আব্দুস সালাম এক খানে Islamic andolon boalkhali কে mention করে কমেন্ট এ লিখেছে যে ;- আলা হযরত উপাধি কোথায় থেকে এসেছে জানেন না কি ?
যে বলেছিল (আনা রাব্বুকুমুল আলা ) তার আগে পৃথিবীর বুকে কেউ এ ধরনের কথা কেউ বলে নাই ,এই ফেরাউন হচ্ছে (আনা রাব্বুকুমুল আলা) দাবিদার ও তারই পদাঙ্ক অনুসরন করে আরো দুজন তাদের নামের সাথে আলা রেখেছে । একজন আলা হযরত আহমেদ রেজা আর একজন আবুল আলা ।
আমি তার স্ক্রীন শুট দিয়েছি দেখে নেন ।
জবাব :- আলা হযরত কথা টা আলা হযরত আহমেদ রেজা খান (রহ) নিজের নামের সাথে নিজের ইচ্ছায় বা অন্যের কথায় ও কোন দিন আলা শব্দ লিখেন নাই। যদি নিজে থেকে লিখে থাকে তো এমন কোন প্রমান পেশ করার জন্য বলা হল । বরং তিনি নিজের নাম লিখতেন আহমেদ রেজা খান আবদে মুস্তফা (সা) , আবেদ শব্দের অর্থ দাড়ায় বান্দা , আর সকল বান্দাই গোলাম হয়ে থাকে বা গোলাম অর্থে বেবহার করা হয়েছে । তো ওনার নামের পুর্ন অর্থ দাড়ায় আহমেদ রেজা খান মোস্তাফা (সা:) এর গোলাম ।
তো জিনি নিজেকে মোস্তফা (সাঃ) এর গোলাম দাবী করতেন সেই লোকটা কে ফেরাউনের পদাঙ্কের অনুসরন কারী বলা কতটা বিবেক সম্মত কাজ তা কিন্তু বোঝার বাকি থাকে না ।
আর একটা কথা , ফেরাউন নিজেকে বললো আমি আল্লাহ তো সে হল কাফের , আর মনসুর হাল্লাজ বললো আনাল হক (আমি আল্লাহ ) তো ওনি হল আল্লাহর ওলি ।
এই খানে ইস্কের পাগল আর দাম্ভিকের মধ্য যে পার্থক্য করতে জানে না তাদের সাথে কথা বলার কি ফায়দা তাও কিন্তু অনুমেয় ।
আলা হযরত কথা টা সাধারন ওলামায়ে কেরাম ও সুফিয়ায়ে কেরামগন আহমেদ রেজা খান (রহ)'র নামের সাথে উপাধি দিয়েছেন ওনার ইস্ক এ রাসুল ও শরিয়াতের পাবন্দ দেখে ।
আর এই উপাধি দেয়ার কারনে আলা হযরত আহমেদ রেজা খান (রহ) যদি ফেরাউন এর পদাঙ্ক অনুসরনকারীতে পরিনত হন , তা হলে আমার উত্তর দাও এবার যে ;- রশিদ আহমেদ গাংগুহির লেখা তোমাদের কিতাব (মাহমুদুস সুলুক ) এর ১৯ নং পাতা তে লিখেছেন যে ;-
১২৬৬ হিজরী তে কোন এক কারনে গাংগুহী থানা ভবনে যান । তখন হাফেজ মোহাম্মদ যামিন সাহেব শহিদ(রহ) এর সুপারিশে আলা হযরত শায়খুল মাশায়েখ কুতুবুল ওয়াসীলীন সুলতানুল আরিফিন হাজী ইমদাদুল্লাহ মুহাজেরে মাক্কি (রহ) এর কাছে বাইয়াত হন । (মাহমুদুস সুলুক) পৃষ্টা নং ১৯
এই খানে আলা শব্দ বেবহার করা হয়েছে ।
২০ নং পাতা তে ও বলা হয়েছে ;- হযরত আকদাস গাংগুহি (রহ) স্বীয় সায়েখ ও মুরসীদ আলা হযরত হাজী এমদাদুল্লাহ মুহাজের এ মক্কি (রহ) এর নিকট স্বীয় হাল ও অবস্থা সম্পর্কে এক চিঠি লিখেন । মাহমুদুস সুলুক পৃষ্ঠা নং ২০
আমি কিতাবের পাতা শেয়ার করলাম।
এখন আপনাদের কাছ থেকে আমি উত্তর আশা করছি যে ;- হাজী ইমদাদুল্লাহ মুহাজের এ মক্কি (রহ) আপনাদের পীর দের ও পীর শায়েখ দের ও শায়েখ । তিনি কাসেম নানুতভী , আশরাফ আলি থানবী , রশিদ আহমেদ গাংগুহি , আকদাস গাংগুহি , খলিল আহমেদ আম্ভাটভী'র ও পীর ।
আর (আলা ) শব্দ বেবহার করার কারনে যদি আহমেদ রাজী খান (রহ) ফেরাউন এর পদাঙ্ক অনুসরনকারী হন , তা হলে সেই একই শব্দ (আলা) হাজী এমদাদুল্লাহ মুহাজের এ মক্কি (রহ)'র নামের আগে ব্যবহার করার কারনে তিনি কেন ফেরাউন এর পদাঙ্ক অনুসরনকারী হবেন না ?
আশা করছি জবাব দিবেন ।
আর হিজরা দের কাছে থেকে জবাব আশা করা যে সমষ নষ্ট করা তা আমার জানা আছে ভালো করেই ।
জানি কোন সদুত্তর নাই ।
আরো আমার প্রশ্ন হচ্ছে যে ;-আলা শব্দ ব্যবহার করার কারনে আহমেদ রেজা খান (রহ) যদি ফেরাউনের পদাঙ্ক অনুসরনকারী হন তা হলে হাজী সাহেব ও তাই হবেন , ফেরাউন এর পদাঙ্ক অনুসরনকারী ।
আর আলা শব্দ বেবহার করার কারনে যদি হাজী এমদাদুল্লাহ মুহাজের এ মক্কি (রহ) (ফেরাউনের পদাঙ্ক অনুসরনকারী হন (নাউযুবিল্লাহ , তা আপনাদের কথা মতই সাবেত হয় । আমরা বলি না ) তা হলে সেই হাজী এমদাদুল্লাহ মুহাজের এ মক্কি (রহ) এর রুহানী সন্তান ও খলিফাদ্বয় যারা আছেন বা ছিলেন যেমন কাশেম নানুতভী, আশরাফ আলী থানভী, রশিদ আহমেদ গাংগুহি, খলিল আহামেদ আম্ভাটভী' , এরাও কেন ফেরাউন এর পদাঙ্ক অনুসরনকারী হবেন না ? কারন আপনাদের কথা মত হাজী এমদাদুল্লাহ (রহ) তো ফেরাউন এর অনুসারী , তো যারা হাজী সাহেবের অনুসারী তারাও ফেরাউনের অনুসারীই প্রমান হবেন , কারন এ সকলের মুলে তো ফেরাউন । তাই না ! ! !
আর যদি তাই হয় যে হাজী সাহেবের নামের শেষে আলা শব্দ বেবহার করার কারনে
ও বাকি ওলামাগন হাজী সাহেবের মুরীদ ও খলিফা হওয়ার কারনে মুলত ফেরাউনেরই পদাঙ্ক অনুসরন করেছেন তা হলে বর্তমান সময়ের যে সকল দেওবন্দি আছেন তারাও ফেরাউনের পদাঙ্ক অনুসরনকারীতে পরিনত হয়ে যাবেন কি না ?
কারন আপনাদেরই আলেম এরা যাদের নাম নিয়েছি আমি কয়েকবার ।
আমরা হাজী সাহেবের ইবাদত গুজারিতার কারনে ও হক হওয়ার কারনে আমরা ওনাকে সকল সুন্নি জনতা মাথার তাজ মনে করি ।
কিন্তু ওনার খলিফাদ্বয় কে আমরা প্রত্যাখ্যান করেছি ও করি ও করব , তাদের নিজের বদ আকিদার জন্যই শুধু ।
আমরা হাজী সাহেব ছাড়া দেওবন্দিদের কোন আলেম কে আকিদার দিক গেয়ে গ্রহনযোগ্য মনে করি না ।
বরং আপনারাই করেন ও সেই সকল আলেম থানবী ,গাংগুহি, নানুতভী, আম্ভাটভী,এরাই আপনাদের আকাবের বা বুযুর্গ ।
আমাদের না !
তাই মুলত আলা শব্দ ব্যবহার করার কারনে যদি ফোরাউনের পদাঙ্ক অনুসরন করা হয় তা হলে মুলত আপনারই সেই পদাঙ্ক অনুসরনকারী হবেন ও সেই সকল আলেম কে আপনারাই জঘন্য অপবাদে নির্লিপ্ত করে নিজেদের জাহা ও আখেরাত বর্বাদ করতেছেন।
একজনের প্রতি মিথ্যা অভিযোগ করলে তা নিজের ঘাড়ের উপরই আসে । তা বলার আর বাকি থাকে না ও হাদীস থেকে ও প্রমানিত ।
তাই নিজেদের আলেম ওলামাদের কে কাফের ফেরাউনের অনুসারী বলে নিজেদের আলেমদের কে কাফের বলবেন না ও নিজেরা ও কাফের হয়ে যাবেন না । এটাই প্রত্যাশা রইল।
সোহেল রানা
ওয়াস-সালাম
অনেক সুন্দর জবাব দিয়েছেন ভাই , কিন্তু দেওবন্দী রা বুঝেনা। ওরা বেয়াদব ।
উত্তরমুছুন