আমি সাধারনত দেওবন্দী ও বালাকটি দের বিরুদ্ধে পোস্ট করি। কোনো দিন জামাতে ইসলামীর বিরুদ্ধে লেখার সময় করে উঠতে পারি নাই। তাই বলে তারা যে রকম পোস্ট সুরু করেছে যে আজ তাদের একটা দাত ভাঙ্গা জবাব না দিয়ে পারলাম না। একজন জামাতে ইসলামী নামের পেজ থেকে কবর জিয়ারত এর বিরুদ্ধে পোস্ট দিয়েছে আর বলেছে যে নবী পাক কবর ভেঙ্গে ফেলতে হুকুম দিয়েছেন তো জিয়ারত এর প্রশ্ন ও আসে না। আর নুরুল ইসলাম ফারুকী নাকি বলেছে যে আমরা মাজারের সন্নিধে বসে নিজেদের ইমান তাজা করি কিছু লোক ইটা সয্য করতে পারে না। তার যুক্তি হচ্ছে কোবর জিয়ারত এর যে খানে কোনো জায়গা নাই তো সেখানে গিয়ে এমান কিভাবে তাজা হয় ?
আরে জামাতের বলদ সামান্য একটা কথা তর মাথায় ঢোকে না তো এই খানে কি জন্য ঘেউ ফ্হেউ কর ?
কবর জিয়ারত করতে গেলে সে খানে মানুষের মনে কবর এর কথা মনে পরবে। মিত্তুর পর কবর জীবনের কথা মনে পরবে। আল্লাহ পাকের ভয় দিলের মাঝে আসবে। আর এই ভাবেই ইমান তাজা হবে। জার দিলের মাঝে আল্লাহ পাকের ভয় নাই তার কোনো ইমান নাই। আর আমরা কবর জিয়ারত করি আল্লাহ পাকের ভয় দিলে আসার জন্য। আর যদি কোনো ওলি এর কবর হয় তো অনার অসিলা দিয়ে দোয়া কবুলের জন্য। আর অসিলার কথা শুনলে তির যলন সুরু হতে পারে তাই সুরা মায়েদা এর আয়াত নং ৩৫ টা দেখে নে। সে নাকি কবর জিয়ারত এর কোনো ভিত্তি পায় নাই। আমি দেখিয়ে দিচ্ছি আজ ;- বুখারী সরিফের ২ খ ১২৬৩ নং হাদিসে
আব্দুল্লাহ ইবনে ইউসুফ (রহ) ----- উকবা ইবনে আমির (রা) বর্ণনা করেন যে একদিন নবী পাক সা: বের হলেন ও উহুদে পৌছে মৃতের জন্য যে ভাবে (জানাজা) আদায় করা হয় অনুরূপ ভাবে উহাদের জন্য সালাত আদায় করলেন। এর পর ফিরে এসে মিম্বরে তাসরিফ রাখ্লেন এবং বললেন যে আমি হব তোমাদের জন্য অগ্রে প্রেরিত ও আমি তোমাদর সাক্ষী। আল্লাহর কসম আমি এই মুহুর্তে আমি আমার হাউজে কাওসার দেখছি। আর অবস্যই আমাকে পৃথিবীর ভান্ডার সমূহের চাবি গুচ্ছ দান করা হয়েছে। অথবা (রাবি বলেছেন ) পৃথিবীর চাবিগুচ্ছ আল্লাহর কসম। তোমরা আমার পরে শিরক করবে অ ভয় আমি করি না। তবে তোমাদের বেপারে আমার অসংখা যে তোমরা পার্থিব সম্পদের বিসয় আকৃষ্ট হয়ে পরবে ( বুখারী ২ খ ১২৬৩ )
তো উপরোক্ত হাদিস দ্বারা কবর বাসীদের জন্য দোয়া করা প্রমান হল। এর সাথে মুসলিম জাতি যে শিরক করবে না তার প্রমান নবী পাকের হাদিস। আমার নিজ মুখে বলার আর প্রজন নাই।
আমি আরো একটা হাদিস পরেছিলাম বুখারি সরিফে তার রেফারেন্স আমার মনে নাই তাতে বর্ণনা তে এসেছে যে একবার নবী পাক উহুদের সাহিদ্গনের কবর এর পাশে গিয়ে এমন ভাবে দোয়া করলেন যেন তিনি জীবিত ও মৃতদের মধেখান থেকে বিদায় নিচ্ছেন। আমার কোনো বড় ভাই যদি এই হাদিসের রেফারেন্স জেনে থাকেন তো মেহের বাণী করে বলে দিবেন। এখন ধর্ম বেব্শায়ী জামাতি দালাল বল তোমার দাবি কোথায় থাকলো ? কবর জিয়ারত এর দলিল দিলাম বুখারী থেকে। তার সাথে উম্মত এ মোহাম্মদী শিরক করবে না তার ও প্রমান দিলাম একটা হাদিস দিয়ে। এই তোমাদের জামাতি দের ধর্মের কাজ ? তোমরা তো মানুষ কে গম্রার দিকে নিয়ে যাচ্ছ ,
এখন দেখ তোমার রাজনীতির কেমন করে পাচায় বাশ দেই।
ইমাম গাজ্জালি (রহ) এর কিতাব (ইউইয়ায়ে উলুমুদ্দীন ) এর ৩ য় খন্ডের ১৪২ নং পৃষ্টা তে লিখেছেন যে আমার কাছে ইযিদ ইবনে জাবের ও তার কাছে আব্দুর রেহমান ইবনে ওমর আনসারী (রা) বর্ননা করেছেন যে হজরত ফারুকে আজোম (রা) জৈনিক আনসারী সাহাবীকে যাকাত আদায়ের কাজে নিযুক্ত করলেন ও বললেন যে তুমি এই কাজে জিহাদ কারী রূপে সওয়াব পাবে। কয়েকদিন পর দেখলেন যে সে কাজে যোগদান করেনি। তো ওমরে ফারুক (রা) তাকে জিগ্গেস করলেন তুমি কাজে যোগদান করনি কেন ? তোমার জানা নাই তুমি এই কাজে জিহাদ্কারী রূপে সওয়াব পাবে ? আনসারী সাহাবী জবাব দিলেন সাহস পাই না। ফারুকে আজোম বললেন কেন ? সে জবাব দিল আমি সুনেছি যে বেক্তি মুসলমানদের কোনো কাজে নিযুক্ত হবে কিয়ামতের দিন তাকে ঘাড়ে হাত বাধা অবস্থায় উপস্থিত করা হবে। এক মাত্র নেয় বিচার ছাড়া কোনো কিছু তার হাত খুলতে পারবে না। এর পর তাকে পুলসিরাতের উপর খাড়া করা হবে আর পুল এমন ভাবে নারা দিবে যে তার গ্রন্থী সমূহ আপন স্থান থেকে সরে যাবে। এর পর আবার পুন অবস্থায় ফিরে আসবে এর পর তার বিচার সুরু হবে। আর যদি সে পাপী হয় তা হলে পুল সেখানেই দ্বিখন্ডিত হয়ে সে জাহান্নামে পতিত হবে ৭০ বছরের পথের নিচে। ফারুকে আজোম বলেন তুমি এই হাদিস কার কাছ থেকে সুনেছ ? তিনি জবাব দেন যে আমি আবু যর ও সালমান ফারেসী (রা) এর কাছ থেকে সুনেছি। ফারুকে আজোম আবু যর ও সালমান ফারেসী (রা) কে ডেকে পাঠান ও এই হাদিসের বিসয় জিজ্ঞাসা করলে তারা বলেন যে নিস্সন্দেহে আমরা রাসুল (সা ;) এর মুখ থেকে এই হাদিস সুনেছি। তখন ফারুকে আজোম বলেন শাষন কার্যে এত অনিস্ট থাকলে এ কাজ কে করবে ? আবু যর (রা) বলেন সেই করবে এ কাজ যার নাক আল্লাহ তায়ালা কেটে দেন আর গন্ড মাটিতে মিশিয়ে দেন। আওজাজি বলেন এ পর্যন্ত সুনে মনসুর নাকে রুমাল দিয়ে কাদতে সুরু করেন আর এত কাদলো যে আমাকে ও কাদিয়ে দিল। আমি বললাম হে আমিরুল মোমেনিন আপনার মিতাম্হ আব্বাস ইবনে আব্দুল মুত্তালিব রাসুলুল্লাহ (স) এর কাছে মক্কা ,তায়েফ অথবা ইয়েমেনের শাসন ক্ষমতা চেয়েছিলেন। তখন তিনি এরশাদ করেন যে চাচাজান যদি আপনি নিজেকে কষ্ট থেকে দুরে রাখেন তবে ইটা সেই রাজত্ব থেকে উত্তম যা আপনি বেষ্টন করতে পারবেন না। পিত্রব্বের হিতাকাংখেই তিনি এমন কথা বলেছিলেন। (ইউইয়ায়ে উলুমুদ্দীন ৩ খ ১৪২-১৪৩ নং পৃষ্টা।
এখন আমার কথা হচ্ছে যে উক্ত হাদিসে একজন আনসারী সাহাবী মুসলমানের একটা সামান্য দায়িত্ব নিতে সাহস পান নাই আল্লাহ পাকের ভয়ে। আর যখন ওমর ফারুক বলেন শাসন কাযে এত অনিস্ট থাকলে কে করবে এই কাজ ? তখন আবু যার (রা) বলেন যার নাক আল্লাহ কেটে দিয়েছেন আর গন্ড মাটিতে মিশিয়ে দিয়েছেন। এমন লোক এই কাজ করবে। আচ্ছা যার নাক নাই তার কি সরম আছে ? আর যার গন্ড মাটিতে মিশিয়ে দিয়েছেন আল্লাহ পাক তার কথার দাম আছে ? আর এমন লোকদের দিয়ে আমাদের কি উপকার হতে পারে ? আর জামাতিরা পাগল হয়ে গেছে শাসন কার্যে যেতে। এখন কিছু জামাতি বলতে পারে শেখ হাসিনা আর খালেদা জিয়া এরা কি ভালো ? আমরা তো ওদের চেতে ভালো আছি। একটু হলে ও ধর্মের কথা বলি। ওরা তো তা ও বলে না।
জবাব হচ্ছে যে তাদের মাঝে না আছে হায়া আর না আছে সরম। তারা রাজনীতি করে কিন্তু ধর্মের নীতির বুলি ঝাড়ে না। তারা ধর্মের কথা বলে মানুষের ইমোসনাল বিসয় টানা টানি করে না। কিন্তু তোমরা এতই জঘন্য যে ওদের সকল দোষ তো তোমাদের মাঝে আগে থেকেই আছে তার ওপর তোমরা ধর্ম নিয়ে রাজনীতি করো। তোমরা ধর্ম বেব্শায়ী। তোমরা কোথায় কথায় কোরানের আয়াত দাও। কিন্তু হাদিসে নবী পাক যে ওনার চাচা কে শাসন কাজ থেকে দুরে রাখলেন সেটা তোমরা দেখো না।
তোমাদের অবস্থা খারেজি দের মত। কয়েকটা আয়াতের অপব্র্ক্ষা করে খালি ঘেব ঘেব কর। তোমরা হাদিস দেখ না। আর শোন সবাই জামাতিরা। তোমাদের মাঝে সামান্য ইলম ও নাই তো ধর্মীয় রাজনীতির কথা বল ? এখনো সময় আছে বুঝে সুনে পথ চল। আর জারা মনে মনে জামাত কে সাপোর্ট করো তাদের কে বলছি সাবধান হয়ে যাও এই খারেজি জামাতিদের কাছ থেকে। সব শেষে একটা সায়ের দুয়ে শেষ করতে চাই
হাম হেয় সুন্নি ডরতে নেহি
শের হেয় হাম ,ঘাস চড়তে নেহি
কিছিকা হিম্মত হেয় !!!
তো টাকরায় হামছে
হাম জিন্দা হেয় ওলি ও কা দমছে
বাংলা ;- আমরা সুন্নি , ডরাই না
বাঘ আমরা ,ঘাস খাইনা
কারো হিম্মত থাকলে টক্কর নিক আমাদের সাথে
আমরা বেছে আছি ওলি আওলিয়া দের সহবতে।
জামাতিরা যদি সমজদার হয় তা হলে আশা করব এমন পোস্ট আর পোস্ট করবে না
সোহেল রানা