছেন । 

এখন আমার প্রশ্ন হচ্ছে 

(১) যে গাংগুহি কি করে এক অস্তিত্ব নিয়ে এক সাথে গাংগোহ এ হেরেম এ পৌঁছালেন নামায আদায় করার জন্য ? 

(২) কি করে তিনি হাজী দোস্ত মোহাম্ম্দ খানের মোরাকাবায় রাজীর হলে। ? 

(৩) কি করে হাজী দোস্ত মোহাম্ম্দ খানের সামনে তিন দিন পর্যন্ত চতুর্দিকে নিজেরে প্রকাশ করলেন ? 

আর হা , জনাবে ওয়ালা আশরাফরা আলী থানবী মিয়া আপনি তো একই অস্তিত্ব নিয়ে কি করে এ কাজ করলেন ? 
নিচে দেখুন ;-  

কিন্তু আপনারা জেনে বিশ্বিত হবেন যে দেওবন্দের মুজাদ্দেদ , হাকীমুল উম্মত আশরাফ আলী থানভী যেকোনো সময় যেকোনো মুহুর্তে এক এর অধিক জাগাতে হাজির হয়ে নাজির (সুনতে) পারেন। এমন কি লোকদের কে সাহায্য ও করতে পারেন। দেখুন 
আশরাফ আলী থান্বির কিতাব (বেহেস্তি যেবার) এর ১ খ এর ৯ নং পৃষ্টায় লিখেছেন ( কারামত ) এ থানবী তে ৭ নং কারামত এ যে ;- 

তাহার জৈনিক খলিফা বলেন যে একবার আলিগরের শিল্প-প্রদর্শনীতে দোকান খুলিয়াচিলাম। তো মাগরিবের পর কোনো এক দোকানে আগুন লেগে যায়। আর আমি আমার দোকানের সমস্ত মালামাল দোকানের ভিতর থেকে বাহির করছিলাম কিন্তু আমার আকার পক্ষে সম্ভব হচ্ছিল না। হটাথ দেখি সেখানে হাকীমুল উম্মত আশরাফ আলী থানবী। তিনি আমাকে সাহায্য করছেন দোকানের মালামাল বাহির করতে। তাই আমার বিশেষ কিছু ক্ষতি হয় নাই। পরে খোজ্নিয়ে দেখি হজরত তখন থানা ভবনেই অবস্থান করছিলেন। part 1 page 9 

এখন কি জবাব দিবেন কোন দেওবন্দি ? 

আমার নবীর অস্তিত্ব এক হওয়ার কারনে একই সময় এক এর অধীর যায়গায় উপস্থিত হতে পারেন না কিন্তু গাংগুহি ও পারেন থানবী পারেন ।

এই হচ্ছে দেওবন্দিদের কাছে শানে রিসালাত ।
এই হচ্ছে দেওবন্দি দের কাছে মাকামে মাহমুদ 

এই হচ্ছে ওদের কাছে হোব্বে রাসুল 


হে মুসলমান।  যদি ইমান থাকে সামান্য তবে এর বিচার আপনারাই করুন। 

আর যদি ইমানের পাল্লায় রাসুল আকরাম (সা) এর চেয়ে গাংগুহি ও থানবী বড় হয়ে থাকে তো 
আস সালাম 

দেওবনদিরা বিয়ের আগে তালাক নামা লিখে রাখে

আজকে একটা আজব বিষয় জেনে রাখুন 

যদিও বা আগে এ নিয়ে পোষাট করা হয়েছিল কিন্তু এর ক্ষতিকারক দিক গুলো পুংখানু রুপে প্রকাশ করা হয় নি । 

আজ জবাব দিতে গিয়ে এটা সম্পুর্ণ রুপে আলোচনা করছি ।

বিষয় হচ্ছে বিয়ে ও তালাক ।

হাবু ডুবু তার পোষ্ট এডিট করে আমার নামেয চালায় দিয়েছে যে সে প্রেম করি নাই বা এটা সেটা নানান টা ।
আমি শুধু এদের কে যাতে সাধারন নিজের মেয়ে না দেয় তার জন্য সাবধান করার তাগিদে এই পোষ্ট করছি ।
আগে ফতোয়া টা পড়ে নিন ;- 

     দেওবন্দী দের মুজাদ্দে আশরাফ আলী তার কিতাব (বেহেস্তি জেবর ) ৪ নং খন্ডের ৪১ নং পেজ এ  বলা হয়ছে যে মেয়েরা চাইলে আগেই বিয়ের বা বিয়ের সময় তালাক নামা লিখে রাখতে  পারেন ৷ কারণ পরে অনেক সমসা হয় যেমন অনেক দিন খোজ খবর নাই ,নিখোজ , বিদেশে গেছে আর আসেনা , ভালো সম্পর্ক নাই  এই সকল বিষয়ের জন্য অনেক সময় তালাক দিয়ে চাইলে ও পাওয়া যায় না  তাই বিয়ের সময় একসাথে তালাক নামা লিখে রাখলে পরে তালাক দেয়ার বিসয় কোনো সমস্যা হয় না ৷ সে ক্ষেত্রে ছেলের বাবার ও সকলের সই করিয়ে একটা তালাক নামা করে রাখা ভালো ৷


উক্ত কথা গুলো কেন বলেছেন আশরাফ আলী থানভী সাহেব তা মনে হয় থানবী সাহেব ভালো করেই জানেন । 

কারন দেওবন্দিদের চরিত্র কি আর তিনি কি জানতেন ? 

এরা ছাত্রদের সাথে মাদ্রাসায় কুকাম করে হাজারো  তার প্রমান দেখুন ;-
(১) কাসেম নানুতভী ও গাংগুহী 

(২) এই লিংক এ তাদের সমকামিতার বিশাল ভান্ডার তুলে ধরা আছে তাদের কিতাব ও বর্তমান সময়ের ঘটে যাওয়া কিছু ঘটনার ইতিকথা 

আর যাদের চিরত্র এমন যে ভালো সুন্দর ছেলে দেখলেই জীভে পানি চলে আসে , তারা কি করে নওজয়ান ছেলেদের কে তাবলীগে জোর করে ডেকে নিয়ে গিয়ে ঠিক থাকতে পারে তার জবাব আশা করছি ।

আর যারা এই তাবলীগে যায় নিজেদের বউ কে রেখে তাদের কি দরকার আছে বউয়ের ? যদি সমকামিতায় লিপ্ত হতেই দিন চলে যায় ? 
জবাব দিবেন ।

আর এদের বউদের কে এরা একটা খোলা রাস্তা তৈরি করে দিয়েছে , যে এদের চাহিদা যা শারীরিক তা তো ছেলেদের দিয়েই তারা পুরণ করে থাকে , কিন্তু বেচারি বউয়ের তো হয় বেহাল দশা । 

তাই যদি বউ কোন বড় কথা বলতে না পারে সেই জন্য আগে থেকেই তালাক নামায় সই করে রেখে দেয় , তাকে বউ বেশি কথা বললে হাতে ধরিয়ে দিতে পারে । 

আর যারা এমন প্রকৃতির তাদের কাছে বউয়ের সাথে এমন আচরন করা বড় কোন কথা নয় । 

এই ফতোয়া যদি বাংলাদেশের ঘরে ঘরে পৌছে দেওয়া যায় ও সকল মেয়ের বাবা রা যদি সচেতন হয় তবে দেওবন্দিদের কপালে বউ জুটা ভাগ্যের বিষয় হয়ে দারাবে ।

তাদের যৌনকামনা পুরা করার জন্য সমকামিতায় লিপ্ত হওয়া ছারা আর কেন রাস্তা থাকবে না । 


এবার দ্বীতিয় বিষয় হচ্ছ যে ;- এরা তো সমকামিতায় লিপ্ত হয়ে নিজের যৌনাংগের হাল বেহাল করে রাখে , কাজের থাকে না বলেই মনে হয় তাদের গুরুভার কিতাব থেকে । 

একবার যদি এক নজরে চোখ দিয়ে দেখে বিবেক দিয়ে উত্তর দিতেন তবে কৃতজ্ঞ হতাম । 
দেখুন 

১. এড়ে গরুর লিঙ্গ সুরমার নেয় মিহি করিবে ৷ আর তাতে মধু মিশ্রত করিয়া সঙ্গমের পূর্বে সবন করিবে ৷ ইহাতে নিস্তেজ লিঙ্গ ও সতেজ হয়ে উটবে (বেহেস্তি যেবার ৯ম খন্ড পেজ নং ১১৯)

২. কুত্তার লিঙ্গ কাটিয়া লইবে ৷ ইহা সঙ্গমের পূর্ব উরুতে বাধিয়া লইবে ৷ ইহাতে রতি সক্তি ব্রিধি পায় ৷ ইহা উরুতে বাধা থাকা কালীন লিঙ্গ নিস্তেজ হইবে না ৷ কামাগ্নি প্রজ্জলিত থাকবে ৷(বেহেস্তি যেবার ৯ম খন্ড পেজ ১১৯ )

৩. কুকুরের সঙ্গম কালে যখন সক্তভাবে পাগিয়া যাইবে তখন খুব সাবধানতার সহিত পুরুষ কুকুরের লেজ গড়া হইতে কাটিয়া লইবে ৷ উহা ৪০ দিন মাটির নিচে পাতিয়া রাখিবে ৷অতপর উহা বের করে সুতায় গেথে কোমরে বাধিবে ৷ যতক্ষণ উহা কোমরে থাকি এ ততক্ষণ বীর্যপাত হইবে না ৷


এই হচ্ছে এদের যৌন রোগের চিকিত্সা । এরা কখন ও কুত্তার লিংগ কাটে আবার কখন ও লেজ কাটে আবার কখন ও ষাড় এর সোনা খায় বউ কে খুশি করার জন্য ।

এদের যৌন রোগ একবার কি দেখেছেন কত ভয়ংকর ! 

কোন মেয়ে কি এই সব বিষয় মেনে নিবে কুত্তার লিংগ কমরে বেধে ইয়ে করার জন্য ? 

এদের কে কি কোন মেয়ের বিয়ে করা উচিত ? যাদের আগে থেকেই কুত্তার লিংগ আর লেজ ভরসা হয়ে থাকে ? 

জবাব দিবেন । 



দেওবন্দিদের ইংরেজ প্রীতির দলিল তাদের কিতাব থেকে

হ্যাছা নিন্দে পেঁচা , সর্গে নিন্দে তারা , 
নিজে মাইয়া টা টাউয়া গালি ,
ভাতারক কয় ট্যারা ।
এটা আমার রংপুরের আন্চলিক ভাষায় একটা মুখে মুখে প্রচলিত প্রবাদ । যার মর্মার্থ হচিছে কেউ নিজের দিকে দেখে না , কিন্তু পরনিন্দা করতে করতে তার সময় সঙ্কুলান হয় না । 

আবদুল্লাহ আহমেদাবাদী এমন একজন । 
যিনি শুধু লেগে থাকে আহলে সুন্নাহ এর আলেম, পীর, মাশায়েখ ও বুযুরগানে দ্বীনের দোষ চর্চা ও তাদের সামলোচনা করতে । 

আমি এবার শুধু তার কিছু জবাব দিলাম ও চোখে আংগুল দিলাম যে আসলে কারা কি ? 

এদের যারা বুযুর্গ তাদের শুরু পাওয়া যায় সাইয়েদ আহমেদ ব্রেলভী । যিনি কথিত দারুল হারব এর ফতোয়ার প্রবর্তক ও আওর মোহাম্ম্দি তরিকার জনক ও ওহাবি নজদি বাদিদের আমদানি কারক ও প্রচারক ছিলেন আহলে হাদীস ওলা মাযহাবীদের প্রতিষ্ঠাতা । 
এবার শুরু করা হোক সেই সাইয়েদ আহমেদ থেকে । 
বালাকোটি যারা আছ তারা একটু সয্য করে নিও আজকের জন্য । আমি তোমাদের সাথে ফেতনা তৈরি করতে চাই না , তবে বাধ্য হলাম আবদুল্লা কুলাংগার এর জবাব দেয়ার জন্য ।


লক্ষ্য করুন ;- the indian muslim কিতাবে তত্কালীন ইংলিশ জেনারেল ডব্লিউ ডব্লিউ হান্টার ৩ নং পৃষ্টায় লিখেছেন যে : পাঞ্জাব সীমান্তে বিদ্রোহের গোড়াপত্তন করে সাইয়েদ আহমাদ , কুখ্যাত এক দস্যুর অশ্বারোহী রূপে জীবন সুরু করে ও বহু বছর যাবত মালওয়া অঞ্চলে আফিম সম্মৃদ্ধ গ্রামগুলোতে লুটতরাজ চালায়। রঞ্জিত সিংহের নেত্রীতে উদীয়মান সক্তি পার্শ বর্তী মুসলিমদের উপর যে নিস্গেধাগ্গা আরোপ করে তাতে মুসলিম দস্যুদের কার্যকলাপ বিপদসংকুল হয়ে পরে ও দস্যু বৃত্তি লাভজনক থাকে না ( the indian muslim ) পৃষ্টা ৩-৪ 

এর পর আবার দেখুন :- শিকদের গোড়া হিন্দুয়ানির কারণে উত্তর ভারতে মুসলমানদের উত্সাহিত করতে থাকে। সাইয়েদ আহমাদ অত্যান্ত বিচক্ষনতার সহিত দস্যু বৃত্তি ত্যাগ করে ও ১৮১৬ খ্রিস্টাব্দ নাগাদ চলে যান ইসলামের এক সুবিখ্যাত পন্ডিতের নিকট (শাহ আব্দুল আজিজ ) the indian muslim পৃষ্টা ৪ 

এখান থেকে সুস্পস্ট প্রমানিত সাইয়েদ আহমাদ একজন কুখ্যাত ডাকাত ছিল পরে রঞ্জিত সিংহের বিচক্ষনতার কারণে যখন দস্শুবৃত্তি লাভজনক থাকে না তখন তিনি দস্যু বৃত্তি ত্যাগ করে শাহ আব্দুল আজিজ সাহেবের কাছে যান।  

দেওবন্দী দের কিতাব ( দেওবন্দ আন্দোলন , ইতিহাস , ঐতিয্য ও অবদান ) বাংলাদেশ কৌমী শিক্ষা বর্ড থেকে পাঠ্য পুস্তক হিসেবে প্রকাশিত ৯৯ নং পৃষ্টায় লিখেছেন যে ;- শাহ আব্দুল আজিজের নিকট সাইয়েদ আহমাদ গেলে তাকে একটা কিতাব পড়তে দেন। তখন তাকে কিতাবের প্রতি অন্যমনস্ক দেখে শাহ আব্দুল আজিজ সাহেব জিগ্গেস করেন পড়ছ না কেন ? তখন সাইয়েদ আহমেদ জবাব দেন যে আমি কাছের কোনো কিছু দেখতে পাই না ( দেওবন্দ আন্দোলন ) পৃষ্টা ৯৯-১০০

এখান থেকে একটা জিনিস প্রমাণিত যে সাইয়েদ আহমাদ কানা ও ছিল। আসলে সারা জীবন করেছে আফিমের খেত লুট এখন সামনে আঙ্গুর রাখলে কি তার চোখে পড়বে ? দেওবন্দী, বালকটি ,গোলাপী , আহলে হাদিস রা বলে সাইয়েদ আহমাদ নাকি মুজাদ্দেদ। আসলে সে নিজে ছিল কানা আর কানাদের জন্য ছিল মোজাদ্দেদ। আমাদের না।  

দি ইন্ডিয়ান মুসলিম কিতাবের ৫ নং পৃষ্টায় লিখেছেন যে ৩ বছর সে শাহ আব্দুল আজিজের সাহেভের কাছে থাকেন এর পর সম্পুর্ন নতুন রূপে লোকদের বায়েত নেওয়া সুরু করেন ( আওর মোহাম্মদী তরিকায়) ও নিজেই ধর্মের প্রচারক রূপে আত্মপ্রকাশ করেন। ফলে কিছু দুর্ধর্ষ একদল ভক্ত অনুসারী তার পশ্চাতে সমবেত হয়।  

এখান থেকে একটা বিষয় লক্ষ্য করুন যে সে ডাকাতি ছেড়ে দিয়ে ৩ বছরে সে একজন ধর্মীয় প্রচারক ও সম্পুর্ন নতুন এক তরিকার জন্ম দেন যাকে আওর মোহাম্মদী তরিকা বলা হয় বাংলাদেশের ( ফুলতলী,যৌনপুরী,আট রশি ,সরছিনা , চরমোনাই , রাজারবাগ, চন্দ্র পারা,কুতুববাঘ, দেওয়ানবাগ ,সুরেশ্বর )এই সিলসিলার অন্তির্ভুক্ত , এদের সেজরার (বুজুর্গ দের লিস্টে)'র ৩৬ নং এ  সাইয়েদ আহমাদ এর নাম আছে ) 
অথচ দেওবন্দী গণ সাইয়েদ আহমাদ কে মোজাদ্দেদ মানে কিন্তু তার তৈরী (আওর মোহাম্মদী ) তরিকা মানে না।  

দি ইন্ডিয়ান মুসলিম কিতাবের ৫ নং প্রিস্তাই লিখেছেন যে ১৮২২ সালে হজ্জ করতে যায় পরের বছর অক্টোবর এ ফিরে আসে ও রায় বেরেলি (তার জব্মস্থান) এ কিছু অশান্ত প্রকৃতির লোক কে তার দলে টেনে নেয়। এর পর সে ধর্মান্দ কুসংস্কারাচন্ন  পাঠান অধ্যুষিত এলাকায় যায় এবং পবিত্র জিহাদ এর দাওয়াত দেয় , আর বলে যে পরিমান হিন্দুদের সম্পদ লুট হবে জারা বেছে যাবে যুদ্ধে থেকে তারা এক বিশাল পরিমান সম্পদ নিয়ে ঘরে ফিরতে পারবে।  
পাঠানরা তার কোথায় সম্মত হয় ও সাইয়েদ আহমাদ ও এটাকে কাজে লাগায় পুরাণ দুস্মনির জবাব দেয়ার জন্য ( দি ইন্ডিয়ান মুসলিম ) পৃষ্টা ৫ 

এখান থেকে একটা জিনিস প্রমাণিত যে দস্যু বৃত্তি করার সময় রঞ্জিত সিংহের সাথে থাকা পুরাণ দুস্মনির জন্যই সাইয়েদ আহমাদ শিখদের সাথে যুদ্ধে জড়িয়েছিলেন। আর পাঠান রা আজ ও পাগলের মত , পাঠান দের কে দেওবন্দিদের মুজাদ্দেদ আশরাফ আলী থানবী অনেক খানে বেজ্জাত করেছেন ( দেখে নিন মুসলমানের হাসি পৃষ্টা (ইফাজাতুল য়াওমিয়াহ ) পার্ট ২ পেজ ২৮৬ (হৃদয় ছোয়া কাহিনী পৃষ্টা ৩১) এই কুসংরাচন্ন পাঠান রা লুটতরাজ এর জন্যই সাইয়েদ আহমাদ এর সাথ দিয়েছিল।  

এবং সেই পাঠানদের মেয়েদের সাথে জুলুম করার কারণেই পলানোর সময় বিপদে পরে থাকা শাহ ইসমাইল দেহলবী কে সাহায্য করার সময় শিখদের হাতে নির্মম ভাবে মিত্তু বরণ করেন ( দি ইন্ডিয়ান মুসলিম ) ১১ নং পৃষ্টা 

ডব্লিউ ডব্লিউ হান্টার এর এই কিতাবে তিনি কোনো খানেই লিখে যান নাই যে সাইয়েদ আহমাদ ইংরেজদের কে লক্ষ্য করে একটা বুলেট চুরেচেন।  
অথচ দেওবন্দিদের মুখে সুধু সাইয়েদ আহমাদ এর গুন্কির্তিন শোনা যায়।  

তাদের নিজের হাতে লিখা কিতাব ( দেওবন্দ আন্দোলন ) এর ৯৯-১৩৬ পর্যন্ত মোট ৩৭ পেজ এ সাইয়েদ আহমাদ এর জীবনী বর্ণনা করেছেন। তারা নিজেরাই সেই কিতাবে লিখতে পারে নাই যে সাইয়েদ আহমাদ ইংরেজদের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করেছেন। আমু ডি ইন্ডিয়ান মুসলিম কিতাবের a-z পর্যন্ত ও দেওবন্দ আন্দোলনের ৯৯-১৩৬ পর্যন্ত সকল পৃষ্টা দিব।কোনো দেওবন্দী মায়ের লাল থাকলে যেন আমার চলেংজ করে।  

আব্দুল ওয়াদুদ এর লিখা কিতাব (ওয়াহাভি আন্দোলন) লিখেছেন যে - সাইয়েদ আহমাদ সৌদি তে গিয়ে ওহাবী শিক্ষায় দীক্ষিত হয়ে আসে ও উপজাতি অঞ্চলগুলোতে সুন্নি মুসলিমদের কে মুশরিক মাজার পুজারী ও তাদের ধন সম্পদ গনিমত বলে ফতোয়া প্রদান করেন। যখন সাইয়েদ আহাম্মক জিন্দা ছিলেন তখন পুরা হিন্দুস্তান এ ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানির অধীন পুরা ছিল না৷ আর তখন সকল মুসলিম রা জিহাদ এর জন্য এক পায়ে খাড়া ছিলেন কিন্তু সাইয়েদ আহমাদ দেশের ভিতরে না থেকে সকল মুসলিম কে একখানে না করে তাদের কে কোন পথ না দেখিয়ে তিনি পার্শবর্তী মুসলিম রাজ্য গুলো যেমন সোয়াত ,ইউসুফ যাই ( মালালা ইউসুফ যাই এর এলাকা ) , কাবুল , কান্দাহার , পেশাবর , উজিরিস্তান , এই সকল এলাকায় হামলা চালান যাতে করে হিন্দুস্থান এর মুসলিম দের দিকে তারা নজর দিতে সময় না পান ও পাঞ্জাব এর শিকদের সাথে তিনি খন্ড খন্ড ২-১ তা যুদ্ধে লিপ্ত হন তাতে ও গো হারা হেরে পলায়ন করেন ৷ (ওহাবি আন্দোলন ১-৮৭ পৃষ্ট )

মুসলিম রাজ্য গুলোতে এত পরিমান অত্যাচার করেছেন তা( ওহাবী আন্দোলন ) আব্দুল মৌদুদ এর লেখা দেখলে চোখে পর্বে আর সেই কিতাব এর স্ক্রিন শুট এর প্রজন বলে বলিয়েন আমি দিয়ে দিব ৷
আর তিনি ঠিক মুসলিমদের কে আব্দুল ওহাব নজদি এর মত সুন্নি মুসলিমদের কে মুশরিক ও তাদের যান মাল গনিমত বলে ফতোয়া দেন ৷ আর এইকারণে যত মুসলিম ঘর উজার হয়ছে তার হিসাব একমাত্র আল্লাহ জানেন আর ইতিহাস সাক্ষী৷ (ওহাবি আন্দোলন পৃষ্টা ৩৪)

শিক দের সাথে২-১ তা যুদ্ধ করেছেন তাও আবার ইংরেজ দের জন্য. ৷কারণ তখন পাঞ্জাব ছিল ইংরেজ মুক্ত আর সেনাপতি রঞ্জিত সিং ছিলেন এক বাহাদুর ও বিচক্ষণ সেনাপতি৷ আর ইংরেজদের সাথে কয়েকবার তাদের মোকাবেলা হয় কিন্তু ইংরেজরা কোনো কিছুই পান নাই তাই সাইয়েদ আহমাদ কে দিয়ে শিকদের কে চাপে রাখেন ও ইংরেজদের ও চেষ্টা অব্বাহত থাকে ৷ শেষে ইংরেজদের সাথে শিকরা ইংরেজদের সাথে সন্ধি করেন৷
তাওয়ারিখে অজীবাহ নামক কিতাবের ১৮২ নং পাগ বলা হয় যে সাইয়েদ সবের কোনো ইচ্ছা ছিল না ইংরেজদের সাথে যুদ্ধ করার ৷ তিনি বরং ইংরেজদের রাজত্ব কে নিজের রাজত্ব মনে করতেন ৷ তিনি যদি ইংরেজ বিরোধী হতেন তা হলে কিভাবে অনার কাছে সাহায্য পৌঁছত সে সময় ?তবে ইংরেজদের চেষ্টা ছিল সাইয়েদ আহাম্মক এর দিয়ে শিকদের চাপে রাখতে ৷

আবুল হাসান আলী নদভীর লেখা ( ছিরাতে সাইয়েদ আহমাদ) ১ম খণ্ডের ১৯০ নং পেজে বলেন যে সাইয়েদ আহম্মক সবার সামনে ইংরেজ বিরোধী ওপরে দেখালেও তিনি তার সাথের মৌলবী মুফতি গণ গোপনে ইংরেজদের কাছ থেকে সাহায্য ও সহযোগিতা নিতেন ৷

সাইয়েদ আহমাদ এর প্রধান সেনাপতি মহা পন্ডিত শাহ ইসমাইল দেহলবী একবার কলকাতা এর মসজিদে শিখদের বিরুদ্ধে জেহাদ এর দাওয়াত দিতেছিল এমন সময় একজন লোক বলে উঠে যে আপনি ইংরেজ দের বিরুদ্ধে যুদ্ধের দাওয়াত করছেন না কেন ? ইংরেজদের বিরুদ্ধে যুদ্ধ ঘোসনা না করে শিখদের বিরুদ্ধে যুদ্ধের দাওয়াত দিতেছেন ?
শাহ ইসমাইল বলেন যে ইংরেজর আমাদের কোনো ধর্মীয় বিসয়াদি তে ও কোনো প্রকার অসুবিধা এর সম্মুখীন করছে না তাই এদের বিরুদ্ধে যুদ্ধ ফরজ তো দূর ওয়াজিব ও না ৷ ইংরেজদের ওপর যদি কেউ হামলা চালায় তো ইংরেজদের হয়ে তাদের বিরুদ্ধে আমাদের যুদ্ধ করা ফরজ কারণ আমরা তাদের প্রজা ৷ কিন্তু পাঞ্জাবে যখন আমাদের মুসলিমদের সমসা হচ্ছে তাই তাদের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করা প্রজন ।

মির্জা হায়াত দেহলবী প্রণীত ( হায়াতে তায়য়েবাহ ) শাহ ইসমাইল এর জীবনী গ্রন্থ পেজ ২৭১ 

মুন্সী মোহাম্মদ জাফর থানেস্সরী তার কিতাব ( সাওয়ানিয়ায়ে আহমাদি ) পৃষ্টা ৪৭ এ তাই বলেছেন 

মজার কথা হচ্ছে সিলেট এর ফুলতলী এর পীর মোহাম্মদ ইমাজ উদ্দিন চৌধুরী ( সাইয়েদ আহমাদ বেরেলবী এর জীবনী) পুস্তক লিখতে গিয়ে তার দিতীয় সংস্করণ এর ৪৮ ও ৪৯ নং পেজ লিখেছেন ( ইংরেজ অথিত্ত ) তে বলেন ইসার নামাজের পর সাইয়েদ সাহেব কে খবর দিল যে মশাল হাতে কয়েকজন লোক এদিকে আসছে ৷ সাইয়েদ সাহেব খবর নিতে গিয়ে দেখেন কয়েকজন ইংরেজ ৷ তার মধে থেকে একজন এসে বলল সাইয়েদ সাহেব কে ৷ তিনি বললেন আমি ৷ইংরেজ বলল আমরা ৩ দিন যাবত আপনার রাস্তা দেখতেছি ৷ আজ খবর পেলাম আপনি এদিক দিয়ে যাচ্ছেন তাই এই নগন্য খাদ্য দ্রব্য গুলো কবুল করেন 

যে সকল দলিল আমি পেশ করেছি তা সব গুলি দেওবন্দী বুজুর্গ ও গোলাপী সুন্নিদের কিতাব থেকে, মানে হচ্ছে যারা সাইয়েদ আহমাদ কে নিজেদের আকবের মানে ও মুজাদ্দেদ মানে তাদের কিতাব থেকেই দিলাম। এখন নিজের চোখে দেখে আমাকে জবাব দিন কে ? আর করা ? ইংরেজদের দালাল ছিল ? 

দেওবন্দ মাদ্রাসার অনুসারী মলোভি আহসান নানুতাভির জীবনী লেখক দেওবন্দ মাদ্রাসার সম্পর্ক ব্রিটিশ সরকারের লেফ্তানান্ট এর নির্ভরযোগ্য গোয়েন্দা (পামের) নামের একজন ইংরেজ এর বক্তব্য টুকে ধরেছেন যে ;- এ মাদ্রাসা দিন দিন উন্নতি করেছে। ৩১ জানুয়ারী রোববার ১৮৭৫ ব্রিটিশ জেনারেল এর নির্ভরযোগ্য বেক্তি পামের এ মাদ্রাসা দেখা মাত্রই ভালো ধারনা প্রকাশ করল যে :- যে কাজ বড় বড় কলেজ গুলোতে হাজার হাজার টাকা ঢেলে সম্পন্ন হয় , তা এখানে অতি অল্প খরচেই হয়ে যায়। যে কাজ একজন প্রিন্সিপাল হাজার হাজার টাকা নিয়ে সম্পন্ন করেছে , সেই কাজ এখানে একজন মলোভি ৪০ টাকা বেতনে করেছে। এ মাদ্রাসা ব্রিটিশ সরকারের বিরোধী নয় বরং সমর্থক,সহায়তাকারী ও সহযোগী (মাওলানা মুহাম্মদ আহসান নানুতাভি ) জীবনী কিতাব পৃষ্টাপ ২১৭  

এই খানে তাদের কিতাব থেকেই একটা প্রমান যে তারা ইংরেজ বিরুধী ছিল না বরং ৪০ টাকা বেতন পেয়ে ছাত্রদের ব্রেন ওয়াশ এর কাজ সুন্দর ভাবে করত। আর ব্রেন ওয়াশ হয়ে বের হয়ে আশা নামে মুসলিম দের দিয়ে কি হতে পারে তা আপনাদের জানা আছে। এই দেওবন্দ মাদ্রাসা তত্কালীন পাকিস্তান তৈরির ও বিরুধী ছিল , সময় পেলে প্রকাশ করব ইন্শাল্লাহ। পাকিস্তান এ যত জঙ্গি গ্রুপ আছে তা সবাই দেওবন্দী। পাকিস্তান কে তত্কালীন দেওবন্দ আলেম রা নাপাক্স্থান বলত। পাকিস্তান কে ধংসের জন্য ইন্ডিয়ার গোলাম হয়ে এই দেওবন্দ মাদ্রাসা থেকেই পাকিস্তানি পাঠান সুয়ার দের দিয়ে পাকিস্তান এর মসজিদ ,মাদ্রাসা , বাজার ও বিল্ডিং গুলো ধংশ করছে। 

আরো দেখুন আশরাফ আলী থানবীর দালালি এর বিষয় এ তাদের কিতাব (মাকালামাতুস সাদেরিন ) ৯ নং পৃষ্টায় লিখেছেন যে ইংরেজ গভর্মেন্ট থেকে প্রতি মাসে আশরাফ আলী থানবী সাহেব কে ৬০০ টাকা দেওয়া হত। আর এই টাকা মলোবি রশিদ আহমাদ গান্গুহির মাধ্যমে পৌছানো হত (মাকালামাতুস সাদেরিন ) পৃষ্টা ৯ 

আব্দুল্লাহ আহমেদাবাদী উপরোক্ত দাবির খন্ডন করে লিখেছে যে পরে যখন জানতে পারে মলোভি আশরাফ আলী থানবী যে এই টাকা ইংরেজ দের থেকে আস্ত তখন নাকি ফেরত দিয়েছিলেন সেই টাকা আশরাফ আলী থানবী সাহেব। আমার কথা হচ্ছে যে আপনাদের কুতুবুল এরশাদ মৌলভি রশিদ আহমাদ গান্গুহির মাধ্যমে এই টাকা আস্ত আশরাফ আলী থাকবি সাহেবের কাছে। মেনে নিলাম কিছু খন এর জন্য আশরাফ আলী থানবী সাহেব জানত না এই টাকা কথা হতে আস্ত। কিন্তু রশিদ আহমাদ গান্গুহীর মাধ্যমে এই টাকা যেহেতু আসত সেহেতু ইটা মধ্যাহ্ন সূর্যের নেয় প্রমানিত যে রশিদ আহমাদ গান্গুহী ইংলিশ এর এজেন্ডা ছিল। 

মাকালামাতুস সাদেরিন কিতাবের ৮ নং পৃষ্টায় মাওলানা হিফজুর রহমান বলেছেন যে ;- তাবলিগ জামাতের প্রতিষ্টাতা মাওলানা ইলিয়াছ সাহেব তাবলিগী আন্দোলন এর প্রাথমিক পর্যায় ইংরেজ দের কাছ থেকে কিছু টাকা হাজী রশিদ আহমাদ গান্গুহী সাহেবের মাধ্যমে পেতেন। কিন্তু পরে তা বন্ধ হয়ে যায়। (মাকালামাতুস সাদেরিন ) পৃষ্টা ৮ 

উপরোক্ত বর্ণনা ২ তা সুস্পস্ট ভাবে প্রমানিত হয় যে দেওবন্দী রা হচ্ছে ইংরেজ দ্বারা পালিত। আর এদের অন্যতম প্রধান এজেন্ডা ছিল এদের কুতুবুল এরশাদ হাজী রশিদ আহমাদ গান্গুহী। 

দেওবন্দী দের অন্যতম রাজনৈতিক সংঘটন জমিয়তে ওলামায়ে ইসলাম এর বিষয় (মাকালাতুস সাদেরিন )এর ৭ নং পৃষ্টায় বলা হয়েছে যে ;- কলকাতা জমিয়তে ওলামায়ে ইসলাম সরকারের ইঙ্গিতেই ঘটন করা হয়েছে (মাকালামাতুদ সাদেরিন পৃষ্টা ৭ ) 

এই সকল কারণে দেওবন্দ এর অন্যতম নেক্তিত্ব আমের উসমানী দেওবন্দ থেকে প্রকাশিত (তাজাল্লি) পত্রিকায় (দেওবন্দ সে ) বাংলা অর্থ হচ্ছে (দেওবন্দ থেকে ) নামের একটা কবিতা লিখে প্রকাশ করেছেন আমি তার কয়েকটা লাইন বাংলায় লিখে দিচ্ছি .আপনাদের কারো পুরা কবিতা উর্দু ও বাংলায় দেখতে চাইলে বলবেন আমি কিতাবের পেজ দিয়ে দিব। 

১) যুগের পরিবর্তনের এ কি জাদু মন্ত্র দেখতে পাচ্ছি ? 
হে দেওবন্দ , তোমার শোচনীয় অবস্থা দেখতে পাচ্ছি। 
২) গুটিয়ে এসেছে সমুদ্র তীর ! থেমে গেছে ঢেউ গুলো !! 
তোমার সমুদ্রে কেন অচলাবস্থা দেখতে পাচ্ছি ? 
৩ ) তোমার এ কোল থেকে অসংখ মুজাহিদ গড়ে উঠেছে ,
অন্য দিকে ওপর লোকদের দুঃখ জনক শিকার দেখতে পাচ্ছি। 
৭) তোমার ফতোয়া বানের আঘাতে পূর্ববর্তী বুজুর্গ গনের বুক ঝাজরা হয়ে গেছে 
কাফির বলার ক্রুম্বর্দমান আগ্রহ দেখতে পাচ্ছি। 
৮) তুমি পরকে ভালবাস , আপনকে ভাব পর !!! 
তোমার মধ্যে পরিবর্তিত উন্মাদনারই ধরন দেখতে পাচ্ছি।  
৯ ) হায়রে ফতোয়া প্রণয়নের পদমর্যাদা তোমার !!!!ফতোয়ার এ কেমন ঘন অন্ধকার? 
শয়তান এর কর্ম আর নৈপুন্যই দেখতে পাচ্ছি। (মাসিক তাজাল্লি ) দেওবন্দ থেকে প্রকাশিত পৃষ্টা ৫৩ ১৯৫৭ ইংরেজি 

আর তারা যে কথিত জিহাদ জাহিদ করে , সাঁই জিহাদের যদি একটু নমুনা আশরাফরা আলী থানবীর কিতাব (হৃদয় ছোয়া কাহিনি-২) থেকে দেখে নিতেন ,;- -----আশরাফ আলী থান্বির কিতাব (হৃদয় ছোয়া কাহিনী -২) এর ৪৩ নং পৃষ্টায় লিখেছেন যে ;- ইংরেজরা এই উপমহাদেশের একটা নিকৃষ্ট জাতিকে অগ্রসর হওয়ার সুযোগ করে দিয়েছিল ও অপর একটি জাতিকে পশ্চাদপদ করে রেখেছিল। তবে এর ফল যা হয়েছিল তাতে পরবর্তিতে ইংলিশ্রাই দুক্ষ প্রকাশ করেছিল। কোনো একজন উচ্চস্তরের ইংরেজ হেকিম কোনো এক জমিদারের মানেজারের সাথে কথা বলতে গিয়ে একটা ঘটনা বলেছিল যে ;- কোনো এক দরবেশের ঘরে একটা ইদুর কিছু বাচ্চা প্রসব করে আর পরে দরবেশ কে দেখে একটা বাচ্চা ফেলে রেখে চলে যায়। দরবেশ ইদুরের বাচ্চা কে লালন করে বড় করে তলে। একদিন সে বাইরে গেলে তাকে বিড়াল ধরতে চেষ্টা করে আর ইদুর যান বাঁচিয়ে পালিয়ে আসে। দরবেশ কে সব খুলে বলে যে আমি আজ প্রাণে বেছে এসেছি বিড়ালের হাত থেকে। আমাকে বিড়াল বানিয়ে দাও।দরবেশ তাকে ছুয়ে দিয়ে বিড়াল বানিয়ে দিল। পরের দিন সেই বিড়াল কে কুত্তা ধরতে চ্চেস্তা করে আর যান বাঁচিয়ে ফিরে এসে বলে আমাকে কুত্তা বানিয়ে দাও। তা হলে কুত্তা আমাকে আর ধরতে চাইবে না। দরবেশ আবারো তাকে ছুয়ে দিয়ে কুত্তা বানিয়ে দেয় ও পরের দিন সেই কুত্তা বাঘের সামনে পরে ও প্রাণ বাঁচিয়ে আবারও দরবেশের কাছে আসে আর বলে আমাকে বাঘ বানিয়ে দাও। দরবেশ তাকে ছুয়ে দিয়ে বাঘ বানিয়ে দেয়। পরের দিন আবার সেই বাঘের দেখা। বাঘ বলে যে তুই কালকের সেই কুত্তা না ? তুই বাঘ হলি কিভাবে ? নকল বাঘ বলল যে আমাকে মেরো না। আসল বাঘ বলল আমি তো তোমাকে মারতে পারব না কিন্তু তোমাকে যে কুত্তা থেকে বাঘ বানিয়েছে সে তো তোমাকে মেরে ফেলতে পারবে। নকল বাঘ বলল এখন কি করব ? আসল বাঘ বলল যে তোমাকে কুত্তা থেকে বাঘ বানিয়েছে তাকে গিয়ে মেরে ফেল , তাহলে কেউ তোমাকে মারতে পারবে না। 
সে ফিরে দরবেশের কাছে গেল। তার ভাব গতি অন্যরকম দেখে দরবেশ বলল যে কি হয়েছে আজ ? নকল বাঘ বলল আমাকে আর কেউ মারতে পারবে না তুমি ছাড়া ,তাই তোমাকে মারতে এসেছি। দরবেশ বুঝতে পেরে বলল সোন তোমাকে আমিও মারতে পারব না তার উপায় আছে। নকল বাঘ বলল কি উপায় তাই কর। দরবেশ কৌসলে তাকে আবার ছুয়ে দিয়ে ইদুর বানিয়ে দিল। 
এর পর থানবী সাহেব আবার লিখেছেন যে ;- এই ঘটনা বর্ণনা করে ইংলিশ হেকিম বলল যে আমরা এমন এক জাতিকে অগ্রসর করতে এসে এমন ভাবে বিপদের পরেছি যে তারা এখন আমাদের উপর ক্ষমতার অপবেবহার করে যাচ্ছে। এই জাতি আসলেই অকৃতজ্ঞ। সুতরাং এই ঘটনা থেকে আমাদের শিক্ষা নেওয়া উচিত (হৃদয় ছোয়া কাহিনী -২) আশরাফ আলী থান্বির লেখা পৃষ্টা ৪৩-৪৫
কিতাবের পেজ যার প্রয়োজন বলবেন। মূল কিতাব থেকে দিয়ে দিব ইনশাল্ল্লাহ 

এই দেওবন্দি রা কোন দিন মুসলমানদের কে সহায়তা তো করেই নাই বরং তারা ইংরেজদের দালালি করেছে তা উপরে প্রমানিত হয়ে গেছে । তারা শুধু ইংরেজদের দালালি নয় বরং তারা গান্ধী নেহেরু প্রমুখ হিন্দুবাধী নেতাদের গোলামি যে হারে করেছে তাই কিন্তু দেখার মত ;- 

কিছু দিন আগে পাকিস্তান ইন্ডিয়া বর্ডার এর কাছে যে আত্মঘাতী বোমা হামলা করা হয়েছিল তাতে যে ৫০ জনের উপরে নিহত হয়েছিল । সেই বোমা হামলার গায়ভার গ্রহন করেছে তেহরীক এ আহরার পার্টি । যারা আজ পর্যন্ত পাকিস্তান এর বিরুধিতা করেই যাচ্ছেন। পাকিস্তান এর মধ্য বোমা সন্ত্রাস জংগিবাদি কাজ চালিয়ে যাচ্ছেন । 
এই আহরারী নেতা গন এমন ও বলেছেন যে ;- ১০ হাজার জিন্নাহ ও শওকত যোফর কে জওয়াহেরলাল নেহেরুর পায়ের অগ্রভাগে উৎসর্গ  করা যেতে পারে (চমনিস্তান পৃ ১৬৫, যোফর আলী খান লিখিত ) 


এমন কি দেওবন্দি ইকবাল সোহায়েল নেহেরুর শান এ লিখেছেন যে :- 
আখলাক কি ছুরাত এ মুজাচ্ছাম , 
ইমান কি শায়ালার মে নূর 

(নেহেরুর) চরিত্র এক দেহ বিশিষ্ট ছবি ।
তদুপরি ইমানের আলোকিত অগ্নিশিখা (মাসিক ফারান ) পৃ ৫৩ নভেম্বর ১৯৫৩
যোফর আলী খান দেওবন্দিদের পীর আতাউল্লাহ বুখারী সমন্ধে লিখেন যে ;- নেহেরু হল দুলহা , আতাউল্লাহ বুখারীর আহারের পার্টির মজলিস হল তার দুলহান ।পীর আতাউল্লাহ বুখারী (আহরার নেতা ) কে নেহরুর দুলহান (বউ) হওয়ার দন্য মোবারকবাদ (চমনিস্তান ) ১৫৯ পৃষ্টা ।

তারা আজ কথায় কথায় শান এ রিসালাত এর বড় বড় বুলি ঝাড়ে আসলে তা এমন যে (- ঝড়ে বক মরেছে , আর ফকিরের কারামতি বেড়েছে) 
তারা শুধু আজ নয় , বরং এদের পুর্ব পুরুষ যারা ছিলা তারা সকলে গুস্তাক এ রাসুল , ও হিন্দু খৃস্টানদের দালাল ছিল ।
এই থাকলে যোফর আলী খান সাহেব লিখেছেন যে ;-(১) পান্জাব এর এক প্রান্ত থেকে নবীর মর্যাদার উপর আঘাত এসেছে , 
এই যুলুমের বুনিয়াদ কায়েম হয়েছে ওই আহরার দল থেকে ।
(২) আজ যদি হিন্দুস্তান এ ইসলাম অপমানিত হয় তবে এই সব লান্চনা ও গাদ্দার শ্রেনী থেকে এসেছে (চমনিস্তান ) পৃ ৪


এ তো গেল এতক্ষন জওয়াহের লাল নেহেরুর শানে দেওবন্দিদের বক্তব্য , কবিতা , ও সুধী সমাজের ধিক্কার ।

এবার তারা মাহাত্মা গান্ধির নামা কি কম গুল গান করেছে ? 
দেখুন ;-
দেওবন্দিদের মৌলভী সোহায়েল ইকবাল , সে গান্ধির শান এ কবিতা লিখেছে ও তাকে শহিদের সম্মানে সম্মানিত করেছেন । অথচ হিন্দু রা ও বলেন না যে তিনি শহিদ , দেখুন এক নজরে ( ---- হে গান্ধী 
তোমার মর্যাদা কে হ্রাস করতে পারে ? 
তা তো আল্লাহ নিজেই বৃদ্ধি করেছেন ।
তিনি তোমাকে চিরস্থায়িতো দিয়েছেন ,
তোমাকে শহিদদের পদমর্যাদা দিয়েছেলে (চমনিস্তান ৪ নং পৃ )



এ তো গেল কবিতা । 
দেওবন্দিদের আলেম মনযুর নোমানি কি লিখেছেন তাই যদি দেখতেন একবার (- এতে সন্দেহ নাই যে গান্ধির অস্তিত্ব ওই যুগে সর্বাপেক্ষা উল্লেখযোগ্য ছিল ।নিশ্চয় তিনি এমন কিছু উচ্চতর গুনাহলি দ্বারা গুনান্নিত ছিলেন যে ;-ওই গুলো ওই যুগে বিষেশ কোন বড় কোন লোকের মধ্য অনক্বার মতো বিড়ল হয়ে থাকে ।(মাসিক ফারান পৃ ৫৩ নভেম্বরের ১৯৫৩)

মনযুর নোমানী সাহেব আরও একটু বিস্তারিত বর্ননা করেছেন যে ;- ওই সব বেক্তিত্তের কারনে দুনিয়ার জন্য তিনি অনুসরনিয় ও সম্মান করার মত (পয়গাম এ হেদায়াত ) পৃ ৮২

তোমরাই সেই সময় প্রথমে খৃষ্টান দের দালালি করেছ , এর পর শুরু করেছিলে হিন্দুদের দালালি করা । 
এমন কি এই দেওবন্দ মাদ্রাসা থেকে পাকিস্তানের জমিনে আফগানিস্তান এর জমিনে জংগি প্রেরন করা হয় । বোমা অস্ত্র বারুদ প্রটেকশন দেয় ভারত । 
আজ পর্যন্ত তাই করে এসেছে ভারত। 


আর তারা আজ মুখে ফেনা তুলে জেহাদ জেহাদ করে । লজ্জা কি করেন না ! সব কি ভুলে গেছ ?