শনিবার, ১৫ নভেম্বর, ২০১৪

রশীদ আহমাদ ডাকাতি ছেরে পীর সেজেছে

আজকে কয়েকটা দেওবন্দী দের একাউন্ট চেক করলাম , তো দেখলাম যে পীরদের প্রতি এক রকম তাদের চরম অবগ্গা কাজ করে যাচ্ছে ,যেমন একজন হারামের সন্তান হালালি দের প্রতি বিদ্বেষ এ লিপ্ত হয়। সমালোনা ,গিবত ,ও বিদ্বেষ ,দুশমনি , ঈর্ষা এই সকল কথা এক রকম হলেও অনেক পার্থক্য আছে। কিন্তু দেওবন্দী দের হাত থেকে কোনো দরবারের পীর সাহেবের নিস্তার মিলেনি। তাদের একটা অভিযোগ যে পীর খালি গরিবদের পকেট খালি করর চিন্তায় থাকে আর নতুন নতুন ইসু বানায়। তারা তো নিজে মাথায় পাগড়ি পড়তে পারে না ,আমাদের পাগড়ি দেখে জলন সুরু হয় ,আমাদের পাগড়ি খোলার সক্তি কারো নাই। নিজের মাথায় যে একটা রঙিন ধুতি পর সেটার খেয়াল কর। 


মূল কথা ;- যে পাকিস্তান এর চিফ ওফ জাস্টিস ও মুফতি আহমাদ সফি  উসমানী এর ছেলে ত্বাকি উসমানী এর কিতাব (ইসলাহী খুতুবাত ) এর খ ৮   এর ১৬৩ পৃষ্টায় লিখেছেন যে রশিদ আহমাদ গান্গুহী তার মুরিদ দের কে বলতেন যে ;- তোমরা আমার পিছনে পিছনে কেন ঘোর  ? আমি তো কোনো পীর না , বরং আমি হচ্ছি সেই ডাকাত যে কিনা দেখল যে ;- পীরদের কে লোকজন অনেক ইজ্জাত করে হাতে চুমু খায় ও না চাইতেই অনেক হাদিয়া দিয়ে থাকে,তখন মনে জাগলো ইটা তো দারুন বেবসা ,।আর আমি রাতের অন্ধকারে কষ্ট করে ডাকাতি করি। বরং আমি যদি পীর সাজি তো লোকজন আমাকে যা হাদিয়া দিবে তাতেই চলে যাবে ,রাত জেগে আর ডাকাতি করতে হবে না। আমি সেই ডাকাত যে কিনা হাদিয়ার জন্য ডাকাতি ছেড়ে দিয়ে পীর সেজেছি। (ইসলাহী খুতুবাত খ ৮ এর ১৬৩ নং পৃষ্টা )



এই খানে সুস্পষ্ট ভাবে প্রমানিত যে কে কি আর কি কে ? 

দেওবিন্দী দের কে এখন আমি বলছি যে ;- আমাকে কি জবাব  দিবেন যে আপনারা যে হাদিয়া নেয়ার কারণে সকল পীরকে ভন্ড ও অপবাদ দেন যে গরিব দের পকেট খালি করার জন্য এই পিরতন্ত্র , তো আপনাদের কিতাব থেকে তো প্রমানিত ফকিহ উল দেওবিন্দী রশিদ আহমাদ গান্গুহী নিজে ডাকাত থেকে পীর সেজেছেন সুধু হাদিয়ার জন্য। আগে তিনি ডাকাতি করতেন হয়ত বা ,নয়ত ডাকাত এর কথা বলবেন কেন ? 

আর আপনারা যে হাদিয়া কে কটাক্ষ করেন ,বরং হাদিয়া দেয়া ও নেয়া দুটোই সুন্নাত। এক সময় নবী পাকের সাথে দেখা করার জন্য হাদিয়া ওয়াজিব করা হয়েছিল পরে এই ওয়াজিব কে স্থগিত করা হয়। কিন্তু সুন্নাত চালু থাকে। নবী পাক নিজে হাদিয়া নিতেন এবং হাদিয়া দিতেন। আপনারা যদি একটা সুন্নাত কে নিয়ে কটাক্ষ করেন তা হলে আপনাদের ইমান আর সিরাতিম মুস্তাকিম বলে যে জিকির করেন তা কত জোরালো তারই প্রমান মিলে  সুধু। 

আমি সুধু এই কথাটা বলতে চাই যে আপনাদের নিজের পাচার খবর রাখেন। আপনার /আপনাদের প্রতিটা আপত্তি এর জবাব আপনার /আপনাদের বাপ দাদার কিতাব থেকে দিতে পারি আমি। 


এখন কি বলবেন যে আপনাদের ফকিহ উল দেওবন্দী রশিদ আহমাদ গান্গুহী ডাকাত ছিল ? বলবেন না 

বলবেন কি যে সুধু হাদিয়ার জন্য রশিদ আহমাদ গান্গুহী পীর সেজেছিল ? বলবেন না 


যদি অনার নিজ মুখ থেকে শিকারক্তির পরও ওনাকে ডাকাত ও হাদিয়ার জন্য পীর সেজেছিল বলতে না পারেন তাহলে অন্য সকল পীরদের প্রতি কিভাবে আঙ্গুল তুলে কথা বলেন ? নাকি হারামের সন্তান যে হালালি দের দেখেই জলন সুরু হয়ে যায় বুকে? ,পেটের মধ্যে মোচর মারা সুরু হয় ? সরিরের চামড়ার মধ্যে এলার্জি সুরু হয় ? 


এমন হওয়া আপনাদের বেলায় ঠিক আছে। 

মুল কিতাবের স্ক্রিন শুট কমেন্টস এ দেখুন 


সোহেল রানা 


কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন