মঙ্গলবার, ১৯ মে, ২০১৫

জাতি নূর ও খালকি নূর ( রাহাত)

Rahat Hasan Rabby
এই নামটার সাথে আমার দীর্ঘ দিনের একটা মনমালিন্য আছে। যা পরবর্তিতে চরম আঁকার ধারন করে তার নিজের উগ্রপন্থী মনো ভাব ও আমার দাঁত ভাংগা জবাব ও মার প্যাচের কারনে । সে নিজেকে যে কি মনে করে তা আল্লাহ তায়ালা জানে । তবে আমি তারে কলুর বলদ ছারা কিছু মনে করতে পারছি না এই মুহুর্তে । 

গত দিনের পোষ্ট এ সে প্রথমেই লিখেছে যে ;-  ১) আসসালাতু আসসালামু অলাইকা ইয়া #নূর আল্লাহ। 

আপত্তি ;- নূর আল্লাহ যদি বলে থাকেন আপনি তো তা  হবে প্রকৃত পক্ষে আল্লাহরই নিজের ছিফাত । 

আর আমি হাদিসে পড়েছি নবী পাক বলেছেন যে ;- তোমরা আল্লাহর প্রতি সালাম প্রেরন করিও না।  কারন আল্লাহ নিজেই সালাম (ইয়া সালামু) তাই বলব আল্লাহর প্রতি সালাম পেশ করার নির্ভর যোগ্য দলিল দিবেন রেফারেন্স সহ । 

তার পোষ্ট থেকে ;- আল্লাহপাকের #জাতী_নূরের জৌতী এ বিষয়ে স্টেটাস দিবো।কারন কিছু সুন্নী মুখোশধারী শয়তান যারা রাসূলাল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহী ওয়া সাল্লাম এর শান ও মানের খেলাফ কথা বলে সুন্নীয়াতের দোহাই দিয়ে মানুষকে ধোকা দিচ্ছে #সিরাজনগরীর মত মুনাফেকের কথা শুনে।আরেক পাগল সূফীবাদকে জঙ্গীবাদে রুপান্তরের জন্য নিজে ফেসবুক মোজাদ্দেদ সাজছে যার কুরআন এবং হাদীস সম্পর্কে নূন্যতম এলেম নাই তাকাব্বুরী আর বড় বড় বুলী ছাড়া। ।

জবাব ;- যাক। একটু হলেও লাইনে এসেছে যে আল্লাহ পাকের জাতি নূরের জ্যোতি বলেছে নবী পাক কে । 
এর পর সিরাজ নগরী সাহেব কে বলেছে মোনাফেক । 

আসলে প্রকৃত পক্ষে সিরাজ নগরী সাহেবের কথা আমি শুনি ও না আর মজার কথা হচ্ছে আমি ওনার পুরা নাম ও জানি না । 

এর পর বলেছে যে আমি সুফীবাদকে  নাকি জংগিবাদে রুপান্তর করার জন্য মোজাদ্দেদ সেজেছি ।

কথা হচ্ছে যে ;- আমাদের সুফী দের যারা ইমাম তারা সকলে জংগি আছিল তার কথা মতে । আমাদের সিলসিলার লিষ্টে সবার উপরে নবী পাক ও ওনার পরে আছেন হযরত আবু বক্কর সিদ্দিক । 

আর হযরত আবু বক্কর সিদ্দিকের চেয়ে আর কে জংগি আছে ? আর থাকলেই বা তার মত কতজন আছে ? 

তাই আমরা মুশরিক ও আল্লাহ দ্রোহিদের সাথে জিহাদ ( আপনার কথা মতে জঙ্গীবাদ ) অবশ্যই জারি রাখব । 
কারন আমাদের ধর্ম এমন একটা ধর্ম যে ;- জেহাদ আমাদের জন্য ইবাদত । এবং আমরা এমন একটা ইবাদত থেকে দূরে থাকতে চাই না । আল্লাহ আমাকে জীহাদের ময়দানে কবুল করুন। 

এর পর সে নাকি মুল কথা শুরু করল ;- 
তার দলিল :- সুরা মায়েদা আয়াত নং ১৫ ;- ক্বাদ জায়াকুম মিনাল্লাহি নূরি ওয়া কিতাবুম মুবীন । 

আমি ব্যাথা করতে গিয়ে পোষ্ট বড় করতে চাই না । 
এই আয়াতে আল্লাহ তায়ালা নবী পাক কে নূর ও বলেছেন ও পবিত্র কোরান কে কিতাবুম মুবিন বলেছেন।  আমাদের এতে কোন দ্বিমত নাই। 

কিন্তু পরক্ষনে নিজেই কিছু যগা খিচুরি পরিবেশন করে লিখেছেন যে মিনাল্লাহি বলার কারেন এটা আল্লাহ তায়ালার নিজের জাতি নূর হয়ে গেছেন । 

জবাব: আমি বলব এখন যে আল্লাহ তায়ালা সুরা ইমরান এ জীব্রাইল (আ) কে  সরাসরি রুহুল্লাহ বলেছেন । তিনি কি আল্লাহর রুহ ছিলেন ? 
আদম সাফিউল্লাহ কে যখন তৈরি করলেন তখন আল্লাহ বলেছেন যে এর পর আমি আমার রুহ ফুকে দিলাম তার মাঝে । এই খানে কি আল্লাহ তায়ালা নিজের রুহ কেই হযরত আদম ( আ) মাঝে দিয়েছিলেন ? 

কোরানের আয়াত দিয়ে দিব এই বিষয় , কমেন্ট করে চেয়ে নিবেন রাহাত সাহেব।  যদি আপনার মায়ের স্বামী একজন হয় । 

মিনাল্লাহি এর মতলব এটাই হবে যে আল্লাহর পক্ষে  থেকে এসেছেন।  এর পর যদি বিশ্বাস না হয় তবে কোন নির্ভর যোগ্য তাফসীর কিতাব থেকে তার পুর্ন ব্যাথা পেশ করুন। আর জানি জন্ম আবার নিলে ও পারবেন না । 

আর আপনি আমাকে মুর্খ বলেছেন। 

আমি আসলেই মুর্খ। কারন একদিন হযরত মুসা (আ) তার উম্মাতের সামনে ওয়াজ নসিহত করছিল আর একজন লোক বললো যে নিশ্চয় আপনি এই দুনিয়ার মধ্য সব চেয়ে বড় ইলম ওয়ালা । তখন মুসা (আ) বলেছিলেন , হা , নিশ্চয় । তখন আল্লাহ বলেছিল যে তোমার উচিত ছিল এমন বলা  যে তা আল্লাহ তায়ালা ভাল জানেন। ও পরে মুসা (আ) কে তিনি হযরত খিজির (আ) কাছে পাঠিয়ে দেন । আর তিনি দেখতে পান  যে হযরত খিজির (আ) তার চেয়ে ওনেক জ্ঞানী ছিলেন । ( আল বিদায়া ওয়ান নিহায়া) হযরত মুসা (আ) ও খিজির (আ) এর ঘটনা দেখে নিন। ১ম খন্ড । তাই আমি যে মুর্খ এটা মেনে নিতে আমার কোন আপত্তি নাই। আল্লাহ তায়ালা তা ভাল জানেন । 

এর পর সে দুটা কিতাবের রেফারেন্স দিয়ে লিখেছে যে ;- আল্লাহ তায়ালার নিজস্ব জাতী নূর নবী পাক (সা) 

যে দুইজন আলেমের বর্নানা দিয়েছেন আমি তাদের সেই কিতাবের পাতা গুলো নিজের গুলো  দেখার আশা প্রকাশ করছি । 
আর আশা করছি যে আমার আশা পুর্ন হওয়ার রাহ(ইন্তাজার) করতে হবে না  । কারন তিনি দিলদার আদমি হে ভাই।  বিগহার্ট বয় যাকে বলা হয় । 

আমি কিন্তু এখন ও কোন আপত্তি পেশ করি নাই জবাবের আশায় নতুন করে । এখন ও আমি তার কথা গুলো বিশ্লেষন করে যাচ্ছি । 

সে আল্লাহ সুবহানা তায়ালা কে নূর বলেছে ও নূর কে দুই ভাগ করেছে , এক নূর গরম ও এক নূর বরফ বা ঠান্ডা । 
এরে একবার করেছে জাররা  ও একবার করেছে সাররা , বাবা আমি বলব তুই একটু খানি দাড়া । 
আমি ও  কিছু প্রশ্ন করি খাড়া খাড়া । তোমার হাল যেন না হয় সারা । 

আল্লাহ কি নূর ? 

 মুসলিম শরীফের ব্যাখ্যাগ্রন্থ “শরহে মুসলিম”
কিতাবের ১ম খণ্ডের ৯৯ নং পৃষ্ঠা  , ইমাম নবভী রহঃ উম্মতের ইজমাহ
উল্লেখ করে লিখেছেন যে,
ﻭﻣﻦ ﺍﻟﻤﺴﺘﺤﻴﻞ ﺍﻥ ﺗﻜﻮﻥ ﺫﺍﺕ ﺍﻟﻠﻪ ﺍﻟﻨﻮﺭ. ﺍﺫﺍ ﺍﻟﻨﻮﺭ
ﻣﻦ ﺟﻤﻠﺔ ﺍﻻﺟﺴﺎﻡ. ﻭﺍﻟﻠﻪ ﻳﺠﻞ ﻋﻦ ﺫﺍﻟﻚ. ﻫﺬﺍ ﻣﺬﻫﺐ ﺟﻤﻴﻊ ﺍﺋﻤﺔ ﺍﻟﻤﺴﻠﻤﻴﻦ. ﻭ ﻣﻌﻨﻲ ﻗﻮﻟﻪ ﺗﻌﺎﻟﻲ : ﺍﻟﻠﻪ ﻧﻮﺭ ﺍﻟﺴﻤﺎﻭﺍﺕ ﻭﺍﻻﺭﺽ ﻭ ﻣﺎ ﺟﺎﺀ ﻓﻲ ﺍﻻﺣﺎﺩﻳﺚ ﻣﻦ ﺗﺴﻤﻴﺔ ﺳﺒﺤﺎﻧﻪ ﻭ ﺗﻌﺎﻟﻲ ﺑﺎﻟﻨﻮﺭ ﻣﻌﻨﺎﻩ ﺧﺎﻟﻘﻪ ﻭ ﻗﻴﻞ ﻫﺎﺩﻱ ﺍﻫﻞ ﺍﻟﺴﻤﺎﻭﺍﺕ ﻭﺍﻻﺭﺽ ﻭ ﻗﻴﻞ ﻣﻨﻮﺭ ﻗﻠﻮﺏ ﻋﺒﺎﺩ ﺍﻟﻠﻪ ﺍﻟﻤﺆﻣﻨﻴﻦ .
“আল্লাহ তায়ালার জাত বা সত্তা নূরের বলা যাবেনা।
কারণ নূরেরও আকৃতি রয়েছে।অথচ
আল্লাহপাক দেহ বা আকার-আকৃতির গণ্ডী থেকে উর্ধ্বে। এটাই মুসলিম উম্মাহার সকল
উম্মতের মাযহাব। আর পবিত্র কুরআনে যে আয়াতে এবং যে সকল হাদিসে আল্লাহকে নূর বলা হয়েছে, তার অর্থ হল নূরের সৃষ্টিকর্তা, আসমান ও জমিনের
বাসিন্দাদের হেদায়াত দাতা এবং মুমিন বান্দাগণের
অন্তর সমূহ (হেদায়াতের আলোকে)
আলোকিতকারী।”
মুসলিম শরীফের ব্যাখ্যাকারক
সম্মানিত ইমাম, আল্লামা ইয়াহইয়া ইবনে শরফুদ্দিন
আন-নবভী রহঃ (জন্ম ৬৩০ হিজরী, মৃত
৬৭৭)-এর উপরোক্ত বক্তব্য দ্বারা পরিস্কার হয়ে গেল যে, আল্লাহ সুবহানাহু ওয়া তায়ালার
মহান জাত বা সত্তাই নূরের নন।

এর পর ও যদি আল্লাহ তায়ালা কে নূর বলা হয় তবে তার আঁকার আকৃতি সকল কিছু সাব্যস্ত হবে । 
আর তিনি যে জাররা ও সাররা এর বর্ননা দিয়েছেন তার যেন নির্ভর যোগ্য রেফারেন্স দিয়ে বাধিত করেন আমাকে । 
কিন্তু যদি এটা বলা হয় যে এই দুনিয়া সকল কিছুর আধার বা প্রকৃত রহস্য সেই আল্লাহ তায়ালার নিজ জ্যোতি বা নূর থেকেই তাতে কোন মতভেদ নাই।  কিন্তু যদি আল্লাহ তায়ালার উপাদান নূর বলা হয় তো বেরা গাড়াক । 

তার পোষ্ট থেকে (- এখন আসুন মিরাজুন্নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহী ওয়া সাল্লাম এ চলে যাই,,সিদরাতুল মুনতাহার একচুল উপরে জীবরাঈল আমীন যেতে পারবেনা কারন তার ৭০হাজার নূরের পাখা আল্লাহর তাজাল্লীতে জ্বলে ছাড়খার হয়ে যাবে।। 
আপত্তি ;- সিদরাতুল মিলতাহার একচুল উপরে জিব্রাইল আমীন যেতে পারবেন না  ও আল্লাহর তাজাল্লির কারনে জ্বলে যাবে জীব্রাইল আমীন। আমাদের এটা মান্য করতে কোন আপত্তি নাই।  তাই বলে এটা নয় যে জীব্রাইল (আ) যেতে পারতেন না সেখানে।  তিনি ঠিকই যেতে পারতেন যদি অনুমতি থাকত।  আল্লাহ পাকের কোন অনুমতি ছিল না জিব্রাইল (আ) এর উপরে যাওয়ার। আর অনুমতি ছিল না বলেই তিনি  জলে যেতেন ।  আর যদি অনুমতি থাকত তবে আল্লাহ তায়ালা সেই বন্দোবস্ত ও নিজেই করতেন যাতে জীব্রাইল আমীন উপরে যেতে পারেন । 

আর ৪ থা আসমানে হযরত ইসা (আ) আছেন ।
ইমাম গাজালী (রহ)র স্বীয় মজলিসে গাজালী বর্ননা হয়েছে যে ;- হযরত ইসা (আ) কে যখন ৪ থা আসমানে নেয়া হল তখন জিগ্গেস করা হল তোমার কাছে কি ? তখন তিনি বললেন আমার কাছে একটা লোটা আছে যা দিয়ে তিনি গোসল করছিলেন। তখন আল্লাহ বললেন যে তোমারে যখন নিয়ে আসা হচ্ছিল তখন তা ফেলে দিলে না কেন ? 

এখন ৪ থা আসমানেই থাক । এই কথা বলে ওনাকে ওখানেই রাখা ও আজ পর্যন্ত তিনি সেখানেই আছেন । ( মজলিস এ গাজালী ) 

কিতাবের পাতা দরকার হলে বলে দিবেন। দিয়ে দিব । 

তো হযরত ঈসা (আ)র সাথে ওই গায়ে পানি ঢালা লোটা না থাকলে হয়তো বা আল্লাহ ওনার কাছেই নিতে পারতেন।  
কিন্তু তিনি একজন নবী হওয়ার করানো আজ ও ৪ থা আসমানে আছান। আল্লাহ কি ওনার বসবাসের ব্যাবস্থা করেন নাই ? 

আর সকল ফেরেস্তাদের মধ্য জীব্রাইল আমীন সম্মানিত । তবু ও তিনি সিদরাতুল মিলতাহার অতিক্রম করতে পারেন নাই। 
সিদরাতুল মুনতাহার উপরে কোন ফেরেস্তা নাই ?  আর যদি থেকে থাকে তা হলে তারা কি জীব্রাইল আমানের চেয়ে উন্নত নূর থেকে তৈরি ? 
আর যদি তাই হয় তবে সেই নূরের ও বর্নানা নির্ভরযোগ্য কিতাব থেকে দেয়ার জন্য অনুরোধ করলাম। আর আমি জানি আপনি বড়ই রহম দিল ওয়ালা । 

ইমাম আহলে সুন্নাহ আহমেদ রেজা খান সাহেবের নামে কিছু প্রোপাগান্ডা করেছেন তিনি। আমি তার জবাব দিব।  তারা আগে তার তাফসির একটু তুলে ধরি যা মাদারেজুন নবুয়াতের নামে চালায় দেয়ার অবকাশ পেয়েছে ।

তা দেখুন ;-পরিশেষে আল্লাহপাকের আরেকটি ঘোষনা দিয়ে ইতি টানবো-"হু ওয়াল আখেরু ওয়াজ্জাহেরু ওয়াল বাতেনু ওয়াহু ওয়া বীকুল্লী শাইয়ীন আলীমুন"
শেখ আব্দুল হক মুহাদ্দিস-ই-দেহলভী রহঃ "মাদারিজুন-নবুয়াতে" এ আয়াতের তাফসীরে লিখেন অর্থাত্-"এ অলৌকীক শব্দাবলীর দ্বারা স্বয়ং আল্লাহ তা'আলা নিজ ইলাহীয়তের/জাতের প্রশংসা করেছেন এবং তিনি সকল দোষ ত্রুটিমুক্ত,সে সম্বন্ধে কুরআনে নিজ কিবরিয়াইর মহিমা ঘোষনা করেছেন।
এতে স্পষ্টই প্রমাণিত হলো যে,রাসূলাল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহী ওয়া সাল্লাম হলো আল্লাহপাকের আসমা-ই-হুসনা ও #জাতেরছায়া।
আপত্তি; আমার কাছে মাদারেজুন নবুয়াত কিতাব আছে। ১-৮ পর্যন্ত আছে। আপনি আপনার এই উপরে বর্নিত তাফসীরের রেফারেন্স করুন।  আর মজার কথা হচ্ছে মাদারেজুন নবুয়াত একটা সীরাত গ্রন্থ।  তাফসির নয়। যদি ১-২ আয়াতের তাফসীর করে ও থাকেন তার রেফারেন্স দিবেন আমাকে। নিজের চোখে দেখার মজাই আলাদা।  তাই নয় কি রাহাত সাহেব ? 

আর নিচে লিখেছেন যে ;- এতে স্পষ্টই প্রমাণিত হলো যে,রাসূলাল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহী ওয়া সাল্লাম হলো আল্লাহপাকের আসমা-ই-হুসনা ও #জাতেরছায়া।। 

এতে যে জগত খিচুরি প্রমান হয়েছে তাতে কোন সন্দেহ নাই। আজকে সাধারন ওহাবি রা আমাদের কে মুশরিক কোন বলে জানেন ? 

কারন আমরা ওনেকে আল্লাহর সীফাতের অধিকারী মনে করি নবী পাক কে । যেমন এই রাহাত সাহেব লিখেছেন (এতে স্পষ্টই প্রমাণিত হলো যে,রাসূলাল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহী ওয়া সাল্লাম হলো আল্লাহপাকের আসমা-ই-হুসনা ও #জাতেরছায়া।) 

নবী পাক নাকি আল্লাহ পাকের আসমা ই হুসনা  ও আল্লাহর জাতের ছায়া । এক মানে কি ? নবী পাক কি আল্লাহ পাকের সৌন্দের গুনে গুনান্নিত? 
নবী পাক কি আল্লাহ পাকের ছায়া ? এমন কথা যারা বলবে তারা কি করে মুসলিম ? 

এর পর  ইমাম আহমেদ রেজা খান সাহেবের নাত দিয়ে লিখেছেন যে ;- এবার সকলের পরিচিতি আলা হযরত আহমদ রেযা খাঁন রাঃ এর নাতখানা শুনি-"তুহে আইনি নূর তেরা সব ঘড়ানা নূরকা"
তিনি এভাবে বর্ননা করছেন-"মুহাম্মদ খোদা নেহী লেকীন খোদা সে জুদা নেহী
। 
আমাদের নবী অবশ্যই নূর ও ওনার বাচ্চা বাচ্চা নূর। এতে আমরা দ্বিমত প্রকাশ করি না । আর এটা ও অস্বীকার করি না যে (মুহাম্মদ খোদা নেহী লেকীন খোদা সে জুদা নেহী) 

এটা র অর্থ এটা নয় যে তিনি খোদার মতই । 

বরং আল্লাহ তায়ালা ওনাকে ওনেক বেশি মুহাব্ব্ত করেন ও নিজের বন্ধু রুপে কবুল করেছেন ও সকল আম্বিয়া কেরামের আগে তিনি সর্ব প্রথম সৃষ্টি ও ওনার থেকেই এই সকল কিছু আল্লাহ তায়ালা সৃষ্টি করেছেন । 
আর সেই নবী কে আল্লাহ কি করে নিজের থেকে দূরে রাখবেন ? 

তাই এমন বলা হয়েছে যে (মুহাম্মদ খোদা নেহী লেকীন খোদা সে জুদা নেহী।
আর এটাই সত্য । 

এটা গেল তার প্রথম দিনের জবাব।  সিরাজনগরী সাহেব কে মোনাফেক এটা সেটা ওনেক কিছু সে বলেছে তা লিখে আর পোষ্ট বড় করতে চাচ্ছি না।  যদি পারে তো জবাব যেন দেয় । 

চলবে ।

মঙ্গলবার, ৫ মে, ২০১৫

মাজার যিয়ারত নিয়ে দেওবন্দিদের অপপ্রচারের জবাব তাদের কিতাব থেকে

বিঃদ্রঃ :- মসজিদ বিষয়ক হাদিস দিয়ে ও মাযার যিয়ারত বন্ধুর চেষ্টা ও খন্ডন তাদের কিতাব থেকে । রেখে দিন করি করে। কাজে দিবে । 

বাপের অবাধ্য হয় যারা তাদেরকে বলা হয় জারজ , কারন  বাপের হালালের সন্তান হলে ভাল কাজে বাপের অবাধ্য হবে কেন ? 

ঠিক সেই রকম বর্তমান দেওবন্দি চামারের জাতেরা , আমি অতীতেদের কে চামার বললাম না ।   

বরিতমান কিছু আর্বাচীন দেওর্রান্ডি বলে থাকে যে কবর জিয়ারতের নিয়ত করে বের হওয়া না যায়েয । 
আর তারা আমাদের ছুন্নি জামাতে ওলি আওলিয়াদের কবরের জিয়ারাত থেকে দূরে রাখতে চায় যেমন শাক দিয়ে কিছু লোক মাছ ঢাকতে চেষ্টা করে । 

কিন্তু মজার কথা হচ্ছে যে তাদের কিতাব (ফাজায়েলে আমলের ) ফাজায়েলে হজ্জ অধ্যায় পৃষ্টা নং ২২৭ এ লিখেছেন যে ;- হুজুর পাক বলেছেন যে ;- তিনটি মসজিদ ব্যাতীত অন্য কোন মসজীদের দিকে সফর করবে না , (১) হেরেম শরিফের মসজিদ (২) মসজীদে আকসা (৩) ও আমার মসজিদ (মসজীদে নববী ) 

কিছু সংখ্যক ওলামা প্লেন যে রওজা(তারা আমাদের কে বলতে বলে কবর, কিন্তু তাদের মাওলানা জাকারিয়া ঠিকই সম্মানের কারনে রওজা ব্যাবহার করেছেন)  পাকের নিয়তে বের হওয়া না যায়েয , যাইতে হবে মসজীদের নিয়তে । অবশ্য সেখানে পৌছিলে রওজা পাকের জিয়ারতে কোন সমস্যা নাই । তবে সম্মিলিত ওলামায়ে কেরামদের মত হইল শুধু নিয়ত করিয়া মসজিদ সফর করিতে হইলো এই তিন মসজিদ ব্যাতীত অন্য মসজিদের নিয়ত করিয়া যাওয়া নাযায়েয । ইহার অর্থ এই নয় যে এই তিন মসজিদ সফর ছারা অন্য যে কোন সফর না যায়েয । বরং হাদীসে আছে যে ;- আমি তোমাদের কে কবর জিয়ারাত করিতে মানা করেছিলাম , এখন তার অনুমতি দিতেছি , তোমরা কবর জিয়ারাত কর ।ইহা থেকে প্রমান হয় যে আম্বিয়া ও আওলিয়া কেরামদের কবর জিয়ারতের জন্য যাওয়া সম্পুর্ণ যায়েয ।তদুপরি হিজরতের সফর , জিহাদের সফর , তালেবে এলেমের সফরের ও অন্যান্য সফরের জন্য তাগীদ দেয়া হয়েছে (মাওলানা জাকারিয়া লিখিত কিতাব ফাজায়েলে আমলের হজ্জ অধ্যায় পৃষ্টা নং ২২৭ ) 

এখন কথা হচ্ছে যে এরাই (বর্তমান কুলাঙ্গার)'রা বলে যে কোন মাযার জিয়ারতের জন্য বের হওয়া না যায়েজ । কারন তিন মসজিদ ব্যাতীত সফর করতে নিষেদ করা হয়েছে । আমি তাদের এই খোড়ী যুক্তির খন্ডন করলাম তাদের কিতাব দিয়ে ।আর এটাও প্রমান করলাম যে এটা যায়েয ।

আর শুধু মাত্র মসজিদের নিয়ত করে ঘর থেকে সফরের উদ্দেশ্য বের হওয়া না যায়েয। এটা তোমাদের কিতাব থেকেই প্রমান করেছি উপরে । 

এখন আমাকে বল তোমরা যে তাবলীগ করতে বের হও তো তা এক মসজিদ থেকে অন্য মসজীদে রাত কাটানোর জন্য ।এটা কি ভাবে যায়েয  হল ? না কি নিজের বেলায় সকল আলেম ও বুযুর্গদের কে কচু দেখিয়ে চলেই যাচ্ছে ? 

আর তোমরা কি ভাবে নিজেদের কে দেওবন্দি দাবি কর ? যখন তোমরা তোমাদের কথার মাধ্যমে বুযুর্গদের মাথার পাগরি খুলতে তৎপর ? তাদের কথার অবাধ্য তোমরা । 

যদি হালালের সন্তান কেউ থেকে থাক তো আমার জবাব দিও।  আর যদি দিতে না পার তো কমছে কম নেড়ি কুত্তার মত ঘেউ ঘেউ করিও না ।
কিতাবের পাতা দিতে বাধ্য থাকলাম ।

রবিবার, ৩ মে, ২০১৫

দেওবন্দিদের মুখে কুলুপ এটে দিলাম (;

দেওবন্দিদের প্রখ্যাত একজন চামার । যে কিনা হিংসার বসবর্তি হয়ে ছুন্নি জামাত কে কটাক্ষ্ করে পোষ্ট করেছেন , তা যদি কেউ সুস্থ মস্তিস্কের কেউ পড়ে তা হলে দেখবেন যে এটা হিংসামুলক ছারা কিছুই নয় । 

তার কিছু মিথ্যা আপত্তির জবাব ;- টিপু 

সে তার পোষ্ট এ লিখেছে যে ;- ১৭৫২ সালে ব্রিটিশদের বিরুদ্ধে যুদ্ধ ঘোসনা করেছেন শাহ আব্দুল আজীজ (রহ) 

তার দেয়া তথ্যগুলো ভুল ও মন গড়া। তাদের কিতাব থেকেই আমি প্রমান দিলাম নিচে , শাহ আব্দুল আজীজ (রহ) কত সালে জীহাদ ঘোসনা করেছেন । 

জবাব ;- ১৮০৬  সালে শাহ আব্দুল আজীজ মুহাদ্দিসে দেহলবি রাহ. হিন্দুস্তানকে ‘দারুল হারব’ ঘোষণার মাধ্যমে এক বিপ্লবী ফতোয়া জারি করে ইংরেজ ও শিখদের বিরুদ্ধে জিহাদি আন্দোলন গড়ে তোলেন। সুত্র ;- তাদের কিতাব (দেওবন্দ আন্দোলন ) ইতিহাস ঐতিহ্য ও অবদান, বাংলাদেশ কৌমী শিক্ষা বোর্ড কর্তক পাঠ্য পুস্তক রুপে প্রকাশিত , পৃষ্টা নং -৯৭

কিতাবের পাতা দিতে চাইলে বাধ্য থাকলাম । 


২ নং ভুয়া কথা ;- টিপু সুলতান কে তারা নিজেদের আকাবের (পুর্বসুরী ) দাবি করে লিখেছে যে (----- তার (শাহ আব্দুল আজীজ রহ) এর ফতোয়ার সাড়া দিয়ে জিহাদের ডাক দেন ওলামায় দেওবন্দের পুর্বসুরী ফতেহ আলী উরফে টিপু সুলতান (১৭৫৬) সালে ।এবং মীর সাদেক নামের একজন শিয়া (তাদের মতে রেজভী) বেইমানি করেছিল ৯০০ মোরব্বা জমিনের আশায় । 

জবাব :- জবাবের আগে মজার কথা শোনেন (- টিপু সুলতানের জন্ম হচ্ছে ১৭৫০ সালে , তা হলে কি ৬ বছর পর যুদ্ধে গেল ? আমারে কেউ ধর। আগে এর পোষ্ট দেখে একটু হাসি । 

টিপু সুলতান (জন্ম: ২০ নভেম্বর১৭৫০ - মৃত্যু: ৪ মে১৭৯৯ ছিলেন ব্রিটিশ ভারতের মহীশূর রাজ্যের শাসনকর্তা। তিনিএকজন বীর যোদ্ধা ছিলেন। ইংরেজদের বিরুদ্ধে তিনি বীরত্ব সহকারে যুদ্ধ করেন। তিনি তাঁর শৌর্যবীর্যের কারণে শের-ই-মহীশূর (মহীশূরের বাঘ) নামে পরিচিত ছিলেন।
সুত্র(১) ;- http://bn.m.wikipedia.org/wiki/টিপু_সুলতান
সুত্র ২);- সুত্র ;- তাদের কিতাব (দেওবন্দ আন্দোলন ) ইতিহাস ঐতিহ্য ও অবদান, বাংলাদেশ কৌমী শিক্ষা বোর্ড কর্তক পাঠ্য পুস্তক রুপে প্রকাশিত , পৃষ্টা নং ৯৬ 

আর উপরে মীর সাদেক নামের যে শিয়া এর কথা বলা হচ্ছে সে কোন দিন রেজভী ছিল না।  বরং সে শিয়া ছিল , তাকে আমাদের সাথে জড়ানো দুষমনি ছাড়া কিছুই নয় । আর যাদের অন্তর আর একজনের হিংসায় পরিপূর্ন তাদের উপর আল্লাহর লানত ।

এর পর লিখছে ;- তার পরে কার্যকরি ভুমি পালন করতে আসে ওলামায় দেওবন্দি পুর্বসুরী নবাব সিরাজ-উদ্দৌলা , সিরাজ উদ্দৌলার সাথে গাদ্দারী করেছিল  মীর জাফর নামের ব্রেলভী শিয়া । 

জবাব;- নাবব সিরাজ-উদ্দৌলা কে তারা নিজেদের আকাবের দাবি করল এই খানে , তার চরিত্র খারাপ ছিল তার ওনেক কিছু প্রমান আছে আমার কাছে। আমি মাঝ খানে সিরাজ-উদ্দৌলা কে । কিন্তু এই শিয়া মীর জাফর কোন দিন ব্রেলভী ছিল না।  বরং এই শিয়া কুত্তার ঘরে সাইয়েদ আহমেদ ব্রেহলবী জন্ম নিয়েছেন । তথ্য সুত্র আমার কাছে নাই। খুঁজতে হবে । 


 (৩) ভুয়া কথা ;- ১৮২৪ সালে রন্জিৎ সিং মহা ভারতে স্টিম রোলার চালায় , তখন জীহাদের ফতোয়া প্রদান করে ওলামায় দেওবন্দের পুর্বসুরী। সাইয়েদ আহম্মক ব্রেহলবী . 
এই জীহাদে কার্যকরি ভুমিকা পালন করেন ওলামায় দেওবন্দির পুর্বসুরী আব্দুল গনীর ছেলে শাহ ইসমাইল , এই জিহাদে বেইমানি করেছিল তকি আলী খান নামে এক কাফের । 
এই ত্বকী আলী খান ইমাম আহমেদ রেজা খান ফাজেলে বেরেলভী (রহ) এর দাদা 

জবাব;---- এই খানে একটা বৃত্তান্ত তুলে ধরি , 
কে এই সাইয়েদ আহমেদ ? 

লক্ষ্য করুন ;- the indian muslim কিতাবে তত্কালীন ইংলিশ জেনারেল ডব্লিউ ডব্লিউ হান্টার ৩ নং পৃষ্টায় লিখেছেন যে : পাঞ্জাব সীমান্তে বিদ্রোহের গোড়াপত্তন করে সাইয়েদ আহমাদ , কুখ্যাত এক দস্যুর অশ্বারোহী রূপে জীবন সুরু করে ও বহু বছর যাবত মালওয়া অঞ্চলে আফিম সম্মৃদ্ধ গ্রামগুলোতে লুটতরাজ চালায়। রঞ্জিত সিংহের নেত্রীতে উদীয়মান সক্তি পার্শ বর্তী মুসলিমদের উপর যে নিস্গেধাগ্গা আরোপ করে তাতে মুসলিম দস্যুদের কার্যকলাপ বিপদসংকুল হয়ে পরে ও দস্যু বৃত্তি লাভজনক থাকে না ( the indian muslim ) পৃষ্টা ৩-৪ 

এর পর আবার দেখুন :- শিকদের গোড়া হিন্দুয়ানির কারণে উত্তর ভারতে মুসলমানদের উত্সাহিত করতে থাকে। সাইয়েদ আহমাদ অত্যান্ত বিচক্ষনতার সহিত দস্যু বৃত্তি ত্যাগ করে ও ১৮১৬ খ্রিস্টাব্দ নাগাদ চলে যান ইসলামের এক সুবিখ্যাত পন্ডিতের নিকট (শাহ আব্দুল আজিজ ) the indian muslim পৃষ্টা ৪ 

এখান থেকে সুস্পস্ট প্রমানিত সাইয়েদ আহমাদ একজন কুখ্যাত ডাকাত ছিল পরে রঞ্জিত সিংহের বিচক্ষনতার কারণে যখন দস্শুবৃত্তি লাভজনক থাকে না তখন তিনি দস্যু বৃত্তি ত্যাগ করে শাহ আব্দুল আজিজ সাহেবের কাছে যান।  

দেওবন্দী দের কিতাব ( দেওবন্দ আন্দোলন , ইতিহাস , ঐতিয্য ও অবদান ) বাংলাদেশ কৌমী শিক্ষা বর্ড থেকে পাঠ্য পুস্তক হিসেবে প্রকাশিত ৯৯ নং পৃষ্টায় লিখেছেন যে ;- শাহ আব্দুল আজিজের নিকট সাইয়েদ আহমাদ গেলে তাকে একটা কিতাব পড়তে দেন। তখন তাকে কিতাবের প্রতি অন্যমনস্ক দেখে শাহ আব্দুল আজিজ সাহেব জিগ্গেস করেন পরচ না কেন ? তখন সাইয়েদ আহমাদ জবাব দেন যে আমি কাছের কোনো কিছু দেখতে পাই না ( দেওবন্দ আন্দোলন ) পৃষ্টা ৯৯-১০০

এখান থেকে একটা জিনিস প্রমাণিত যে সাইয়েদ আহমাদ কানা ও ছিল। আসলে সারা জীবন করেছে আফিমের খেত লুট এখন সামনে আঙ্গুর রাখলে কি তার চোখে পর্বে ? দেওবন্দী, বালকটি ,গোলাপী , আহলে হাদিস রা বলে সাইয়েদ আহমাদ নাকি মুজাদ্দেদ। আসলে সে নিজে ছিল কানা আর কানাদের জন্য ছিল মোজাদ্দেদ। আমাদের না।  

দি ইন্ডিয়ান মুসলিম কিতাবের ৫ নং পৃষ্টায় লিখেছেন যে ৩ বছর সে শাহ আব্দুল আজিজের সাহেভের কাছে থাকেন এর পর সম্পুর্ন নতুন রূপে লোকদের বায়েত নেওয়া সুরু করেন ( আওর মোহাম্মদী তরিকায়) ও নিজেই ধর্মের প্রচারক রূপে আত্মপ্রকাশ করেন। ফলে কিছু দুর্ধর্ষ একদল ভক্ত অনুসারী তার পশ্চাতে সমবেত হয়।  

এখান থেকে একটা বিষয় লক্ষ্য করুন যে সে ডাকাতি ছেড়ে দিয়ে ৩ বছরে সে একজন ধর্মীয় প্রচারিক ও সম্পুর্ন নতুন এক তরিকার জন্ম দেন যাকে আওর মোহাম্মদী তরিকা বলা হয় বাংলাদেশের ( ফুলতলী,জয়্ন্পুরি,আট রশি ,সরছিনা , চরমোনাই , রাজারবাগ, চন্দ্র পারা ) এই সিলসিলার অন্তির্ভুক্ত , এদের সেজ্রায় (বুজুর্গ দের লিস্টে) সাইয়েদ আহমাদ এর নাম আছে ) 
অথচ দেওবন্দী গণ সাইয়েদ আহমাদ কে মোজাদ্দেদ মানে কিন্তু তার তৈরী (আওর মোহাম্মদী ) তরিকা মানে না।  

দি ইন্ডিয়ান মুসলিম কিতাবের ৫ নং প্রিস্তাই লিখেছেন যে ১৮২২ সালে হজ্জ করতে যায় পরের বছর অক্টোবর এ ফিরে আসে ও রায় বেরেলি (তার জব্মস্থান) এ কিছু অশান্ত প্রকৃতির লোক কে তার দলে টেনে নেয়। এর পর সে ধর্মান্দ কুসংস্কারাচনন পাঠান অধ্যষিত এলাকায় যায় এবং পবিত্র জিহাদ এর দাওয়াত দেয় , আর বলে যে পরিমান হিন্দুদের সম্পদ লুট হবে জারা বেছে যাবে যুদ্ধে থেকে তারা এক বিশাল পরিমান সম্পদ নিয়ে ঘরে ফিরতে পারবে।  
পাঠানরা তার কোথায় সম্মত হয় ও সাইয়েদ আহমাদ ও এটাকে কাজে লাগায় পুরাণ দুস্মনির জবাব দেয়ার জন্য ( দি ইন্ডিয়ান মুসলিম ) পৃষ্টা ৫ 

এখান থেকে একটা জিনিস প্রমাণিত যে দস্যু বৃত্তি করার সময় রঞ্জিত সিংহের সাথে থাকা পুরাণ দুস্মনির জন্যই সাইয়েদ আহমাদ শিখদের সাথে যুদ্ধে জড়িয়েছিলেন। আর পাঠান রা আজ ও পাগলের মত , পাঠান দের কে দেওবন্দিদের মুজাদ্দেদ আশরাফ আলী থানবী অনেক খানে বেজ্জাত করেছেন ( দেখে নিন মুসলমানের হাসি পৃষ্টা (ইফাজাতুল য়াওমিয়াহ ) পার্ট ২ পেজ ২৮৬ (হৃদয় ছোয়া কাহিনী পৃষ্টা ৩১) এই কুসংরাচন্ন পাঠান রা লুটতরাজ এর জন্যই সাইয়েদ আহমাদ এর সাথ দিয়েছিল।  

এবং সেই পাঠানদের মেয়েদের সাথে জুলুম করার কারণেই পলানোর সময় বিপদে পরে থাকা শাহ ইসমাইল দেহলবী কে সাহায্য করার সময় শিখদের হাতে নির্মম ভাবে মিত্তু বরণ করেন ( দি ইন্ডিয়ান মুসলিম ) ১১ নং পৃষ্টা 

ডব্লিউ ডব্লিউ হান্টার এর এই কিতাবে তিনি কোনো খানেই লিখে যান নাই যে সাইয়েদ আহমাদ ইংরেজদের কে লক্ষ্য করে একটা বুলেট চুরেচেন।  
অথচ দেওবন্দিদের মুখে সুধু সাইয়েদ আহমাদ এর গুন্কির্তিন শোনা যায়।  

তাদের নিজের হাতে লিখা কিতাব ( দেওবন্দ আন্দোলন ) এর ৯৯-১৩৬ পর্যন্ত মোট ৩৭ পেজ এ সাইয়েদ আহমাদ এর জীবনী বর্ণনা করেছেন। তারা নিজেরাই সেই কিতাবে লিখতে পারে নাই যে সাইয়েদ আহমাদ ইংরেজদের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করেছেন। আমু ডি ইন্ডিয়ান মুসলিম কিতাবের a-z পর্যন্ত ও দেওবন্দ আন্দোলনের ৯৯-১৩৬ পর্যন্ত সকল পৃষ্টা দিব।কোনো দেওবন্দী মায়ের লাল থাকলে যেন আমার চলেংজ করে।  

আব্দুল ওয়াদুদ এর লিখা কিতাব (ওয়াহাভি আন্দোলন) লিখেছেন যে - সাইয়েদ আহমাদ সৌদি তে গিয়ে ওহাবী শিক্ষায় দীক্ষিত হয়ে আসে ও উপজাতি অঞ্চলগুলোতে সুন্নি মুসলিমদের কে মুশরিক মাজার পুজারী ও তাদের ধন সম্পদ গনিমত বলে ফতোয়া প্রদান করেন। যখন সাইয়েদ আহাম্মক জিন্দা ছিলেন তখন পুরা হিন্দুস্তান এ ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানির অধীন পুরা ছিল না৷ আর তখন সকল মুসলিম রা জিহাদ এর জন্য এক পায়ে খাড়া ছিলেন কিন্তু সাইয়েদ আহমাদ দেশের ভিতরে না থেকে সকল মুসলিম কে একখানে না করে তাদের কে কোন পথ না দেখিয়ে তিনি পার্শবর্তী মুসলিম রাজ্য গুলো যেমন সোয়াত ,ইউসুফ যাই ( মালালা ইউসুফ যাই এর এলাকা ) , কাবুল , কান্দাহার , পেশাবর , উজিরিস্তান , এই সকল এলাকায় হামলা চালান যাতে করে হিন্দুস্থান এর মুসলিম দের দিকে তারা নজর দিতে সময় না পান ও পাঞ্জাব এর শিকদের সাথে তিনি খন্ড খন্ড ২-১ তা যুদ্ধে লিপ্ত হন তাতে ও গো হারা হেরে পলায়ন করেন ৷ (ওহাবি আন্দোলন ১-৮৭ পৃষ্ট )

মুসলিম রাজ্য গুলোতে এত পরিমান অত্যাচার করেছেন তা( ওহাবী আন্দোলন ) আব্দুল মৌদুদ এর লেখা দেখলে চোখে পর্বে আর সেই কিতাব এর স্ক্রিন শুট এর প্রজন বলে বলিয়েন আমি দিয়ে দিব ৷
আর তিনি ঠিক মুসলিমদের কে আব্দুল ওহাব নজদি এর মত সুন্নি মুসলিমদের কে মুশরিক ও তাদের যান মাল গনিমত বলে ফতোয়া দেন ৷ আর এইকারণে যত মুসলিম ঘর উজার হয়ছে তার হিসাব একমাত্র আল্লাহ জানেন আর ইতিহাস সাক্ষী৷ (ওহাবি আন্দোলন পৃষ্টা ৩৪)

শিক দের সাথে২-১ তা যুদ্ধ করেছেন তাও আবার ইংরেজ দের জন্য. ৷কারণ তখন পাঞ্জাব ছিল ইংরেজ মুক্ত আর সেনাপতি রঞ্জিত সিং ছিলেন এক বাহাদুর ও বিচক্ষণ সেনাপতি৷ আর ইংরেজদের সাথে কয়েকবার তাদের মোকাবেলা হয় কিন্তু ইংরেজরা কোনো কিছুই পান নাই তাই সাইয়েদ আহমাদ কে দিয়ে শিকদের কে চাপে রাখেন ও ইংরেজদের ও চেষ্টা অব্বাহত থাকে ৷ শেষে ইংরেজদের সাথে শিকরা ইংরেজদের সাথে সন্ধি করেন৷
তাওয়ারিখে অজীবাহ নামক কিতাবের ১৮২ নং পাগ বলা হয় যে সাইয়েদ সবের কোনো ইচ্ছা ছিল না ইংরেজদের সাথে যুদ্ধ করার ৷ তিনি বরং ইংরেজদের রাজত্ব কে নিজের রাজত্ব মনে করতেন ৷ তিনি যদি ইংরেজ বিরোধী হতেন তা হলে কিভাবে অনার কাছে সাহায্য পৌঁছত সে সময় ?তবে ইংরেজদের চেষ্টা ছিল সাইয়েদ আহাম্মক এর দিয়ে শিকদের চাপে রাখতে ৷

আবুল হাসান আলী নদভীর লেখা ( ছিরাতে সাইয়েদ আহমাদ) ১ম খণ্ডের ১৯০ নং পেজে বলেন যে সাইয়েদ আহম্মক সবার সামনে ইংরেজ বিরোধী ওপরে দেখালেও তিনি তার সাথের মৌলবী মুফতি গণ গোপনে ইংরেজদের কাছ থেকে সাহায্য ও সহযোগিতা নিতেন ৷

সাইয়েদ আহমাদ এর প্রধান সেনাপতি মহা পন্ডিত শাহ ইসমাইল দেহলবী একবার কলকাতা এর মসজিদে শিখদের বিরুদ্ধে জেহাদ এর দাওয়াত দিতেছিল এমন সময় একজন লোক বলে উঠে যে আপনি ইংরেজ দের বিরুদ্ধে যুদ্ধের দাওয়াত করছেন না কেন ? ইংরেজদের বিরুদ্ধে যুদ্ধ ঘোসনা না করে শিখদের বিরুদ্ধে যুদ্ধের দাওয়াত দিতেছেন ?
শাহ ইসমাইল বলেন যে ইংরেজর আমাদের কোনো ধর্মীয় বিসয়াদি তে ও কোনো প্রকার অসুবিধা এর সম্মুখীন করছে না তাই এদের বিরুদ্ধে যুদ্ধ ফরজ তো দূর ওয়াজিব ও না ৷ ইংরেজদের ওপর যদি কেউ হামলা চালায় তো ইংরেজদের হয়ে তাদের বিরুদ্ধে আমাদের যুদ্ধ করা ফরজ কারণ আমরা তাদের প্রজা ৷ কিন্তু পাঞ্জাবে যখন আমাদের মুসলিমদের সমসা হচ্ছে তাই তাদের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করা প্রজন ।

মির্জা হায়াত দেহলবী প্রণীত ( হায়াতে তায়য়েবাহ ) শাহ ইসমাইল এর জীবনী গ্রন্থ পেজ ২৭১ 

মুন্সী মোহাম্মদ জাফর থানেস্সরী তার কিতাব ( সাওয়ানিয়ায়ে আহমাদি ) পৃষ্টা ৪৭ এ তাই বলেছেন 

মজার কথা হচ্ছে সিলেট এর ফুলতলী এর পীর মোহাম্মদ ইমাজ উদ্দিন চৌধুরী ( সাইয়েদ আহমাদ বেরেলবী এর জীবনী) পুস্তক লিখতে গিয়ে তার দিতীয় সংস্করণ এর ৪৮ ও ৪৯ নং পেজ লিখেছেন ( ইংরেজ অথিত্ত ) তে বলেন ইসার নামাজের পর সাইয়েদ সাহেব কে খবর দিল যে মশাল হাতে কয়েকজন লোক এদিকে আসছে ৷ সাইয়েদ সাহেব খবর নিতে গিয়ে দেখেন কয়েকজন ইংরেজ ৷ তার মধে থেকে একজন এসে বলল সাইয়েদ সাহেব কে ৷ তিনি বললেন আমি ৷ইংরেজ বলল আমরা ৩ দিন যাবত আপনার রাস্তা দেখতেছি ৷ আজ খবর পেলাম আপনি এদিক দিয়ে যাচ্ছেন তাই এই নগন্য খাদ্য দ্রব্য গুলো কবুল করেন 

যে সকল দলিল আমি পেশ করেছি তা সব গুলি দেওবন্দী বুজুর্গ ও গোলাপী সুন্নিদের কিতাব থেকে, মানে হচ্ছে যারা সাইয়েদ আহমাদ কে নিজেদের আকবের মানে ও মুজাদ্দেদ মানে তাদের কিতাব থেকেই দিলাম। এখন নিজের চোখে দেখে আমাকে জবাব দিন কে ? আর করা ? ইংরেজদের দালাল ছিল ? 


আর এই খানে আর একজন কুত্তার কথা বলা হয়েছে তার নাম হচ্ছে শাহ ইসমাইল । 
দেওবন্দিদের প্রখ্যাত আলেম আল্লামা ফজলে রহমান বদ্বায়নী (রহ) ওনার স্বীয় কিতাব ( আল ফাউযুল মুবীন বিশাফা আতীয়স শাফে-ঈন ) কিতাবের (৮৮-৯৪) পেজে তাতে কাফের বলেছেন । 


তিনি আরো বলেছেন যে ;- মৌলভী ইসমাইল মুলত খারেজী ও মুতাযিলা সম্প্রদায়ের আকিদা রাখতেন পৃষ্টা নং (১৮-১৯) 


আর এই ফতোয়ার কারনে দেওবন্দিদের মুখে কুলুপ এটে গেছে ওনেক আগেই । তবু কিছু নেড়ি ইয়ে ঘেউ ঘেউ করতেই থাকে । 

আর মজার কথা হচ্ছে যে এই শাহ ইসমাইল মওত ও হয়েছে মুসলমানের হাতে । 

ওহাবি নজদিরা যদি জীহাদ করে তবে কেন তাদের মুনসির (সেক্রেটারীর) নাম হিরালাল লিখেছেন মির্যা হায়রাত দেহলভি তার কিতাবে (হায়াতে তাইয়েবাহ ) পৃষ্টা ৩৩৩

রাজা শের সিং শাহ ইসমাইলের লাশের উপর দুটি শাল (চাদর)  দিয়ে নিজের সৈন্য দলের মুসলমান সৈন্য ও এলাকাবসী দের কে দিয়ে যানাযা করিয়ে দাফন করিয়ে অতি মর্যাদার সাথে দাফন করিয়েছেন ( হায়াতে তাইয়েবাহ ) পৃষ্টা ৭০ ।

মৌলভী ওযায়দুল্লাহ সিন্ধী লিখেছেনে ;- বালাকোটের ঘটনায় পুর্ববরতিদের অবশিষ্ট মুজাহীদগন আমীর (সাইয়েদ আহমেদ) এর লাশ পায়নি , কারন হচ্ছে শিখগন আমীর সাইয়েদ আহমেদের গলা কেটে নিয়ে স্থানীয় মুসলমানদের দিয়ে অতি মর্যাদার সহিত দাফন সম্পন্ন করেন (শাহ ওলিউল্লাহ ওর উনকি শিয়াসিহ তাহরীক) পৃষ্টা ১২১ 

দেওবন্দিদের মুজাদ্দেদ আশরাফ আলী থানবী তার কিতাব (ইমদাদুল মুসতাক) এর ৬১ নং পৃষ্টায় লিখেছেন যে ;- সাইয়েদ আহমেদের জন্য শের সিং স্বসম্মানে একটা সাধারন মায়ার তৈরি করেছেন । 

আর এই কথিত ত্বকী আলী খানের কোন নাম ও নিশান আমি আমার অধ্যায়ন জীবনে পাইনি। 
কোথায় রায় বেরেলী আর কোথায় বর্তমান পাকিস্তানের বালাকোট । 
ত্বকী আলী খান নামের যে কাহীনি অবতারটা করা হয়েছে তা দুষমনি মুলক ছারা কিছুই নয় । 

বরং তাদের কে হত্যা করা হয়েছে কেন তার কারন আমি আরো বিশদ আকারে তুলে ধরলাম ;- আসল কথা শোনেন তারা অহাবিবাদ প্রতিষ্টা করার জন্য ও শিকদের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করার জন্য সীমান্ত এলাকা গুলোতে তত্পরতা চালায় ফলে কিছু পাঠান তার সাথ দেয়। এমন সময় সাইয়েদ আহমাদ বেরেলভী কিছু ভারতীয় দের সাথে পাঠানদের বিধবা স্ত্রী ও মেয়েদের জোর পূর্বক বিয়ে দেন। এ নিয়ে পাঠান দের মনের মধে এক ঠান্ডা যুদ্ধ বিরাজ করতে ছিল এমন সময় শাহ ইসমাইল দেহলবী এলার্ন করে যে মুজাহিদ বাহিনীতে ওপ্রাপ্ত বয়স্ক কোনো কুমারী মেয়ে থাকতে পারবে না। ফলে ২০ জন এরমত পাঠানদের মেয়েদের কে ইন্ডিয়ান পাঞ্জাবি মুসলিম দের সাথে বিয়ে দেন ও শাহ ইসমাইল দেহলবী নিজে ২ টা মেয়ে কে বিয়ে করেন সায়য়েদ আহমদ ও একটা মেয়ে কে বিয়ে করেন জোর করে তার পরে একটা মেয়ে সন্তান জনম নেয়। পাঠান দের মাঝে একটা রীতি আজ পর্যন্ত বিদ্যমান আছে যে তারা নিজেদের বাচ্চা কে পাঠানদের সাথেই বিয়ে দিবে আর কম বয়সের বাচ্চা দের কে তারা বিয়ে দেন না। কোন ভাইয়ের যদি পাঠানদের সাথে চলা ফেরা থাকে এই বিসয় তা জেনে নিতে পারেন। ফলে পাঠান রা নিজেদের বাচ্চা মেয়ে দের কে ফেরত চান। সাইয়েদ আহমাদ অশিকৃতি জানান কে তারা এখন আমাদের স্ত্রী। এই নিয়ে সীমান্তের আফগানি পাঠানদের সাথে সাইয়েদ আহমাদ এর ঔতিহাসিক ( ফুলুড়ার ) যুদ্ধ সংঘটিত হয় এতে সাইয়েদ আহমাদ এর ওয়াহবি অনেক সৈন্য নিহত হয়. মলোবি মাহমুব আলীর নেতৃত্বে একদল সন্য বাহিনী হিন্দুস্থান এর দিকে পলায়ন করে ফলে লক্ষ সন্য বাহিনীর মধে ১০০০ -১২০০ সন্য থেকে যায় সাইয়েদ আহমাদ এর সাথে। অবস্থা বেগতিক দেখে সাইয়েদ আহমাদ কাশ্মীর এর দিকে পলাতে সুরু করেন। কিন্তু পতিমদ্ধে শিখ সেনাপতি স্যার সিং এর ২০০০০ হাজার সন্য বাহিনী ও পিছনে সীমান্তের আফগানি পাঠানদের হাতে বালাকোট সাইয়েদ আহমাদ তার চূড়ান্ত পাপের  ফল লাভ করেন। সুন্নি পাঠান গণ তার ওহাবী বাদ ও তাদের বিবি বাচ্চা দের জুলুম করার কারণে তাদের বিরুদ্ধে যুদ্ধে লিপ্ত হন ও একদিক্ সুন্নি পাঠান ও অন্য দিকে শিখ সনদের কাছে নির্মম ভাবে মিত্তু মুখে পতিত হয় । 
শাহ ওয়ালিউল্লাহ ও তার রাজনৈতিক চিন্তা ধারা ৭৮-৮৬ ওবায়দুল্লাহ সিন্ধি এর লেখা কিতাব থেকে 

শাহ ইসমাইল ও সাইয়েদ আহমেদে সাবজেক্ট বন্ধ করলাম।  এর পর দেখা যাক :- 

৪- ভুয়া কথা ;- ১৮৬৪-৬৭ সালে বৃটিশ বিরুধি পোঁতা জারী করেছিল নাকি তারা দারুল উসুল দেওবন্দ থেকে  কাশেম নানুতভী তাতে ভুমিকা পালন করেন । 


জবাব :- দেওবন্দীরা যে করা তা আপনি চিন্তা করেই পারবেন না। এদের দালালি আর অলি আওলিয়া কেরাম নবী পাক আলাইহিস সালাম এর দোষ আর কমজোরী খুঁজে খুঁজে এদেত রাতে ঘুম আসে না। আর ইংরেজ দের দালালি ছাড়া এদের পেটের ভাত জুট না। এরা বলে বাড়ায় আমরা ইংরেজদের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করেছি ইটা সেটা হেন টেন অনেক কিছু। কিন্তু বাস্তব চরিত্র অনেক কুত্সিত। দেখুন 
দেওবন্দ মাদ্রাসার অনুসারী মলোভি আহসান নানুতাভির জীবনী লেখক দেওবন্দ মাদ্রাসার সম্পর্ক ব্রিটিশ সরকারের লেফ্তানান্ট এর নির্ভরযোগ্য গোয়েন্দা (পামের) নামের একজন ইংরেজ এর বক্তব্য টুকে ধরেছেন যে ;- এ মাদ্রাসা দিন দিন উন্নতি করেছে। ৩১ জানুয়ারী রোববার ১৮৭৫ ব্রিটিশ জেনারেল এর নির্ভরযোগ্য বেক্তি পামের এ মাদ্রাসা দেখা মাত্রই ভালো ধারনা প্রকাশ করল যে :- যে কাজ বড় বড় কলেজ গুলোতে হাজার হাজার টাকা ঢেলে সম্পন্ন হয় , তা এখানে অতি অল্প খরচেই হয়ে যায়। যে কাজ একজন প্রিন্সিপাল হাজার হাজার টাকা নিয়ে সম্পন্ন করেছে , সেই কাজ এখানে একজন মলোভি ৪০ টাকা বেতনে করেছে। এ মাদ্রাসা ব্রিটিশ সরকারের বিরোধী নয় বরং সমর্থক,সহায়তাকারী ও সহযোগী (মাওলানা মুহাম্মদ আহসান নানুতাভি ) জীবনী কিতাব পৃষ্টাপ ২১৭  

আরো দেখুন আশরাফ আলী থানবীর দালালি এর বিষয় এ তাদের কিতাব (মাকালামাতুস সাদেরিন ) ৯ নং পৃষ্টায় লিখেছেন যে ইংরেজ গভর্মেন্ট থেকে প্রতি মাসে আশরাফ আলী থানবী সাহেব কে ৬০০ টাকা দেওয়া হত। আর এই টাকা মলোবি রশিদ আহমাদ গান্গুহির মাধ্যমে পৌছানো হত (মাকালামাতুস সাদেরিন ) পৃষ্টা ৯ 


মাকালামাতুস সাদেরিন কিতাবের ৮ নং পৃষ্টায় মাওলানা হিফজুর রহমান বলেছেন যে ;- তাবলিগ জামাতের প্রতিষ্টাতা মাওলানা ইলিয়াছ সাহেব তাবলিগী আন্দোলন এর প্রাথমিক পর্যায় ইংরেজ দের কাছ থেকে কিছু টাকা হাজী রশিদ আহমাদ গান্গুহী সাহেবের মাধ্যমে পেতেন। কিন্তু পরে তা বন্ধ হয়ে যায়। (মাকালামাতুস সাদেরিন ) পৃষ্টা ৮ 
দেওবন্দী দের অন্যতম রাজনৈতিক সংঘটন জমিয়তে ওলামায়ে ইসলাম এর বিষয় (মাকালাতুস সাদেরিন )এর ৭ নং পৃষ্টায় বলা হয়েছে যে ;- কলকাতা জমিয়তে ওলামায়ে ইসলাম সরকারের ইঙ্গিতেই ঘটন করা হয়েছে (মাকালামাতুদ সাদেরিন পৃষ্টা ৭ ) 

আশা করছি দেওবনদিরা কি ছিল তা প্রমান হয়ে গেছে তারা ইংরাজ বিরোধী ছিল না কি ইংরেজদের বন্ধু ছিল তা আমার জানা হয়ে গেছে আরো ওনেক কিছু আছে । বেশি কিছু যোগ করলাম না । 

এর পর আসল দারুল হারব ও দারুল ইসলাম প্রসংগ । 
তারা বলা  আব্দুল আজীজ (রহ) ও সাইয়েদ আহমেদ দারুল হারব ঘোসনা করেছেন আর আহমেদ রেজা খান সাহেব এটা দারুল  ইসলাম বলেছেন । 

এই কারনে নাকি তিনি ইংরেজদের দালাল হয়ে গেছেনে । 

আমার এ নিয়ে দুইটা কথা মাত্র । এক বারের জন্মা হলে জবাব দিও । 

(১)  শাহ আব্দুল আজীজ (রহ) যে দারুল হারব ঘোষনা করেছেন সেই সময় তিনি কেন দারুল হারব দেশে বসবাস করলেন ও কেন শুদ্ধ করলেন না ও কেন হিজরত  করলেন না ? 
আর যদি এসব করে থাকে তো তবে কোথায় নির্ভরযোগ্য তথ্য প্রদান কর ।
(২) শাহ আব্দুল আজীজ (রহ) এর ছাত্র ও তোমাদের মুজাদ্দেদ সাইয়েদ আহমেদের খলিফা ও একজন শাধু পুরুষ যাকে আমি ওনেক বেশি শ্রদ্ধা করি মাওলানা কারীমায় আলী যৌনপুরি (রহ) কেন ভারত তে দারুল ইসলাম বলেছেন ? 

এই দুইটার জবাব দিয়ে পার হয়ে যাবেন। দয়া করে । 

আর মাওলানা আহমেদ রেজা খান ফাজেলে ব্রেলভী (রহ) এর সাথে মির্যা কাদীয়ানি কুত্তার পরিবারের সাথে নাম মেলানো এটা দুষমনি ছারা কিছুই নয় । এই সকল কথার কোন প্রকার প্রমান নাই । যারা এই রকম দুষমনি মুলক বেবুনিয়াদ পোষ্ট করে ফেতনা সৃষ্টি করে তাদের উপর আল্লাহর লানাত । 

আর এই খানে দেওবন্দি দের পীর আতাউল্লাহ ওহাবীর বিষয় আমার কাছে ওনেক দালালীর প্রমান আছে তা আরো পোষ্টে লিখে পোষ্ট বড় করতে চাই না । 

আর নিজেদের তারা তারিফ তো ওনেক করেছেন কিন্তু নিচে একটা সত্য কথা ও উল্লেখ করেছেন যে ;- গরু উট কোরবানীর বিরুদ্ধে ওলামায় দেওবন্দ । 

হা। গরু কোরবানীর বিরুদ্ধে তোমরা কারন গরুে তোমাদের না লাগে। আর শিব ঠাকুর তোমাদের নবী (তোমাদের কথা মতে) 

এই লেখা গুলো জলদি করে টাইপ করা হয়েছে ভুল হতে পারে বানান ।