রবিবার, ২৭ সেপ্টেম্বর, ২০১৫

দেওবন্দি কওমি সমকামি জংগী গুসতাক

Abdus Rehman mogholbajari শোক জবাব ;- 

সে লিখেছে আমি মাদ্রাসায় দান করতে বারন করেছি । 

না। 
বরং আমি কওমি মাদ্রাসায় দান করতে বারণ করেছি । কারন দেশের বিসৃংখলা তারা তৈরি করে । তা ছারা চামড়া বা যাকেতের দিয়ে মাদ্রাসা চালানো যাবে না । 
যাকাত বা চামড়া গরিবদের দান করতে হবে । এমন কি গরিব ছাত্র বা তালেবে ইলম কে দান করা যাবে । 
কিন্ত্ সরাসরি মাদ্রাসায় দান করা হানাফি ফেকাহ মতে যায়েয নয় । 

আর লিখেছে মাযারে দান করতে বলেছি নাকি আমি । 
আমি তো বলব যে , মাযারে যেন একটা টাকা ও কেউ ভুলে দান না করে । বরং তা দিয়ে যদি  গরিবের পেটের খুদি নিবারণ করে । আল্লাহ তায়ালা হয়ত এতেই তার মনের বাসনা পুরণ করবেন । 

এর পর চার টা প্রশ্ন করেছিল । 
(১) নং প্রশ্ন হল ;- মাদ্রাসায় যে জংগীবাদ শুক্ষা দেওয়া হয় তার প্রমান কি ? 

আমি প্রমান তুলে ধরলাম ;- 
(১)http://www.sylhettoday24.com/news/details/Politics/7451

(২)http://amardeshonline.com/pages/details/2015/08/08/296005#.Vgbkgee6nCQ

(৩)http://www.jagonews24.com/politics/news/44265/হেফাজতের-আমির-মুফতি-ইজহারুল-গ্রেফতার


(৪)http://www.sylhetexpress.com/news/detailsm.php?id=34102

হেফাজতের জংগী তৎপরতায় কিছু টাকার খেলা ;-http://www.m.banglanews24.com/detailnews.php?nid=419753&cid=1004

কোটি কোটি টাকা বিনিয়োগ জংগী তৎপরতায় ;-

http://www.dainikpurbokone.net/43681/হেফাজতের-মামলার-টাকা-মাস/



এই ভদ্র মহোদয় মুফতি ইজহারুল  কিন্ত্ আপনাদের ভাই ও হেফজতের নায়ের এ আমীর ও ছিল । এখন বেচারা জেলে আছে ।
সকল। লিংকের জবাব দিবেন । 

তার ২ নং প্রশ্ন (ভারত উপমহাদেশ স্বাধীন করেছে কারা আর দালালি করেছে কারা ? 

উত্তর ;- তোমাদের এই সকল প্রপাগান্ডীর জবাব আমি লিখিত আকারে কত শত বার যে প্রমান করেছি তার ইয়োত্তা নাই । 
তবু যদি ঘুরে ফিরে এমন বলেন যে তাল গাছ আপনার তবে আর কি করার ।
আমি বিগত দিনের পোষ্টের ব্লগ লিংক দিলাম । দেখে নিন কারা দালাল ছিল 
http://sohelrana1234.blogspot.ae/2014/11/blog-post_91.html?m=1

আরো মজার কথা হল ৫ মে আপনারা খালেদার দালালী করেছেন , 
আর পলিশের পিটানির পর আপনারা হাসিনার দালাল হয়ে গেছেন । 
যাকে সফি সাহেব নাস্তিক বলেছিল সেই আওয়ামীলিগ আজ বন্ধু আপনাদের ।

পারলে এর অন্তরনিহিত কাহীনি কি তুলে ধরবেন ? 

(৩) নং প্রশ্ন পৈত্রিক নাম বদল করে হিজড়া হয়েছি কেন ? 

উত্তর ;- নাম মানুষ কে বড় করে না । 
বরং নাম কে মানুষ বড় করে ।

আমার আই ডির নাম ( সুফীবাদের আসল রুপ ) 
কিন্ত্ ফেসবুকের প্রতিটা পোষ্টে নিচে লেখা থাকে সোহেল রানা । 

আর তবু ও যখন হিংসামুলক এই প্রশ্ন তবু বলব যে , সুফী মর্দের নাম । কোন সুফী হিজড়া ছিল না আপনাদের মত । 
বরং আপনারা যে সমকামিতার সাগর ও হিজড়া তা আমাদের ভাল করে জানা আছে 
যেমন ;- http://sorboshessongbad.com/2014/12/30/%E0%A6%B8%E0%A6%BF%E0%A6%B0%E0%A6%BE%E0%A6%9C%E0%A6%97%E0%A6%9E%E0%A7%8D%E0%A6%9C%E0%A7%87-%E0%A6%9B%E0%A6%BE%E0%A6%A4%E0%A7%8D%E0%A6%B0%E0%A6%95%E0%A7%87-%E0%A6%AC%E0%A6%B2%E0%A6%BE%E0%A7%8E%E0%A6%95/

(২)https://thedeshebideshe.wordpress.com/2013/07/16/%E0%A6%B8%E0%A6%AE%E0%A6%95%E0%A6%BE%E0%A6%AE%E0%A7%80-%E0%A6%B9%E0%A7%87%E0%A6%AB%E0%A6%BE%E0%A6%9C%E0%A6%A4%E0%A6%BF-%E0%A6%B6%E0%A6%BF%E0%A6%95%E0%A7%8D%E0%A6%B7%E0%A6%95-%E0%A6%86%E0%A6%9F/

(৩)http://m.bdnews24.com/bn/detail/bangladesh/647995


(৪)http://www.bijoynews24.com/?p=33156

(৫)http://www.banglasongbad24.com/
সব গুলোই ভিন্ন ভিন্ন যায়গার ভিন্ন ঘটনার লিংক । 



এখন বলবেন কি হিজড়া কারা ? 

(৪) নং প্রশ্ন 
দাড়ি ও ইসলামিক সাথে সজ্জিত হওয়া কি ? 

দাড়ি রাখা ওয়াজিব ও ইসলামিক কোন বাধ্যতামূলক সাঝ নেই । 
বরং যা আছে তা সুন্নত । 
পোষাক নিয়ে যদি লিখিত তর্ক লিপ্ত হতে চান তবে রাজী আছি । 

পোষাকের বাধ্যতামূলক হল শুধু এই টুকুই যে বিধর্মিদের পোশাক যেমন ধুতি সহকারে গলায় পৈতা চার্চ এর ফাদারের  পোষাক বা যাতে বেধর্মি বলে প্রকাশ পায় এই গুলোই পড়া নিষেদ ।

তা ছারা ইজ্জত আব্রুর সাথে থাকে এমন যে কোন পোশাক একজন পুরুষের নাভী থেকে হাঁটুর নীচে পরেযন্ত ঢাকা যায় এমন পোষাক পড়তে শরিয়তে কোন বাঁধা নেই ।

আর আপনার মিল লক্ষ হল দাড়ি নিয়ে । ফটো দিলে বিস্বাস করবেন কি জানা নাই । আপনার সাথে ভাইবার বা স্কাইপ এ ভিডিও কলে কথা বলতে রাজী আছি আমি । দাড়ি তো দেখার শখ । তাই না ? 

আর আপনার তেতুল সফী কি কারনে গোঁফে  বেলেড মেরে পুরা তেতুল খোড় সেজে থাকেন তার জবাব দিবেন কি ? গোঁফে বেলেড মারার দলিল দিন । 

(৫) নং প্রশ্ন ;- আমি অজ্ঞাত স্থানে ইন্তেকাল করলে কিসের ভিত্তিতে দাফন করবে ? 

আমি তো জানি প্রত্যেক মুসলমান ছেলেদের এ নিয়ে চিন্তা নাই । 
কারন একটা মুসলমান ছেলের বয়স ৫-৭ হলেই ওর খাৎনা করানো হয় আমাদের দেশে । 
আপনার কি খাৎনা করানো হয় নাই ? 
নাকি আপনার না পার্বতী আর বাবা শংকর । 
তাই উপরে ইসলামিক লেবাজ রাখার পর ও নিচে হিন্দুয়ানী রিতি মোতাবেক রেখে দেওয়া হয়েছে ? 
খাৎনা কি এই কারনে করান নাই না কি ? 



আপনি আমার ফটো তো বাজে কথা লিখেছেন । 
কাউকে কটাক্ষ করা শরিয়তে কতটুকু সমর্থন যোগ্য ? 
আপনি আমাকে মুফতিয়ে আজম বলেছেন । 
আমি কি কখন ও এমন দাবি করেছি ? 
আমি তো জানি ফেকাহ শাস্ত্রে ইমাম এ আজম আবু হানিফা মুফতিয়ে আজম ।

আপনার পাকিস্তানের শাহ আহমেদ সফি কি করে মুফতিয়ে আজম হল ? 

পাকিস্তানের শাহ আহমেদ সফী ত্বকী উসমানির বাপ কে যদি মুফতিয়ে আজম মান্য করি তবে ইমান আবু হানিফা (রা) কে কি বলব ? 

সিলসিলায়ে কালা বলে সম্বন্ধ করেছেন আপনি । 
আরনার কি জানা আছে আপনার দেওবন্দের আলেমগন আলা হযরত ইমাম আহমেদ রেজা খান (রহ) এর শানে কত সুন্দর সুন্দর কথা বলতেন । 

অবশ্য আপনার দোষ কি তাতে ? 
আপনার একজন আলেম তো মৌলভী হোসনাইন আহমেদ মাদানী তো তার কিতাব আশ শিহাবুস সাকিব কিতাবে আলা হযরত আহমেদ রেজা খান কে ৬০০ শত গালি লিখে প্রকাশ করেছেন । এটা হক পন্থিদের কাজ ? নাকি হক কে থামানোর চেষ্টা ? 


আপনাদের আশরাফ আলী থানবীর কিছু কথা শোনা যাক (- মাওলানা গোলাম ইয়াযদানী সাহেব ( ফাযিল মাদ্রাসায় মাযহারুল উলুম , সাহারানপুর , ভারত , ও খতিব এ  জামে মসজীদ , গোলমন্ডি) তিনি একবার আশরাফ আলি থানভির কথা গুলো বর্ননা করেন যে ;- ঐ হযরতের মাহফিলে কোন এক বেক্তি মাওলানা আহমেদ রেযা খান সাহেবের নাম মাওলানা ছারাই শুধু আহমেদ রেজা বলেছিল ।তখন হাকিমুল উম্ম্ত আশরাফ আলী থানভী তাকে খুব তিরষ্কার করলেন বকুনি দিলেন ও ক্রোধান্বিত হয়ে বললেন যে , তিনি একজন আলেম যদিও ভিন্ন মতের । তুমি তার পদবীর প্রতি অসম্মান দেখাচ্ছ । এটা কি ভাবে বৈধ হতে পারে তার মানহানী করা 
ও তার প্রতি বেয়াদবি প্রকাশ করা ? 

আর বলতেন যে ;- একথা খুব সম্ভব যে তিনি আমাদের বিরুধিতা করার কারন হয়তো বাসেতবীকই রাসুল পাকের মুহাব্বাত হবে । নতুবা তিনি ভুল বুঝে আমাদের কে বেয়াদব মনে করে থাকেন ( মাওলানা বাহাহুল হক কাসেমী লিখিত "উসইয়া ই আকাবির" ১৯৬২ সালে লাগেরে মুদ্রিত পেজ নং ১৪)


মাওলানা ইয়াযদানী আরো বলেন যে , মাওলানা আহমেদ রেজা খানের মশহুম ও মাগফুরের খবর শুনে মাওলা আশরাফ আলী থানবী ইন্নালিল্লাহ পাঠ করলেন ও বললেন যে ;-ফাযেলে ব্রেলভী আম্দের বিরুদ্ধে যা ফতোয়া দিয়েছেন তা শুধু রাসুল (সা) এর মুহাব্বাতে উদ্ভুদ্ধ হয়েই দিয়েছেন ।ইনশাল্লাহ আল্লাহ তায়ালা , আল্লাহর দরবারে তিনি ক্ষমা প্রাপ্ত সম্মানিত ও দয়া প্রাপ্ত হবেন ।আমি ভিন্ন মত পোষনের কারনে আল্লাহ ক্ষমা করুন দিন্ডিত হবার খারাপ মত পোষন করি না ( আনীস আহমেদ সিদ্দিকি লিখিত মাসলাক ই তিদাল, করাচিতে মুদ্রিত , পৃষ্টা নং ৮৭) 

এই হচ্ছে ওলামায় দেওবন্দের মত পোষন মাওলানা আহমেদ রেজা খান (রহ) বিষয়ে ।
আর সেই  মাওলানা আহমেদ রেজা খান  (রহ) এর উপাধি (আলা ) নিয়ে আমাকে কালা বলে কটাক্ষ করে তারা কতটা আদবের প্রমান দিল ? 


তার পরের কথা হল (- 
আমারে বলেছে ক্বাদিয়ৈনি ।
এবার এক নজরে দেখি কে কারা ক্বাদিয়ানি ? 
রশীদ আহমেদ গাংগুহির জীবনি কিতাবে বর্নিত হয়েছে যে , যখন মীর্যা কাদীয়ানি তার প্রথম বই বারাহি লিখেন তখন খবরের কাগজগুলো তার সুনানে বন্যা বইয়ে দিয়েছিল ।সে সময় মির্যা কাদীয়ানি রশিদ আহমেদ গাংগুহি কে ইত্যাদির পছন্দ করতেন । যারা হযরতের সাথে দেখা করে ফিরে যেতেন তাদের কে মির্যা কাদীয়ানি জিগ্গেস করত মাওলানা সাহেব ভালো আছেন তো ? দিল্লি থেকে গাংগোহ কত দুর ? রাস্তা কেমন ? 

এ থেকে বোঝা যায় ক্বাদিয়ানির ইচ্ছা ছিল হযরত রশিদ গাংগুহির সাথে দেখা করার ।
ওই সময় ইমাম এ রাব্বানী বলেছিল ওই ছেলে যা করেছে নিশ্চয় তা ভাল। তবে তার একজন পীরের দরকার ং্য্যতো সে পথ ভ্রস্ট হয়ে যাবে । (তাজকিয়াতুর রশীদ ২য় খন্ড পৃষ্টা নং ২২৮) 

তো ক্বাদিয়ানির সাথে কাদের সম্পর্ক কেমন ছিল তা বোঝা গেল এখানে থেকে ।

আরো মজার কথা হল যে কাদীয়ানির ১৪ গোষ্টি আহলে হাদিস ছিল। আর আগে হাদিসের জন্ম সাহ ইসমাইল থেকে । 
যদি মেনে নিতে কষ্ট হয় তবে বলিও এই শাহ ইসমা্ইল ও সাইয়েদ আহমেদ যে আহলে হাদিসের ও ইমাম তা প্রমান করব আমি । 

তো এখন ংুল কথা হল যে ;- তোমরা কাদীয়ানির জন্ম দাতা । ক্বাদিয়ানির নবুয়াতের রাস্তা খুলে দিয়েছে তোমার কাসেম নানুতভী 
 কাসেম নানাতুভী স্বীয় চটি কিতাব তাহজিরুন্নাছের ৩-১৪ ও ২৮ পৃষ্টায় আমাদের নবীয়ে দোজাহাঁকে আখেরী নবী অস্বীকার করেছে। (নাউজুবিল্লাহ) 

আর কাদীয়ানি নবী দাবি করেছে । 
দোষ মুল কার ? কারা রাস্তা করে দিয়েছে ?

উল্টা আমাদের দিকে কেন আংগুল তোল ? 


আমার জানা আছে  তোমার ১৪ গোষ্টি আমার জবাব দিবে না । 

এবার যা গিয়ে ঘুমা ।
আর পারলে জবাব দে ১ বছর সময় দিলাম একটা একটা তরে পয়েন্ট এর লিখিত জবাব দরকার হলে ৩০ টা পোষ্ট করে লিখিত পেশ কর ।


সোহেল রানা 

গাংগুহি ও ক্বাদিয়ানির সম্পর্ক

রশীদ আহমেদ গাংগুহির জীবনি কিতাবে বর্নিত হয়েছে যে , যখন মীর্যা কাদীয়ানি তার প্রথম বই বারাহি লিখেন তখন খবরের কাগজগুলো তার সুনানে বন্যা বইয়ে দিয়েছিল ।সে সময় মির্যা কাদীয়ানি রশিদ আহমেদ গাংগুহি কে ইত্যাদির পছন্দ করতেন । যারা হযরতের সাথে দেখা করে ফিরে যেতেন তাদের কে মির্যা কাদীয়ানি জিগ্গেস করত মাওলানা সাহেব ভালো আছেন তো ? দিল্লি থেকে গাংগোহ কত দুর ? রাস্তা কেমন ? 

এ থেকে বোঝা যায় ক্বাদিয়ানির ইচ্ছা ছিল হযরত রশিদ গাংগুহির সাথে দেখা করার ।
ওই সময় ইমাম এ রাব্বানী বলেছিল ওই ছেলে যা করেছে নিশ্চয় তা ভাল। তবে তার একজন পীরের দরকার ং্য্যতো সে পথ ভ্রস্ট হয়ে যাবে । (তাজকিয়াতুর রশীদ ২য় খন্ড পৃষ্টা নং ২২৮) 

তো ক্বাদিয়ানির সাথে কাদের সম্পর্ক কেমন ছিল তা বোঝা গেল এখানে থেকে ।

আরো মজার কথা হল যে কাদীয়ানির ১৪ গোষ্টি আহলে হাদিস ছিল। আর আগে হাদিসের জন্ম সাহ ইসমাইল থেকে । 
যদি মেনে নিতে কষ্ট হয় তবে বলিও এই শাহ ইসমা্ইল ও সাইয়েদ আহমেদ যে আহলে হাদিসের ও ইমাম তা প্রমান করব আমি । 

তো এখন ংুল কথা হল যে ;- তোমরা কাদীয়ানির জন্ম দাতা । ক্বাদিয়ানির নবুয়াতের রাস্তা খুলে দিয়েছে তোমার কাসেম নানুতভী 
 কাসেম নানাতুভী স্বীয় চটি কিতাব তাহজিরুন্নাছের ৩-১৪ ও ২৮ পৃষ্টায় আমাদের নবীয়ে দোজাহাঁকে আখেরী নবী অস্বীকার করেছে। (নাউজুবিল্লাহ) 

আর কাদীয়ানি নবী দাবি করেছে । 
দোষ মুল কার ? কারা রাস্তা করে দিয়েছে ?

উল্টা আমাদের দিকে কেন আংগুল তোল ? 


আমার জানা আছে  তোমার ১৪ গোষ্টি আমার জবাব দিবে না । 

এবার যা গিয়ে ঘুমা ।
আর পারলে জবাব দে ১ বছর সময় দিলাম একটা একটা তরে পয়েন্ট এর লিখিত জবাব দরকার হলে ৩০ টা পোষ্ট করে লিখিত পেশ কর ।


সোহেল রানা 

বৃহস্পতিবার, ১৭ সেপ্টেম্বর, ২০১৫

হজ্জের নিয়ত কেমন হবে ? সুফীবাদ

হাজীগনের খেদমতে তওফা ;-শেয়ার করুন সকলে যাতে হাজীগনের নজরে পড়ে ।

হজ্জের মৌসুম এখন , আর কদিন বাকি আছে পবিত্র হজ্জের । সারা বিশ্বের হাজীগন একত্র হতে চলেছেন ।

তাদের প্রতি আমার ছোট এই খেদমত , আল্লাহ কবুল করুন। আমীন ।


আমরা যেহেতু তরীকত পন্থি , সেহেতু আমাদের বুযুর্গদের মধ্য উত্তম আদর্শ আছে, তা যদি আমরা অনুসরন করি , তবে মন্জিল বেশি দূর নয় । 

আল্লাহ তায়ালা বলেন ;--
আমাদের কে সকল পথ দেখাও (৬)
সে সমস্ত লোকের পথ, যাদেরকে তুমি নেয়ামত দান করেছ। তাদের পথ নয়, যাদের প্রতি তোমার গজব নাযিল হয়েছে  
 এবং যারা পথভ্রষ্ট হয়েছে।
 
সুরা ফাতেহা আয়াত ৭ 

ঠিক তেমনি , আমরা তাদের কে অনুসরন করব , যাদের কে আল্লাহ তার পথে পরিচালিত করেছেন , 

তরিকতের ইমাম হযরত জুনায়েদ বাগদাদি (রহ) এর হজ্জ নিয়ে একটা সুন্দর কথোপকথন পাওয়া যায় ।
আমি তুলে ধরলাম ;-

এক বেক্তি হযরত জুনায়েদ বাগদাদী (রহ) কাছে খেদমতে এলে জুনায়েদ বাগদাদী (রহ) জিগ্গেস করেন যে , 
তুমি কোথা থেকে এসেছে ? 
লোকটা ;- আমি হজ্জ করে এসেছি ।
হযরত ;- তুমি হজ্জ করেছ ? 
লোকটা ;- জী হা আমি হজ্জ করেছি 
হযরত:-তুমি যখন হজ্জ করার নিয়তে ঘর থেকে বের হয়েছিলে , তখন কি তুমি তোমার পাপ পরিত্যাগ করার নিয়ত করেছিল কি ? 
লোকটা ;- না, আমি তো এই ব্যাপারে কোন           
              চিন্তা ও করিনি ।
হযরত ;-তবে তো তুমি হজ্জ করার নিয়তে বাড়ী 
             থেকে বের হওনি ।আচ্ছা তুমি যে
          হজ্জের সফরে যে সকল মন্জিল    
            অতিক্রম করেছ ,এবং যে সব সেখানে      
         রাত অতিবাহিত করেছ , তখন তুমি 
         আল্লাহর নৈকট্য অর্জনের মনযিল,এবং
        সেই পথের ঘাঁটি সমুহ অতিক্রম করার 
       নিয়ত করেছিলে কি ? 

লোকটা ;--না আমি করিনি ।
হযরত ;--- তা হলে তোমার হজ্জ কিভাবে শুদ্ধ 
           হল । আচ্ছা যখন তুমি ইহরাম বাধার 
            নিয়ত করেছ ও প্রাত্যাহিক কাপড় দেহ 
            থেকে ছেড়েছ ,তখন তার সাথে সাথে 
          তোমার খারাপ স্বভাব বর্জন করেছ কি?
লোকটা;- না , সেদিকে আমি খায়ালই করি নাই।

হযরত ;-তা হলে তোমার ইহরাম বাধাই ঠিক 
         হয়নি ।যখন তুমি আরাফার ময়দানে 
         দন্ডায়মান , তখন তোমার মনে হয়েছিল 
        কি তুমি আল্লাহর দরবারে দন্ডায়মান ও
        তুমি আল্লাহ কে দেখছ ।
লোকটা;-না , এ কথা আমার কল্পনা ও হয়নি ।

হযরত;- তা হলে তুমি যেন আরাফাতে যাওনি।
            তুমি মুযদালিফায় গিয়ে তোমার কাম 
            প্রবৃত্তি তাড়না পরিত্যাগ করেছ কি ? 
লোকটা ;- না ,
হযরত;- তা হলে তুমি মুযদালিফায় যাওনি ।
         তুমি তাওয়াফ করার সময় আল্লাহর
          অনুগ্রহ অনুভব করেছ কি ? 
লোকটা ;-না , আমি অনুভব করিনি ।

হযরত ;-তা হলে তুমি তাওয়াফই করনি ।সাফা              
           মারওয়ায় দৌড়ানোর সময় তুমি কি এর          
         কারন সম্পর্কে চিন্তা করেছ ? 
লোকটা ;- না করিনি ।
হযরত ;-   তা হলে তোমার সায়ী হয় নি ।
           কুরবানী করার সময় তোমার পাপ
           বিসর্জন দিয়েছ কি ? 
লোকটা ;-না করি নি , 
হযরত ;-তা হলে তোমার কুরবানী কি করে 
          হল ? আচ্ছা কংকর নিক্ষেপের সময় 
         তুমি তোমার অসৎ সঙ্গিদের পরিত্যাগ 
         করবে ও তাদের প্রতি ভ্রুক্ষেপ না করার
          নিয়ত করেছ কি ? 
লোকটা ;--না করি নি , 
হযরত ;-- তা হলে তোমার হজ্জ হয়নি , তুমি 
            আবার ফিরে যাও ও পুর্ন নিয়তে এই সব গুনাবলীর সাথে হজ্জ করে মাকাম এ ইব্রাহীম পরেযন্ত পৌছ , যে মাকাম সম্পর্কে আল্লাহ তায়ালা এরশাদ করেছেন ( ইব্রাহীম তার প্রভুর কৃতজ্ঞতার হক আদায় করেছে) সুরা আন নাজম , আয়াত ৩৭ ।


       
তো আশা করব আপনারা হজ্জ ঠিক এমনি ভাবে পালন করবেন যেমন ভাবে করলে মাকাম এ ইব্রাহীম পৌছতে পারবেন । 

আমাদের সকলের জন্য দোয়া করবেন । 

আসসালামুআলাইকুম ওয়া রাহমাতুল্লাহ ওয়াহারাকাত ।

সোহেল রানা । 

         

শনিবার, ১২ সেপ্টেম্বর, ২০১৫

সামা নিয়ে আপত্তির জবাব বিরুদ্ধবাদীদের কিতাব থেকে

দেখুন :- মাওলানা আশরাফ আলী থানবী দেওবন্দী দের হেকিমুল উম্মত ও মোজাদ্দেদ এর কিতাব ( রুহে তাসাউফ ) এর ৫৫ নং পৃষ্টায় লিখেছেন যে ;- আবু সুলায়মান দারানি (রহ) এর নিকট সামার বিষয় জানতে চাওয়া হলে তিনি বলেন যে :- যে অন্তর সুন্দর কন্ঠের উত্সুক হবে , সে ক্ষীন অন্তর ও দুর্বল চিত্তের লোক :- আর সামা তার ঔষদ সরূপ। উদাহরণ তার কচি শিশু , সে শুইতে চায় , তখন মধুর কন্ঠ ইত্যাদি দ্বারা তার নিদ্রার বেবস্থা করা হয়। আবু সুলায়মান (রহ) আরো বলেন মধুর কন্ঠ বা সুরোলিত সুর অন্তরে বিলোপ কিছুর সৃষ্টি করে না , যা তার অন্তরে আছে তা নাড়া দিয়ে জাগ্রত করে দেয় ( রুহে তাসাউফ) আশরাফ আলী থান্বির লেখা কিতাব পৃষ্টা ৫৫ 

আশা করছি দেওবন্দী ভাইদের চোখে পরেছে কথা গুলো , আর এটাই বলা হয়েছে কত গুলো অন্তর ক্ষীনও ও কঠিন , ফলে সুলোলিত সুর ও মধুর কন্ঠে গাওয়া কোনো আবেগ করা ইস্ক এর সামা সুনে সেই অন্তরে থাকা নিস্প্রান ইমান কে নাড়া দেয় , ফলে তা জেগে উঠে নতুন উদ্যমে।  

এর পর আবার দেখুন ;- উক্ত কিতাবের ৫৬ নং পৃষ্টায় থানবী সাহেব আবার লিখেছেন যে :- আমি উস্তাদ আবু আলী দাক্কাকি এর কাছ থেকে সুনেছি যে ;- এক মজলিশে আবু অমর ইবনে জায়েদ ও হজরত নাচরাবাদি ও কতিপয় লোক উপস্থিত ছিলেন। তখন নাচ্ছরাবাদী (রহ) বলেন যে ;- আমার কথা হচ্ছে যে কতগুলো লোক যখন এক খানে জমায়েত হয় তখন একজন কে কিছু বলা উচিত , এই খানে টিকা দিয়ে লিখেছেন যে ( এতে প্রতিয়মান হয় যে তার মতে সমা মোবাহ বা জায়েজ) অবশিষ্ট লোক চুপ থাকবে। এটি কমপক্ষে কারো গিবত করা থেকে উত্তম। আবু অমর ইবনে জায়েদ তখন বললেন যে ;- যদি ৩০ বছর গীবতে লিপ্ত থাক ,তার চেয়ে সামা এর অবস্তায় মিথ্যা ও ভিত্তিহীন কিছু প্রকাশ ঘটানো থেকে উত্তম হবে। (রুহে তাসাউফ ) পৃষ্টা ৫৬ 

এই খানে আশরাফ আলী থানবী যে ২ জন বুজুর্গের কথা উল্লেখ করেছেন তাতে বলা হয়েছে যে :- কয়েকজন লোক যদি একত্রিত হয় তা হলে একজন কিছু আবেগ ভরা সুর নিয়ে কিছু সুন্দর আবৃতি করবে যা ইসলামের সত্যিকার এর দিকে ধেয়ে নিয়ে যেতে পারে , আর সবাই চুপ করে সুন্ভে , এতে একজন আর একজনের গিবত করা থেকে উত্তম। এবং অমর ইবনে যায়েদ ও তাই বলেছেন।  

উক্ত কিতাবের ৫৭ নং পৃষ্টায় লিখেছেন যে ;- মাওলানা ও মুফতি আহমাদ সফি বলেন যে :- যে কথা টা আমি উল্লেখ করা সমীচীন মনে করি যা আমি থানবী সাহেবের বরকত ময় জবান থেকে একাধিক বার সোনার সৌভাগ্য অর্জন করেছিলাম তা হচ্ছে ;- চার সিলসিলার মধে তরিকতের পন্থী শায়েখ গণ কাউকে সামা করণীয় হিসেবে নির্দেশ দেন নাই , তবে পরবর্তিতে পির মাশায়েখ দের অদিষ্ট মামূল ছিল যে অভিজ্ঞতার নিমিত্তে উপকারী সাব্যস্ত হওয়ার ভিত্তিতে সংযোজন করা হয়েছে ।রুহে তাসাউফ পৃষ্টা ৫৭ 

এই খানে দেওবিন্দী দের মুফ্তিয়ে আজোম সফি সাহেব বললেন যে তরিকত পন্থী শায়েখ গণ সামা করণীয় হিসেবে নির্দেশ দেন নাই। এই কথার অর্থ হচ্ছে যে পীর সাহেব রা যেমন অজিফা দেয় ও তা পালন করতে বলে তেমন সামা এর বিষয় নির্দেশ দেন না ,
এবং তরিকত পন্থী পীর মাশায়েখ গণ সামা উপকারী সাব্যস্থ বিধায় সংযোজন করেছেন। আর ইটা যেহেতু উপকারী সেহেতু মোবাহ বা জায়েজ 

আবার দেখুন (মাওয়ায়েজ এ আশরাফিয়া) কিতাবের ৪ থা খন্ডের ৬৭ নং পৃষ্টায় আশরাফ আলী থানবী সাহেব লিখেছেন যে ;- আমি একদিন হজরত নিজামুদ্দিন কুদ্দেসা সিরুহুল সাহেবের মাজারে গিয়ে কবর জিয়ারত শেষ করে আসতে ছিলাম , আসার পথে দেখলাম যে কাওয়ালী এর আয়োজন করা হচ্ছে। আমাকে বাধা দিয়ে দিয়ে কাওয়ালী এর আয়োজক রা বলল যে আপনি অপেক্ষা করুন ,কাওয়ালী সুনে এর পর যাবেন। আমি বললাম যে আমি যদি কাওয়ালী সুনি তবে সুল্তান্জি (খাজা গরিবে নেওয়াজ) নারাজ হবেন। তখন তারা বলল যে ;- কেন চিস্তিয়া বুজুর্গ রা তো সবাই কাওয়ালী শোনেন ,সুল্তান্জি (গরিবে নেওয়াজ) নিজেও কাওয়ালী সুনেচিলেন। তখন আমি বললাম যে হা তিনি কাওয়ালী সুনেচিলেন, আর ওনার কিতাব (ফাওয়ায়েদুল ফুয়াদ) কিতাবে কাওয়ালী বা সঙ্গীতের জন্য ৪ তা সর্ত দিয়েছেন :- (১) শ্রোতা (২) গায়ক (৩) স্রবনীয় বিষয় বস্তু (৪)স্রবনীয় যন্ত্রপাতি 
১) শ্রোতার সম্মন্ধে তিনি লিখেছেন স্রোতা কামভাব সম্পন্ন হতে পারবে না 
২) গায়ক মেয়ে লোক ও বালক হতে পারবে না 
৩)স্রবিনীয় বিষয় বস্তু বিষয় লিখেছেন যে , হাসি ,কৌতুক , প্রকৃতির হতে পারবে না 
৪) স্রবনীয় যন্ত্র পাতি সম্মন্ধ্র তিনি লিখেছেন যে , বাহেলা , সারেঙ্গী , হারমোনিয়াম থাকা চলবে না 

দেওবন্দিদের আরো একটা কিতাব (তাসাউফ তত্ত্ব ) লিখেছেন মুফতি মাহমুদ আশরাফ উসমানী (উস্তাদ দারুল উলুম করাচি) উক্ত কিতাবের ২৩৪ নং পৃষ্টায় লিখেছেন যে - মোবাহ (জায়েজ ) সামা এর কিছু সর্ত আছে 
তা হচ্ছে ;- ১) শ্রোতা প্রবৃত্তি পুজারী হউয়া যাবে না 
২)মেহফিলে কোনো মহিলা বা দাড়ি গোফ বিহীন সুশ্রী বালক থাকা যাবে না (দেওবন্দী সমকামিতার একটা বেপার আছে ) 
৩) সামা দ্বারা আমোদ প্রমোদ ছাড়াও আল্লাহর জিকিরের প্রতি বিশেষ লক্ষ্য রাখা 
৪)সামা পাঠক কোনো মহিলা বা সুশ্রী বালক না হওয়া 
৫)সামার বিষয় বস্তু অস্শীল ও নাজায়েজ না হওয়া 
৬)সামার সাথে কোনো বাদ্যযন্ত্র না থাকা 
৭)লৌকিকতা বা লোক দেখানোর জন্য ওয়াজদ বা খোদা প্রদত্ত বিশেষ অবস্থার অভিনয় না করা। 

এই খানে মুফতি মাহমুদ আশরাফ উসমানী (মুফতি-এ-আজম সফি এর ছেলে ও তকী উসমানী এর ভাই) সাহেব অতিরঞ্জন কে না বলেছেন সমা কে না। হারাম বলেছেন অতিরঞ্জন ও বেহায়াপনা কে কিন্তু সামা কে হারাম বলেন নাই 

আপনারা দেওবন্দী গণ আপনাদের , আপনাদের আলেমদের কথাও কি আপনারা মানবেন না ? নাকি তারা ও বেদাতি ছিল ? নাকি আপনারা বেশি পেকে গেছেন ? কোনটা সত্য ? 

হাজীর নাযির নিয়ে প্রিন্সিপালের জবাহ -৩

দেওবন্দিদের ফেসবুক মুফতি প্রিন্সিবাল নুরুননবী কয়েকটা প্রশ্ন করেছে , 

আমি তারে বলতে চাই , মিয়া , আপনি নবী (সা) কে নূর মান্য করেন না ও হাদীসে যাবের কে জাল মিথ্যা প্রমান করতে উঠে পড়ে লেগে আছেন আপনার বাবা শিব ঠাকুর ও মা পার্বতীর তুষ্টির জন্য , 


তো এখন কথা টা বলার কারন হচ্ছে যে , আপনি নবী (সা) কে নূর মান্য করেন না আর আপনার নাম নূরুন-নবী ।

এটা কেমন হয়ে গেল না ? 

আপনার নাম টা মনে হয় আপনার বাবা ও মা আমাদের মতই বেদাতি থাকার কারনে রেখেছেন । 

আর নয় তো , আপনার বাবা ও মা কে আপনি নিজে বেদাতি সাব্যস্ত করতেছেন ।

নাম টা শুধরিয়ে নিয়ে নতুন নামকরন করুন প্রিন্সিপাল মাটির নবী ।

আর কোন কিন্ডারগার্ডেনের প্রিন্সিপাল আপনি তা জানালে খুশি হতাম ।

মুল কথা , প্রিন্সিপাল সাহেব লিখেছেন ;-আপনি আল্লাহ তায়ালাকে হাজির নাজির মানেন না, অথচ আল্লাহ তায়ালার মাখলূক মহানবী (সা)-কে হাজির নাজির মনে করেন! আপনি কত বড় বেয়াদব!!

জবাব;-
প্রিন্সিপাল সাহেব @ আমি আল্লাহ কে হাজীর ও নাযির মান্য করি , তবে আপনার মাহমুদুল তেঁতুলের মত নয় । 
বরং আমি আল্লাহ কে হাজীর ও নাযির মান্য করি যেমন কিনা তাফসীর ইবনে কাসীর এ বলা হয়েছে ;-

 আমাদের আকিদা হচ্ছে   ;- অধিকাংশ গুরুজন ঐক্যমত্য প্রকাশ করেছেন যে , এই আয়াতের দ্বারা উদ্দেশ্য হল معيت علمي আল্লাহ তায়ালার সত্তা বিদ্যমান থাকা নয় , তার ইলম সব যায়গাতে বিদ্যমান আছে ।এটাই উদ্দেশ্য , ৩ জনের সমাবেশে চতুর্থজন হবে আল্লাহর ইলম ( তাফসির ইবনে কাসীর ১৭ খন্ড সুরা মোজাদেলাহ এর তাফসীর আয়াত নং ৭ পেজ নং ৩৬২) 

এটা আমার আকিদা যে আল্লাহ তায়ালার সত্তা বিদ্যমান থাকা নয় সবখানে , বরং তা আল্লাহ তায়ালার ইলম ।

আর আপনার মাহমুদুল তেঁতুলের আকিদা হল , আল্লাহর সত্তা সর্বখানে, এমন কি বাথরুমে ও বিদ্যমান । 
আমি বলব ঠিকই বলেছেন , কারন এ থেকে ফুটে উঠে  প্রকৃত দেওবন্দের পরিচিতি ।
যেমন আমরা সব সময় বলে থাকি ( দেও শব্দের অর্থ হল ভুত প্রেত  খান্নাস শয়তান , আর বন্দি মানে হল --- যার বন্দেগী করা হয় বা যে আপনাদের কে বন্দি করেছে বা যার হাতে আপনারা বন্দি ) 

তো দেওবন্দি এর মানে হল শয়তানের পুজারী সোজা ভাষায়
 । আর  শয়তান থাকে বাথরুমে ।
যেমন হাদিসে এসেছে ;-হযরত যায়েদ বিন আরকাম (রা) বর্ননা করেছেন যে ;- রাসুলুল্লাহ (সা) ইরশাদ করেছেন ;- এই নোংরা যায়গা গুলো জ্বীন ও শয়তানের থাকার যায়গা ।অতএব তোমাদের মধ্য কেউ যদি পেসাব পায়খানার জন্য যায় , তবে সে যেন এই দোয়া পড়ে ( আল্লাহ হুম্মা ইন্নি আউজুবিকা মিনাল খুবুসি ওয়াল খাবায়েস ) জ্বীন জাতির রহস্য পৃষ্টা নং ৬৩ 

তো আপনাদের আল্লাহ থাকে বাথরুমে, আর বাথরুমে থাকে আমাদের মতে শয়তান , 

তো প্রকৃত ভাবে আপনাদের আল্লাহ শয়তানই বটে ।
মাহমুদুল @ কি বলবি ? 
তোর আল্লাহ না বাথরুমে থাকে ! 
বলদ কোথাকার ।

 প্রিন্সিবাল পরের লাইনে আপত্তি তুলেছে ;--অথচ আল্লাহ তায়ালার মাখলূক মহানবী (সা)-কে হাজির নাজির মনে করেন! আপনি কত বড় বেয়াদব!!


জবাব;--- কাটমোল্লাহ প্রিন্সিবাল@ 
উপরে আমি পেশ করেছি আমরা আল্লাহ কে হাজীর নাযির মান্য করি কি না , 
বরং আমরা তোমাদের মত আল্লাহর সত্তা বাথরুমে ও আছেন এমন আকিদা রাখি না , বরং আমরা বলি আল্লাহর ইলম আমাদের কে পরিবেষ্টন করে আছে , আল্লাহর সত্তা নয় । 

অনুরুপ আমাদের আকিদা যে ;- রাসুলে পাক (সা) হাজীর ও নাযির আল্লাহ প্রদত্ত ভাবে ।

আর আমি জানি , এর পর নবী (সা) কি ভাবে হাদির নাযির তার দলিল দিতে বলবে কোরান থেকে । 
আমি তৈরি আছি তার জন্য , 

তবে কথা হল যে , আমার ১ ও ২ নং পোষ্ট এর লিখিত জবাব পাওয়ার পরই আমি অন্য কোন জবাব লিখব ।

কারন তোমাদের বোনের স্বামী নই আমি যে তোরা  আপত্তি পেশ করবি আর আমি জবাব দিতে থাকব। বরং আমি পোষ্ট করেছি তুমি জবাব দাও তুমি পোষ্ট কর আমি জবাব দিব । তা সমানে সমানে হতে হবে । 


এর পর লিখেছে যে ;-----

তাই আমি আপনাকে তিনটি প্রশ্ন করব, সেগুলোর জবাব দিন।

প্রশ্ন , ১- হাজির নাজির শব্দের আভিধানিক আর ব্যবহারিক অর্থ কী? 

জবাব;---- 
হাজীর;--- হাজীর এর আবিধানিক উপস্তিত । তথা  অনুপস্থিত থেকে উপস্থিত হওয়া । 
যেমন আমি কোন স্টাডিয়াম এ প্রবেশ করলাম , আমার হাতের কার্য ক্ষমতা যতদুর পর্যন্ত আছে, ততদুর আমি হাজীর ।

নাযির ;-- নাযির মানে দ্রষ্টা , তথা আমি একটা স্টাডিয়াম এ প্রবেশ করলাম আর এ প্রান্ত থেকে অপর প্রান্ত পর্যন্ত দেখতেছি । 
বা আকাশে চাঁদ দেখতেছি , তো আমি সেই চাঁদ পর্যন্ত নাযির । 
আমি চাঁদ পর্যন্ত হাজীর নই , কারন সেথানে আমার কোন কার্যক্ষমতা নেই । সোজা ভাষায় খোলা মেলা করে দিলাম ।


তার আপত্তি ;--
২- আল্লাহ তায়ালা সম্পর্কে বাথরুম বা পতিতালয়ে হাজির থাকার মতবাদটি উঠে আসার খোঁড়া যুক্তিতে তাঁকে হাজির নাজির মনে করা যদি শুদ্ধ না হয়, তাহলে সে একই দাবিতে এবং একই যুক্তিতে বিশ্বনবী (সা)-কেও হাজির নাজির মনে করা আপনাদের জন্য শুদ্ধ হয় কিভাবে? নাকি নিজেদের বেলায় এসব যুক্তি মগজে লোড় নেয় না!!  অতএব আপনাদেরই উপর্যুপরি যুক্তিতে বিশ্বনবী (সা) তিনি হাজির নাজির হন কিভাবে, তা যুক্তি দিয়েই আমাদের বুঝিয়ে দিতে হবে।


জবাব ;--- উপরে যেমনটা বলেছি যে , আল্লাহ তায়ালা হাজীর ও নাযির , এতে আমাদের কোনই মতভেদ নেই । 
মতভেদ শুরু করেছিল আপনার মাহমুদুল তেতুল । 
তার মতে আল্লাহর সত্তা সর্বত্র বিদ্যমান , তখন আমি বলেছিলাম যে তোমার আল্লাহ কি বাথরুমে ও বিদ্যমান আছেন ? 
তখন জবাবে বলেছিল আছে । অবশ্যই আছে ।

অথচ ;-- :-(ইসলামি আকিদা ও ভ্রান্ত আকিদা ) নামক বই এ থানভী লাইব্রেরি থেকে প্রকাশিত আপনাদের আলেম মাওলানা হেমায়েত উদ্দিন রচিত কিতাবের ১ম খন্ডের পৃষ্টা নং ৪৯ এ লিখেছেন যে ;-হিন্দুদের বিস্বাস মতে ইশ্বর মানুষ , প্রানী , বৃক্ষ ,পাথর সবকিছুতেই প্রবেশ করেন ।এসব বিস্বাস পোষনকারী গনকে হুলুলিয়া বলা হয় ।এমন বিস্বাসী কুফরী ।

উপরে হেমায়েত উদ্দিনের কিতাবের যে উদ্ধৃতি দেয়া হল , তাতে বলা হয়েছে আল্লাহ সব কিছুতে প্রবেশ করেন ( আপনাদের মতে বাথরুমে ) এমন আকিদা রাখা কুফরী ও হুলুলিয়া (হিন্দু ) দের আকিদা /

আপনার তেতুল মাহমুদুল কে তওবার করতে বলুন।

আর বলেছেন যে আমাদের নবীর হাজীর ও নাযির মান্য করা শুদ্ধ হয় কি ভাবে ? 


উপরে আলোচনার শুরুর কথা গুলো আবার ও ভাল করে দেখুন।  কেমন ।

আর আমাদের আকিদা হল কোন কিছু বিষয় জানতে আল্লাহ তায়ালা কে আমার কাছে আসতে হবে না । 
বরং আমরা আল্লাহর ইলমের বাইরে নই ।
আর আল্লাহ তায়ালার ইলমের বাইরে যখন নয় তখন আল্লাহর সত্তা বাথরুমে প্রবেশের প্রশ্নেই আসে না । 
অনুরুপ আমাদের নবীর তো আসার কোন কথাই নাই । 

আপনার তেতুল মাহমুদুল তার পোষ্ট এ লিখেছে যে ;- 
এমনিভাবে “বাসীর”এর অর্থ লিখা হয়েছে যে, দ্রষ্টা,তথা নাজির। দেখুন-“সাররাহ”-১৬০।

আপনার মাহমুদুল তেতুল আরো লিখেছে যে ;-আর সে উপরে লিখেছে ;- 
চোখ খুলে মেশকাত শরীফের ১ নং খন্ডের ১৯৯ নং পৃষ্ঠায় দেখুন ইবারতের নিচে শহীদ অর্থ লিখা হয়েছে হাজির। আর প্রসিদ্ধ ডিকশনারী “সাররাহ”এ লিখা হয়েছে যে, শহীদ মানে হাজির ও স্বাক্ষ্য।

তো এখন এই আয়াতের বিষয় কি বলবেন ? 

 يَاايُّهَاا لنَّبِىُّ اِنَّا اَرْسَلْنكَ شَاهِدًا وَّمُبَشِّرًا وَّنَذِيْرًا وَّدَاعِيًا اِلَى اللهِ بِاِذْنِه وَسِرَاجًا مُّنِيْرَا

এখন এই আয়াত নিয়ে কি বলবেন ? 

যাক । 
আমাদের আকিদা হল আমাদের নবী (সা) তার গোনাহগার উম্ম্তের প্রত্যক্ষদর্শি সাক্ষি । 
আর এই আয়াত বলেই আমাদের নবী হাজীর নাযির।  
যেমন আল্লাহ আরশে থেকে আমাদের কে পরিবেষ্টন করে আছেন তার ইলম দিয়ে । 

আমেদের নবী (সা) কে আপনাদের আল্লাহর মত বাথরুমে ঢুকে দেখতে হবে  না যে এখানে কি হচ্ছে । 
আল্লাহ সুবহানু তায়ালার রহমতে তিনি ওনার রওজা থেকেই অবগত সকল কিছুই ।
আর নাযির থেকে হাজীর হওয়া না হওয়া সবই আল্লাহর ইখতিয়ার ভুক্ত । 

যেমন আপনাদের আলেম রশিদ আহমেদ গাংগুহি তার ফতোয়া গ্রন্থ ফতোয়া এ রশিদিয়া এর বিদআত শির্ষক অধ্যায় এ  ৯১ পৃষ্টায় লিখেছেন যে ;-সরকার এ দো-আলম হুজুর (সা) এর মওলিদ শরিফে (হাজির নাযির)  বিষয়টা প্রতিষ্ঠিত নয় বটে .তবে খোদা প্রদত্ত শক্তির বদৌলতে ওনাকে হাজীর নাযির জ্ঞান করা শিরক নয় , অন্যথায় শিরক ) 

। 



৩ নং আপত্তি ;--হিজরত অর্থ কী? নবীজি (সা) মক্কায় স্বশরীরে বিদ্যমান থেকে মদিনায় চলে গিয়েছিলেন,  নাকি মক্কা ছেড়ে মদিনায় চলে গিয়ে ছিলেন? যিনি মক্কা ছেড়ে মদিনায় চলে যান তিনি ফের মক্কায় না থেকেও  সেখানে উনাকে হাজির মনে করেন কিভাবে? আমাদের বুঝিয়ে দেবেন কি?

জবাব----
হিজরত মানে ত্যাগ করা চলে যাওয়া ছেরে দেওয়া । 

সুন্দর কথা বলেছেন । 
আমাকে কয়েকটা প্রশ্নের উত্তর দিতে হবে এই সকল প্রশ্নের উত্তর পেতে হলে । 
যেমন (১) 
আমার আল্লাহ বলেছেন কিয়ামতে আমার নবী (সা) কে উম্ম্তে মোহাম্মাদি ও পুর্ববরতি নবী ও উম্মতগনের সাক্ষি রুপে আনয়ন করা হবে ।

আমার নবী যে মক্কা থেকে মদিনা চলে গেলেন , তো সেই সময় মক্কার মুসলিম ঘটনা সমুহের সাক্ষি আমার নবী (সা) কি করে দিবেন ? যদি তিনি তা না দেখে  থাকেন ? 

(২) আমি দুবাই এ আছি ও আপনি বাংলাদেশে , আমার নবী আমাদের বিষয় কিয়ামতে কি করে সাক্ষি দিবেন ? 
যদি তিনি না দেখে থাকেন ? 



(৩) যে রাতে আল্লাহ তায়ালা ৭ম আসমানে থেকে নেমে আসেন তখন বাকি আশমান গুলো কি খালি পড়ে থাকে ! তখন কি আল্লাহর আরশ খালি পড়ে থাকে ? 

(৪)।  উম্ম্তে মোহাম্মাদি সারা পৃথীবিতে ছড়িয়ে আছে , আমার নবী তো শুয়ে মদিনায় , কি করে তিনি কিয়ামতে সাক্ষি দিবেন ? 

আপনি এই সব গুলোর জবাব পেশ করুন। , সাথে সাথে কমেন্ট এ এর পাল্টা জবাব দেয়া হবে । 


তারপর লিখেছে ;-তারপর আপনার একটি প্রশ্নের জবাব এই যে, আল্লাহ তায়ালা যখন আরশ
থেকে প্রথম আসমানে নেমে
আসেন তখন আরশ খালি থাকবে
কেন? আল্লাহ তায়ালা কি
স্থানের মুখোপেক্ষি? তিনি
কি আরশে সীমাবদ্ধ?
নাউযুবিল্লাহ। এবার আপনি তো
আপনার নিজের আকিদা থেকেও
সরে গেলেন!! অথচ ইতিপূর্বে এসব
কথা লিখেই আল্লাহ
তায়ালাকে হাজির নাজির
মানার আকিদাকে বদ দ্বীনি
বলে আখ্যা দিয়েছেন, তাই নয়
কি?

জবাব ;--- সুন্দর কথা বলেছেন । 
আল্লাহ আরশের বা স্থানের মুখাপেক্ষি নয় । 
এটা আমাদের আকিদা । 

আমি আমার আকিদা থেকে সরে দাড়াই নাই , 
বরং সুরা হাদীদ ৪ নং আয়াতের তাফসীরে (অতপর আরশে সমাসীন হলেন ) এই কথা কে আয়াত এ মুতাশাবিহাত বলা হয়েছে । 
অতপর তিনি আরশে আছেন , এ কথার চেয়ে আমি না বেশি না কম বা টানাটানি করতে পারব না ।

আর আপনাদের আকিদা একটু দেখি :--

(১) ফতোয়া এ হাদিসিয়্যাহ এর ১০০ নং পেজে বলা হয়েছে  আপনাদের ইবনে তাইমিয়া বলেছেন যে ;- আল্লাহ তায়ালা আরশের সমান , না তা থেকে বড় না তার থেকে ছোট ।

যদি আপনার ইমাম ইবনে তাইমিয়া এর কথা সত্য ধরি , তা হলে আল্লাহু আকবার বলা বিশুদ্ধ নয় । কারন ইবনে তাইমিয়া বলেছেন আল্লাহ আরশের সমান।  না ছোট না বড় আরশের থেকে । কি বলবেন ইবনে তাইমিয়ার এই কথায় ? 
কে আল্লাহ কে স্থান এ আঁকার নির্ধারণ করল ? 

আর এঅ আকিদা যদি আহলে সুন্নাহ বিরোধি হয় তবে বলুন আল্লাহর আঁকার নির্ধারণ করে ইবনে তাইমিয়া কুফরির করেছেন। 

(২) ইবনে তাইমিয়া এর সুযোগ্য ছাত্র হাফেজ ইবনে কাইয়্যুম লিখেছেন , আমার আকিদা বা বিস্বাস হচ্ছে নিশ্চয় আল্লাহ আরশে মুয়াল্লা ও কুরশীর উপরে আছেন , আর আল্লাহ তায়ালা উভয় পা কুরশীর উপরে রেখেছেন ( ক্বসীদায় নুনিয়া , ইবনে কাইয়্যুম লিখিত পৃষ্টা নং ৩১) 

এ তো মহা মসিবতে পড়ে গেলেন মনে হয় । 
এবার ইবনে তাইমিয়ার ছাত্র তো আল্লাহ তায়ালা কে আরশে কুরশীর উপর পা উঠিয়ে রেখে বসিয়ে দিলেন আয়েশা করার জন্য । 
এবার বলুন কারা আল্লাহ তায়ালা কে সীমাবদ্ধ করেছে ? 

এমন কথা যদি আহলে সুন্না বিরোধি হয় তবে কুফরির ফতোয়া পেশ করুন।  


(৩) আপনাদের আর এক ইমাম মৌলভী ওহিদুজ্জামান লিখেছেন ;- যখন আল্লাহ তায়ালা আরশে বসেন তখন কুরশীতে চার আংগুল পরিমান যায়গা ও খালি থাকে না , আর কুরশী মড়মড় আওয়াজ করে (ওহিদুজ্জামান লিখিত তাফসীর , পৃষ্টা ৪৬৭) 

এ হচ্ছে আহলে হাদীস ও দেওবন্দিদের শুভাকাংখী ওহিদুজ্জামান । কি বলবেন এমন আরশের মড়মড়  আওয়াজ আল্লাহর ওজনে । 
কুফরি ! 
তবো ফতোয়া পেশ করুন।  


(৪) আপনাদের মহান ইমাম ও আপনাদের মতে শহিদে বালাকোট শাহ ইসমাইল লিখেছেন ( আল্লাহর ওনেক বড় মর্যাদা , সমস্ত ওলী নবী তার নিকট বাজে অনু থেকে ও নিকৃষ্ট ।সমস্থ আকাশ ভু-মন্ডল তার আরশকে গম্বুজের মত করে ঘীরে রেখেছে ।আর ওই শ্রেষ্টত্যের কারনে রাজা ধীরাজের শ্রেষ্টত্যে ধরে রাখতে পারে না ।তাই ওই মহত্য আরশ মড়মড় আওয়াজ করে ( তাকবিয়াতুল ইমান পৃষ্টা ৬১) 

এখানে ও আপনার শাহ ইসমাইল আল্লাহ কে আরশে বসিয়ে দিয়েছেন।  আর আল্লাহর মহত্বের ওজনে আরশ মড়মড় আওয়াজ করে ।

কি বলবেন এখন ? 

বরং আমরা আল্লাহ তায়ালা কে স্থানের মুখাপেক্ষি করি না । বরং তা আপনারাই করে রেখেছেন । 

৪ জনের বিষয় ফতোযা পেশ করুন।  

আরো বলেছেন যে ;-
আল্লাহ তায়ালা কি
স্থানের মুখোপেক্ষি? তিনি
কি আরশে সীমাবদ্ধ?
নাউযুবিল্লাহ

আমি আপনাকে জিগ্গেস করছি যে , আমার নবী মক্কা থেকে মদিনা চলে যাওয়ার পর কি আমার নবীর ফয়েজ মক্কা থেকে রহিত গেয়ে যায় ? 

দেখুন ;--- রশিদ আহমেদ গাংগুহির লেখা কিতাব (এমদাদুস সুলক ) এর ১০ নং পৃষ্টায় লিখেছেন যে ;- মুরিদের এও দৃঢ়ভাব্ বিস্বাস করতে হবে যে , পীরের রুহ এক যায়গায় আবদ্ধ নয় ।মুরিদ দুরে বা কাছে যেখানেই হোক না কেন , এমন কি পীরের পবিত্র শরীর থেকে দুরে হলেও পীরের রুহানীয়াত কিন্তু দুরে নয় ( এমদাদুস সুলুক পেজ নং ১০) 

মন্তব্য ;--একজন সাধারন পীরের যদি এত ক্ষমতা হয় তার মুরিদ যেখানেই হোকনা কেন তার রুহানীয়াত দুরে নয় । 

ভাই আপনার পীরের যদি এঅ অবস্থা হয় একজন মুরিদের জন্য , তবে আমরা মুর্খ উম্মতের কান্ডারী নবী (সা) এর রুহানীয়াত কি করে দুরে থাকতে পারে ? 
জবাব চাই । 

আরো দেখুন ;-যেমন আপনাদের কাসেম নানুতভী সাহেব সুরা আহযাব ৩৩/৬ এর ব্যাখা দিতে গিয়ে তাহযিরুন নাস এর ১০ নং পেজে লিখেছেন যে , বিস্বাসীদের প্রানের চেয়ে ও নিকটে তার নবী । 

আমার মনে হয় আপনি এখন ও বিস্বাসী হতেই পারেন নাই , তাই আপনার নবী আপনার থেকে দূরে আছেন । 


এর পর লিখেছে ;- 
অথচ ইতিপূর্বে এসব
কথা লিখেই আল্লাহ
তায়ালাকে হাজির নাজির
মানার আকিদাকে বদ দ্বীনি
বলে আখ্যা দিয়েছেন, তাই নয়
কি?

;---- জী হা। আমরা তো আল্লাহ তায়ালার সত্তা কে সর্বত্র বিদ্যমান থাকা কে বদ্বীনী বলেছি । 
আপনাদের আলেম তো এমন আকিদা কে হুলুলিয়াদের আকিদা  ও কুফরি বলেছেন । 
দেখুন  ;-- (ইসলামি আকিদা ও ভ্রান্ত আকিদা ) নামক বই এ থানভী লাইব্রেরি থেকে প্রকাশিত আপনাদের আলেম মাওলানা হেমায়েত উদ্দিন রচিত কিতাবের ১ম খন্ডের পৃষ্টা নং ৪৯ এ লিখেছেন যে ;-হিন্দুদের বিস্বাস মতে ইশ্বর মানুষ , প্রানী , বৃক্ষ ,পাথর সবকিছুতেই প্রবেশ করেন ।এসব বিস্বাস পোষনকারী গনকে হুলুলিয়া বলা হয় ।এমন বিস্বাসী কুফরী ।

এবার বলুন , আপনার আল্লাহ বাথরুমে ও ঢুকেছেন । 
আর নিজেদের কথায় নিজেরাই কুফরি ট্যাগ নিয়ে বিদেয় হউন । 

তার আপত্তি ;--অথচ তার জবাব হল, আল্লাহ
তায়ালার রহমত তার বান্দাদের
নিকটবর্তী হয়। আর তিনি শুধু
আরশেই আছেন এ আক্বিদা আহলুস
সুন্নাহ ওয়াল জামাতের বিরুদ্ধ
আকিদা। বরং তিনি সবখানে
আছেন। যদিও এর আরেক অর্থ তাঁর
এলম সবখানে বিদ্যমান।


জবাব :--- সুন্দর কথা বলেছেন , আল্লাহ তায়ালা ৭ম আশমান থেকে ১ম আশমানে নেমে  আসেন এর অর্থ রহমত হতে ও পারে । শিউর হয়ে না বলাই ভাল , 

কারন -ইমাম আবু হানীফা (রহঃ)-কে আল্লাহ তা‘আলার অবতরণ সম্পর্কে জিজ্ঞেস করা হ’লে তিনি বলেন, আল্লাহ তা‘আলা যে রাত্রের তৃতীয় অংশে সপ্ত আকাশে নেমে আসেন, এ নেমে আসাটা কেমন, কিভাবে নামেন, এটা বলার ক্ষমতা কাউকে দেওয়া হয়নি। কেমন করে নামেন এটা আল্লাহ তা‘আলাই ভাল জানেন।আক্বীদাতুস সালাফ আছহাবুল হাদীছ, পৃঃ ৪২; শারহুল ফিক্বহুল আকবার, পৃঃ ৬০। 

আমি নিজে ও এ নিয়ে বেশি বাড়াবাড়ী করতে চাইছিনা । 

আরো লিখেছেন আল্লাহ শুধু আরশে আছেন এ আকিদা আহলে সুন্নাহ বিরোধি । 

উপরে আমি চারজনের কিতাবের উদ্ধৃতি তুলে ধরেছি . তাদের সেই সকল আহলে সুন্নাহ বিরধী মন্তব্যর ফায়সালা পেশ করবেন আশা করছি । 

আর আপনি নিচে লিখেছেন যে ;- আল্লাহ সবখানে আছেন এর অর্থ ইলম সবখানে বিদ্যমান ।

এই কথাটা  আপনার মাহমুদুল তেঁতুলের গালে  ২-৪ টা থাপ্পর মেরে বুঝিয়ে দিন । 
তা হলে আর এ নিয়ে তর্ক হবে না । 

তিনি লিখেছেন :--
বেশি কিছু না, এ তিনটি প্রশ্নের জবাব দিয়ে নতুন প্রশ্নে যাওয়ার সুযোগ আছে। নয় তো নয়। 

কম কিছুই আশা করি না , 
আপনি আমার জবাব গুলো দেয়ার পর নিচে প্রশ্ন উপস্থাপন করুন।  
এর আগে নয় ।
আর তুমি বলেছিলে যে ক্রমিক নং দিয়ে জবাব দাও ,
আমি দিয়েছি, এবার তোমার পালা । 

আর জানি, এই পোষ্ট সহকারে ৩ টা পোষ্ট এর জবাব পেন্ডিং থাকলো তোমার কাছে , 
আর এটা ও জানি তোমার সালেয়ারের ধাগা (ফিতা) তুমি নিজে টেনে ছিরে ফেলেছ ।
যে দিন জবাব দেয়ার চিন্তা ও করবে সেই দিন পুরা কুফর ই কুফর রোগে পুরা দেওবন্দের আর তোর আকাবিরদের বুক ঝাঝরা হয়ে যাবে ।



সোহেল রানা