শুক্রবার, ১৩ মার্চ, ২০১৫

শিয়া দের সুরা কাওসার নিয়ে অপব্যাখ্যা

Abdullah ansari নামের এক জাহেল শিয়ার মিথ্যাচার সুরা কাওসার নিয়ে 


শিয়াদের যে সকল হাদীসবেত্তা আছেন তাদের একটা বিশেষ সুনাম আছে তা হচ্ছে মিথ্যা ও মন গড়া কাহীনি তৈরি করতে এদের মুখে ও বাঁধে না আর জবান চলে যেমন কঁচু ক্ষেতে চলে চলো কাঁচি ।
কাল এক কথিত আনসারী এর কমেন্ট দেখলাম (লিখেছে যে মা খাতুনে জান্নাত এর বিষয় কি লিখেছেন ? ভেবে লিখেছেন ? রাসুলুল্লাহ (সা) এর মেয়ে , জিনার নামে সুরা কাওসার নাযিল হয়েছে , 

আমার কথা এবার ;-  আমি বলালাম তাকে যে সুরা কাওসার এর শানে নুযুল কি জানা আছে ? বলে হা আছে  আর প্রমান করতে পারবেন ? । ১ নং 
إِنَّا أَعْطَيْنَاكَ الْكَوْثَرَ
আয়াত দিয়ে বললাম এর অর্থ কি ? আমাকে বলে পুরা লিখে অর্থ বল । সে তো অর্থ বলেই নাই, উল্টা পল্টি মেরে বলে এই সুরা নাযিল হয়েছে এই কারনে যে নবী পাক নিসন্তান ছিল তাই আল্লাহ এই সুরা নাযিল করেছেন । 
বললাম কোন তাফসীরে আছে ? 
শেষে দিল তাফসীরের নাম দিয়ে কিছু কিচ্ছা কাহীনি , যে নবী পাক কে কাফের রা নিবাস বলত নবী পাকের সন্তান এর ওফাতের পর । চাই আল্লাহ হাফেজ কাওসার দান করে সম্মানিত করেছেন আর কিয়ামত পর্যন্ত ওনার মেয়ের বংশ থেকে ক্রমানুপাতিক ভাবে চলতে থাকবে । এটা সেটে , আমি তার কমেন্টের স্ক্রিন শুট দিলাম  নিজেরা পড়ে নিন । 

আমের আঠা কাঁঠালে লাগানোর কিচ্ছা শুনতে মন চাইলে শিয়া দের কাছে বসুন। চাদেক বুড়ির সুতা কাটার গল্প শোনাবে । 

এবার দেখা যাক কি আছে ইবনে কাছির এ এই আয়াতের শানে নুযুল ;- মুসনাদ এ আহমেদ এ আনাস ইবনে মালিক থেকে বর্নিত হয়েছে যে রাসুলুল্লাহ (সা) কিছুক্ষন তনদ্রাচ্ছন্ন হয়েছিলেন । কিছুক্ষন পরে হাসি মুখে তনদ্রাচ্ছন্নতা থেকে উঠার কারন জিগ্গেস করা হলে তিনি বলেন যে ;- এই মাত্র আমার উপর একটা সুরা নাজিল হয়েছে বলে তিনি বিসমিল্লাহ পাঠ করে তা পড়ে শোনান সবাই কে । তারপর তিনি সাহাবা গন কে জিগ্গেস করলেন কাওছার কি তোমরা জানো ? সকলে সাহাবা (রা) গন বললেন আল্লাহ ও তার রাসুলই ভাল জানেন । এর পর নবী পাক বললেন  কাওসার হল একটা জান্নাতি নহর (নালা,নদী, দরিয়া) তাতে বহু কল্যান নিহিত আছে , মহিমান্বিত আল্লাহ আমাকে তা দান করেছেন , কিয়ামতের দ্বীন আমার উম্ম্ত সেখানে সমবেত হবে । আসমানে যত নক্ষত্র আছে সে দিন কাওসারের তত পেয়ালা হবে । কিছু লোক কে কাওসারের কাছে থেকে সরিয়ে দেয়া আমি , তখন আমি বলব হে পরওয়ারদেগার, এরা আমারই উম্ম্ত । তখন তিনি বলবেন তুমি জানো না তোমার ওফাতের পর তারা কত রকম বেদাত চালু করেছে ।(ইবনে কাছির ) ১৮ খন্ড , পৃষ্টা নং ২৯৩ 

এই খালে মা ফাতেমা (রা) এর কি কোন জিকির আছে ? 
এই সুরা কি মা ফাতেমার জন্য নাযিল হয়েছে ? কোন দলিল বলা আছে ? 

আর একটা কথা এই খানে বাকি আছে আর তা হচ্ছে ওনার সন্তানের বিষয় - এই শিয়ারা ৩ নং আয়াত কে দলিল করে প্রমান করতে কি চায় তা তাঁরাই ভালো জানে । আল্লাহ তায়ালা ৩ নং আয়াতে বলেন (নিশ্চয় তোমার প্রতি বিদ্বেস পোষনকারীই তো নির্বংশ ) 

এই আয়াতে একটু ব্যাখ্যা দেয়া দরকার মনে করছি (:- মোহাম্মদ ইবনে কারাযী ও আতা (রহ) বলেছেন যে আল্লাহ তায়ালা সুরার তিন নং আয়াতে বলেছেন (নিশ্চয় তোমার প্রতি বিদ্বেষ পোষনকারীই নির্বংশ) অর্থাৎ যারা তোমার প্রতি শত্রুতা পোষন করে তাঁরাই লাঞ্চিত ধিকৃত অপমানিত ও লেজ কাটা তাদেরই।

এই আয়াত আস ইবনে ওয়ায়েল সম্পর্কে বর্নিত হয় । এই খবিস নবী পাক (সা) এর কথা শুনলেই বলত যে ওর কথা রাখ ওর কথা রাখ । ওর তো পুত্রসন্তান নাই। ও তো নির্বংশ । মিত্তুর পরই ও বেনাম-নিশান হয়ে যাবে (নাউযুবিললাহ ) আল্লাহ তায়ালা তখন এই সুরা অবতীর্ন করেন । 

শাম ইবনে আতিয়্যাহ বলেন ইকবাল ইবনে আবী  মুইত সমন্ধে এই আয়াত নাযিল হয় ।ইবনে আব্বাস (রা) কাব বিন আশরাফ ও কোরায়েশদের একটু দলের জন্য এই আয়াত নাযিল হয় । 

মুসনাদ এ বাযযার এ বলা আছে ইবনে আব্বাস (রা) থেকে যে :- কাব ইবনে আশরাফ যখন মক্কার আসেন তখন কোরায়েশ রা তাকে বলে যে আপনি সেই ছোকরা (নবী পাক (সা) কে কি দেখেন না যে সে সকলের থেকে আলাদা হয়ে আছে ও নিজেকে শ্রেষ্ট মনে করছে । অথচ আমরা কাবা ঘরের দেখাশোনা কারী ও হাজীদের বংশধর। তখন ইবনে আশরাফ বলেন অবশ্যই তোমরা তার থেকে শ্রেষ্ট । আল্লাহ তায়ালা তখন নবী পাক (সা)'র এর শান শওকাত আরো বৃদ্ধি করেন ও এই আয়াত এই সুরা নাজিল করেন । 

আতা (রহ) বলেছেন যে এই আয়াত আবু লাহাব এর সম্পর্কে অবতীর্ন । রাসুলুল্লাহ (সা) এর সন্তানের ইন্তেকালের পর এই আবু লাহাব মুশরিক দের কে বলে বেড়াত যে আজ রাতে মুহাম্ম্দের বংশ বিলোপ করা হয়েছে । আল্লাহ তায়ালা তখন এই আয়াত নাযিল করেন । ইবনে আব্বাস (রা) থেকে এ উক্তি ও বর্ননা করা হয়েছে । এ আব্বাস (রা) এ ও বলেন যে এই আয়াত দ্বারা রাসুলুল্লাহা (সা) এর সমস্ত শত্রুদের কে বোঝানো হয়ে । যাদের নাম নেয়া হয়েছে তারা ও ও যাদের নাম নেয়া হয়নি তারাও । 

এই কথিত আনসারী যে বললো , যে  হযরত মা ফাতেমা (রা) এর কারনে  এই সুরা নাযিল হয়েছে , তা কি করে বললো ? এখন কো দেখা যাচ্ছে এই সুরা নাজিল হয়েছে আবু লাহাব বা উকবা ইবনে আবী মুইত বা কার ইবনে আশরাফের কারনে । কারন কারা আল্লাহর রাসুল কে কষ্টে দিচ্ছিল । তাই আল্লাহ তায়ালা এই সুরা নাযিল করেন । উপরে সকল বর্ননা (ইবনে কাছির থেকে দেয়া ) সকলে কিতাবের সাথে মিলিয়ে নিতে পারেন ।১৮ খন্ড ২৯৩-২৯৬ পর্যন্ত 

তো এটা প্রতিয়মান যে আল্লার রাসুল  কে কষ্ট দেয়ার কারনে এই সুরা নাযিল করা হয়েছে কতিপয় কাফের দের কে লাঞ্চিত করে । 

এখন যে তারা বললো যে মা ফাতেমা এর কারেন এই সুরা নাজিল হয়েছে তা হলে কি সেই সকল কাফেরদের করা দোষ গুলি মা ফাতেমার উপর দেয়া হবে না ? (নাউযুবিল্লাহ) 
সেই কাফের রা যা যা করেছেন আর যে কারনে সুরা নাদাল হল তা কি মা ফাতেমার উপর বর্তাবে না আপনার কথা মত (নাউযুবিল্লাহ) 

আপনি একবার কি চিন্তা করেছেন যে আপনি কত বড় দোষে দোষী করেছেন আমার নবীর কলিজার টুকরা হযরত মা ফাতেমা (রা) কে 


প্রত্যেকটি বিষয় আপনারা অতিরঞ্জন করে করে কাফের দের কে পিছনে ফেলে এসেছেন। আর এমন মিথ্যা মনগড়া কথা তোমরা ও বেদ্বীন রাই বলে থাকে ।




কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন