সোমবার, ১০ নভেম্বর, ২০১৪

আমি আসল চুন্নি উরফে লতা নাহিদা নামের দেওবন্দী হিজরা

আমি আসল চুন্নি উরফে লতা নাহিদা নামের দেওবন্দী হিজরা একটা পোস্ট করেছে হজরত মাওলা আলী কারামুল্লাহ রাযিয়াল্লাহ এর কথা উল্লেখ করে তা দেখুন ;- 

একদা হযরত আলী রাঃ এর কাছে রোমের বাদশা একটা পত্র প্রেরণ করলোঃ তাতে লেখা ছিলোঃ হে আলী আমি জানতে পারলাম যে আপনার সাথে মুয়াবিয়ার দন্দ . আপনি চাইলে আমি আপনার পক্ষ নিয়ে মুয়াবিয়ার বিরুদ্ধে যুদ্ধ করে আপনার শত্রু শেষ করে দিতে চাই । 
আলী রাঃ প্রত্র পেয়ে তার উত্তরে বলেছিলেনঃ হে রোমের কুত্তাঃ তুমি যদি মায়াবিয়া রাঃ এর বিপরীত যুদ্ধ করো তবে মায়াবিয়া রাঃ এর পক্ষে ও তোর মুকাবেলায় প্রথম যেই তরবারীটি উত্তোলণ হবে , সেটি হবে আমি আলী এর তলোয়ার . আল্লাহু আকবার , আল্লাহু আকবার , 

এর পর লিখেছে আহলে হক এর নিজেদের ঝগড়ায় নাক না গলাতে। 

লতা নাহিদা ;- যদি তোমার জন্মের দোষ না থাকে তা হলে তোমার উক্ত পোস্ট এর দলিল দাও। রেফারেন্স না কিতাবের পেজ দয়া করে। কারণ যেমন মিথ্যাচার পোস্ট নিয়ে কর ঠিক তেমন রেফারেন্স ও মিথ্যা দিতে পারবে তোমরা। আর নিজেদের কে হক প্রমান কর। 


আমার দাবি হচ্ছে এই কথাটা হজরত মাওলা আলী কারামুল্লাহর না। এই কথাটা হজরত মুয়াবিয়া রাযিয়াল্লাহ এর বলা। এই কথাটা দেওবন্দী দের প্রখ্যাত আলেম মোহাম্মদ সফির ছেলে  ত্বাকি উসমানীর লেখা কিতাব (ইতিহাসের কাটগড়ায় হজরত মুয়াবিয়া) কিতাবের ১৭৭ নং পৃষ্টায় তুলে ধরেছেন এই ভাবে যে ;- ইসলামী উম্মাহর রক্ত ক্ষয়ি সংঘর্ষে রোমের সম্রাট সিরিয়ার সীমান্তে সন্য পাঠাতে প্রস্ততি নেন। এই সংবাদ পাওয়া মাত্র হজরত মুয়াবিয়া কঠোর হুশিয়ারী উচ্চারণ করে লিখে পাঠালেন ;- আমি জানতে পেরেছি তুমি আমাদের সীমান্তে সন্য পাঠানোর ফন্দি করতেছ।  কান খুলে সুনে রাখো , তখন আমি মুহূর্ত দেরী না করে আমার ভাইয়ের(হজরত আলীর )  সাথে সন্ধিতে উপনীত হব ও আমার ভাই প্রথম যে সন্য দল তোমার বিরুদ্ধে প্রেরণ করবে সেই দলের প্রথম কাতারে সামিল হয়ে তোমার কনস্টান্টিনপলকে চাই ও ভস্মে পরিনত করব। সুতরাং পত্র পাঠ করে তুমি ভালো মানুষ হয়ে যাও (ইতিহাসের কাটগড়ায় হজরত মুয়াবিয়া ) ১৭৭ নং পৃষ্টা লেখক ত্বাকি উসমানী। 

এই ঘটনা আরো বর্ণিত  হয়েছে (তাজুল উরস , মাদ্দা ইস্তিফিলীন খ ৭ পৃষ্টা ২৭৭) 


এর পর আমাদের সুন্নি দের কে উদ্দেশ করে লিখেছে যে আমরা জিহাদ করতে রাজি না। জিহাদের নাম শুনলেই নাকি আমরা ভয় পাই। তারা চায় যে আমরাও তালেবান হয়ে মুসলিম দের হত্যা করি জিহাদের নাম করে। আপনাদের কে সামান্য একটা প্রমান দিচ্ছি কয়েকদিন আগে যে পাকিস্তান এ বম্ব ব্লাস্ট হয়ে ৫০ এর অধিক লোক মারা গেল তারা করা ? (তেহরিক এ আহারার ) নামের একটা জঙ্গি সংগঠন ইটা শিকার করেছে যে তারা এই কাজ করেছে । 


আহরার দেওবন্দী দের একটা রাজনৈতিক সক্রিয় পার্টি। .যা সাবেক পাকিস্তান তৈরির বিরুধী ছিল। চমনিস্তান , পৃষ্টা ৪।  


ইনশাআল্লাহ  এই বিষয় একদিন বিস্তারিত পোস্ট করব। তারা আজ পর্যন্ত পাকিস্তান এর ধংসের কাজ চালিয়ে  যাচ্ছে।  । পাকিস্তান এ যত গুলো জঙ্গি সংগঠন আছে তার সবগুলো দেওবিন্দী দের। 


 এরা হচ্ছে আব্দুল ওহাব নজদি এর  অনুসারী জারা মক্কা ও মদিনায় লুটতরাজ চালিয়েছিল এবং নবী পাকের রওজা মোবারক এর গম্বুজে ৪ টা গুলি লেগেছিল। মক্কা ও মদিনায় অস্ত্র উচিয়ে ধরে চলা হারাম। আর এরা সেই সকল জায়গায়্ মুসলিম দের কে হত্যা করেছে। সময় সল্পতার কারণে দীর্গ করছিনা। এই বিষয় দলিল এর প্রয়োজন হলে আমাকে জানাবেন। কিতাবের পাতা দিয়ে দিব। 


দেওবন্দী গণ যে কথায় কথায় জিহাদ জিহাদ বলে কিন্তু এদের গুরুদের কান্ড কারবার গুলো মনে হয় এরা ভুলে গেছে। আপনার হয়তো পড়েছেন আমি বিগত দিনে পোস্ট করেছিলাম মাফ্কুদের মাসায়েল (নিখোজ স্বামীর ) বিষয় যে ৯০ বছর পর্যন্ত স্ত্রী কে অপেক্ষা করতে হবে নিখোজ স্বামীর জন্য। এই বিষয়ের সঠিক জবাব এর আশায় আমি আজ ও আছি আর কোনো দেও-ভুত দিতে ও পারে নাই।  

যাই হক আজকে এই বিষয় কথা না। কথা হচ্ছে যে :-(মালফুজাত এ হাকীমুল উম্মত ) কিতাবের ৮ম খন্ডের ৩৭ নং পৃষ্টায় লিখেছেন 
যে :- যৈনিক বেক্তি এসে আশরাফ আলী থানবী কে বলল যে ঈমাম (আবু হানিফা রহ) সাহেবের পর (মাফ্কুদ আল খবর) নিখোজ স্বামীর বিষয় টা একটা জটিল বিষয় হয়ে দাড়িয়েছে। মাওলানা আশরাফ আলী থানবী এই বলে উম্মা প্রকাশ করলেন যে ;- হা ইটা একটা জটিল সমস্যা , আর কোরানে পাকে যে জিহাদের বর্ণনা দেয়া হয়েছে তাও একটি বিশাল জটিল সমস্যা হয়ে দাড়িয়েছে। সুতরাং কোরান থেকে এটাও উচ্ছেদ করো (নাউজুবিল্লাহ ) 

সুত্র ;- মালফুজাত এ হাকীমুল উম্মত ৮ম খ পৃষ্টা ৩৭ , দেওবন্দী ও তাবলিগ জামাত ,পৃষ্টা ২০৭ 


দেখুন। আরো ভালো করে দেখুন। এরা করে জিহাদ। পাকিস্তান এইকুত্তা দেওবিন্দী  জঙ্গিদের অভয়াস্থল। অথচ পাকিস্তান এ হাজার হাজার খ্রিস্টান আছে ও তাদের গির্জা আছে। আজ পর্যন্ত কি আপনারা শুনেছেন ! যে তারা খ্রিস্টিয়ান দের গির্জায় হামলা চালিয়েছে ? চালায় নাই।এদের জিহাদ হচ্ছে মুসলিম দের বিরুদ্ধে , যেমন আব্দুল ওহাব নজদি যুদ্ধ করেছিল কিয়ামত পর্যন্ত যুদ্ধ হারাম মক্কা মদিনায়। আর এদের বাপ শাহ ইসমাইল ও সাইয়েদ আহমাদ।  

এরা বলে সাইয়েদ আহমাদ না কি ইংরেজদের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করেছে। তারা যদি তাদের কোনো কিতাব থেকে দেখাতে পারে আমাকে যে সাইয়েদ আহমাদ ও শাহ ইসমাইল একটা ইংরেজ কে মেরেছে , আমি ওদের হাতে তাওবা করব। তারা শিখদের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করেছিল , কিন্তু তা আফিমের খেত লুট নিয়ে সাইয়েদ আহমাদ এর পুরাণ দুশমনি রঞ্জিত সিংহের সাথে তা নিয়ে এবং ইংরেজদের পক্ষ নিয়ে। যার যত প্তমান লাগবে আমাকে জানান। আমি দিব। 


দেওবন্দ মাদ্রাসার অনুসারী মলোভি আহসান নানুতাভির জীবনী লেখক দেওবন্দ মাদ্রাসার সম্পর্ক ব্রিটিশ সরকারের লেফ্তানান্ট এর নির্ভরযোগ্য গোয়েন্দা (পামের) নামের একজন ইংরেজ এর বক্তব্য তুলে  ধরেছেন যে ;- এ মাদ্রাসা দিন দিন উন্নতি করেছে। ৩১ জানুয়ারী রোববার ১৮৭৫ ব্রিটিশ জেনারেল এর নির্ভরযোগ্য বেক্তি পামের এ মাদ্রাসা দেখা মাত্রই ভালো ধারনা প্রকাশ করল যে :- যে কাজ বড় বড় কলেজ গুলোতে হাজার হাজার টাকা ঢেলে সম্পন্ন হয় , তা এখানে অতি অল্প খরচেই হয়ে যায়। যে কাজ একজন প্রিন্সিপাল হাজার হাজার টাকা নিয়ে সম্পন্ন করেছে , সেই কাজ এখানে একজন মলোভি ৪০ টাকা বেতনে করেছে। এ মাদ্রাসা ব্রিটিশ সরকারের বিরোধী নয় বরং সমর্থক,সহায়তাকারী ও সহযোগী (মাওলানা মুহাম্মদ আহসান নানুতাভি ) জীবনী কিতাব পৃষ্টাপ ২১৭  



 আর এদের ইংরেজ দের গোলামির লম্বা লম্বা পোস্ট আছে আমার। এদের দালালি করে দিন গেছে।  কখনো হিন্দুদের কে খুসি করার জন্য আর কখনো ইংরেজদের কে খুসি করার জন্য। 

কখন ও কখন ও হিন্দুদের ভারত ঠাকুর এর তৈরী ইয়োগা কে  নামাজের সাথে তুলনা আবার কখনো হিন্দুদের খুসি করার জন্য গরু কোরবানী বন্ধের পায়তারা করা।  কখনো মহাত্মা গান্ধীর নাম কবিতা রচনা করা কখনো জয়াহের লাল নেহেরুর  শানে কবিতা লেখা। আমি যদি তাদের রচিত কবিতা গুলো একদিন একদিন করে পোস্ট করি  তাহলে এক একটা ইসু বানাতে পারি। মহাত্মা গান্ধীর শানে লেখা একটা কবিতার চার লাইন দেখুন 

ইটা লিখেছে মলোভি ইকবাল সোহায়েল 


তেরি শান কন ঘটা সাকে ? 

ইসে খুদ খোদানে বাড়ায়া 

কি তুঝে বাকায়া দাওয়াম 

তুঝে মান্সব এ স সায়দা দে দিয়া 


বাংলা ;- (হে গান্ধী) তোমার মর্যাদা কে কম করতে পারে 

এ তো খোদা নিজে বাড়িয়ে দিয়েছেন 

তিনি তোমাকে চির স্তাহ্য়িত্ব দিয়েছেন 

তোমাকে শহীদ দের মর্যাদা দিয়েছেন 

(মাসিক ফারান ) করাচি পৃষ্টা ৫৩ , ১৯৫৩ 




তো দেখুন এরা হিন্দুদের এই গান্ধী ও শাহিদ ও এই গান্ধীর শান না কি আল্লাহ বৃদ্ধি করেছেন এবং চির স্থায়িত্ব দান করেছেন।  এখন আপনারাই বিচার করুন।  


যাদের দিন গেছে কখনো ইংরেজদের খুসি করতে এবং হিন্দুদের খুসি করতে তারা আবার করে জিহাদ। যাদের চোখ আছে তারা দেখে নিন এবং বুঝে নিন। 



কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন