রবিবার, ১৯ অক্টোবর, ২০১৪

''সামা'' এর X-RAY রিপোর্ট দেওবন্দী দের কিতাব থেকে


দেওবন্দী দের কে আমি সেমা এর বিষয় কিছু দলিল দিয়েছিলাম হোজ্জাতুল ইসলাম ইমাম গাজ্জালি (রহ) সাহেবের কিতাব থেকে।  যদিও দেওবন্দী গণ সুদ্ধ তাসাউফ মান্যকারী বলে দাবি করে (সুত্র ;- দেওবন্দ আন্দোলন ) কিন্তু তাসাউফ এর প্রাণ পুরুষ ইমাম গাজ্জালি এর কথা ও মান্য করতে রাজি না বর্তমান দেওবন্দী বলে দাবিদার গণ।  অথচ এমাম গাজ্জালি সাহেবের ইজ্জাত বর্ণনা করতে গিয়ে মাওলানা জাকারিয়া তার কিতাব (শরীয়াত ও তরিকত কা তালাজুম ) এর ২০-২১ নং পৃষ্টায় লিখেছেন যে ;- মাদ্রাসায় ২ কলম পড়ুয়া রা বলে ইমাম গাজ্জালি সাহেবের হাদিস ভুল , অথচ তাদের জানা নাই যে ইমাম গাজ্জালি এর ইলম থেকে আমাদের ইলম এর পার্থক্য করার ইলম ও আমাদের মাঝে নাই ( শরীয়াত ও তরিকত কা তালাজুম ) পৃষ্টা ২০-২১


মাওলানা জাকারিয়া এর এই ২ কলম মাদ্রাসা পড়ুয়া দের লক্ষ্য করে যে উক্তিটি করেছেন তা ১০০ তে ১০০ ভাগ প্রযোজ্য বর্তমান কুলাঙ্গার দেওবন্দী দের বেলায়।   

 আমার আগেই জানা ছিল যে তারা গাজ্জালি সাহেবের কিতাব কে অস্বিকার করবে , তাই আমি তাদের কিতাব গুলো তে খুজা সুরু করি (সামার ) দলিল।


  এখন দেখুন :- মাওলানা আশরাফ আলী থানবী দেওবন্দী দের হেকিমুল উম্মত ও মোজাদ্দেদ এর কিতাব ( রুহে তাসাউফ ) এর ৫৫ নং পৃষ্টায় লিখেছেন যে ;- আবু সুলায়মান দারানি (রহ) এর নিকট সামার বিষয় জানতে চাওয়া হলে তিনি বলেন যে :- যে অন্তর সুন্দর কন্ঠের উত্সুক হবে , সে ক্ষীন অন্তর ও দুর্বল চিত্তের লোক :- আর সামা তার ঔষদ সরূপ।  উদাহরণ তার কচি শিশু , সে শুইতে চায়  , তখন মধুর কন্ঠ ইত্যাদি দ্বারা তার নিদ্রার বেবস্থা করা হয়।  আবু সুলায়মান (রহ) আরো বলেন মধুর কন্ঠ বা সুরোলিত সুর অন্তরে বিলোপ কিছুর সৃষ্টি করে না , যা তার অন্তরে আছে তা নাড়া দিয়ে জাগ্রত করে দেয় ( রুহে তাসাউফ) আশরাফ আলী থান্বির লেখা কিতাব পৃষ্টা ৫৫ 


আশা করছি দেওবন্দী ভাইদের চোখে পরেছে কথা গুলো , আর এটাই বলা হয়েছে কত গুলো অন্তর ক্ষীনও ও কঠিন , ফলে সুলোলিত সুর ও মধুর কন্ঠে গাওয়া কোনো  আবেগ করা ইস্ক এর সামা সুনে সেই অন্তরে থাকা নিস্প্রান ইমান কে নাড়া দেয় , ফলে তা জেগে উঠে নতুন উদ্যমে।  


এর পর আবার দেখুন ;- উক্ত কিতাবের ৫৬ নং পৃষ্টায়  থানবী সাহেব আবার লিখেছেন যে :- আমি উস্তাদ আবু আলী দাক্কাকি এর কাছ থেকে সুনেছি যে ;- এক মজলিশে আবু অমর ইবনে জায়েদ ও হজরত নাচরাবাদি ও কতিপয় লোক উপস্থিত ছিলেন।  তখন নাচ্ছরাবাদী (রহ) বলেন যে ;- আমার কথা হচ্ছে যে কতগুলো লোক যখন এক খানে জমায়েত হয় তখন একজন কে কিছু বলা উচিত , এই খানে টিকা দিয়ে লিখেছেন যে ( এতে প্রতিয়মান হয় যে তার মতে সমা মোবাহ  বা জায়েজ) অবশিষ্ট লোক চুপ থাকবে।  এটি কমপক্ষে কারো গিবত করা থেকে উত্তম।  আবু অমর ইবনে জায়েদ তখন বললেন যে ;- যদি ৩০ বছর গীবতে লিপ্ত থাক ,তার চেয়ে সামা এর অবস্তায় মিথ্যা ও ভিত্তিহীন কিছু প্রকাশ ঘটানো থেকে উত্তম হবে।  (রুহে তাসাউফ ) পৃষ্টা ৫৬ 


এই খানে আশরাফ আলী থানবী যে ২ জন বুজুর্গের কথা উল্লেখ করেছেন তাতে বলা হয়েছে যে :- কয়েকজন লোক যদি একত্রিত হয় তা হলে  একজন কিছু আবেগ ভরা সুর নিয়ে কিছু সুন্দর আবৃতি করবে যা ইসলামের সত্যিকার এর দিকে ধেয়ে নিয়ে যেতে পারে , আর সবাই চুপ করে সুন্ভে , এতে একজন আর একজনের গিবত করা থেকে উত্তম।  এবং অমর ইবনে যায়েদ ও তাই বলেছেন।  


উক্ত কিতাবের ৫৭ নং পৃষ্টায় লিখেছেন যে ;- মাওলানা ও মুফতি আহমাদ সফি বলেন যে :- যে কথা টা আমি উল্লেখ করা সমীচীন মনে করি যা আমি থানবী সাহেবের বরকত ময় জবান থেকে একাধিক বার সোনার সৌভাগ্য অর্জন করেছিলাম তা হচ্ছে ;- চার সিলসিলার মধে তরিকতের পন্থী শায়েখ গণ কাউকে সামা করণীয় হিসেবে নির্দেশ দেন নাই , তবে পরবর্তিতে পির মাশায়েখ দের অদিষ্ট মামূল ছিল যে অভিজ্ঞতার নিমিত্তে উপকারী সাব্যস্ত হওয়ার ভিত্তিতে সংযোজন করা হয়েছে ।রুহে তাসাউফ পৃষ্টা ৫৭ 


এই খানে দেওবিন্দী দের মুফ্তিয়ে আজোম সফি সাহেব বললেন যে তরিকত পন্থী শায়েখ গণ সামা করণীয় হিসেবে নির্দেশ দেন নাই। এই কথার অর্থ হচ্ছে যে পীর সাহেব রা যেমন অজিফা দেয় ও তা পালন করতে বলে তেমন সামা এর বিষয় নির্দেশ দেন না ,

এবং তরিকত পন্থী পীর মাশায়েখ গণ সামা উপকারী সাব্যস্থ বিধায় সংযোজন করেছেন। আর ইটা যেহেতু উপকারী সেহেতু মোবাহ বা জায়েজ 


আবার দেখুন (মাওয়ায়েজ এ আশরাফিয়া) কিতাবের ৪ থা খন্ডের ৬৭ নং পৃষ্টায় আশরাফ আলী থানবী সাহেব লিখেছেন যে ;- আমি একদিন হজরত নিজামুদ্দিন কুদ্দেসা সিরুহুল সাহেবের মাজারে গিয়ে কবর জিয়ারত শেষ করে আসতে ছিলাম , আসার পথে দেখলাম যে কাওয়ালী এর আয়োজন করা হচ্ছে। আমাকে বাধা দিয়ে দিয়ে কাওয়ালী এর আয়োজক রা বলল যে আপনি অপেক্ষা করুন ,কাওয়ালী সুনে এর পর যাবেন।  আমি বললাম যে আমি যদি কাওয়ালী সুনি তবে সুল্তান্জি (খাজা গরিবে নেওয়াজ) নারাজ হবেন। তখন তারা বলল যে ;- কেন চিস্তিয়া বুজুর্গ রা তো সবাই কাওয়ালী শোনেন ,সুল্তান্জি (গরিবে নেওয়াজ) নিজেও কাওয়ালী সুনেচিলেন। তখন আমি বললাম যে হা তিনি কাওয়ালী সুনেচিলেন, আর ওনার কিতাব (ফাওয়ায়েদুল ফুয়াদ) কিতাবে কাওয়ালী বা সঙ্গীতের জন্য ৪ তা সর্ত দিয়েছেন :- (১) শ্রোতা (২) গায়ক (৩) স্রবনীয় বিষয় বস্তু (৪)স্রবনীয় যন্ত্রপাতি 

১) শ্রোতার সম্মন্ধে তিনি লিখেছেন স্রোতা কামভাব সম্পন্ন হতে পারবে না 

২) গায়ক মেয়ে লোক ও বালক হতে পারবে না 

৩)স্রবিনীয় বিষয় বস্তু বিষয় লিখেছেন যে , হাসি ,কৌতুক , প্রকৃতির হতে পারবে না 

৪) স্রবনীয় যন্ত্র পাতি সম্মন্ধ্র তিনি লিখেছেন যে , বাহেলা , সারেঙ্গী , হারমোনিয়াম থাকা চলবে না 


আমি দেখিতেছি এই খানে সেই সকল সর্ত সমূহের পালন করা হয় নাই ,তাই আমি এই খানে থেকে সুলতান জি (গরিবে নেওয়াজ)  কে নারাজ (অসুম্তুস্ট) করতে চাই না।  (মাওয়ায়েজ-এ-আশরাফিয়া ) পৃষ্টা ৬৭ 


এই খানে আশরাফ আলী থানবী সাহেব এর কথা গুলো লক্ষ্য করুন ;-যে যদি গরিবে নওয়াজ খাজা মউনুদ্দিন চিস্তি আজমেরী (রহ) এর দেয়া সর্ত পালন করা হত তা হলে মাওলানা আশরাফ আলী থানবী সাহেব ও কাওয়ালী সুন্তেন। কিন্তু সর্ত সমূহের পালন ছিল না বলে তিনি কাওয়ালী আয়োজকদের কে এই সকল কিছু বলে বোঝানোর চেষ্টা করেছেন যে আগে এই সর্ত গুলো পালন করুন তা হলে আমিও কাওয়ালী সুনব। 

এই খানে মাওলানা আশরাফ আলী থানবী সাহেব কাওয়ালী কে হারাম বলেন নাই বরং কাওয়ালী তে যে অতিরঞ্জন ও বেহায়া পনা আছে তা দূর করতে বলেছেন।  আমি মুজাদ্দেদিয়া তরিকার মুরিদ ও আমার শায়েখ মুজাদ্দেদ আল ফেসানি শায়েখ আহমাদ ফারুকী শেরেহিন্দী (রহ) আমার তরিকায় গান,গজল,কাওয়ালী,সামা  সব কিছু আমার জন্য মানা আর আল্হাম্দুল্লিল্লাহ রাব্বুল আলামিন আমি গান,সামা ,কাওয়ালী, গজল সুনি না,আমার অজিফা জিকির ও দরুদ। তাই বলে আমি সামা কে হারাম বলতে পারি না। কিন্তু এটা অবশ্যই বলব অতিরঞ্জন ও বেহায়াপনা অবশ্যয় হারাম হারাম হারাম। 

আর বর্তমান দেওবন্দী দের দিলের মাঝে সামান্য তম ইজ্জাত ও নাই খাজা গরিবে নওয়াজ এর প্রতি ,কিন্তু ওদের মুজাদ্দেদ আশরাফ আলী থানবী ওনার নাম না নিয়ে সুলতান্জি বলে সম্মোধন করেছেন। আর উনি যাতে আশরাফ আলী থান্বির উপর নারাজ না হন তার জন্য এমন বেহায়াপনা কাওয়ালী শুনতেও রাজি হন নাই। কত ইজ্জাত করতেন আশরাফ আলী থানবী খাজা গরিবে নেওয়াজ (রহ) কে ,আর সকল দেওবন্দী চিস্তিয়া বুজুর্গ নাম পরিচিত কারণ তারা সবাই চিস্তিয়া তরিকায় তালিম তর্বিয়াত দিয়ে থাকতেন ও মাওলানা জাকারিয়া এই নিয়ে একটা কিতাব ও লিখেছেন (মাশায়েখ-এ-চিস্ত) নামের। দেখে নিতে পারেন দেওবন্দী গণ। 


আরো একটু লক্ষ্য করুন যে ;- মাওলানা আশরাফ আলী থানবী তার কিতাব (রুহে তাসাউফ ) এর ৫৬ নং পৃষ্টায় লিখেছেন যে কথিত আছে যে ;- জৈনিক এক বুজুর্গ সপ্নে নবী পাকের জিয়ারত লাভে ধন্য হন ও নবী পাক এরশাদ ফরমান যে ;- সামা তে ভ্রান্তি বেশি হয়। (রুহে তাসাউফ ) পৃষ্টা ৫৬ 


এই খানে লক্ষ্য করুন যে ;- আশরাফ আলী থানবী সাহেব লিখেছেন যে ;- জৈনিক বুজুর্গ কে নবী পাক (স) এরশাদ ফরমান যে সামা তে  ভ্রান্তি বেশি হয় , কিন্তু থান্বির কিতাব  থেকে প্রমাণিত হলো যে নবী পাক সামা কে হারাম  বলেন নাই বরং অতিরঞ্জন এর  কারণে ভ্রান্তি বেশি বলেছেন। তাই আমাদের উচিত সামা কে হারাম না বলে অতিরঞ্জন ও বেহায়া পনা কে হারাম বলা। 

কৌমী মাদ্রাসায় যে হারে সমকামিতা হয় সে হারে সমকামিতা হারাম বিধায় আমরা এটা বলতে পারিনা যে কৌমী মাদ্রাসা গুলো হারাম , বরং সমকামিতাকে হারাম বলতে হবে , ও সমকামিতা কিভাবে দূর করা যায় সে ব্যবস্থা করতে  হবে , ঠিক সেই রকম কাওয়ালী কে হারাম না বলে অতিরঞ্জন কে হারাম বলা লাগবে , যাতে সেই অতিরঞ্জন কিভাবে দূর করা যায় তা বের করা লাগবে। 


দেওবন্দিদের আরো একটা কিতাব (তাসাউফ তত্ত্ব ) লিখেছেন মুফতি মাহমুদ আশরাফ উসমানী (উস্তাদ দারুল উলুম করাচি) উক্ত কিতাবের ২৩৪ নং পৃষ্টায় লিখেছেন যে - মোবাহ (জায়েজ ) সামা এর কিছু সর্ত আছে 

তা হচ্ছে ;- ১) শ্রোতা প্রবৃত্তি পুজারী হউয়া যাবে না 

২)মেহফিলে কোনো মহিলা বা দাড়ি গোফ বিহীন সুশ্রী বালক থাকা যাবে না (দেওবন্দী সমকামিতার একটা বেপার আছে ) 

৩) সামা দ্বারা আমোদ প্রমোদ ছাড়াও আল্লাহর জিকিরের প্রতি বিশেষ লক্ষ্য রাখা 

৪)সামা পাঠক কোনো মহিলা বা সুশ্রী বালক না হওয়া 

৫)সামার বিষয় বস্তু অস্শীল ও নাজায়েজ না হওয়া 

৬)সামার সাথে কোনো বাদ্যযন্ত্র না থাকা 

৭)লৌকিকতা বা লোক দেখানোর জন্য ওয়াজদ বা খোদা প্রদত্ত বিশেষ অবস্থার অভিনয় না করা। 


এই খানে মুফতি মাহমুদ আশরাফ উসমানী (মুফতি-এ-আজম সফি এর ছেলে ও তকী উসমানী এর ভাই) সাহেব অতিরঞ্জন কে না বলেছেন সমা কে না। হারাম বলেছেন অতিরঞ্জন ও বেহায়াপনা কে কিন্তু সামা কে হারাম বলেন নাই 


আপনারা দেওবন্দী গণ আপনাদের , আপনাদের আলেমদের কথাও কি আপনারা মানবেন না ? নাকি তারা ও বেদাতি ছিল ? নাকি আপনারা বেশি পেকে গেছেন ? কোনটা সত্য ? 


আমরা বা আমি সোহেল রানা কখনই সামার মধ্যেকার অতিরঞ্জন কে সাপোর্ট করি না। অতিরঞ্জন কে হারাম বলি কিন্তু সামা কে না  , কারণ সামার কি উপকার তা আপনাদের মুজাদ্দেদ এর কিতাব থেকে  আমি প্রমান করেছি। 

এখন আপনাদের যা মন চায় আমাকে গালি দেন ,দোয়া  , আপনাদের ইচ্ছা 


মা-আসসালাম 


সোহেল রানা 




শুক্রবার, ১৭ অক্টোবর, ২০১৪

নাদিম মাহদী) সে মাসলাক আলা হজরত এর একজন আলেম

দেওবন্দী দের এক কুলান্গার্র (নাদিম মাহদী) সে মাসলাক আলা হজরত এর একজন আলেম (আহমাদ ইয়ার খান নাইমি ) এর প্রতি একটা উদ্দেশ্য প্রনোদিত অভিযোগ অক্খাপন করেছেন যে মসজিদ এ গান বাজনা জায়েজ না। বরং যে হাদিস উল্লেখ করেছেন তা ছিল মসজিদ এর আঙ্গিনার ঘটনা কিন্তু দুস্মনির কারণে সেই (নাদিম মাহদী ) মসজিদ এর আঙ্গিনা থেকে মসজিদের ভিতরে নিয়ে গেছে।
আমি সামার পক্ষে (কিমিয়ায়ে সাদাত ) ও (ইয়ুহায়ে উলুমুদ্দীন ) এমাম গাজালী সাহেবের লিখা কিতাবের মুল কিতাব থেকে সেমা অধ্যায় এর কিতাবের পেজ গুলো পোস্ট করলাম।

আর হয়ত বা  কুলাঙ্গার গুলো বলতে পারে যে এমাম গাজালী সাহেবের দলিল গ্রহণ যোগ্য নয় তাই মাওলানা জাকারিয়া এর লিখা কিতাব (শরীয়াত ও তরিকত কা তালাজুম) কিতাবের ২০ ও ও ২১ নং পৃষ্টার স্ক্রিন সূত দিলাম। তাতে মাওলানা জাকারিয়া লিখেছেন যে ;- মাদ্রাসায় ২ কলম পড়ুয়া রা বলে গাজালী সাহেবের হাদিস মিথ্যা হয় , কিন্তু ওদের জানা নাই যে ইমাম গাজালী এর ইলম ও আমাদের ইলম এর বেবধান  পার্থক্য করার ইলম ও আমাদের নাই

এখন নাদিম মাহদী , আমার জবাব দে হারামি :-


সোহেল রানা 

কারা ইংলিশ দের দালাল ছিল ?

আব্দুর রেহমান মোঘল বাজারী একটা পোস্ট করেছে যে দেওবন্দিদের আন্দোলনের কারণেই ইংরেজরা দেশ ছেড়েছে , আমার মনে হয় এরা ঠিক সেই ধর্মান্দ জারা সাইয়েদ আহমাদ এর মত দস্সুকে সাহায্য করেছিল আফিমের খেত লুতরাজ করতে।  

লক্ষ্য করুন ;- the indian muslim কিতাবে তত্কালীন ইংলিশ জেনারেল ডব্লিউ ডব্লিউ হান্টার ৩ নং পৃষ্টায় লিখেছেন যে : পাঞ্জাব সীমান্তে বিদ্রোহের গোড়াপত্তন করে সাইয়েদ আহমাদ , কুখ্যাত এক দস্যুর অশ্বারোহী রূপে জীবন সুরু করে ও বহু বছর যাবত মালওয়া অঞ্চলে আফিম সম্মৃদ্ধ গ্রামগুলোতে লুটতরাজ চালায়।  রঞ্জিত সিংহের নেত্রীতে উদীয়মান সক্তি পার্শ বর্তী মুসলিমদের উপর যে নিস্গেধাগ্গা আরোপ করে তাতে মুসলিম দস্যুদের কার্যকলাপ বিপদসংকুল হয়ে পরে ও দস্যু বৃত্তি লাভজনক থাকে না ( the indian muslim ) পৃষ্টা ৩-৪ 


এর  পর আবার দেখুন :- শিকদের গোড়া হিন্দুয়ানির কারণে উত্তর ভারতে মুসলমানদের উত্সাহিত করতে থাকে।  সাইয়েদ আহমাদ অত্যান্ত বিচক্ষনতার সহিত দস্যু বৃত্তি ত্যাগ করে ও ১৮১৬ খ্রিস্টাব্দ নাগাদ চলে যান ইসলামের এক সুবিখ্যাত পন্ডিতের নিকট (শাহ আব্দুল আজিজ ) the indian muslim পৃষ্টা ৪ 


এখান থেকে সুস্পস্ট প্রমানিত সাইয়েদ আহমাদ একজন কুখ্যাত ডাকাত ছিল পরে রঞ্জিত সিংহের বিচক্ষনতার কারণে  যখন দস্শুবৃত্তি লাভজনক থাকে না তখন তিনি দস্যু বৃত্তি ত্যাগ করে শাহ আব্দুল আজিজ সাহেবের কাছে যান।  


দেওবন্দী দের কিতাব ( দেওবন্দ আন্দোলন , ইতিহাস , ঐতিয্য ও অবদান ) বাংলাদেশ কৌমী শিক্ষা বর্ড থেকে পাঠ্য পুস্তক হিসেবে  প্রকাশিত ৯৯ নং পৃষ্টায় লিখেছেন যে ;- শাহ আব্দুল আজিজের নিকট সাইয়েদ আহমাদ গেলে তাকে একটা কিতাব পড়তে দেন।  তখন তাকে কিতাবের প্রতি অন্যমনস্ক দেখে শাহ আব্দুল আজিজ সাহেব জিগ্গেস করেন  পরচ না কেন ? তখন সাইয়েদ আহমাদ জবাব দেন যে আমি কাছের কোনো কিছু দেখতে পাই না ( দেওবন্দ আন্দোলন ) পৃষ্টা ৯৯-১০০


এখান থেকে একটা জিনিস প্রমাণিত যে সাইয়েদ আহমাদ কানা ও ছিল। আসলে সারা জীবন করেছে আফিমের খেত লুট এখন সামনে আঙ্গুর রাখলে কি তার চোখে পর্বে ? দেওবন্দী, বালকটি ,গোলাপী , আহলে হাদিস রা বলে সাইয়েদ আহমাদ নাকি মুজাদ্দেদ।  আসলে সে নিজে ছিল কানা আর কানাদের জন্য ছিল মোজাদ্দেদ।  আমাদের না।  


দি ইন্ডিয়ান মুসলিম কিতাবের ৫ নং পৃষ্টায় লিখেছেন যে ৩ বছর সে শাহ আব্দুল আজিজের সাহেভের কাছে থাকেন এর পর সম্পুর্ন নতুন রূপে লোকদের বায়েত নেওয়া সুরু করেন ( আওর মোহাম্মদী তরিকায়)  ও নিজেই ধর্মের প্রচারক রূপে আত্মপ্রকাশ করেন।  ফলে কিছু দুর্ধর্ষ একদল ভক্ত অনুসারী তার পশ্চাতে সমবেত হয়।  


এখান থেকে একটা বিষয় লক্ষ্য করুন যে  সে ডাকাতি ছেড়ে দিয়ে ৩ বছরে সে একজন ধর্মীয় প্রচারিক ও সম্পুর্ন নতুন এক তরিকার জন্ম দেন  যাকে আওর মোহাম্মদী তরিকা বলা হয় বাংলাদেশের ( ফুলতলী,জয়্ন্পুরি,আট রশি ,সরছিনা , চরমোনাই , রাজারবাগ, চন্দ্র পারা ) এই সিলসিলার অন্তির্ভুক্ত , এদের সেজ্রায় (বুজুর্গ দের লিস্টে) সাইয়েদ আহমাদ এর নাম আছে ) 

অথচ দেওবন্দী গণ সাইয়েদ আহমাদ কে মোজাদ্দেদ মানে কিন্তু তার তৈরী (আওর মোহাম্মদী ) তরিকা মানে না।  


দি ইন্ডিয়ান মুসলিম কিতাবের ৫ নং প্রিস্তাই লিখেছেন যে ১৮২২ সালে হজ্জ করতে যায় পরের বছর অক্টোবর এ ফিরে আসে ও রায় বেরেলি (তার জব্মস্থান) এ কিছু অশান্ত প্রকৃতির লোক কে তার দলে টেনে নেয়।  এর পর সে ধর্মান্দ কুসংস্কারাচনন পাঠান অধ্যষিত এলাকায় যায় এবং পবিত্র জিহাদ এর দাওয়াত দেয় , আর বলে যে পরিমান হিন্দুদের সম্পদ লুট হবে জারা বেছে যাবে যুদ্ধে থেকে তারা এক বিশাল পরিমান সম্পদ নিয়ে ঘরে ফিরতে পারবে।  

পাঠানরা তার কোথায় সম্মত হয় ও সাইয়েদ আহমাদ ও এটাকে কাজে লাগায় পুরাণ দুস্মনির জবাব দেয়ার জন্য ( দি ইন্ডিয়ান মুসলিম ) পৃষ্টা ৫ 


এখান থেকে একটা জিনিস প্রমাণিত যে দস্যু বৃত্তি করার সময় রঞ্জিত সিংহের সাথে থাকা পুরাণ দুস্মনির জন্যই সাইয়েদ আহমাদ শিখদের সাথে যুদ্ধে জড়িয়েছিলেন।  আর পাঠান রা আজ ও পাগলের মত , পাঠান দের কে দেওবন্দিদের মুজাদ্দেদ আশরাফ আলী থানবী অনেক খানে বেজ্জাত করেছেন ( দেখে নিন মুসলমানের হাসি  পৃষ্টা         (ইফাজাতুল য়াওমিয়াহ ) পার্ট ২ পেজ ২৮৬ (হৃদয় ছোয়া কাহিনী পৃষ্টা ৩১) এই কুসংরাচন্ন পাঠান রা লুটতরাজ এর জন্যই সাইয়েদ আহমাদ এর সাথ দিয়েছিল।  


এবং সেই পাঠানদের মেয়েদের সাথে জুলুম করার কারণেই পলানোর সময় বিপদে পরে থাকা শাহ ইসমাইল দেহলবী কে সাহায্য করার সময় শিখদের হাতে নির্মম ভাবে মিত্তু বরণ করেন ( দি ইন্ডিয়ান মুসলিম ) ১১ নং পৃষ্টা 


ডব্লিউ ডব্লিউ হান্টার এর এই কিতাবে তিনি কোনো খানেই লিখে যান নাই যে সাইয়েদ আহমাদ ইংরেজদের কে লক্ষ্য করে একটা বুলেট চুরেচেন।  

অথচ দেওবন্দিদের মুখে সুধু সাইয়েদ আহমাদ এর গুন্কির্তিন শোনা যায়।  


তাদের নিজের হাতে লিখা কিতাব ( দেওবন্দ আন্দোলন ) এর ৯৯-১৩৬ পর্যন্ত মোট ৩৭ পেজ এ সাইয়েদ আহমাদ এর জীবনী বর্ণনা করেছেন।  তারা নিজেরাই সেই কিতাবে লিখতে পারে নাই যে সাইয়েদ আহমাদ ইংরেজদের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করেছেন।  আমু ডি ইন্ডিয়ান মুসলিম কিতাবের a-z পর্যন্ত ও দেওবন্দ আন্দোলনের ৯৯-১৩৬ পর্যন্ত সকল পৃষ্টা দিব।কোনো দেওবন্দী মায়ের লাল থাকলে যেন আমার চলেংজ করে।  


আব্দুল ওয়াদুদ এর লিখা কিতাব (ওয়াহাভি আন্দোলন)  লিখেছেন যে - সাইয়েদ আহমাদ সৌদি তে গিয়ে ওহাবী শিক্ষায় দীক্ষিত হয়ে আসে ও উপজাতি অঞ্চলগুলোতে সুন্নি মুসলিমদের কে মুশরিক মাজার পুজারী ও তাদের ধন সম্পদ গনিমত বলে ফতোয়া প্রদান করেন।   যখন সাইয়েদ আহাম্মক জিন্দা ছিলেন তখন পুরা হিন্দুস্তান এ ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানির অধীন পুরা ছিল না৷ আর তখন সকল মুসলিম রা জিহাদ এর জন্য এক পায়ে খাড়া ছিলেন কিন্তু সাইয়েদ আহমাদ দেশের ভিতরে না থেকে সকল মুসলিম কে একখানে না করে তাদের কে কোন পথ না দেখিয়ে তিনি পার্শবর্তী মুসলিম রাজ্য গুলো যেমন সোয়াত ,ইউসুফ যাই ( মালালা ইউসুফ যাই এর এলাকা ) , কাবুল , কান্দাহার , পেশাবর , উজিরিস্তান , এই সকল এলাকায় হামলা চালান যাতে করে হিন্দুস্থান এর মুসলিম দের দিকে তারা নজর দিতে সময় না পান ও পাঞ্জাব এর শিকদের সাথে তিনি খন্ড খন্ড ২-১ তা যুদ্ধে লিপ্ত হন তাতে ও গো হারা হেরে পলায়ন করেন ৷ (ওহাবি আন্দোলন ১-৮৭ পৃষ্ট )


মুসলিম রাজ্য গুলোতে এত পরিমান অত্যাচার করেছেন তা( ওহাবী আন্দোলন ) আব্দুল মৌদুদ এর লেখা দেখলে চোখে পর্বে আর সেই কিতাব এর স্ক্রিন শুট এর প্রজন বলে বলিয়েন আমি দিয়ে দিব ৷
আর তিনি ঠিক মুসলিমদের কে আব্দুল ওহাব নজদি এর মত সুন্নি মুসলিমদের কে মুশরিক ও তাদের যান মাল গনিমত বলে ফতোয়া দেন ৷ আর এইকারণে যত মুসলিম ঘর উজার হয়ছে তার হিসাব একমাত্র আল্লাহ জানেন আর ইতিহাস সাক্ষী৷ (ওহাবি আন্দোলন পৃষ্টা ৩৪)

শিক দের সাথে২-১ তা যুদ্ধ করেছেন তাও আবার ইংরেজ দের জন্য. ৷কারণ তখন পাঞ্জাব ছিল ইংরেজ মুক্ত আর সেনাপতি রঞ্জিত সিং ছিলেন এক বাহাদুর ও বিচক্ষণ সেনাপতি৷ আর ইংরেজদের সাথে কয়েকবার তাদের মোকাবেলা হয় কিন্তু ইংরেজরা কোনো কিছুই পান নাই তাই সাইয়েদ আহমাদ কে দিয়ে শিকদের কে চাপে রাখেন ও ইংরেজদের ও চেষ্টা অব্বাহত থাকে ৷ শেষে ইংরেজদের সাথে শিকরা ইংরেজদের সাথে সন্ধি করেন৷
তাওয়ারিখে অজীবাহ নামক কিতাবের ১৮২ নং পাগ বলা হয় যে সাইয়েদ সবের কোনো ইচ্ছা ছিল না ইংরেজদের সাথে যুদ্ধ করার ৷ তিনি বরং ইংরেজদের রাজত্ব কে নিজের রাজত্ব মনে করতেন ৷ তিনি যদি ইংরেজ বিরোধী হতেন তা হলে কিভাবে অনার কাছে সাহায্য পৌঁছত সে সময় ?তবে ইংরেজদের চেষ্টা ছিল সাইয়েদ আহাম্মক এর দিয়ে শিকদের চাপে রাখতে ৷

আবুল হাসান আলী নদভীর লেখা ( ছিরাতে সাইয়েদ আহমাদ) ১ম খণ্ডের ১৯০ নং পেজে বলেন যে সাইয়েদ আহম্মক সবার সামনে ইংরেজ বিরোধী ওপরে দেখালেও তিনি তার সাথের মৌলবী মুফতি গণ গোপনে ইংরেজদের কাছ থেকে সাহায্য ও সহযোগিতা নিতেন ৷

সাইয়েদ আহমাদ এর প্রধান সেনাপতি মহা পন্ডিত শাহ ইসমাইল দেহলবী একবার কলকাতা এর মসজিদে শিখদের বিরুদ্ধে জেহাদ এর দাওয়াত দিতেছিল এমন সময় একজন লোক বলে উঠে যে আপনি ইংরেজ দের বিরুদ্ধে  যুদ্ধের দাওয়াত করছেন না কেন ? ইংরেজদের বিরুদ্ধে যুদ্ধ ঘোসনা না করে শিখদের বিরুদ্ধে যুদ্ধের দাওয়াত দিতেছেন ?
শাহ ইসমাইল বলেন যে ইংরেজর আমাদের কোনো ধর্মীয় বিসয়াদি তে ও কোনো প্রকার অসুবিধা এর সম্মুখীন করছে না তাই এদের বিরুদ্ধে যুদ্ধ ফরজ তো দূর ওয়াজিব ও না ৷ ইংরেজদের ওপর যদি কেউ হামলা চালায় তো ইংরেজদের হয়ে তাদের বিরুদ্ধে আমাদের যুদ্ধ করা ফরজ কারণ আমরা তাদের প্রজা ৷ কিন্তু পাঞ্জাবে যখন আমাদের মুসলিমদের সমসা হচ্ছে তাই তাদের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করা প্রজন ।

মির্জা হায়াত দেহলবী প্রণীত ( হায়াতে তায়য়েবাহ ) শাহ ইসমাইল এর জীবনী গ্রন্থ পেজ ২৭১ 

মুন্সী মোহাম্মদ জাফর থানেস্সরী তার কিতাব ( সাওয়ানিয়ায়ে আহমাদি ) পৃষ্টা ৪৭ এ তাই বলেছেন 

মজার কথা হচ্ছে সিলেট এর ফুলতলী এর পীর মোহাম্মদ ইমাজ উদ্দিন চৌধুরী ( সাইয়েদ আহমাদ বেরেলবী এর জীবনী) পুস্তক লিখতে গিয়ে তার দিতীয় সংস্করণ এর ৪৮ ও ৪৯ নং পেজ লিখেছেন ( ইংরেজ অথিত্ত ) তে বলেন ইসার নামাজের পর সাইয়েদ সাহেব কে খবর দিল যে মশাল হাতে কয়েকজন লোক এদিকে আসছে ৷ সাইয়েদ সাহেব খবর নিতে গিয়ে দেখেন কয়েকজন ইংরেজ ৷ তার মধে থেকে একজন এসে বলল সাইয়েদ সাহেব কে ৷ তিনি বললেন আমি ৷ইংরেজ বলল আমরা ৩ দিন যাবত আপনার রাস্তা দেখতেছি ৷ আজ খবর পেলাম আপনি এদিক দিয়ে যাচ্ছেন তাই এই নগন্য খাদ্য দ্রব্য গুলো কবুল করেন 


যে সকল দলিল আমি পেশ করেছি তা সব গুলি দেওবন্দী বুজুর্গ ও গোলাপী সুন্নিদের কিতাব থেকে, মানে হচ্ছে যারা সাইয়েদ আহমাদ কে নিজেদের আকবের মানে ও মুজাদ্দেদ মানে তাদের কিতাব থেকেই দিলাম।  এখন নিজের চোখে দেখে আমাকে জবাব দিন কে ? আর করা ? ইংরেজদের দালাল ছিল ? 

বৃহস্পতিবার, ২ অক্টোবর, ২০১৪

আহলুল সুন্নাহ বিরোধী আকিদা জামায়াতে ইসলামীর

কথিত এই জামায়াতে ইসলামির কুলাঙ্গার রফিকুল ইসলাম (কোরান ও হাদিসের  আলোকে  দেওবন্দী আকিদা ) কিতাবে পাগলা কুত্তার মত  আক্রমন করেছেন (ত্বকী উসমানীর লেখা  কিতাব (ইতিহাসের কাটগড়ায় হজরত মুয়াবিয়া ) লেখার কারণে। বস্তুত মৌদুদির কিছু অপারাসন করেছেন তিনি উক্ত কিতাবে ।  সেই কিতাব ও আছে আমার কাছে।  

মূল কথা ;- গায়েব বিষয় ভুয়া তথ্য দেয়ার পর সুরু করেছেন হাজির নাজির এর বিষয়।  যে ইসলামে হাজির নাজির বলতে কিছু নাই আল্লাহ ছাড়া। নবী কে হাজির নাজির মানা ভ্রান্তি ছাড়া কিছু নয় , হায়াতুন্নাবি বলতে কিছুই নাই।   একমাত্র আল্লাহ পাক চিরঞ্জীব (সুরা বাকারা ১৫৫) আল্লাহর কোনো মিত্তু নাই (ফুরকান   ৫০) নবীরা মারা গেছেন (সুরা ইমরান ১৪৪) নবীরা মানুষ ছিলেন (কাহাফ ১১০) আর মানুষ মরণশীল।ওহী আসার ভিত্তিতে তিনি নবীর স্থলে ওধিসটিত হয়েছেন । । (কোরান ও হাদিসের আলোকে দেওবন্দী আকিদা পৃষ্টা ১২) 


আমি অধম সামান্য কথা বলতে চাই যে আমরা কি কোনো দিন ও বলেছি কে আল্লাহ মারা যাবেন ? আল্লাহর ধংশ আছে ? বলি নাই    ,আর এই সকল কথা বলার আগে যেন এই দুনিয়ার আলো বাতাস হারাম হয়ে যায়।  

তো এই খানে একটা বিষয় সুস্পষ্ট যে বিগত দিনের দেওবন্দী ও আমাদের সুফিবাদে বিশ্বাসী সুন্নি দের তেমন কোনো মত বিরোধ ছিল না ,কিন্তু বর্তমান  দেওবন্দী গন অনেক দূরে সরে গেছে তাদের আকবের দের আকিদা থেকে।  

 আমি দেওবিন্দির সাফাই দিচ্ছি না ,সুধু আমার আকিদার সাথে সাংঘর্ষিক কথা বার্তার কারণেই জবাব দিতে বাধ্য হচ্ছি।  

আমাদের বিশ্বাস ও আকিদা হচ্ছে আল্লাহ পাকের রহমতে আমাদের নবী ও হাজির নাজির।



১)  يَاايُّهَاا لنَّبِىُّ اِنَّا اَرْسَلْنكَ شَاهِدًا وَّمُبَشِّرًا وَّنَذِيْرًا وَّدَاعِيًا اِلَى اللهِ بِاِذْنِه وَسِرَاجًا مُّنِيْرَا
 
[আল্লাহ তাআলা প্রিয় নবী (সাল্লাল্লাহু আলাইহে ওয়াসাল্লাম) কে সম্বোধন করে এরশাদ করেছেন, ওহে অদৃশ্য বিষয়াদির সংবাদদাতা! নিশ্চয় আমি আপনাকে প্রেরন করেছি, হাযির-নাযির, সুসংবাদদাতা হিসাবে এবং ভয় প্রদর্শনকারী করেছি আল্লাহর নির্দেশানুশারে তার দিকে আহবানকারী এবং উজ্জল প্রদীপ হিসেবে]
আরো কি কিছু বলা লাগবে ? 

তার শুভ সংবাদদাত, ভীতি প্রদর্শনকারি ও আল্লাহর পথে আহবানকারি হওয়ার বিষয়টিও তথৈবচ। অন্যান্য নবীগনও এ সমস্ত  কাজ সম্পন্ন করেছেন, কিন্তু শুধু শুনেই; আর হুযুর আলাইহিস সালাম করেছেন স্বচক্ষে দেখেয়। এ মিরাজ একমাত্র হুযুর আল্লাইহিস সালামের হয়েছিল। উপরোক্ত আয়াতে প্রিয় নবী (সাল্লাল্লাহু আল্লাহিস ওয়াসাল্লাম) কে   سِرَاجًامُّنِيْرًا
সিরাজাম মুনীরা ও বলা হয়েছে। সিরাজাম মুনিরা সূর্য্যকেই বলা হয় । সূর্য্য যেমন পৃথিবীর সর্বত্র, ঘরে ঘরে বিদ্যমান, তিনি ও (সাল্লাল্লাহু আলাইহে ওয়াসাল্লাম) প্রত্যেক জায়গায় বিরাজমান। এ আয়াতের প্রতিটি শব্দ থেকে হুযুর আলাইহিস সাল্লামের হাযির-নাযির হওয়ার বিষয়টি প্রমাণিত।
(২)  وَكَذَالِكَ جَعَلْنَاكُمْاُمَّةًوَّ وَّسَطًا لِّتَكُوْنُوْا شُهْدْاءَ عَلَى النَّاسِ وَيَكُوْنَ الرَّسُوْلُ عَلَيْكُمْ شَهِيْدًا
 
[এবং কথা হলো এই যে আমি (আল্লাহর তা’আলা) তোমাদেরকে (উম্মতে মুহাম্মাদী ) সমস্ত উম্মত গনের মধ্যে শ্রেষ্ঠত্বের মর্যাদা দান করেছি ,যাতে তোমরা  অন্যান্য লোকদের  ব্যাপারে সাক্ষ্য প্রদান করতে পার এবং এ রসুল (সাল্লাল্লাহু আল্লাইহে ওয়াসাল্লাম ) তোমাদের জন্য  পর্যবেক্ষনকারী ও সাক্ষীরুপে প্রতিভাত হন ।
(৩) فَكَيْفَ اِذَا جِئْنَا مِنْ كُلِّ اُمَّةٍ بِشَهِيْدٍ وَجِئْنَا بِكَ عَلَى هؤُلَاءِ شَهِيْدًا
 
[তখন কি অবস্তা হবে ,যখন আমি  (আল্লাহ তা’আল্লা) প্রত্যেক উম্মত থেকে একজন করে সাক্ষী  উপস্থিত করব ,এবং হে মাহবুব ! আপনাকে সে সমস্ত সাক্ষীদের প্রত্যক্ষদর্শী সাক্ষীরুপে আনয়ন করব।
এ আয়াতসমূহে নিম্নোক্ত ঘটনার প্রতি ইঙ্গত প্রদান করা হয়েছে। কিয়ামতের দিন অন্যান্য নবীগনের উম্মতগন আরজ করবে; আপনার নবীগন আপনার নির্ধারিত বিধি-বিধান আমাদের নিকট পৌছাননি। পক্ষান্তরে নবীগন আরজ করবেন; আমরা অনুশাসনসমূহ পৌছিয়েছি। নবীগন নিজেদের দাবীর সমর্থনে সাক্ষী হিসাবে উম্মতে মুস্তফা আলাইহিস সালামকে পেশ করবেন। উনাদের সাক্ষ্য প্রদানের ক্ষেত্রে আপত্তি উত্থাপন করে বলা হবেঃ আপনারা সে সব নবীদের যুগে ছিলেন না। আপনারা না দেখে কিভাবে সাক্ষ্য দিচ্ছেন? তাঁরা তখন বলবেন; আমাদেরকে হুযুর আল্লাইহিস সালাম এ ব্যাপারে   বলেছিলেন। তখন হুযুর আল্লাইহিস সালামের সাক্ষ্য গ্রহন করা হবে। তিনি (সাল্লাল্লাহু আল্লাইহে ওয়াসাল্লাম )  দুটো বিষয় সাক্ষ্য দিবেন। এক নবীগন (আ:) শরীয়তের বিধানাবলী প্রচার করেছেন দুই, আমার উম্মতগন সাক্ষ্য প্রদানের উপযুক্ত । সুতরাং মুকদ্দমা এখানেই  শেষ। সম্মানীত নবীগনের পক্ষে রায় দেওয়া হবে । লক্ষ্যনীয় যে, যদি হুযুর আলিইহিস সালাম পূর্ববর্তী নবীগনের তবলীগ ও স্বীয় উম্মতগনের ভবিষ্যতের অবস্তা সচক্ষে অবলোকন না করতেন, তাহলে তাঁর সাক্ষ্যের ব্যাপারে কোন আপত্তি উত্থাপিত হল না কেন? যেমনিভাবে তাঁর উম্মতের সাক্ষ্যের ব্যাপারে আপত্তি উত্থাপিত হলো,বোঝা গেল তাঁর (সাল্লাল্লাহু আলাইহে ওয়াসাল্লাম) সাক্ষ্য হবে প্রত্যক্ষদর্শীর সাক্ষ্য আর আগেরটা হবে শ্রুত বিষয়ে সাক্ষ্য।এ থেকে তার হাযির -নাযির হওয়ার বিষয়টি প্রমাণিত হলো। এ আয়াতের তাৎপর্য ইতিপূর্বে  ইলমে গায়ব এর আলোচনায় ও বিশ্লেষন করেছি।
 
(৪)   ۳۹وَلَوْ اَنَّهُمْ اِذْظَّلَمُوْ اَنْفُسَهُمْ جَاَءُوْاكَ فَأسْتَغْفَرُوْا اللهَ وَاسْتَغْفَرَلَهُمُالرَّسُوْالُ لَوَجَدُوا اللهَ تَوَّابًا رَّحِيْمًا
[এবং যখন ওরা নিজেদের আত্মার প্রতি অবিচার করে, তখন তারা যদি আপনার সমীপে উপস্তিত হয়ে আল্লাহর কাছে ক্ষামা প্রার্থনা করে আর আপনি ও তাদের জন্য সুপারিশ করেন, তাহলে নিশ্চয় আল্লাহকে তওবা কবুলকারী, করুণাময় হিসেবে পাবে।]এ আয়াত থেকে বোঝা গেল যে, পাপীদের মাগফিরাত বা ক্ষমাপ্রাপ্তির একমাত্র পথ হচ্ছে হুযুর আলাইহিস সালামের মহান দরবারে উপস্থিত হয়ে তাঁর শাফাআত প্রার্থনা করা এবং হুযুর মেহেরবানী করে তাদের জন্য শাফাআত করা। এর অর্থ এ নয় যে, আমাদেরকে মাগফিরাতের জন্য পবিত্র মদীনাতে উপস্থিত হতে হবে। কেননা তাহলে আমাদের মত দরিদ্র বিদেশী পাপীদের ক্ষমাপ্রাপ্তির কি উপায় হবে? ধনাঢ্য ব্যক্তিগনও তো জীবনে একবার কি দু বার সে মহান দরবারে যাবার সামর্থ রাখে। অথচ দিনরাত পাপ পঙ্কিলতায় নিমজ্জিত রয়েছেন। তাই এতে মানুষের সাধ্যাতীত কষ্ঠ হবে। কাজেই আয়াতের মূল বক্তব্য হচ্ছে-তিনি (সাল্লাল্লাহু আলাইহিস ওয়াসাল্লাম) তোমাদের কাছেই বিদ্যমান আছেন। তোমরা বরং তার নিকট থেকে দুরে অবস্থান করছো। তোমরা হাযির হয়ে যাও, তিনি তোমাদের প্রতি সুপ্রসন্ন হবেন।
পরম বন্ধু আমার নিজের চেয়েও কাছে বিদ্যমান। এটাই বিস্ময়কর যে আমি তার নিকট থেকে দুরে রয়েছি।
এতে বোঝা যায় যে, হুযুর আলাইহিস সালাম সর্বত্র বিদ্যমান।

(৫)  وَمَا اَرْسَلْنكَ اِلَّارَ حْمَةً لِّلْعَا لَمِيْنَ
 
[আমি আপনাকে সমগ্র বিশ্বের জন্য রহমত স্বরূপ প্রেরন করেছি। অন্যত্র বলা হয়েছে-
وَرَحْمَتِىْ وَسِعَتْ كُلَّشَيْئٍ
অর্থাৎ  আমার রহমত প্রত্যেক কিছুকেই পরিবেষ্টন করে আছে। বোঝা গেল যে, তিনি (সাল্লাল্লাহু আল্লাইহে ওয়াসাল্লাম) বিশ্ব চরাচরের জন্য রহমত স্বরূপ এবং রহমত সমগ্র বিশ্বকে পরিবেষ্টন করে আছে। সুতরাং সমগ্র বিশ্বকে পরিবেষ্টন করে রয়েছেন হুযুর আলাইহিস সালাম। স্বরন রাখা দরকার যে, মহা প্রভু আল্লাহর শান হচ্ছে তিনি’ রাব্বুল আলামিন’ (বিশ্বব্রহহ্মন্ডের প্রতিপালক) আর প্রিয় হাবীবের শান হচ্ছে তিনি’ রাহমাতুল্লিল আলামিন’ (বিশ্বব্রক্ষান্ডের প্রতি রহমত স্বরূপ)। স্পষ্টই প্রতীয়মান হল যে, আল্লাহ যার প্রতিপালক, হুযুর আলাইহিস সালাম হচ্ছেন তার প্রতি রহমত স্বরূপ।আর এ আয়াত এখনও রহিত হয় নাই । সেই রহমত এখন ও বিদদোমান ।
(৬) مَاكَانَ اللهُ لِيُعَذِّ بَهُمْ وَاَنْتَ فِيْهِمْ
[হে মাহবুব! এটা   আল্লাহর অভিপ্রেত নয়  যে আপনি তাদের মধ্যে থাকাকালে  আল্লাহ তাদের কে শাস্তি প্রদান করবেন।]
অথাৎ খোদার মর্মন্তুদ  শাস্তি তারা পাচ্ছে না- এজন্য যে আপনি তাদের  মধ্যে রয়েছেন আর সাধারন ও সর্বব্যাপী আযাব তো কিয়ামত র্পযন্ত কোন জায়গায় হবে না। এ থেকে জানা যায় যে হুযুর আলাইহি ওয়াসাল্লাম  কিয়ামত পর্যন্ত প্রত্যেক জায়গায় বিদ্যমান থাকবেন। এ সম্পর্কে সুপ্রসিদ্ধ ‘তাফসীরে রূহুল বয়ানে বলা হয়েছে, হুযুর আলাইহিস সালাম প্রত্যেক পুণ্যত্মা ও প্রত্যেক পাপীর সাথে বিদ্যামান আছেন। আল্লাহ তা’আলা ইরশাদ করেছেন-
وَاعْلَمُوْا اَنَّ فِيْكُمْ رَسُوْلُ اللهِ
[তোমরা জেনে রেখ, তোমাদের মধ্যে রসুলুল্লাহ (সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) বিরাজমান)। এখানে সমস্ত সাহাবায়ে কিরামকে সম্বোধন করা হয়েছে অথচ তারা বিভিন্ন জায়গায় বিক্ষিপ্তভাবে বসবাস করতেন সুতরাং স্পষ্টই বোঝা যায় যে হুজুর আলাইহি ওয়াসাল্লাম সে সব জায়গায় ও তাদের কাছে আছেন।আর খাসায়্স উল কুবুরা তে জালালুদ্দিন সুয়ুতি (রহ) লিখেছেন যে আমি তোমাদের  মধ্যে (জাহেরী) থাকা তোমাদের জন্য কল্যাণ কর আর কোবরে থাকা ও কল্যাণ কর  হাদিস টা মনে পরছে না বাকি তা। সময় পেলে যোগ করব 
(৭) اَلَمْ تَرَ كَيْفَ فَعَلَ رَبُّكَ بِاَصْحَابِ الْفِيْلِ
হে মাহবুব আপনি কি দেখেননি প্রভু হস্তী বাহিনীর কি অবস্থা করছেন?এই হাতি ওয়ালা বাহিনীর ঘটনা নবী পাক এর দুনিয়ার বুকে তাসরিফ আনার ৬ মাস আগের ঘটনা ,অথচ আল্লাহ পাক জিগ্গেস করেছেন এই খানে আপনি কি দেখেন নাই (মনে করুন) সেই হাতি ওয়ালা বাহিনীকে কি ভাবে ধংশ করেছেন আপনার আল্লাহ। 
৮) اَلَمْ تَرَ كَيْفَ فَعَلَ رَبُّكَ بِعَادٍ
হে মাহবুব আপনি কি দেখেননী আপনার প্রতিপালক আদ নামক জাতির  সংগে কিরূপ আচরন করেছেন ?
আদ জাতি ও হস্তীবাহিনীর ঘটনাবলী হুজুর আলাইহি ওয়াসাল্লাম আবির্ভাবের পুর্বেই সংঘটিত হয়েছে অথচ বলা হচ্ছে اَلَمْ تَرَ (আপনি কি দেখেননি?) অর্থাৎ আপনি দেখেছেন। এতে কেউ আপত্তি উত্থাপন করে বলতে পারে য়ে, কুরআন করীমে কাফিরদের প্রসঙ্গেও তো বলা হয়েছে اَلَمْ يَرَوْ اكَمْ اَهْلَكْنَا قَبْلَهُمْ مِنْ قَرْنٍ তারা কি দেখেনি, আমি তাদের আগে কত জাতিকে ধ্বংস করে দিয়েছি), এখানে লক্ষ্যণীয় যে, কাফিরগণ; তাদের আগেকার কাফিরদের ধ্বংস হতে দেখেনি; তবু আয়াতে বলা হয়েছে-তারা কি দেখেনি? সুতরাং, আপনি কি দেখেননি? এ উক্তি থেকে সচক্ষে দেখার ব্যাপারটি প্রমাণিত হয় না। এর উত্তর হচ্ছে- এখানে আয়াতে আগেকার কাফিরদের ধ্বংসপ্রাপ্ত দেশ, বিধ্বস্ত ঘর-বাড়ী ও ধ্বংসাবশেষ দেখার কথাই বলা হয়েছে। মক্কার কাফিরগণ যেহেতু ব্যবসা-বাণিজ্যের উদ্দেশ্যে ভ্রমন করার সময় সেসব স্থান সমূহের পার্শ্ব দিয়া যাতায়াত করতো, সেজন্য বলা হয়েছে এসব ধ্বংসাবশেষ দেখে কেন শিক্ষাগ্রহন করে না? হুজুর আলাইহি ওয়াসাল্লাম) দৃশ্যতঃ না পৃথিবী পরিভ্রমন করেছেন না আদ' জাতিও অন্যান্য বিধ্বস্ত দেশ সমূহ বাহ্যিকভাবে দেখেছেন। তাই তার ক্ষেত্রে স্বীকার করতেই হবে  যে, এখানে তাঁর নূরে নবুয়াতের মাধ্যমে দেখার কথাই বলা হয়েছে ।
(৯) اَلنَّبِىُّ اَوْلَى بِالْمُؤْمِنِيْنَ مِنْ اَنْ فُسِهِمْ
[নবী মুসলমানদের কাছে তাদের প্রাণের চেয়েও নিকটতর।] দেওবন্দ মাদ্রাসার প্রতিষ্ঠাতা মওলবী কাসেম সাহেব তার রচিত তাহযীরুন নাস গ্রন্থের ১০ পৃষ্ঠায় লিখেছেনঃ এ আয়াতের اَوْلى  শব্দের অর্থ হচ্ছে নিকটতর। তাহলে এ আয়াতের অর্থ দাঁড়ায় নবী মুসলমানদের কাছে তাঁদের প্রাণের চেয়েও নিকটতর। আমাদের নিকটতম হচ্ছে আমাদের প্রাণ; এ প্রাণ থেকেও নিকটতর হচ্ছেন নবী আলাইহিস সালাম। বলা বাহুল্য যে, অতি নিকটে অবস্থিত বস্তু দৃষ্টিগোচর হয় না।
অত্যধিক নৈকট্যের কারনে আমরা তাকে (প্রয় নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) চোখে দেখতেপাই না। এখন যদি আপনি মুমিন হতে চান  তা হলে আপনার আকিদা হতে হবে আপনার নবী আপনার খুব কাছেই , মুমীন না হয়ে যদি মোনাফেক হন তো অন্য কথা ।

(১০)রাসূলে পাক (দ:) সকল বিষয়ের জ্ঞান রাখেন এবং সৃষ্টিজগতকে সেভাবে জানেন যেমনভাবে কোনো কক্ষে উপবেশনকারী ব্যক্তি ওই কক্ষ সম্পর্কে জানেন। কোনো কিছুই তাঁর থেকে গোপন নয়। কুরআন মজীদের দুটো আয়াত একে সমর্থন দেয়; ১মটি এরশাদ ফরমায় - “তবে কেমন হবে যখন আমি (আল্লাহ) প্রত্যেক উম্মত থেকে একজন সাক্ষী উপস্থিত করবো, এবং হে মাহবুব, আপনাকে তাদের সবার ব্যাপারে সাক্ষী ও পর্যবেক্ষণকারীস্বরূপ উপস্থিত করবো?” [সূরা নিসা, ৪১]; 
১১) ”আল্লাহতা’লা ঘোষণা করেন, ‘হে ঈমানদারবৃন্দ! আল্লাহকে ভয় করো এবং ত্যাগ করো যা অবশিষ্ট রয়েছে সুদের (প্রথার), যদি মুসলমান হও। অতঃপর যদি তোমরা এই আজ্ঞানুরূপ না করো, তবে নিশ্চিত বিশ্বাস রেখো আল্লাহ ও তাঁর রাসূলের সাথে (তোমাদের) যুদ্ধাবস্থা বিরাজ করছে’(আল-কুরআন ২:২৭৮-৯)
রফিকুল ইসলাম লিখেছে নবী পাক মারা গেছেন । তো মৃত লোকের সাথে কি কারো যুদ্ধ হয় ? যুদ্ধ তো জীবিতদের সাথে ।

এমন আর কত প্রমান লাগবে ? বলুন ? তবে একটা কথা সুনে রাখুন ,বিশ্বাসী দের জন্য একটা দলিল যথেস্ট কিন্তু যাদের ইমান নাই তাদের কে নিজে আল্লাহ পাক এসে বললেও সে বলবে যে ইটা মিথ্যা কথা।  আগে বিচার আপনাদের হাতে দিলাম 


কাজী ভাই কে ধন্যবাদ অনেক।  


সোহেল রানা 


গুসতাকি আকিদা জামায়াতে ইসলামী

কথিত এই জামায়াতে ইসলামির কুলাঙ্গার রফিকুল ইসলাম (কোরান ও হাদিসের  আলোকে  দেওবন্দী আকিদা ) কিতাবে পাগলা কুত্তার মত  আক্রমন করেছেন (ত্বকী উসমানীর লেখা  কিতাব (ইতিহাসের কাটগড়ায় হজরত মুয়াবিয়া ) লেখার কারণে। বস্তুত মৌদুদির কিছু অপারাসন করেছেন তিনি উক্ত কিতাবে ।  সেই কিতাব ও আছে আমার কাছে।  

মূল কথা ;- গায়েব বিষয় ভুয়া তথ্য দেয়ার পর সুরু করেছেন হাজির নাজির এর বিষয়।  যে ইসলামে হাজির নাজির বলতে কিছু নাই আল্লাহ ছাড়া। নবী কে হাজির নাজির মানা ভ্রান্তি ছাড়া কিছু নয় , হায়াতুন্নাবি বলতে কিছুই নাই।   একমাত্র আল্লাহ পাক চিরঞ্জীব (সুরা বাকারা ১৫৫) আল্লাহর কোনো মিত্তু নাই (ফুরকান   ৫০) নবীরা মারা গেছেন (সুরা ইমরান ১৪৪) নবীরা মানুষ ছিলেন (কাহাফ ১১০) আর মানুষ মরণশীল।ওহী আসার ভিত্তিতে তিনি নবীর স্থলে ওধিসটিত হয়েছেন । । (কোরান ও হাদিসের আলোকে দেওবন্দী আকিদা পৃষ্টা ১২) 


আমি অধম সামান্য কথা বলতে চাই যে আমরা কি কোনো দিন ও বলেছি কে আল্লাহ মারা যাবেন ? আল্লাহর ধংশ আছে ? বলি নাই    ,আর এই সকল কথা বলার আগে যেন এই দুনিয়ার আলো বাতাস হারাম হয়ে যায়।  

তো এই খানে একটা বিষয় সুস্পষ্ট যে বিগত দিনের দেওবন্দী ও আমাদের সুফিবাদে বিশ্বাসী সুন্নি দের তেমন কোনো মত বিরোধ ছিল না ,কিন্তু বর্তমান  দেওবন্দী গন অনেক দূরে সরে গেছে তাদের আকবের দের আকিদা থেকে।  

 আমি দেওবিন্দির সাফাই দিচ্ছি না ,সুধু আমার আকিদার সাথে সাংঘর্ষিক কথা বার্তার কারণেই জবাব দিতে বাধ্য হচ্ছি।  

আমাদের বিশ্বাস ও আকিদা হচ্ছে আল্লাহ পাকের রহমতে আমাদের নবী ও হাজির নাজির।



১)  يَاايُّهَاا لنَّبِىُّ اِنَّا اَرْسَلْنكَ شَاهِدًا وَّمُبَشِّرًا وَّنَذِيْرًا وَّدَاعِيًا اِلَى اللهِ بِاِذْنِه وَسِرَاجًا مُّنِيْرَا
 
[আল্লাহ তাআলা প্রিয় নবী (সাল্লাল্লাহু আলাইহে ওয়াসাল্লাম) কে সম্বোধন করে এরশাদ করেছেন, ওহে অদৃশ্য বিষয়াদির সংবাদদাতা! নিশ্চয় আমি আপনাকে প্রেরন করেছি, হাযির-নাযির, সুসংবাদদাতা হিসাবে এবং ভয় প্রদর্শনকারী করেছি আল্লাহর নির্দেশানুশারে তার দিকে আহবানকারী এবং উজ্জল প্রদীপ হিসেবে]
আরো কি কিছু বলা লাগবে ? 

তার শুভ সংবাদদাত, ভীতি প্রদর্শনকারি ও আল্লাহর পথে আহবানকারি হওয়ার বিষয়টিও তথৈবচ। অন্যান্য নবীগনও এ সমস্ত  কাজ সম্পন্ন করেছেন, কিন্তু শুধু শুনেই; আর হুযুর আলাইহিস সালাম করেছেন স্বচক্ষে দেখেয়। এ মিরাজ একমাত্র হুযুর আল্লাইহিস সালামের হয়েছিল। উপরোক্ত আয়াতে প্রিয় নবী (সাল্লাল্লাহু আল্লাহিস ওয়াসাল্লাম) কে   سِرَاجًامُّنِيْرًا
সিরাজাম মুনীরা ও বলা হয়েছে। সিরাজাম মুনিরা সূর্য্যকেই বলা হয় । সূর্য্য যেমন পৃথিবীর সর্বত্র, ঘরে ঘরে বিদ্যমান, তিনি ও (সাল্লাল্লাহু আলাইহে ওয়াসাল্লাম) প্রত্যেক জায়গায় বিরাজমান। এ আয়াতের প্রতিটি শব্দ থেকে হুযুর আলাইহিস সাল্লামের হাযির-নাযির হওয়ার বিষয়টি প্রমাণিত।
(২)  وَكَذَالِكَ جَعَلْنَاكُمْاُمَّةًوَّ وَّسَطًا لِّتَكُوْنُوْا شُهْدْاءَ عَلَى النَّاسِ وَيَكُوْنَ الرَّسُوْلُ عَلَيْكُمْ شَهِيْدًا
 
[এবং কথা হলো এই যে আমি (আল্লাহর তা’আলা) তোমাদেরকে (উম্মতে মুহাম্মাদী ) সমস্ত উম্মত গনের মধ্যে শ্রেষ্ঠত্বের মর্যাদা দান করেছি ,যাতে তোমরা  অন্যান্য লোকদের  ব্যাপারে সাক্ষ্য প্রদান করতে পার এবং এ রসুল (সাল্লাল্লাহু আল্লাইহে ওয়াসাল্লাম ) তোমাদের জন্য  পর্যবেক্ষনকারী ও সাক্ষীরুপে প্রতিভাত হন ।
(৩) فَكَيْفَ اِذَا جِئْنَا مِنْ كُلِّ اُمَّةٍ بِشَهِيْدٍ وَجِئْنَا بِكَ عَلَى هؤُلَاءِ شَهِيْدًا
 
[তখন কি অবস্তা হবে ,যখন আমি  (আল্লাহ তা’আল্লা) প্রত্যেক উম্মত থেকে একজন করে সাক্ষী  উপস্থিত করব ,এবং হে মাহবুব ! আপনাকে সে সমস্ত সাক্ষীদের প্রত্যক্ষদর্শী সাক্ষীরুপে আনয়ন করব।
এ আয়াতসমূহে নিম্নোক্ত ঘটনার প্রতি ইঙ্গত প্রদান করা হয়েছে। কিয়ামতের দিন অন্যান্য নবীগনের উম্মতগন আরজ করবে; আপনার নবীগন আপনার নির্ধারিত বিধি-বিধান আমাদের নিকট পৌছাননি। পক্ষান্তরে নবীগন আরজ করবেন; আমরা অনুশাসনসমূহ পৌছিয়েছি। নবীগন নিজেদের দাবীর সমর্থনে সাক্ষী হিসাবে উম্মতে মুস্তফা আলাইহিস সালামকে পেশ করবেন। উনাদের সাক্ষ্য প্রদানের ক্ষেত্রে আপত্তি উত্থাপন করে বলা হবেঃ আপনারা সে সব নবীদের যুগে ছিলেন না। আপনারা না দেখে কিভাবে সাক্ষ্য দিচ্ছেন? তাঁরা তখন বলবেন; আমাদেরকে হুযুর আল্লাইহিস সালাম এ ব্যাপারে   বলেছিলেন। তখন হুযুর আল্লাইহিস সালামের সাক্ষ্য গ্রহন করা হবে। তিনি (সাল্লাল্লাহু আল্লাইহে ওয়াসাল্লাম )  দুটো বিষয় সাক্ষ্য দিবেন। এক নবীগন (আ:) শরীয়তের বিধানাবলী প্রচার করেছেন দুই, আমার উম্মতগন সাক্ষ্য প্রদানের উপযুক্ত । সুতরাং মুকদ্দমা এখানেই  শেষ। সম্মানীত নবীগনের পক্ষে রায় দেওয়া হবে । লক্ষ্যনীয় যে, যদি হুযুর আলিইহিস সালাম পূর্ববর্তী নবীগনের তবলীগ ও স্বীয় উম্মতগনের ভবিষ্যতের অবস্তা সচক্ষে অবলোকন না করতেন, তাহলে তাঁর সাক্ষ্যের ব্যাপারে কোন আপত্তি উত্থাপিত হল না কেন? যেমনিভাবে তাঁর উম্মতের সাক্ষ্যের ব্যাপারে আপত্তি উত্থাপিত হলো,বোঝা গেল তাঁর (সাল্লাল্লাহু আলাইহে ওয়াসাল্লাম) সাক্ষ্য হবে প্রত্যক্ষদর্শীর সাক্ষ্য আর আগেরটা হবে শ্রুত বিষয়ে সাক্ষ্য।এ থেকে তার হাযির -নাযির হওয়ার বিষয়টি প্রমাণিত হলো। এ আয়াতের তাৎপর্য ইতিপূর্বে  ইলমে গায়ব এর আলোচনায় ও বিশ্লেষন করেছি।
 
(৪)   ۳۹وَلَوْ اَنَّهُمْ اِذْظَّلَمُوْ اَنْفُسَهُمْ جَاَءُوْاكَ فَأسْتَغْفَرُوْا اللهَ وَاسْتَغْفَرَلَهُمُالرَّسُوْالُ لَوَجَدُوا اللهَ تَوَّابًا رَّحِيْمًا
[এবং যখন ওরা নিজেদের আত্মার প্রতি অবিচার করে, তখন তারা যদি আপনার সমীপে উপস্তিত হয়ে আল্লাহর কাছে ক্ষামা প্রার্থনা করে আর আপনি ও তাদের জন্য সুপারিশ করেন, তাহলে নিশ্চয় আল্লাহকে তওবা কবুলকারী, করুণাময় হিসেবে পাবে।]এ আয়াত থেকে বোঝা গেল যে, পাপীদের মাগফিরাত বা ক্ষমাপ্রাপ্তির একমাত্র পথ হচ্ছে হুযুর আলাইহিস সালামের মহান দরবারে উপস্থিত হয়ে তাঁর শাফাআত প্রার্থনা করা এবং হুযুর মেহেরবানী করে তাদের জন্য শাফাআত করা। এর অর্থ এ নয় যে, আমাদেরকে মাগফিরাতের জন্য পবিত্র মদীনাতে উপস্থিত হতে হবে। কেননা তাহলে আমাদের মত দরিদ্র বিদেশী পাপীদের ক্ষমাপ্রাপ্তির কি উপায় হবে? ধনাঢ্য ব্যক্তিগনও তো জীবনে একবার কি দু বার সে মহান দরবারে যাবার সামর্থ রাখে। অথচ দিনরাত পাপ পঙ্কিলতায় নিমজ্জিত রয়েছেন। তাই এতে মানুষের সাধ্যাতীত কষ্ঠ হবে। কাজেই আয়াতের মূল বক্তব্য হচ্ছে-তিনি (সাল্লাল্লাহু আলাইহিস ওয়াসাল্লাম) তোমাদের কাছেই বিদ্যমান আছেন। তোমরা বরং তার নিকট থেকে দুরে অবস্থান করছো। তোমরা হাযির হয়ে যাও, তিনি তোমাদের প্রতি সুপ্রসন্ন হবেন।
পরম বন্ধু আমার নিজের চেয়েও কাছে বিদ্যমান। এটাই বিস্ময়কর যে আমি তার নিকট থেকে দুরে রয়েছি।
এতে বোঝা যায় যে, হুযুর আলাইহিস সালাম সর্বত্র বিদ্যমান।

(৫)  وَمَا اَرْسَلْنكَ اِلَّارَ حْمَةً لِّلْعَا لَمِيْنَ
 
[আমি আপনাকে সমগ্র বিশ্বের জন্য রহমত স্বরূপ প্রেরন করেছি। অন্যত্র বলা হয়েছে-
وَرَحْمَتِىْ وَسِعَتْ كُلَّشَيْئٍ
অর্থাৎ  আমার রহমত প্রত্যেক কিছুকেই পরিবেষ্টন করে আছে। বোঝা গেল যে, তিনি (সাল্লাল্লাহু আল্লাইহে ওয়াসাল্লাম) বিশ্ব চরাচরের জন্য রহমত স্বরূপ এবং রহমত সমগ্র বিশ্বকে পরিবেষ্টন করে আছে। সুতরাং সমগ্র বিশ্বকে পরিবেষ্টন করে রয়েছেন হুযুর আলাইহিস সালাম। স্বরন রাখা দরকার যে, মহা প্রভু আল্লাহর শান হচ্ছে তিনি’ রাব্বুল আলামিন’ (বিশ্বব্রহহ্মন্ডের প্রতিপালক) আর প্রিয় হাবীবের শান হচ্ছে তিনি’ রাহমাতুল্লিল আলামিন’ (বিশ্বব্রক্ষান্ডের প্রতি রহমত স্বরূপ)। স্পষ্টই প্রতীয়মান হল যে, আল্লাহ যার প্রতিপালক, হুযুর আলাইহিস সালাম হচ্ছেন তার প্রতি রহমত স্বরূপ।আর এ আয়াত এখনও রহিত হয় নাই । সেই রহমত এখন ও বিদদোমান ।
(৬) مَاكَانَ اللهُ لِيُعَذِّ بَهُمْ وَاَنْتَ فِيْهِمْ
[হে মাহবুব! এটা   আল্লাহর অভিপ্রেত নয়  যে আপনি তাদের মধ্যে থাকাকালে  আল্লাহ তাদের কে শাস্তি প্রদান করবেন।]
অথাৎ খোদার মর্মন্তুদ  শাস্তি তারা পাচ্ছে না- এজন্য যে আপনি তাদের  মধ্যে রয়েছেন আর সাধারন ও সর্বব্যাপী আযাব তো কিয়ামত র্পযন্ত কোন জায়গায় হবে না। এ থেকে জানা যায় যে হুযুর আলাইহি ওয়াসাল্লাম  কিয়ামত পর্যন্ত প্রত্যেক জায়গায় বিদ্যমান থাকবেন। এ সম্পর্কে সুপ্রসিদ্ধ ‘তাফসীরে রূহুল বয়ানে বলা হয়েছে, হুযুর আলাইহিস সালাম প্রত্যেক পুণ্যত্মা ও প্রত্যেক পাপীর সাথে বিদ্যামান আছেন। আল্লাহ তা’আলা ইরশাদ করেছেন-
وَاعْلَمُوْا اَنَّ فِيْكُمْ رَسُوْلُ اللهِ
[তোমরা জেনে রেখ, তোমাদের মধ্যে রসুলুল্লাহ (সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) বিরাজমান)। এখানে সমস্ত সাহাবায়ে কিরামকে সম্বোধন করা হয়েছে অথচ তারা বিভিন্ন জায়গায় বিক্ষিপ্তভাবে বসবাস করতেন সুতরাং স্পষ্টই বোঝা যায় যে হুজুর আলাইহি ওয়াসাল্লাম সে সব জায়গায় ও তাদের কাছে আছেন।আর খাসায়্স উল কুবুরা তে জালালুদ্দিন সুয়ুতি (রহ) লিখেছেন যে আমি তোমাদের  মধ্যে (জাহেরী) থাকা তোমাদের জন্য কল্যাণ কর আর কোবরে থাকা ও কল্যাণ কর  হাদিস টা মনে পরছে না বাকি তা। সময় পেলে যোগ করব 
(৭) اَلَمْ تَرَ كَيْفَ فَعَلَ رَبُّكَ بِاَصْحَابِ الْفِيْلِ
হে মাহবুব আপনি কি দেখেননি প্রভু হস্তী বাহিনীর কি অবস্থা করছেন?এই হাতি ওয়ালা বাহিনীর ঘটনা নবী পাক এর দুনিয়ার বুকে তাসরিফ আনার ৬ মাস আগের ঘটনা ,অথচ আল্লাহ পাক জিগ্গেস করেছেন এই খানে আপনি কি দেখেন নাই (মনে করুন) সেই হাতি ওয়ালা বাহিনীকে কি ভাবে ধংশ করেছেন আপনার আল্লাহ। 
৮) اَلَمْ تَرَ كَيْفَ فَعَلَ رَبُّكَ بِعَادٍ
হে মাহবুব আপনি কি দেখেননী আপনার প্রতিপালক আদ নামক জাতির  সংগে কিরূপ আচরন করেছেন ?
আদ জাতি ও হস্তীবাহিনীর ঘটনাবলী হুজুর আলাইহি ওয়াসাল্লাম আবির্ভাবের পুর্বেই সংঘটিত হয়েছে অথচ বলা হচ্ছে اَلَمْ تَرَ (আপনি কি দেখেননি?) অর্থাৎ আপনি দেখেছেন। এতে কেউ আপত্তি উত্থাপন করে বলতে পারে য়ে, কুরআন করীমে কাফিরদের প্রসঙ্গেও তো বলা হয়েছে اَلَمْ يَرَوْ اكَمْ اَهْلَكْنَا قَبْلَهُمْ مِنْ قَرْنٍ তারা কি দেখেনি, আমি তাদের আগে কত জাতিকে ধ্বংস করে দিয়েছি), এখানে লক্ষ্যণীয় যে, কাফিরগণ; তাদের আগেকার কাফিরদের ধ্বংস হতে দেখেনি; তবু আয়াতে বলা হয়েছে-তারা কি দেখেনি? সুতরাং, আপনি কি দেখেননি? এ উক্তি থেকে সচক্ষে দেখার ব্যাপারটি প্রমাণিত হয় না। এর উত্তর হচ্ছে- এখানে আয়াতে আগেকার কাফিরদের ধ্বংসপ্রাপ্ত দেশ, বিধ্বস্ত ঘর-বাড়ী ও ধ্বংসাবশেষ দেখার কথাই বলা হয়েছে। মক্কার কাফিরগণ যেহেতু ব্যবসা-বাণিজ্যের উদ্দেশ্যে ভ্রমন করার সময় সেসব স্থান সমূহের পার্শ্ব দিয়া যাতায়াত করতো, সেজন্য বলা হয়েছে এসব ধ্বংসাবশেষ দেখে কেন শিক্ষাগ্রহন করে না? হুজুর আলাইহি ওয়াসাল্লাম) দৃশ্যতঃ না পৃথিবী পরিভ্রমন করেছেন না আদ' জাতিও অন্যান্য বিধ্বস্ত দেশ সমূহ বাহ্যিকভাবে দেখেছেন। তাই তার ক্ষেত্রে স্বীকার করতেই হবে  যে, এখানে তাঁর নূরে নবুয়াতের মাধ্যমে দেখার কথাই বলা হয়েছে ।
(৯) اَلنَّبِىُّ اَوْلَى بِالْمُؤْمِنِيْنَ مِنْ اَنْ فُسِهِمْ
[নবী মুসলমানদের কাছে তাদের প্রাণের চেয়েও নিকটতর।] দেওবন্দ মাদ্রাসার প্রতিষ্ঠাতা মওলবী কাসেম সাহেব তার রচিত তাহযীরুন নাস গ্রন্থের ১০ পৃষ্ঠায় লিখেছেনঃ এ আয়াতের اَوْلى  শব্দের অর্থ হচ্ছে নিকটতর। তাহলে এ আয়াতের অর্থ দাঁড়ায় নবী মুসলমানদের কাছে তাঁদের প্রাণের চেয়েও নিকটতর। আমাদের নিকটতম হচ্ছে আমাদের প্রাণ; এ প্রাণ থেকেও নিকটতর হচ্ছেন নবী আলাইহিস সালাম। বলা বাহুল্য যে, অতি নিকটে অবস্থিত বস্তু দৃষ্টিগোচর হয় না।
অত্যধিক নৈকট্যের কারনে আমরা তাকে (প্রয় নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) চোখে দেখতেপাই না। এখন যদি আপনি মুমিন হতে চান  তা হলে আপনার আকিদা হতে হবে আপনার নবী আপনার খুব কাছেই , মুমীন না হয়ে যদি মোনাফেক হন তো অন্য কথা ।

(১০)রাসূলে পাক (দ:) সকল বিষয়ের জ্ঞান রাখেন এবং সৃষ্টিজগতকে সেভাবে জানেন যেমনভাবে কোনো কক্ষে উপবেশনকারী ব্যক্তি ওই কক্ষ সম্পর্কে জানেন। কোনো কিছুই তাঁর থেকে গোপন নয়। কুরআন মজীদের দুটো আয়াত একে সমর্থন দেয়; ১মটি এরশাদ ফরমায় - “তবে কেমন হবে যখন আমি (আল্লাহ) প্রত্যেক উম্মত থেকে একজন সাক্ষী উপস্থিত করবো, এবং হে মাহবুব, আপনাকে তাদের সবার ব্যাপারে সাক্ষী ও পর্যবেক্ষণকারীস্বরূপ উপস্থিত করবো?” [সূরা নিসা, ৪১]; 
১১) ”আল্লাহতা’লা ঘোষণা করেন, ‘হে ঈমানদারবৃন্দ! আল্লাহকে ভয় করো এবং ত্যাগ করো যা অবশিষ্ট রয়েছে সুদের (প্রথার), যদি মুসলমান হও। অতঃপর যদি তোমরা এই আজ্ঞানুরূপ না করো, তবে নিশ্চিত বিশ্বাস রেখো আল্লাহ ও তাঁর রাসূলের সাথে (তোমাদের) যুদ্ধাবস্থা বিরাজ করছে’(আল-কুরআন ২:২৭৮-৯)
রফিকুল ইসলাম লিখেছে নবী পাক মারা গেছেন । তো মৃত লোকের সাথে কি কারো যুদ্ধ হয় ? যুদ্ধ তো জীবিতদের সাথে ।

এমন আর কত প্রমান লাগবে ? বলুন ? তবে একটা কথা সুনে রাখুন ,বিশ্বাসী দের জন্য একটা দলিল যথেস্ট কিন্তু যাদের ইমান নাই তাদের কে নিজে আল্লাহ পাক এসে বললেও সে বলবে যে ইটা মিথ্যা কথা।  আগে বিচার আপনাদের হাতে দিলাম 


কাজী ভাই কে ধন্যবাদ অনেক।  


সোহেল রানা 


ওহাবি আর জামাতী একই কথা

কথিত জামাত-এ-ইসলামী এর কাট মোল্লা

রফিকুল ইসলাম তার কিতাব (কোরান ও হাদিসের আলোকে দেওবন্দী আকিদা) এর ১১ নং পৃষ্টায় লিখেছেন যে আল্লাহ কে সর্বজায়্গায় কল্পনা করা তথা বিরাজমান চিন্তা করা সম্পুর্ন শিরক। কিন্তু দেওবন্দী দের আকিদা হচ্ছে আল্লাহ সর্বত্র বিরাজমান। প্রিস্ট ১১.

 আমি বলতে চাই যে সুধু দেওবন্দী না ,আমার আকিদা ও আল্লাহ সর্বত্র বিরাজমান। 

এর পর তিনি কত গুলো আয়াত দয়েছেন কোরান পাক থেকে ;- আল্লাহর আকার আছে (,জুমার ৬৭)আল্লাহর হাত আছে ,(সুরা ফাতহ ১০)আল্লাহর চোখ আছে ,(সুরা হুদ ৩৭)আল্লাহর মুখ আছে (বাকারা ২৭২)আল্লাহর পা আছে (কালাম ৪৭) 


উক্ত আয়াত গুলো  দিয়েছেন যে আল্লাহ পাক এর আকার আছে প্রমান করার জন্য।  আর তিনি দোষারোপ করেছেন যে দেওবন্দী ও ব্রেলভী গন আল্লাহ নিরাকার ও অহ্দাতুল অজুদ এ বিশ্বাসী।  পৃষ্টা ১১. 


আমি অধম বলতে চাই যে আল্লাহ নিরাকার এই আকিদায় আমি ও বিশ্বাসী।  কারণ আল্লাহ পাকের আকার নিয়ে মন গড়া কোনো কল্পনা করা যাবে না।  আল্লাহর বাণী :- আল্লাহ সব কিছু দেখেন ও শোনেন ( আল ইমরান ২২১)এই খানে সোনার কথা বলা হয়েছে , কানের কথা বলা হয় নাই।  এ আকার কোনো সৃষ্টির মত না , কোনো সৃষ্টির সাথে তুলনা করা যাবে না(শু'রা ১১) আল্লাহ কে জ্ঞান দ্বারা আয়ত্ত করতে পারব না ( ত্বহা ১১০) আল্লাহর আকার আল্লাহর মত , তার মত  কোনো কিছু নাই।

আল্লাহর আকার আছে এটা সত্য , কিন্তু রফিকুল ইসলাম আপনি কি মনে করেন যে আল্লাহ হাত ,পা, আঙ্গুল,চোখ,হাসি  দুনিয়ার কোনো হাত,পা,আঙ্গুল ,চোখ, হাসি এর সাথে মিল আছে ? যাকে আপনি দেখেন নাই সুধু কিতাবে নাম শুনেছেন আর মুখে বর্ণনা করেছেন তার আকার আপনি কি ভাবে   নির্ণয় করবেন ? 


যদি আপনি আল্লাহর অঙ্গ প্রত্যঙ্গ গুলো কে এই দুনিয়ার কোনো কিছুর সাথে তুলনা  চান তো তা হবে কুফরী।  তাই আমরা আল্লাহর কোন নির্দিস্ট আকার আছে বলে ধারণা করি না। কারণ যাকে দেখিনাই তার আকার কি ভাবে বর্ণনা করব? 

আর আপনি বলেছেন যে আল্লাহ সর্বত্র বিরাজমান না।  ইটা কুফরী।  আপনাদের ওহাবীদের এত ইলম আল্লাহ দেন নাই।  আপনাদের সোনা মাপার নিক্তি দিয়ে যদি পাহাড় মাপতে চান তো কি হবে ? উল্টা আপনার সেই ছোট নিক্তি টাই বরবাদ হবে। আল্লাহ পাক যদি সর্বত্র বিরাজমান না হন তা হলে আল্লাহ কি ভাবে সব কিছু দেখেন ও শোনেন (আল ইমরান ২২১)  তো আপনি যদি এখন বলেন যে আল্লাহ সর্বত্র বিরাজমান না আয়াত  অস্বিকার করলেন। সেই কারণে আপনি ইসলাম থেকে খারিজ। আর আল্লাহ পাক এর অস্তিত্ব ও গুনাবলী আপনি একটু আল্লাহ পাকের এই সৃষ্টি কুলের দিকে লক্ষ্য করলে পেয়ে যাবেন যে যিনি আল্লাহ আসলে তিনি কেমন।  


আমি অধম সামান্য একটু উদাহরণ দিচ্ছি ;- আপনি আপনার ডান হাতের আঙ্গুল গুলোর দিকে লোক্জ্হ করিন।  দেক্গুন বুড়ো আঙ্গুল টা সব চেয়ে ছোট অন্য আর ৪ টা আঙ্গুল এর চেয়ে। বুড়ো আঙ্গুলে ২ টা রেখা আছে আর বাকি ৪ আঙ্গুলে ৩ করে রেখা আছে।  কিন্তু তবু দেখেন সেই ছোট বুড়ো আঙ্গুলটা বাকি ৪ টা আঙ্গুল এর উপর দিয়ে চলা ফেরা করছে, তার থেকে বড় ৪ টা আঙ্গুল অন্য সবার উপর দিয়ে ঘোরা ফেরা করতে অক্ষম ।লক্ষ্য করুন আপনার আল্লাহ কি ভাবে কত নিখুত ভাবে এই দুনিয়ার বুকে ছোট ও ক্ষুদ্র বস্তু দিয়ে বড় বড় কাজ সম্পাদন  করছেন।  আপনি কাল ছিলেন আপনার পিতার বীর্যের মধ্যে।  আল্লাহ আপনাকে কতই না নিখুত ভাবে দুনিয়ার বুকে জন্ম দিয়েছেন ও লালন পালন করছেন।  এতে কি আপনার দুনিয়ার বুকে আল্লাহর অস্তিত্বের প্রমান চোখে পরে না।  


আরবিতে একটা কথা আছে :- মান আরাফ নাফসহ , ফাকাদ আরাফ রব 

:- যে নিজেকে চিনতে পেরেছে সে আল্লাহ কে চিনতে পেরেছে 

আপনি নিজে নিজেকে এখনো চিনতে পারেন নাই তো আল্লাহ কে কি চিনবেন ? আদর বেপারী জাহাজের খবর !!! নিজে জাহেরী আলেম হয়ে সুফিবাদের প্রতি ফতোয়া মেরে লাভ নাই।  আপনর মত আলেম কে ধুল চাটাতে কারো শনিবার আর মঙ্গলবার এর প্রয়োজন নাই।  


এই কারণেই বলা হয় যে আল্লাহ সর্বত্র বিদ্যমান।  আল্লাহ রাব্বুল আলামিন আরশে অবস্থান করেন এবং আরশ সূর্যের উপর ও বসানো কুরসী জমিন পর্যন্ত বিস্তরিত   ।  আর চোখ খুললেই দেখা যায় আল্লাহর সিফাতের সাক্ষ্য সারা দুনিয়া প্রদান করেন তিনি সর্বত্র বিরাজ্মান।  

এর পর রফিকুল ইসলাম সুরু করেছেন এর গায়েব বিষয় ফতোয়া দেয়া।  যে আল্লাহ ছাড়া কেউ গায়েব জানে না ( সুরা নমল ৬৫) নবী গণ গায়েব জানতেন না ( আরাফ ১৮৮)  সুতরাং নবী ও ওলি গণ গায়েব জানেন এটা বলা সম্পুর্ন শিরক। 

অব্চচের বিষয় তারা সুধু নবী পাকের কোথায় কোথায় কম্জুরি আছে খুঁজে ঘুরে ফেরে কোরান পাক এ।  

কিন্তু তারা মনে হয় এই আয়াত গুলো কোনো দিন চোখে দেখেন নাই ;- গায়েবেত খবর জানিয়ে দিয়েছেন আল্লাজ নিজে ( হুদ -৪৯) আল্লাহ গায়েব প্রকাশ করেন না তার মনোনিত রাসুল গণ বেতীত ( সুরা জিন -২৬-২৭) আল্লাহ সাধারণ মানুষ ছাড়া তার  রাসুল গন কে গায়েবের খবর জানিয়ে দিতেন (সুরা ইউসুফ -১২,১০২) নবী গণ এটাও বলে দিতে পারতেন কে কি খেয়েছে আর ঘরে কি রেখে এসেছে ( আল ইমরান ৪৯) 

এ ছাড়া  সুরা আরাফ এর বর্ণনায় হজরত খিজির (অ) ও মুসা (অ) এর বর্ণনা দেখুন ( আল বিদা খ ১ পেজ ৬৬২-৬৬৭) 

হজরত ইলিয়াছ ও খিজির (অ) এর বর্ণনা দেখুন ( আল বিদা খ ১ পৃষ্টা ৭১৯-৭২০) 

একবার নবী পাক কিছু গায়েব এর কথা ওনার স্ত্রী কে বলেন ,পরে স্ত্রী সেই কথা ওন্যকে বলে দেন ।(সুরা তাহরিম ৬৬:৩)

হাদীস তো আছে হাজার ও আছে । কিতাবের পেজ দেখার ইচ্ছা থাকলে বলিয়েন। দিয়ে দিব   ।

আরো কত বলা লাগবে যে আল্লাহর নবী ও রাসুল গন আল্লাহ পাকের রহমতে গায়েবের সংবাদ প্রদান করত।  আর নবী শব্দের অর্থ কি ? সংবাদ দাতা।  কিসের সংবাদ দিত আমাদের নবী ?  তিনি জান্নাত জাহান্নাম ও আল্লাহ পাকের সংবাদ দিত।  এগুলো কি জাহের ? নাকি গায়েব ? 


আবার বলে নবী গায়েব জানে না 


আরে নবী তো অনেক বড় কথা।  নবীর সাহাবী দের কথা শোন :- আবু বাক্কার সিদ্দিক রাদিয়াল্লাহ ওনার মিত্তুর পূর্বে মা আয়েশা কে বললেন যে তোমরা সত্যি দুই ভাই দুই বোন্।  (আমার জানা মতে তিনি এটা ও বলেছিলেন যে তার জন্য যেন আমার সংসার এর ভাগ রাখা হয় ) অথচ তখন অনার ২ তা ছেলে ও একটি মেয়ে আমাদের উম্মুল মোমেনিন আয়েশা সিদ্দিকা ছিলেন সুধু আর অনার স্ত্রী ছিলেন তখন গর্ভবতী।  এই খানে দেখার বিসয় তা হচ্ছে যে তিনি জানতেন যে অনার স্ত্রীর পেটে কন্না সন্তান আছে ও এটাও জানতেন যে অনার সেই বাচ্চা সহিহ সালামত প্রথিবীতে জন্ম নিবেন।  তাই তিনি এমন টা বলতে পেরেছিলেন। 

হজরত ওমর রাযিয়াল্লাহ জুম্মার খোতবার সময় কাস্ফের মাধমে জেনে নেন যে কাফের সন্য গণ মুসলিম মুজাহিদ দের কে ধাওয়া করছে।  তখন তিনি সেখান থেকেই মুসলিম বাহিনীকে পাহাড়ের দিকে সরে যেতে বলেন  . আর ওনার সেই আওয়াজ যুদ্ধে অবস্থান রত সন্য বাহিনীর কাছে পৌছে যায় যাতে মুসলিম বাহিনী বিশাল এক লোকসানের হাত থেকে রক্ষা পান।  ইটা ছিল ওমর রাযিয়াল্লাহ এর কারামত। আনাস ইব্মে মালিক থেকে বর্ণনা যে তিনি বলেন আমিএকদিন হজরত উসমান রাদিয়াল্লাহ এর খেদমতে যাওয়ার জন্য রুয়ানা হলাম পথিমোধে একজন অপরূপ সুন্দরী মেয়ে দেখতে পেয়ে আমি তাকে খুব ভালো করে পর্যবেক্ষণ করলাম।  যখন আমি অসমান রাদিয়াল্লাহ এর দরবারে হাজির হলাম তখন তিনি আমাকে দেখে বললেনে যে আজকাল আমার দরবারে তোমাদের মাঝে কেউ কেউ আগমন করে আমি তার  চেহরার মাঝে জিনার চিনহ দেখতে পাই।  তোমার কি জানা নাই কুদৃষ্টি করা হচ্ছে চোখের জিনাহ ? তুমি তাওবা কর নয় তো আমি তোমাকে সাজা দেব। আমি জিগ্গেস করলাম নবী পাক চলে যাওয়ার পর ও কি ওহি আসে ? তিনি বললেন যে না।  কিন্তু অন্তর দৃষ্টি ও দূর দর্শিতার কারণে জানা যায়(ইহ্যুয়ায়ে উলুমুদ্দীন ,সুফী বাদ অধ্যায় পৃষ্টা ২৮৮) 

এখন এই সকল কিছু কে অস্বিকার করার কারণে কে এই জামাত নেতার ইমান আরো বাকি আছে ? জবাব দিবেন 


সোহেল রানা 



জামায়াতে ইসলামী এর খারিজি আকিদা

জামাত এ ইসলামী নামে আমাদের দেশে কে খারেজি ধর্মের প্রচার চলছে তা অনেকের অজানা। সবাই মনে করে যে তারা তো আল্লাহ ও রাসুলের কথা বলেন। কোরান ও হাদিস ছাড়া তো তারা কোনো কথা বলেন না।  তাদের কে বলব যে হজরত মাওলা আলী কারামুল্লাহ আলায়হে ওয়াসাল্লাম কে মুল্জিম নামের একজন খারেজি শাহিদ করেছিল ও তাকে যখন ইমাম হাসান বলল যে তোমার  কি কোনো ইচ্ছা আছে ? তখন ইবনে মুল্জিম বলেছিল যে আমি হাতিমে কাবায় বসে প্রতিগ্গা করেছিলাম হয় আলী কে মারব নয় নিজে মরব।  এখন যদি আপনি আমাকে সুযুগ দেন তো আমি মুয়াবিয়া কে খতম করে ফিরে এসব আল্লাহর কসম।  তখন এমাম হাসান বলেছিল যে তোমাকে সেই সুযোগ দেয়া হবে না আর এখন জাহান্নাম এ পাঠিয়ে দিব।  

আমার এই অধম এর কথা হচ্ছে যে সেই খারেজি তো আল্লাহর নাম কসম করে এই কাজ করেছে তবু তাকে কেন হত্যা করা হল ? তার মতে সে তো আল্লাহর ইচ্ছে এমন কাজ করেছেন। 

কেউ কেউ বরননা করেছেন আব্দুল্লাহ ইবনে জাফর ইবনে মুল্জিমের দুই হাত দুই পা কেটে ফেলেন ও দুই চোখ উপরে ফেলেন।  তবু সে (ইকরা বিচমে রাব্বিকাল্লাজি খালাকা ) পর্তেয়্ছিল।  তখন অর জীব কেটে দেয়ার কথা বললে সে বলেছিল যে আমি আল্লাহর কালাম পাঠ করা ছাড়া বেছে থাকতে চায়না (আল বিদা ওয়ান নিহায়া ৭খ পৃষ্টা ৫৮৬-৫৮৭) 

এই কথা গুলো উল্লেখ করলাম সুধু যে এই সেই মুল্জিম যে আমাদের নবী পাক এর আপন ভাতিজা ,জামাই ,ভাই, নবী পাকের পর আমাদের অভিবাবক  কে হত্যা করেছিল। কিন্তু তার মুখে সব সময় কোরান উচ্চারিত হত। সে ঠিক ছিল ?  যদি আল্লাহ পাকের কোরান পাঠ করে মরল তবু যদি সে হক না হয় তা হলে  জামাত এ ইসলামী কোরান আর হাদিসের কথা বললেই যে  হক হবে এমন কোনো নিশ্চয়তা দেয়া নিজেদের গোড়ামি এর পরিচয় দেয়া 


যাই হোক , কথিত মাওলানা রফিকুল ইসলাম এম এম তে কিতাব (কোরান ও হাদিসের আলোকে দেওবন্দী আকিদা) এর ৮ নং পৃষ্টায় লিখেছেন যে ভারত উপমহাদেশে ভাগ্গেন্নাসী সুফী গণ পাড়ি জমে তুর্কি বিজয়ের পর।  তারা এসে  এদেশের প্রতন্ত অঞ্চল গুলোতে ইসলামের প্রচার ও প্রচলন সুরু করে। তাদের এমন সন্নাসী সন্নাসী ভাব দেখে ও সেই সময় হিন্দু রাজা জমিদারদের হাত থেকে রক্ষার জন্য তারা ইসলাম কবুল করে হিন্দু ও বৌদ্ধ ধর্ম ছেড়ে।  তবে ইটা বলা অত্যান্ত মুস্কিল যে যে তাদের মাঝে সহিহ কোরান ও হাদিসের ইলম ছিল। আবার এটাও লিখেছেন যে তারা (সুফী) আগমনের পূর্বে অনেক জায়গা  শাসকদের হাতে আসে।  মুসলিম শাসক ও সুফিদের ছত্র ছায়ায় ও উদারতার প্রতি আকৃষ্ট হয়ে বেদীন রা ইসলাম কবুল করে।  আবার লিখেছে যে আরব দেশে যে ইসলাম আছে তা থেকে এই সুফী বাদের ইসলাম অনেক দূরে ছিল।  তিনি এই ল্হানে সর্ত দিয়েছেন যে কেন না মুহাদ্দিস সরফুদ্দিন ইবনে তাওয়ামা ১২৬৮ ক্রিস্তাব্দের শেষের দিকে বুখারী ও মুসলিমের মত সহিহ হাদিসের কিতাব নিয়ে আসেন।  আর এটাও লিখেছেন যে জীবনের শেষের দিকে তাসাউফ এর প্রাণ পুরুষ ইমাম গাজালী বুখারী সরিফের দেখা পান ও বুখারী সরিফ নিয়ে কেদে কেদে মিত্তু বরণ করেন। আজ এই টুকু রদ করব। বাকি পরে দেখা যাবে 


প্রথমত তিনি শিকার করেছেন যে উপমহাদেশে সুফিরাই প্রথম আগমন করেন ইসলাম প্রচার এর জন্য। কিন্তু সাথে একটু খোচাও মেরেছেন যে তুর্কি বিজয়ের পর ভাগ্গান্নেশী সুফী গণ।  হাজার হলেও মৌদুদী এর উম্মত বলে কথা।  আজ পর্যন্ত কোনো অলি আওলিয়া কি নিজের ভাগ্যের অন্নেষণ করেছেন ? কেউ প্রমান দিতে পারবে যে তারা এসে রাজত্ব কায়েম করেছেন ? বরং তারা নিজেদের জীবন বাজি রেখে দীন এ ইসলাম প্রচার করে গেছেন।  সিলেট মাটি এখনো সাক্ষী আছেন শাহ জালাল এর জালালী নিয়ে। খাজা মইনুদ্দিন চিশতি আজমেরী এর কথা কেউ ভোলেনি হিন্দু রাজার জাদুর বলে উড়ে বের সিংহাসন পায়ের খরম দিয়ে নিচে ফেলে দিয়েছিলেন।  ১২ আওলিয়া এর বাংলাদেশ এর কোনো খানে কেউ প্রমান দিতে পারবে না যে তারা ইসলাম প্রচার করে নিজের রাজত্ব কায়েম করেছেন।  তোমরা যে হারামি তা অনেকের জানা নাই।  


এর পর বলেছে যে মুসলিম শাসকদের ছত্র ছায়ায়।  ইতিহাস সাক্ষী যে বাংলা দেশে ১৩৫৪ ক্রিস্টাব্দে শাহ জালাল (রহ) আগমন করেন।  তখন কোথায় আর কে মুসলিম শাসক ছিল ? খাজা মইনুদ্দিন ৯০ লক্ষ্য কে মুসলিম করেছেন কোন মুসলিম শাসকের ছত্র ছায়ায় ?  জবাব দিতে পারবেন ? জানি পারবেন না।  


এর পর বলেছেন ১২৬৮ তে প্রথম বুখারী ও মুসলিমের মত হাদিস এর কিতাব নিয়ে আসেন।  সেই কিতাব নিয়ে এসে কোন কলা গাছের পাতা কেটে খেয়েফেলেছিল ? তার কেউ নাম ও জানে বিলে মনে হয় না।  কেউ কি জানেন মুহাদ্দিস সরফুদ্দিন ইবনে তাওয়ামা কে ছিল ? জানাবেন। 

এর পর বলেছেন যে তাসাউফ এর প্রাণ পুরুষ ইমাম গাজালী জীবনের শেষ সময় বুখারী সরিফ পেয়ে বুকে ধরে কেদে কেদে মিত্তু বরণ করেচেন।  এবার আসুন ইমাম গাজালী এর ইলম ও আমল। 


ইমাম গাজালী এর পুরা নাম মোহাম্মদ আবু হামেদ।  ঔতিহাসিক দের মতে তিনি তুস শহরের গাজ্জাল এ ৪৫০ হিজরী তে জন্ম নেন। আর গাজ্জাল থেকেই তিনি গাজালী নামে পরিচিতি লাভ করেন।  ছাত্র জীবনের বিষয় তিনি বলেন আমি প্রথমে আমি পার্থিব ও জীবিকার জন্য ইলম হাসিল করা সুরু করি কিন্তু পরে দেখলাম ইলম সেভাবে অর্জিত হবার নয় বরংবইলম আল্লাহর জন্য হাসিল হতে পারে।  একবার তুষের নিজামুল মূলক এ বিতর্ক হয় সেখানে তিনি মুকুট লাভ করেন তরুণ বয়সে।  তখন অনার ইজ্জাত অনেক গুনে বেড়ে গিয়েছিল।  আল্লামা ইসমাইল হাফসি ও ওমর বিন আবিল হাসান রেসানির  কাছ থেকে বুখারী ও মুসলিম সরিফের শিক্ষা লাভ করেন আর তারা ছিল সেই সময়কার বিখ্যাত হাদিস বিশারদ। ৪৮৪ হিজরীতে দারুল উলম নিজামিয়া তে প্রধান পন্ডিত হিসেবে ইজ্জাতের সাথে যোগদান করেন।  পরবর্তিতে তিনি দুনিয়া দাড়ি ছেড়ে আধ্যাতিক বিষয় মন নিবেশ করেন।  তিনি যখন উফ্ত লাভ করেন এর পূর্বে নিজের হাতে কিনে আনা কাফন চেয়ে নিয়ে নিজের সরিরে ,চোখে মুখে ঘসতে থাকেন আর বলেন আল্লাহর ইচ্চ্চা সবার উপর. এর পর তিনি বিছানায় সুয়ে পরেন ও ওফাত লাভ করেন।  (সৃষ্টি দর্শন , ইমাম গাজালী সাহেবের কিতাব , ১-১১) 


এই খানে দেখা যাচ্ছে তিনি বুখারী ও মুসলিম এর বিষয় শিক্ষা নিয়েছেন সেই সময়কার আলেমের কাছ থেকে ও তিনি সেই সময়কার তুষের বিখ্যাত মাদ্রাস দারুল উলম নিজামিয়া এর প্রধান ছিলেন।  দারুল উলুম নিজামিয়া এর প্রধান শিক্ষক এর কাজ ছেড়ে দেন সুধু এই মর্মে যে তিনি ইসলাম এর শিক্ষা অর্থের বিনিময়ে  রাজি ছিলেন না ও প্রতিদিন বাহাস বাহাস নিয়ে বেস্ত থাকতে হত।  তাই তিনি নিজ বাড়িতেই কিছু ছাত্রদের শিক্ষা দান সুরু করেন।  তুষের প্রশাসক বার বার চিটি দিয়ে অনুরোধ করেন আর বলেন যে আপনার মত লোকদের এমন অজপাড়াগায় থাকা শোভা পায়না। আপনার যতার্থ স্থান নিজামিয়া মাদ্রাসা।  তিনি বলেন যে সেখানে আমার কোনো কিছুই নাই যে আমার সংসার পরিচালনা করতে পারি। আর আমি ইসলাম এর শিক্ষা দান করতে চাই ,অর্থের বিনিময় না।  এই খানে আমার সামান্য কিছু জমি আছে আর এই খানে ১০০ এর মত ছাত্র আমার কাছে আসে তালিম গ্রহণ এর জন্য। এদের কে ছেড়ে যেতে চাই না (কিমিয়ায়ে সাদাত) ।আজ কোথাকার কোন রফিকুল ইসলাম।  আজ তার কলম এর খোচায় খোচায় এই ভাবে রক্তাক্ত করলেন ? 
দেওবন্দী দের আলেম মাওলানা জাকারিয়া তার কিতাব (শরীয়াত ও তরিকত ক তালাজুম) এর ১২০ পৃষ্টায় লিখেছেন যে আজকাল অনেকে বলে গাজালী এর হাদিয়া ভুল অনেক , কিন্তু তাদের জানা নাই যে ইমাম গাজালী এর ইলম থেকে আমাদের ইলম কে পার্থক্য করার ইলম ও আমাদের নাই।  

আর একটা কথা বলেছেন যে সুফী দের ইসলাম ও প্রকৃত আরব দেশের ইসলাম অনেক বেবধান।  আমি বলি যে তোমার আকিদা আকিদা যদি এতই পাক হয় তা হলে তুমি ও নতুন কিছু করে দেখোনা কেন ? তোমাদের নিয়ত যদি পাক হয় তা হলে তোমাদের প্রতি আল্লাহর রহম হয় না কেন ? নাকি মোহাম্মদ ইবনে আব্দুল ওহাব নজদীর ইসলাম এর কারণে তোমাদের প্রতি আল্লাহর রহম হয়না ? 
সুফিদের প্রতি আল্লাহ রাজি ছিল তারা ডঙ্কা বাজিয়ে ইসলাম কায়েম করেছে।  কিন্তু তোমাদের  কাছে এত SOHIIIIIH হাদিস থাকা সত্তেও তোমরা কেন কামিয়াব নও ? কারণ তোমাদের নিয়তে অনেক ক্ষত।ইনশা আল্লাহ তা আগে প্রকাশ করব  

সোহেল রানা।