চার ইমামের মতে মুরিদ হুয়ার বিসয় পর্ব ৪। হজরত ইমাম তাহাবি (রহ) নিজে হানাফি ছিলেন ও শীয় কিতাব তহবি সরিফে ইমাম আবু হানিফা (রহ) পরিচিতি দিতে গিয়ে লিখেন যে ;-হজরত ইমামে আবু হানিফা (রহ) মুজতাহিদ ইমামগণের সর্বপ্রথম ও বড় ইমাম ছিলেন। তিনি গভীর জ্ঞান ও সর্বোচ্চ মর্যাদার অধিকারী ছিলেন। তার বিসয় নবী পাক (সা :) এর ভবিষৎ বাণী ছিল যে ইলম যদি সুরাইয়া তারকার কাছে ও থাকে তবু তিনি হাসিল করবেন। সেই সৌভাগ্য তিনি হাসিল করেছিলেন। তিনি উম্মতে মোহাম্মদীর জন্যগর্ব সরূপ ও সুন্নাতের প্রসার কারী চিল্দ্ন। তিনি সমস্ত মুহাদ্দিস ও ফকিহ্গনের মাথার মুকুট ছিলেন। তিনি দিন্দার পীর ও মাসায়েখ্গনের মহান বেক্তিত্ব ছিলেন। তিনি তাবেইগনের যুগ থেকে কিয়ামত পর্যন্ত আমাদের ও সকল মুসলমানের ইমাম ছিলেন। এবং তিনি একজন সুফী ও পীর ছিলেন ও কুফা বাসী তাবেই ছিলেন। (তাহাবী সরিফ ১খ ৭ পৃষ্টা )
জাকারিয়া সাহেব উক্ত কথা গুলো তুলে ধরে তার কিতাব (শরীয়াত ও তরিকত ক তালাজুম ) এর ১৫ নং পৃষ্টা তে লিখেছেন যে তাহাবি (রহ) হানাফি হওয়ার কারণে হানাফি ফিকাহ মোতাবেক অনেক কিতাব লিখেন। আর কিতাবের ভূমিকায় পরিচয় দিতে গিয়ে জৈনিক আলেম বলেন যে ইমাম আবু হানিফা (রহ) তিনি বাতেনি জগতের পির ও শায়েখ ছিলেন। তিনি কিয়ামত পর্যন্ত মানুষের মধে জাহেরী ও বাতেনি ইলমের মনোব্বর হয়েগেছেন ও থাকবেন। কেননা ওহীর ইলম হল বাতেনি ইলম যা আল্লাহ তালা জিব্রাইল (আ ;) এর সিনার মধ্যে ও জিবরাইল (আ ) এর আইনার মধ থকে নবী পাকের সিনার মধে ঢেলে দেন। যা কিতাব বা খাতা কলমে পরে হয়না। আর এই ইলম যে হাসিল করতে পারেন তারাই সফলকাম হন দুনিয়া ও আখেরাতে। এই সকল লোকদের কে হক্কানী আলেম ,পীর , মাশায়েখ , ও বুজুর্গগণ বলা হয়। ইসলামের প্রথম যুগের মুজতাহিদ এমাম গণ ও বাতেনি ইলম হাসিলের কারণে জাহেরী ও বাতেনি ইলমের এমাম হয়ে আছেন আমাদের জন্য। আমরা বাতেনি ইলম হাসিল করা ছেড়ে দিয়ে জাহেরী ইলম হাসিল করাকে যথেষ্ট মনে করে নিয়েছি ও পির মাসায়েখ্ গনের বিরুদ্ধে ও হক্কানী আলেমদের বিরুদ্ধে অজ্ঞ ফতোয়া দিয়ে রেখেছি। (শরীয়াত ও তরিকতকা তালাজুম ) পৃষ্টা ১৫-১৬।
জাকারিয়া সাহেব এই খানে আরো একটা হাদিস বর্ণনা করেছেন যে :- হজরত আনাস (রা) বলেন যে বাতেনি ইলমের অধিকারী পির ও মাশায়েখ গনকে খারাপ বল না। কেন না তাদের চরিত্র নবী গনের চরিত্রের মত হয়ে থাকে এবং তাদের পোশাক ও নবী গনের পোশাকের মত হয়ে থাকে। (কাশফুল'খফা ও মুজিলুল ইল্বাস ২ খ ৩৫১ পৃষ্টা। )
জাকারিয়া সাহেব উক্ত কিতাবের ১৬ নং পৃষ্টাতে আরো লিখেছেন যে ;-হজরত ইমাম শাফেয়ী (রহ) বলেন যে আমি বাতেনি ইলমের অধিকারী পীর মাসায়েখ্ ও বুজুর্গ গনের খেদমতে গিয়ে অতি উত্তম ২টা জিনিস শিখেছি (১) সময় হলো তলোয়ার। তা দ্বারা যদি তুমি না কাট তা হলে সে তোমাকে কেটে ফেলে দিবে। (২) তোমরা নফস কে যদি নেক কাজে না লাগয়ে দাও তা হলে সে তোমাকে বাতেল কাজে লাগিয়ে দিবে। (অলামাগনের নিকট সময়ের মুল্য ২৫ পৃষ্টা )
এই কথার বেক্খাতে জাকারিয়া সাহেব লিখেছেন যে এমাম শাফেয়ী (রহ) অনেক বড় পির ও শায়েখ ও বাতেনি ইলমের ঈমাম ও বুজুর্গ ছিলেন। কেন না তার অপরের কোথায় প্রমানিত হয় কে তিনি কোনো পীরের কাছে মুরিদ হয়ে শায়েখের সহ্বতে অনেক দিন অতিবাহিত করেছেন ও সেখান থেকে আসল ইমান সহ দ্বীনের অতি অত্তুম বিসয় সমুহ অহিখা করে তিনি এত বড় পীর ,শায়েখ ,বুযুর্গানে দ্বীন এর পাশা পাশি এখন মুজতাহিদ ইমামে পরিনত হতে পেরেচিলেন। প্রসিদ্ধ চার ইমামি পীর ছিলেন ও তারা বাতেনি ইলমে পারদির্শী হওয়ার পর জাহেরী ইলম ও ফেকাহ শাস্ত্র নিয়ে কথা বলেছেন।( শরীয়াত ও তরিকত কা তালাজুম ) ১৭ নং পৃষ্টা
আরে ও দেওবিন্দী ও !!!!!!! তোমরা আমাদের কে পির পুজারী বল ভন্ড বল ? দেখো তোমাদের অকাবের্গন কত তাগাদা দিয়েছে মুরিদ হওয়ার বিসয় !!!! তবু তোমরা কথা শোন না। দিন দিন ইসলাম কে বিকৃত করা হচ্ছে তোমাদের কাজ। তোমাদের সকল অকাবেরের পির ছিল। তোমাদের একটার ও পির নাই। আর তোমাদের আলেম রশিদ আহমাদ গান্গ্গুহী তার কিতাব (মহমুদুস সুলুক ) ৫২ নং পৃষ্টা তে লিখেছেন যে (যার পির নাই তার পির সয়তান ) . এখন বল তোমাদের তেতুল সফির পীর নাই ! তো তার পির কে ? তোমাদের সকল বেদাতি ভন্ড তাবলিগীদের পির নাই !!! তো কে তাদের পির ? নবী পাকের হাদিস এ সয়তানের সিং এর বিসয় বলা আছে যে এদের কথায় কোরানের আয়াত ঝরবে কিন্তু করনের ইলম তাদের গল্গন্দের নিচে যাবে না ও এদের ভিতর থেকে ইলম এমন ভাবে বের হয়ে যাবে যেমন তা তীরের সামনে থেকে শিকার বেরিয়ে যায় এবং একটার পর একটা দলের সৃষ্টি হবে ও শেষের দলটি দাজ্জাল এর সাথে গিয়ে মিলিত হবে। তোমরা কি সত্যি দাজ্জালের দিকে যাচ্ছ ? তোমাদের আকাবেরের কথা মান্য কর। তাতেই তোমাদের জন্য উত্তম নিহিত আছে। চলবে
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন