শুক্রবার, ১৮ জুলাই, ২০১৪

ShariyT o tarikat ka talajum porbo 5

চার ইমামের মতে মুরিদ হুয়ার বিসয়। পর্ব ৫ 
হজরত এমাম মালেক (রহ) তার জামানার মুজতাহিদ ইমাম গনের জন্য গর্ব ছিলেন এবং হজরত ইমামে মালেক (রহ) সে যুগের তরিকতের পীর মাশায়েখের ও অতি উত্তম ইমাম ছিলেন। (মুয়াত্তা ইমাম মালেক ২৯২ নং পৃষ্টা ) 
উপরে বর্ণিত কথাটা জাকারিয়া সাহেব তার কিতাব (শরীয়াত ও তরিকত কা তালাজুম ) এর ১৭ নং পৃষ্টায় তুলে ধরেন আর তার বেক্ষা করতে গিয়ে লেখেন যে ;-ইমামে মালেক (রহ) জাহেরী বাতেনি ইলম এর ইমাম ছিলেন এবং সে যুগের অধিকাংশ ওলামাগণের এমাম ছিলেন।  আরো জেনে রাখা প্রজন যে ইমাম শাফেয়ী ও ইমাম হাম্বল (রহ) ইমাম মালেক (রহ) এর ছাত্র ও মুরিদ।অর্থাত মুজতাহিদ ইমামগণ ও তার হাতে বাইয়াত ও মুরিদ হয়ে ও মালেক (রহ) এর সহ্বতে থেকে জাহেরী ও বাতেনি শিক্ষা লাভ করেছিলেন।  তার মূল ইলম হলো নবুয়াতের ইলম যার মাধমে তিনি বিশ্ব বাসীর বড় মুজতাহিদ ইমাম হয়েছিলেন। আর ইমাম মালেক (রহ ) বিসয় নবী পাকের হাদিস আছে যে মানুষ এই ইলম এর তালাশ করতে দূর থেকে দুরে যাবে কিন্তু মদিনার আলেমদের চেয়ে বড় আলেম কথাও পাবে না 

তো সকল মুজতাহিদ গনের কথা থেজে বোঝা যায় যে তরিকত ও শরীয়াত এক ও অভিন্ন।  এর পর জাকারিয়া সাহেব লিখেছেন যে আমরা দুকলম মাদ্রাসা পড়ুয়ারা ইলমের ঠেলায় তরিকত কে চোখে দেখি না।  অথচ মুজতাহিদ ইমাম গণ তারিকাতের ইমাম ছিলেন।  তারা শরীয়াত ও তরিকত কে পার্থক্য করতেন না। তারা উভয় কে সমপর্যায় রাখতেন।  (শরীয়াত ও তরিকত কা তালাজুম ) পৃষ্টা ১৭ 

১৮ নং পৃষ্টায় লিখেছেন যে ঈমাম মালেক (রহ) বলেন যে বেক্তি তাসাউফ ও পীর মুরিদীর ইলম হাসিল করলো কিন্তু জাহেরী ফিকাহ এর জ্ঞান হাসিল করলো না সে জিন্দিক। আর যে বেক্তি জাহেরী ফিকাহ এর জ্ঞান হাসিল করলো কিন্তু তাসাউফের জ্ঞান হাসিল করলো না সে ফাসেক। তবে যে বেক্তি উভয় ইলম হাসিল করলো সেই সত্যিকারের মমিন ও হক্কানী আলেম (ফাতহুল মুল্হিম ১ খ ১৬১ পৃষ্টা ,ফজলুল বাড়ি ১খ ৫৩০ পৃষ্টা ) (ইজাহুল মেশকাত ১খ ৬২ পৃষ্টা )

একটু লক্ষ্য করেন পির মুরিদীর বিসয় মুজতাহিদ এমাম গনের আকিদা ও ধারণা কত কঠোর ও সুউচ্চ ছিল ? ইসলামের প্রথম থেকে আজ পর্যন্ত ইলমে তাসাউফ ও আত্মার ইসলাহ যেহেতু হক্কানী মাশায়েখ এর কাছে বায়েত ও পীর  মুরিদীর মাধ্যমে হাসিল করার নিয়ম রয়েছে। 
জাকারিয়া সাহেব লেখেন যে এই বিসয় আমাদের উচিত হল চিন্তা করা ফিকের করা তৌফিক হলে নবীর তরিকায় মুরিদ হয়ে সুন্নাত অনুযায়ী আমল করা।  অন্যথায় হেদায়াত না থাকলে নবী ওয়ালাদের তাবলিগ পীর মুরিদী অশিকার না করা। পারলে অন্তর থেকে তাদের পক্ষে তা বিপরীতে না যাওয়া।  

এতখিন আমি তাদের আলেম এর কিতাব (শরীয়াত ও তরিকত কা তালাজুম ) জাকারিয়া সাহেবের লেখা কথা ফুল তুলে ধরেছি। ইবিং মুজতাহিদ ইমামের অনেক কথা তুলে ধরেছি। মুজতাহিদ ইমামগণের কথা গুলোকে জাকারিয়া সাহেব কত বেশি গুরত্বের সাথে তার উক্ত কিতাবে তুলে ধরেছেন তা যথা গুলো পরলেই বোঝা যায়। সব শেষে তিনি বলেছেন যে সম্ভব হলে নবীর তরিকত মুরিদ হয়ে সুন্নাত মোতাবেক অমিল করা। আর যদি হেদায়াত নসিব না হয় তা হলে কমপক্ষে নবী ওয়াকাদের তরিকা পীর মুরিদীর বিপক্ষে না যাওয়া।  এই কথা ধারা বোঝানো হয়েছে হেদায়াত না হয় তা হলে। এর মানে হেদায়াত পীর ও মাশায়েখদের কাছেই। আর আমার এই কথা গুলোর যদি সামান্য কারো সন্দেহ হয় তা হলে আমি কিতাবের পেজ দিয়ে কথা বলব আপনাদের সাথে। অনার উক্ত কথা তা এটাই প্রমান করে যে যার সত্যিকারের হেদায়াত হয়েছে সে মুরিদ হয়েছে কোনো না কোনো খানে। যার যার হেদায়াত হয়নি তাদের কে বলেছেন যে হেদায়াত যদি নসিবে না থাকে তা হলে ওদের বিরুদ্ধে বল না।  
এখন বল তোমাদের লালা তেতুল সফির পির নাই। তার মানে তার হেদায়াত হয় নাই এখন ও। আর তোমাদের একটা দেওবন্দী দের ও পীর নাই। তার মানে তোমাদের হেদায়াত এখনো হয় নাই। তার চেয়ে আরো বেআদবি করতেছ তোমরা পির মাশায়েখদের বিরুদ্ধে বলে। তমra  সালা শয়তানের অনুসারী। তোমাদের অকাবের্দের কথা ও তোমরা মান না। দেখ এই হাদিস তা যদি মানতে পারো ! হজরত আনাস (রা) বলেন যে বাতেনি ইলমের অধিকারী পির ও মাশায়েখ গনকে খারাপ বল না।  কেন না তাদের চরিত্র নবী গনের চরিত্রের মত হয়ে থাকে এবং তাদের পোশাক ও নবী গনের পোশাকের মত হয়ে থাকে।  (কাশফুল'খফা ও মুজিলুল ইল্বাস ২ খ ৩৫১ পৃষ্টা।  ) 
 চলবে 
সোহেল রানা 

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন