আর এমনি একটা বিষয় স্ত্রীর সাথে পায়ু পথে মিলনে লিপ্ত হওয়া ।
আগে তাদের কিতাব গুলো থেকে কিছু বর্ননা তুলে ধরা যাক ;-
আবু জাফর মোহাম্ম্দ ইবনে হাসান আত-তুসী তার( আল- ইসতিবসার) গ্রন্থে বর্ননা করেছেন যে ;- আব্দুল্লাহ ইবনে আবী ইয়াফুর থেকে বর্নিত , তিনি বলেন যে :- আমি আবু আব্দুল্লাহ আ কে জিগ্গেস করলাম ঐ পুরুষ বেক্তির সম্পর্কে যে তার স্ত্রীর পিছনের রাস্তা দিয়ে মিলিত হয় , তখন তিনি বললেন যে , সে (স্ত্রী) রাজী থাকলে কোন অসুবিধা নাই । তখন আমি বললাম যে আল্লাহর কালাম ( তাদের নিকট সে ভাবে গমন কর যে ভাবে আল্লাহ তায়ালা তোমাদের কে আদেশ করেছেন ) এই আয়াতের বাস্তবতা কোথায় ?
তখন তিনি বললেন যে :- এই আয়াতের বিধান সন্তান কামনার ক্ষেত্রে প্রযোজ্য । (সুতরাং তোমরা সন্তান অনুসন্ধান কর ) যে ভাবে আল্লাহ তোমাদের কে আদেশ করেছেন । নিশ্চয় আল্লাহ তায়ালা বলেন , (তোমাদের স্ত্রীগণ তোমাদের শষ্যক্ষেত্র, সুতরাং যে ভাবে ইচ্ছা তোমরা তোমাদের শষ্যক্ষেত্রে গমন কর ) সুরা বাকারা আয়াত নং২২৩ । আবু জাফর মোহাম্ম্দ ইবনে হাসান আত-তুস প্রনোদীত (আল-ইসতিবসার ) ৩য় খন্ড ২৪৩ নং পৃষ্টা ।
এই খানে দেখুন কি ভাবে আল্লাহর কালাম কে অস্বীকার করে তার অপব্যাক্ষা করে অন্য আর এক আয়াতের অপব্যবহার করে তারা পায়ু পথে মিলন করা যায়েয প্রমান করতেছে ।
এর পর আর একটা আয়াত দেখুন ;- আল-ইসতিবসার নামক গ্রন্থে আরো বর্ননা করা হয়েছে যে ;- মুসা ইবনে আব্দেল মালেক থেকে বর্নিত, তিনি জৈনিক বেক্তি থেকে বর্ননা করেন যে :- তিনি বলেন আমি আবুল হাসান রেজা আ , কে জিগ্গেস করলাম পুরুষ বেক্তি স্ত্রীর পিছনের রাস্তা দিয়ে মিলিত হওয়া সম্পর্কে । তখন তিনি বলেছেন যে ;- আল্লাহ তায়ালার কিতাবে একটা আয়াত তা বৈধ করে দিয়েছে , আর তা হচ্ছে লুত (আ) এর বানী ;- (এরা আমার কন্যা , ও তোমাদের জন্য তারা পবিত্র ) কারন তিনি (লুত আ) জানতেন যে তারা (সেই সম্প্রদায়ের লোক) সম্মুখ গুপ্তাঙ্গের প্রত্যাশী ছিল না ।(নাউযুবিল্লাহ )
(আল- ইসতিবসার) ৩য় খন্ড পৃষ্টা নং ২৪৩
এখানেও দেখুন যে কি ভাবে আয়াতের অপব্যাক্ষা করা হয়েছে । আল্লাহর সম্মানীত নবী হযরত লুত (আ) কওমের লোকজন পুরুষে পুরুষে মিলিত হত । আল্লাহ তাদের কে ধংস করার জন্য সুন্দর চেহরার সুশ্রী বালক রুপে ২ জন ফেরেশতা প্রেরন করেন । আর তারা লুত (আ) এর ঘরে আশ্রয় নেয় । সেই সম্প্রদায়ের লোকজন লুত (আ) কে চাপ দিতে থাকে সেই বালক রুপের ছেলেদের কে আকাংখা করে ।
তখন হযরত লুত (আ) তাদের কে সেই ফেরেশতা দের কে তাদের হাতে তুলে দিতে অস্বীকার করেন ও বলেন যে তোমরা আমার কন্যাদের কে নিয়ে যাও। এবং মিলন কর। তবুও তোমরা পিছনের রাস্তায় মিলিত হওয়ার জন্য বালক দের কে চেও না ।
তিনি নিজের মেয়েদের কে তুলে দিতে চেয়েছেন এই কারনে যে তারা সামনের রাস্তায় মিলিত হবে । পিছনের রাস্তা দিয়ে নয় । ও গোনাহ থেকে তারা মুক্ত থাকবে ।
তিনি তার কন্যাদের কে পিছনের রাস্তায় মিলিত হওয়ার জন্য নিজের কন্যা দের কে দিতে চান নাই ।
কিন্তু শিয়া কুলাংগার দের জাত কি রকম একটা অপব্যক্ষা করেছেন এই আয়াতের তা শুদ্ধ চিত্তের লোকজন চিন্তা ও করতে পারে না ।
এই রকম ওনেক বর্ননা দেয়া আছে ওদের কিতাব গুলোতে ।
আমি তা তুলে ধরা আর প্রয়োজন মনে করছি না ।
এবার জবাব কোরান ও হাদীসের আলোকে ;-
সুরা বাকারা ;- আয়াত নং ২২৩;-
তোমাদের স্ত্রীগণ তোমাদের শষ্য ক্ষেত্র, সুতরাং যে ভাবে ইচ্ছা তোমরা তোমাদের শষ্য ক্ষেত্রে গমন কর)।
নিশ্চয় আল্লাহ তায়ালা প্রত্যেক স্বামী কে তার চাষের যায়গা (সম্মুখ স্থান) আবাদের অনুমতি দিয়েছেন। কিন্তু পিছনের রাস্তা নয় ।
আর যদি মনে করেন পিছনের রাস্তা ও শষ্যক্ষেত্র , তা হলে পিছনের রাস্তায় আবাদ কৃত শষ্য কি তা আমারে অবহিত করুন ।
এর পর আবার দেখুন ;- আর আল্লাহ তায়ালা বলেন :-
লোকে তোমাকে রক্ত স্রাব (হায়েয )সমন্ধে জিগ্গেস করে । বল তা অশুদ্ধ(না পাক) সুতরাং তোমরা রক্ত স্রাব কালে স্ত্রী সংগম বর্জন করবে ,ও পবিত্র না হওয়া পর্যন্ত স্ত্রী সংগম করবে না ( সুরা বাকারা ২২২)
উক্ত আয়াতে কারীমায় আল্লাহ তায়ালা হায়েজ অবস্থায় স্ত্রী সংগম করতে মানা করেছেন যতক্ষন পর্যন্ত তা পবিত্র না হয় ।
আর যদি যদি হায়েযের আগে পিছনের রাস্তায় মিলিত হওয়া যায়েজ হয় তা হলে আল্লাহ তায়ালা নিশ্চয় বলে দিতেন যে হায়েয অবস্থায় পিছনের রাস্তায় মিলিত হও। সামনের রাস্তায় নয় । কিন্ত আল্লাহ তায়ালা এমন কেন কথা বলেন নাই । বরং সম্পুর্ণ রুপে তা হারাম করেছেন ।
একবার চিন্তা করুন তো পিছনের রাস্তায় সর্বক্ষন মানুষের বর্জ্য থাকে । সেই রাস্তা কি ভাবে যায়েজ হতে পারে ? জবাব দিবেন কি ?
আবু হোরায়রা (রা) বর্ননা করেন যে ;- রাসুলুল্লাহ (সা) বলেছেন যে , যে বেক্তি জ্যোতিসীর নিকট যায় ও সে যা বলে তা বিস্বাস করে ও রাজঃস্রাবের সময় সংগম করে অথবা পায়ু পথে মিলিত হয় সেই বেক্তি মুহাম্মদ (সা) এর প্রতি যা অবতীর্ণ হয়েছে তে থেকে মুক্ত ( আবু দাউদ ৩৯০৬)
রাসুলুল্লাহ (সা) আরো বলেন ;- যে বেক্তি স্ত্রীর সাথে পায়ু পথে মিলিত হয় সে বেক্তি অভিশপ্ত (আবু দাউদ) ২১৬৪
এই খানে একটা কথা মনে পড়ল যে শিয়ারা কিন্তু হযরত আবু হোরাইরা (রা) কে দুই চোক্ষ দিয়ে নাম ও দেখতে পারে না আর ওনাকে হারামের সন্তান বলে থাকে ও প্রচুর গালী গালোজ করে থাকে (নাউযুবিল্লাহ )
তো উপরোক্ত হাদীস থেকে ও কালামুল্লাহ থেকে সুস্পষ্ট যে পিছনের রাস্তায় স্ত্রী মিলন করা হারাম কাজ । আর যে করবে সে উম্মত এ মোহাম্ম্দি থেকে খারিজ। আর যে খারিজ সে কাফের। আর যে কাফের তার যায়গা জাহান্নাম । সেখানে থাকবে সে অনন্তকাল ।
কিন্তু শিয়া দের ইমাম গন শরিয়াত প্রনয়ন করার ক্ষমতা রাখেন যেমন কি না হিন্দু দের পন্ডিত গন । এই নিয়ে একদিন পোষ্ট করব ইনশাল্লাহ
আল্লাহ আমাদের সকল কে এমন বদ আকিদা ও ঘৃন্যকার্য হতে নিরাপদ রাখুন আমীন।
আর যারা আমাদের বোন আছেন তাদের কে বলব যে ;- আপনারা নিজেদের মান ও আমান ইমান রক্ষার্থে এমন ঘৃন্য কাজে মিলিত হবেন না ,
আর শিয়া দের কে বিয়ে করা থেকে দুরে থাকুন। কারন এদের দলটা হচ্ছে এমন যে (- শিয়া, THE NAME OF KULANGAR
চলবে
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন