শনিবার, ১৯ জুলাই, ২০১৪

Porbo 6

(শরীয়াত ও তরিকত কা তালাজুম) পর্ব ৬ 
উক্ত কিতাবের ১৮ নং পৃষ্টা তে দেওবন্দী তাবলিগীদের শায়খুল হাদিস জাকারিয়া সাহেব লিখেছেন যে :-ওনেকে প্রশ্ন করে থাকেন হাদিসে পীর মুরিদীর বিষয় এত বেশী গুরুত্ব দেয়ার পর ও মুজতাহিদ ইমাম গণ এ বেপারে কিছু বলেন নাই কেন ? তাতে মনে হয় ইসলামে পীর মুরিদীর তেমন কোন গুরুত্ব নাই। যদি সত্যি গুরত্ব থাকত তা হলে মুজতাহিদ ইমামগন অবশ্যই কিছু না কিছু বলতেন।  

এই প্রশ্নের উত্তরে জাকারিয়া সাহেব বলেন যে তাসাউফ ও পির মুরিদীর বিষয় চার ইমামের যে কথা গুলো বর্ণিত করা হয়েছে (পর্ব ৩,৪,৫,দেখুন ) তা মনে হয় আমাদের জানা নেই। আর জানা থাকলে ও তা মানার মত মানুষিকতা আমাদের নেই। 
ইমামগন থেকে পীর মুরিদীর সপক্ষে এত সক্ত ও কঠিন সব্দ ও এর চেয়ে স্পস্ট ভাষা শুনেও যদি যথেষ্ট মনে না হয় তা হলে বুঝতে হবে কপালে ইসলাম আছে কিন্তু ইমান ও হেদায়াত নাই।  এ ধরনের মানুষ নবীর জামানায় ও ছিল এখন ও থাকা অসম্ভব কিছু না।  

পৃষ্টা নং ১৯ তে লিখেছেন যে মুজতাহিদ ইমামগণ সব ধরনের হাজিস নিয়ে কথা বলেন না। তারা সুধু জাহেরী ফেকাহ নিয়ে আলোচনা করেন। যে বেপারে কোরান পাকের মাত্র ৫০০ আয়াত ও হাদিস থেকে মাত্র ৩০০০ হাজার হাদিস থেকে আলোচনা করেন।  অথচ কোরানে পাকে ৬৬৬৬ টা আয়াত ও হাদিসে যে কত হাদিস আছে তা আল্লাহ পাক জানেন।  তবে অলামাগনের মতে মোটা মোটি ৯-১০ লক্ষ্য সহিহ হাদিস বলে পাওয়া যায়।  
সুতরাং এটাই প্রমানিত হলো যে মুজতাহিদ ইমামগণ সকল আয়াত ও হাদিস নিয়ে কথা বলেন না।  আর পীর মুরিদী যেহেতু বাতেনি ইলমের অন্তর্ভুক্ত ও এ বিষয় মানুষের অন্তরের মাসলা মাসায়েলের বেপার সেহেতু মুজতাহিদ ইমাম্গনকে দোষারোপ করা ঠিক না।  সে বিষয় বাতেনি ইলমের ফিকাহ্বিদ গণ ও পির মাশায়েখগণ আলোচনা করে থাকেন। আর রশিদ আহমাদ গান্গুহী তার কিতাব (মাহমুদুস সুলুক )৫২ তে বলেছেন যার পীর নাই তার পির সয়তান।  অর্থাত নবীয়য়ালা তরিকা দেখানোর জন্য যার পীর থাকেনা না তার পীর সয়তান হয়। সে শয়তান তাকে আপন রাস্তায় চালায়। কেননা যে মুরিদ না হয়ে মরবে সে বেইমান হয়ে মরবে। সুতরাং তার পীর সয়তান হলে দোষ কোথায় ? (শরীয়াত ও তরিকত কা তালাজুম ১৯ পৃষ্টা ) 


মেরে পেয়ারে পেয়ারে দেওবন্দী ও। তোমাদের আজাবের এত সুন্দর করে পির মুরিদীর বিষয়টা তুলে ধরেছেন যে আমি অনুপ্রানিত হয়ে তোমাদের সামনে তুলে ধরেছি কয়েকটা পর্ব আকারে। তিনি কত বেধি তাগাদা দিয়েছেন উক্ত কিতাবে। আর ইটা ও বলেছেন যে এত কিছু জানার পর বা শোনার পর ও যদি কবুল না করে পির মুরিদী তো বুঝতে হবে তার কপালে ইমান ও হেদায়াত নাই। আর বার বার বলেছেন যে যার পির নাই তার পীর সয়তান। নবী পাকের হাদিস তুলে ধরেছেন যে মুরিদ না হয়ে মরবে তার মিত্তু বেইমানের  মত হবে। আর কত কথা বা কত দলিল দেয়া লাগবে তোমাদের কে ? নাকি তোমাদের একাবের জাকারিয়া সাহেবের কথায় পূর্ণ হবে যে আমাদের বুঝতে হবে তার কপালে ইমান ও হেদায়াত নেই  .আরে দেওবন্দী রা চিন্তা কর। চলবে সোহেল রানা 

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন