শনিবার, ১৫ নভেম্বর, ২০১৪

থানবি ও সাইয়েদ আহমাদ এর ইংরেজ দালালি

পোস্টটা মন দিয়ে পড়ুন ;- 

দেওবন্দীরা যে করা তা আপনি চিন্তা করেই পারবেন না। এদের দালালি আর অলি আওলিয়া কেরাম নবী পাক আলাইহিস সালাম এর দোষ আর কমজোরী খুঁজে খুঁজে এদেত রাতে ঘুম আসে না। আর ইংরেজ দের দালালি ছাড়া এদের পেটের ভাত জুট না।  এরা বলে বাড়ায় আমরা ইংরেজদের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করেছি ইটা সেটা হেন টেন অনেক কিছু। কিন্তু বাস্তব চরিত্র অনেক কুত্সিত। দেখুন 

দেওবন্দ মাদ্রাসার অনুসারী মলোভি আহসান নানুতাভির জীবনী লেখক দেওবন্দ মাদ্রাসার সম্পর্ক ব্রিটিশ সরকারের লেফ্তানান্ট এর নির্ভরযোগ্য গোয়েন্দা (পামের) নামের একজন ইংরেজ এর বক্তব্য টুকে ধরেছেন যে ;- এ মাদ্রাসা দিন দিন উন্নতি করেছে। ৩১ জানুয়ারী রোববার ১৮৭৫ ব্রিটিশ জেনারেল এর নির্ভরযোগ্য বেক্তি পামের এ মাদ্রাসা দেখা মাত্রই ভালো ধারনা প্রকাশ করল যে :- যে কাজ বড় বড় কলেজ গুলোতে হাজার হাজার টাকা ঢেলে সম্পন্ন হয় , তা এখানে অতি অল্প খরচেই হয়ে যায়। যে কাজ একজন প্রিন্সিপাল হাজার হাজার টাকা নিয়ে সম্পন্ন করেছে , সেই কাজ এখানে একজন মলোভি ৪০ টাকা বেতনে করেছে। এ মাদ্রাসা ব্রিটিশ সরকারের বিরোধী নয় বরং সমর্থক,সহায়তাকারী ও সহযোগী (মাওলানা মুহাম্মদ আহসান নানুতাভি ) জীবনী কিতাব পৃষ্টাপ ২১৭  


এই খানে তাদের কিতাব থেকেই একটা প্রমান যে তারা ইংরেজ বিরুধী ছিল না বরং ৪০ টাকা বেতন পেয়ে ছাত্রদের ব্রেন ওয়াশ এর কাজ সুন্দর ভাবে করত। আর ব্রেন ওয়াশ হয়ে বের হয়ে  আশা নামে মুসলিম দের দিয়ে কি হতে পারে তা  আপনাদের জানা আছে। এই দেওবন্দ মাদ্রাসা তত্কালীন পাকিস্তান তৈরির ও বিরুধী ছিল , সময় পেলে প্রকাশ করব ইন্শাল্লাহ। পাকিস্তান এ যত জঙ্গি গ্রুপ আছে তা সবাই দেওবন্দী। পাকিস্তান কে তত্কালীন দেওবন্দ আলেম রা নাপাক্স্থান বলত। পাকিস্তান কে ধংসের জন্য ইন্ডিয়ার গোলাম হয়ে এই দেওবন্দ মাদ্রাসা থেকেই পাকিস্তানি পাঠান সুয়ার দের দিয়ে পাকিস্তান এর মসজিদ ,মাদ্রাসা , বাজার ও বিল্ডিং গুলো ধংশ করছে। 


আরো দেখুন আশরাফ  আলী থানবীর দালালি এর বিষয় এ তাদের কিতাব (মাকালামাতুস সাদেরিন ) ৯ নং পৃষ্টায় লিখেছেন যে ইংরেজ গভর্মেন্ট থেকে প্রতি মাসে আশরাফ আলী থানবী সাহেব কে ৬০০ টাকা দেওয়া হত। আর এই টাকা মলোবি রশিদ আহমাদ গান্গুহির মাধ্যমে পৌছানো হত (মাকালামাতুস সাদেরিন ) পৃষ্টা ৯ 


আব্দুল্লাহ আহমেদাবাদী উপরোক্ত দাবির খন্ডন করে লিখেছে যে পরে যখন জানতে পারে মলোভি আশরাফ আলী থানবী যে এই টাকা ইংরেজ দের থেকে আস্ত তখন নাকি ফেরত  দিয়েছিলেন সেই টাকা আশরাফ আলী থানবী সাহেব। আমার কথা হচ্ছে যে আপনাদের কুতুবুল এরশাদ মৌলভি রশিদ আহমাদ গান্গুহির মাধ্যমে এই টাকা আস্ত আশরাফ আলী থাকবি সাহেবের কাছে। মেনে নিলাম কিছু খন এর জন্য আশরাফ আলী থানবী সাহেব জানত না এই টাকা কথা হতে আস্ত। কিন্তু রশিদ আহমাদ গান্গুহীর মাধ্যমে এই টাকা যেহেতু আসত সেহেতু ইটা মধ্যাহ্ন সূর্যের নেয় প্রমানিত যে রশিদ আহমাদ গান্গুহী ইংলিশ এর এজেন্ডা ছিল। 


মাকালামাতুস সাদেরিন কিতাবের ৮ নং পৃষ্টায় মাওলানা হিফজুর রহমান বলেছেন  যে ;- তাবলিগ জামাতের প্রতিষ্টাতা মাওলানা ইলিয়াছ সাহেব তাবলিগী আন্দোলন এর প্রাথমিক পর্যায় ইংরেজ দের কাছ থেকে কিছু টাকা হাজী রশিদ আহমাদ গান্গুহী সাহেবের মাধ্যমে পেতেন। কিন্তু পরে তা বন্ধ হয়ে যায়। (মাকালামাতুস সাদেরিন ) পৃষ্টা ৮ 


উপরোক্ত বর্ণনা ২ তা  সুস্পস্ট ভাবে প্রমানিত হয় যে দেওবন্দী রা হচ্ছে ইংরেজ দ্বারা পালিত। আর এদের অন্যতম প্রধান এজেন্ডা ছিল এদের কুতুবুল এরশাদ হাজী রশিদ আহমাদ গান্গুহী। 


দেওবন্দী দের অন্যতম রাজনৈতিক সংঘটন জমিয়তে ওলামায়ে ইসলাম এর বিষয় (মাকালাতুস সাদেরিন )এর ৭ নং পৃষ্টায়  বলা হয়েছে যে ;- কলকাতা জমিয়তে ওলামায়ে ইসলাম সরকারের ইঙ্গিতেই ঘটন করা হয়েছে (মাকালামাতুদ সাদেরিন পৃষ্টা ৭ ) 



এই সকল কারণে দেওবন্দ এর অন্যতম নেক্তিত্ব আমের উসমানী দেওবন্দ থেকে  প্রকাশিত (তাজাল্লি) পত্রিকায় (দেওবন্দ সে ) বাংলা অর্থ হচ্ছে (দেওবন্দ থেকে ) নামের একটা কবিতা লিখে প্রকাশ করেছেন আমি তার কয়েকটা লাইন বাংলায় লিখে দিচ্ছি    .আপনাদের কারো পুরা কবিতা উর্দু ও বাংলায় দেখতে চাইলে বলবেন আমি কিতাবের পেজ দিয়ে দিব। 


১) যুগের পরিবর্তনের এ কি জাদু মন্ত্র দেখতে পাচ্ছি ? 

হে দেওবন্দ , তোমার শোচনীয় অবস্থা দেখতে পাচ্ছি। 

২) গুটিয়ে এসেছে সমুদ্র তীর ! থেমে গেছে ঢেউ গুলো !! 

তোমার সমুদ্রে কেন অচলাবস্থা দেখতে পাচ্ছি ? 

৩ ) তোমার এ কোল থেকে অসংখ মুজাহিদ গড়ে উঠেছে ,

অন্য দিকে ওপর লোকদের দুঃখ জনক শিকার দেখতে পাচ্ছি। 

৭) তোমার ফতোয়া বানের আঘাতে পূর্ববর্তী বুজুর্গ গনের বুক ঝাজরা হয়ে গেছে 

কাফির বলার ক্রুম্বর্দমান আগ্রহ দেখতে পাচ্ছি। 

৮) তুমি পরকে ভালবাস , আপনকে ভাব পর !!! 

তোমার মধ্যে পরিবর্তিত উন্মাদনারই ধরন দেখতে পাচ্ছি।  

৯ ) হায়রে ফতোয়া প্রণয়নের পদমর্যাদা তোমার !!!!ফতোয়ার এ কেমন ঘন অন্ধকার? 

শয়তান এর কর্ম আর নৈপুন্যই দেখতে পাচ্ছি।  (মাসিক তাজাল্লি ) দেওবন্দ থেকে প্রকাশিত পৃষ্টা ৫৩ ১৯৫৭ ইংরেজি 


আমি অধম কবিতাটা লিখে দিলাম। দেখুন তারা তাদের বুজুর্গ দের কে মান্য করে না। বুজুর্গ দের মাথার পাগড়ি নিয়ে এরা লেগে থাকে। আরে ও দেওবন্দী।হোস কর। ফিরে যা সেই আকিদায় যে আকিদায় হাজী ইমদাদুল্লাহ মুহাজেরে মক্কী (রহ) 

যে আকিদায় শাহ অলিউলাহ (রহ) এর খানদানের পুর্ববির্তি বুজুর্গ রা ছিল। এমন দেওবন্দ এর আকিদা ছেড়ে দিয়ে অলি আওলিয়া দের কদমে পরে থাক যেই পির সাহেব তদের কে ভালো লাগে। আমি তোমাদের সুধু ডাকছি। হয়ত একদিন তোমাদের কে সুধুই লোকজন খোচা মেরে মেরে পোস্ট করবে তোমাদের বুজুর্গ দের কিতাব থেকে। কিন্তু এই ভাবে দাওয়াত দিবে না যে বুজুর্গ দের আকিদায় ফিরে যাও। 

সোহেল রানা 


কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন