বুধবার, ১৯ নভেম্বর, ২০১৪

তরিকায় মোহাম্মদি নাম করনের রহস্য ও ওহাবি দের সাথে সাইয়েদ আহমেদ এর সম্পর্কের প্রমান

নাম করন নিয়ে আমি ৩ টি পোস্ট করে প্রশ্ন করে কেব তার জবাব দেন নাই ও অনেকের মতামত ও দিয়েছিলাম তাদেরই মাসিক পত্রিকা গুলো ও রচিত কিতাব থেকে ৷ তারা আমার কোনো জবাব দেন নাই ৷ তাই এই নাম কথা থেকে আসলো তা যাঁর জন্য একটা হিস্ট্রি বলা প্রজন ৷ আরবের মুহাম্মদ - বিন - আব্দুল - ওহাব-নজদি এর ইসলাম বিরোধী (ইসলামী আন্দোলন ) যে পরিচালিত হয়ছিল তা সেখানকার সাধারণ ও ওলামা পীর সুফী মাশেখ্গন ওহাবী আন্দোলন বলে ডাকতেন ৷ কিন্তু মোহাম্মদ বিন আব্দুল ওহাব নজদি এর অনুসারীগণ সেটা কে ওহাবী আন্দোলন বলত না ৷ কারণ আব্দুল ওহাব ছিল তার বাবার নাম ।আন্দোলন এর নাম যদিও ওহাবী হয় তাতে তার বাবার নামের সুখ্যাতি ও প্রচারিত হচছে৷ মুহাম্মদ ইবনে আব্দুল ওহাব নজদি নাম প্রচার হচ্ছে না বলে তারা ইটা পরে মোহাম্মদী আন্দোলন বলে নাম করন ও প্রচার করা সুরু করে ! এই ভাবে সায়েদ সাহেব ভারত এর সংস্কার আন্দোলন পরিচালনা করেন ৷ পরে আব্দুল ওহাব নজদি এর যুক্তি অনুসারে ও তার নাম এর সাথে সমন্জস্য রেখে তার অনুসারী রা ও মোহাম্মদি আন্দোলন বা তরিকায় মোহাম্মদী বলে প্রচার করতে থাকেন ৷
কেউ কেউ তরিকায় মোহাম্মদী এর নাম নবী পাক সল্লেল্লাহু আলাইহে সালাম এর নামের সাথে সামঞ্জস রেখে রাখা হয়ছে বলে প্রচার করেন৷ তার জন্য অবচস ।যে এর প্রমান কি আরো দেয়া হবে পরবর্তিতে ৷

কিছু প্রমান দেখুন সাইয়েদ আহমাদ যে ওহাবী ছিল বরং ওহাবী দের এজেন্ডা তার দলিল ;- 


মির্জা হায়েরাত দেহলভী তার রচিত (হায়াতে তাইয়েবা ) এর ৩৮৯-৩৯১ নং পৃষ্টায় লিখেছেন যে :- যদিও ওহাবীদের যুদ্ধ সম্পর্ক ও রাষ্টীয় ক্ষমতা চুর্নবিচুর্ন হয়ে গেল ও ওহাবীদের রাষ্টীয় ক্ষমতা নজদের মধ্যেই সীমাবদ্ধ হয়ে গেল তবুও সেই সময় নজদের মসজিদ গুলোতে গর্জে উঠত মহাম্মাদ বিন আব্দুল ওহাব নজদীর তৈরী কৃত ধর্মীয় মূলনীতি গুলো। সেই সময় মসজিদ গুলো তে অতি ধর্মীয় উদ্দীপনার সাথে প্রচারিত হচ্ছিল সেই নীতি গুলো। ঐসব জ্বালাময়ী বক্তব্য ও নীতি গুলো সুধু নজদের চৌহদ্দির ভিতরেই সীমাবদ্ধ থাকেনি বরং হিন্দুস্থানে একজন নিরলস আত্বার ভিতরে নতুন প্রানের সঞ্চার করে দিয়েছে। যখন এ বুজুর্গ (সাইয়েদ আহমাদ বেরেলবী) হজ্জ করতে আসলেন মক্কা সরিফে তখন ওহাবীদের বড় ফাজিলের নিকট থেকে ধর্মীয় শিক্ষা হাসিল করলেন ও মোহাম্মদ বিন আব্দুল ওহাব নজদীর তৈরী কৃত মূলনীতি গুলো গলধকরন(গিলে খাওয়ার মত ) করলেন। রায়বেরেলি এর ডাকাত ও রাহাজানি কারী সাইয়েদ আহমাদ ১৮২২ সালে বায়তুল্লাহ হজ করে উত্তর ভারতের একটি মাত্র ভুখন্ড কে তার ধর্মীয় নীতি প্রচারের জন্য মনস্ত করলেন। ইসলামের নবীর সরাসরি আওলাদ হওয়া সত্তেও তিনি নিজের মধ্যে আমিরুল মোমেনিন হওয়ার বৈশিষ্ট গুলো নিজের মাঝে বিশেষ ভাবে লক্ষ্য করলেন। ভারতের কিছু মুসলমান তাকে যুগের সাচ্চা খলিফা ও ইমাম মেহেদী মনে করতে লাগলেন। সৌভাগ্য ক্রমে একজন ফাজেল আলেম শাহ ইসমাইল তার মুরিদ হল। নতুন খলিফার ধর্মীয় মূলনীতি গুলো নিয়ে একটা কিতাব রচনা করলেন , সেটার নাম সিরাতে মুস্তাকিম।  

তবুও এ ধর্মের নীতি হিন্দুস্তান ও নজদেই অবশিষ্ট থেকে গেল :- যা দিন দিন বাড়তেই লাগলো। অতি ধুমধামের সাথে ওহাবী ধর্মের কিতাব গুলো মুদ্রিত ও সেগুলোর প্রচার ও প্রসার করা হয়। যেমন সিরাতিম মুস্তাকিম ,তাকবিয়াতুল ইমান কিতাব গুলো হিন্দুস্থানী মুসিল্মান্দের উপর জবরদস্ত প্রভাব ফেলেছে ( হায়াতে তাইয়েবা ) পৃষ্টা ৩৮৯-৩৯১

এই মির্জা হায়েরাত দেহলবী একজন আহলে হাদিস ও সাইয়েদ আহমাদ তাদের ইমাম। আশা করি তারা নিজেদের ইমাম এর উপর অহাবিয়াতের কলঙ্ক একে দিতে চান নাই।  

আরো কিছু দেখুন ;- (মোহাম্মদ ইবনে আব্দুল ওহাব ) কিতাবের লেখক আহমাদ আব্দুল গফুর আত্বার ৬৩ নং পৃষ্টায় লিখেছেন যে ;- মোহাম্মদ বিন আব্দুল ওহাব নজদীর উত্তুর্সুরিদের মধ্যে সাইয়েদ আহমাদ অফ রায়্ বেরেলোবি হিন্দুস্তানের বড় চাম্পিয়ন , সংস্কারক ও ইমামে বর্হক (মোহাম্মদ ইবনে আব্দুল ওহাব ) পৃষ্টা ৬৩ 

মৌলভি ওবায়দুল্লাহ সিন্ধি তার কিতাব (হাসিয়ায়ে শাহ ওলি উল্লাহ আওর উনকী সিয়াসী তেহরিক) কিতাবের ১২৪ নিংপৃষ্টায় লিখেছেন যে ;- হিন্দুস্থানে ইয়েমেনী (কাজী শাওকানী ) নজদি বিপ্লব অবস্থা বিগড়ে ফেলেছে (সাইয়েদ আহমাদ এর আন্দোলনকে উদ্দেহ্সো করে এই কথা উল্লেখ করা হয়েছে যে কাজী শাওকানী ওদের বিরুধিতা করে গেছেন ) 
কাজী শওকানির বিষয়ে ঐতিহাসিক আব্দুল ওয়াদুদ তার কিতাব (ওহাবি আন্দোলন ) এ লিখেছে ১১৬ নং পেজে যে ;- ইয়েমেন দেশ হতে আগত কাজী শওকানি নামের একজন জবরদস্ত আলেম ছিল । তাহার পৃভাবে মাওলানা মোহাম্মদ আলী রামপুরী,বেলায়েত আলী আজীমাবাদি ,আওলাদ হোসেন কনৌজি
বেদাত -অবেদাত প্রশ্নে মুজাহিদ শিবির কে দিধা-বিভক্তি করছিলেন । তখন অন্যপায় হয়ে সাইয়েদ আহমাদ ও মাওলানা শাহ ইসমাইল তাদের কে ভারতে চালান দিলেন । কিন্ত সমস্যা সমাধান না হয়ে আরো তিব্র হল ও এক একজন হায়দারাবাদ , মাদ্রাজ ও যুক্ত প্রদেশ এ নিজ নিজ কর্ম ক্ষেত্র তৈরি করেন ও বেদাতি আলেমদের (সাইয়েদ আহমাদ ও শাহ ইসমাইল) বিরুদ্ধ ফতোয়া জারি করলেন । (ওহাবি আন্দোলন ) ১১৬ পৃষ্টা 
এই খানে আরও একটু বলা দরকার যে (ওহাবি আন্দোলন ) এর লেখক একজন ১০কাজী শওকানির বিষয়ে ঐতিহাসিক আব্দুল ওয়াদুদ তার কিতাব (ওহাবি আন্দোলন ) এ লিখেছে ১১৬ নং পেজে যে ;- ইয়েমেন দেশ হতে আগত কাজী শওকানি নামের একজন জবরদস্ত আলেম ছিল । তাহার পৃভাবে মাওলানা মোহাম্মদ আলী রামপুরী,বেলায়েত আলী আজীমাবাদি ,আওলাদ হোসেন কনৌজি
বেদাত -অবেদাত প্রশ্নে মুজাহিদ শিবির কে দিধা-বিভক্তি করছিলেন । তখন অন্যপায় হয়ে সাইয়েদ আহমাদ ও মাওলানা শাহ ইসমাইল তাদের কে ভারতে চালান দিলেন । কিন্ত সমস্যা সমাধান না হয়ে আরো তিব্র হল ও এক একজন হায়দারাবাদ , মাদ্রাজ ও যুক্ত প্রদেশ এ নিজ নিজ কর্ম ক্ষেত্র তৈরি করেন ও বেদাতি আলেমদের (সাইয়েদ আহমাদ ও শাহ ইসমাইল) বিরুদ্ধ ফতোয়া জারি করলেন । (ওহাবি আন্দোলন ) ১১৬ পৃষ্টা 

আর একটা কথা যে কাজী শওকানি , মাওলানা মোহাম্মদ আলী রামপুরী,বেলায়েত আলী আজীমাবাদি ,আওলাদ হোসেন কনৌজি কিন্তু রেজভী ছিল না । যারা তার সময়ে শরিয়াত ও বেদাত প্রশ্নে উঠালে শাহ ইসমাইল ও সাইয়েদ আহমাদ কর্তৃক বিতারিত হন । তাদের বিরোধের কারনেই কিন্ত কাটা পরিষ্কার করার চেষ্টা করা হয়েছে । আহমাদ রেজা খান রাহমাতুললাহে আলাই তো সাইয়েদ আহমেদ এর ওনেক পরের বুজুর্গ । আর আহমেদ রেজা খানের আগেই ওনেক আলেম এই ওহাবিয়াতের নেতা সাইয়েদ আহমেদ ও শাহ ইসমাইল বিরুদ্ধে কিতাব ও লিখেছেন । 

এই খানে আরও একটু বলা দরকার যে (ওহাবি আন্দোলন ) এর লেখক একজন ১০০০% সাইয়েদ আহমাদের ভক্ত । এই বিষয়ে একদিন একটা পেষ্ট করব । 

গায়ের মুকাল্লেদ এর আলেম দাওউদ গজনবী (জময়তে আহলে হাদিসের আমীর ) লিখেছেন যে ;- সেটা সেই ওহাবী আন্দোলনের হারানো ছবি গুলো থেকে একটা প্রতিচ্ছিবি ছিল (দাউদ গজনভী জীবনী ) পৃষ্টা ৬৫ 

ওবায়দুল্লাহ সিন্ধি তার রচিত (হাসিয়ায়ে শাহ অলিউল্লাহ আওর উনকী সিয়াসী তেহরিক ) কিতাবের ১২৬ নং পৃষ্টায় লিখেছেন যে ;- শাহ ইসমাইল দেহলবী নজ্দিদের নিকট সাহায্য চেয়ে চিটি লিখে একজন পত্রবাহক প্রেরণ করলেন। যেহেতু নজ্দিরা হিজাজ ভূমি তে আসতে পারছিলনা তাই তারা এই বলে পত্রবাহক কে ফেরত পাঠালো যে আমরা সুধু দোয়া করতে পারি ( হাশিয়ায়ে শাহ অলিউল্লাহ আওর উনকী সিয়াসী তেহরিক) পৃষ্টা ১২৬ 

এর পর ও কি বলবেন যে ওহাবীদের সাথে সাইয়েদ আহমাদ এর সম্পর্ক ছিল না ? 
এর পর ও কি ওহাবী আন্দোলন কে আওর মোহাম্মদী বানানোর কাহিনী ক্লিয়ার না ? 
যাদের চোখ আছে তাদের জন্য এএটি অনেক বেশি বলে মনে করছি। আর সে যে পীর তন্তের শায়েখ এর ইজ্জাত নিয়ে বসে আছে তার ও কিছু বক্তব্য তুলে ধরব।  
আব্দুল ওয়াদুদ এর লেখা ওহাবী আন্দোলন কিতাবের সাইয়েদ আহমাদ কে ও তার অনুসারী দের কে তিনি ওহাবী বলেই উল্লেখ করেছেন। উক্ত কিতাব পরলেই সুস্পষ্ট প্রমানীতি হয়যে সে নিজেও একজন ওহাবী। এবং তার ও এমাম ছিল এই সাইয়েদ আহমাদ। আরো তিনি উল্লেখ করেছেন যে কারামত আলী যৌনপুরি ওহাবী ছিল না।  

মাসিক দিন দুনিয়া চট্রগ্রাম থেকে প্রকাশিত ২০০০ মে এর সংখা ও ১৪ নং পেজ( ইমান এর দীপ্ত মশাল )শিরোনাম এ বলা হয় সৈয়দ সাহেব এর আনদোলন ছিল সংসকার মুলক ও তার ভিত তাসাউফ এর উপর ৷প্রচলিত তাসাউফ এর ক্ষেত্রে যেসব তরিকা প্রচলন ছিল তার কোনটাই সরাসরি সাপোর্ট না করে পরিপূর্ণ সুন্নাত ও তরিকার উপর তিনি তরিকার ভিত্তি স্থপন করেছিলেন ৷ তিনি প্রকাস্য ঘোসনা করেছিলেন যে সিন্দু ,পারসসো ,রোম, হিজ্দুস্থান এর যে সব তরিকার প্রচলন আছে ও যা কিছু বিদাত দুখেছে তা সব কিছুই সাহাবী ও নবী পাক এর সুন্নাত বেতিত সবই পরিতাজ্য ৷সুধু তাই নয় আমি এইসব তরিকা ও সকল কিছুর প্রতিবাদ ও প্রতিরোধ জরুরি মনে করি. 

এই খানে তিনি যে পাক্কা ওহাবী ছিল সেই কারণেই সুধু কাদেরিয়া ,চিস্তিয়া, নকশাবন্দী,মুজাদ্দেদিয়া তরিকার মত প্রসিদ্ধ তরিকা গুলোর প্রতিরোদ করার কথা বলেছেন। আর ইটা ওহাবী ছাড়া আর কেউ বলার হিম্মত রাখে না।  

আশা করি সাইয়েদ আহমাদ যে ওহাবী ছিল কোনো মুজাদ্দেদ বা কিছুই ছিল না তা প্রমানিত হল ও মোহাম্মদ বিন আব্দুল ওহাবী এর মাজহাব কে আওর মোহাম্মদী বলে চালিয়ে দেয়ার একটা সুস্পষ্ট প্রয়াস চালিয়েছিলেন 

সোহেল রানা 

চলবে

সোমবার, ১৭ নভেম্বর, ২০১৪

তরিকায় আওর মোহাম্মদি -৩

গত কাল আমার পোস্ট ছিল আওর মোহাম্মদী তরিকার নাম করণ নিয়ে প্রশ্ন করেছিলাম। DESWA  তার জবাব দিয়েছে কমেন্ট করে তা দেখুন :- তাসাউফ সম্পর্কে বিন্দুমাত্র জ্ঞান থাকলে এমন প্রশ্ন পোস্ট দিতেন না। আউর মুহম্মদী তরিকা কার থেকে অনুমতি নিয়েছিলেন সেটা তো আপনার থেকে জিজ্ঞেস করতে হবে না। কাদরিয়া তরিকা বড় পীর সাহেব কোথা থেকে পেয়েছিলেন ?? চীশতীয় তরিকা খাজা সাহেব রহমতুল্লাহি কোথা থেকে পেয়েছিলেন ?? উনার পীর সাহেবে তরিকা বাদ দিয়ে নতুন তরিকা কেন চালু করলেন ?? এসব হচ্ছে জ্ঞানশূণ্য কথা। তরিকার ব্যাপারটা পুরোটাই একজন পীর সাহেবের ব্যক্তিগত ব্যাপার, এটা জন্য তিনি কোন মুরীদের কাছে জবাব দিহি করতে প্রস্তুত নন।


মাশাল্লাহ , আপনার জবাব শুনে আমি হয়রান কানারা যেমন হাতি দেখে হয়রান হয়। কে কানা আর কে চক্খুমান তা দেখুন :- পীরে দস্তগীর ,মাহবুবে সুবহানি ,কুতুবে রাব্বানী ,গাউসে সামদানী ,  সুলতানুল আরেফিন হজরত সাইয়েদ আব্দুল বাদীর জিলানি ক্দ্সরহুল  আজিজ রাহমাতুল্লাহে আলায়হে অনার তরিকার নাম নিজের নামানুসারে রেখেছেন কাদেরিয়া তরিকা। হজরত খাজা ইমামুত তরিকত সাইয়েদ বাহাউদ্দিন নকশবন্দী বোখারী রাহমাতুল্লাহে আলায়হে নিজের নামে নকশাবন্দী তরিকা নাম রেখেছেন। হজরত খাজা গরিবে নেওয়াজ মইনুদ্দিন চিশতী নিজের নামে চিস্তিয়া তরিকা। কিন্তু আপনার সাইয়েদ আহমাদ তো নিজের নামে তরিকার নাম না রেখে (আওর মোহাম্মদী ) বা আর মোহাম্মদী নাম রেখেছেন।  এখন মনে হচ্ছে সাইয়েদ আহমদের নিজেরেই জানা ছিল না সামান্য কিছু তাসাউফ এর বিষয়। আর একজন শায়েখ এর কাজ কি ? নাকি এমনেই আমি ভন্ড পীর ? ইলম এ তাসাউফ এর কিছু উসুল থাকে। চিশতিয়া তরিকায় ফানা ও বাকা এর ২০ স্তর ও অন্যান্য তরিকায় ১০০ স্তর এর কথা বলা হয়েছে। সেই সকল স্তর ভেদ এর পর একজন নিজেকে শায়েখ বলতে পারে , চিস্তিয়া এর ৫ স্তর ও অন্যান্য তরিকায় ১৭ স্তর ভেদ এর পর একজন মজ্জুব হয় , কামেল তো দূর অনেক।  এই সকল বিষয় আগে যেতে চাচ্ছি না। আপনি বলেছেন একজন পীর এর নিজস্য বিষয় সকল তরিকা বাদ দিয়ে কেন অন্য তরিকা চালু করলেন। এই বিষয় জবাব দিতে রাজি নন। 

জবাব থাকলে তো দিবেন ? না থাকলে কি দিবেন ? তাসাউফ শাস্ত্রের ও সেজরা সরিফে লেখা আছে কোনো কিছু সন্দেহ হলে পীর সাহেব কে জিগ্গেস করে ক্লিয়ার হয়ে নিবেন। উক্ত কথা থেকে প্রমান পাওয়া যায় মুরিদের ইসলাহ এর জন্য প্রত্যেক শায়েখ জবাব দিতে বাধ্য। আর আপনার মুজাদ্দেদ সাহেব ছিলেন চরম মুর্খ ও চোখে কানা। 

দেখুন ;- দেওবন্দী দের কিতাব ( দেওবন্দ আন্দোলন , ইতিহাস , ঐতিয্য ও অবদান ) বাংলাদেশ কৌমী শিক্ষা বর্ড থেকে পাঠ্য পুস্তক হিসেবে  প্রকাশিত ৯৯ নং পৃষ্টায় লিখেছেন যে ;- শাহ আব্দুল আজিজের নিকট সাইয়েদ আহমাদ গেলে তাকে একটা কিতাব পড়তে দেন।  তখন তাকে কিতাবের প্রতি অন্যমনস্ক দেখে শাহ আব্দুল আজিজ সাহেব জিগ্গেস করেন  পরচ না কেন ? তখন সাইয়েদ আহমাদ জবাব দেন যে আমি কাছের কোনো কিছু দেখতে পাই না ( দেওবন্দ আন্দোলন ) পৃষ্টা ৯৯-১০০


উপরের কিতাবটা কোনো আহলে সুন্নাহ এর আলেম লিখেন নাই। বরং দেওবন্দী দের কিতাব (দেওবন্দ আন্দোলন) থেকে দিলাম , আর দেওবন্দিদেরও মুজাদ্দেদ সাইয়েদ আহমাদ। আশা করি তারা নিজে থেকে তাদের মুজাদ্দেদ কে কানা বানাতে চায় না। 

আর একজন মুজাদ্দেদের কাজ কি তাও আপনার আশা করি জানা আছে। ১০০ বছরে ১ জন মুজাদ্দেদ জন্ম নেয়। কিন্তু  দেওবন্দিদের কিতাব (জাখিরায়ে মালুমাত) মাওলানা মুহাম্মদ গোফরান রাশিদী কিরান্ভির লেখা কিতাবের ৭৩ নং পৃষ্টায় হিজরী ১২০০-১৩০০ এর মুজাদ্দেদ এর নাম উল্লেখ করেছেন (১) সাইয়েদ আহমাদ শাহিদ (২) রশিদ আহমাদ গান্গুহী (৩) কাসেম নানুতাভি (৪) আশরাফ আলী থানবী।  যে খানে ১০০ বছরে একজন মুজাদ্দেদ জন্ম দেন কোনো পুণ্যবতী মা , তখন সুধু ১২০০-১৩০০ হিজরী তে ৪ জন মুজাদ্দেদ সুধু আপনাদের মাঝেই। কে আসলে মুজাদ্দেদ ছিল ?সাইয়েদ আহমাদ যদি মুজাদ্দেদ হয়ে থাকে তাহলে মোজাদ্দেদ এর উপর যে সকল দায়িত্ব বর্তায় তার কি করেছে সাইয়েদ আহমাদ তা আমি আপনাকে তুলে ধরতে অনুরোধ করছি। আর হিজরী ১- থেকে আজ পর্যন্ত যদি কোনো কানা আর মুর্খ মুজাদ্দেদ কিন্তু আসে নাই। ইটা খেয়াল রেখে উত্তর দিবেন আশা করছি।  

আর আপনি আমাকে মিত্তুর ভয় দেখিয়েছেন অনলাইন এ। আমি প্রতিদিন কতবার মিত্তু বরণ করি আর জীবন ফিরে পাই আমার জানা নাই সঠিক। যে প্রতিদিন মিত্তু কে আর কবর কে মনে করে কেদে কেদে দিন আর রাত কাটায় তাকে মিত্তুর ভয় দেখানো মরা কে মারতে চাওয়ার সামিল। অনলাইন তো কোনো বিষয় না। 


আপনার হুমকি আমি সাদরে গ্রহণ করলাম।

 (১)সীনে পে খানজার হি নেহি , আখোমে পানি ভি হো

(২) দুষমনি কবুল মুঝে লেকিন, ওভি খানদানি হো 


মূল কথা :- 


অনেকের অনেক মতামত নাম করন নিয়ে :

 ১, (তরিকায় মোহাম্মদী ) কিতাব এর ৫৬ নং পেজ এ শাহ আবদুল লতিফ কেবলা ফুলতলি বলেন ৪ তরিকার নাম তরিকার বুযুরগ দের নামে করা হয়েছে ৷ তেমনি ভাবে আমির উল মোমেনিন(লকব লাগাতে খরচ হয়না) সৈয়দ আহমেদ যে তরিকায় তরবিয়ত দিতেন এর নাম -তরিকায় মোহাম্মদী  ৷ তরিকার নাম তার নিজের নামে তরিকায় আহমেদিয়া না হয়ে  মোহাম্মদী হওয়া বিষেস বৈশিষঠ ৷

আমার দাবি ; আপনার মতে ও তরিকায় আহমেদিয়া নাম হওয়া ঠিক ছিল ৷তিনি যদি এখনও বেচে থাকেন আর কেউ যদি ওনার কাছ থেকে বিষয়টা জেনে একটু জানাতেন মোহাম্মদী নাম রাখার বৈশিষ্ট তা কি তো আগামিতে আমি এই কথাটা আর তুলতাম না ৷


২৷ (হযরত শাহ জালাল)  কিতাব এর সিলেট ধরমিও আনদোলন শিরোনাম এ ১৫৮ নং পেজ এর শেষে বলা হয়েছে যে ;মোহাম্মদীবিন আবদুল ওহাব নজদি ( মোহাম্মদী আনদোলন) এর হোতা ছিলেন তা ওহাবি আনদোলন নামে পরিচিতি পায় ৷ সৈয়দ সাহেবের আনদোলন ছিল সংসকার মুলক ৷তিনি এর ভিততি সথাপন করেছিলেন তাসাউফ এর উপর 
তাসাউফ এর উপর যে সকল তরিকার চলিত ছিল সে গুলোর কোনটাই saport না করে তিনি পরিপূর্ণ সুন্নাত এর উপর তার আকিদার ভিত তৈরি করেন ৷তার এই ণতুন তরিকার নাম ডেয়া হয়ছিল তরিকায় মোহাম্মদী

3 . মাসিক দিন দুনিয়া চট্রগ্রাম থেকে প্রকাশিত ২০০০ মে এর সংখা ও ১৪ নং পেজ( ইমান এর দীপ্ত মশাল )শিরোনাম এ বলা হয় সৈয়দ সাহেব এর আনদোলন ছিল সংসকার মুলক ও তার ভিত তাসাউফ এর উপর ৷প্রচলিত তাসাউফ এর ক্ষেত্রে যেসব তরিকা প্রচলন ছিল তার কোনটাই সরাসরি সাপোর্ট না করে পরিপূর্ণ সুন্নাত ও তরিকার উপর তিনি তরিকার ভিত্তি স্থপন করেছিলেন ৷ তিনি প্রকাস্য ঘোসনা করেছিলেন যে সিন্দু ,পারসসো ,রোম, হিজ্দুস্থান এর যে সব তরিকার প্রচলন আছে ও যা কিছু বিদাত দুখেছে তা সব কিছুই সাহাবী ও নবী পাক এর সুন্নাত বেতিত সবই পরিতাজ্য ৷সুধু তাই নয় আমি এইসব তরিকা ও সকল কিছুর প্রতিবাদ ও প্রতিরোধ জরুরি মনে করি. 


4 .মাসিক পরোয়ানা এর ১৯৯৯ এর মে মাসের (তরিকায় মোহাম্মদী ও ওহাবী ) শীর্ষক শিরোনমে মৌলানা নুরুল ইসলাম লিখেছে তরিকায় মোহাম্মদী কোন নতুন সতন্ত্র তরিকা নহে ৷ হিন্দুস্থান এর জিহাদী আন্দোলন কে তরিকায় মোহাম্মদী বলা হয় ৷


এদের একজন এর কথার সাথে আর একজন এর কোনো মিল নাই৷ তারা সায়েদ সাহেব কে বড় করতে গিয়ে খালে পরে গেছে ৷
এখন আমার কথা হছে তিনি কোনো তরিকা কে সাপোর্ট করেন নাই তা আপনাদের মাসিক পত্রিকা থেকে প্রমানিত আরও অনেক আছে আমার কাছে আপনার চাইলে আমি পরে দিব ৷ তিনি বরং আব্দুল ওহাব এর মত আন্দোলন করেছেন এমন কি আপনাদের পত্রিকা বলতেছে যে তিনি কোনো তরিকা কে সাপোর্ট করতেন না,
তিনি একন সাহস কোথায় পেলেন ? কি প্রমান আছে আপনাদের  কাছে৷ দিবেন কি ? 

আমি যেমন সুন্দর করে আইটকা ওয়ালা বাশ আপনার খেদমত এ হাজির করেছি আশা করছি আপনি আমার মতই একটা বাশ সুন্দর করে তৈরী করবেন যা দেখে আমি দা নিয়ে ঝোরার  জন্য কিছু সময় বেয় করব।


সোহেল রানা 


রবিবার, ১৬ নভেম্বর, ২০১৪

তরিকায় মোহাম্মদি ২


মাসিক পরওয়ানা ও তরিকায় মোহাম্মদী  পত্রিকাতে সায়েদ সাহেব এর ভক্ত ও মুরিদ গণ গৌরব এর সাথে উল্লেখ করেছেন যে শাহ আব্দুল আজিজ সাহেব এর নিকট কাদেরিয়া , চিস্তিয়া , নাক্শাবন্দী, মুজাদ্দেদী তরিকায় বয়াত হয়ে তিনি দেশ বিদেশে হাজার হাজার মুরিদ করেন ও তারা সায়েদ সাহেবের ডাকে জিহাদ এর জন্য অনার সামিয়ানার নিচে জড়ো হন ৷
কিন্তু তিনি মানুষের অত্তাধিক উন্নতির জান্য তিনি নিজে বেক্তিগত ভাভে নিজে একটা সতন্ত্র তরিকা তৈরী করেন যা মানুষের জাহিরি ও বাতেনি উভয় দিক উন্নতি সম্ভব যা ক্দেরিয়া , চিস্তিয়া, নখ্শাবন্দী, মুজাদ্দেদী এই ৪ তরিকায় সম্ভব না ৷
এর পর সায়েদ সাহেব কাউকে মুরিদ করার সময় ৪ তরিকা এর সাথে অঔর মোহাম্মদী ও বলতেন ৷
এটা থেকে প্রমান হয় যে তিনি এই ৪ তরিকায় কোনো কিছুই হাসিল করতে পারেন নাই ৷ এর জন্যই তিনি নিজে নিজে একটা তরিকা চালু করেন নিজেই তার শায়ক হন ও নিজেই তার ছাবক তৈরী করেন । 


আওর মোহাম্মদী তরিকার জন্মদাতা হচ্ছেন এই সাইয়েদ আহমাদ বেরেলবী। কিন্তু অত্যান্ত আশ্চর্যের বিষয় যে এই সাইয়েদ আহমাদ কে দেওবন্দী গন ও মুজাদ্দেদ মান্য করে করে এবং আহলে হাদিস এমন কি সুন্নি নামের ভিতর কিছু চুন্নি। আমি আগে থেকেই বলে আসতাম যে এরা এক বাপের ৪ সন্তান। দেওবিন্দী ,আহলে হাদিস, বালকটি চুন্নি ও জামাতে ইসলামী।  অথচ দেখুন চুন্নি রা বলে সাইয়েদ আহমাদ মুকাল্লেদ ছিল ও একজন শায়েখ ছিল সুফিবাদের আওর মোহাম্মদী তরিকার। দেওবন্দী রা বলে তিনি আব্দুল আজিজ রাহমাতুল্লাহ আলাইহের খলিফা ছিলেন , কিন্তু আওর মোহাম্মদী তরিকা মান্য করে না। আবার আহলে হাদিস রা বলে সাইয়েদ আহমাদ একজন সংস্কারক ছিল যিনি বেদাত ও মাজার পূজা সমূহ নিশ্চিন্হ করার জন্য ও ইসলাম কায়েমের জন্য শাহিদ হয়েছেন।  আর জামাতে ইসলামী বলে সুফিবাদ হচ্ছে মিশর এর সুফ্ফা শহর থেকে সৃষ্টি ও ইটা বেধর্মীদের থেকে নেওয়া , আর সাইয়েদ আহমাদ একজন শাহিদ যিনি আমাদের পথ প্রদর্শক দ্বীন কায়েম এর জন্য।  

আসলে যা সত্য তা হচ্ছে যে আহলে হাদিস ও জামাতের কথার ভিত্তি পাওয়া যায় সাইয়েদ আহমাদ এর জীবনী থেকে যদিও অনেক কাহিনী আছে।  কিন্তু দেওবিন্দী আর এই ফুলতলী,বেল্তালি,কদম তলি , চন্দ্র পারা , রাজার্বাগী , আটরশি , ১২ রশি, ১৪ রশি , জাকের পার্টি এদের দাবির কোনো ভিত্তি নাই সুন্নিতের পক্ষে। কয়েকদিন আগেই এরা দেওবন্দিদের সাথে অনলাইন এ ঝগড়া করত , দেওবন্দী শয়তানের পুজারী।  কিন্তু দেওবন্দ তো তোমাদের ভাই সাইয়েদ আহমাদ এর অনুসারী ও তাদের মুজাদ্দেদ।  বালকটি সুন্নি রা দেওবন্দী দের কে ওহাবী বলে। কেন ওহাবী বল তাদের ? কি হক আছে তোমার দেওবন্দী আহলে হাদিস দের কে ওহাবী বলার  ? তাদের সুরু আমাদের উপমহাদেশে সাইয়েদ আহমাদ কে দিয়ে এবং তোমাদের ও সুরু সাইয়েদ আহমাদ কে দিয়ে।  তোমরা সারি বদল করে নারী বদলানোর চেষ্টা করে যাচ্ছ।  আর তারা সাইয়েদ আহমাদ এর পূর্ণ আকিদায় দাড়িয়ে আছে। তোমরা পীর তন্ত্রের লেবাস পরে আছ কেউ কাদেরিয়া,চিস্তিয়া, নকশাবন্দী,মুজাদ্দেদী এর। অথচ তোমাদের সাথে এই সকল কিছুর কোনো সম্পর্কই নাই।  যা আমি উপরে বর্ণনা করেছি।  আর আওর মোহাম্মদী তরিকার প্রশ্ন গুলো দাও আমাকে যদি হিম্মত থাকে।  এই বিষয় আমি এখন পর্যন্ত প্রশ্ন উক্খাপিত করে যাচ্ছি উত্তর এর আশায়। পরবর্তিতে কিন্তু অনেক কিছু সয্য করতে হবে যদি উত্তর না পাই 


প্রশ্ন : অউর মোহাম্মদী যে বলতেন তা কথা থেকে আসলো ? কার অনুমতিতে তিনি ইটা করেছেন ? কে আওর মোহাম্মদী তরিকা এর শায়ক ছিলেন ? 
আওর মোহাম্মদী বা মোহাম্মদ বলতে কাকে বোঝাতে চেয়েছেন ? 

জবাব দিলে বাধিত হব 

আল্লাহ হাফেজ
 —  

শনিবার, ১৫ নভেম্বর, ২০১৪

আওর মোহাম্মদি তরিকা -৩

Tarikay mohammadi Nam koron 


অনেকের অনেক মতামত নাম করন নিয়ে :
 ১, তরিকায় মোহাম্মদী কিতাব এর ৫৬ নং পেজ এ শাহ আবদুল লতিফ কেবলা ফুলতলি বলেন ৪ তরিকার নাম তরিকার বুযুরগ দের নামে করা হয়েছে ৷ তেমনি ভাবে আমির উল মোমেনিন(লকব লাগাতে খরচ হয়না) সৈয়দ আহমেদ যে তরিকায় তরবিয়ত দিতেন এর নাম -তরিকায় মোহাম্মদী  ৷ তরিকার নাম তার নিজের নামে তরিকায় আহমেদিয়া না হয়ে  মোহাম্মদী হওয়া বিষেস বৈশিষঠ ৷
আমার দাবি ; আপনার মতে ও তরিকায় আহমেদিয়া নাম হওয়া ঠিক ছিল ৷তিনি যদি এখনও বেচে থাকেন আর কেউ যদি ওনার কাছ থেকে বিষয়টা জেনে একটু জানাতেন মোহাম্মদী নাম রাখার বৈশিষ্ট তা কি তো আগামিতে আমি এই কথাটা আর তুলতাম না ৷


২৷ হযরত শাহ জালাল কিতাব এর সিলেট ধরমিও আনদোলন শিরোনাম এ ১৫৮ নং পেজ এর শেষে বলা হয়েছে যে ;মোহাম্মদীবিন আবদুল ওহাব নজদি ( মোহাম্মদীআনদোলন) এর হোতা ছিলেন তা ওহাবি আনদোলন নামে পরিচিতি পায় ৷ সৈয়দ সাহেবের আনদোলন ছিল সংসকার মুলক ৷তিনি এর ভিততি সথাপন করেছিলেন তাসাউফ এর উপর 
তাসাউফ এর উপর যে সকল তরিকার চলিত ছিল সে গুলোর কোনটাই saport না করে তিনি পরিপূর্ণ সুন্নাত এর উপর তার আকিদার ভিত তৈরি করেন ৷তার এই ণতুন তরিকার নাম ডেয়া হয়ছিল তরিকায় মোহাম্মদী
3 . মাসিক দিন দুনিয়া চট্রগ্রাম থেকে প্রকাশিত ২০০০ মে এর সংখা ও ১৪ নং পেজ( ইমান এর দীপ্ত মশাল )শিরোনাম এ বলা হয় সৈয়দ সাহেব এর আনদোলন ছিল সংসকার মুলক ও তার ভিত তাসাউফ এর উপর ৷প্রচলিত তাসাউফ এর ক্ষেত্রে যেসব তরিকা প্রচলন ছিল তার কোনটাই সরাসরি সাপোর্ট না করে পরিপূর্ণ সুন্নাত ও তরিকার উপর তিনি তরিকার ভিত্তি স্থপন করেছিলেন ৷ তিনি প্রকাস্য ঘোসনা করেছিলেন যে সিন্দু ,পারসসো ,রোম, হিজ্দুস্থান এর যে সব তরিকার প্রচলন আছে ও যা কিছু বিদাত দুখেছে তা সব কিছুই সাহাবী ও নবী পাক এর সুন্নাত বেতিত সবই পরিতাজ্য ৷সুধু তাই নি আমি এইসব তরিকা ও সকল কিছুর প্রতিবাদ ও প্রতিরোধ জরুরি মনে করি. 


4 .মাসিক পরোয়ানা এর ১৯৯৯ এর মে মাসের (তরিকায় মোহাম্মদী ও ওহাবী ) শীর্ষক শিরোনমে মৌলানা নুরুল ইসলাম লিখেছে তরিকায় মোহাম্মদী কোন নতুন সতন্ত্র তরিকা নহে ৷ হিন্দুস্থান এর জিহাদী আন্দোলন কে তরিকায় মোহাম্মদী বলা হয় ৷


এদের একজন এর কথার সাথে আর একজন এর কোনো মিল নাই৷ তারা সায়েদ সাহেব কে বড় করতে গিয়ে খালে পরে গেছে ৷
এখন আমার কথা হছে তিনি কোনো তরিকা কে সাপোর্ট করেন নাই তা আপনাদের মাসিক পত্রিকা থেকে প্রমানিত আরও অনেক আছে আমার কাছে আপনার চাইলে আমি পরে দিব ৷ তিনি বরং আব্দুল ওহাব এর মত আন্দোলন করেছেন এমন কি আপনাদের পত্রিকা বলতেছে যে তিনি কোনো তরিকা কে সাপোর্ট করতেন না,
তিনি একন সাহস কোথায় পেলেন ? কি প্রমান আছে আপনাদের  কাছে৷ দিবেন কি ? 

আওর মোহাম্মদি তরিকা -২

Tarikay mohammadi 2 
মাসিক পরওয়ানা ও তরিকায় মোহাম্মদী তে সায়েদ সাহেব এর ভক্ত ও মুরিদ গণ গৌরব এর সাথে উল্লেখ করেছেন যে শাহ আব্দুল আজিজ সাহেব এর নিকট কাদেরিয়া , চিস্তিয়া , নাক্শাবন্দী, মুজাদ্দেদী তরিকায় বয়াত হয়ে তিনি দেশ বিদেশে হাজার হাজার মুরিদ করেন ও তারা সায়েদ সাহেবের ডাকে জিহাদ এর জন্য অনার সামিয়ানার নিচে জড়ো হন ৷
কিন্তু তিনি মানুষের অত্তাধিক উন্নতির জান্য তিনি নিজে বেক্তিগত ভাভে নিজে একটা সতন্ত্র তরিকা তৈরী করেন যা মানুষের জাহিরি ও বাতেনি উভয় দিক উন্নতি সম্ভব যা ক্দেরিয়া , চিস্তিয়া, নখ্শাবন্দী, মুজাদ্দেদী এই ৪ তরিকায় সম্ভব না ৷
এর পর সায়েদ সাহেব কাউকে মুরিদ করার সময় ৪ তরিকা এর সাথে অঔর মোহাম্মদী ও বলতেন ৷
এটা থেকে প্রমান হয় যে তিনি এই ৪ তরিকায় কোনো কিছুই হাসিল করতে পারেন নাই ৷ এর জন্যই তিনি নিজে নিজে একটা তরিকা চালু করেন নিজেই তার শায়ক হন ও নিজেই তার ছাবক তৈরী করেন 

প্রশ্ন : অউর মোহাম্মদী যে বলতেন তা কথা থেকে আসলো ? কার অনুমতিতে তিনি ইটা করেছেন ? কে আওর মোহাম্মদী তরিকা এর শায়ক ছিলেন ? 
আওর মোহাম্মদী বা মোহাম্মদ বলতে কাকে বোঝাতে চেয়েছেন ? 

জবাব দিলে বাধিত হব 

আল্লাহ হাফেজ
 —  

রশীদ আহমাদ ডাকাতি ছেরে পীর সেজেছে

আজকে কয়েকটা দেওবন্দী দের একাউন্ট চেক করলাম , তো দেখলাম যে পীরদের প্রতি এক রকম তাদের চরম অবগ্গা কাজ করে যাচ্ছে ,যেমন একজন হারামের সন্তান হালালি দের প্রতি বিদ্বেষ এ লিপ্ত হয়। সমালোনা ,গিবত ,ও বিদ্বেষ ,দুশমনি , ঈর্ষা এই সকল কথা এক রকম হলেও অনেক পার্থক্য আছে। কিন্তু দেওবন্দী দের হাত থেকে কোনো দরবারের পীর সাহেবের নিস্তার মিলেনি। তাদের একটা অভিযোগ যে পীর খালি গরিবদের পকেট খালি করর চিন্তায় থাকে আর নতুন নতুন ইসু বানায়। তারা তো নিজে মাথায় পাগড়ি পড়তে পারে না ,আমাদের পাগড়ি দেখে জলন সুরু হয় ,আমাদের পাগড়ি খোলার সক্তি কারো নাই। নিজের মাথায় যে একটা রঙিন ধুতি পর সেটার খেয়াল কর। 


মূল কথা ;- যে পাকিস্তান এর চিফ ওফ জাস্টিস ও মুফতি আহমাদ সফি  উসমানী এর ছেলে ত্বাকি উসমানী এর কিতাব (ইসলাহী খুতুবাত ) এর খ ৮   এর ১৬৩ পৃষ্টায় লিখেছেন যে রশিদ আহমাদ গান্গুহী তার মুরিদ দের কে বলতেন যে ;- তোমরা আমার পিছনে পিছনে কেন ঘোর  ? আমি তো কোনো পীর না , বরং আমি হচ্ছি সেই ডাকাত যে কিনা দেখল যে ;- পীরদের কে লোকজন অনেক ইজ্জাত করে হাতে চুমু খায় ও না চাইতেই অনেক হাদিয়া দিয়ে থাকে,তখন মনে জাগলো ইটা তো দারুন বেবসা ,।আর আমি রাতের অন্ধকারে কষ্ট করে ডাকাতি করি। বরং আমি যদি পীর সাজি তো লোকজন আমাকে যা হাদিয়া দিবে তাতেই চলে যাবে ,রাত জেগে আর ডাকাতি করতে হবে না। আমি সেই ডাকাত যে কিনা হাদিয়ার জন্য ডাকাতি ছেড়ে দিয়ে পীর সেজেছি। (ইসলাহী খুতুবাত খ ৮ এর ১৬৩ নং পৃষ্টা )



এই খানে সুস্পষ্ট ভাবে প্রমানিত যে কে কি আর কি কে ? 

দেওবিন্দী দের কে এখন আমি বলছি যে ;- আমাকে কি জবাব  দিবেন যে আপনারা যে হাদিয়া নেয়ার কারণে সকল পীরকে ভন্ড ও অপবাদ দেন যে গরিব দের পকেট খালি করার জন্য এই পিরতন্ত্র , তো আপনাদের কিতাব থেকে তো প্রমানিত ফকিহ উল দেওবিন্দী রশিদ আহমাদ গান্গুহী নিজে ডাকাত থেকে পীর সেজেছেন সুধু হাদিয়ার জন্য। আগে তিনি ডাকাতি করতেন হয়ত বা ,নয়ত ডাকাত এর কথা বলবেন কেন ? 

আর আপনারা যে হাদিয়া কে কটাক্ষ করেন ,বরং হাদিয়া দেয়া ও নেয়া দুটোই সুন্নাত। এক সময় নবী পাকের সাথে দেখা করার জন্য হাদিয়া ওয়াজিব করা হয়েছিল পরে এই ওয়াজিব কে স্থগিত করা হয়। কিন্তু সুন্নাত চালু থাকে। নবী পাক নিজে হাদিয়া নিতেন এবং হাদিয়া দিতেন। আপনারা যদি একটা সুন্নাত কে নিয়ে কটাক্ষ করেন তা হলে আপনাদের ইমান আর সিরাতিম মুস্তাকিম বলে যে জিকির করেন তা কত জোরালো তারই প্রমান মিলে  সুধু। 

আমি সুধু এই কথাটা বলতে চাই যে আপনাদের নিজের পাচার খবর রাখেন। আপনার /আপনাদের প্রতিটা আপত্তি এর জবাব আপনার /আপনাদের বাপ দাদার কিতাব থেকে দিতে পারি আমি। 


এখন কি বলবেন যে আপনাদের ফকিহ উল দেওবন্দী রশিদ আহমাদ গান্গুহী ডাকাত ছিল ? বলবেন না 

বলবেন কি যে সুধু হাদিয়ার জন্য রশিদ আহমাদ গান্গুহী পীর সেজেছিল ? বলবেন না 


যদি অনার নিজ মুখ থেকে শিকারক্তির পরও ওনাকে ডাকাত ও হাদিয়ার জন্য পীর সেজেছিল বলতে না পারেন তাহলে অন্য সকল পীরদের প্রতি কিভাবে আঙ্গুল তুলে কথা বলেন ? নাকি হারামের সন্তান যে হালালি দের দেখেই জলন সুরু হয়ে যায় বুকে? ,পেটের মধ্যে মোচর মারা সুরু হয় ? সরিরের চামড়ার মধ্যে এলার্জি সুরু হয় ? 


এমন হওয়া আপনাদের বেলায় ঠিক আছে। 

মুল কিতাবের স্ক্রিন শুট কমেন্টস এ দেখুন 


সোহেল রানা 


দেওবন্দী দের কে আমি সেমা এর বিষয় কিছু দলিল দিয়ে

দেওবন্দী দের কে আমি সেমা এর বিষয় কিছু দলিল দিয়েছিলাম হোজ্জাতুল ইসলাম ইমাম গাজ্জালি (রহ) সাহেবের কিতাব থেকে।  যদিও দেওবন্দী গণ সুদ্ধ তাসাউফ মান্যকারী বলে দাবি করে (সুত্র ;- দেওবন্দ আন্দোলন ) কিন্তু তাসাউফ এর প্রাণ পুরুষ ইমাম গাজ্জালি এর কথা ও মান্য করতে রাজি না বর্তমান দেওবন্দী বলে দাবিদার গণ।  অথচ এমাম গাজ্জালি সাহেবের ইজ্জাত বর্ণনা করতে গিয়ে মাওলানা জাকারিয়া তার কিতাব (শরীয়াত ও তরিকত কা তালাজুম ) এর ২০-২১ নং পৃষ্টায় লিখেছেন যে ;- মাদ্রাসায় ২ কলম পড়ুয়া রা বলে ইমাম গাজ্জালি সাহেবের হাদিস ভুল , অথচ তাদের জানা নাই যে ইমাম গাজ্জালি এর ইলম থেকে আমাদের ইলম এর পার্থক্য করার ইলম ও আমাদের মাঝে নাই ( শরীয়াত ও তরিকত কা তালাজুম ) পৃষ্টা ২০-২১


মাওলানা জাকারিয়া এর এই ২ কলম মাদ্রাসা পড়ুয়া দের লক্ষ্য করে যে উক্তিটি করেছেন তা ১০০ তে ১০০ ভাগ প্রযোজ্য বর্তমান কুলাঙ্গার দেওবন্দী দের বেলায়।   

 আমার আগেই জানা ছিল যে তারা গাজ্জালি সাহেবের কিতাব কে অস্বিকার করবে , তাই আমি তাদের কিতাব গুলো তে খুজা সুরু করি (সামার ) দলিল।


  এখন দেখুন :- মাওলানা আশরাফ আলী থানবী দেওবন্দী দের হেকিমুল উম্মত ও মোজাদ্দেদ এর কিতাব ( রুহে তাসাউফ ) এর ৫৫ নং পৃষ্টায় লিখেছেন যে ;- আবু সুলায়মান দারানি (রহ) এর নিকট সামার বিষয় জানতে চাওয়া হলে তিনি বলেন যে :- যে অন্তর সুন্দর কন্ঠের উত্সুক হবে , সে ক্ষীন অন্তর ও দুর্বল চিত্তের লোক :- আর সামা তার ঔষদ সরূপ।  উদাহরণ তার কচি শিশু , সে শুইতে চায়  , তখন মধুর কন্ঠ ইত্যাদি দ্বারা তার নিদ্রার বেবস্থা করা হয়।  আবু সুলায়মান (রহ) আরো বলেন মধুর কন্ঠ বা সুরোলিত সুর অন্তরে বিলোপ কিছুর সৃষ্টি করে না , যা তার অন্তরে আছে তা নাড়া দিয়ে জাগ্রত করে দেয় ( রুহে তাসাউফ) আশরাফ আলী থান্বির লেখা কিতাব পৃষ্টা ৫৫ 


আশা করছি দেওবন্দী ভাইদের চোখে পরেছে কথা গুলো , আর এটাই বলা হয়েছে কত গুলো অন্তর ক্ষীনও ও কঠিন , ফলে সুলোলিত সুর ও মধুর কন্ঠে গাওয়া কোনো  আবেগ করা ইস্ক এর সামা সুনে সেই অন্তরে থাকা নিস্প্রান ইমান কে নাড়া দেয় , ফলে তা জেগে উঠে নতুন উদ্যমে।  


এর পর আবার দেখুন ;- উক্ত কিতাবের ৫৬ নং পৃষ্টায়  থানবী সাহেব আবার লিখেছেন যে :- আমি উস্তাদ আবু আলী দাক্কাকি এর কাছ থেকে সুনেছি যে ;- এক মজলিশে আবু অমর ইবনে জায়েদ ও হজরত নাচরাবাদি ও কতিপয় লোক উপস্থিত ছিলেন।  তখন নাচ্ছরাবাদী (রহ) বলেন যে ;- আমার কথা হচ্ছে যে কতগুলো লোক যখন এক খানে জমায়েত হয় তখন একজন কে কিছু বলা উচিত , এই খানে টিকা দিয়ে লিখেছেন যে ( এতে প্রতিয়মান হয় যে তার মতে সমা মোবাহ  বা জায়েজ) অবশিষ্ট লোক চুপ থাকবে।  এটি কমপক্ষে কারো গিবত করা থেকে উত্তম।  আবু অমর ইবনে জায়েদ তখন বললেন যে ;- যদি ৩০ বছর গীবতে লিপ্ত থাক ,তার চেয়ে সামা এর অবস্তায় মিথ্যা ও ভিত্তিহীন কিছু প্রকাশ ঘটানো থেকে উত্তম হবে।  (রুহে তাসাউফ ) পৃষ্টা ৫৬ 


এই খানে আশরাফ আলী থানবী যে ২ জন বুজুর্গের কথা উল্লেখ করেছেন তাতে বলা হয়েছে যে :- কয়েকজন লোক যদি একত্রিত হয় তা হলে  একজন কিছু আবেগ ভরা সুর নিয়ে কিছু সুন্দর আবৃতি করবে যা ইসলামের সত্যিকার এর দিকে ধেয়ে নিয়ে যেতে পারে , আর সবাই চুপ করে সুন্ভে , এতে একজন আর একজনের গিবত করা থেকে উত্তম।  এবং অমর ইবনে যায়েদ ও তাই বলেছেন।  


উক্ত কিতাবের ৫৭ নং পৃষ্টায় লিখেছেন যে ;- মাওলানা ও মুফতি আহমাদ সফি বলেন যে :- যে কথা টা আমি উল্লেখ করা সমীচীন মনে করি যা আমি থানবী সাহেবের বরকত ময় জবান থেকে একাধিক বার সোনার সৌভাগ্য অর্জন করেছিলাম তা হচ্ছে ;- চার সিলসিলার মধে তরিকতের পন্থী শায়েখ গণ কাউকে সামা করণীয় হিসেবে নির্দেশ দেন নাই , তবে পরবর্তিতে পির মাশায়েখ দের অদিষ্ট মামূল ছিল যে অভিজ্ঞতার নিমিত্তে উপকারী সাব্যস্ত হওয়ার ভিত্তিতে সংযোজন করা হয়েছে ।রুহে তাসাউফ পৃষ্টা ৫৭ 


এই খানে দেওবিন্দী দের মুফ্তিয়ে আজোম সফি সাহেব বললেন যে তরিকত পন্থী শায়েখ গণ সামা করণীয় হিসেবে নির্দেশ দেন নাই। এই কথার অর্থ হচ্ছে যে পীর সাহেব রা যেমন অজিফা দেয় ও তা পালন করতে বলে তেমন সামা এর বিষয় নির্দেশ দেন না ,

এবং তরিকত পন্থী পীর মাশায়েখ গণ সামা উপকারী সাব্যস্থ বিধায় সংযোজন করেছেন। আর ইটা যেহেতু উপকারী সেহেতু মোবাহ বা জায়েজ 


আবার দেখুন (মাওয়ায়েজ এ আশরাফিয়া) কিতাবের ৪ থা খন্ডের ৬৭ নং পৃষ্টায় আশরাফ আলী থানবী সাহেব লিখেছেন যে ;- আমি একদিন হজরত নিজামুদ্দিন কুদ্দেসা সিরুহুল সাহেবের মাজারে গিয়ে কবর জিয়ারত শেষ করে আসতে ছিলাম , আসার পথে দেখলাম যে কাওয়ালী এর আয়োজন করা হচ্ছে। আমাকে বাধা দিয়ে দিয়ে কাওয়ালী এর আয়োজক রা বলল যে আপনি অপেক্ষা করুন ,কাওয়ালী সুনে এর পর যাবেন।  আমি বললাম যে আমি যদি কাওয়ালী সুনি তবে সুল্তান্জি (খাজা গরিবে নেওয়াজ) নারাজ হবেন। তখন তারা বলল যে ;- কেন চিস্তিয়া বুজুর্গ রা তো সবাই কাওয়ালী শোনেন ,সুল্তান্জি (গরিবে নেওয়াজ) নিজেও কাওয়ালী সুনেচিলেন। তখন আমি বললাম যে হা তিনি কাওয়ালী সুনেচিলেন, আর ওনার কিতাব (ফাওয়ায়েদুল ফুয়াদ) কিতাবে কাওয়ালী বা সঙ্গীতের জন্য ৪ তা সর্ত দিয়েছেন :- (১) শ্রোতা (২) গায়ক (৩) স্রবনীয় বিষয় বস্তু (৪)স্রবনীয় যন্ত্রপাতি 

১) শ্রোতার সম্মন্ধে তিনি লিখেছেন স্রোতা কামভাব সম্পন্ন হতে পারবে না 

২) গায়ক মেয়ে লোক ও বালক হতে পারবে না 

৩)স্রবিনীয় বিষয় বস্তু বিষয় লিখেছেন যে , হাসি ,কৌতুক , প্রকৃতির হতে পারবে না 

৪) স্রবনীয় যন্ত্র পাতি সম্মন্ধ্র তিনি লিখেছেন যে , বাহেলা , সারেঙ্গী , হারমোনিয়াম থাকা চলবে না 


আমি দেখিতেছি এই খানে সেই সকল সর্ত সমূহের পালন করা হয় নাই ,তাই আমি এই খানে থেকে সুলতান জি (গরিবে নেওয়াজ)  কে নারাজ (অসুম্তুস্ট) করতে চাই না।  (মাওয়ায়েজ-এ-আশরাফিয়া ) পৃষ্টা ৬৭ 


এই খানে আশরাফ আলী থানবী সাহেব এর কথা গুলো লক্ষ্য করুন ;-যে যদি গরিবে নওয়াজ খাজা মউনুদ্দিন চিস্তি আজমেরী (রহ) এর দেয়া সর্ত পালন করা হত তা হলে মাওলানা আশরাফ আলী থানবী সাহেব ও কাওয়ালী সুন্তেন। কিন্তু সর্ত সমূহের পালন ছিল না বলে তিনি কাওয়ালী আয়োজকদের কে এই সকল কিছু বলে বোঝানোর চেষ্টা করেছেন যে আগে এই সর্ত গুলো পালন করুন তা হলে আমিও কাওয়ালী সুনব। 

এই খানে মাওলানা আশরাফ আলী থানবী সাহেব কাওয়ালী কে হারাম বলেন নাই বরং কাওয়ালী তে যে অতিরঞ্জন ও বেহায়া পনা আছে তা দূর করতে বলেছেন।  আমি মুজাদ্দেদিয়া তরিকার মুরিদ ও আমার শায়েখ মুজাদ্দেদ আল ফেসানি শায়েখ আহমাদ ফারুকী শেরেহিন্দী (রহ) আমার তরিকায় গান,গজল,কাওয়ালী,সামা  সব কিছু আমার জন্য মানা আর আল্হাম্দুল্লিল্লাহ রাব্বুল আলামিন আমি গান,সামা ,কাওয়ালী, গজল সুনি না,আমার অজিফা জিকির ও দরুদ। তাই বলে আমি সামা কে হারাম বলতে পারি না। কিন্তু এটা অবশ্যই বলব অতিরঞ্জন ও বেহায়াপনা অবশ্যয় হারাম হারাম হারাম। 

আর বর্তমান দেওবন্দী দের দিলের মাঝে সামান্য তম ইজ্জাত ও নাই খাজা গরিবে নওয়াজ এর প্রতি ,কিন্তু ওদের মুজাদ্দেদ আশরাফ আলী থানবী ওনার নাম না নিয়ে সুলতান্জি বলে সম্মোধন করেছেন। আর উনি যাতে আশরাফ আলী থান্বির উপর নারাজ না হন তার জন্য এমন বেহায়াপনা কাওয়ালী শুনতেও রাজি হন নাই। কত ইজ্জাত করতেন আশরাফ আলী থানবী খাজা গরিবে নেওয়াজ (রহ) কে ,আর সকল দেওবন্দী চিস্তিয়া বুজুর্গ নাম পরিচিত কারণ তারা সবাই চিস্তিয়া তরিকায় তালিম তর্বিয়াত দিয়ে থাকতেন ও মাওলানা জাকারিয়া এই নিয়ে একটা কিতাব ও লিখেছেন (মাশায়েখ-এ-চিস্ত) নামের। দেখে নিতে পারেন দেওবন্দী গণ। 


আরো একটু লক্ষ্য করুন যে ;- মাওলানা আশরাফ আলী থানবী তার কিতাব (রুহে তাসাউফ ) এর ৫৬ নং পৃষ্টায় লিখেছেন যে কথিত আছে যে ;- জৈনিক এক বুজুর্গ সপ্নে নবী পাকের জিয়ারত লাভে ধন্য হন ও নবী পাক এরশাদ ফরমান যে ;- সামা তে ভ্রান্তি বেশি হয়। (রুহে তাসাউফ ) পৃষ্টা ৫৬ 


এই খানে লক্ষ্য করুন যে ;- আশরাফ আলী থানবী সাহেব লিখেছেন যে ;- জৈনিক বুজুর্গ কে নবী পাক (স) এরশাদ ফরমান যে সামা তে  ভ্রান্তি বেশি হয় , কিন্তু থান্বির কিতাব  থেকে প্রমাণিত হলো যে নবী পাক সামা কে হারাম  বলেন নাই বরং অতিরঞ্জন এর  কারণে ভ্রান্তি বেশি বলেছেন। তাই আমাদের উচিত সামা কে হারাম না বলে অতিরঞ্জন ও বেহায়া পনা কে হারাম বলা। 

কৌমী মাদ্রাসায় যে হারে সমকামিতা হয় সে হারে সমকামিতা হারাম বিধায় আমরা এটা বলতে পারিনা যে কৌমী মাদ্রাসা গুলো হারাম , বরং সমকামিতাকে হারাম বলতে হবে , ও সমকামিতা কিভাবে দূর করা যায় সে ব্যবস্থা করতে  হবে , ঠিক সেই রকম কাওয়ালী কে হারাম না বলে অতিরঞ্জন কে হারাম বলা লাগবে , যাতে সেই অতিরঞ্জন কিভাবে দূর করা যায় তা বের করা লাগবে। 


দেওবন্দিদের আরো একটা কিতাব (তাসাউফ তত্ত্ব ) লিখেছেন মুফতি মাহমুদ আশরাফ উসমানী (উস্তাদ দারুল উলুম করাচি) উক্ত কিতাবের ২৩৪ নং পৃষ্টায় লিখেছেন যে - মোবাহ (জায়েজ ) সামা এর কিছু সর্ত আছে 

তা হচ্ছে ;- ১) শ্রোতা প্রবৃত্তি পুজারী হউয়া যাবে না 

২)মেহফিলে কোনো মহিলা বা দাড়ি গোফ বিহীন সুশ্রী বালক থাকা যাবে না (দেওবন্দী সমকামিতার একটা বেপার আছে ) 

৩) সামা দ্বারা আমোদ প্রমোদ ছাড়াও আল্লাহর জিকিরের প্রতি বিশেষ লক্ষ্য রাখা 

৪)সামা পাঠক কোনো মহিলা বা সুশ্রী বালক না হওয়া 

৫)সামার বিষয় বস্তু অস্শীল ও নাজায়েজ না হওয়া 

৬)সামার সাথে কোনো বাদ্যযন্ত্র না থাকা 

৭)লৌকিকতা বা লোক দেখানোর জন্য ওয়াজদ বা খোদা প্রদত্ত বিশেষ অবস্থার অভিনয় না করা। 


এই খানে মুফতি মাহমুদ আশরাফ উসমানী (মুফতি-এ-আজম সফি এর ছেলে ও তকী উসমানী এর ভাই) সাহেব অতিরঞ্জন কে না বলেছেন সমা কে না। হারাম বলেছেন অতিরঞ্জন ও বেহায়াপনা কে কিন্তু সামা কে হারাম বলেন নাই 


আপনারা দেওবন্দী গণ আপনাদের , আপনাদের আলেমদের কথাও কি আপনারা মানবেন না ? নাকি তারা ও বেদাতি ছিল ? নাকি আপনারা বেশি পেকে গেছেন ? কোনটা সত্য ? 


আমরা বা আমি সোহেল রানা কখনই সামার মধ্যেকার অতিরঞ্জন কে সাপোর্ট করি না। অতিরঞ্জন কে হারাম বলি কিন্তু সামা কে না  , কারণ সামার কি উপকার তা আপনাদের মুজাদ্দেদ এর কিতাব থেকে  আমি প্রমান করেছি। 

এখন আপনাদের যা মন চায় আমাকে গালি দেন ,দোয়া  , আপনাদের ইচ্ছা 


মা-আসসালাম 


সোহেল রানা 




(শরীয়াত ও তরিকত কা তালাজুম ) পর্ব ২

Shariyat o tarikat 2 (শরীয়াত ও তরিকত কা তালাজুম ) 

পর্ব ২ 

উক্ত কিতাবের ১০ পেজ এ তাবলিগীদের আজিম শায়খুল হাদিস জাকারিয়া সাহেব হজরত জাবের (রা;) এর একটা হাদিস বর্ণনা করেন যে রাসুলুল্লাহ সা; ইরশাদ করেছেন যে গাছের নিচে যে মুমিন সাহাবা গণ মুরিদ হয়েছেন তাদের কেউ জাহান্নামে যাবে না ৷ তিরমিজি সরিফ ২ য় খন্ডের ২২৫ নং পৃষ্টা

এই খানে জাকারিয়া সাহেব উপরে বর্ণিত হাদিসের বেখাতে বলেছেন যে সকল সাহাবী সেই দিন মুরিদ হয়েছিলেন নতুন করে মুসলমান হুয়ার পর আবার বায়েত গ্রহণ করেছিলেন তাদের কেউ জাহান্নামে যাবেন না৷ তাদের সাথে ওয়াদা করা হয়েছে তারা সবার আগে হাসতে হাসতে জান্নাতে চলে যাবে ৷ 

আহ মুরিদ নবী সা; এর সর্ণ তরিকা কতই না মূল্যবান ৷ হে আল্লাহ যারা মুরিদ হউয়ার ভেদ বোঝেনি তাদের কে আমল করার তৌফিক দান করুন ৷ (শরীয়াত ও তরিকত কা তালাজুম) পৃষ্টা নং ১০-১১ 
মুরিদ না হলে বেইমান হয়ে মরতে হয় ;- হজরত আব্দুল্লাহ ইবনে ওমর বলেন রাসুল্লুল্লাহ (সা;) বলেন যে বেক্তি আল্লাহ ও তার রাসুলের অনুকরণ থেকে হাত সরিয়ে নিবে কেয়ামতের দিন তার নাজাতের জন্য কোনো দলিল থাকবে না ৷ আর যে বেক্তি মুরিদ হওয়া ছাড়া মরবে তার মিত্তু জাহেলি যুগের বেইমান লোকদের মত হবে ( মুসলিম শরিফ ২ খ ১২৮ প্রিষ্ট) 
বর্ণিত হাদিসের বেক্ষাতে জাকারিয়া সাহেব লিখেছেন যে ;- রাসুলুল্লাহ বলেছেন আল্লাহ ও তার রাসুলের অনুকরণ না করলে ক্ষমার কোনো দলিল থাকবে না তার পক্ষে কিয়ামতের দিন আর ও বলেন মুরিদ না হয়ে মরলে জাহেলিদের মত মিত্তু হবে ৷যেহেতু নবী পাক দাওয়াত ও তাবলিগ দ্বারা সকলকে মুরিদ করে ঈমানী শিখা দিতেন ৷ তাই তার ও আল্লাহ পাকের অনুকরণে মুরিদ না হলে জাহান্নামী হতে হবে ৷সুরা ফাতাহ এর ১০ নং আয়াতে আল্লাহ তায়ালা সকল সাহাবীকে মুরিদ করার ঘোসনা দিয়েছেন ৷ তাই মুরিদ করা ও মুরিদ হওয়া আল্লাহ ও নবীর সর্ণ তরিকা হিসেবে মর্যাদার স্থান পেয়েছে ৷ আর কোরান ও হাদিস দ্বারা ও তা প্রমানিত ৷ এভাবে মুরিদ না হলে আল্লাহ ও তার রাসুলের বিরোধী বলা হয়েছে ও তাদের কে অশিক্ষিত কাফেরদের মত জাহান্নামী বলা হয়েছে ৷ আর মুজতাহিদ ইমামগণ ও মুরিদ হওয়ার বিসয় কটর মনোভাব বেকত করেছেন ৷ (শরীয়াত ও তরিকত কা তালাজুম ) দেওবিন্দিদের আজিম শায়খুল ইসলাম জাকারিয়া সাহেবের লেখা পৃষ্টা no ১১ 

বর্তমান দেওবন্দী গণ পির মুরিদীর নাম শুনলে মুশরিক ভন্ড বেদাতি বলে ফতোয়া মারা সুরু করেন ৷ আমরা জাতি বলি তারা আমাদের কথা সনে না ৷ তাই আমি তাদের আলেমদের কিতাব থেকে কথা গুলো তুলে ধরলাম ৷ একজন আমাকে বলেছে যে আমি নাকি তাদের বিরুধিতা করি সবসময় ৷ এই খানে জাকারিয়া সাহেব যে সকল কথা বলেছেন আমি নিজেও সেই সকল কথায় পাবন্দ ৷ বরং ফাজায়েলে আমল এর লেখক জাকারিয়া সাহেবের কথা খোদ দেওবিন্দী রা নিজেরাই মানে না৷ তারা নিজেরাই তাদের আকাবের্দের কথা মানে না ৷ আমি সেই সকল কথার বিরুধিতা করি যা আমার জামাতের খেলাপ ৷ কিন্তু দেওবিন্দী রা তোমাদের আলেমের কথা তো মেনে নাও ৷ আগামী কাল মুজতাহিদ এমাম গণ মুরিদ হওয়ার বিসয় কি বলেছেন তা ইনশাল্লাহ তুলে ধরব ৷ আল্লাহ হাফেজ 

পীর মাযায়েখ এর দরকার কেন ? দেওবনদের কিতাব থেকে

বর্তমান দেওবন্দী গণ আহলে হাদিসের নিউ আপডেট।  আজকে হবু ডুবু পোস্ট করেছে পীর মাশায়েখ গণ কি সুপারিশ করতে পারবে ? 

আমার কথা হচ্ছে যে পীর মাশায়েখ গণ যদি কোনো উপকারে না আসে তা হলে তোমার দেওবন্দ এর সকল আলেম কেন নিজেদের কে (চিশতিয়া ) বুজুর্গ বলে দাবি করেন ? আর হাজী ইমদাদুল্লাহ মুহাজেরে মক্কী (রহ) এর হাতে কেন বায়েত হলেন ? কে কতদিন হাজী সাহেবের খেদমত করেছেন তা এখন বলতে চাচ্ছি না , আজকের পোস্ট হচ্ছে 

পীর মাশায়েখ গনের প্রয়জন আছে কি না তা দেওবন্দী দের কিতাব থেকে প্রমান করা ;- 


দেখুন ;- দেওবন্দী আলেম কুতুবুল ইরশাদ মাওলানা রশিদ আহমাদ গান্গুহী এর কিতাব (মহমুদুস সুলুক) এর পৃষ্টা নং ৫৯ তে লিখেছেন যে ;- একথা খুব ভালো করে জানা প্রয়োজন যে , মুরিদের জন্য একজন কামিল পীরের খুবই দরকার। তিনি তার ইসলাহের জন্য শরীয়াত ও তরিকতের পথের সহায়ক হবেন,ও আল্লাহর নৈকট্ব পাওয়ার পথে উচা,নিচা,সুবিধা,অসুবিধা,ভালো-মন্দের সম্পর্কে তাকে সতর্ক করবেন। যেমন আল্লাহ বলেন ;- হে ঈমানদারগণ , আল্লাহকে ভয় কর ,ও তাকে পাওয়ার জন্য নির্ভরশীল সহায়ক(অসিলা) তালাশ কর(সুরা মায়েদা) আয়াত ৩৫


নবী পাক এরশাদ ফরমান যে ;- আমার সাহাবাগণ তারকা সমতুল্য ,তোমরা যে কারো অনুসরণ করবে হেদায়াত পেয়ে যাবে। 

এতে প্রমানিত হয় যে হেদায়াত পাওয়ার জন্য কোনো না কোনো আল্লাহ ওয়ালা বুজুর্গের অনুসরণ করা প্রয়োজন কেননা তার অনুসরণ  মাধমেই আল্লাহকে পাওয়া যাবে  (মাহমুদুস সুলুক ) রশিদ আহমাদ গান্গুহির লেখা পৃষ্টা নং ৫৯। কিতাবের পেজ যার প্রয়োজন বলবেন ইনশাআল্লাহ দিয়ে দিব। 


উক্ত কিতাবের ৬০ নং পৃষ্টায় লিখেছেন যে ;- ইমাম গাজ্জালি (রহ) এর কিতাব (এহইয়া-উলুমুদ্দীন ) কিতাবে বর্ণিত হাদিস তুলে ধরে লিখেছেন যে ;- আল্লাহ তায়ালা উম্মতের হেদায়েত যেমন নবীগনের দিয়ে করিয়ে থাকেন ঠিক তেমন মুরিদ গনের হেদায়াত আপন কামিল বুজুর্গের দিয়ে করিয়ে থাকেন (মাহমুদুস সুলুক ) রশিদ আহমাদ গান্গুহী পৃষ্টা ৬০ 

এই হাদিসের বেক্ষা করতে গিয়ে রশিদ আহমাদ গান্গুহী সাহেব লিখেছেন যে ;- শায়খে কামিল নবীর নায়েব হিসেবে নবুয়াতের খেদমত আনজাম দিয়ে আপন মুরিদ গনকে সত্পথ দেখান এবং তাদেরকে গোমরাহী থেকে সতর্ক করেন , এ হিসেবে তারা মানুষের জন্য আম্বিয়া কেরামের মত নবীর তরিকায় হিদায়েত ও নাজাতের ওসিলা হন (মাহমুদুস সুলুক ) রশিদ আহমাদ গান্গুহী পৃষ্টা ৬০ 


 আরো ইমাম গাজ্জালি সাহেবের বক্তব্য তুলে ধরে লিখেছেন যে ;- পীরের এত সম্মান  তার মোটা তাজা সরির ও দৈহিক সক্তি ও পার্থিব সম্পদের কারণে নয় , বরং আল্লাহর মারিফাতের জ্ঞান ও আল্লাহকে পাওয়ার পথের অভিজ্ঞতা ও আখিরাতে নাজাত পাওয়ার যোগ্যতার কারণে।  তাই তো দেখা যায় ভালো বংশীয় নয় বরং নিস্য ,গরিব, দরিদ্র , ও ছোট পেশার অনেকেই শায়েখ ও সম্মানী পীর হয়েছেন ও দ্বীনি খিদমত আনজাম দিয়ে  মানুষের ইসলাহের জিম্মাদারী পালন করে যাচ্ছেন (মাহমুদুস সুলুক ) পৃষ্টা ৬০ 



আশা করছি সুন্দর সাবলীল ভাষায় আপনাদের সামনে তুলে ধরতে পেরেছি 


আরো দেখুন ;- 

আকাবির কা সুলুক ও এহসান কিতাবের ২০ নং পৃষ্টায় লিখেছেন যে ;- হজরত মাওলানা ইলিয়াছ (রহ) তাবলীগের নামে পীর মুরিদীর ও জিকির আজকার এর যে মেহনত চালু করেছেন এবং তা করতে সকল কে আদেশ করেছেন ও আমলি নমুনা পেশ করেছেন তাও জেনে এই বেপারে আমার মনস্থির হল যে ;- তাবলীগের নামে পীর মুরিদীর প্রচার করা। ((আকাবির কা সুলুক) সায়েখুল ইসলাম মাওলানা জাকারিয়া এর কিতাব পৃষ্টা ২০ 

আর আজকের দেওবন্দী গণ কথায় কথায় সেই পীর মুরিদী কে কটাক্ষ করতে পারলেই যেন বেছে যায় 


(শরীয়াত ক তরিকত কা তালাজুম)  কিতাবের ১০ পেজ এ তাবলিগীদের আজিম শায়খুল হাদিস জাকারিয়া সাহেব হজরত জাবের (রা;) এর একটা হাদিস বর্ণনা করেন যে রাসুলুল্লাহ সা; ইরশাদ করেছেন যে গাছের নিচে যে মুমিন সাহাবা গণ মুরিদ হয়েছেন তাদের কেউ জাহান্নামে যাবে না ৷ তিরমিজি সরিফ ২ য় খন্ডের ২২৫ নং পৃষ্টা 

আহ!!পীর  মুরিদি নবী সা; এর সর্ণ তরিকা কতই না মূল্যবান ৷ হে আল্লাহ যারা মুরিদ হউয়ার ভেদ বোঝেনি তাদের কে আমল করার তৌফিক দান করুন ৷ (শরীয়াত ও তরিকত কা তালাজুম) মাওলানা জাকারিয়া এর লিখা পৃষ্টা নং ১০-১১।


  এই খানে দেওবিন্দী দের শায়খুল ইসলাম পীর মুরিদী ও একজন পীরের কত ইজ্জাত দান করেছেন এ কি  দেখে নাই দেওবন্দী রা ?



মুরিদ না হলে বেইমান হয়ে মরতে হয় ;- হজরত আব্দুল্লাহ ইবনে ওমর বলেন রাসুল্লুল্লাহ (সা;) বলেন যে বেক্তি আল্লাহ ও তার রাসুলের অনুকরণ থেকে হাত সরিয়ে নিবে কেয়ামতের দিন তার নাজাতের জন্য কোনো দলিল থাকবে না ৷ আর যে বেক্তি মুরিদ হওয়া ছাড়া মরবে তার মিত্তু জাহেলি যুগের বেইমান লোকদের মত হবে ( মুসলিম শরিফ ২ খ ১২৮ প্রিষ্ট) বর্ণিত হাদিসের বেক্ষাতে জাকারিয়া সাহেব লিখেছেন যে ;- রাসুলুল্লাহ বলেছেন আল্লাহ ও তার রাসুলের অনুকরণ না করলে ক্ষমার কোনো দলিল থাকবে না তার পক্ষে কিয়ামতের দিন , আর ও বলেন মুরিদ না হয়ে মরলে জাহেলিদের মত মিত্তু হবে ৷যেহেতু নবী পাক দাওয়াত ও তাবলিগ দ্বারা সকলকে মুরিদ করে ঈমানী শিখা দিতেন ৷ তাই তার ও আল্লাহ পাকের অনুকরণে মুরিদ না হলে জাহান্নামী হতে হবে ৷সুরা ফাতাহ এর ১০ নং আয়াতে আল্লাহ তায়ালা সকল সাহাবীকে মুরিদ করার ঘোসনা দিয়েছেন ৷ তাই মুরিদ করা ও মুরিদ হওয়া আল্লাহ ও নবীর সর্ণ তরিকা হিসেবে মর্যাদার স্থান পেয়েছে ৷ আর কোরান ও হাদিস দ্বারা ও তা প্রমানিত ৷ এভাবে মুরিদ না হলে আল্লাহ ও তার রাসুলের বিরোধী বলা হয়েছে ও তাদের কে অশিক্ষিত কাফেরদের মত জাহান্নামী বলা হয়েছে ৷ আর মুজতাহিদ ইমামগণ ও মুরিদ হওয়ার বিসয় কটর মনোভাব বেকত করেছেন ৷ (শরীয়াত ও তরিকত কা তালাজুম ) দেওবিন্দিদের আজিম শায়খুল ইসলাম জাকারিয়া সাহেবের লেখা পৃষ্টা নং ১১


তো এখান থেকে প্রমান হচ্ছে যে সুধু সুপারিশ না বরং  নাজাত এর ওয়াসিলা ও বটে 


হজরত ইমাম হাম্বল (রহ ) এর মতে ইমান হলো নবীর নবীর তরিকায় মুরিদ হওয়া ও নবীর আদেস নিশেদ পরিপূর্ণ ভাবে পালন করা ৷ মুরিদ হওয়া একটা বিসয় হলে ও ইমান ,ইসলাম , শরীয়াতের সকল বিসয় এর ভিতর আছে ৷ সুতরাং যে বেক্তি সরিয়াত মানবে না আর গোনাহ করবে সে তার মুরিদ হওয়ার সকল অঙ্ঘিকার ভঙ্গ করবে ৷ অবশ্যই তার ইমান ও কমতে থাকবে ৷ ( ফয়জুল বারী , সরহে বুখারী ১ খ ৪৮ নং পৃষ্টা ) 
জাকারিয়া সাহেব তার কিতাব (শরীয়ত ও তরিকত কা তালাজুম ) এর ১২ নং পৃষ্টা তে উপরের বর্ণিত ইমাম হাম্বল (রহ) এর কথা উল্লেখ করে তার বেক্ষাতে লিখেছেন যে ;- মুজতাহিদ ইমামগণ মুরিদ হওয়াকে ঈমানী বিসয় বলে আখ্যায়িত করলেন ৷ কারণ তাদের কাছে বায়েত ও মুরিদ হয়ায়াই ছিল ঈমানী বিসয়৷ আজকাল যদিও আলেমগণ বায়াত হওয়ার বিসয় গুরত্ব দেন না৷ কেন না হতে পারে বায়েত হওয়া ছাড়াই তারা ইমান হাসিল করেছেন ৷তাদের কবরে তারা জবাব দিবে এবং আমাদের কবরে আমরা জবাব দিব ৷ তাই আমাদের উচিত কোরান ,হাদিস ও মুজতাহিদ ইমামগণের অনুসরণ করা৷ ইমাম গনের মতের বিরোধিতা না করা৷ কেননা কোরান বলে বায়েত হলে আল্লাহর সন্তুষ্টি পাওয়া যায় ৷ আর হাদিস বলে বায়েত না হলে বেইমান হয়ে মরতে হয় ৷

(শরীয়াত ও তরিকত কা তালাজুম ) পৃষ্টা ১২-১৩

(শরীয়াত ও তরিকত )কিতাবের ২০ পৃষ্টায় জাকারিয়া সাহেব লিখেছেন যে হজরত আবু ইয়াজিদ (রহ) বলেন অধাতিক লাইনে যার উস্তাদ নেই তার উস্তাদ সয়তান। (তাজ্কিরাতুল এহসান )১৬ নং পৃষ্টা। ইহ্য়ায়ে উলুমুদ্দীন কিতাবে ইমাম গাজালী সাহেব একটা হাদিস বর্ণনা করেছেন যে :-নবী পাক বলেছেন যে উম্মতের ইসলাহের জন্য নবীর দায়িত্ব যেমন তদ্রুপ মুরিদের ইসলাগের জন্য পীরের দায়িত্ব তেমন। (তাজ্কিয়াতুল এহসান ১৯ পৃষ্টা 


পীর মুরিদীর লাভ ;- শায়েখ আব্দুল আজিজ মুহাদ্দেস এ দেহলবী সাহেব কেবলা বলেন যে ;- হক্কানী বুজুর্গ গণ ও পীর মাশায়েখ গণ নবী (স) এর মৃত সুন্নাত পীর মুরিদী জিন্দা করার কারণে অনেক সওয়াব পাবেন এবং জারা মুরিদ হয়ে মৃত সুন্নাত কে জিন্দা করবেন তারা ও অনেক সয়াব পাবেন। (একটা মৃত সুন্নাত কে জিন্দা করলে ১০০ শহিদের সয়াব পাওয়া যায়। শরীয়াত ও তরিকত কা তালাজুম পৃষ্টা ২২। 


মহমুদুস সুলুক কিতাবের ৫২ পৃষ্টায় লিখেছেন যে ;- যার পির নাই তার পীর সয়তান 


মাওলানা জাকারিয়া এর কিতাব (আকাবির কা সুলুক ) ৪৬ নং পৃষ্টায় লিখেছেন যে (তাসাউফের ওপর নাম ইমান) 


ইটা এখান থেকে প্রমানিত যে হে তাসাউফের সাথে সম্মন্ধ রাখে না তার ইমান নাই। 


এমন হাজার প্রমান দিতে পারব আমি তোমাদের কিতাব থেকে। আরো যাদের দলিলের প্রয়িজন আছে তারা কিতাবের পেজ চেয়ে কমেন্টস করুন। আরো অনেক অনেক দলিল আছে আমার কাছে। আর ইনশাল্লাহ দেওবিন্দী দের কিতাব থেকেই দিব। 

যদি আপনারা সত্যিকারের দেওবিন্দী হয়ে থাকেন তা হলে উচিত হবে আপনাদের কারো হাতে বায়েত হওয়া। 

 সোহেল রানা 


মিলাদের দলিল দেওবনদের কিতাব থেকে


মিলাদ '' এর নাম শুনলে দেওবন্দিদের বা ওহাবীদের যে কত জলন সুরু হয় তা দেওবন্দিরাই ভালো করে জানে , আমি বা সুন্নি activitis রা এত পরিমান দলিল প্রমান দেয়ার পর ও তারা মিলাদ কে বেদাত ছাড়া আর কিছুই তাদের চোখে পরে না ।


দেওবন্দী দের মোজাদ্দেদ আশরাফ আলী থানবীর কিতাব (ইচ্লাহুর রূসুম ) কিতাবের তৃতীয় অধ্যায় এর প্রথম পরিচ্ছেদ ১০১ নং পৃষ্টায় লিখেছেন যে ;- মিলাদ ৩ প্রকারে ভাগ করে প্রথম প্রকার মিলাদ এর বিষয় বলেছেন যে ;- এই প্রকার মিলাদ মেহফিলে কোনো প্রকার সর্তাবলী অনুসরণ করা হয় না। মুলুত কিছু লোক একত্রিত হয়ে নবী কুল শিরোমনি আহমাদ মুস্তফা মোহাম্মদ মুস্তফা সল্লেল্লাহু আলাহিস সালাম এর প্রতি দরুদ ও সালাম  পাঠ ও অনার জন্ম,জীবন,চাল,চলন,সান,শওকাত ,মুজেজা সমন্ধে বিশুদ্ধ বর্ণনা করা ও কোনো কিতাব পাঠ করা। আলোচনার সাপেক্ষে সৎ কাজের আদেশ ও মন্দ কাজের না করার উপদেশ্দানে কুন্ঠিত বোধ না করা অথবা শরীয়াতের বিধিবিধান হুকুম আহকাম শিক্ষাদানের নিমিত্তে আয়োজিত মেহফিলে নবী পাক অলায়হিস  সালাম এর জীবনী বর্ণনা করা। এই প্রকার মিলাদ মেহফিল নির্ভেজাল,জায়েজ ও মুস্তাহাব ও সুন্নাত।এই ভাবেই রাসুল সল্লেল্লাহু আলাইহিস সালাম শিয় জীবন ও মর্যাদার আলোচনা করে গেছেন। সাহাবীদের থেকে ও এই ভাবে মিলাদ এর বর্ণনা পাওয়া যায়। মুহাদ্দিসীন কেরামগণ আজ পর্যন্ত যথারীতি  চালু রেখেছেন আর আর কিয়ামত পর্যন্ত এই বিশুদ্ধ নীতি চালু থাকবে। (ইচ্লাহুর রূসুম ) তৃতীয় অধ্যায় প্রথম পরিচ্ছেদ পৃষ্টা ১০১.


কিতাবের পেজ যার প্রয়োজন কমেন্টস এ বলুন। ইনশাল্লাহ দিয়ে দিব। 


নিচে আরো অনেক কথা আছে তা তুলে ধরা আবশ্যক মনে না করে তুলে ধরলাম না। কেউ দেখতে চাইলে কিতাবের পাজেই দিয়ে দিব। দেখে নিয়েন। 

এখন আমার কথা হচ্ছে যে মাওলানা আশরাফ আলী থানবী দেওবিন্দী দের আজিম মোজাদ্দেদ ,হাকীমুল উম্মত এর কিতাবে মিলাদ সরিফ পালন করা কে নির্ভেজাল ,জায়েজ, মুস্তাহাব ও সুন্নাত বলে নিজের রায় দিলেন। 

আর আমার মতে আশরাফ আলী থান্বির তুলে ধরা সর্ত গুলো ও যথাযথ পালন করা হয় প্রতিটা মিলাদের অনুষ্ঠানে। 

তো আমার কথা হচ্ছে আপনাদের বুজুর্গ আশরফ আলী থানবী সাহেবের মত উপেক্ষা করে কেন  বেদাত বলে গলা ফাটান ? আর সময় নষ্ট করেন ? আর কেন নিজেদের আলেমদের এই ভাবে বিরুধিতা করেন ? নাকি আপনারা দেওবন্দী নামের নিচে লুকায়িত দেওভুত ? যে সুধু বেদাত বেদাত বেদাত বলে পাগলা কুত্তার মত ঘেউ ঘেউ করে ? আপনারা যদি সত্যিকারের দেওবন্দের আকিদার বিশ্বাসী হন তাহলে আপনাদের উচিত মিলাদের বিরুদ্ধে কথা না বলা।  কারণ আপনাদের বুজুর্গের চেয়ে আশাকরি আপনারা কেউ বেশি জানেন না।  বাশের চেয়ে যেমন কঞ্চি সক্ত হয় না !! বাপের আগে যেমন ছেলের বাল পাকে না ঠিক তেমন আপনাদের বুজুর্গদের চেয়ে আপনারা ও বেশি বোঝেন না 


সোহেল রানা 

নব্য ইমানদার

কয়েকজন নব্য ঈমানদার আওয়াজ তুলেছে আমার নবী পাকের সম্মানীয় পিতা আব্দুল্লাহ (আ ) ও মা আমেনা (আ ) নাকি জাহান্নামী। এই নিয়ে কয়েকটা হাদিসের কিতাবের হাদিস ও তুলে ধরেছেন। সেই সকল হাদিসের আসল ভেদ কি তা আমার জানা নাই ,তবে আমার নামাজ ,ইমান,আখলাক, তাকওয়া বলে যে (মুসনাদ এ আহমাদ ) সহিহ হাদিসের কিতাবের ১ম পার্ট এর ১৪৩ নং পৃষ্টার হাদিস বেত্তা ও হাদিস বর্ণনা কারীর বিশুধতা ও দুর্বলতা সমন্ধে জানা ও পরিপূর্ণ ভাবে গ্রহণ করা নামক পরিচ্ছেদ ৫৩ নং হাদিসে  এ লিখেছেন যে ;- আব্দুল মালিক বিন সাইদ সুয়াউদ থেকে বর্ণনা ও তিনি আবু হুমাইদ (রা) ও আবু আশিদ (রা) থেকে বর্ণনা করেন যে ;- নবী পাক সল্লেল্লাহু আলাইহিস সাল্লাম বলেছেন যদি তোমরা আমার হাদিস শ্রবণ কর , তখন তোমাদের অন্তর তা চিনতে পারে ,তোমাদের কেশ ত্বক বিনম্র হয়ে উঠে,তোমরা অনুভব করতে পর যে তা তোমাদের নিকটবর্তী ,তা  হলে মনে করবে যে আমি সেই হাদিস বলার ক্ষেত্রে সবচেয়ে উপযুক্ত। 

আর তোমরা যখন আমার বরাতে এমন হাদিস শোন যা তোমাদের অন্তর বর্জন করে ও তোমাদের কেশ ত্বক তা ঘৃনা করে আর তোমরা বুঝতে পারো তা তোমাদের বোধগম্য থেকে বহু দূরে ,তাহলে বুঝবে আমি সেই কথিত হাদিস থেকে তোমাদের চেয়ে আরো অনেক বেশি দূরে। 


টীকা ;- জারা সত্যিকারের মুমিন তারা রাসুল পাকের হাদিস সহিজেই চিনতে পারে ,তাদের অন্তর ত্বক কেশ তা সহিজেউ বুঝতে পারে 


তাই আমার অন্তর নবী পাকের বাবা মা জাহান্নামী এই সকল হাদিস কে বিশাস করে নাই আমি চরম অবগ্গা সহকারে সেই সকল হাদিস চুরে মারলাম। এই সকল কিছু আমার নবীর কথা হতে পারে  না। কারণ আমি আমার নবী পরিবারের বিষয় জানি। তারা এক একজন জান্নাতের বাসিন্ধা। তারা এক একজন নূর এ মোহাম্মদী এর বাহক ছিল। মা আমেনা (আ ) এর উপর ওহি এসেছে ,আব্দুল মুত্তালিব এর উপর ওহি এসেছে , তা সপ্নে হোক আর জাগ্রত হোক. আমার নবীর পিতা আব্দুল্লাহ এর কপালে তো নূরে মোহাম্মদী স্পষ্ট দেখেচিল নওফেল এর মেয়ে  মরিয়াম নামের  এক কুমারী মেয়ে। আমার আল্লাহ সেই কুমারী মেয়েকে ও জান্নাত দান করবেন বলেছেন কারণ হজরত আব্দুল্লাহ মা আমেনা কে বিয়ে করার কারণে নওফেলের মেয়ে মরিয়াম আর বিয়ে করেন নাই জীবনে। এই তোমাদের ইমান ? আমার চোখের পানির বননা হয়ে যাচ্ছে এই কথা গুলো লিখতে , আর তোমরা আওয়াজ তোলো জাহান্নামী জাহান্নামী বলে ? 

ভালো কথা বল  .আজ থেকে আমার নামাজ রোজা যত ইবাদত আছে তা সব গুলো হবে মা আমেনা ও বাবা আব্দুল্লাহ যে জাহান্নামে আছে সেই জাহান্নামে যাওয়ার জন্য। আম্মার জান্নাত এর প্রয়জন নাই। আমি সেই জাহান্নাম চাই যে জাহান্নাম এ হজরত আব্দুল্লাহ ও মা আমেনা আছে (আমীন ) ছুম্ম আমীন। 

আমি আর জান্নাত চাই না আমার আর জান্নাত এর প্রয়োজন নাই। 


আজ এই পোস্ট লিখতে আমার বুক ফেটে যাচ্ছে , আমার বাপ মরেছে অনেক আগে , আমি এত কাদি নাই। এত কষ্ট পাই নাই , এই কথা গুলো লিখতে আজ যত কষ্ট হচ্ছে আমার। 


ইংরেজ দের দালাল কারা

Kazi saifuz zaman qadiani একটা পোস্ট করেছে যে দেওবন্দিদের আন্দোলনের কারণেই ইংরেজরা দেশ ছেড়েছে , আমার মনে হয় এরা ঠিক সেই ধর্মান্দ জারা সাইয়েদ আহমাদ এর মত দস্সুকে সাহায্য করেছিল আফিমের খেত লুতরাজ করতে। 



আশরাফ আলী থান্বির কিতাব (হৃদয় ছোয়া কাহিনী -২) এর ৪৩ নং পৃষ্টায় লিখেছেন যে ;- ইংরেজরা এই উপমহাদেশের একটা নিকৃষ্ট জাতিকে অগ্রসর হওয়ার সুযোগ করে দিয়েছিল ও অপর একটি জাতিকে পশ্চাদপদ করে রেখেছিল। তবে এর ফল যা হয়েছিল তাতে পরবর্তিতে ইংলিশ্রাই দুক্ষ প্রকাশ করেছিল। কোনো একজন উচ্চস্তরের ইংরেজ হেকিম কোনো এক জমিদারের মানেজারের সাথে কথা বলতে গিয়ে একটা ঘটনা বলেছিল যে ;- কোনো এক দরবেশের ঘরে একটা ইদুর কিছু বাচ্চা প্রসব করে আর পরে দরবেশ কে দেখে একটা বাচ্চা ফেলে রেখে চলে যায়। দরবেশ  ইদুরের বাচ্চা কে লালন করে  বড় করে তলে। একদিন সে বাইরে গেলে তাকে বিড়াল ধরতে চেষ্টা করে আর ইদুর যান বাঁচিয়ে পালিয়ে আসে। দরবেশ কে সব  খুলে বলে যে আমি আজ প্রাণে বেছে এসেছি বিড়ালের হাত থেকে। আমাকে বিড়াল বানিয়ে দাও।দরবেশ তাকে ছুয়ে দিয়ে বিড়াল বানিয়ে দিল। পরের দিন সেই বিড়াল কে কুত্তা ধরতে চ্চেস্তা করে আর যান বাঁচিয়ে ফিরে এসে বলে আমাকে কুত্তা বানিয়ে দাও। তা হলে কুত্তা আমাকে আর ধরতে চাইবে না। দরবেশ আবারো তাকে ছুয়ে দিয়ে কুত্তা বানিয়ে দেয় ও পরের দিন সেই কুত্তা বাঘের সামনে পরে ও প্রাণ বাঁচিয়ে আবারও দরবেশের কাছে আসে আর বলে আমাকে বাঘ বানিয়ে দাও। দরবেশ তাকে ছুয়ে দিয়ে বাঘ বানিয়ে দেয়। পরের দিন আবার সেই বাঘের দেখা। বাঘ বলে যে তুই কালকের সেই কুত্তা না ? তুই বাঘ হলি কিভাবে ? নকল বাঘ বলল যে আমাকে মেরো না। আসল বাঘ বলল আমি তো তোমাকে মারতে পারব না কিন্তু তোমাকে যে কুত্তা থেকে বাঘ বানিয়েছে সে তো তোমাকে মেরে ফেলতে পারবে।  নকল বাঘ বলল এখন কি করব ? আসল বাঘ বলল যে তোমাকে কুত্তা থেকে বাঘ বানিয়েছে তাকে গিয়ে মেরে ফেল , তাহলে কেউ তোমাকে মারতে পারবে না। 

সে ফিরে দরবেশের কাছে গেল। তার ভাব গতি অন্যরকম দেখে দরবেশ বলল যে কি হয়েছে আজ ? নকল বাঘ বলল আমাকে আর কেউ মারতে পারবে না তুমি ছাড়া ,তাই তোমাকে মারতে এসেছি। দরবেশ বুঝতে পেরে বলল সোন তোমাকে আমিও মারতে পারব না তার উপায় আছে।  নকল বাঘ বলল কি উপায় তাই কর। দরবেশ কৌসলে তাকে আবার ছুয়ে দিয়ে ইদুর বানিয়ে দিল। 

এর পর থানবী সাহেব আবার লিখেছেন যে ;- এই ঘটনা বর্ণনা করে ইংলিশ হেকিম বলল যে আমরা এমন এক জাতিকে অগ্রসর করতে এসে এমন ভাবে বিপদের পরেছি যে তারা এখন আমাদের উপর ক্ষমতার অপবেবহার করে যাচ্ছে। এই জাতি আসলেই অকৃতজ্ঞ। সুতরাং এই ঘটনা থেকে আমাদের শিক্ষা নেওয়া উচিত (হৃদয় ছোয়া কাহিনী -২) আশরাফ আলী থান্বির লেখা পৃষ্টা ৪৩-৪৫

কিতাবের পেজ যার প্রয়োজন বলবেন। মূল কিতাব থেকে দিয়ে দিব ইনশাল্ল্লাহ 



এই খানে আমি বলতে চাই যে দেওবন্দ মাদ্রাসা এর এত বড় আন্দোলন এর দাবি করে কিন্তু এদের কিতাব থেকে তো মুসলমানদের কে অকৃতজ্ঞ বরং সমস্ত ভারতবাসী কে অকৃতজ্ঞ বলে ফতোয়া মারলেন। আমরা সত্যি অকৃতজ্ঞ যে আমরা ইংলিশদের কে আপন মনে করি নাই, তাদের বিরুদ্ধে সব সময়  যুদ্ধ করে গেছি। আর আপনারা দালালি করে আমাদের কে অকৃতজ্ঞ বলে ফতোয়া মেরে গেছেন। 


(মাকাল্লামাতুল সাদেরিন ) কিতাবের ৮-৯ নং পৃষ্টায় সাব্বির আহমাদ উসমানী লিখেছেন যে :- ইংরেজ হুকুমত থেকে আশরাফ আলী থানবী প্রতি মাসে ৬০০ রুপিয়া নিয়ে থাকত ও এই টাকা রশিদ আহমাদ গান্গুহির মাধ্যমে আসতো (মাকাল্লামাতুল সাদেরিন) সাব্বির আহমাদ উসমানী পৃষ্টা ৮-৯ 


 

লক্ষ্য করুন ;- the indian muslim কিতাবে তত্কালীন ইংলিশ জেনারেল ডব্লিউ ডব্লিউ হান্টার ৩ নং পৃষ্টায় লিখেছেন যে : পাঞ্জাব সীমান্তে বিদ্রোহের গোড়াপত্তন করে সাইয়েদ আহমাদ , কুখ্যাত এক দস্যুর অশ্বারোহী রূপে জীবন সুরু করে ও বহু বছর যাবত মালওয়া অঞ্চলে আফিম সম্মৃদ্ধ গ্রামগুলোতে লুটতরাজ চালায়।  রঞ্জিত সিংহের নেত্রীতে উদীয়মান সক্তি পার্শ বর্তী মুসলিমদের উপর যে নিস্গেধাগ্গা আরোপ করে তাতে মুসলিম দস্যুদের কার্যকলাপ বিপদসংকুল হয়ে পরে ও দস্যু বৃত্তি লাভজনক থাকে না ( the indian muslim ) পৃষ্টা ৩-৪ 


এর  পর আবার দেখুন :- শিকদের গোড়া হিন্দুয়ানির কারণে উত্তর ভারতে মুসলমানদের উত্সাহিত করতে থাকে।  সাইয়েদ আহমাদ অত্যান্ত বিচক্ষনতার সহিত দস্যু বৃত্তি ত্যাগ করে ও ১৮১৬ খ্রিস্টাব্দ নাগাদ চলে যান ইসলামের এক সুবিখ্যাত পন্ডিতের নিকট (শাহ আব্দুল আজিজ ) the indian muslim পৃষ্টা ৪ 


এখান থেকে সুস্পস্ট প্রমানিত সাইয়েদ আহমাদ একজন কুখ্যাত ডাকাত ছিল পরে রঞ্জিত সিংহের বিচক্ষনতার কারণে  যখন দস্শুবৃত্তি লাভজনক থাকে না তখন তিনি দস্যু বৃত্তি ত্যাগ করে শাহ আব্দুল আজিজ সাহেবের কাছে যান।  


দেওবন্দী দের কিতাব ( দেওবন্দ আন্দোলন , ইতিহাস , ঐতিয্য ও অবদান ) বাংলাদেশ কৌমী শিক্ষা বর্ড থেকে পাঠ্য পুস্তক হিসেবে  প্রকাশিত ৯৯ নং পৃষ্টায় লিখেছেন যে ;- শাহ আব্দুল আজিজের নিকট সাইয়েদ আহমাদ গেলে তাকে একটা কিতাব পড়তে দেন।  তখন তাকে কিতাবের প্রতি অন্যমনস্ক দেখে শাহ আব্দুল আজিজ সাহেব জিগ্গেস করেন  পরচ না কেন ? তখন সাইয়েদ আহমাদ জবাব দেন যে আমি কাছের কোনো কিছু দেখতে পাই না ( দেওবন্দ আন্দোলন ) পৃষ্টা ৯৯-১০০


এখান থেকে একটা জিনিস প্রমাণিত যে সাইয়েদ আহমাদ কানা ও ছিল। আসলে সারা জীবন করেছে আফিমের খেত লুট এখন সামনে আঙ্গুর রাখলে কি তার চোখে পর্বে ? দেওবন্দী, বালকটি ,গোলাপী , আহলে হাদিস রা বলে সাইয়েদ আহমাদ নাকি মুজাদ্দেদ।  আসলে সে নিজে ছিল কানা আর কানাদের জন্য ছিল মোজাদ্দেদ।  আমাদের না।  


দি ইন্ডিয়ান মুসলিম কিতাবের ৫ নং পৃষ্টায় লিখেছেন যে ৩ বছর সে শাহ আব্দুল আজিজের সাহেভের কাছে থাকেন এর পর সম্পুর্ন নতুন রূপে লোকদের বায়েত নেওয়া সুরু করেন ( আওর মোহাম্মদী তরিকায়)  ও নিজেই ধর্মের প্রচারক রূপে আত্মপ্রকাশ করেন।  ফলে কিছু দুর্ধর্ষ একদল ভক্ত অনুসারী তার পশ্চাতে সমবেত হয়।  


এখান থেকে একটা বিষয় লক্ষ্য করুন যে  সে ডাকাতি ছেড়ে দিয়ে ৩ বছরে সে একজন ধর্মীয় প্রচারিক ও সম্পুর্ন নতুন এক তরিকার জন্ম দেন  যাকে আওর মোহাম্মদী তরিকা বলা হয় বাংলাদেশের ( ফুলতলী,জয়্ন্পুরি,আট রশি ,সরছিনা , চরমোনাই , রাজারবাগ, চন্দ্র পারা ) এই সিলসিলার অন্তির্ভুক্ত , এদের সেজ্রায় (বুজুর্গ দের লিস্টে) সাইয়েদ আহমাদ এর নাম আছে ) 

অথচ দেওবন্দী গণ সাইয়েদ আহমাদ কে মোজাদ্দেদ মানে কিন্তু তার তৈরী (আওর মোহাম্মদী ) তরিকা মানে না।  


দি ইন্ডিয়ান মুসলিম কিতাবের ৫ নং প্রিস্তাই লিখেছেন যে ১৮২২ সালে হজ্জ করতে যায় পরের বছর অক্টোবর এ ফিরে আসে ও রায় বেরেলি (তার জব্মস্থান) এ কিছু অশান্ত প্রকৃতির লোক কে তার দলে টেনে নেয়।  এর পর সে ধর্মান্দ কুসংস্কারাচনন পাঠান অধ্যষিত এলাকায় যায় এবং পবিত্র জিহাদ এর দাওয়াত দেয় , আর বলে যে পরিমান হিন্দুদের সম্পদ লুট হবে জারা বেছে যাবে যুদ্ধে থেকে তারা এক বিশাল পরিমান সম্পদ নিয়ে ঘরে ফিরতে পারবে।  

পাঠানরা তার কোথায় সম্মত হয় ও সাইয়েদ আহমাদ ও এটাকে কাজে লাগায় পুরাণ দুস্মনির জবাব দেয়ার জন্য ( দি ইন্ডিয়ান মুসলিম ) পৃষ্টা ৫ 


এখান থেকে একটা জিনিস প্রমাণিত যে দস্যু বৃত্তি করার সময় রঞ্জিত সিংহের সাথে থাকা পুরাণ দুস্মনির জন্যই সাইয়েদ আহমাদ শিখদের সাথে যুদ্ধে জড়িয়েছিলেন।  আর পাঠান রা আজ ও পাগলের মত , পাঠান দের কে দেওবন্দিদের মুজাদ্দেদ আশরাফ আলী থানবী অনেক খানে বেজ্জাত করেছেন ( দেখে নিন মুসলমানের হাসি  পৃষ্টা         (ইফাজাতুল য়াওমিয়াহ ) পার্ট ২ পেজ ২৮৬ (হৃদয় ছোয়া কাহিনী পৃষ্টা ৩১) এই কুসংরাচন্ন পাঠান রা লুটতরাজ এর জন্যই সাইয়েদ আহমাদ এর সাথ দিয়েছিল।  


এবং সেই পাঠানদের মেয়েদের সাথে জুলুম করার কারণেই পলানোর সময় বিপদে পরে থাকা শাহ ইসমাইল দেহলবী কে সাহায্য করার সময় শিখদের হাতে নির্মম ভাবে মিত্তু বরণ করেন ( দি ইন্ডিয়ান মুসলিম ) ১১ নং পৃষ্টা 


ডব্লিউ ডব্লিউ হান্টার এর এই কিতাবে তিনি কোনো খানেই লিখে যান নাই যে সাইয়েদ আহমাদ ইংরেজদের কে লক্ষ্য করে একটা বুলেট চুরেচেন।  

অথচ দেওবন্দিদের মুখে সুধু সাইয়েদ আহমাদ এর গুন্কির্তিন শোনা যায়।  


তাদের নিজের হাতে লিখা কিতাব ( দেওবন্দ আন্দোলন ) এর ৯৯-১৩৬ পর্যন্ত মোট ৩৭ পেজ এ সাইয়েদ আহমাদ এর জীবনী বর্ণনা করেছেন।  তারা নিজেরাই সেই কিতাবে লিখতে পারে নাই যে সাইয়েদ আহমাদ ইংরেজদের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করেছেন।  আমু ডি ইন্ডিয়ান মুসলিম কিতাবের a-z পর্যন্ত ও দেওবন্দ আন্দোলনের ৯৯-১৩৬ পর্যন্ত সকল পৃষ্টা দিব।কোনো দেওবন্দী মায়ের লাল থাকলে যেন আমার চলেংজ করে।  


আব্দুল ওয়াদুদ এর লিখা কিতাব (ওয়াহাভি আন্দোলন)  লিখেছেন যে - সাইয়েদ আহমাদ সৌদি তে গিয়ে ওহাবী শিক্ষায় দীক্ষিত হয়ে আসে ও উপজাতি অঞ্চলগুলোতে সুন্নি মুসলিমদের কে মুশরিক মাজার পুজারী ও তাদের ধন সম্পদ গনিমত বলে ফতোয়া প্রদান করেন।   যখন সাইয়েদ আহাম্মক জিন্দা ছিলেন তখন পুরা হিন্দুস্তান এ ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানির অধীন পুরা ছিল না৷ আর তখন সকল মুসলিম রা জিহাদ এর জন্য এক পায়ে খাড়া ছিলেন কিন্তু সাইয়েদ আহমাদ দেশের ভিতরে না থেকে সকল মুসলিম কে একখানে না করে তাদের কে কোন পথ না দেখিয়ে তিনি পার্শবর্তী মুসলিম রাজ্য গুলো যেমন সোয়াত ,ইউসুফ যাই ( মালালা ইউসুফ যাই এর এলাকা ) , কাবুল , কান্দাহার , পেশাবর , উজিরিস্তান , এই সকল এলাকায় হামলা চালান যাতে করে হিন্দুস্থান এর মুসলিম দের দিকে তারা নজর দিতে সময় না পান ও পাঞ্জাব এর শিকদের সাথে তিনি খন্ড খন্ড ২-১ তা যুদ্ধে লিপ্ত হন তাতে ও গো হারা হেরে পলায়ন করেন ৷ (ওহাবি আন্দোলন ১-৮৭ পৃষ্ট )


মুসলিম রাজ্য গুলোতে এত পরিমান অত্যাচার করেছেন তা( ওহাবী আন্দোলন ) আব্দুল মৌদুদ এর লেখা দেখলে চোখে পর্বে আর সেই কিতাব এর স্ক্রিন শুট এর প্রজন বলে বলিয়েন আমি দিয়ে দিব ৷
আর তিনি ঠিক মুসলিমদের কে আব্দুল ওহাব নজদি এর মত সুন্নি মুসলিমদের কে মুশরিক ও তাদের যান মাল গনিমত বলে ফতোয়া দেন ৷ আর এইকারণে যত মুসলিম ঘর উজার হয়ছে তার হিসাব একমাত্র আল্লাহ জানেন আর ইতিহাস সাক্ষী৷ (ওহাবি আন্দোলন পৃষ্টা ৩৪)

শিক দের সাথে২-১ তা যুদ্ধ করেছেন তাও আবার ইংরেজ দের জন্য. ৷কারণ তখন পাঞ্জাব ছিল ইংরেজ মুক্ত আর সেনাপতি রঞ্জিত সিং ছিলেন এক বাহাদুর ও বিচক্ষণ সেনাপতি৷ আর ইংরেজদের সাথে কয়েকবার তাদের মোকাবেলা হয় কিন্তু ইংরেজরা কোনো কিছুই পান নাই তাই সাইয়েদ আহমাদ কে দিয়ে শিকদের কে চাপে রাখেন ও ইংরেজদের ও চেষ্টা অব্বাহত থাকে ৷ শেষে ইংরেজদের সাথে শিকরা ইংরেজদের সাথে সন্ধি করেন৷
তাওয়ারিখে অজীবাহ নামক কিতাবের ১৮২ নং পাগ বলা হয় যে সাইয়েদ সবের কোনো ইচ্ছা ছিল না ইংরেজদের সাথে যুদ্ধ করার ৷ তিনি বরং ইংরেজদের রাজত্ব কে নিজের রাজত্ব মনে করতেন ৷ তিনি যদি ইংরেজ বিরোধী হতেন তা হলে কিভাবে অনার কাছে সাহায্য পৌঁছত সে সময় ?তবে ইংরেজদের চেষ্টা ছিল সাইয়েদ আহাম্মক এর দিয়ে শিকদের চাপে রাখতে ৷

আবুল হাসান আলী নদভীর লেখা ( ছিরাতে সাইয়েদ আহমাদ) ১ম খণ্ডের ১৯০ নং পেজে বলেন যে সাইয়েদ আহম্মক সবার সামনে ইংরেজ বিরোধী ওপরে দেখালেও তিনি তার সাথের মৌলবী মুফতি গণ গোপনে ইংরেজদের কাছ থেকে সাহায্য ও সহযোগিতা নিতেন ৷


সাইয়েদ আহমাদ এর প্রধান সেনাপতি মহা পন্ডিত শাহ ইসমাইল দেহলবী একবার কলকাতা এর মসজিদে শিখদের বিরুদ্ধে জেহাদ এর দাওয়াত দিতেছিল এমন সময় একজন লোক বলে উঠে যে আপনি ইংরেজ দের বিরুদ্ধে  যুদ্ধের দাওয়াত করছেন না কেন ? ইংরেজদের বিরুদ্ধে যুদ্ধ ঘোসনা না করে শিখদের বিরুদ্ধে যুদ্ধের দাওয়াত দিতেছেন ?
শাহ ইসমাইল বলেন যে ইংরেজর আমাদের কোনো ধর্মীয় বিসয়াদি তে ও কোনো প্রকার অসুবিধা এর সম্মুখীন করছে না তাই এদের বিরুদ্ধে যুদ্ধ ফরজ তো দূর ওয়াজিব ও না ৷ ইংরেজদের ওপর যদি কেউ হামলা চালায় তো ইংরেজদের হয়ে তাদের বিরুদ্ধে আমাদের যুদ্ধ করা ফরজ কারণ আমরা তাদের প্রজা ৷ কিন্তু পাঞ্জাবে যখন আমাদের মুসলিমদের সমসা হচ্ছে তাই তাদের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করা প্রজন ।

মির্জা হায়াত দেহলবী প্রণীত ( হায়াতে তায়য়েবাহ ) শাহ ইসমাইল এর জীবনী গ্রন্থ পেজ ২৭১ 

মুন্সী মোহাম্মদ জাফর থানেস্সরী তার কিতাব ( সাওয়ানিয়ায়ে আহমাদি ) পৃষ্টা ৪৭ এ তাই বলেছেন 

মজার কথা হচ্ছে সিলেট এর ফুলতলী এর পীর মোহাম্মদ ইমাজ উদ্দিন চৌধুরী ( সাইয়েদ আহমাদ বেরেলবী এর জীবনী) পুস্তক লিখতে গিয়ে তার দিতীয় সংস্করণ এর ৪৮ ও ৪৯ নং পেজ লিখেছেন ( ইংরেজ অথিত্ত ) তে বলেন ইসার নামাজের পর সাইয়েদ সাহেব কে খবর দিল যে মশাল হাতে কয়েকজন লোক এদিকে আসছে ৷ সাইয়েদ সাহেব খবর নিতে গিয়ে দেখেন কয়েকজন ইংরেজ ৷ তার মধে থেকে একজন এসে বলল সাইয়েদ সাহেব কে ৷ তিনি বললেন আমি ৷ইংরেজ বলল আমরা ৩ দিন যাবত আপনার রাস্তা দেখতেছি ৷ আজ খবর পেলাম আপনি এদিক দিয়ে যাচ্ছেন তাই এই নগন্য খাদ্য দ্রব্য গুলো কবুল করেন 


যে সকল দলিল আমি পেশ করেছি তা সব গুলি দেওবন্দী বুজুর্গ ও গোলাপী সুন্নিদের কিতাব থেকে, মানে হচ্ছে যারা সাইয়েদ আহমাদ কে নিজেদের আকবের মানে ও মুজাদ্দেদ মানে তাদের কিতাব থেকেই দিলাম।  এখন নিজের চোখে দেখে আমাকে জবাব দিন কে ? আর করা ? ইংরেজদের দালাল ছিল ?