শুক্রবার, ১৩ মার্চ, ২০১৫

হায়াতুন নবী তার স্বপক্ষে দলিল ১

আমি প্রথমত বাচ্চাদের সাথে কথা বলে ওহেতুক মনে করি আর দ্বীতিয়ত তাদের সাথে যারা মুর্খদের মত আচরন করে , তৃতীয়ত যারা হিংসামুলক প্রশ্ন করে ৪র্থত যারা কোন ফায়সালা নিতে পারে না নিজের বিবেক দিক দিয়ে । আর যারা কিছু জানতে চায় ও বুঝতে চেষ্টা করে ও বোঝার পর কোন বিষয় একটা চুরান্ত ফায়সালা নিতে পারে তাদের সাথে কথা বলা উত্ত্ম মনে করি।  আর বাকি যারা আছে তাদের কে বলব এমন কারো হাতে আমার এই লেখা যদি যায় সে যেন না পড়ে । 

আপনার প্রথম কালাম পাকের আয়াত ;- 
قُلْ إِنَّمَا أَنَا بَشَرٌ مِّثْلُكُمْ يُوحَى إِلَيَّ أَنَّمَا إِلَهُكُمْ إِلَهٌ وَاحِدٌ فَمَن كَانَ يَرْجُو لِقَاء رَبِّهِ فَلْيَعْمَلْ عَمَلًا صَالِحًا وَلَا يُشْرِكْ بِعِبَادَةِ رَبِّهِ أَحَدًا (110
বলুনঃ আমি ও তোমাদের মতই একজন মানুষ, আমার প্রতি প্রত্যাদেশ হয় যে, তোমাদের ইলাহই একমাত্র ইলাহ। অতএব, যে ব্যক্তি তার পালনকর্তার সাক্ষাত কামনা করে, সে যেন, সৎকর্ম সম্পাদন করে এবং তার পালনকর্তার এবাদতে কাউকে শরীক না করে।


এখন আমার কয়েকটা প্রশ্ন আছে এই আয়াত কে নিয়ে আশা করছি তার জবাব দিবেন ;
قُلْ إِنَّمَا أَنَا بَشَرٌ مِّثْلُكُمْ

এই খানে (বাশার) শব্দের অর্থ কি  ? 
বলবেন মানুষ । 
মিছলুকুম শব্দের অর্থ কি ? 
বলবেন মত । 

উত্তর কি দাড়াল মানুষের মত । 

মানুষের মত হওয়া আর মানুষ হওয়া কি এক ? 
যদি তাই হয় যে মানুষের মত হওয়া ও মানুষ হওয়া একই কথা তে হলে হযরত জীব্রাইল (আ) দাহিয়া কালবীর রুপ  নিয়ে আসতেন নবী পাকের কাছে তখন কি তিনি মানুষ হয়ে যান ? না কি ফেরেস্থা থেকে যান ? জবাব দিবেন ।  
এটা আমার প্রশ্ন থাকল ।

আর/-  সুরা মরিয়ম দেখুন একবার ;- 
 فَاتَّخَذَتْ مِن دُونِهِمْ حِجَابًا فَأَرْسَلْنَا إِلَيْهَا رُوحَنَا فَتَمَثَّلَ لَهَا بَشَرًا سَوِيًّا 
অতঃপর তাদের থেকে নিজেকে আড়াল করার জন্যে সে পর্দা করলো। অতঃপর আমি তার কাছে আমার রূহ প্রেরণ করলাম, সে তার নিকট পুর্ণ মানবাকৃতিতে আত্নপ্রকাশ করল।
আয়াত নং ১৭ 

এই খানে কোন রুহ এর কথা বলে হয়েছে  فَتَمَثَّلَ لَهَا।     
আর এই কথার অর্থ কি ? বলবেন কি ? মিছলুকুম বা শব্দের অর্থ হচ্ছে মত বা আকৃতি। আমি প্রথমে এই কথা বলেছি । আর (
فَتَمَثَّلَ لَهَا) একই অর্থে বেবহৃত 
হয়েছে  যে আকৃতি হত দিক দিয়ে মানুষের মতই।  

আর ওনেক হাদীস আছে তাতে নবী পাক বলেছেন যে তোমাদের মাঝে আমার মত কে আছ ? আমি তোমাদের মত নই । আমি হাদীসের দিকে যেতে চাচ্ছি না আজ। কারন আমাকে বলা হয়েছে আপনি হাদীস কে ও মান্য করেন না । তাই ফায়সালা কোরান থেকে হোক । 

 قَالَتْ إِنِّي أَعُوذُ بِالرَّحْمَن مِنكَ إِن كُنتَ تَقِيًّا (18
মারইয়াম বললঃ আমি তোমা থেকে দয়াময়ের আশ্রয় প্রার্থনা করি যদি তুমি আল্লাহভীরু হও। 
." 
 
 قَالَ إِنَّمَا أَنَا رَسُولُ رَبِّكِ لِأَهَبَ لَكِ غُلَامًا زَكِيًّا (19
সে বললঃ আমি তো শুধু তোমার পালনকর্তা প্রেরিত, যাতে তোমাকে এক পবিত্র পুত্র দান করে যাব। 
এই খানে হযরত জীব্রাইল মানুষের রুপ নিয়ে এসেছিলেন। আর তাই মা মরিয়ম ভয় পেয়ে আল্লাহর আশ্রয় কামনা করেছেন । 

এই খানে জীব্রাইল (আ) যদি মানুষের কুপ নিয়ে আসতে পারেন  নূর হয়ে তা হলে জিনি আল্লাহর প্রথম সৃষ্টি  ও সৃষ্ঠির  শুরু থেকে তিনি নবীই ছিলেন তিনি কি  পারেন না ? নূর হয়ে মানুষের মত আসতে ? জবাব দিন 

২য় :- উক্ত আয়াতে আল্লাহ তায়ালা বলতে বলেছেন যে আপনি বলে দিন যে আমি মানুষের মতই ।     
এই খানে তোমাদের মতই কথা টা কোথায় থেকে আসলো ? 

আর এই কথা টা আল্লাহ তায়ালা নবী পাক  কে বলতে বলেছেন যে আপনি বলে দিন , আমি আল্লাহ বলছি না , আপনি বলেদিন যে আপনি মানুষের মতই। আমি আল্লাহ বলবোনা  যে আপনি মানুষ । 

আর আল্লাহ কি তোমাদের কে বলতে বলেছেন এই আয়াতে যে (হে মানুষ সকল , তোমরা বল যে হে নবী আপনি আমাদের মতই মানুষ ) 

যদি আল্লাহ সাধারন মানুষ বা কাউকেই বলতে বলে নাই যে হে বান্দা রা তোমরা বল হে নবী আপনি আমাদের মতই মানুষ তা হলে কেন বলেন আপনারা ? 
জবাব দিন ।  

কোরানের কোন আয়াতে নবী পাক কে মানুষ বলতে বলা হয়েছে ? 
আর আল্লাহ তায়ালা কোন আয়াতে বলেছে যে হে নবী আপনি আর ১০ জনের মত মানুষ ? 
বা কোরানের যে কোন এক খানে যদি সম্বোধন করে থাকে আল্লাহ নবী পাক কে মানুষ বলেছেন তো আমার সামনে পেষ করুন । 
বরং নবী পাক কে ডাকত আল্লাহ ( ইয়া বশিরু, ইয়া মুবাশ্বেরু  বলে । মানুষ বলে কোথায় ডেকেছে ? 
হা এটা সত্য যে আবু জাহেলের  চোখে নবী পাক কে মানুষ দেখাত, আবু লাহাব নবী পাক কে মানুষ দেখত । 

কিন্তু আবু বক্কর , ওমর উসমান আলী (রা) প্রমুখ সাহাবীগনের চোখে নবী পাক কে নবীই দেখাত। কখন ও তাহারা নবী পাক কে মানুষ ও মনে করেন নাই কখন ও মাটি ও মনে করেন নাই । 

আরো একটা কথা । এই একটা আয়াত কে নিয়ে আপনারা লুংগি উপরে করে নাচতে থাকেন নবী পাক কে মানুষ বানানোর অপচেষ্টায়। 
হযরত আদম (আ) দোয়া করেছিলেন যে ( রাব্বানা যালামনা আনফুসানা ওয়া ইল্লাম তাগফিরলানা ওয়া তারহামনা লানা কূনান্না মিনাল খাসেরীন। 
অর্থঃ “হে আমার প্রভু! আমরা আমাদের নফসের উপর যুলুম করেছি, তুমি যদি আমাদের ক্ষমা না কর, আমাদের প্রতি করুণা না কর তবে আমরা ক্ষতিগ্রস্তদের অন্তর্ভুক্ত হয়ে যাব।” 
(সূরা আ‘রাফ- ২৩)

আশা করি জানা আছে আপনার । 

এই দোয়ার মাঝে তিনি নিজে বলেছেন হে আমার প্রতিপালক আমি জুলুম করেছি আমার নফসের উপর । একবার বল তো দেখি যে আদম (আ) গোনাহগার ছিল , তিনি নিজের উপর জুলুম ও করেছেন , আর সাক্ষী তার কোরান পাক । 
এর পর দেখি আমি তোমার ইমান এর কত জোর । 
জানি বলতে পারবেন না।  

যদি হযরত আদম(আ) কে বলতে না পারেন এই কথা যে তিনি নিজে  শিকার করার পর ও , তা হলে আমাদের নবী পাক কে কেন মানুষ বলা হয় ? যখন আল্লাহ বলতে বলেছেন তখন তিনি বলেছেন যে আমি মানুষের মতই , তিনি বলেন নাই আমি ও মানুষ।  

এমন কোন আয়াত থাকলে দেখান আমারে । 
না কি শুধু দুষমনি ? 


এই আয়াতে শরীক বা শেরেক বা পালনকর্তার কথা বলা হয়েছে । রব শব্দের অর্থ কিন্তু পালন কর্তা । 

আর যদি একটু চোখ তুলে দেখেন তো শিরক এ শিরক ভরে গেছে দেখতে পাবেন এমন কি আল্লাহর কোরানের মাঝে ও শিরক পেয়ে যাবেন আপনি। কারন আল্লাহ তায়ালা কোরানে পিতা ও মাতা দের কে ও রব বরেলেছেন। যদি বিস্বাস না হয় তো (রাব্বির হাম হুমা কামা রাব্বাইয়ানিস সগিরা) এই আয়াতের তাফসীর দেখে নিবেন।  এমনে পোষ্ট ওনেক লম্বা হবে। তাই সংক্ষিপ্ত করলাম। 

আপনি আয়াত দিয়েছেন যে :- 
كُلُّ مَنْ عَلَيْهَا فَانٍ (26
ভূপৃষ্টের সবকিছুই ধ্বংসশীল।


 وَيَبْقَى وَجْهُ رَبِّكَ ذُو الْجَلَالِ وَالْإِكْرَامِ (27
একমাত্র আপনার মহিমায় ও মহানুভব পালনকর্তার সত্তা ছাড়া।
। 
এক বাক্য কবুল করলাম 
তবে আপনি নিজে তৈরি থাকুন  এই আয়াত কে কবুল করার জন্য । 



কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন