সোমবার, ১০ নভেম্বর, ২০১৪

Pir hajir najir er jobab

ফকির মাস্টার  এর অপপ্রচার এর খন্ডন 

এই কুলাঙ্গার একটা বেবুনিয়াদ তহমত লাগিয়েছেন আলা হজরত এর নামে। আমি তাদের আলেম দের কিতাব দিয়ে গুড়িয়ে দিলাম। 

এদের একটা রোগ যে তারা আঙ্গুল করতে দীধা করে না। কিন্তু ওদের নিজের কাপড় যে খুলে পরেছে তা ওদের চোখে পরে না। 

মূল কথা ;- মাওলানা জাকারিয়া তার কিতাব (শরীয়াত ও তরিকত কা তালাজুম ) এ লিখেছেন যে মাওলানা আশরাফ আলী থানবী বলেন যে মাওলানা খলিল আহমাদ সাহেবের কোলে বসতেও আমার ভয় হয় না। কিন্তু শাহ আব্দুর রহিম সাহের এর এত বেশি কাসফ হত যে ওনার মজলিসে বসতেও আমার ভয় হয়। না জানি তিনি আমার মনের কি কি ভেদ জেনে ফেলেন। (শরীয়াত ও তরিকত কা তালাজুম ) ১৯০ নং পৃষ্টা।  

আচ্ছা আশরাফ আলী মিয়া। তুমি নাকি মুজাদ্দেদ !!!! তো তোমার মনের গোপন ভেদ আর একজন জানলে ক্ষতি কি ? নাকি তর যে মিথ্যাচার গুলো জেনে ফেলবে বা গুস্তাকি বানানো কথা গুলো জেনে ফেলবে তাই তর ভয় হত ? 
আর তুই মিয়া খলিল আহমাদ এর কোলে বসতে কেন ভয় পাস না ? সেত আর এক বড় কাবিল। তার মুরিদ তো নবী পাক কে পুলসিরাত থেকে পড়ে যাওয়া থেকে বাচিয়েছিল। সে আবার তর মনের খবর যানে না ? নাকি পুরা কথাই যোগ খিচুরী ? 

এর পর রশিদ আহমাদ গান্গুহী তার কিতাব ( ইম্দাদুস সুলুক ) এর ৬৭ নং পৃষ্টায় লিখেছেন যে ;- মুরিদকে বুঝতে হবে যে শায়েখ এর রুহ নির্দিষ্ট কোনো স্থানে স্থির নেই। শায়েখ এর রুহানিয়াত মুরিদ যে খানেই থাকুক সেখানেই পৌছাবে।  

এখন দেখুন াল হজরত এর বিষয় কি রকম বাজে মন্তব্য করেছেন যে তিনি নাকি তার মুরিদের মিলন এর সময় সশরীরে উপস্থিত ছিলেন। বরং ইটা তোমাদের গান্গুহী যেমন বলেছে রুহানিয়াত ওটা ও সেই একই রকম। আর যদি সেটা মানতেই না চাও তা হলে তোমার রশিদ আহমাদ কি তার রুহানিয়াত দিয়ে চেয়ে চেয়ে দেখত আর মজা নিত ? যখন তার মুরিদ গণ তাদের হালাল স্ত্রীর সাথে মিলন করত ? আর আলা হজরত তো পরের দিন মানা করেছেন যে এক স্ত্রী জেগে থাকতে আর এক স্ত্রীর সাথে মিলন না করতে। ইটা থেকে কি ওনার কারামত সুস্পস্ট প্রমাণিত হয় না। অবস্য তোমরা তো অনার কারামত মেনে নিয়ে অনার বুযুর্গোপন কত দূর পর্যন্ত ছিল তাও উল্লেখ করেছ। তবে বেআদবি ছেড়ে দিলেই হয়। 
আর তোমাদের আলেম লিখল তো ঠিক আছে !! আলা হজরত হলেই দোষ ?? 
আরো একটা কথা হচ্ছে যে তারা নবী করিম (সা কে হাজির নাজির মানে না। কিন্তু তাদের গরু গান্গুহী লিখেছে মুরিদগণ সর্বাবস্থায় তাদের পির কে হাজির নাজির মানবে। ইটা শিরক হয় না। কিন্তু আমরা নবী পাকের উম্মত হয়ে দোজাহানের বাদশা কে হাজির ও নাজির বললে মুশরিক হই। কে মুশরিক আর কি পাঠক মহল বিচার করবেন।  

আরো প্রধান কথা হচ্ছে যে তাদের পির সমকামিতা তা থেকে ও এদের কে রক্ষা করেন। বিশ্বাস হয় না ?
দেখুন (তাজ্কিয়াত আর রশিদ ) এ মৌলভি আশেক ইলাহী মারাঠি লিখেছেন জৈনিক মুরিদ তার পীরের কাছে গিয়ে বললেন যে মুরিদ কেমন হওয়া উচিত আর শায়েখ কেমন হওয়া উচিত। তো শায়েখ বলেন তুমি কাল এস আমি বলব। পরের দিন সেই মুরিদ আসলে শায়েখ তাকে একটা চিটি দেন আর বলেন যে ইটা প্রাপকের কাছে পৌছে দাও। এক মাসের পথ অতিক্রম করে সে চিটির প্রাপকের কাছে পৌছে দিল। চিটির প্রাপক একজন সুদর্শন বালকের সহিত অবস্থান করিত। চিটি তে লেখা ছিল যে তুমি এর অনেক খেদমত করবে ও নিজের কামরায় থাকতে দিবে আর তোমার সাথের সুদর্শন বালক কে তার সাথে থাকতে দিবে এমন কি সে যদি ওই বালকের সাথে সমকামিতায় লিপ্ত হতে চায় তাও করতে দিবে। চিটির প্রাপক অনেক আদর যত্ন করে সে বালক কে সব কিছু খুলে বলে সেই মুরিদের (চিটির বাহক) সাথে ঘুমোতে পাঠিয়ে দিল। তার মনে হটাথ সমকামের খেয়াল আসলো আর সেই যুবকের প্রতি আকৃষ্ট হল। (দেওবন্দী বলে কথা) এমন সময় তার শায়েখ তার হাতে আঘাত করলো। মুরিদ বুঝতে পারল যে ইটা আমার শায়েখ এর হাত ছিল যে আমাকে আঘাত করলো। পরে সে লজ্জিত হয়ে পরের দিন রওয়ানা হল শায়েখ এর দিকে।  
আসার পর শায়েখ কে বলল এবার বলুন মুরিদ ও শায়েখ কেমন হওয়া উচিত। শায়েখ বলল যে , মুরিদ এমন হওয়া উচিত যা তার শায়েখ বলে ওই চিটির প্রাপকের মত পালন করে , আর শায়েক এমন হওয়া উচিত যে গোনাহ থেকে নিজের মুরিদ কে রক্ষা করে। (তাজ্কিয়াতুর রশিদ পৃষ্টা ২৬৮?-২৬৯ , দেওবন্দী ও তাবলিগ জামাত ১৯১) 

দেওবন্দী গন আগেও সমকামী ছিল ইটা একটা জলন্ত প্রমান।  
যাই হোক এখন কথা হচ্ছে যে দেওবিন্দী দের শায়েখ গণ এত পারে ? এমন কি ১ মাসের পথ দুরে থেকে ও মুরিদ কে নিজ হাত দিয়ে আঘাত করে ও গোনাহ থেকে রক্ষা করতে পারে।

আর আলা হজরত আহমাদ রেজা খান সাহেব একজন মুরিদ কে উপদেশ দিল যে এক স্ত্রীর জেগে থাকা কালীন অন্য স্ত্রীর সাথে মিলন করা উচিত হয় নাই ইটা অপরাদ হয়ে গেল অনার ? আশ্চর্য !!!!

ওদের মুজাদ্দেদ আশরাফ আলী থানবী তার কিতাবে লিকেছেন যে :- মুরিদ বিনয় , সম্মান ও সম্ভ্রম এর সাথে তার পারদর্শী শায়েখ এর অনুগত থাকবে যেমন মাইয়েত (মৃত বেক্তি) গোসল দাতার হাতে চুপ চাপ থাকে। ( আদাবুল মুয়াসারাত , শায়েখ এর আদব অধ্যায়, পৃষ্টা ৮৯-৯০) 

তোমাদের থানভী একজন মুরিদ কে মুর্দা বেক্তি মনে করে আর যা মন চায় করতে তাই করবে। এমন কি কখনো যদি পুরুষাঙ্গে বা পিছনে হাত দেয় তাতে ও মানা করা যাবে না। তোমাদের এগুলো কি চোখে পরে না ? নিজের পাচায় শসা ডুকছে তোমার , তুমি কাঠাল ওয়ালার চিন্তা কর ? যে তোমার পাচা ফাটছে ফাটছে কিন্তু শসা তো যাচ্ছে। এই এই চিন্তা করে খুসি হও !! যে কাঠাল ওয়ালার কি হবে ? তার পাচায় কাঠাল কি ভাবে যাবে ? হা ? 

তোমাদের কাজ কারবার ও কথা শুনলে আমার হাসি পায়। কারণ তোমাদের নিজের গোয়া এর খবর রাখো না আর অন্যের প্রতি ফতোয়া মার। এমন অনেক কিছু আছে আমার কাছে যা আমি নিজ হাতে লিখতে লজ্জা করি।  

আচ্ছা তোমাদের মত দেও-ভুত গণ , দুনিয়ার বোঝা। তোমরা জন্ম না নিলে কি এই দুনিয়াটা অপূর্ণ হয়ে থাকত ? 
বরং অনেক সুন্দর হত ও দেও-ভুত নামের দুর্গন্ধ থেকে সাধারণ মুসলিম গন শান্তিতে তে থাকত।  

সোহেল রানা
 —  

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন