শুক্রবার, ১৩ মার্চ, ২০১৫

শহীদের মর্যাদা আবদুল্লাহ বিন

আবদুল্লাহ আল উযযা নামের এক মুশরিক ইসলাম গ্রহন করতে চাইলে কার চাচা বলে তোমার যা কিছু আছে আমি সব কেড়ে নিব। সাথে সাথে নিজের চাচারে সব কিছু এমন কি পড়নের কাপড় খুলে দিয়ে উলংগ অবস্থায় নিজের স্নেহময়ি মায়ের কাছে যান। সব কিছু বললে মা একচা চাদর দেন। আর সেই চাদর কে দুই টুকরা করে একটা লুংগির মত করে পরে আর এক টুকরা নিজের শরিরে দিয়ে চলে যান মদিনা আমার আঁকার দরবারে। প্রবেশ করলেন মসজিদ এ নববী তে। 

রমযান মাস। 
আমার আঁকা সাল্লেল্লাহু আলাইহে ওয়া সাল্লাম মসজিদে প্রবেশ করে দেখলেন আবদুল্লাহ আল উযযা কে । 
জিগগেস করলেন কে তুমি ? জবাব আসলো আমি আপনার সৌন্দর্যের এক আশেক আর নাম আবদুল্লাহ আল উযযা । 
আমার নবী বললেন আজ থেকে তোমার নাম আবদুল্লাহ। আর উপাধি যুলবাজারাইন। এখন থেকে তুমি আমার ঘরের পাশেই থাকবে। 
তিনি এ ভাবে আহলে সুফ্ফার অন্তরভুক্ত হন।

মুসলিম বাহিনি যাত্রা শুরু করল তাবুক যুদ্ধের জন্য। 
আবদুল্লাহ এসে নবী পাক রউফুর রাহিম সাল্লেল্লাহু আলাইহে ওয়া সাল্লামে'র হাজির হয়ে নিবেদন করলেন ;- হে আল্লাহর রাসুল সাল্লেল্লাহু আলাইহে ওয়া সাললাম। আমার দন্য দোয়া করুন। যেন আমি শহিদ হতে পারি। 
আমার নবী বললেন গাছের একটা ছাল নিয়ে এসো। তিনি ফিকর নামের গাছের ছাল নিয়ে এলেন। 
রাসুলে আকরাম সাল্লেল্লাহু আলাইহে সাললাম সেই গাছের ছাল তার বাহুতে বেধে দিয়ে বললেন , হে আল্লাহ , এই রক্ত কাফেরদের জন্য হারাম করলাম। 
আবদুল্লাহ (রা) বললেন হে আল্লাহর রাসুল , আমার মকসুদ তো শহিদ হওয়া। 
রাসুলে আকরাম সাল্লেল্লাহু আলাইহিস সালাম বললেন হে আবদুল্লাহ , তুমি আল্লাহর রাস্তায় জিহাদের জন্য বেড়িয়ে পড়েছ। এখন যদি তোমার জ্বর হয় , আর সেই জ্বরে তুমি মিত্তু হয়  , তবুও তুমি শহিদ। 

এরপর হযরত আব্দুল্লাহ রাসুলে পাকের খেদমত করতে করতে তাবুক পর্যন্ত পৌছান। সেখানে ওনার জ্বর হয়, ও তিনি শহিদের দরজা লাভ করেন। 

হযরত বেলাল ইবনে হারেছ মযনি (রা) বরননা করেন আমি দেখতে পেলাম মুয়ায্যিন বেলাল হাতে কুপি (তেলের বাতি) নিয়ে আসছেন। নবী করিম তার কবরের কাছে উপস্থিত। হযরত আবু বক্কর ও ওমর রাযিআললাহ তাকে কবরে নামাচ্ছেন। তখন নবী পাক বললেন তোমরা তোমাদের ভাই কে ইজ্জতের সাথে মাটিতে  রাখ। তিনি কবরে কাঁচা ইট কুড়িয়ে নিলেন। এরপর দোয়া করলেন , ইয়া আল্লাহ এ (আবদুল্লাহ ) দিনরাত আমার খেদমত নিয়েজিত ছিল , আমি তার প্রতি সন্তুষ্ট , তুমি ও তার প্রতি সন্তুষ্ট থাক। 
হযরত ইবনে মাসউদ রাজিআললাহ বলেন আবসোস। আমি যদি এই কবর বাসীর স্থলব্রতি হতাম। 

ইমানের দ্বীত্য় স্তর

ইমাম গাজালী সাহেব তার স্বীয় মাকতুবাত এ লিখেছিলেন যে :- ইমানের ২য় স্তর হচ্ছে অনুকরন । যেমন আপনার বাবা মুসলিম আপনি ও মুসলিম। আপনার পাশের জন নামায পড়ে আপনি ও পড়েন  ও সেই মতে মুসলিম হিসেবেই পরিচিতি লাভ কর থাকেন। 
আমাদের সমাজে আজ  এমন মুসলমানের সংখা গুনে শেষ করার মত না। 

এমন অনুকরনের দল হচ্ছে (বাংলাদেশ ইসলামি ছাত্র সেনা ) 
এটার আবার আরো একটা ভার্সন আছে। তা হচ্ছে শুধু (ইসলামি ছাত্র সেনা )
নোট:- আমি তাদের মত একে অপরকে মুরতাদ আর কাফের বললাম না। 

এই দুই গ্রুপের মহান দুই নেতা (১) মান্নান সাহেব (২) জোবায়ের সাহেব। 
এদের মধ্য যে মান্নান সাহেব আছেন তাকে কেউ কালো বলে না অথচ মান্নান সাহেব বেশি কালো । ফর্সা রংয়ের জোবায়ের কে সবাই বলে কালা জোবায়ের। আশ্চর্যের বিষয় ।

আমার এই কথা বলার কারন হচ্ছে এদের দলাদলি ও নীতি আর  বিদ্বেষ প্রকাশ করা। 

এক গ্রুপ আর এক গ্রুপ কে দেখতে পারে না। 
এদের দলাদলি যদি দেখেন তা হলে বর্তমান সময় হাসিনা ও খালেদার সম্পর্ক ভালো বলে রায়  দিতে বাধ্য হবেন আপনি।  কারন বিগত দিনে খালেদা পুত্র কোকোর মিত্তুর খবর শুনে হাসিনা কিন্তু খালেদার দরজায় গিয়ে দাড়িয়েছিলেন। 
আর আজ যদি জোবায়ের মরে মান্নান তো যাবেই না বরং সকল বাংলাদেশ ইসলামি ছাত্র সেনার কর্মি রা  বগল বাজাবে খুশি হয়ে। 
অথচ দাবি করে ইসলামি সেনা।  
 ইসলামের সেনা যদি এই রকম হয় তো এদের হাতে ইসলাম কি অবস্থায় থাকতে পারে তা কিন্তু চিন্তিত করে তুলবে আমার মত যারা উম্মি লোক আছেন তাদের কে 

এদের মুল রাজনৈতিক সংগঠন ও এক না। 

যাক এর পরের কথা হচ্ছে যে :- এরা নিজেকে দাবি করে নবীর সেনা। আরো কত কি যে গদ্য পদ্য ছন্দে কবিতায় কত কি রচনা আমি তার এই খানে পুনরচনা করতে চাই না। 

এরা এমন দল , যেমনটা হয়ে থাকে ছাগলের ৩ নং বাচ্চা । 
১ ও ২ নং বাচ্চা তো ঠিকই দুধ পান করে মা ছাগলের। কিন্তু এই তিন নং বাচ্চা নিজ শক্তির ওভাবে দুধ খেতে না পেরে খালি ম্যা ম্যা করেই দিন কাটায়। কর্ণপাত কেউই করে না। 

এরা প্রধান দুষমন মনে করে জামাত শিবির কে। অথচ এরা কিন্তু বি,এন,পি বা আওয়ামীলিগ কে দুষমন মনেই করে না মোঠেই। আর যদিও বা বলে থাকে তারা বি এন পি ও আওয়ামীলিগ আমাদের দুষমন কিন্তু এদের আচরনে তা কখন ও যদি প্রকাশ পায় তা আমাকে অবহিত করার জন্য অনুরোধ করছি।  

এরা জামাতের বিরুধিতা শুধু এ জন্যই করে যে এরা সুফিপন্থি না। 
আমি বলব আপনাদের মাঝে কি সুফীবাদের নিদর্শন বিদ্যমান বলে দাবি করেন ? 
হায় আবসোস !! 
বছরে একবার আওলাদে রাসুল তাহের শাহ কে পাকিস্তান থেকে এনে মিলাদ উদযাপন করেই এরা সুফী হয়ে বসে আছে। 

জামাত শিবির একটা রাজনৈতিক দল। এরা সুফী পন্থি নয়। এরা করে ধর্মের ব্যাবসা। যদিও কিছু ক্ষেত্রে এদের মুল নীতি গুলো আমার পছন্দের। 

কিন্তু আপনার কথিত সুফিবাদের নাম দিয়ে যে রাজনীতি তে নেমে সুফীবাদের নাক কেটে দিয়েছেন তা কি কেউ একবার লক্ষ্য করে দেখেছেন ? 

আর যদি আপনার তাই মনে হয় যে আপনি সুফীবাদের ক্ষতি করেন নাই তা হলে আমাকে পেশ করুন প্রমান কোন হক সুফীবাদের দল রাজনীতি কে সমর্থন করেছে ? 

বরং আপনারা যে নিজেকে হানাফি দাবি করেন বরং হানাফি ফেকাহ মতে আপনারা নিজেকে হানাফি দাবি ও করতে পারবেন না। এ নিয়ে একদিন পোষ্ট করব ইনশাল্লাহ ।

এরা নিজেকে নবীর সেনা দাবি করে। আজ আল্লাহ পাকের কালাম কে মন গড়া ও আল্লাহর মনোনীত ধর্ম ইসলাম কে  নারীর যৌনাংগের সাথে তুলনা আল্লাহ নবী কে প্রতিদিন বেজ্জত করা হচ্ছে।  কথিত এই নবীর সেনা রা কিন্তু ফেসবুকের মধ্যে সীমা বধ্য। 

তোমাদের আজকে সামান্য কিছু প্রকাশ করলাম। এর পর তোমাদের কে নাংগা করব এক এক করে দলিল দিয়ে। 

তোমাদের এমন অবস্থা যে তোমরা ধোপির কুত্তার মত। না ঘাটের কুত্তা হতে পেরেছ মা ঘরের কুত্তা হতে পেরেছ । 

এরা নিজেকে জান্নাতের ঠিকাদার মনে করে। কিন্তু এরাই ছুপা নাস্তিকের দলকে ছাড় দিয়ে কথা । এরা সেনা দাবি করে কিনতু হাতিয়ার নিতে চায় না ।

আমার কথা হচ্ছে একদম সোজা। যে খানে কথায় কাজ হয় না সে খানে আমার নবীর তরিকা তলোয়ারে কাজ করতে হবে 





তাসাউফের আসল রুপ

তাসাউফ কি ? আর কারা তাসাউফ এর পথের পথিক ?
আর কারা ভন্ড ? 


আলোচনা ;- দাঁতা গান্জ বখশ আলি হাজবেরী (রা)  । যার মাযারে খাজা মুইনুদ্দিন চিশতি (রহ) ৪০  চিল্লা করে ছিলেন এবং ওনার আশির্বাদ নিয়ে তিনি আজমীর এ আসেন। আর এই দাতা খেতাব টা খাজা মুইনুদদিন চিশতি (রহ) এর দেয়া । 

দাতা গান্জ বখশ আলী হাজবেরী (রহ) নিজের কিতাব কাশফুল মাহজুব এর ৫৪ নং পৃষ্টা তে লিখেছেন যে ;- হযরত মোহাম্মদ ইবনে আলী ইবনে হুসাইন ইবনে আলী ইবনে আবু তালেব (রা) বলেছেন ;- তাসাউফ সৎ স্বভাবের নাম। মানুষের স্বভাব যত উন্নত হবে তার তাসাউফ তত বৃদ্ধি পাবে । 

ডাঃ তাহেরুল কাদরী, বর্তমান জামানার সুন্নি দের চোখের মনি  । 
ওনার কিতাব (তাসাউফের আসল রুপ ) এ লিখেছেন ;- সুফী হল সেই বেক্তি যে দুনিয়া ও আখেরাতের প্রাপ্য প্রতিদানের প্রতি ভ্রুক্ষেপ না করে মাহবুবে হাকীকি তথা আল্লাহর সাথে নিখুঁত ভালবাসার রুজ্জু কে মজবুত করে ধরে । এই ধরনের লোকদের সমস্ত কাজের প্রেরনার এক মাত্র আল্লাহর জন্য হয়ে থাকে । (তাসাউফের আসল রুপ) পাতা নং ৬৪


এই কথা অননুরুপ ভাবে ইমাম গাজালী স্বীয় মাকতুবাত এ লিখেছেন যে ;- ইমানের ৫ম স্তরের লোকেরা যা কিছু করেন তা সমস্তই আল্লাহর জন্য হয়ে থাকে । তারা খানা খেয়ে থাকেন তা ক্ষুদায় পেট ভরার দন্য নয়।  বরং খানা খেয়ে শক্তি পেয়ে আবার ও ইবাদাত করার জন্য । বিয়ে করেন এই জন্য নয় যে দেহের চাহিদা হালাল মত পুর্ন করা যাবে। বরং তারা করেন নবীর উম্মত বৃদ্ধির জন্য ও আল্লাহর ইবাদাত করার জন্য যেন বান্দার বৃদ্ধি হয়।  তারা তাদের বুড়া কালের চিন্তা করা এমন করে না। 

তারা পায়খানা করেন যাতে ভিতরের কষ্ট বের হয়ে গেলে ইবাদতে মন লাগানো সজহ হবে তাই। এই রকম তারা প্রতাটা কাজ আল্লাহর রাজী খুশির জন্য করে থাকেন । 

গিয়াসুল লুগাত কিতাব এর ১১৩ নং পৃষটা তে শায়খ আয়াযুদ্দিন (রহ) লিখেছেন যে ;- যেহেতু সাহাবাদের সর্ণ যুগে বিণয়, সাধণা ও পরমানুগত্যের দরুন সত্যপন্থি রা পশমের পোশাক পরিধান করতেন। তাই তাদের কাজ কর্ম কে তাসাউফ নামে নাম করন করা হয়েছে (গিয়াসুল লুগাত) পৃষ্ঠা নং ১১৪

শায়েখ গিয়াসুদ্দিন বলেন ;- হতে পারে  তাসাউফ সুফ  শব্দ নির্গত।  যার অর্থ এক মুখি হওয়া । অন্য সব কিছু থেকে মনোযোগ হটিয়ে নেওয়া । যেহেতু আল্লাহর সাথে সম্পর্কিত বেক্তি অন্য সব কিছু থেকে নিজের মনোযোগ সরিয়ে শুধু আল্লাহর দিকেই মনোযোগ নিবদ্ধ করে । তাই তাদের এই সম্পর্ক স্থাপন করা কে তাসাউফ বলে ( গিয়াসুল লুগাত ১১৩ নং পৃষ্ঠা ) 


উপরের বরননা গুলো থেকে এটা প্রতিয়মান যে তাসাউফ পথের পাথিক যারা , তারা কিন্তু দুনিয়ার বুকে থেকে ও দুনিয়া কে বিলিন মনে করেন । আর নিজেকে একাগ্রতার সাথে রাখা পছন্দ করেন। 
তারা দুনিয়া নামের  এই নর্তকির রুপ দেখে তার জন্য সময় বেয়  করেন না । 

আজ আমাদের দেশে কত যে দল ও মত আছে তা কিন্তু দেখার মত। 

প্রকাশ্য পেটের বান্দা ও কম। 

(আল্লাহ পাক বলেন আপনি কি দেখেন নাই ? যারা নিজের নফস কে নিজের মাওলা তে পরিনত করে নিয়েছে) 

প্রকৃত পক্ষে তারা ও তাদের ণফসই মাবুদ। কারন তারা নিজের নফসের জন্যই এই সব কিছু করে থাকে । 
তারা যদি প্রকৃত মালিক আল্লাহ কে মনে করত তা হলে তারা আল্লাহর ইবাদাত করত।  অন্য কারো কারো প্রতি সামান্য অনুগত হত না । 

এ তো গেল পেট পুজারী রাজনীতি ও দলের কথা। 

আমাদের দেশে কোরান ও হাদীস আর বুযুরগ দের আকিদা কে ও বিসর্জন দিয়ে তাদের কিছু কথা কিছু বানী কে মুল অস্ত্র বানিয়ে দিব্বি ঘুড়ে বেড়াচছে  কিছু ইসলামিক দল ।

তারা তো বলে আমরা তাসাউফ পন্থি , কিন্তু তা শুধুই এক রকম ধোকা বলে টলে , কারন তাসাউফ এর নাম দুনিয়া না। বরং আল্লাহর দিকে পুরো পুরি রোখ করা। 

আজ আপনারা মিটিং করেন মিছিল করেন। কথায় কথায় সমাবেশ করেন,এত সুন্দর সুন্দর বই প্রকাশ করেন, কত মিঠা মিঠা নাত শরিফ পাঠ করেন, কত কোরানের বেক্ষা করেন। কত হাদীস কে দলিল দেন,কত আলোম কে মাথার তাজ মনে করেন, কত পীর কে সেজদা করেন কত মাজারে চাদর চড়ান , বছরে কত ওরশ করেন , প্রতি বছর কত মিলাদ করেন , বছরে কত জলসা করেন হাজারো বাহানা করে ।  তবু কেন আজ সুন্নি বা তাসাউফের চর্চা নাই জীবনে ? কেন আজ আপনারা লানছিত ? কেন আজ আপনাদের উপর হামলা হয় ? 

একটা শায়ের মনে পড়ছে আমার। 

ইশক মে জো ভী মুবতালা হোগা 
উস্কা আন্দাজ জুদা হোগা 
ওর ভাও কিউ কম হো গ্যায়া সোনে কা ? 
কিউ কি উছমে পিতল বেহেক লিয়া হোগা 

যে প্রেমের পাগল হবে তার চাল চলনই ভিন্ন হবে 
আর সোণার দাম কেন কমে গেছে ? 
মনে হয় তাতে  পিতল জড়িয়ে গেছে 

আজ আপনারা সেই প্রেমে মুবতালা নন। আজ আপনারা পীর তন্ত্রের নামে শুরু করেছেন বেবসা , বাপ পীর ছিল এখন তার ছেলে পীর । 
চলতে থাকবে যত দিন চালানো ্যায় 
নিজের মাঝে সামান্য মোজাহাদা নাই , অন্যদের কে মুরিদ করেন। 

রাজনীতি করেন। ইলেকশন করেন। এমপি সাজেন। 
 দল গঠান করেন। 
আপনারা ডুবেই আছেন এই নোংরা দুনিয়ার প্রেমে । আর পীর তন্ত্র তো আপনাদের একটা ঢাল। 
তাই আজকের দিনে আপনাদের এত কিছু কষ্ট করা কোন কাজেই আসছে না। কারন আপনি যদি কাউকে হেদায়াত করতে চান তা হলে আপনাকে আগে শুদ্ধ হতে হবে। দুনিয়া থেকে হাত গুটিয়ে মৃত মানুষের মত হতে হবে। যেন দুনিয়ার সাথে আপনার আর কোন সম্পর্ক নাই।  

আর তখন যদি আপনি কাউকে হেদায়াতের দাওয়াত করেন তখন আপনার  এই কথা গুলোই তার বুক চিড়ে যে ময়লা আছে  সে গুলো সাফ ও পরিষ্কার করে দিবে । 

আগের যুগে আলেম ওলামা ও হক্কানী আলেম সমাজ একটা কথা যদি বলত রাজা বাদশাহ দের তো তারা মাথা নত করে চুপ হয়ে তা মান্য করত।  আর তখন সুফী দের ক্ষমতার লোভ ছিল না। কিন্তু ক্ষমতা ছিল অগাধ। 

আর আজ আপনাদের মাঝে ক্ষমতার জন্য কি চাহাত , কিন্তু ক্ষমতা তো দূরের কথা কেউ আপনাদের কথা শুনতে ও রাজী না। 
আপনি তো দুরের কথা বাংলাদেশের এমন ওবস্থা যে পুরা দেশের মানুষের দাবি মানতে ও রাজী না সরকার। 

কারন কি ? 
কারন আপনাদের কে দেখে মানুষের আল্লাহর ভয় আসে না।  চেহরার মাঝে দেখা যায় না যে আপনারা আল্লাহ ওয়ালা।  আপনাদের কে দেখে মনে হয় আপনারা দুনিয়া ওয়ালা। 
তো কি ভাবে হবে ? কি লাভ হবে ? 

এত আন্দোলন এত কিছু।  কোন কি লাভ হচ্ছে ? 
আপনারা নিজ রাজনৈতিক সুবিধার জন্য সুফীবাদ এর মুল নীতি ছেড়ে দিয়েছেন। ধরেছেন রাজনীতি ,
যে জাতি তার আল্লাহ ও রাসুলের পথ থেকে বিচ্যুত , তাদের আকাবের থেকে বিচ্যুত ওলি আওলিয়া দের নীতী থেকে বিচ্যুত ! তাদের প্রতি কি আল্লাহ মেহেরবান হবেন ? 

কোন দিন না (চলবে) 

সোহেল রানা 








যারা ইসমাইল দেহলবী বিষয় চুড়ান্ত ফায়সালা

আব্দুস সালাম তার এক পোষ্ট এ আমাকে আমন্ত্রণ করেছে যে (আমি  সুফী বাদের আসল রুপ      তুমাকে এখানে  আমন্ত্রণ করলাম। 

মাশাআল্লাহ।  দাওয়াত কবুল করা তো সুন্নাহ। আর সাথে  যদি কোন তৌফা নিয়া যাওয়া যায় মেজবানের জন্য তো আর কোন কথাই নাই। 

বিষয় হচ্ছে শাহ ইসমাইল , শাহ ইসমাইল ও সাইয়েদ আহমেদ এর যৌথ কিতাব তাকবিয়াতুল ইমান। 
সে যা লিখেছে তা দেখুন :- ইনসান আপাছ মে বাড়ে ভাই হে , যো বাড়ে বুযুর্গ হে ও বাড়ে ভাই হে , যো উসকি বাড়ে কিছি তাজীম কিযিয়ে , ওর হামারা মলিক স্রেফ আল্লাহ , ওর বান্দেগী উনকা  কারনা চাহিয়ে , ইস হাদীস মে মালুম হুয়া কি আওলিয়া, আম্বিয়া, ইমাম ওর ইমামজাদে,পীর ইয়ানি জিতনে আল্লাহ কি মুকার্রার বান্দা হে ও ছাব ইনসান হি হে , মাগার আল্লাহ নে উনকো বড়া দিগর দি ওর বড়া ভাই হুয়ে .আল্লাহ হামকো উনকা ফরমাবদারী কা হুকুম কিয়াহে, হাম উনকি ছোটে হে ওর উনকি তাজীম ইনসান হোনে কি নাতে কারনা চাহিয়ে ) 
এই কথা টা তার লিখে দেওয়া। আমি একটু সুন্দর আর স্পষ্ট করে লিখে দিলাম। কারন তার উর্দু মাশাআল্লাহ ওনেক গান্ধা ।


বাংলা দেখুন ;- ইনাসান আপাস মে ভাই হে , 
প্রথমে এই কথা টার বিশ্লেষন করা প্রয়োজন। 
ইনসান আপাস মে ভাই হে এই কথার বাংলা অর্থ হচ্ছে যে ;- দুনিয়ার সকল মানুষ একে অপরের ভাই।  আর এই কথা যদি বিস্বাস করেন তা হলে হিন্দু , খৃষ্টান , বৌদ্ধ, চোর,চামার,ডোম,ডাওয়াই যত ধর্মের লোক আছে সবাই দেওবন্দিদের ভাই হয়ে যাবে। 
কয়েকদিন আগে একচা ভিডিও দেখলাম। তাতে দেওবনদি ওলামায়ে  ওয়াক থু বলতেছে শিব তাদের বাবা ও নবী , তারাও হিন্দু। 
তো তাঁরাই তাদের মত  বে-দ্বীন দের কে ও ভাই মনে করতে পারে নিজেকে হিন্দু মনে করতে পারে। 

বরং সহীহ হাদিস হচ্ছে :- 
মুসলমান গন পরস্পর ভাই ভাই।  

ইনসান সব আপাস মে ভাই হোতে হে বা দুনিয়ার সকল মানুষ একে অপরের ভাই এমন কোন হাদীস থাকলে পেশ করার জন্য অনুরোধ করা হল। তা নির্ভরযোগ্য হলে বাক্য বেতীত কবুল করা হবে । 

যো বাড়ে বুযুরগ হোতে হে  ও বাড়ে ভাই।  

যে বড় বুযুরগ হয় সে বড় ভাই 

তাদের কাছে বুযুরগ দের ইজ্জাত বড় ভাই য়ের চেয়ে বেশি নয়। 

দেওবনদি দের প্রখ্যাত আলেম আমের উসমানি 
মাসিক তাজাল্লি পত্রিকায় একটা কবিতা লিখেছিলেন তার ৭ -৮ নং লাইন টা দেখুন 
;- ৭) তোমার ফতোয়া বানের আঘাতে পূর্ববর্তী বুজুর্গ গনের বুক ঝাজরা হয়ে গেছে 
কাফির বলার ক্রমবর্ধমান আগ্রহ দেখতে পাচ্ছি। 
৮) তুমি পরকে ভালবাস , আপনকে ভাব পর !!! 
তোমার মধ্যে পরিবর্তিত উন্মাদনারই ধরন দেখতে পাচ্ছি।  

মাসিক তাজাল্লি ) দেওবন্দ থেকে প্রকাশিত পৃষ্টা ৫৩, ১৯৫৭ ইংরেজি 

তোমরা শুধু বড় বুযুর্গ দের কে ভাই না বরং তাদের বুক ঝাঝড়া করে দিয়েছ।  

মালিক স্রেফ আল্লাহ হে।  আমরা কোন দিন বলি নাই আমাদের জাতী মালিক আল্লাহ নন।  বরং মলিক ২ প্রকার হয়ে থাকে।  যেমন জাতী ও আতাই।  তোমরা জাতি মালিক আল্লাহর নামে তো চিল্লায় গলা ফাটাও কিন্তু আতাই মালিক বলতে যে একটা কথা আছে তা বুঝতে চাওনা।  
যেমন একটা গরু যা তোমার বাড়ী তে আছে।  তার মালিক তুমি , এই খানে তার যে তুমি মালিক হলে তা এই কারনে যে এই সকল কিছুর মালিক আল্লাহ।  গরু ও তোমার দুজনের মালিক আল্লাহ।  কিন্তু তুমি হচ্ছ শুধু দুনিয়াবি মালিক। তোমাকে মালিক করা হয়েছে।  আল্লাহ চাইলে তোমার কাছে থেকে ছিনিয়ে নিতে পারেন। চাইলে বেশি ও দিতে পারেন। এটা তোমাদের বোঝা উচিত। এটাই আতাই ও জাতি মালিকের পার্থক্য। তোমাকে আল্লাহ দিয়েছেন। আর আল্লাহ কে কেউ দেয় নাই। সব কিছু ওনার সৃষ্টি। 

আর ইবাদত সকলে আল্লাহর করে থাকে।  মেজবানের বাড়ীতে মেহমানদারী খেয়ে মানুষ হাত ধুয়ে আগে বলে শুক্কর আলহামদুলিল্লাহ ।  
তো আমরা ও তাই করি । 

অর ইস হাদীস মে মালুম হুয়া কি আওলিয়া আম্বিয়া সব কি সব মুকার্রার বান্দা হে ওর ইনসান ই হে । 

আমি তোমাকে চা্যনেন্জ করলাম যদি কোন খানে দেখাতে পার আল্লাহ বলেছেন এই আমার নবী মুহাম্মদ , আপনি তাদের মতই মানুষ। 

যদি আল্লাহ নবী পাক কে মানুষ বলেন নাই কোন দিন।  বরং ওনাকে ইয়া বাশিরু, ইয়া মুবাশ্বেরু, বলে ডেকেছেন।  এরা ডাকে মানুষ বলে।   কত বড় বে আদব।  
ওর হা আমরা নবী পাকের বাশারিয়াত এর এনকার  করি না। তিনি মানুষের মত ছিলেন না আমরা তা বলি না। তিনি দেখতে মানুষের মতই ছিলেন ।  এখন যদি বল এটা কেমন কথা তো তিনি কে ছিলেন ? আর মানুষ সেজে কেন আসলেন ? 

তো আমি বলব সুরা মরিয়াম আয়াত নং ১৯ দেখে নাও। যদি জিব্রাইল (আ) মানুষের রুপ নিয়ে আসতে পারেন প্রকাশ্য নুর হয়ে তে আমার নবী কেন পারবে না ? 

আর আমার নবী কোন দিন মানুষ ছিলেন না। বরং তিনি নূর হি নূর ছিলেন আর নবী দের নবী ছিলেন। মানুষ কোন  দিন ছিলেন না। 


এর পর দাবি করেছে যে ;- বাড়ে আজীজ ওর হামারী ভাই হে , লা হাওলা ওলা কুয়াতা । 

প্রথম যে কথা বলেছো যে  ইনসান আপাস মে ভাই হোতেহে , তো আমি প্রমান করেছিলাম সকল ইনসান কে যদি ভাই মনে কর তো নিজের ইমান থাকবে না আপ বে-দ্বীন দের কে ভাই কবুল করতে হবে, আর বে-দ্বীন যদি ভাই হয় তো আপনি ও বে-দ্বীন হবেন। 

এই খানে একটা সুক্ষ্ন চাল দেখুন আওলিয়া, (আম্বিয়া ) আম্বিয়া শব্দ বেবহার করেছে , কিন্তু নবী বেবহার করে নাই , যাই হোক। আল্লাহ পাকের মেহেরবানি তে আম্বিয়া কাকে বলে আমাদের জানা আছে , 
কালামুল্লাহ দেখা যাক। কি বলে কালামুল্লাহ ;- 
نَّبِيُّ أَوْلَى بِالْمُؤْمِنِينَ مِنْ أَنفُسِهِمْ وَأَزْوَاجُهُ أُمَّهَاتُهُمْ وَأُوْلُو الْأَرْحَامِ بَعْضُهُمْ أَوْلَى بِبَعْضٍ فِي كِتَابِ اللَّهِ مِنَ الْمُؤْمِنِينَ وَالْمُهَاجِرِينَ إِلَّا أَن تَفْعَلُوا إِلَى أَوْلِيَائِكُم مَّعْرُوفًا كَانَ ذَلِكَ فِي الْكِتَابِ مَسْطُورًا

06

নবী মুমিনদের নিকট তাদের নিজেদের অপেক্ষা অধিক ঘনিষ্ঠ এবং তাঁর স্ত্রীগণ তাদের মাতা। আল্লাহর বিধান অনুযায়ী মুমিন ও মুহাজিরগণের মধ্যে যারা আত্নীয়, তারা পরস্পরে অধিক ঘনিষ্ঠ। তবে তোমরা যদি তোমাদের বন্ধুদের প্রতি দয়া-দাক্ষিণ্য করতে চাও, করতে পার। এটা লওহে-মাহফুযে লিখিত আছে।

এই আয়াত দ্বারা নবী পাকের স্ত্রীদের কে মোমেন দের মাতা বলা হয়েছে , 
তোমার কথা মোতাবেক যদি নবী পাক আমাদের ভাই হয় তা হলে নবী পাকের সাম্মানিত স্ত্রী গন কি তোমার ভাবী হবে না (নাউযুবিল্লাহ ) জবাব দাও আমার। 

যে খানে নবী পাকের স্ত্রীরা মোমেনের মা হয় সে খানে নবী পাকের ইজ্জত বড় ভাই য়ের মত হয় কি করে ? জবাব দিও। 

আর শাহ ইসমাইল কে বাঁচাতে সে তার কথা সত্য দাবি করেছে . 

বাড়ে আজীজ >খুবই প্রিয়, ওর হামারা ভাই হে 
আর আমাদের ভাই।  


কি করে ভাই দাবি  কর ? 
আর খুবই প্রিয় বলে কি পার হয়ে যেতে পারবে ? নবী পাক বলেছেন ততক্ষন পর্যন্ত কেউ মোমিন হতে পারবে না যে পর্যন্ত না আমি তার কাছে প্রিয় হই তার জান মাল পিতা মাতা ওপেক্ষা । 

এর পর হযরত ওমর (রা) বর্ননা তে দেখা যায় যে :- তিনি বলেন হে আল্লাহর রাসুল। আল্লাহর শপথ নিশ্চয় আপনি আমার নিকট আমার প্রান ছারা সব চেয়ে বেশি প্রিয় । আমার নবী বললেন , হে ওমর না ( এতে তুমি মোমিন হতে পার না ) আমি যেন তোমার জীবনের চেয়ে প্রিয় হই (তা হলে মোমীন হতে পারবে ।হযরত  ওমর (রা) বললেন আল্লাহর শপথ  (এখন থেকে) আপনি আমার নিকট সকল কিছু চেয়ে প্রিয় হয়ে গেলেন। (সুরা আহযাব, তাফসীর ইবনে কাছির ৭৪১ নং পাতা ) 

এদের কাছে নবীর ইজ্জাত কত ? খুবই প্রিয় ও আমাদের ভাই ।  

নিজের ইমান প্রমান কর।  তোমার যদি এই আকিদা থাকে তো তুমি ও বেইমান ও গুসতাক এ রাসুল । 

আমাদের নবী আমাদের  রুহানীর পিতা তুল্য, হয়ত আমার রুহানীর পিতা বলা ও ভুল হবে আল্লাহ ক্ষমা করুন যদি ভুল হয়। আমার কথা আমি হাদীস থেকে বলছি ;- হযরত আবু হোরায়রা (রা) থেকে বর্নিত আছে যে ;- রাসুলুল্লাহ সাল্লেল্লাহু আলাই হে ওয়া সাল্লাম বলেছেন যে আমি তোমাদের পিতার স্থলাভীষিক্ত । আমি তোমাদের কে শিক্ষা দিচ্ছি পায়খানা করার সময় যেন কেউ কিবলার দিকে মুখ না করে , পিঠ ও যেন না করে , ডান হতে যেন ঢেলা বেবহার না করে ও ডান হাতে ইস্তেনজা ও যেন না করে ,তিনি ইস্তেনজার জন্য ৩ টি ঢিলা নিতে বলেছেন। গোবর হাড় দিয়ে ইস্তেনজা করতে নিষেদ করেছেন। (ইবনে কাছির , সুরা আহযাব এর তাফসীর পেজ নং ৭৪২) 

অন্য আয়াতে আছে ( মোহাম্মাদ (সা) তোমাদের পুরুষদের কারো পিতা নন) ৩৩:৪০  

মা আয়েশা সিদ্দিকা থেকে বর্ননিত আছে যে ;-নবী পাক কে আবুল মোমেনিন (মোমেন দের পিতা) বলা যাবে না। সুরা আহযাব এর তাফসীর , ইবনে কাছির পেজ নং ৭৪২) 

এ খানে পিতা বলতে ও আল্লাহ মানা করেছেন। তো কি ভাবে তুমি ভাই দাবি করতে পার ? আমার জবাব দিবে কি ? জানি এ পোষ্ট দেখার পর আর খুঁজে পাওয়া যাবে না । 

উক্ত কিতাবের আরো কিছু কুফরি কথা ও শাহ ইসমাইল এর বিষয় মতামত দেওবন্দ আলেম দের ;- 

ওহাবী ইমাম ইসমাঈল দেহলভী বলেন...হুযুর সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম মরে মাটির সাথে মিশে গেছেন।নাউযুবিল্লাহ
(তাকভীয়াতুল ঈমান,পৃঃ ৬০)

@@&&& 

নামাযের মধ্যে হুজুর আকরাম সাল্লাল্লাহু তায়ালা আলাইহি ওয়ালিহি ওয়াসাল্লাম এর শুধু খেয়াল আসা ও গরু-গাঁধার খেয়ালের মধ্যে ডুবে যাবার চেয়েও খুবই নিকৃষ্ট। “নাউযুবিল্লাহ”। (সিরাতে মুস্তাকিম, পৃঃ নং-৫১ লেখক-ইসমাইল দেহলভী দেওবন্দী)।
অথচ আহলে সুন্নাত ওয়াল জামায়াতের আকি্বদা হচ্ছে তাশাহুদের মধ্যে নবীজীকে স্মরন করে, হাজির জেনে অতঃপর সালাম দিতে হবে। যেমন জগৎ শ্রেষ্ঠ দার্শনিক হযরত ইমাম গাজ্জালী (রাঃ) স্বীয় কিতাব “ইহয়াউ উলুমুদ্দিন” নামক বিশ্ব বিখ্যাত গ্রন্থের “……………………………………………..” নামাযের ভেদসমূহ অধ্যায়ের মধ্যে সুস্পষ্ট লিখেছেনঃ “………………………………………………………………………..”। অর্থাৎ-আগে নিজের কলবে নবীজীকে উপস্থিত জেনে অতঃপর সালাম দাও। (“ইহয়াউ উলুমুদ্দিন” ১ম খন্ড, পৃঃ নং-২৫৮)




@@&&&&

বড় অর্থাৎ নবী, ছোট অর্থাৎ বাকী সব সাধারণ বান্দা। অর্থাৎ-মহান আল্লাহর সকল বান্দা, সাধারণ গোনাহগার বান্দা হোক আর নবী রাসূল হোক সবাই বে-খবর ও মূর্খ। “নাউযুবিল্লাহ” (তাকবিয়াতুল ঈমান, পৃঃ নং-৩)


@@&&&
 গ্রামের মধ্যে যেমনি মর্যাদা চৌধুরী ও জমিদারদের। ঠিক তেমনি উম্মতের মধ্যে, নবীর মর্যাদা। “নাউযুবিল্লাহ”। (তাকবিয়াতুল ঈমান, পৃঃ নং-৬১, লেখক-ইসমাইল দেহলভী।)
এক্ষেত্রে গ্রামের চৌধুরী ও জমিদারের মর্যাদার সাথে নবী-রাসূলের মর্যাদাকে তুলনা করে জঘন্য বেয়াদবী ও চরমভাবে মানহানী করা হয়েছে, যা প্রকাশ্য কূফরী।

@&&&&

যার নাম মুহাম্মদ অথবা আলি, তিনি কোন কিছুর এখতিয়ার রাখেন না। নবী হোক বা অলি হোক কিছুই করতে পারেন না। “নাউযুবিল্লাহ” (তাকবিয়াতুল ঈমান, পৃঃ নং-৪১, ইসমাইল দেহলভী)।



@@&&
নবী-অলিদের আল্লাহর বান্দা জানার পরও উকিল এবং সুপারিশকারী মনে করা কুফরী ও শিরক। “নাউযুবিল্লাহ” (তাকবিয়াতুল ঈমান, পৃঃ নং-২৭, ইসমাইল দেহলভী)।


@@&&&
= "বাড় মাখলুক অর্থাৎ নবী, আর ছোট
মাখলুক অর্থাৎ অন্যসব
বান্দা আল্লাহর শান বা মর্যাদার
সামনে চামার অপেক্ষাও
নিকৃষ্ট। নাউজুবিল্লাহ (তাক্বভিয়াতুল
ঈমান, পৃষ্ঠা ১৪, কৃত


@@&&&&
= আল্লাহ্র সামনে সমস্ত নবী ও
ওলী একটা নাপাক
ফোঁটা অপেক্ষাও নগণ্য। নাউজুবিল্লাহ
(তাক্বভিয়াতুল ঈমান,
পৃষ্ঠা ৫৬, ঈসমাইল দেহলভী ওহাবী)।


এবার এই কথা গুলোর বিষয় দেওবনদি আলেম রা কি বলেছে তা দেখা যাক ;- 


দেওবন্দী দের আলেম মাওলানা আশরাফ আলী থানবী সাহেব লিখেছেন ; - মলোভি শাহ ইসমাইল শাহিদ ছিল।যেহেতু সুক্ষ্ণ মুহাক্কিক ছিল , সেহেতু কয়েকটি মাসালার মতবিরোধ করেছিল।  আর নিজের পির বুজুর্গ গন যেমন শাহ ওয়ালিউল্লাহ প্রমুখ বুজুর্গ কে মানতে অশিকৃতি জানাল ( ইমদাদুল মুস্তাক ) পৃষ্টা ৭ 

আবার ও আশরাফ আলী থানবী লিখেছেন যে ;- কোনো কোনো কথা এত কঠিন , জঘন্য যে সাধারণ মানুষ বুঝতেই অক্ষম। এমন সব সব্দ থেকে জনসাধারণ এর কর্ণযুগল কে বাচানো উত্তম (আহলে হাদিস পত্রিকা ) অমৃত সর , পৃষ্টা ৮ , ১৭  এপ্রিল ১৯০৮ 


এর পর সে বলেছে যে রেজভীরা শাহ ইসমাইল কে কাফের ফতোয়া দিয়েছে। 
এটা একটা মিথ্যা কথা। যদিও আমি ব্রেলভী না আমার প্রয়োজন নাই যে আমি জবাব দেই এ সকল আপত্তির। কিন্তু একজন হক আলেমের বিরুদ্ধে অভিযোগ দেখে আমি কলম তুললাম। 

ব্রেলভী দের ইমাম আলা হযরত আহমেদ রেযা খান ফাজেলে ব্রেলভী (রহ) কোন দিন শাহ ইসমাইল কে কাফের ফতোয়া দেন নাই। 
আর আহমেদ রেযা খান যদি কোন কিতাবে লিখে থাকেন যে শাহ ইসমাইল কে আমি কাফের বললাম তো আমাকে তার দলিল দাও। 

আর হযরত আল্লামা ফজলে হক খায়রাবাদী (রহ) শাহ ইসমাইল কে ওনার ফতোয়া কিতাব (তেহকিক এ ফতোয়া ) তে শাহ ইসমাইল কে কাফের ফতোয়া দিয়েছেন। 

আলা হযরত এর বড় হচ্ছেন আল্লামা ফজলে হক খায়রাবাদী , আলা হযরত নিজে তিনি ফজলে হক খায়রাবাদী এর  পায়ের সমতুল্য মনে করতেন।  আর তিনি খায়রাবাদী এর ফতোয়া পড়েছেন। বলেছেন। কিন্তু নিজে আবার নতুন করে তাকে কাফের ফতোয়া দেন নাই। সই করেন নাই।  

ডক্টর তাহেরুল কাদরী এর ভিডিও লিং 


তাহেরুল কাদরী সাহেব ব্রেলভী দের বর্তমান সময়ের সবচেয়ে বড় আলেম ও শায়েখ।  দেখেন , কি বলেন শুনে নেন। 


এর পর আহলে হাদীস দের আলেম  সুন্নি আলেম হানিফ কোরেশী এর সাথে মুনাযেরা করতে বসে সুন্নি দের সামনে শাহ  ইসমাইল এর এমন কথা কে কুফর বলেছেন দেখুন ;- http://youtu.be/m0VDg6odZWo


পীর নাসিরুদ্দিন শাহ , যিনি হাজী এমদাদুল্লাহ মুহাজের এ মক্কি (রহ) এর সিলসিলার পীর ও আরেফ বিল্লাহ । যেমন টা কি না চরমোনাই এর সিলসিলা দেওবনদি দের ঠিক তেমন গোলড়ভী শরীফ এর পীর নাসিরুদ্দিন শাহ তিনি ও কাফের বলেছেন আশরাফ আলি থানভি ও শাহ ইসমাইল কে।  তার ভিডিও লিংক   

দেখুন :- http://youtu.be/m0VDg6odZWo


এখন বল কি বলবে ? 
তোমাদের বুযুরগ গন কাফের বলেছে।  আমরা শুধুই তাদের বলা কথা বলি। কিন্তু নিজে থেকে আবার নতুন করে ফতোয়া লিখতে চাইনা। কারন তারা আমাদের বুযুরগ।  তাদের কথা গুলো আমাদের কথার চেয়ে বেশি কার্যকর।  তাই তাদের কথা তুলে ধরা যথেষ্ট মনে করি আমি। 

সোহেল রানা।  


 

যারা ইসমাইল দেহলবী বিষয় চুড়ান্ত ফায়সালা

আব্দুস সালাম তার এক পোষ্ট এ আমাকে আমন্ত্রণ করেছে যে (আমি  সুফী বাদের আসল রুপ      তুমাকে এখানে  আমন্ত্রণ করলাম। 

মাশাআল্লাহ।  দাওয়াত কবুল করা তো সুন্নাহ। আর সাথে  যদি কোন তৌফা নিয়া যাওয়া যায় মেজবানের জন্য তো আর কোন কথাই নাই। 

বিষয় হচ্ছে শাহ ইসমাইল , শাহ ইসমাইল ও সাইয়েদ আহমেদ এর যৌথ কিতাব তাকবিয়াতুল ইমান। 
সে যা লিখেছে তা দেখুন :- ইনসান আপাছ মে বাড়ে ভাই হে , যো বাড়ে বুযুর্গ হে ও বাড়ে ভাই হে , যো উসকি বাড়ে কিছি তাজীম কিযিয়ে , ওর হামারা মলিক স্রেফ আল্লাহ , ওর বান্দেগী উনকা  কারনা চাহিয়ে , ইস হাদীস মে মালুম হুয়া কি আওলিয়া, আম্বিয়া, ইমাম ওর ইমামজাদে,পীর ইয়ানি জিতনে আল্লাহ কি মুকার্রার বান্দা হে ও ছাব ইনসান হি হে , মাগার আল্লাহ নে উনকো বড়া দিগর দি ওর বড়া ভাই হুয়ে .আল্লাহ হামকো উনকা ফরমাবদারী কা হুকুম কিয়াহে, হাম উনকি ছোটে হে ওর উনকি তাজীম ইনসান হোনে কি নাতে কারনা চাহিয়ে ) 
এই কথা টা তার লিখে দেওয়া। আমি একটু সুন্দর আর স্পষ্ট করে লিখে দিলাম। কারন তার উর্দু মাশাআল্লাহ ওনেক গান্ধা ।


বাংলা দেখুন ;- ইনাসান আপাস মে ভাই হে , 
প্রথমে এই কথা টার বিশ্লেষন করা প্রয়োজন। 
ইনসান আপাস মে ভাই হে এই কথার বাংলা অর্থ হচ্ছে যে ;- দুনিয়ার সকল মানুষ একে অপরের ভাই।  আর এই কথা যদি বিস্বাস করেন তা হলে হিন্দু , খৃষ্টান , বৌদ্ধ, চোর,চামার,ডোম,ডাওয়াই যত ধর্মের লোক আছে সবাই দেওবন্দিদের ভাই হয়ে যাবে। 
কয়েকদিন আগে একচা ভিডিও দেখলাম। তাতে দেওবনদি ওলামায়ে  ওয়াক থু বলতেছে শিব তাদের বাবা ও নবী , তারাও হিন্দু। 
তো তাঁরাই তাদের মত  বে-দ্বীন দের কে ও ভাই মনে করতে পারে নিজেকে হিন্দু মনে করতে পারে। 

বরং সহীহ হাদিস হচ্ছে :- 
মুসলমান গন পরস্পর ভাই ভাই।  

ইনসান সব আপাস মে ভাই হোতে হে বা দুনিয়ার সকল মানুষ একে অপরের ভাই এমন কোন হাদীস থাকলে পেশ করার জন্য অনুরোধ করা হল। তা নির্ভরযোগ্য হলে বাক্য বেতীত কবুল করা হবে । 

যো বাড়ে বুযুরগ হোতে হে  ও বাড়ে ভাই।  

যে বড় বুযুরগ হয় সে বড় ভাই 

তাদের কাছে বুযুরগ দের ইজ্জাত বড় ভাই য়ের চেয়ে বেশি নয়। 

দেওবনদি দের প্রখ্যাত আলেম আমের উসমানি 
মাসিক তাজাল্লি পত্রিকায় একটা কবিতা লিখেছিলেন তার ৭ -৮ নং লাইন টা দেখুন 
;- ৭) তোমার ফতোয়া বানের আঘাতে পূর্ববর্তী বুজুর্গ গনের বুক ঝাজরা হয়ে গেছে 
কাফির বলার ক্রমবর্ধমান আগ্রহ দেখতে পাচ্ছি। 
৮) তুমি পরকে ভালবাস , আপনকে ভাব পর !!! 
তোমার মধ্যে পরিবর্তিত উন্মাদনারই ধরন দেখতে পাচ্ছি।  

মাসিক তাজাল্লি ) দেওবন্দ থেকে প্রকাশিত পৃষ্টা ৫৩, ১৯৫৭ ইংরেজি 

তোমরা শুধু বড় বুযুর্গ দের কে ভাই না বরং তাদের বুক ঝাঝড়া করে দিয়েছ।  

মালিক স্রেফ আল্লাহ হে।  আমরা কোন দিন বলি নাই আমাদের জাতী মালিক আল্লাহ নন।  বরং মলিক ২ প্রকার হয়ে থাকে।  যেমন জাতী ও আতাই।  তোমরা জাতি মালিক আল্লাহর নামে তো চিল্লায় গলা ফাটাও কিন্তু আতাই মালিক বলতে যে একটা কথা আছে তা বুঝতে চাওনা।  
যেমন একটা গরু যা তোমার বাড়ী তে আছে।  তার মালিক তুমি , এই খানে তার যে তুমি মালিক হলে তা এই কারনে যে এই সকল কিছুর মালিক আল্লাহ।  গরু ও তোমার দুজনের মালিক আল্লাহ।  কিন্তু তুমি হচ্ছ শুধু দুনিয়াবি মালিক। তোমাকে মালিক করা হয়েছে।  আল্লাহ চাইলে তোমার কাছে থেকে ছিনিয়ে নিতে পারেন। চাইলে বেশি ও দিতে পারেন। এটা তোমাদের বোঝা উচিত। এটাই আতাই ও জাতি মালিকের পার্থক্য। তোমাকে আল্লাহ দিয়েছেন। আর আল্লাহ কে কেউ দেয় নাই। সব কিছু ওনার সৃষ্টি। 

আর ইবাদত সকলে আল্লাহর করে থাকে।  মেজবানের বাড়ীতে মেহমানদারী খেয়ে মানুষ হাত ধুয়ে আগে বলে শুক্কর আলহামদুলিল্লাহ ।  
তো আমরা ও তাই করি । 

অর ইস হাদীস মে মালুম হুয়া কি আওলিয়া আম্বিয়া সব কি সব মুকার্রার বান্দা হে ওর ইনসান ই হে । 

আমি তোমাকে চা্যনেন্জ করলাম যদি কোন খানে দেখাতে পার আল্লাহ বলেছেন এই আমার নবী মুহাম্মদ , আপনি তাদের মতই মানুষ। 

যদি আল্লাহ নবী পাক কে মানুষ বলেন নাই কোন দিন।  বরং ওনাকে ইয়া বাশিরু, ইয়া মুবাশ্বেরু, বলে ডেকেছেন।  এরা ডাকে মানুষ বলে।   কত বড় বে আদব।  
ওর হা আমরা নবী পাকের বাশারিয়াত এর এনকার  করি না। তিনি মানুষের মত ছিলেন না আমরা তা বলি না। তিনি দেখতে মানুষের মতই ছিলেন ।  এখন যদি বল এটা কেমন কথা তো তিনি কে ছিলেন ? আর মানুষ সেজে কেন আসলেন ? 

তো আমি বলব সুরা মরিয়াম আয়াত নং ১৯ দেখে নাও। যদি জিব্রাইল (আ) মানুষের রুপ নিয়ে আসতে পারেন প্রকাশ্য নুর হয়ে তে আমার নবী কেন পারবে না ? 

আর আমার নবী কোন দিন মানুষ ছিলেন না। বরং তিনি নূর হি নূর ছিলেন আর নবী দের নবী ছিলেন। মানুষ কোন  দিন ছিলেন না। 


এর পর দাবি করেছে যে ;- বাড়ে আজীজ ওর হামারী ভাই হে , লা হাওলা ওলা কুয়াতা । 

প্রথম যে কথা বলেছো যে  ইনসান আপাস মে ভাই হোতেহে , তো আমি প্রমান করেছিলাম সকল ইনসান কে যদি ভাই মনে কর তো নিজের ইমান থাকবে না আপ বে-দ্বীন দের কে ভাই কবুল করতে হবে, আর বে-দ্বীন যদি ভাই হয় তো আপনি ও বে-দ্বীন হবেন। 

এই খানে একটা সুক্ষ্ন চাল দেখুন আওলিয়া, (আম্বিয়া ) আম্বিয়া শব্দ বেবহার করেছে , কিন্তু নবী বেবহার করে নাই , যাই হোক। আল্লাহ পাকের মেহেরবানি তে আম্বিয়া কাকে বলে আমাদের জানা আছে , 
কালামুল্লাহ দেখা যাক। কি বলে কালামুল্লাহ ;- 
نَّبِيُّ أَوْلَى بِالْمُؤْمِنِينَ مِنْ أَنفُسِهِمْ وَأَزْوَاجُهُ أُمَّهَاتُهُمْ وَأُوْلُو الْأَرْحَامِ بَعْضُهُمْ أَوْلَى بِبَعْضٍ فِي كِتَابِ اللَّهِ مِنَ الْمُؤْمِنِينَ وَالْمُهَاجِرِينَ إِلَّا أَن تَفْعَلُوا إِلَى أَوْلِيَائِكُم مَّعْرُوفًا كَانَ ذَلِكَ فِي الْكِتَابِ مَسْطُورًا

06

নবী মুমিনদের নিকট তাদের নিজেদের অপেক্ষা অধিক ঘনিষ্ঠ এবং তাঁর স্ত্রীগণ তাদের মাতা। আল্লাহর বিধান অনুযায়ী মুমিন ও মুহাজিরগণের মধ্যে যারা আত্নীয়, তারা পরস্পরে অধিক ঘনিষ্ঠ। তবে তোমরা যদি তোমাদের বন্ধুদের প্রতি দয়া-দাক্ষিণ্য করতে চাও, করতে পার। এটা লওহে-মাহফুযে লিখিত আছে।

এই আয়াত দ্বারা নবী পাকের স্ত্রীদের কে মোমেন দের মাতা বলা হয়েছে , 
তোমার কথা মোতাবেক যদি নবী পাক আমাদের ভাই হয় তা হলে নবী পাকের সাম্মানিত স্ত্রী গন কি তোমার ভাবী হবে না (নাউযুবিল্লাহ ) জবাব দাও আমার। 

যে খানে নবী পাকের স্ত্রীরা মোমেনের মা হয় সে খানে নবী পাকের ইজ্জত বড় ভাই য়ের মত হয় কি করে ? জবাব দিও। 

আর শাহ ইসমাইল কে বাঁচাতে সে তার কথা সত্য দাবি করেছে . 

বাড়ে আজীজ >খুবই প্রিয়, ওর হামারা ভাই হে 
আর আমাদের ভাই।  


কি করে ভাই দাবি  কর ? 
আর খুবই প্রিয় বলে কি পার হয়ে যেতে পারবে ? নবী পাক বলেছেন ততক্ষন পর্যন্ত কেউ মোমিন হতে পারবে না যে পর্যন্ত না আমি তার কাছে প্রিয় হই তার জান মাল পিতা মাতা ওপেক্ষা । 

এর পর হযরত ওমর (রা) বর্ননা তে দেখা যায় যে :- তিনি বলেন হে আল্লাহর রাসুল। আল্লাহর শপথ নিশ্চয় আপনি আমার নিকট আমার প্রান ছারা সব চেয়ে বেশি প্রিয় । আমার নবী বললেন , হে ওমর না ( এতে তুমি মোমিন হতে পার না ) আমি যেন তোমার জীবনের চেয়ে প্রিয় হই (তা হলে মোমীন হতে পারবে ।হযরত  ওমর (রা) বললেন আল্লাহর শপথ  (এখন থেকে) আপনি আমার নিকট সকল কিছু চেয়ে প্রিয় হয়ে গেলেন। (সুরা আহযাব, তাফসীর ইবনে কাছির ৭৪১ নং পাতা ) 

এদের কাছে নবীর ইজ্জাত কত ? খুবই প্রিয় ও আমাদের ভাই ।  

নিজের ইমান প্রমান কর।  তোমার যদি এই আকিদা থাকে তো তুমি ও বেইমান ও গুসতাক এ রাসুল । 

আমাদের নবী আমাদের  রুহানীর পিতা তুল্য, হয়ত আমার রুহানীর পিতা বলা ও ভুল হবে আল্লাহ ক্ষমা করুন যদি ভুল হয়। আমার কথা আমি হাদীস থেকে বলছি ;- হযরত আবু হোরায়রা (রা) থেকে বর্নিত আছে যে ;- রাসুলুল্লাহ সাল্লেল্লাহু আলাই হে ওয়া সাল্লাম বলেছেন যে আমি তোমাদের পিতার স্থলাভীষিক্ত । আমি তোমাদের কে শিক্ষা দিচ্ছি পায়খানা করার সময় যেন কেউ কিবলার দিকে মুখ না করে , পিঠ ও যেন না করে , ডান হতে যেন ঢেলা বেবহার না করে ও ডান হাতে ইস্তেনজা ও যেন না করে ,তিনি ইস্তেনজার জন্য ৩ টি ঢিলা নিতে বলেছেন। গোবর হাড় দিয়ে ইস্তেনজা করতে নিষেদ করেছেন। (ইবনে কাছির , সুরা আহযাব এর তাফসীর পেজ নং ৭৪২) 

অন্য আয়াতে আছে ( মোহাম্মাদ (সা) তোমাদের পুরুষদের কারো পিতা নন) ৩৩:৪০  

মা আয়েশা সিদ্দিকা থেকে বর্ননিত আছে যে ;-নবী পাক কে আবুল মোমেনিন (মোমেন দের পিতা) বলা যাবে না। সুরা আহযাব এর তাফসীর , ইবনে কাছির পেজ নং ৭৪২) 

এ খানে পিতা বলতে ও আল্লাহ মানা করেছেন। তো কি ভাবে তুমি ভাই দাবি করতে পার ? আমার জবাব দিবে কি ? জানি এ পোষ্ট দেখার পর আর খুঁজে পাওয়া যাবে না । 

উক্ত কিতাবের আরো কিছু কুফরি কথা ও শাহ ইসমাইল এর বিষয় মতামত দেওবন্দ আলেম দের ;- 

ওহাবী ইমাম ইসমাঈল দেহলভী বলেন...হুযুর সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম মরে মাটির সাথে মিশে গেছেন।নাউযুবিল্লাহ
(তাকভীয়াতুল ঈমান,পৃঃ ৬০)

@@&&& 

নামাযের মধ্যে হুজুর আকরাম সাল্লাল্লাহু তায়ালা আলাইহি ওয়ালিহি ওয়াসাল্লাম এর শুধু খেয়াল আসা ও গরু-গাঁধার খেয়ালের মধ্যে ডুবে যাবার চেয়েও খুবই নিকৃষ্ট। “নাউযুবিল্লাহ”। (সিরাতে মুস্তাকিম, পৃঃ নং-৫১ লেখক-ইসমাইল দেহলভী দেওবন্দী)।
অথচ আহলে সুন্নাত ওয়াল জামায়াতের আকি্বদা হচ্ছে তাশাহুদের মধ্যে নবীজীকে স্মরন করে, হাজির জেনে অতঃপর সালাম দিতে হবে। যেমন জগৎ শ্রেষ্ঠ দার্শনিক হযরত ইমাম গাজ্জালী (রাঃ) স্বীয় কিতাব “ইহয়াউ উলুমুদ্দিন” নামক বিশ্ব বিখ্যাত গ্রন্থের “……………………………………………..” নামাযের ভেদসমূহ অধ্যায়ের মধ্যে সুস্পষ্ট লিখেছেনঃ “………………………………………………………………………..”। অর্থাৎ-আগে নিজের কলবে নবীজীকে উপস্থিত জেনে অতঃপর সালাম দাও। (“ইহয়াউ উলুমুদ্দিন” ১ম খন্ড, পৃঃ নং-২৫৮)




@@&&&&

বড় অর্থাৎ নবী, ছোট অর্থাৎ বাকী সব সাধারণ বান্দা। অর্থাৎ-মহান আল্লাহর সকল বান্দা, সাধারণ গোনাহগার বান্দা হোক আর নবী রাসূল হোক সবাই বে-খবর ও মূর্খ। “নাউযুবিল্লাহ” (তাকবিয়াতুল ঈমান, পৃঃ নং-৩)


@@&&&
 গ্রামের মধ্যে যেমনি মর্যাদা চৌধুরী ও জমিদারদের। ঠিক তেমনি উম্মতের মধ্যে, নবীর মর্যাদা। “নাউযুবিল্লাহ”। (তাকবিয়াতুল ঈমান, পৃঃ নং-৬১, লেখক-ইসমাইল দেহলভী।)
এক্ষেত্রে গ্রামের চৌধুরী ও জমিদারের মর্যাদার সাথে নবী-রাসূলের মর্যাদাকে তুলনা করে জঘন্য বেয়াদবী ও চরমভাবে মানহানী করা হয়েছে, যা প্রকাশ্য কূফরী।

@&&&&

যার নাম মুহাম্মদ অথবা আলি, তিনি কোন কিছুর এখতিয়ার রাখেন না। নবী হোক বা অলি হোক কিছুই করতে পারেন না। “নাউযুবিল্লাহ” (তাকবিয়াতুল ঈমান, পৃঃ নং-৪১, ইসমাইল দেহলভী)।



@@&&
নবী-অলিদের আল্লাহর বান্দা জানার পরও উকিল এবং সুপারিশকারী মনে করা কুফরী ও শিরক। “নাউযুবিল্লাহ” (তাকবিয়াতুল ঈমান, পৃঃ নং-২৭, ইসমাইল দেহলভী)।


@@&&&
= "বাড় মাখলুক অর্থাৎ নবী, আর ছোট
মাখলুক অর্থাৎ অন্যসব
বান্দা আল্লাহর শান বা মর্যাদার
সামনে চামার অপেক্ষাও
নিকৃষ্ট। নাউজুবিল্লাহ (তাক্বভিয়াতুল
ঈমান, পৃষ্ঠা ১৪, কৃত


@@&&&&
= আল্লাহ্র সামনে সমস্ত নবী ও
ওলী একটা নাপাক
ফোঁটা অপেক্ষাও নগণ্য। নাউজুবিল্লাহ
(তাক্বভিয়াতুল ঈমান,
পৃষ্ঠা ৫৬, ঈসমাইল দেহলভী ওহাবী)।


এবার এই কথা গুলোর বিষয় দেওবনদি আলেম রা কি বলেছে তা দেখা যাক ;- 


দেওবন্দী দের আলেম মাওলানা আশরাফ আলী থানবী সাহেব লিখেছেন ; - মলোভি শাহ ইসমাইল শাহিদ ছিল।যেহেতু সুক্ষ্ণ মুহাক্কিক ছিল , সেহেতু কয়েকটি মাসালার মতবিরোধ করেছিল।  আর নিজের পির বুজুর্গ গন যেমন শাহ ওয়ালিউল্লাহ প্রমুখ বুজুর্গ কে মানতে অশিকৃতি জানাল ( ইমদাদুল মুস্তাক ) পৃষ্টা ৭ 

আবার ও আশরাফ আলী থানবী লিখেছেন যে ;- কোনো কোনো কথা এত কঠিন , জঘন্য যে সাধারণ মানুষ বুঝতেই অক্ষম। এমন সব সব্দ থেকে জনসাধারণ এর কর্ণযুগল কে বাচানো উত্তম (আহলে হাদিস পত্রিকা ) অমৃত সর , পৃষ্টা ৮ , ১৭  এপ্রিল ১৯০৮ 


এর পর সে বলেছে যে রেজভীরা শাহ ইসমাইল কে কাফের ফতোয়া দিয়েছে। 
এটা একটা মিথ্যা কথা। যদিও আমি ব্রেলভী না আমার প্রয়োজন নাই যে আমি জবাব দেই এ সকল আপত্তির। কিন্তু একজন হক আলেমের বিরুদ্ধে অভিযোগ দেখে আমি কলম তুললাম। 

ব্রেলভী দের ইমাম আলা হযরত আহমেদ রেযা খান ফাজেলে ব্রেলভী (রহ) কোন দিন শাহ ইসমাইল কে কাফের ফতোয়া দেন নাই। 
আর আহমেদ রেযা খান যদি কোন কিতাবে লিখে থাকেন যে শাহ ইসমাইল কে আমি কাফের বললাম তো আমাকে তার দলিল দাও। 

আর হযরত আল্লামা ফজলে হক খায়রাবাদী (রহ) শাহ ইসমাইল কে ওনার ফতোয়া কিতাব (তেহকিক এ ফতোয়া ) তে শাহ ইসমাইল কে কাফের ফতোয়া দিয়েছেন। 

আলা হযরত এর বড় হচ্ছেন আল্লামা ফজলে হক খায়রাবাদী , আলা হযরত নিজে তিনি ফজলে হক খায়রাবাদী এর  পায়ের সমতুল্য মনে করতেন।  আর তিনি খায়রাবাদী এর ফতোয়া পড়েছেন। বলেছেন। কিন্তু নিজে আবার নতুন করে তাকে কাফের ফতোয়া দেন নাই। সই করেন নাই।  

ডক্টর তাহেরুল কাদরী এর ভিডিও লিং 


তাহেরুল কাদরী সাহেব ব্রেলভী দের বর্তমান সময়ের সবচেয়ে বড় আলেম ও শায়েখ।  দেখেন , কি বলেন শুনে নেন। 


এর পর আহলে হাদীস দের আলেম  সুন্নি আলেম হানিফ কোরেশী এর সাথে মুনাযেরা করতে বসে সুন্নি দের সামনে শাহ  ইসমাইল এর এমন কথা কে কুফর বলেছেন দেখুন ;- http://youtu.be/m0VDg6odZWo


পীর নাসিরুদ্দিন শাহ , যিনি হাজী এমদাদুল্লাহ মুহাজের এ মক্কি (রহ) এর সিলসিলার পীর ও আরেফ বিল্লাহ । যেমন টা কি না চরমোনাই এর সিলসিলা দেওবনদি দের ঠিক তেমন গোলড়ভী শরীফ এর পীর নাসিরুদ্দিন শাহ তিনি ও কাফের বলেছেন আশরাফ আলি থানভি ও শাহ ইসমাইল কে।  তার ভিডিও লিংক   

দেখুন :- http://youtu.be/m0VDg6odZWo


এখন বল কি বলবে ? 
তোমাদের বুযুরগ গন কাফের বলেছে।  আমরা শুধুই তাদের বলা কথা বলি। কিন্তু নিজে থেকে আবার নতুন করে ফতোয়া লিখতে চাইনা। কারন তারা আমাদের বুযুরগ।  তাদের কথা গুলো আমাদের কথার চেয়ে বেশি কার্যকর।  তাই তাদের কথা তুলে ধরা যথেষ্ট মনে করি আমি। 

সোহেল রানা।