শনিবার, ১২ সেপ্টেম্বর, ২০১৫

হাজীর ও নাযির নিয়ে আপত্তির জবাব -১


১ম পর্ব ,,,,,,,,,


আজ এক সপ্তাহ লেগে গেল (মাহমুদুল হাসান হানাফি)'র হাজীর নাযির নিয়ে পোষ্ট করতে । 

আর তার মতে আহমেদ ইয়ার খান নঈমি (রহ) এর লেখা কিতাবে (যা আল হক ) এ ভ্রান্ত বর্ননা করা হয়েছে । 

সে যে গুলো আপনি তুলে ধরে আমাদের কিতাব থেকে তা হল ;-


(১)প্রতি স্থানে হাজির হওয়া এটা আল্লাহ তাআলার সিফাত কখনোই নয়। আল্লাহ তাআলা স্থান থেকে পবিত্র। {জাআল হক্ব ওয়া যাহাক্বাল বাতিল-১৬১}


আপত্তি নং (২) 


আহমাদ ইয়ারখান সাহেব এর পর লিখেন-“আল্লাহ তাআলা প্রতিটি স্থানে বিদ্যমান মানাটা বদ্বিনী। প্রতি স্থানে বিদ্যমান হওয়াটা এটা রাসূল সাঃ এরই শান। {জাআল হাক্ব ওয়াযহাক্বাল বাতিল-১৬২}

সহীহ আক্বিদা°°°••••••

আপত্তি (৩) 

আল্লাহ তাআলা সর্বত্র বিরাজমান তথা হাজির। 

কিন্তু কিভাবে হাজির তা আমাদের জানা নেই। 


জবাব ;--জবাব ;- ভাই। এটাই আমাদের আকিদা । আল্লাহ সুবহানু তায়ালা কোন স্থান ও সময়ের মুখাপেক্ষি নন । আল্লাহ তায়ালা যদি সব যায়গায় হাজীর হয়ে থাকেন , তা বলে আমাকে বলুন আপনার আল্লাহ (আমার নয় ) কোন কোন বাথ রুমে আর কোন কোন পতিতালয় এ আথে ? (নাউযুবিল্লাহ ) 


আর কোন কিছু হাজীর (উপস্থিত)  হতে হলে আগে অনুপস্থিত হতে হবে । এর পর হাজির হতে পারে কেউ।  অন্যথায় নয় ।


আপনি যে আপনার আল্লাহ কে সর্বত্র হাজীর মনে করেন তো আপনার আল্লাহ মনে হয় আগে অনুপস্থিত ছিল । তাই নয় কি । 


জবাব দিবেন এটার । 


আর আপনি বলেছেন ৩ নং আপত্তি দিয়ে যা আমি চিন্হিত  করেছি ;-

আল্লাহ হাজীর কিভাবে তা আপনার জানা নাই । 

আপনার না জানা টা প্রমান করে আপনার শিক্ষার সল্পতা । আগে জেনে নিন ওলামায় কেরামগন কি মত পেশ করেছে এই সকল বিষয় ।

আর আমি বিগত দিনে পোষ্ট করার পর ও আপনি এখন এটা অস্বীকার করতেছেন । কারন পোষ্ট করা হয়েছিল আপনার জবাব দিয়ে ।

এখন আপনি শুধু আমাদের ঘারে দোষে চাপানোর জন্যই এমন একটা সত্য গোপন করে যাচ্ছেন । 


তবু লিখে  দিচ্ছি আল্লাহ হাজীর এর ব্যাখা ;-


 সুরা হাদীদ এর ৪ নং আয়াতের (ওয়া হুয়া মা'আকুম আইনা মা কুনতুম) এর অর্থ করা হয়েছে , তোমরা যখন যেখানেই থাক না কেন , আল্লাহ তোমাদের সঙ্গেই আছেন ।কিন্ত্ তার এমত সঙ্গতা তার সত্তা ও গুনবত্তার মতই অনুরুপ্যহীন আঁকার ও প্রকার বিহিন ।তাই তোমরা বোধায়ত্ব করতে পারো না ।(তাফসির এ মাঝহারী) খন্ড ১১ পৃষ্টা ৩০২ ।


সুরা মুজাদেলা এর ৭ নং আয়াতের তাফসীরে আরো সুন্দর করে বলা হয়েছে যে আসলে আল্লাহর সত্তা থাকেন না আমাদের সাথে , থাকেন ওনার ইলম বা জ্ঞান ।দেখুন 


এরপর সুরা মুজাদালাহ এর ৭ নং আয়াত দিয়েছে । আল্লাহ তায়ালা নাকি হাজীর ও নাযির । 
আমাদের আরিদা হচ্ছে আলেলাহ তায়ালা যায়গা ও সময় থেকে মুক্ত । উপরোক্ত আয়াতের তাফসীরে বলা হয়েছে যে ;- অধিকাংশ গুরুজন ঐক্যমত্য প্রকাশ করেছেন যে , এঅ আয়াতের দ্বারা উদ্দেশ্য হল معيت علمي আল্লাহ তায়ালার সত্তা বিদ্যমান থাকা নয় , তার ইলম সব যায়গাতে বিদ্যমান আছে ।এটাই উদ্দেশ্য , ৩ জনের সমাবেশে চতুর্থজন হবে আল্লাহর ইলম ( তাফসির ইবনে কাসীর ১৭ খন্ড সুরা মোজাদেলাহ এর তাফসীর আয়াত নং ৭ পেজ নং ৩৬২) 


তো আল্লাহ তায়ালা হাজীর ও নাযির বলতে ওনার সত্তা নয় বরং ওনার ইলম । আজ থেকে এটা আকিদা জেনে রাখুন। 


কিন্ত্ আমাদের আকিদা হল ( খোদা তো স্থানের গন্ডিতে আবদ্ধ নন) যা আল হক ১ম খন্ড পেজ নং ২৫৭ 

আবার ও বলা হয়েছে যে ;- আল্লাহর সত্তা প্রত্যেক যায়গায় বিদ্যমান মনে করা ধর্নহীনতা( যা আল হক ১ম খন্ড পেজ নং ২৫৭) 

আর উপরে যে রেফারেন্স দিয়েছেন যা আল হক কিতাবের তা মুলত ভুল। 
উপরে যে দুইটা রেফারেন্স আমি দিয়েছি তাই সঠিক।  কেমন।  পরে কোন সময় যদি অবার অপপ্রচার চালাতে হয় তবে রেফারেন্স টা ঠিক ভাবে দিয়ে দিও ।

এরপর সুরা মুজাদেলা সুরা হাদীদ ও অন্যান্য আয়াত দিয়েছে আল্লাহ তায়ালা কে সর্বত্র হাজীর নাযির প্রমান করার জন্য ।
আমি উপরে কিন্তু সুরা হাদীদ ৪ নং আয়াতের ও মুজাদেলা ৭ নং আয়াতের তাফসির পেশ করে প্রমান করেছি যে , আল্লাহ তায়ালা স্বশরিরে হাজির নয়। বরং ওনার ইলম (জ্ঞান ) আমাদের কে পরিবেষ্টন করে আছে। 
২ টা সুরার তাফসীরে যদি মন না ভরে তবে যে আয়াত গুলো দিয়েছেন তার সব গুলোকে তাফসীর দিতে রাজী আছি ইনশাল্লাহ ।

আপত্তি নং (৪) 
সুতরাং বুঝা গেল সর্বত্র বিরাজমানতা তথা হাজির থাকাটা এটা আল্লাহর সিফাত। এ সিফাত অন্যের জন্য প্রতিষ্ঠিত করা সুষ্পষ্ট শিরকী আক্বিদা।

জবাব ;- হানাফি এ নিয়ে কয়েকটা আয়াত দিয়ে শেষে লিখেছে আল্লাহ কি ভাবে সর্বত্র বিরাজমান হাজীর তা আমাদের জানা নাই ।

কিন্ত মিয়া তোমার এটা জানা আছে যে হাজীর ও নাযির হওয়ার দাবি করা শিরক । 

আমাদের আকিদা আমার নবী হাজীর ও নাযির আল্লাহ পাকের দেয়া ক্ষমতার ও ওনারই ইচ্ছায় এর পর ও যদি শিরক হয়ে থাকে তবে আগে আপনাদের কয়েকজন আলেম কে মুশরিক বলে কবুল করুন ;- 
(১) যেমন আপনাদের আলেম রশিদ আহমেদ গাংগুহি তার ফতোয়া গ্রন্থ ফতোয়া এ রশিদিয়া এর বিদআত শির্ষক অধ্যায় এ  ৯১ পৃষ্টায় লিখেছেন যে ;-সরকার এ দো-আলম হুজুর (সা) এর মওলিদ শরিফে (হাজির নাযির)  বিষয়টা প্রতিষ্ঠিত নয় বটে .তবে খোদা প্রদত্ত শক্তির বদৌলতে ওনাকে হাজীর নাযির জ্ঞান করা শিরক নয় , অন্যথায় শিরক ) 

ভাই। আমাদের তো আকিদা আল্লাহ প্রদত্ত ক্ষমা বলে আমাদের নবী হাযির ও নাযির । এর পর ও যদি শিরক এর ফতোয়া শুনতে হয় তবে আপনার গাংগুহি মুশরিক প্রমানিত হল আজ আপনার কথায় । 

(২) (বারাহিনে কাতেয়া ) কিতাবের ২৩নং পৃষ্টায় আছে যে , মাওলানা রশীদ আহমেদ গাংগুহি তো রেজেষ্টিরি করে দিয়েছেন যে খোদা ছারা অপর কাউকে খোদা প্রদত্ত ক্ষমতা বলে হাজীর নাযির জ্ঞান করা শিরক নয় ।

এই কথা যদি মান্য করতে কষ্ট হয় তবে খলিল আহমেদ মিয়া রে ও মুশরিক এর ফতোয়া প্রদান করুন ।

(৩)  একদা রশীদ আহমেদ গাংগুহি বললেন আমি কি বলব ?  
তাকে বলতে বলা হল যে হযরত বলুন ।
 আবার জিগ্গেস করল আমি কি বলব ? 
আবার ও বলতে বলা হল , 
তিনি আবার জিগ্গেস করলেন আমি কি বলব ? 
অতপর তিনি বললেন যে তিন বৎসর যাবৎ আমার পীর হাজী ইমদাদুল্লাহ মুহাজের এ মক্কি (রহ) এর মুখচ্ছবি আমার অন্তরে ছিল , আমি তাকে জিগ্গেস  না করে কিছুই বলতাম না । 

 এর পর তিনি আবার জিগ্গেস করলেন  যে আমি কি বলব ? 
আবার ও লোকজন তাকে বলতে অনুরোধ করলেন ।তিনি উত্তেজিত হয়ে  আবার  বললেন আমি কি বলব ?  ওনাকে বলতে বলা হলে  তখন তিনি বললেন যে :-কিছু বৎসরের জন্য হযরত মোহাম্ম্দ (সা) আমার ভিতরে ছিলেন । আমি তাকে জিগ্গেস না করে কোন কাজই করতাম না ।এর পর তিনি আবার ও জিগ্গেস করলেন যে আমি কি বলব ? তখন লোকজন তাকে (গাংগুহী ) কে পীড়াপিড়ি করতে লাগল যে বলুন । তখন তিনি চুপ করে রইলেন আর কিছুই বললেন না (আরওয়া এ ছালাছা কিতাবের ২৬৫ নং পৃষ্টা , দারুল ইশাক করাচি থেকে প্রকাশিত কাহিনি নং ৩০৬ ও আশেক ইলাহী মারাঠি লিখিত তাযকিয়াত উর রশিদ এর খ ২ পৃ ১৯৭)

 মন্তব্য ;--রশিদ আহমেদ সাহেব থাকতেন গাংগোহ শহরে আর হাজী ইমদাদুল্লাহ (রহ) থাকতেন মক্কায় । অথচ তিনি ওনাকে জিগ্গেস না করে কোন কিছুই করতেন না । এখানে ঠিকই আপনাদের আলেমের পীর হাজির হতে পারে শুনতে পারে আলোচনা করে কোন কাজ ও করতে পারে । আমাদের নবী তার উম্মাতের বিষয় হাজির ও নাযির দাবি করলে শিরক হয় । 
তবে তোমাদের গাংগুহি কেন মুশরিক নয় ? 


এর পর বলেছেন নবী (সা) গাংগুহির ভিতরে ছিলেন । তখন আমাদের নবীর রওজায় আকদাস খালি ছিল কি ? 

আর শুধু ছিলেনই না। বরং নবী (সা) এর সাথে কথা না বনে কিছুই করতেন না । তো এটা কেমন হল ? 
এমন আকিদার কারনে কি গাংগুহী কেন মুশরিক হবে না ? 
জবাব দিবেন ।

(৪) ---আপনাদের আলেম কাশেম নানুতভী সাহেব ওনার কিতাব (তাহযিরুন নাস ) এর ১০ নং পেজে লিখেছেন যে ;- মুহাম্মদ (সা) বিস্বাসী লোকদের নিকট তাদের প্রানের চেয়ে ও নিকটতম ( তাহযিরুন নাস পেজ নং ১০) 

মন্তব্য ;--নিকটতম মানে কি ? যে পাশেই আছে , কাছেই আছে । তো এমন কথা বলার কারনে কেন কাসেম নানুতভী মুশরিক হবেন না ? 

না কি আপনাদের বিশ্বাসই নাই ? 


(৫) রশিদ আহমেদ গাংগুহির লেখা কিতাব (এমদাদুস সুলক ) এর ১০ নং পৃষ্টায় লিখেছেন যে ;- মুরিদের এও দৃঢ়ভাব্ বিস্বাস করতে হবে যে , পীরের রুহ এক যায়গায় আবদ্ধ নয় ।মুরিদ দুরে বা কাছে যেখানেই হোক না কেন , এমন কি পীরের পবিত্র শরীর থেকে দুরে হলেও পীরের রুহানীয়াত কিন্তু দুরে নয় ( এমদাদুস সুলুক পেজ নং ১০) 

মন্তব্য ;--একজন সাধারন পীরের যদি এত ক্ষমতা হয় তার মুরিদ যেখানেই হোকনা কেন তার রুহানীয়াত দুরে নয় । 

তো আমাদের নবীর ফয়েজ তার উম্ম্ত থেকে কি করে দুরে থাকে ? 

আর এমন কথা বলার কারনে কেন গাংগুহি মুশরিক হবে না ? 
জবাব চাই ।


(৬) হাজী দোস্ত মোহাম্ম্দ খান মাওলানা রশীদ আহমেদ গাংগেহীর একান্ত বিস্বস্ত খাদেম ছিলেন । তার স্ত্রীর রোগের বর্নানা বর্নানা করেছেন আশেক এলাকা মারাঠি সাহেব । চলুন দেখা যাক -( হাত পা অবশ হয়ে গেছে , উর্ধ শ্বাস সুরু হয়ে গেছে , হাত পা ঠান্ডা হয়ে গেছে ।স্ত্রীর প্রতি হাজী সাহেবের অগাধ মুহাব্ব্ত ছিল । তিনি এসে দেখলেন অবস্থা খারাপ । পাশে বসে সুরা ইয়াছিন পাঠ করতে শুরু করলেন । স্ত্রীর মিত্তু যাতনা শয্য হচ্চিল না । হাজী সাহেব এ দৃশ্য দেখে শয্য করতে পারল না । সাথে সাথে মোরাকাবায় বসে গাংগুহি সাহেবের দিকে মনোনিবেশ করল । আর বলল যে যদি শেষ সময় এসে যায় তবে যেন এর শুভ সমাপ্তি হয় আর যদি হায়াৎ থেকে থেকে বাকি তবে তিন দিন থেকে যা কষ্ট যাতনা ভোগ করছে তা যেন লাঘব হয়ে যায় ।
মোরাকাবা শেষ হওয়ার আগেই রোগী (হাজী সাহেবের স্ত্রী) চোখ খুলল কথা বলা শুরু করল ।সম্পুর্ণ সুস্থ হয়ে গেল , ও দুই তিন দিন পর শক্তি ও এসে গেল (তাযকিয়াতু রাশীদ খ ২ পৃ ২৩১) 
এর পর আর একটু পড়ে নিন , আর তা হচ্ছে;- 
হাজী দোস্ত মোহাম্মদ খান প্রায় সময় বলতেন যে ;- যে সময় আমি মোরাকাবায় বসেছিলাম সেই সময় আমি হুজুর কে আমার সামনে দেখেছি ।
এর পর আমার এমন অবস্থা হল যে আমি যে দিকে নজর দিতাম তিন দিন পর্যন্ত সেই দিকে ইমাম রাব্বানী হযরত গাংগুহী কে দেখতাম (তাযকিয়াতুর রশিদ ২ খ ২২১ পৃ ) 

মন্তব্য ;- তো ভাই। আপনাদের কিতাবে তো গাংগুহি সাহেব একজন হয়ে তার মুরিদের চতুর্দিকে থাকেন । এটা কি হাজির ও নাযির হওয়া নয় ? এটা কি মুসরিকি আকিদা নয় ? 

জবাব দিন ।

(৭) আশরাফ আলী থান্বির কিতাব (বেহেস্তি যেবার) এর ১ খ এর ৯ নং পৃষ্টায় লিখেছেন ( কারামত ) এ থানবী তে ৭ নং কারামত এ যে ;- 

তাহার জৈনিক খলিফা বলেন যে একবার আলিগরের শিল্প-প্রদর্শনীতে দোকান খুলিয়াচিলাম। তো মাগরিবের পর কোনো এক দোকানে আগুন লেগে যায়। আর আমি আমার দোকানের সমস্ত মালামাল দোকানের ভিতর থেকে বাহির করছিলাম কিন্তু আমার আকার পক্ষে সম্ভব হচ্ছিল না। হটাথ দেখি সেখানে হাকীমুল উম্মত আশরাফ আলী থানবী। তিনি আমাকে সাহায্য করছেন দোকানের মালামাল বাহির করতে। তাই আমার বিশেষ কিছু ক্ষতি হয় নাই। পরে খোজ্নিয়ে দেখি হজরত তখন থানা ভবনেই অবস্থান করছিলেন। প্রথম খন্ড পেজ নং ৯ 

মন্তব্য ;--তো ভাই। আপনাদের আলেম থানা ভবনে থেকে ও তার মুরিদের সাথে গিয়ে তার দোকানের মাল সামানা বের করতে সাহায্য করেন যাতে আগুনে পুড়ে না যায় । 

এটা কি একজন মানুষ হয়ে একই সময় দুই যায়গায় হাজির হওয়া নয় ? এটা কি মুশরিকি  আকিদা নয় ? এতে কি আপনাদের থানবির আল্লাহর সাথে শরিক করা হল না ? 


(৮)। তাযকিয়াতুর রাশীদ কিতাবের লেখক আশেক এলাহি মারাঠি নাগীনা শহরের মৌলভী মাহমুদুল হাসানের একটা বর্ননা দিয়েছেন যে (- 
যে মাহমুদুল হাসান সাহেব বর্নানা করেছেন যে ;- আমার সেই ভাগ্যবতি আম্মাজান আমার আব্বাজানের সাথে ১২ বছর মক্কা শরিফে অবস্থান করেন । তিনি খুবই ধার্মিক ও ধর্মপরায়ণ ছিলেন ও তার শত শত হাদীস মুখস্ত ছিল ।তিনি আমাকে বলতেন যে বৎস , হযরত গাংগুহির শত শত শাগের্দ ছিল কিন্তু হজরত কে কেউ চিনতে পারেনি ।আমি যখন মক্কা শরিফে ছিলাম তখন প্রতিদিন হযরত কে হেরেম শরিফে ফজরের নামায পড়তে দেখেছি এবং লোকদের কাছ থেকেও শুনেছি যে ইনিই হযরত গাংগুহি যিনি গাংগোহ থেকে প্রতিদিন তাশরীফ অনয়ন করতেন ( তাযকিয়াতুর রশীদ, ২য় খন্ড পৃ ২১২) 

মন্তব্য ;- ভাই।  আপনাদের আলমে গাংগোহ তে বসবাস করত আর প্রতিদিন হেরেমে পাক এ নামায আদায় করত ফজরের । এটা কেমন করে হল ? এখানে ও হাজির  ওখানে ও নামায । 

এটা কি আল্লাহর সাথে শরিক করা হল না ? 
একমাত্র আল্লাহ আপনাদের মতে হাজীর ও নাযির । তো আপনাদের আলেম একজন মানুষ হয়ে কি করে হাজির হল হেরেমে ও নামায আদায়  করল ? 
এটা কি আল্লাহর সাথে শরিক করা হল না ? 



 (৯) দেওবন্দী দের গুরু আশরাফ আলী থানবী এর লেখা কিতাব (হেকায়াত এ আওলিয়া ) ২২২ নং পেজে নাসির দারুল ইশক উর্দু বাজার করাচী থেকে প্রকাশিত ফোন নং ২১৩৭৬৮ (টেলিফোন) উক্ত পেজে লিখেছেন আম্মে মোহতারাম হজরত মৌলানা হাবিবুর রেহমান বলেছেন যে মলোবি আহমাদ হাসান আমরোহী আর মলবী ফখরুল হাসান সব গান্গুহী এর মাঝে কিছু মতভেদ ছিল কিন্তু ঝগড়া  করার কোন ইচ্ছা ছিল না মলবী আহমাদ হাসান সাহেব আমরোহির । কিন্তু কেন জানি তিনি একদিকে ঝুকে গেলেন আর ঝগড়া অনেক দূর পর্যন্ত বেড়ে গেল । তো মৌলানা রফিউদ্দিন সাহেব  মলবী আহমাদ হাসান আমরোহী কে ডেকে পাঠালেন দারুল উলুম দেওবন্দ এ। যখন মলবী আহমদ হাসান সাহেব আমরোহী রফিউদ্দিন সাহেবের কাছে পৌচিলেন তখন দেখেল্ন যে তিনি খালি গায়ে ঘরের বাইরে দাড়ায় ছিলেন আর মৌসুম অনেক বেশি ঠান্ডা শীত ছিল ।  তো রফিউদ্দিনসাহেব বললেন মলবী হাসান সাহেব এই মাত্র আমার সামনে মলবী কাসেম নানুতাভি ওনার সেই সুঠাম চেহরা নিয়ে একদম জিন্দা মানুষের মত হাজির হয়েছিলেন।  আর বললেন যে আহমাদ হাসান কে বল যেন সে এমন ঝগড়া বিবাদে না জরায় । আর আমি ওনাকে দেখে এই শীতের মধেও ঘামে ভিজে পানি পানি হয় গেলাম সাথে সাথে আহমাদ হাসান সাহেব মওলানা রফিউদ্দিন এর হাত ধরে তওবা করলেন আর ওয়াদা  করলেন আর কোনো দিন ও ঝগড়া  করবেন না । 

 মন্তব্য ;- ভাই। আপনাদের আলেম কবর থেকেই জানতে পারে কার কার ঝগড়া হল আর এটার সুরাহ করার জন্য কবর থেকে এসে তার অনুসারীদের সাথে  সাক্ষাত করতে ঝগড়া করতে মানা করতে পারেন । 

ভাই। আপনাদের এই কাসেম সাহেব কি করে জানলে দেওবন্দে  কার করা ঝগরা হল আর কি নিয়ে হল । আপনার আলেম কি মিত্তুর পর হাজীর ও নাযির হয়ে গেল নাকি ? তা না হলে কি করে এটা সম্ভব ? 
আমাদের নবী কবর থেকে আমাদের কে দেখেন ও জানেন আমাদের বিষয় এটা মান্য করতে আপনাদের কষ্ট হয়।  এটা শিরক হয়। আর আপনাদের আলেম কবর থেকে স্বশরিরে উঠে এসে   রফিউদ্দিন সাহেব কে নসিহত করলেন ।  এটা কি শিরক হয় না ভাই ? 
এতে কি আপনারা মুশরিক প্রমান হন না ? 


(১০)
মুনাজির আহসান গীলানি স্বীয় কিতাব সাওয়ানিয়াহে কাসেমী তে লিখেছেন যে তিনি একদিন ছাতা মসজিদে দেওবন্দি মাদ্রাসার মুহাতামিম মাওলানা ইয়াকুব নানুতভী বলেন যে ;-ভাইসব, আজ আমি ফজরের নামাযের সময় মরেই যেতাম , একটুর জন্য বেঁচে গেছি ।লোকেরা আশ্চর্য হয়ে জিগ্গেস করলেন কিনা কি হল ," শেষ পর্যন্ত কি না কি বিপদের সম্মুখীন হলেন ! এটাই শোনার বিষয় ।
এরপর তিনি বলতে শুরু করলেন যে আজ ফজরের নামাযের সময় আমি সুরা মুযাম্মিল পাঠ করছিলাম । হঠাৎ আমার সীনায় জ্ঞানের সমুদ্র প্রবাহিত হতে লাগল , যা আমি বহন করতে পারছিলাম না । আমার মারা যাওয়ার উপক্রম হল ।
তিনি আরো বলেছিলেন যে সেটা ঠিকমতই প্রবাহিত হয়ে গেল , যেমনি হঠাৎ করে এসেছিল ঠিক তেমনি প্রবাহিত হয়ে চলে গেল ।এ জন্য আমি বেঁচে গেলাম ।

জিগ্গেস করা হল যে এই জ্ঞান সমুদ্র হঠাৎ আত্বার উপর চড়াও হয়ে যে অতিবাহিত হয়ে গেল এটা আসলে কি ছিল ? 
তখন তিনি বললেন যে ;-আমি তখন নামাযের পর চিন্তা মগ্ন হলাম যে এটা কি ছিল ! 
তখন আমার কাশফ হল যে মাওলানা কাসেম নানুতভী মিরাট থেকে আমার দিকে মনোনিবেশ করেছিল ।এটা ওনার মনোনিবেশের ফল যে আমার মাঝে জ্ঞান সমুদ্র ঢেউ খেলছিল আর আমার শয্য করা কষ্টা হচ্ছিল ( সাওয়ানিয়ায়ে কাসেমী ১ম খন্ড ৩৪৫ নং পৃ )

মন্তব্য ;- আপনাদের আলেম কবরে থেকে একজনের দিলের মধ্য জ্ঞানের সমুদ্র বইয়ে দিতে পারেন,আর আমাদের নবী কি ওনার রওজায় আকদাস এ শুয়ে থেকে আমাদের দিকে ওনার সামান্য নজর দিতে পারেন না আমাদের মত নগন্যের দিকে ? 

যদি আমার নবী না পারেন , আর এমন দাবি করে শিরক হয় তবে আপনারা এমন দাবি করার পর ও কেন মুশরিক হবেন না ? 
জবাব দিন । 

(১১)
;-  দেওবন্দের অন্যতম আলেম মনজুর হাসান গীলানি (সাওয়ানিয়ায় কাসেমী ) নামে কাসেম নানুতভীর জীবনি নিয়ে একটা  বড় কিতাব রচনা করেন । তাকে এক অদ্ভুত মোনাযেরার কাহীনি তুলে ধরেন এই ভাবে যে ;-
দেওবন্দের এক ছাত্র পান্জাবের কোন এক এলাকায় গেলেন । লোকজন খুশি হয়ে তাকে মসজিদের ইমামতি করার দায়িত্ব দেন । দিন ভালই যাচ্ছিল । কিন্ত্ হঠাৎ এক ওয়ায়েজী মৌলভী ওয়াজ নসিহতের জন্য আগমন করেন ও মানুষ কে ওয়াজ নসিহত করে সাধারনের দিলে স্থান করে নেন । আর যখন তিনি জানতে পারেন যে মসজিদের ইমাম দেওবন্দ মাদ্রাসার ছাত্র তখন তিনি রেগে যান ও ফতোয়া দেন যে এই ইমামের পিছনে এতদিন ধরে যারা নামায আদায় করেছেন তাদের একটা নামায ও আদায় হয়নি । কারন দেওবন্দিদের আকিদা ঠিক নেই। তারা এমন বলে ওমন করে রাসুলের সাথে দুষমনি রাখে এমন ওনেক অভিযোগ তুলে ধরেন । 

এলাকার লোকজন ক্ষিপ্ত হয়ে সেই দেওবন্দি মাদ্রাসার ছাত্র যিনি ইমামতি করতেন  তার কাছে গেলেন ও বললেন যে হয় আপনি সেই ওয়ায়েজী মৌলভীর জবাব দেন , নয় আমরা আপনার সাথে কিরুপ আচরন করব বলে দিন ? 
বেচারা কম শিক্ষিত মৌলভী ছিল বলে ঘাবড়ে গেল, আর চিন্তা করল যে আমি সাধারান একজন অল্প শিক্ষিত মানুষ , আর ওয়ায়েজী সাহেব কতই না শিক্ষিত তিনি । যখন তিনি রেবায়েত ও দর্শনের বড় বড় বুলি বলা শুরু করব তখন নিজের কি হাল হবে তাই চিন্তা করে চিন্তিত । উপায় না দেখে তিনি মোনাযেরার সম্মতি দিলেন ।
দিন তারিখ সব ঠিক হয়ে গেল । সাময়মত ওয়ায়েজী মৌলভী সাহেব কিতাবের বড় বড় পুটলি নিয়ে মসজিদে হাজির হয়ে গেল । এদিকে বেচারা দেওবন্দি ইমাম সাহেব আল্লাহ আল্লাহ করে নিরুপায় হয়ে সামনে এগিয়ে আসলেন ।এরপর সেই দেওবন্দি ইমাম সাহেব বলেন যে ;- আমি এসে সেই ওয়ায়েজি মৌলভী সাহেবের সামনে এসে বসি । এমন সময় আমার পাশে এক মানুষ এসে বসে যায় । আমি তাকে কোনদিন দেখিনাই । তিনি বললেন যে আলোচনা শুরু কর । ভয় করিও না । হঠাৎ সেই লোকটি আমার  পাশে এসে বসার  কারনে আমার দিলে ওনেক সাহসের উৎপত্তি হয় ও আমি আলোচনা শুরু করতে বলি ।

এরপর ইমাম সাহেব বলেন যে আমার মুখ থেকে এমন সব কথা ও শব্দ বের হচ্ছিলাম যে আমি এসব কথা জীবনে শুনি নাই আর জানতাম ও না আর এটা ও বুঝতে পারছিলাম না কি বলছি আমি ।
প্রশ্নেত্তর বেশি দুর অগ্রসর হল না । প্রথমে ওয়ায়েজী মৌলভী সাহেব দুই একটার জবাব দিয়েছিল । কিন্ত্ পরে দেখি ওয়ায়েজী মৌলভী সাহেব আমার পায়ে মাথা রেখে কান্না শুরু করে দিয়েছে , আর বলেছে যে আমাকে ক্ষমা করে দিন , আপনি যা বলবেন তাই সত্যি ও বরহক, আমিই এতদিন ভুলের মধ্য ছিলাম । আপনি এতবড় মাপের আলেম আমার জানা ছিল না ।


এটা দেখে সকল সাধারন মানুষ হতবাক হয়ে গেল । কি ভেবে এসেছিল আর কি হয়ে গেল । এর পর দেখি আমার পাশে যে লোকটা এসে বসেছিল সেই লোকটা অদৃশ্য হয়ে গেল । তাকে আর খুঁজেই পেলাম না (সাওয়ানিয়ায়ে কাসেমী ) ১ম খন্ড ৩৩০-৩৩১ পৃ ।

এই পর্যন্ত আসল ঘটনা বর্ননা করার পর মনজুর হাসান গীলানি লিখেছেন যে ;-শাইখুল হিন্দ মাহমুদুল হাসান বলেছেন যে , আমি সেই ইমাম সাহেবে কে জিগ্গেস করলাম যে , হঠাৎ আবির্ভুত সেই বেক্তির চেহারা ও গঠন কেমন ছিল ? 
সেই ইমাম সাহেব যা যা বর্ননা করছিলেন তা শোনার পর উস্তাজুল ওলামা হযরত কাসেম নানুতভীর এক একটি অংঙ্গ আমার সামনে ভেসে উঠতে লাগল, এবং আমি বললাম যে ইনি তো শ্রদ্ধেয় ওস্তাদ রাহমাতুল্লাহ আলাইহে ছিলেন, যিনি তোমাকে সাহায্য করার জন্য হক তায়ালার পক্ষো থেকে আবির্ভুত হয়েছিলেন (সাওয়ানিয়া এ কাসেমী ) ১ম খ পৃ ৩৩২ 


মন্তব্য ;- ভাই মাহমুদুল হাসান । তোমাদের আলেম কবরে থেকে জানতে পারে যে , তোমাদের কোন মৌলভী মোনাযেরায় রাজী হতে বাধ্য হয়েছেন , এবং তোমাদের আলেম সেই মুনাযেরার মদদ করার জন্য নিজে স্বশরিরে এসে সেই মৌলভীর পাশে বসে মোনাযেরায় সক্রিয় ভাবে সাহায্য করতে পারেন । 

আর আমার নবী কবরে থেকে তার উম্মাত কে দেখা ও তাদের আকুতি মিনতি শুনতে পায় এমন দাবি করা তোমাদের কাছে শিরক হয় ? 

মাশাআল্লাহ ভাই।  
তবে আমাকে এটা বলে দাও যে , তোমাদের কিতাবে এমন কথা উল্লেখ করার কারনে তোমরা কেন মুশরিক হবে না ? 
 

(১২)  আশরাফ আলী থানবীর জীবনি কিতাব ( আশরাফুছ ছাওয়ানেহ) গ্রন্থে  এমন কি আশরাফ আলি থানবীর কিতাব বেহেস্তি যেবার প্রথম খন্ডে লেখক পরিচিতি ও কারামত অধ্যায় তে ও এই ঘটানা টা উল্লেখ আছে যে ;- 
এক বিয়ের বরযাত্রীদের উপর ডাকাতের হামলা হলে আশরাফ আলী থানভির দাদা নিহত হন ও পীর সামাউদ্দিনের কবরের পাশেই তাকে দাফন করা হয় । কিন্ত মজার কথা হচ্ছে যে আশরাফ আলী থানবীর দাদা মিত্তুর পর ও তাদের বাড়িতে আসতেন  ।স্ত্রীর সাথে সাক্ষাত করতেন আর বলতেন যে কাউকে বলিও না তবে আমি রোজ আসতে পারব রাতে তোমার কাছে এবং বউ  কে মিষ্টি খেতে দিতেন 
কিন্তু  ছোট ছোট বাচ্চারা মিষ্টি খাচ্ছে দেখে পাছে কেউ কি না কি সন্দেহ করে এই চিন্তা করা কথাটা প্রকাশ করে দেন , এর পর থেকে আশরাফ আলি থানবীর দাদার আসা যাওয়া বন্ধ হয়ে যায় ( আশরাফুছ সাওয়ানিয়া ) প্রথম খন্ড পৃ ১২ 

মন্তব্য ;- তোমাদের আলেম আশরাফ আলি থানভীর দাদা যদি মরার পর ও ফিরে আসতে পারেন সাথে মিষ্টি নিয়ে ও বাচ্চাদের কে খেতে দিতে পারেন , আমার নবী কবর থেকে  তার গোনাহগার উম্ম্ত দের কে দেখতে পারেন না ? 
মিলাদ মাহফিল এ আসতে পারেন না ? 

ভাল কথা। তাই যদি হয় তবে বেশ । তোমাদের কিতাবে এমন ঘটনা থাকার কারনে ও প্রচার করার কারনে তোমরা কেন মুশরিক হবে না ? 

কারন কবরে ও কবর থেকে বাইরে আসা তো এখানে হাজির প্রমান করে দুই যায়গায় । 

(১৩) 
 আশরাফ আলি থানবি বলেন যে (- মাওলানা ইসমাইল দেহলভী( গুসতাক শাহ ইসমাইল ) এর কাফেলার কেদার বখত নামে এক লোক শহিদ হয়েছিল । কেদার বখত দেওবন্দের অধিবাসি ছিলেন । শহিদ হওয়ার খবর যাথাসময়ে বাড়িতে পৌছায় দেয়া হয়েছিল । এক রাতে কেদার বখত এর বাবা হাসমত আলী খান দেওবন্দে নিজের কামরায়  তাহাজজুদ আদায়  করছিলেন হঠাৎ বাইরে ঘোড়ার খুড়ের আওয়াজ শুনে বাইরে এসে দেখেন যে কেদার বখত বলছেন বাবা , মাওলানা শাহ ইসমাইল ও সাইয়েদ আহমেদ তাশরীফ আনছেন , আপনি তারাতারী এখানে একটা মাদুর পেতে দিন । 
মৃত কেদার বখতের বাবা তাই করলেন । তারা এসে বসার পর কেদার বখতের বাবা কেদার বখত কে জিগ্গেস করলেন বাবা কোথায় তোমার আঘাত লেগেছিল ? যা তোমার মিত্তুর কারন হয়ে গেল ? 
তখন কেদার বখত তার মাথার পট্টি খুলে হাত দিয়ে দেখিয়ে দেন । 
কেদার বখতের বাবা বলেন যে ;- বাবা ঢেকে রাখ ঢেকে রাখ । আমার শয্য হচ্ছে না । এরপর সকলে চলে যান । সকাল বেলা কেদার বখতের বাবা বলেন যে এটা কি স্বপ্নে ছিল নাকি জাগ্রত ? 
এই চিন্তা করে আংগিনায় গিয়ে দেখেন যে কেদার বখত ক্ষত দেখানের সময়ে মাথা থেকে পড়া রক্তের চিন্হ এখন ও পড়ে আছে মাটিতে । 
কেদার বখত এর বাবা হাসমত আলী খান রক্তের ফোটা দেখে বুঝতে পারলেন যে এটা স্বপ্নে নয় বরং জাগ্রত অবস্থায় ।শেষে কয়েকজন বর্ননা কারিদের নাম উল্লেখ করে বলেন যে এই ঘটনার আরো ওনেক নির্ভরযোগ্য বর্ননাকারী রয়েছে (মালফুজাত এ মাওলানা আশরাফ আলী থানভী ) পৃ ৪০৯


মন্তব্য ;- আপনাদের শাহ ইসমাইল সাইয়েদ আহমেদ ও  কেদার বখত যদি মিত্তুর পর স্বশরিরে ফিরে আসতে পারেন  কেদার বখত এর বাড়িতে ও তার বাবার সাথে দেখা করতে পারেন 

তবে আমার নবী কেন কবরে থেকে তার উম্ম্তের খোঁজ নিতে পারবেন না।  
কেন মিলাদ মাহফিলে হাদির হওয়া শিরক হবে ? 

আমার নবী তার উম্ম্তের বিষয় এ হাজির ও নাযির দাবি করা যদি শিরক হয় . তবে তোমাদের আলেম ও শহিদ কবরে থেকে ফিরে এসে দেখা করার আকিদায় কেন শিরক হবে না ? 

এই জবাব গুলো আমার চাই লিখিত আকারে ।  
যদি কোন হালালের সন্তান এই জবাব গুলোর সঠিক ব্যাখা দিতে পারেন তবে আমি দেওবন্দি হয়ে যাব । 


তার আপত্তি নং (৫) 

সে লিখেছে (---- নবী হাজির নাজির হওয়া মুসলমানদের নয় খৃষ্টানদের আক্বিদা )


জবাব ;- হমমম। নবী হাজীর নাযির হওয়া আসলেই কথিত মুসলিম দের আকিদা  নয় । বরং কথিত দেওবন্দি  মুসলিম দের আকিদা হচ্ছে তাদের আলেমগন হাজীর ও নাযির । যেমন আমি উপরে তুলে ধরেছি ১৪ রেফারেন্স । 


আপত্তি নং (৬) 

খৃষ্টানদের আক্বিদা হল হযরত ঈসা আঃ সর্বত্র বিরাজমান, 

তথা হাজির নাজির। 

যেমনটি লিখেছেন খৃষ্টান পাদ্রী ইমাদুদ্দীন তার রচিত “তাফতীশুল আওলীয়ায়। তিনি লিখেন- 

ঈসা আঃ প্রত্যেক স্থানে হাজির ও নাজির।

{তাফতীশুল আওলিয়া-১০৮}

খৃষ্টানদের আক্বিদা হল যে মজলিস ঈসা আঃ এর নামে করা হয়, সেখানে ঈসা আঃ উপস্থিত হন।

ঈসা আঃ বলেন-“কেননা যেখানে দুই অথবা তিনজন আমার নামে একত্র হয়, সেখানে আমি তাদের মাঝে উপস্থিত হই”। {ইঞ্জিল, মথি, অধ্যায় ১৮, পরিচ্ছেদ-২০}



জবাব ;- আমি আসলে ইসলাম এ শিক্ষা শেষ করতে পারি নাই , তবে খৃষ্টীনদের নিয়ে কি গবেষনা করব বলুন ? 

আমার জানা নাই হযরত ইসা (আ) সর্বত্র হাজীর ও নাযির কি না , 

আর আমার এটা ও জানা নাই যে ওনার নামে কোন মাহফিলে ওনি আদৌউ আসে কি না । 

তবে এটা জানি , যখন কোন দেওবন্দি বিপদে পড়েন , তখন দেওবন্দি আলেমগন কবর থেকে উঠে এসে তাদের কে সাহায্য করেন , ঝগরা লাগলে মিটিয়ে দেন , বাহাস এ তর্ক করেন , দিলের মধ্য জ্ঞানের সাগর বইয়ে দেন ।এমন ওনেক কিছু।  এ ক্ষেত্রে কিন্তু খৃষ্টীনদের দাবি মতে হযরত ইসা (আ) এর মতই ক্ষমতাবান দেওবন্দি আলেমগন। উপরে দেখুন । প্রমান দেয়া আছে । 



চলবে ,,,,,,,


কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন