আমি তারে বলতে চাই , মিয়া , আপনি নবী (সা) কে নূর মান্য করেন না ও হাদীসে যাবের কে জাল মিথ্যা প্রমান করতে উঠে পড়ে লেগে আছেন আপনার বাবা শিব ঠাকুর ও মা পার্বতীর তুষ্টির জন্য ,
তো এখন কথা টা বলার কারন হচ্ছে যে , আপনি নবী (সা) কে নূর মান্য করেন না আর আপনার নাম নূরুন-নবী ।
এটা কেমন হয়ে গেল না ?
আপনার নাম টা মনে হয় আপনার বাবা ও মা আমাদের মতই বেদাতি থাকার কারনে রেখেছেন ।
আর নয় তো , আপনার বাবা ও মা কে আপনি নিজে বেদাতি সাব্যস্ত করতেছেন ।
নাম টা শুধরিয়ে নিয়ে নতুন নামকরন করুন প্রিন্সিপাল মাটির নবী ।
আর কোন কিন্ডারগার্ডেনের প্রিন্সিপাল আপনি তা জানালে খুশি হতাম ।
মুল কথা , প্রিন্সিপাল সাহেব লিখেছেন ;-আপনি আল্লাহ তায়ালাকে হাজির নাজির মানেন না, অথচ আল্লাহ তায়ালার মাখলূক মহানবী (সা)-কে হাজির নাজির মনে করেন! আপনি কত বড় বেয়াদব!!
জবাব;-
প্রিন্সিপাল সাহেব @ আমি আল্লাহ কে হাজীর ও নাযির মান্য করি , তবে আপনার মাহমুদুল তেঁতুলের মত নয় ।
বরং আমি আল্লাহ কে হাজীর ও নাযির মান্য করি যেমন কিনা তাফসীর ইবনে কাসীর এ বলা হয়েছে ;-
আমাদের আকিদা হচ্ছে ;- অধিকাংশ গুরুজন ঐক্যমত্য প্রকাশ করেছেন যে , এই আয়াতের দ্বারা উদ্দেশ্য হল معيت علمي আল্লাহ তায়ালার সত্তা বিদ্যমান থাকা নয় , তার ইলম সব যায়গাতে বিদ্যমান আছে ।এটাই উদ্দেশ্য , ৩ জনের সমাবেশে চতুর্থজন হবে আল্লাহর ইলম ( তাফসির ইবনে কাসীর ১৭ খন্ড সুরা মোজাদেলাহ এর তাফসীর আয়াত নং ৭ পেজ নং ৩৬২)
এটা আমার আকিদা যে আল্লাহ তায়ালার সত্তা বিদ্যমান থাকা নয় সবখানে , বরং তা আল্লাহ তায়ালার ইলম ।
আর আপনার মাহমুদুল তেঁতুলের আকিদা হল , আল্লাহর সত্তা সর্বখানে, এমন কি বাথরুমে ও বিদ্যমান ।
আমি বলব ঠিকই বলেছেন , কারন এ থেকে ফুটে উঠে প্রকৃত দেওবন্দের পরিচিতি ।
যেমন আমরা সব সময় বলে থাকি ( দেও শব্দের অর্থ হল ভুত প্রেত খান্নাস শয়তান , আর বন্দি মানে হল --- যার বন্দেগী করা হয় বা যে আপনাদের কে বন্দি করেছে বা যার হাতে আপনারা বন্দি )
তো দেওবন্দি এর মানে হল শয়তানের পুজারী সোজা ভাষায়
। আর শয়তান থাকে বাথরুমে ।
যেমন হাদিসে এসেছে ;-হযরত যায়েদ বিন আরকাম (রা) বর্ননা করেছেন যে ;- রাসুলুল্লাহ (সা) ইরশাদ করেছেন ;- এই নোংরা যায়গা গুলো জ্বীন ও শয়তানের থাকার যায়গা ।অতএব তোমাদের মধ্য কেউ যদি পেসাব পায়খানার জন্য যায় , তবে সে যেন এই দোয়া পড়ে ( আল্লাহ হুম্মা ইন্নি আউজুবিকা মিনাল খুবুসি ওয়াল খাবায়েস ) জ্বীন জাতির রহস্য পৃষ্টা নং ৬৩
তো আপনাদের আল্লাহ থাকে বাথরুমে, আর বাথরুমে থাকে আমাদের মতে শয়তান ,
তো প্রকৃত ভাবে আপনাদের আল্লাহ শয়তানই বটে ।
মাহমুদুল @ কি বলবি ?
তোর আল্লাহ না বাথরুমে থাকে !
বলদ কোথাকার ।
প্রিন্সিবাল পরের লাইনে আপত্তি তুলেছে ;--অথচ আল্লাহ তায়ালার মাখলূক মহানবী (সা)-কে হাজির নাজির মনে করেন! আপনি কত বড় বেয়াদব!!
জবাব;--- কাটমোল্লাহ প্রিন্সিবাল@
উপরে আমি পেশ করেছি আমরা আল্লাহ কে হাজীর নাযির মান্য করি কি না ,
বরং আমরা তোমাদের মত আল্লাহর সত্তা বাথরুমে ও আছেন এমন আকিদা রাখি না , বরং আমরা বলি আল্লাহর ইলম আমাদের কে পরিবেষ্টন করে আছে , আল্লাহর সত্তা নয় ।
অনুরুপ আমাদের আকিদা যে ;- রাসুলে পাক (সা) হাজীর ও নাযির আল্লাহ প্রদত্ত ভাবে ।
আর আমি জানি , এর পর নবী (সা) কি ভাবে হাদির নাযির তার দলিল দিতে বলবে কোরান থেকে ।
আমি তৈরি আছি তার জন্য ,
তবে কথা হল যে , আমার ১ ও ২ নং পোষ্ট এর লিখিত জবাব পাওয়ার পরই আমি অন্য কোন জবাব লিখব ।
কারন তোমাদের বোনের স্বামী নই আমি যে তোরা আপত্তি পেশ করবি আর আমি জবাব দিতে থাকব। বরং আমি পোষ্ট করেছি তুমি জবাব দাও তুমি পোষ্ট কর আমি জবাব দিব । তা সমানে সমানে হতে হবে ।
এর পর লিখেছে যে ;-----
তাই আমি আপনাকে তিনটি প্রশ্ন করব, সেগুলোর জবাব দিন।
প্রশ্ন , ১- হাজির নাজির শব্দের আভিধানিক আর ব্যবহারিক অর্থ কী?
জবাব;----
হাজীর;--- হাজীর এর আবিধানিক উপস্তিত । তথা অনুপস্থিত থেকে উপস্থিত হওয়া ।
যেমন আমি কোন স্টাডিয়াম এ প্রবেশ করলাম , আমার হাতের কার্য ক্ষমতা যতদুর পর্যন্ত আছে, ততদুর আমি হাজীর ।
নাযির ;-- নাযির মানে দ্রষ্টা , তথা আমি একটা স্টাডিয়াম এ প্রবেশ করলাম আর এ প্রান্ত থেকে অপর প্রান্ত পর্যন্ত দেখতেছি ।
বা আকাশে চাঁদ দেখতেছি , তো আমি সেই চাঁদ পর্যন্ত নাযির ।
আমি চাঁদ পর্যন্ত হাজীর নই , কারন সেথানে আমার কোন কার্যক্ষমতা নেই । সোজা ভাষায় খোলা মেলা করে দিলাম ।
তার আপত্তি ;--
২- আল্লাহ তায়ালা সম্পর্কে বাথরুম বা পতিতালয়ে হাজির থাকার মতবাদটি উঠে আসার খোঁড়া যুক্তিতে তাঁকে হাজির নাজির মনে করা যদি শুদ্ধ না হয়, তাহলে সে একই দাবিতে এবং একই যুক্তিতে বিশ্বনবী (সা)-কেও হাজির নাজির মনে করা আপনাদের জন্য শুদ্ধ হয় কিভাবে? নাকি নিজেদের বেলায় এসব যুক্তি মগজে লোড় নেয় না!! অতএব আপনাদেরই উপর্যুপরি যুক্তিতে বিশ্বনবী (সা) তিনি হাজির নাজির হন কিভাবে, তা যুক্তি দিয়েই আমাদের বুঝিয়ে দিতে হবে।
জবাব ;--- উপরে যেমনটা বলেছি যে , আল্লাহ তায়ালা হাজীর ও নাযির , এতে আমাদের কোনই মতভেদ নেই ।
মতভেদ শুরু করেছিল আপনার মাহমুদুল তেতুল ।
তার মতে আল্লাহর সত্তা সর্বত্র বিদ্যমান , তখন আমি বলেছিলাম যে তোমার আল্লাহ কি বাথরুমে ও বিদ্যমান আছেন ?
তখন জবাবে বলেছিল আছে । অবশ্যই আছে ।
অথচ ;-- :-(ইসলামি আকিদা ও ভ্রান্ত আকিদা ) নামক বই এ থানভী লাইব্রেরি থেকে প্রকাশিত আপনাদের আলেম মাওলানা হেমায়েত উদ্দিন রচিত কিতাবের ১ম খন্ডের পৃষ্টা নং ৪৯ এ লিখেছেন যে ;-হিন্দুদের বিস্বাস মতে ইশ্বর মানুষ , প্রানী , বৃক্ষ ,পাথর সবকিছুতেই প্রবেশ করেন ।এসব বিস্বাস পোষনকারী গনকে হুলুলিয়া বলা হয় ।এমন বিস্বাসী কুফরী ।
উপরে হেমায়েত উদ্দিনের কিতাবের যে উদ্ধৃতি দেয়া হল , তাতে বলা হয়েছে আল্লাহ সব কিছুতে প্রবেশ করেন ( আপনাদের মতে বাথরুমে ) এমন আকিদা রাখা কুফরী ও হুলুলিয়া (হিন্দু ) দের আকিদা /
আপনার তেতুল মাহমুদুল কে তওবার করতে বলুন।
আর বলেছেন যে আমাদের নবীর হাজীর ও নাযির মান্য করা শুদ্ধ হয় কি ভাবে ?
উপরে আলোচনার শুরুর কথা গুলো আবার ও ভাল করে দেখুন। কেমন ।
আর আমাদের আকিদা হল কোন কিছু বিষয় জানতে আল্লাহ তায়ালা কে আমার কাছে আসতে হবে না ।
বরং আমরা আল্লাহর ইলমের বাইরে নই ।
আর আল্লাহ তায়ালার ইলমের বাইরে যখন নয় তখন আল্লাহর সত্তা বাথরুমে প্রবেশের প্রশ্নেই আসে না ।
অনুরুপ আমাদের নবীর তো আসার কোন কথাই নাই ।
আপনার তেতুল মাহমুদুল তার পোষ্ট এ লিখেছে যে ;-
এমনিভাবে “বাসীর”এর অর্থ লিখা হয়েছে যে, দ্রষ্টা,তথা নাজির। দেখুন-“সাররাহ”-১৬০।
আপনার মাহমুদুল তেতুল আরো লিখেছে যে ;-আর সে উপরে লিখেছে ;-
চোখ খুলে মেশকাত শরীফের ১ নং খন্ডের ১৯৯ নং পৃষ্ঠায় দেখুন ইবারতের নিচে শহীদ অর্থ লিখা হয়েছে হাজির। আর প্রসিদ্ধ ডিকশনারী “সাররাহ”এ লিখা হয়েছে যে, শহীদ মানে হাজির ও স্বাক্ষ্য।
তো এখন এই আয়াতের বিষয় কি বলবেন ?
এখন এই আয়াত নিয়ে কি বলবেন ?
যাক ।
আমাদের আকিদা হল আমাদের নবী (সা) তার গোনাহগার উম্ম্তের প্রত্যক্ষদর্শি সাক্ষি ।
আর এই আয়াত বলেই আমাদের নবী হাজীর নাযির।
যেমন আল্লাহ আরশে থেকে আমাদের কে পরিবেষ্টন করে আছেন তার ইলম দিয়ে ।
আমেদের নবী (সা) কে আপনাদের আল্লাহর মত বাথরুমে ঢুকে দেখতে হবে না যে এখানে কি হচ্ছে ।
আল্লাহ সুবহানু তায়ালার রহমতে তিনি ওনার রওজা থেকেই অবগত সকল কিছুই ।
আর নাযির থেকে হাজীর হওয়া না হওয়া সবই আল্লাহর ইখতিয়ার ভুক্ত ।
যেমন আপনাদের আলেম রশিদ আহমেদ গাংগুহি তার ফতোয়া গ্রন্থ ফতোয়া এ রশিদিয়া এর বিদআত শির্ষক অধ্যায় এ ৯১ পৃষ্টায় লিখেছেন যে ;-সরকার এ দো-আলম হুজুর (সা) এর মওলিদ শরিফে (হাজির নাযির) বিষয়টা প্রতিষ্ঠিত নয় বটে .তবে খোদা প্রদত্ত শক্তির বদৌলতে ওনাকে হাজীর নাযির জ্ঞান করা শিরক নয় , অন্যথায় শিরক )
।
৩ নং আপত্তি ;--হিজরত অর্থ কী? নবীজি (সা) মক্কায় স্বশরীরে বিদ্যমান থেকে মদিনায় চলে গিয়েছিলেন, নাকি মক্কা ছেড়ে মদিনায় চলে গিয়ে ছিলেন? যিনি মক্কা ছেড়ে মদিনায় চলে যান তিনি ফের মক্কায় না থেকেও সেখানে উনাকে হাজির মনে করেন কিভাবে? আমাদের বুঝিয়ে দেবেন কি?
জবাব----
হিজরত মানে ত্যাগ করা চলে যাওয়া ছেরে দেওয়া ।
সুন্দর কথা বলেছেন ।
আমাকে কয়েকটা প্রশ্নের উত্তর দিতে হবে এই সকল প্রশ্নের উত্তর পেতে হলে ।
যেমন (১)
আমার আল্লাহ বলেছেন কিয়ামতে আমার নবী (সা) কে উম্ম্তে মোহাম্মাদি ও পুর্ববরতি নবী ও উম্মতগনের সাক্ষি রুপে আনয়ন করা হবে ।
আমার নবী যে মক্কা থেকে মদিনা চলে গেলেন , তো সেই সময় মক্কার মুসলিম ঘটনা সমুহের সাক্ষি আমার নবী (সা) কি করে দিবেন ? যদি তিনি তা না দেখে থাকেন ?
(২) আমি দুবাই এ আছি ও আপনি বাংলাদেশে , আমার নবী আমাদের বিষয় কিয়ামতে কি করে সাক্ষি দিবেন ?
যদি তিনি না দেখে থাকেন ?
(৩) যে রাতে আল্লাহ তায়ালা ৭ম আসমানে থেকে নেমে আসেন তখন বাকি আশমান গুলো কি খালি পড়ে থাকে ! তখন কি আল্লাহর আরশ খালি পড়ে থাকে ?
(৪)। উম্ম্তে মোহাম্মাদি সারা পৃথীবিতে ছড়িয়ে আছে , আমার নবী তো শুয়ে মদিনায় , কি করে তিনি কিয়ামতে সাক্ষি দিবেন ?
আপনি এই সব গুলোর জবাব পেশ করুন। , সাথে সাথে কমেন্ট এ এর পাল্টা জবাব দেয়া হবে ।
তারপর লিখেছে ;-তারপর আপনার একটি প্রশ্নের জবাব এই যে, আল্লাহ তায়ালা যখন আরশ
থেকে প্রথম আসমানে নেমে
আসেন তখন আরশ খালি থাকবে
কেন? আল্লাহ তায়ালা কি
স্থানের মুখোপেক্ষি? তিনি
কি আরশে সীমাবদ্ধ?
নাউযুবিল্লাহ। এবার আপনি তো
আপনার নিজের আকিদা থেকেও
সরে গেলেন!! অথচ ইতিপূর্বে এসব
কথা লিখেই আল্লাহ
তায়ালাকে হাজির নাজির
মানার আকিদাকে বদ দ্বীনি
বলে আখ্যা দিয়েছেন, তাই নয়
কি?
জবাব ;--- সুন্দর কথা বলেছেন ।
আল্লাহ আরশের বা স্থানের মুখাপেক্ষি নয় ।
এটা আমাদের আকিদা ।
আমি আমার আকিদা থেকে সরে দাড়াই নাই ,
বরং সুরা হাদীদ ৪ নং আয়াতের তাফসীরে (অতপর আরশে সমাসীন হলেন ) এই কথা কে আয়াত এ মুতাশাবিহাত বলা হয়েছে ।
অতপর তিনি আরশে আছেন , এ কথার চেয়ে আমি না বেশি না কম বা টানাটানি করতে পারব না ।
আর আপনাদের আকিদা একটু দেখি :--
(১) ফতোয়া এ হাদিসিয়্যাহ এর ১০০ নং পেজে বলা হয়েছে আপনাদের ইবনে তাইমিয়া বলেছেন যে ;- আল্লাহ তায়ালা আরশের সমান , না তা থেকে বড় না তার থেকে ছোট ।
যদি আপনার ইমাম ইবনে তাইমিয়া এর কথা সত্য ধরি , তা হলে আল্লাহু আকবার বলা বিশুদ্ধ নয় । কারন ইবনে তাইমিয়া বলেছেন আল্লাহ আরশের সমান। না ছোট না বড় আরশের থেকে । কি বলবেন ইবনে তাইমিয়ার এই কথায় ?
কে আল্লাহ কে স্থান এ আঁকার নির্ধারণ করল ?
আর এঅ আকিদা যদি আহলে সুন্নাহ বিরোধি হয় তবে বলুন আল্লাহর আঁকার নির্ধারণ করে ইবনে তাইমিয়া কুফরির করেছেন।
(২) ইবনে তাইমিয়া এর সুযোগ্য ছাত্র হাফেজ ইবনে কাইয়্যুম লিখেছেন , আমার আকিদা বা বিস্বাস হচ্ছে নিশ্চয় আল্লাহ আরশে মুয়াল্লা ও কুরশীর উপরে আছেন , আর আল্লাহ তায়ালা উভয় পা কুরশীর উপরে রেখেছেন ( ক্বসীদায় নুনিয়া , ইবনে কাইয়্যুম লিখিত পৃষ্টা নং ৩১)
এ তো মহা মসিবতে পড়ে গেলেন মনে হয় ।
এবার ইবনে তাইমিয়ার ছাত্র তো আল্লাহ তায়ালা কে আরশে কুরশীর উপর পা উঠিয়ে রেখে বসিয়ে দিলেন আয়েশা করার জন্য ।
এবার বলুন কারা আল্লাহ তায়ালা কে সীমাবদ্ধ করেছে ?
এমন কথা যদি আহলে সুন্না বিরোধি হয় তবে কুফরির ফতোয়া পেশ করুন।
(৩) আপনাদের আর এক ইমাম মৌলভী ওহিদুজ্জামান লিখেছেন ;- যখন আল্লাহ তায়ালা আরশে বসেন তখন কুরশীতে চার আংগুল পরিমান যায়গা ও খালি থাকে না , আর কুরশী মড়মড় আওয়াজ করে (ওহিদুজ্জামান লিখিত তাফসীর , পৃষ্টা ৪৬৭)
এ হচ্ছে আহলে হাদীস ও দেওবন্দিদের শুভাকাংখী ওহিদুজ্জামান । কি বলবেন এমন আরশের মড়মড় আওয়াজ আল্লাহর ওজনে ।
কুফরি !
তবো ফতোয়া পেশ করুন।
(৪) আপনাদের মহান ইমাম ও আপনাদের মতে শহিদে বালাকোট শাহ ইসমাইল লিখেছেন ( আল্লাহর ওনেক বড় মর্যাদা , সমস্ত ওলী নবী তার নিকট বাজে অনু থেকে ও নিকৃষ্ট ।সমস্থ আকাশ ভু-মন্ডল তার আরশকে গম্বুজের মত করে ঘীরে রেখেছে ।আর ওই শ্রেষ্টত্যের কারনে রাজা ধীরাজের শ্রেষ্টত্যে ধরে রাখতে পারে না ।তাই ওই মহত্য আরশ মড়মড় আওয়াজ করে ( তাকবিয়াতুল ইমান পৃষ্টা ৬১)
এখানে ও আপনার শাহ ইসমাইল আল্লাহ কে আরশে বসিয়ে দিয়েছেন। আর আল্লাহর মহত্বের ওজনে আরশ মড়মড় আওয়াজ করে ।
কি বলবেন এখন ?
বরং আমরা আল্লাহ তায়ালা কে স্থানের মুখাপেক্ষি করি না । বরং তা আপনারাই করে রেখেছেন ।
৪ জনের বিষয় ফতোযা পেশ করুন।
আরো বলেছেন যে ;-
আল্লাহ তায়ালা কি
স্থানের মুখোপেক্ষি? তিনি
কি আরশে সীমাবদ্ধ?
নাউযুবিল্লাহ
আমি আপনাকে জিগ্গেস করছি যে , আমার নবী মক্কা থেকে মদিনা চলে যাওয়ার পর কি আমার নবীর ফয়েজ মক্কা থেকে রহিত গেয়ে যায় ?
দেখুন ;--- রশিদ আহমেদ গাংগুহির লেখা কিতাব (এমদাদুস সুলক ) এর ১০ নং পৃষ্টায় লিখেছেন যে ;- মুরিদের এও দৃঢ়ভাব্ বিস্বাস করতে হবে যে , পীরের রুহ এক যায়গায় আবদ্ধ নয় ।মুরিদ দুরে বা কাছে যেখানেই হোক না কেন , এমন কি পীরের পবিত্র শরীর থেকে দুরে হলেও পীরের রুহানীয়াত কিন্তু দুরে নয় ( এমদাদুস সুলুক পেজ নং ১০)
মন্তব্য ;--একজন সাধারন পীরের যদি এত ক্ষমতা হয় তার মুরিদ যেখানেই হোকনা কেন তার রুহানীয়াত দুরে নয় ।
ভাই আপনার পীরের যদি এঅ অবস্থা হয় একজন মুরিদের জন্য , তবে আমরা মুর্খ উম্মতের কান্ডারী নবী (সা) এর রুহানীয়াত কি করে দুরে থাকতে পারে ?
জবাব চাই ।
আরো দেখুন ;-যেমন আপনাদের কাসেম নানুতভী সাহেব সুরা আহযাব ৩৩/৬ এর ব্যাখা দিতে গিয়ে তাহযিরুন নাস এর ১০ নং পেজে লিখেছেন যে , বিস্বাসীদের প্রানের চেয়ে ও নিকটে তার নবী ।
আমার মনে হয় আপনি এখন ও বিস্বাসী হতেই পারেন নাই , তাই আপনার নবী আপনার থেকে দূরে আছেন ।
এর পর লিখেছে ;-
অথচ ইতিপূর্বে এসব
কথা লিখেই আল্লাহ
তায়ালাকে হাজির নাজির
মানার আকিদাকে বদ দ্বীনি
বলে আখ্যা দিয়েছেন, তাই নয়
কি?
;---- জী হা। আমরা তো আল্লাহ তায়ালার সত্তা কে সর্বত্র বিদ্যমান থাকা কে বদ্বীনী বলেছি ।
আপনাদের আলেম তো এমন আকিদা কে হুলুলিয়াদের আকিদা ও কুফরি বলেছেন ।
দেখুন ;-- (ইসলামি আকিদা ও ভ্রান্ত আকিদা ) নামক বই এ থানভী লাইব্রেরি থেকে প্রকাশিত আপনাদের আলেম মাওলানা হেমায়েত উদ্দিন রচিত কিতাবের ১ম খন্ডের পৃষ্টা নং ৪৯ এ লিখেছেন যে ;-হিন্দুদের বিস্বাস মতে ইশ্বর মানুষ , প্রানী , বৃক্ষ ,পাথর সবকিছুতেই প্রবেশ করেন ।এসব বিস্বাস পোষনকারী গনকে হুলুলিয়া বলা হয় ।এমন বিস্বাসী কুফরী ।
এবার বলুন , আপনার আল্লাহ বাথরুমে ও ঢুকেছেন ।
আর নিজেদের কথায় নিজেরাই কুফরি ট্যাগ নিয়ে বিদেয় হউন ।
তার আপত্তি ;--অথচ তার জবাব হল, আল্লাহ
তায়ালার রহমত তার বান্দাদের
নিকটবর্তী হয়। আর তিনি শুধু
আরশেই আছেন এ আক্বিদা আহলুস
সুন্নাহ ওয়াল জামাতের বিরুদ্ধ
আকিদা। বরং তিনি সবখানে
আছেন। যদিও এর আরেক অর্থ তাঁর
এলম সবখানে বিদ্যমান।
জবাব :--- সুন্দর কথা বলেছেন , আল্লাহ তায়ালা ৭ম আশমান থেকে ১ম আশমানে নেমে আসেন এর অর্থ রহমত হতে ও পারে । শিউর হয়ে না বলাই ভাল ,
কারন -ইমাম আবু হানীফা (রহঃ)-কে আল্লাহ তা‘আলার অবতরণ সম্পর্কে জিজ্ঞেস করা হ’লে তিনি বলেন, আল্লাহ তা‘আলা যে রাত্রের তৃতীয় অংশে সপ্ত আকাশে নেমে আসেন, এ নেমে আসাটা কেমন, কিভাবে নামেন, এটা বলার ক্ষমতা কাউকে দেওয়া হয়নি। কেমন করে নামেন এটা আল্লাহ তা‘আলাই ভাল জানেন।আক্বীদাতুস সালাফ আছহাবুল হাদীছ, পৃঃ ৪২; শারহুল ফিক্বহুল আকবার, পৃঃ ৬০।
আমি নিজে ও এ নিয়ে বেশি বাড়াবাড়ী করতে চাইছিনা ।
আরো লিখেছেন আল্লাহ শুধু আরশে আছেন এ আকিদা আহলে সুন্নাহ বিরোধি ।
উপরে আমি চারজনের কিতাবের উদ্ধৃতি তুলে ধরেছি . তাদের সেই সকল আহলে সুন্নাহ বিরধী মন্তব্যর ফায়সালা পেশ করবেন আশা করছি ।
আর আপনি নিচে লিখেছেন যে ;- আল্লাহ সবখানে আছেন এর অর্থ ইলম সবখানে বিদ্যমান ।
এই কথাটা আপনার মাহমুদুল তেঁতুলের গালে ২-৪ টা থাপ্পর মেরে বুঝিয়ে দিন ।
তা হলে আর এ নিয়ে তর্ক হবে না ।
তিনি লিখেছেন :--
বেশি কিছু না, এ তিনটি প্রশ্নের জবাব দিয়ে নতুন প্রশ্নে যাওয়ার সুযোগ আছে। নয় তো নয়।
কম কিছুই আশা করি না ,
আপনি আমার জবাব গুলো দেয়ার পর নিচে প্রশ্ন উপস্থাপন করুন।
এর আগে নয় ।
আর তুমি বলেছিলে যে ক্রমিক নং দিয়ে জবাব দাও ,
আমি দিয়েছি, এবার তোমার পালা ।
আর জানি, এই পোষ্ট সহকারে ৩ টা পোষ্ট এর জবাব পেন্ডিং থাকলো তোমার কাছে ,
আর এটা ও জানি তোমার সালেয়ারের ধাগা (ফিতা) তুমি নিজে টেনে ছিরে ফেলেছ ।
যে দিন জবাব দেয়ার চিন্তা ও করবে সেই দিন পুরা কুফর ই কুফর রোগে পুরা দেওবন্দের আর তোর আকাবিরদের বুক ঝাঝরা হয়ে যাবে ।
সোহেল রানা
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন