রবিবার, ২৮ আগস্ট, ২০১৬

লুতফর রহমান ফরাজির জবাব নানুপুর কিন্ডার্গার্ডেন হামলার অপবাদ দেয়ার কারনে

শ্রদ্ধেয় লুৎফর রহমান ফরাজী সাহেব।  

আস্সালামুআলাইকুম ওয়া রাহমাতুল্লাহ ওয়া বারাকাত।  

আপনার অনেক ভিডিও দেখেছি  পঙ্কল শুনেছি , আপনার ফোনকলে আহলে  খবিস আলেমগণ নিজেদের  ভাষা হারিয়ে ফেলে তও শুনেছি।  সত্যি কথা বলতে আমি আমি মন থেকে আপনাকে সমফমান করি।  

 অতঃপর অনেক আগে আপনি নিজের ফেসবুক আইডি থেকে আমাকে রিকুয়েস্ট করেন আমি এড  করি।  পরবর্তীতে আপনি আমার পক্সফ্ট দেখে আপনার  অসাদ্ধ ভেবে ব্লক মেরেছেন  


 আপনার গতকালকের পোস্টের  স্ক্রিন শুট পেলাম এক ভাইয়ের মাধ্যমে।  দেখলাম আপনার পোস্ট আর অবসোস হল আমার , তাই লিখতে হচ্ছে 


 পয়েন্ট ;---

কবর মাজার পূজারের জঙ্গীপনা ;- চিন্তা করছি একজন আলেম হয়ে কি করে আপনি আহলে সুন্নাহর লোকদের কে কবরপূজারী   মাজার পূজারী বলার সাহস করলেন ? তারা মাজারে যায় এই কারনে ?

মাজারে যাওয়ার কারনে যদি মাজার পুাজরি হতে হয় , মাজার থেকে কিছু চাওয়ার কারনে যদি কবর পুজারি হতে হয় , তাহলে আপনি কে

*****নিচের কথা গুলোর জবাব দিন

 ()  -মাওলানা ইয়াকুব সাহেবের মজ্জুবি অবস্থায় একটা ধারনা বদ্ধমূল হয়েছিল যে তিনি অপুর্ন রয়ে গেলেন ।হাজী এমদাদুল্লাহ মুহাজের মক্কি কুদ্দেসা সিরহুল আজীজ (রহ) তো মক্কায় সেখানে যাওয়া সম্ভব নয় তবে আমার পুর্নতা দান হযরত নানুতভী গাংগুহি করতে পারেন ।তাই তিনি বার বার ওনাদের কে বলতেন যে , আমাকে পুর্নতা দান করুন তারা জবাবে বলতেন এখন তো আপনার মধ্য কোন ঘাটতি নেই , আর যদি সামান্য ঘাটতি থেকে থাকে তবে , দেওবন্দ মাদ্রাসায় হাদিস পাঠ করালেই তা পুর্নতা পাবে ।তাই আপনি শিক্ষাদানে নিয়েজিত থাকুন . শিক্ষাদানই আপনার পুর্নতার জিম্মাদার
মাওলানা ইয়াকুব সাহেব অসন্তুষ্ট হয়ে বলতেন যে , এরা উভয় ( গাংগুহি নানুতভী ) কৃপনতা করছেন সব কিছু নিয়ে বসে আছেন কিন্ত্ আমার বেলায় কৃপনতা করছেন ( খাজা গরিবে নেওয়াজ পৃষ্টা নং
আমার ভাই যদি বিরক্ত বোধ না কর তবে বাকি টুকুতে মনযোগ দাও /
এরপর;------ এদিক থেকে নিরাশ হয়ে যাওয়ার পর তিনি আজমীর যাওয়ার জন্য মনস্থির করেন যেন খাজা গরিবে নেওয়াজ থেকে ফয়েজ প্রাপ্ত হয়ে পুর্নতা লাভ করেন পুর্ব চিন্তা অনুযায়ি তিনি আজমির চলে গেলেন রওজার পাশাপাশি নিকট্স্ত একটা পাহাড়ে আস্থানা তৈরি করলেন
প্রায় সময় মাযার শরিফে গিয়ে দির্ঘক্ষন মুরাকাবায় নিয়োজিত থাকতেন একদিন মুরাকাবায় হযরত খাজা মুইনুদ্দিন চিশতি (রহ) থেকে এরশাদ হল যে ;- আপনার পুর্নতা দেওবন্দ মাদ্রাসায় হাদিস পড়ানোর দ্বারাই হবে আপনি দেওবন্দ চলে যান এবং একই সাথে খাজা (রহ) এর এই উক্তিটা শোনা গেল যে , আপনার আয়ু আর ১০ বছর বাকি আছে এতে আপনার পুর্নতা হয়ে যাবে ( খাজা গরিবে নেওয়াজ পৃষ্টা নং


এখন আপনাদের দেওবন্দ মাদ্রাসার মুহাতামিম ইয়াকুব সাহেব খাজা মুইনুদ্দিন চিশতি (রহ) এর মাজারে গেল , মাজারের পাশে অদুরে মোরাকাবা করত , খাজা মুইনুদ্দিন চিশতি (রহ) থেকে তিনি পুর্নতা চাইল এ সবের প্রমান পাওয়ার পরেও কেন মাওলানা ইয়াকুব সাহেব কবর পুাজরি হবেন না বলবেন কি ? 


প্রশ্ন নং ;- আশরাফ আলী  থানবী সাহেব নিজের কিতাব ইমদাদুল মুশ্তাক কিতাবের ১১৩ নং
পৃস্টায় লিখেছেন যে , তিনি হাজি ইমদাদুল্লাহ মুহাজের মক্কি (রহএর পীরের ঘটনা 
বলেন যে , ওনার পীর খাজা নূর মোহাম্মাদ চিশতি (রহ) এর এক আধা পাগলা মুরিদ ছিল। 
একদিন সেই আধা পাগলা মুরিদ পীরের মাজারে এসে বলল, হে মুর্শিদ , আমি আর্থিক 
কস্টে আছি , এমন  কি দু বেলার রূটি যোগার হচ্ছেনা   আল্লাহর ওযাস্তে আমাকে
সাহায্য করুন  
যখন সেই পাগলা মুরিদ মাজারের পাশে এসে  এই আবেদন করল , তখন মাজার থেকে আওয়াজ আসলো , হে আমার মুরিদ , নিরাশ হইয়োনা , তুমি প্রোতিদিন আমার মাজারে আশা যাওয়া কর তুমি প্রোতিদিন আমার মাজার থেকে দুই আনা বা আধ আনা পেয়ে যাবে  
আই আওয়াজ শুনে সে ওনেক খুশি হয়ে ফিরে গেলো , আশা যাওয়া করতেয লাগলো এবং প্রতিদিন পায়ের কাছে  গিলাফের নিচে থেকে আনা করে পেতে থাকলো ।এতে সচ্ছল ভাবে তার ঘর চলতে লাগল /
হাজি ইমদাদুললাহ মুহাজের মক্কি (রহ) আরও বলেন যে একদিন নূর মোহাম্মাদ চিশতি (রহ)   মাজার যিয়ারতে গিযে সেই খাজা সাহেবের পাগলা মুরিদ এর দেখা হল তিনি আমাকে 
অকপটে সেই জায়গা দেখিয়ে দিলেন সমস্ত ঘটনা খুলে বললেন  
(ইমদাদুল মুশতাক ) আশরাফ আলী থানঢ়ি লিখিত কিতাবের পৃস্টা নং ১১৩  

আমার প্রশ্ন হল যে আপনাদের মহান মুজাদ্দেদ জনাবে ওয়ালা আশরাফ আলী থানভি সাহেব নিজের কিতাব ইমদাদুল মুস্তাক তুলে ধরেছেন যে মুরিদ তার পীরের কবর থেকে সরাসরি ফায়দা হাসিল করতে পারে এমন কি টাকা পেতে পারে কিন্তু কবর থেকে চাওয়া আপনাদের মতে মুশরিকি কাজকারবার এখন কথা হল যে , আপনাদের কিতাবে এমন ঘটনা বর্ননা করে কবর পুজা করতে মানুষকে উৎসাহিত করার কারনে  কবর থেকে এমন ফায়দা পাওয়া যায় এই রকম আকিদা রাখার কারনে কেন আশরাফ আলি থানভি সাহেব কবর পুাজরি মাজারপুাজির হবেন না ? বলবেন কি

আর ফরাজি সাহেব , আমি সুন্নি , জানি এসবের জবাব দিতে হলে আপনাকে আর একবার জন্ম নিতে হবে নয়ত দেওবন্দি আকিদা ত্যাগ করতে হবে তাদের কে কাফের মুশরিক ফতোয়া দিতে হবে  


প্রশ্ন নং ()  
আশরাফ আলী থান্বির কিতাব ইমদাদুল মুস্তাক এর পেজ নং ১১৩ তে লিখেন যে হজরত হাজী ইমদাদুল্লাহ মুহাজের মক্কী যখন অসুস্থ হন তখন তিনি ওনার সাথের লোকদের কে বললেন যে আমাকে আমার দেশে নিয়ে চলো জান্জানা ওনাকে নিয়ে আসার সময় থানা ভবনের মসজিদের পাসে ওনার পালকি নামানো হল তখন তিনি আমাকে ডাকলেন আর বললেন যে আমি তোমাকে কিছু দিয়ে দিতে চাই . আমি ওনার কথা সুনে বুঝতে পারলাম যে তিনি চলে যাবেন আমাদেরকে ছেড়ে তাই তিনি এমন করে বলছেন 

আমি কাদতে লাগলাম তিনি আমাকে বললেন যে আরে বোকা কাদেনা !!! ফকির কোনো দিন মরে না সুধু এক জীবন শেষ করে আর এক জীবন সুরু করে৷ কোনো ফকির জীবিত থাকলে যেমন তার কাছ থেকে উপকৃত হুয়া যায় ঠিক তেমন তার মরার পর তার কবরে যাওয়ার পর তার কাছ থেকে উপকৃত হওয়া যায়  


এখন জনাবে ওয়ালা ফরাজী সাহেব আমাকে বলুন আপনাদের পীরের পীর হাজি ইমদাদুল্লাহ সাহেব বললেছেন যে , ফকির কোনো দিন মরে না সুধু এক জীবন শেষ করে আর এক জীবন সুরু করে৷ কোনো ফকির জীবিত থাকলে যেমন তার কাছ থেকে উপকৃত হুয়া যায় ঠিক তেমন তার মরার পর তার কবরে যাওয়ার পর তার কাছ থেকে উপকৃত হওয়া যায় ইমদাদুল মুস্তাক ১১৩ নং পাতা  

তো এমন আকিদা যদি আপনাদের হয় , যে বুজুর্গের কবর থেকে ফায়দা নেয়া যায় , তবে সুন্নিদের মাজারে যাওয়া মাজার তেকেক কোন কিছু চাওয়ার কারনে কেন তারা মাজার পুজারি বা কবরপুাজরি হবে
আর আপনাদের কিতাবে একই আকিদা থাকার পরেও কেন আপনারা মাজার পুজারি কবর পুজারি হবেন না ? বলবেন কি


এখন কতা হল যে আপনারা  কবর পুজারী বলেন আমাদের কে ? আপনাদের র গুরু আশরাফ আলী থানভী তার কিতাব (আশরাফুল জওয়াব ) ৯৯ নং পৃষ্টার ১৩ নং প্রশ্ন ;-কবর বাসীর নিকট সাহায্য প্রার্থনা করা কি ? ইটা কি শিরক
এর জবাবে লিখেছেন যে শিরক তখন হয় যখন আল্লাহ ছাড়া অন্য কাউকে ইবাদতের যোগ্য মনে করা হয়। আমার মতে কেউ অলিদের কে ইবাদতের যোগ্য মনে করেন না। সুধু আল্লাহর নৈকট্য লাভের জন্য তাদের কাছে যেয়ে থাকেন। তবে মাজারে সেজদা ,নাচ, গান শরীয়াত বিরুধী কাজ সব কিছুই হারাম। আমরা তাই বলি। এর পর ১০১ নং পৃষ্টায় লিখেছেন যে মাজারে কোনো বস্তু চাওয়া ঠিকক নয়। তবে হা , সাহেবে নিসবাত আল্লাহর সাথে সম্পৃক্ত বেক্তি এখনো তাদের কাছ থেকে ফয়েজ বরকত লাভ করতে পারেন।  
  আশরাফুল জবাব পৃষ্টা নং ১০১ 

তো জনাবে ওয়ালা আশরাফ আলী থানভি সাহেব সুন্দর করে বলে দিলেন যে শিরক তখন হয় যখন আল্লাহ ছারা আর কাউকে ইবাদতের যোগ্য মনে  করা হয় আর তিনি এতাও বলললেন যে মাজারে যায় মানুষ আল্লাহর নৈকঠ্য লাভের জন্য আর তিনি এটাও বললেন যে সাহেব নিসবতগন এখন কবর থেকে ফযেজ লাভ করতে পারেন

তো এমন সকল কতার কারনে কেন বা এমন আকিদা রাখার কারনে কেন আশরাফ আলী থানভি সাহেব কবর পুজারি মাজার পুজারি প্রমা হবেন নাবলবেন কি ?

 আমার জানা মতে দেওবন্দিদের কুফরি গুস্তাকিপুর্ন আকিদার কারনে তাদের দিয়ে কোন বীযে পড়ানো যায়েয হয় না , আর যাদের বীযে পড়ানো যায়েয হয় না তো সেই ঘর থেকে যারা জন্ম নেয় তারা হারামজাদা রুপে জন্ম নেয় , আর যারা হারামজাদা রুপে জন্ম নেয় তাদের কথা কাজের মিল থাকে না আমি শপথ করে বলতে পারি আমার উপরোক্ত কথা গুলো যদি আপনি ফরাজি নন শুধূ , বরং আপনাদের নেতা জনাবে ওয়ালা  তেতুল সফি সাহেবের কাচে নিয়ে যান তবুও তিনি জবাব দিতে পারবেন না , কারন জবাব দিতে হলে তওবা করতে হবে , আর আপনাদের কপালে তওবা নাই



ফরাজি সাহেব , আপনি লিখেচেন যে , ফটিকছরি নানুপুর জামিরিয়া কিন্ডারগার্ডেন মাদ্রাসায় আপনার মতে মাজারপুাজরি বেদাতিরা হামলা করেছে  

বাংলাদেশের জমিনে এমন কোন মায়ের লাল প্রমান দিতে পারবে না যে বাংলাদেশের সুন্নিরা কোন কওমি মাদ্রাসায় হামলা করেছে
আপনি সুন্নিদের কে জঙ্গী বলেছেন মুখ সামলে কথা বলবেন জনাব লুৎফর রহমান ফরাজী সাহেব জঙ্গি কারা তা বাংলাদেশের সকলে জানে  


কারা সিলেটের জমিনে আলীয়ার ময়দানে আন্জুমানে খেদমতে কোরআন তাফসীর মাহফিলে হামলা করেছিল ? কারা ছিল তারা


আপনারা সেবার আপনাদের ছাত্রদের দিযে মাদ্রাসায় ইট পাটকেল মেরে মেরে পরিবেশ নষ্ট করেছেন  
পরে মাহফিল বন্দ করতে হয় কর্তৃপক্ষকে  

মাদ্রাসায় আপনারা জঙ্গীবাদ আবাদ করেন
আমি প্রমান তুলে ধরলাম ;- 

আপনাদের হেফাযতের নায়েবে আমীরের মাদ্রাসায় বোমা বানানোর সময় বোমা বিষ্ফোরনে হতাহত সহ  নায়েবে আমীর মুফতি ইজহারুল গ্রেফতার 

আসলে জংগী আপনারা না , আপনারা জঙ্গিদের লালনপালনকারি


() http://www.jagonews24.com/politics/news/44265/হেফাজতের-আমির-মুফতি-ইজহারুল-গ্রেফতার


(৪)http://www.sylhetexpress.com/news/detailsm.php?id=34102

হেফাজতের জংগী তৎপরতায় কিছু টাকার খেলা ;- 

http://www.m.banglanews24.com/detailnews.php?nid=419753&cid=1004

কোটি কোটি টাকা বিনিয়োগ জংগী তৎপরতায় ;-


দেশের জঙ্গী সংগঠন হামজা ব্রিগেডের সাথে টাকার লেনদেন বিষয়ে এডভোকেট শাকিলা কে দেওয়া কোটি টাকার বিষয়ে কি কিছু বলবেন ফরাজি সাহেব
আপনাদের মাদ্রাসা যেখানে বাজারে ভিক্ষা করে , মৌলভিরা দাওয়াতে গিয়ে পেট ভরে খানা খায় তরাদের এত  টাকার উৎস কি বলবেন কি

তবু আপনারা জংগী নন  

বরং নানুপুর মাদ্রসার সামনে ছাত্রসেনার মিছিল আসলে আসলে আপনারাই হামলা করেছেন কোন সুন্নিরা করে নাই , কারন সুন্নিদের কে এটা শিক্ষা দেওয়া হয় নাই যে তারা মানুষের উোর হামলা কলরবে পশুর মত





আপনি প্রশ্ন করেছেন যে , নবীর উম্মতের উপর এমন বর্বরতা চালানোর শিক্ষা কি নবী সাঃ দিয়েছেন ?

আপনার প্রশ্নটা দেখে মনে হচ্ছে চোরের মায়ের বড় গলা কথাটা আসলেই সত্য যদি তা না হয় তবে কি রে আপনার মত একজন উগ্রমতবাদের আলেম এমন কথা বলতে পারে
বাংলাদেশের সুন্নিদের সংগঠন থেকে বাংলাদেশে বিগত দিনে হরতাল পালন করা হয়েছে কয়েকবার , সাধারন মানুষ যেখানে জানে হরতাল মানে গাড়ি ভাংচুর, জালানো , পোড়ানো সেখানে সুন্নিদের হরতালে সুন্নিরা মানুষের গাড়ি যানবাহনের নিরাপত্তা দিয়েছে , বাংলাদেশের কোন খানেই কোন বর্বতার ঘটনা ঘতেনি  

আর মনে করে দেখুন মে ২০১৩ আপনারা কি করেছিলেন সে রাতে ? আপনাদের নিজেদের পেট পুজার রশদের কারনে কত মায়ের বুক খালি হয়েছে ? কত বাবা তার সন্তানের লাশ বহন করেছে
কত বোন তার ভাই কে হারিয়েছে
কত বোন তার স্বামিকে হারিয়েছে ? মনে পড়েনা ফরাজী সাহেব
দেখে নিন ইউটুব তেকে , যদি আবার মনে পড়ে https://youtu.be/CDlh7im9ajI 

সেখানে যে আপনাদের ১৩ দফা দাবি দিয়েছিলেন তার এখন কি হল ? 
সেদিনের রক্তের মুল্য কারা দিবে ? সেই ছেলে হারা মায়ের বুক কে ভরে দিবে ? 

অতচ মজার কথা হল আপনাদের সেই শফি সাহেবের ছেলে আনাস মাদানী টাকার পাহাড় গরে তুলেছে সংগঠনের নাম দিযে , করছে বিল্ডিং আর বিল্ডিং ।


আর যখন আনাস মাদানিকে বলা হল যে মে কিছু ৈকটা আয়েজন করা দরকার , তখন আনাস মাদানি বলেছেন যে সরকারের চাপ আছে এখন কিছু করা যাবে না  
সেই সকল নিহত আত্বারর মাগফেরাতের জন্য দোয়া করা হয়েচে নামে মাত্র সংগঠেনের নামে 

আপনি সুন্নিদের কে বলছেন আমরা বর্বরতা করি
বর্বর কারা তা নিজের মনকে জিগ্গেস করুন  

বর্রবের মত শাপলা চতত্বরে আপনারা রক্ত ঝড়িয়ে সরকার কে খূশি করার জন্য এমন বক্তব্য পর্যন্ত দিয়েছেন যে ; কেউ যদি মনে করে আওয়ামিলীগ আমাদের দুষমন , তাহলে ভুল করবেন , তারা আমাদের বন্ধু  


দেখেনি ভিডিও https://youtu.be/aLCREuDvYas 

ফরাজি সাহেব , লজ্জা থাকলে ডুবে মরতেন টাকার জন্য নিজেদের ইমান বিক্রি করা থেকে  
এখন কি বলবেন কারা বর্বর
আমরা নাকি আপনারা ?


আপনার নং প্রশ্নের জবাব দিয়েছি আগেই যে আমরা সুন্নিরা কোনদিন কাউকে হামলা করি নাই , এমন প্রমান দিতে পারবেন আপনি এখন পর্যন্ত , বরং আপনাদের প্রমান উপরে পেশ করেছি 

ফরাজি সাহেব @ আপনি লিখেছেন তাহেরি, গাউছিয়া রেজভি ভান্ডারি রেজায়ী রেঝাখানি চাত্রসেনা সুন্নি নামধারি ভন্ডদের কবর পুজা মাজার পুজা জিকির উরস কোন নভির আদর্শ ?


আমি কবর পুজা মাজার পুজা বিষয়ে আপনাদের কিতাব থেকে তুলে ধরেছি উপরে আপনি নিজে থেকে দেখে নিবেন , আর যদি তা মনপুত না হয় তবে সেই সকল কিতাবের লেখক কে কাফের মুর্তাদ ভন্ড বেদাতি মুশরিক ফতোয়া প্রদান করবেন দেখব আপনাকে কোন মায়ে দুধ পান করিয়েচে আর কতজন বাপের জন্মা

বাকি থাকল উরস , উপরে উরস নিযে কথা বলা হয় নাই , এখন শুিরু করলাম উরস নিযে

আপোনাদের আলেম পীরের পীর হাজি ইমদাদুল্লাহ মুহাজের মক্কি (রহ) নিজের কিতাব ফায়সালা হাফতে মাসাযেল লিখেছেন যে  ;- ওরশ শব্দটি এই হাদিস থেকে নেয়া হয়েছে ( تم كنو مة العروس) মিত্তুর পরে নেক বান্দাদের কে বলা হবে বরের মত শুয়ে পড়। নেক বান্দাদের বেলায় মিত্তু হল মাহবুবে হাকিকির সাথে মিলনের নাম জন্যই তাদের মিত্তু কে বেসাল বা মিলন বলা হয় মাহবুবে হাকিকির সাথে মিলনের চেয়ে আনন্দের বিষয় আর কি হতে পারে  
উরসের প্রতা চালু করার উদ্দেশ্য ছিল মৃত বেক্তিদের প্রিতি ইসালে সওয়াব করা , যা খুবই পছন্দনিয় কাজ সে সব পীর বুজুর্গ থেকে আমরা ফয়েজ লাভ করেছি , ব্যাপারে আমাদের উপর তাদের অধিক হক রয়েছে আর উরশ উপলক্ষে পীর ভাইদের সাতে মেলা মেশার দরুন পরস্পরের মধ্য ভৃত্বত্ববোধ বৃদ্ধি পায় এবং তা বরকতময় আবার এসব উরসে অনেক পীর মাশায়েখ মিলিত হয় , ফলে পীর তালাশ করাও সহজ হয় , এবং যাকে মনপুত হয় তার কাছে বায়েত হওয়া যায় এবাবে সিলসিলার সকল লোক একত্রিত হয় একে অন্যের সাথে দেখে সাক্ষাতের সুযোগ হয় , এবং সাহেবে মাযারের রুঃের প্রতি কোরান তিলাওয়াত খাবার বন্ঠন ইত্যাদি সওয়াব পৌছানো হয় ।এ মহৎ উদ্দেশ্য একটা নিরদিষ্ট তারিখ নিরধারিত হয় এখন প্রশ্ন হচ্ছে মিত্তুর দিনকে কেন উরসের দিন নির্ধারন করা হয় ? এর পিছনে কিছু রহস্য আছে যা প্রকাশের দরকার নাই 

? (ফায়সালা হাফতে মাসায়েল ) পৃষ্টা নং  ১৫৭-১৫৮

ফরাজী সাহেব @ উরস নিযে এই সকল কথা আপনাদের পীরের পীর হাজি সাহেবের কিাতাব থেকে হুবহু তুলে ধরা হল এখন বলুন যদি তা হাজি সাহেব কোন ভুল বলে তাকেন তবে হাজি ইমদাদুল্লাহ মুহাজের মক্কি (রহ)) কে কবর পুাজরি মাজার পুজারি বা=েদাতি মুশরিক বলে লিখিত ফতোয়া পেশ করুন  

আর আমি জানি সকল দেওবন্দিদের দৌর কতদুর  



আপনি বলেছেন কোন নবীর ইশকে এমন অমানুষে পরিনত করল কারা অমানুষ কারা দালাল , কারা সমকামি কারা বেইমান তযা উপরে তুলে ধরেছি নতুন করে বলার দরকার নাই  

আপনারাদের মত তেতুল মোল্লারা যে ফতোয়ার ফ্যাক্টরি তা আমার অনেক আগে থেকে জানা

আপনারা জানেন শুধু পোষা পাখির মত ফতোয়ার বুলি প্রসব করতে

তাবলিগ জামাতের প্রতিষ্টাতা মাওলানা ইলিয়াছ তার দ্বীনি দাওয়াত কিতাবে ১১৫ নং পৃষ্টায় লিখেছেন যে :- তাবলিগ জামাতের কারণে থানা ভবনের আসে পাশে অনেক সুফল প্রতিফলিত হচ্ছিল কিছু লোক এসে আশরাফ আলী থান্বিকে অবহিত করছিল। তিনি এই কথা সুনে আশ্চর্য হয়ে যান বলেন যে মাদ্রাসায় -১০ বছর তালিম লাভ করেও এই কাজ সম্পাদন করা সম্ভব হয়না। আর জাহেল মেওয়াতি গন কি করে ইটা সম্পাদন করবে ? এমনেই প্রতিদিন নতুন নতুন ফেতনা মাথাচাড়া দিয়ে উঠছে। আমার অসংখা এদের কারণে নতুন কোনো ফেতনার না সৃষ্টি হয়। পরে তিনি সচক্ষে দেখে মাওলানা ইলিয়াছ কে বলেন যে আর কোনো কিছুই প্রয়োজন নাই বলার। 

কিন্তু তবু মাওলানা আশরাফ আলী থান্বির মনের খটকা গেল না যে ইলম ছাড়া এমন একটি স্পর্শ কাতর বিষয় কিভাবে আনজাম দিবে

কিন্তু মাওলানা জাফর আহমাদ সব যখন বললেন যে :- মুবাল্লিগ রা নির্দিষ্ট কথাই সুধু বলা কওয়া করে। এর বাইরে অন্য কিছু বলে না নিজেকে জরায় না। তখন তিনি (আশরাফ আলী ) অধিকতর অস্সস্ত হলেন। ( মাওলানা ইলিয়াছ তার দ্বীনি দাওয়াত ) পৃষ্টা ১১৫-১১৬ 



তো আপনারা যারা আছেন তারা শুধু নিরদিষ্ট কযেকটা কথা বা ফতোযা দিতে পারেন যেমন কবর পুজারি মাজার পুজারি বেক্তি পুজারি বেদাতি মুশরিক কিন্তু যখন এর বেখ্যা চাওযা হয় তখন আপনাদের আর খুজে পাওয়া যায় না আপনি লুৎফর রহমান ফরাজিকেও তার বেতিক্রম মনে করছি না  

আমি সোহেল রানা আপনার লিখিত জবাবের অপেক্ষায় থাকলাম 


২৭,,২০১৬