রবিবার, ২ এপ্রিল, ২০১৭

prove about ahle sshiya

আস সালামু আলাইকুম। লম্বা ওয়েটিং জন্যে মাফ চাচ্ছি। চাকরি এবং ব্যাক্তিগত মেটারে ব্যস্ত ছিলাম। সরি আমার লেট এর কারনে সোহেল রানা মুখ থেকে বাজে কথা বেড় হয়েছে এটার জন্যে মাফ চাচ্ছি। প্রতেক মানুষ কাছে ধর্য থাকা উচিত আল্লাহ ধর্যকারীদের পছন্দ করেন
আমার পোষ্টের রিপ্লাই করার জন্যে হাজার শুকরিয়া
রিপ্লাই চেয়েছি রচনা নয়।
যেহেতু সেই রচনা লিখেছে আমাকে কিছু এক্সট্রা লিখতে হবে তা আমি দরকার মনে করি না
আমি ১ ২ ৩ ভাবে পোইন্ট আউট করতে চাই মুল বিষয়টা কে।
সোহেল ভাইয়ের পোস্ট এ বাইরব আমাকে আবার কিছু প্রশ্ন করেছে তা আমি উত্তরপ্রয়োজন মনে করি না
কারন মুল বিষয় টা হল
"রাসুলে পাক কি যাদুগ্রস্ত ছিল?"
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম
সোহেল ভাই face book id দেওবন্দিদের আসল রূপ মুল আলোচনা আগে একটক উদাহরন দিয়েছেন তা হল বিবেকের যুক্তি উদাহরণ উনি লম্বা উদাহরন দিয়েছেন স্কিন শটে পাবেন।
না বলে পারছিনা না জেনে না শুনে আমার বোন কে বা আমার মেয়ে অন্ধ ভাবে বিয়ে দিতে যাব কেন?
উনি সমাজ এবং ধর্মের লাইফ স্টাইল দিয়ে বুঝিয়েছেন যে মানুষের বিবেকের সীমা থাকতে হবে বা আছে
কিন্তু আল্লাহ এরশাদ করেন সুরা আনফাল ২২ নম্বর আয়াত
"নিঃসন্দেহে আল্লাহ তা’আলার নিকট সমস্ত প্রাণীর তুলনায় তারাই মূক ও বধির, যারা উপলদ্ধি করে না।"
এই সমাজ এবং ধর্ম কার? আল্লাহ
তাহলে উনি কিসের সাথে কি মিশাচ্ছে। বিবেকবোধ কি সমাজে বা ধর্মের কাছে দাম নেই?
সুরা আল হুজরাত আয়াত ১৩
হে মানব, আমি তোমাদেরকে এক পুরুষ ও এক নারী থেকে সৃষ্টি করেছি এবং তোমাদেরকে বিভিন্ন জাতি ও গোত্রে বিভক্ত করেছি, যাতে তোমরা পরস্পরে পরিচিতি হও। নিশ্চয় আল্লাহর কাছে সে-ই সর্বাধিক সম্ভ্রান্ত যে সর্বাধিক পরহেযগার। নিশ্চয় আল্লাহ সর্বজ্ঞ, সবকিছুর খবর রাখেন।
উপরের এক্টা আয়াত আল্লাহ এখানে জাতি সমাজ কর্ম ধর্ম এক সাথে করে কি বুঝিয়েছেন যে তাঁহার
কাছে সে-ই সর্বাধিক সম্ভ্রান্ত যে সর্বাধিক পরহেযগার। 
জীবন এ চলতে হলে বিবেক থাকা প্রয়োজন। সবার কাছে ব্রেন আছে বাট বিবেকবান মানুষ কয়টা পাবেন।
এবার আসল কথায় আসি
১)
সোহেল ভাই প্রথমে সুরা বাকারা ১০২ দিয়ে আয়াত দ্বারা আমার against যুক্তি শুরু করেন ইবনে কাথির তাফসির দিয়ে।
উনার কথায় আমি একমত নবি সুলাইমান আমলে সময় জাদু প্রচলন ছিল কাফের রা উনাকে নবি না মেনে যাদুগর বলতে লাগলো। এটা আল্লাহ বলেন নবী সুলাইমান জাদু করতেন না তা কুফুরি।
আল্লাহ নবি সাথে যাদুর কুফুরি সাথে সমর্পক নেয়
এবং ধারে কাছে নেয়। আমি কি মিথ্যা বলেছি
তাহলে যাদু আমাদের নবি রাসুলে পাকের (স) ধারে কাছে কিভাবে যেতে পারে??? যেখানে সুলাইমান যাদু
কুফরী কাজের সম্পাদন সুলাইমান (আঃ) করতেন না
তাহলে ইমামুল আনবিয়া গায়ে ঔ কুফরি কিভাবে স্পষ্ট করতে পারে
২)পরবর্তিতে কালা যাদুর বিশাল এক সম্ভার ইহুদিদের কাছে থেকে যায় । যার ফসল স্বরুপ লাবীদ ইবনে আসাম নামের একজন ইহুদি নবী সাঃ কে যাদু করেন সোহেল ভাই এর দাবি:-
দাবি মন্দ না কিন্তু সমস্যা আছে ইহুদির থেকে যাওয়া সুলাইমান আমলে জাদুর সম্ভারের বিদ্যা দিয়ে ইমামুল আনবিয়া কে জাদু করে। ঔ আমলে জাদুর কিতাব সুলাইমান(আ) কে কিছু করতে পারে না ইমামুল আনবিয়া কে কি ক্ষতি করবে? আমি এটা উত্তর আপনাদের থেকে আসা রাখি না
কারন এখনি প্রমান করে দিব যে আল্লাহ নেক বান্দা জাদু গ্রস্ত হতে পারে না এবং আয়েশা হাদিসটি মিথ্যা এবং বানোয়াট তা ইতিহাস প্রমান করে দিবে।
নবী মুহাম্মদ (সা) যাদুগ্রস্ত হওয়ার হাদিএ
হাদিস ৪৯০
ইবরাহীম ইব্ন মূসা (র)……………..আয়িশা (রা) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, নবী (সাঃ)-কে যাদু করা হয়েছিল। লায়স (র) বলেন, আমার নিকট হিশাম পত্র লিখেন, তাতে লেখা ছিল যে, তিনি তাঁর পিতার সূত্রে আয়িশা (রা) থেকে হাদীস শুনেছেন এবং তা ভাল করে মুখসত্ম করেছেন। আয়িমা (রা) বললেন, নবী (সাঃ)-কে যাদু করা হয়। এমনকি তার যাদুর খেয়াল মত হতো যে, তিনি স্ত্রীগণের বিষয়ে কোন কাজ করে ফেলেছেন অথচ তিনি তা করেন নি। মেষ পর্যমত্ম তিনি একদিন রোগ আরোগ্যের জন্য বারবার দু’আ করলেন, এরপর তিনি আমাকে বললেন, তুমি কি জান? আল্লাহ আমাকে জানিয়ে দিয়েছেন, যাতে আমার রোগের আরোগ্য নিহিত আছে? আমার নিকট দু’জন লোক আসল। তাদের একজন মাথার কাছে বসল আর অপর জন আমার পায়ের কাছে বসল। এরপর একজন অপরজনকে জিজ্ঞাসা করল এ ব্যক্তির রোগটা কি? জিজ্ঞাসিত লোকটি জবাব দিল, তাকে যাদু করা হয়েছে। প্রথম লোকটি বলল, তাকে যাদু কে করল? সে বলল, লবীদ ইব্ন আ‘সাম। প্রথম ব্যক্তি বলল, কিসের দ্বারা (যাদু করল)? দ্বিতীয় ব্যক্তি বলল, তাকে যাদু করা হয়েছে, চিরুনি, সুতার তাগা এবং খেজুরের খোসায়। প্রথম ব্যক্তি জিজ্ঞাসা করল, এগুলো কোথায় আছে? দ্বিতীয় ব্যক্তি জবাব দিল, যারওয়ান কূপে। তখন নবী (সাঃ) সেখানে গেলেন এবং ফিরে আসলেন, এরপর তিনি আয়িশা (রা)-কে বললেন, কূপের কাছে খেজুর গাছগুলো যেন এক একটা শয়তানের মুন্ড। তখন আমি (আয়িশা রা) জিজ্ঞাসা করলাম,আপনি কি সেই যাদু করা জিনিসগুলো বের করতে পেরেছেন? তিনি বলেন, না। তবে আল্লাহ আমাকে আরোগ্য দিয়েছেন। আমার আশংকা হয়েছিল এসব জিনিস বের করলে মানুষের মধ্যে ফাসাদ সৃষ্টি হতে পারে। এরপর সেই কূপটি বন্ধ করে দেয়া হল।
৩) উদাহরন সরুপ সোহেল ভাই তাফসীর ব্যবহার করেছেন আমিও তাহার বিরুদ্বে আমি তারই তাফসীর দিয়ে প্রমান করবো সত্যটা কি।
দয়া করে স্ক্রিনশট দেখে নিবেন।
আমি আপ্নাদের উপহাস করতে চাইনা, কারন অনেক কিছু শিখার আছে। কুরআনের ইতিহাস এবং রাসলের পাকের (স:) সিরাত ভিত্তিক করে আপনার দাবিতে এবং সুন্নি আকায়েদ এ অনেক সমস্যা আছে।
৪) সুরা ফালাক মক্কি পরিচিত এবং আয়াতের স্বন,সাক্ষ্য করে এটি মক্কার সূরার অনুরূপ।
"ইবনে কাছীর এবং ফি যিলালিল কুরআন তাফসীর "স্ক্রিনশট দেওয়া হয়েছে।"
৫) হিজরতের পুর্বে পবিত্র নবী (সাঃ) মক্কায় ছিলেন।
৬) মক্কাতে ইহুদিরা বাস করতো না মদিনাতে বাস করতো। তখন ইহুদিরা রাসুল পাক কে চিনতো না।
৭) সুরা ফালাক নাযিলের বহুত বছর পরে ইহুদির গোত্রের আউস এবং খাযরাজ গৌত্রের দাওয়াতে রাসুলে পাক মদিনাতে হিজরত করেন। এবং তারা মদিনাতে রাসুলের হাতে ইসলাম গ্রহন করে।
৮) রাসুলে পাকের প্রতি ইহুদির ঈষ্যা বেশিরভাগ ঘটেছে মদিনাতে মক্কাতে নয়। তাহলে হাদিসের শান সুরা ফালাক এর বিপরীত।
৯) বদর,উহুদ,খান্দাক,খাইবার এসব এতিহাসিক যুদ্ধ গুলি মদিনা হয়েছিল মক্কাতে নয়। 
১০) সুরা ফালাক নাযিলের সময় আয়েশা নবীর সাথে সংসার করে নাই তিনি কিভাবে ফালাকের সাপেক্ষে হাদিসের সাক্ষি দেন? কারম রাসলের সাথে বিবাহ জিবন মদিনা তে হিয়েছিল উনার বয়স তখন ৯ ছিল ।(স্ক্রিনশট)
১১)
যেখানে সুরা ফালাক মক্কাই অর্বনিত হয়েছে ইহুদিরাতো মদিনাতে ছিল!!
আয়েশা বলেছে হাদিসে যে লবীদ ইবন আসাম আল ইহুদি জাদু করেছে এবং ইহুদিরা তো মদিনাতে ছিল!!
কিন্তু আল্লাহ সুরা ফালাক মক্কাই নাযিল করেছেন!!
তাহলে মিথ্যাবাদী কে?
স্ক্রিনশট এ আমি কালানুক্রমিকভাবে সুরার নাযিলের লিষ্ট দিয়েছি পরে আপনি যেনো বলতে না পারেন যে
সুরা ফালাক মক্কা এবং মদিনার মধ্যে নাযিল হয়েছে!!!
তাহলে 
আপনাদের "যাদুর" হাদিস বিপরীতে কুরআন এর ইতিহাস এবং রাসুলের সিরাত "জাল এবং বানোয়াট প্রমানিত করে।( দলিল স্ক্রিনশট)
আবার বলছি,
যদি পবিত্র নবী (সাঃ), খুব সহজে, মায়াবীর জাদুবিদ্যা দ্বারা ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছিল তাই অসুস্থ হন এবং অনেক সময় বিছানায় কাটাতেন তাহলে এটা খুব সহজে তাঁর মহান লক্ষ্যে পৌঁছানো বন্ধ করে দেয়। নিশ্চই দূরদর্শিতা তাঁকে এই ধরনের একটি মহান এবং গুরুত্বপূর্ণ মিশনের জন্য পাঠিয়েছিলেন, মায়াবী এর জাদুবিদ্যা বিরুদ্ধে আল্লাহ ভবিষ্যদ্বাণী সুরক্ষিত রেখেছেন।
আবার বলছি,
যদি মহানবী (সাঃ) এর শরীরের উপর যাদুর প্রভাব ছিল় তাহলে মানুষ কল্পনা করা হতে পারে যে জাদুবিদ্যা রাসুলের পাকের পবিত্র আত্মাকে প্রভাবিত করতে পারে, এবং তার চিন্তা মায়াবী এর জাদুবিদ্যা সাপেক্ষে হতে পারে, তাই, এই ধারণা পবিত্র নবী (সাঃ) প্রতি মুসলিমের আস্থা নীতিকে ধ্বংস করে।
কারন
সুরা আল ফুরকান আয়াত ৭
তারা বলে, এ কেমন রসূল যে, খাদ্য আহার করে এবং হাটে-বাজারে চলাফেরা করে? তাঁর কাছে কেন কোন ফেরেশতা নাযিল করা হল না যে, তাঁর সাথে সতর্ককারী হয়ে থাকত?
সুরা আল ফুরকান আয়াত ৮
অথবা তিনি ধন-ভান্ডার প্রাপ্ত হলেন না কেন, অথবা তাঁর একটি বাগান হল না কেন, যা থেকে তিনি আহার করতেন? জালেমরা বলে, তোমরা তো একজন জাদুগ্রস্ত ব্যক্তিরই অনুসরণ করছ।
সুরা আল ফুরকান আয়াত ৯
দেখুন, তারা আপনার কেমন দৃষ্টান্ত বর্ণনা করে! অতএব তারা পথভ্রষ্ট হয়েছে, এখন তারা পথ পেতে পারেনা।
উপরের ৩টি কুরআনের আয়াত দারা রাব্বুল আলামিন প্রমান কররেন যে নবি জাদুগ্রস্ত হতে পারে না এবং যে এ কথা টা বলবে সেই হবে পথ হারাবে।
এতে আর ও প্রমান হয়
আপনাদের জাল হাদিস সুরা ফুরকানের আল্লাহ বাণীর বিপরিত।
সৎ নারীরর সন্তান বিধায় আমি এতো দিন ছুপ ছিলাম।