সোমবার, ১৭ নভেম্বর, ২০১৪

তরিকায় আওর মোহাম্মদি -৩

গত কাল আমার পোস্ট ছিল আওর মোহাম্মদী তরিকার নাম করণ নিয়ে প্রশ্ন করেছিলাম। DESWA  তার জবাব দিয়েছে কমেন্ট করে তা দেখুন :- তাসাউফ সম্পর্কে বিন্দুমাত্র জ্ঞান থাকলে এমন প্রশ্ন পোস্ট দিতেন না। আউর মুহম্মদী তরিকা কার থেকে অনুমতি নিয়েছিলেন সেটা তো আপনার থেকে জিজ্ঞেস করতে হবে না। কাদরিয়া তরিকা বড় পীর সাহেব কোথা থেকে পেয়েছিলেন ?? চীশতীয় তরিকা খাজা সাহেব রহমতুল্লাহি কোথা থেকে পেয়েছিলেন ?? উনার পীর সাহেবে তরিকা বাদ দিয়ে নতুন তরিকা কেন চালু করলেন ?? এসব হচ্ছে জ্ঞানশূণ্য কথা। তরিকার ব্যাপারটা পুরোটাই একজন পীর সাহেবের ব্যক্তিগত ব্যাপার, এটা জন্য তিনি কোন মুরীদের কাছে জবাব দিহি করতে প্রস্তুত নন।


মাশাল্লাহ , আপনার জবাব শুনে আমি হয়রান কানারা যেমন হাতি দেখে হয়রান হয়। কে কানা আর কে চক্খুমান তা দেখুন :- পীরে দস্তগীর ,মাহবুবে সুবহানি ,কুতুবে রাব্বানী ,গাউসে সামদানী ,  সুলতানুল আরেফিন হজরত সাইয়েদ আব্দুল বাদীর জিলানি ক্দ্সরহুল  আজিজ রাহমাতুল্লাহে আলায়হে অনার তরিকার নাম নিজের নামানুসারে রেখেছেন কাদেরিয়া তরিকা। হজরত খাজা ইমামুত তরিকত সাইয়েদ বাহাউদ্দিন নকশবন্দী বোখারী রাহমাতুল্লাহে আলায়হে নিজের নামে নকশাবন্দী তরিকা নাম রেখেছেন। হজরত খাজা গরিবে নেওয়াজ মইনুদ্দিন চিশতী নিজের নামে চিস্তিয়া তরিকা। কিন্তু আপনার সাইয়েদ আহমাদ তো নিজের নামে তরিকার নাম না রেখে (আওর মোহাম্মদী ) বা আর মোহাম্মদী নাম রেখেছেন।  এখন মনে হচ্ছে সাইয়েদ আহমদের নিজেরেই জানা ছিল না সামান্য কিছু তাসাউফ এর বিষয়। আর একজন শায়েখ এর কাজ কি ? নাকি এমনেই আমি ভন্ড পীর ? ইলম এ তাসাউফ এর কিছু উসুল থাকে। চিশতিয়া তরিকায় ফানা ও বাকা এর ২০ স্তর ও অন্যান্য তরিকায় ১০০ স্তর এর কথা বলা হয়েছে। সেই সকল স্তর ভেদ এর পর একজন নিজেকে শায়েখ বলতে পারে , চিস্তিয়া এর ৫ স্তর ও অন্যান্য তরিকায় ১৭ স্তর ভেদ এর পর একজন মজ্জুব হয় , কামেল তো দূর অনেক।  এই সকল বিষয় আগে যেতে চাচ্ছি না। আপনি বলেছেন একজন পীর এর নিজস্য বিষয় সকল তরিকা বাদ দিয়ে কেন অন্য তরিকা চালু করলেন। এই বিষয় জবাব দিতে রাজি নন। 

জবাব থাকলে তো দিবেন ? না থাকলে কি দিবেন ? তাসাউফ শাস্ত্রের ও সেজরা সরিফে লেখা আছে কোনো কিছু সন্দেহ হলে পীর সাহেব কে জিগ্গেস করে ক্লিয়ার হয়ে নিবেন। উক্ত কথা থেকে প্রমান পাওয়া যায় মুরিদের ইসলাহ এর জন্য প্রত্যেক শায়েখ জবাব দিতে বাধ্য। আর আপনার মুজাদ্দেদ সাহেব ছিলেন চরম মুর্খ ও চোখে কানা। 

দেখুন ;- দেওবন্দী দের কিতাব ( দেওবন্দ আন্দোলন , ইতিহাস , ঐতিয্য ও অবদান ) বাংলাদেশ কৌমী শিক্ষা বর্ড থেকে পাঠ্য পুস্তক হিসেবে  প্রকাশিত ৯৯ নং পৃষ্টায় লিখেছেন যে ;- শাহ আব্দুল আজিজের নিকট সাইয়েদ আহমাদ গেলে তাকে একটা কিতাব পড়তে দেন।  তখন তাকে কিতাবের প্রতি অন্যমনস্ক দেখে শাহ আব্দুল আজিজ সাহেব জিগ্গেস করেন  পরচ না কেন ? তখন সাইয়েদ আহমাদ জবাব দেন যে আমি কাছের কোনো কিছু দেখতে পাই না ( দেওবন্দ আন্দোলন ) পৃষ্টা ৯৯-১০০


উপরের কিতাবটা কোনো আহলে সুন্নাহ এর আলেম লিখেন নাই। বরং দেওবন্দী দের কিতাব (দেওবন্দ আন্দোলন) থেকে দিলাম , আর দেওবন্দিদেরও মুজাদ্দেদ সাইয়েদ আহমাদ। আশা করি তারা নিজে থেকে তাদের মুজাদ্দেদ কে কানা বানাতে চায় না। 

আর একজন মুজাদ্দেদের কাজ কি তাও আপনার আশা করি জানা আছে। ১০০ বছরে ১ জন মুজাদ্দেদ জন্ম নেয়। কিন্তু  দেওবন্দিদের কিতাব (জাখিরায়ে মালুমাত) মাওলানা মুহাম্মদ গোফরান রাশিদী কিরান্ভির লেখা কিতাবের ৭৩ নং পৃষ্টায় হিজরী ১২০০-১৩০০ এর মুজাদ্দেদ এর নাম উল্লেখ করেছেন (১) সাইয়েদ আহমাদ শাহিদ (২) রশিদ আহমাদ গান্গুহী (৩) কাসেম নানুতাভি (৪) আশরাফ আলী থানবী।  যে খানে ১০০ বছরে একজন মুজাদ্দেদ জন্ম দেন কোনো পুণ্যবতী মা , তখন সুধু ১২০০-১৩০০ হিজরী তে ৪ জন মুজাদ্দেদ সুধু আপনাদের মাঝেই। কে আসলে মুজাদ্দেদ ছিল ?সাইয়েদ আহমাদ যদি মুজাদ্দেদ হয়ে থাকে তাহলে মোজাদ্দেদ এর উপর যে সকল দায়িত্ব বর্তায় তার কি করেছে সাইয়েদ আহমাদ তা আমি আপনাকে তুলে ধরতে অনুরোধ করছি। আর হিজরী ১- থেকে আজ পর্যন্ত যদি কোনো কানা আর মুর্খ মুজাদ্দেদ কিন্তু আসে নাই। ইটা খেয়াল রেখে উত্তর দিবেন আশা করছি।  

আর আপনি আমাকে মিত্তুর ভয় দেখিয়েছেন অনলাইন এ। আমি প্রতিদিন কতবার মিত্তু বরণ করি আর জীবন ফিরে পাই আমার জানা নাই সঠিক। যে প্রতিদিন মিত্তু কে আর কবর কে মনে করে কেদে কেদে দিন আর রাত কাটায় তাকে মিত্তুর ভয় দেখানো মরা কে মারতে চাওয়ার সামিল। অনলাইন তো কোনো বিষয় না। 


আপনার হুমকি আমি সাদরে গ্রহণ করলাম।

 (১)সীনে পে খানজার হি নেহি , আখোমে পানি ভি হো

(২) দুষমনি কবুল মুঝে লেকিন, ওভি খানদানি হো 


মূল কথা :- 


অনেকের অনেক মতামত নাম করন নিয়ে :

 ১, (তরিকায় মোহাম্মদী ) কিতাব এর ৫৬ নং পেজ এ শাহ আবদুল লতিফ কেবলা ফুলতলি বলেন ৪ তরিকার নাম তরিকার বুযুরগ দের নামে করা হয়েছে ৷ তেমনি ভাবে আমির উল মোমেনিন(লকব লাগাতে খরচ হয়না) সৈয়দ আহমেদ যে তরিকায় তরবিয়ত দিতেন এর নাম -তরিকায় মোহাম্মদী  ৷ তরিকার নাম তার নিজের নামে তরিকায় আহমেদিয়া না হয়ে  মোহাম্মদী হওয়া বিষেস বৈশিষঠ ৷

আমার দাবি ; আপনার মতে ও তরিকায় আহমেদিয়া নাম হওয়া ঠিক ছিল ৷তিনি যদি এখনও বেচে থাকেন আর কেউ যদি ওনার কাছ থেকে বিষয়টা জেনে একটু জানাতেন মোহাম্মদী নাম রাখার বৈশিষ্ট তা কি তো আগামিতে আমি এই কথাটা আর তুলতাম না ৷


২৷ (হযরত শাহ জালাল)  কিতাব এর সিলেট ধরমিও আনদোলন শিরোনাম এ ১৫৮ নং পেজ এর শেষে বলা হয়েছে যে ;মোহাম্মদীবিন আবদুল ওহাব নজদি ( মোহাম্মদী আনদোলন) এর হোতা ছিলেন তা ওহাবি আনদোলন নামে পরিচিতি পায় ৷ সৈয়দ সাহেবের আনদোলন ছিল সংসকার মুলক ৷তিনি এর ভিততি সথাপন করেছিলেন তাসাউফ এর উপর 
তাসাউফ এর উপর যে সকল তরিকার চলিত ছিল সে গুলোর কোনটাই saport না করে তিনি পরিপূর্ণ সুন্নাত এর উপর তার আকিদার ভিত তৈরি করেন ৷তার এই ণতুন তরিকার নাম ডেয়া হয়ছিল তরিকায় মোহাম্মদী

3 . মাসিক দিন দুনিয়া চট্রগ্রাম থেকে প্রকাশিত ২০০০ মে এর সংখা ও ১৪ নং পেজ( ইমান এর দীপ্ত মশাল )শিরোনাম এ বলা হয় সৈয়দ সাহেব এর আনদোলন ছিল সংসকার মুলক ও তার ভিত তাসাউফ এর উপর ৷প্রচলিত তাসাউফ এর ক্ষেত্রে যেসব তরিকা প্রচলন ছিল তার কোনটাই সরাসরি সাপোর্ট না করে পরিপূর্ণ সুন্নাত ও তরিকার উপর তিনি তরিকার ভিত্তি স্থপন করেছিলেন ৷ তিনি প্রকাস্য ঘোসনা করেছিলেন যে সিন্দু ,পারসসো ,রোম, হিজ্দুস্থান এর যে সব তরিকার প্রচলন আছে ও যা কিছু বিদাত দুখেছে তা সব কিছুই সাহাবী ও নবী পাক এর সুন্নাত বেতিত সবই পরিতাজ্য ৷সুধু তাই নয় আমি এইসব তরিকা ও সকল কিছুর প্রতিবাদ ও প্রতিরোধ জরুরি মনে করি. 


4 .মাসিক পরোয়ানা এর ১৯৯৯ এর মে মাসের (তরিকায় মোহাম্মদী ও ওহাবী ) শীর্ষক শিরোনমে মৌলানা নুরুল ইসলাম লিখেছে তরিকায় মোহাম্মদী কোন নতুন সতন্ত্র তরিকা নহে ৷ হিন্দুস্থান এর জিহাদী আন্দোলন কে তরিকায় মোহাম্মদী বলা হয় ৷


এদের একজন এর কথার সাথে আর একজন এর কোনো মিল নাই৷ তারা সায়েদ সাহেব কে বড় করতে গিয়ে খালে পরে গেছে ৷
এখন আমার কথা হছে তিনি কোনো তরিকা কে সাপোর্ট করেন নাই তা আপনাদের মাসিক পত্রিকা থেকে প্রমানিত আরও অনেক আছে আমার কাছে আপনার চাইলে আমি পরে দিব ৷ তিনি বরং আব্দুল ওহাব এর মত আন্দোলন করেছেন এমন কি আপনাদের পত্রিকা বলতেছে যে তিনি কোনো তরিকা কে সাপোর্ট করতেন না,
তিনি একন সাহস কোথায় পেলেন ? কি প্রমান আছে আপনাদের  কাছে৷ দিবেন কি ? 

আমি যেমন সুন্দর করে আইটকা ওয়ালা বাশ আপনার খেদমত এ হাজির করেছি আশা করছি আপনি আমার মতই একটা বাশ সুন্দর করে তৈরী করবেন যা দেখে আমি দা নিয়ে ঝোরার  জন্য কিছু সময় বেয় করব।


সোহেল রানা 


কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন