গর নাইয়ায়েদ বগোসে রগবতে কাছ
বর রছুল পায়ামে বাশদ্ ও বছ
বাংলা হল ;--
যদি কেউ আগ্রহ নিয়ে না শোনে তবে
দূতের জন্য সংবাদ বলে যাওয়া যথেষ্ট ।
যদিও বা আমি উক্ত আপত্তিগুলোর দাঁত ভেঙ্গে ভেঙ্গে জবাব দিয়েছি বিগত দিনে তাদেরই কিতাব থেকে । কিন্তু কথা হল চোরে না শোনে ধর্মের কথা । ওরা তোর তাই কথা ওদের কানে যায় না ।
আজ এমনি একটা বিষয় ।
মহরমের দশ তারিখে কি ঘটাইলেন রাব্বানা
কলিজা ফাটিয়া যায় মোর বলিতে সেই ঘটনা
এমন হাজারো মরসিয়াহ (শ্লোক বা শোকের ) আমাদের সমাজে প্রচলিত আছে ।
এমনকি আমরা মহরম এলে লিখতেও থাকি মহরম এর ঘটনা উল্লেখ করে করে ।
আজ পর্যন্ত কি কোন ওহবি দেওবন্দি জামাত ওয়ালাদের কে লিখতে দেখেছেন ইমাম হাসান হুসাইন (রা) কে নিয়ে । ওনার সাথে যে জুলুম করা হয়েছে তা তুলে ধরে ?
না দেখেন নাই। কারন তাঁরাই ছিল এজিদের সহকারী । এজীদ কে তারা তাবেয়ী মনে করে ( ত্বকী উসমানি লিখিত ইতিহাসের কাটগড়ায় হযরত মুয়াবিয়া )
আসলে পোষ্ট এর বিষয় এটা নয়। পোষ্ট এর বিষয় হচ্ছে (-
প্রশ্ন ;- মহরম মাসে বিশুদ্ধ ও স্হিহ বর্ননা তুলে ধরে কারবালার ঘটনা বর্ননা করা মাহফিল আয়োজন করা চাঁদা দেয়া ও সাধারনদের মধ্য খাদ্য বিতরন শরবত পান করানো ও শিশুদের কে দুধ পান করানো যায়েয কি না ?
উত্তর ;-মহরম মাসে বিশুদ্ধ বর্ননা সহকারে হলেও ইমাম হুসাইন (রা) এর কারবালার শাহাদতের ঘটনা ও উপরোক্ত পুন্যময় কার্য়াবলি
রাফজী সম্প্রদায়ের সাথে সামনজস্য থাকার দরুন তা হারাম ।( ফতোয়া এ রশিদিয়া , ৩য় খন্ড ১১৪ নং পৃষ্টা )
এখন আমার কথা হল যে ;- যদি রাফেজী (শিয়া) দের সাথে মিল থাকার কারনে কোন পুন্যর কাজ হারাম হয়ে যায় , তা হলে শিয়া রা ও নামায পড়ে সারা বছর ,
আমরা পড়ব না। কারন তাদের সাথে মিল আছে আমাদের , তারা ও নামায পড়ে আমরা ও পড়ি
তারা রোজা রাখে
আমাদের রোজা রাখা যাবে না
এখানে ও মিল আছে তাদের সাথে
এমন ওনেক কিছু আছে । তো সেই সকল পুন্যময় কাজ গুলি কি আমরা বাদ দিয়ে দিব শিয়াদের সাথে মিল থাকার কারনে ?
দেওবন্দি হযরতগনের কাছে আবদার থাকল ।
নাকি আমি শিয়া হয়ে গেলাম রে ?
জানি না ,,,,,,,,,,,,,,
এর পর দেখুন :-
প্রশ্ন ;------ হিন্দুদের নিজেদের তেওয়ার হোলি দেওয়ালি ইত্যাদি ধর্মিয়া অনুষ্টানাদির মিষ্টি পুরী ও অন্যান্য খাদ্যদ্রব্য মুসলমানদের কে উপহার স্বরুপ প্রদান করলে তা নেওয়া ও খাওয়া দুরস্ত আছে কি ? নাকি মহরমের মত এগুলো ও হারাম ?
উত্তর; না। দেওবন্দি মাযহাব মতে হিন্দুদের পুজার খাদ্য দ্রব্য মুসলিমদের জন্য খাওয়া যায়েয। তা মহরমের মত হারাম নয় ।
যেমন ;-
রশিদ আহমেদ গাংগুহী লিখেছেন যে ;-হিন্দুরা যদি তাদের পুজার ফল ফলাদি খাদ্য দ্রব্য কোন মুসলমান শিক্ষক , বিচারক বা কর্মচারির জন্য উপহার স্বরুপ দিয়ে থাকে বা যে কোন মুসলমান কে দিয়ে থাকে , তবে তা মুসলমানদের জন্য গ্রহন করা যায়েজ কি না ?
উত্তর ;--- যায়েয ফতোয়ায় রশিদিয়া ২য় খন্ড পেজ নং ১১৩ ।
এবার আমার ভাই আপনি বুকে হাত দিন । আর নিজেকে প্রশ্ন করুন ।
সর্দার এ দো আলম হযরত মুস্তাফা মুহাম্মাদ মুস্তফা সাল্লেল্লাহু আলাইহে ওয়া সাল্লাম এর দৌহিত্র হযরত ইমাম হাসান (রা) এর শোকে কোন মাহফিল করা , তাতে বিশুদ্ধ বর্ননা সহ কারবালার ঘটনা বর্নিত করা চাঁদা দেয়া সাধারন মানুষদের মধ্য খাদ্য বিতরন করা শরবত পান করানো ও বাচ্চা দের মধ্য দুধ বিতরন করা হারাম ।
আর কারন দেখিয়েছে এই সব কাজ যদিও পুন্যময় তবুও রাফেজী দের সাথে মিল থাকার কারনে হারাম ।
আর হিন্দুদের পুজা দেওয়ালি হোলির মিষ্টি পুরা অন্যান্য সামগ্রী মুসলমানদের জন্য যায়েয ।
হিন্দুদের সাথে দেওবন্দিদের ধর্মের মিল আছে নাকি ?
এটা কি করে হয় ?
আহলে তাশাইওদের সাথে মিল থাকার কারনে যদি এমন পুন্যময় কাজ হারাম হয়ে যায় তা হলে হিন্দুদের ধর্মিয়েদের পুজার খাদ্য দ্রব্য কি করে হালাল হয় আমার ভাই ?
এটাই হচ্ছে হিন্দু পিরিতি ।
উল্লেখ্য যে তারা ভারতে গরু কোরবানী বন্ধ করতে ওনেক চেষ্টা করেছে বিগত দিনে ।
হিন্দুদের গীতা নাকি তাদের মাতা
আর গীতার স্বামী শিব নাকি তাদের বাবা ।
আরো কিছু তুলে ধরব। কয়েকদিন এদের কে দৌড়ের উপরে রাখব ।
উল্লেখ্য যে ছাগলের তিন বাচ্চাদের ম্যা ম্যা বেশি শয্য করা হবে না , যেমন করবে তাদের কে তেমন উত্তর দেয়া হবে ।
রাইট
উত্তরমুছুন