বৃহস্পতিবার, ১৪ জুলাই, ২০১৬

জাকির নায়েকের কোন ক্ষতি করবে না ভারত সরকার

যাকির নায়েকে’র একটা চুল কেউ বাকা করতে পারবে না কারন , জাকির নায়েকের পৃষ্টপোষক সৌদি, আরব আমিরাত, ওমান, বাহরাইন সহ
ওহাবি ধনী দেশ গুলো । আর এই সকল দেশের শেখদের সাথে যাকির নায়েকের সম্পর্ক কেমন তা জানার বাকি খুব কম লোকেরই আছে ।

আর মজার কতা হল ভারত হিন্দু প্রধান দেশ হওয়ার পরেও ভারতের সাথে সম্পর্ক এক নতুন মাত্রায়। আর শুধু সেই কারণেই ভারত জাকির নায়েক এর কোন ক্ষতি হয় এমন কোনো কাজ করবে না।

বাংলাদেশের মত দেশ শত কোটি বার বললেও জাকির নায়েকের কিছুই করা সম্ভব নয় ভারতের পক্ষে। কারণ ভারতের মত দেশের প্রধান বৈদেশিক মুদ্রার একটা বিশাল আংক আসে আরব দেশ গুলো থেকে। আর ভারত সরকার যা কখনই হাত ছাড়া করতে চাইবে না।

বাংলাদেশের মত একটা মুসলিম প্রধান দেশের ভিসা অনেক আরব দেশেই বন্ধ। কিন্তু ভারতের জন্য কখনই বন্ধ করা হয় নাই।


আর অন্য দিকে আরব দেশ গুলো ইরান থেকে নিজেদের রক্ষার জন্য বিগত দিনে পাকিস্তানের উপর ভরসা করেছিল। কিন্তু ইয়েমেন ও সিরিয়া ইস্যুতে সৌদি সহ আরবজোট পাকিস্তানের থেকে সাহায্য চেয়েছিল।

আর ইয়েমেন ও সিরিয়ায় যেহেতু ইরান এর মদদে শিয়া বাসার সরকার হুথি বিদ্রোহীগন যুদ্ধ চালিয়ে যাচ্ছে সৌদির তৈরি কথিত আই এস আই এস ও সৌদি সমর্থিত সরকারের বিরুদ্ধে ,
অন্যদিকে পাকিস্তান ইরান পাশাপাশি দেশ হওয়ায় তাদের মাঝে সুসম্পর্ক বিদ্যমান থাকায় পাকিস্তান না করে দেয় সৌদি জোট এ যোগ দিয়ে ইয়েমেন সিসিরিয়া হামলা করতে।

তাই সৌদি শ সকল দেশ এখন পাকিস্তানের উপর ভরসা কম করে ভারতের সামরিক শক্তির দিকে চোখ দিচ্ছে যা থেকে সুবিধা লাভ করা যায়।

কিন্তু কিছুদিন আগে ভারত যখন আফগানিস্তান ও ইরান এর সাথে সমুদ্র বন্দর বেবহার নিয়ে চুক্তি করে তাতে আবার ও সোদি সহ আরবদের মাথা বেথা শুরু হয়। তবুও কোন দেশ ভারতের সাথে কোন খারাপ আচরণ করে নাই নিজ স্বার্থে।


আর আমার এই সামান্য বিবেক দিয়ে এটা বলতে পারি জাকির নায়েকের কিছুই করা সম্ভব নয় যতদিন ভারতের সাথে আরবদেশ গুলোর সুসম্পর্ক বিদ্যমান থাকে।


(১) জাকির নায়েকের নিজ মুখে শুনুন কত মিলিয়ন টাকা পেলো https://youtu.be/8pcoQ4nUojY

(২) কিং ফয়সাল এওয়ার্ড http://www.arabnews.com/news/699326

(৩) মোদীর সৌদি সফর https://www.dailyjanakantha.com/details/article/183639/সৌদি-আরবে-মোদি

(৪) পাকিস্তান কে এড়িয়ে কিভাবে আরবগন ভারোতকে নিজের স্বামী হিসেবে কবুল করতে চাইছে তা দেখহুন বিস্তারিত http://www.bd-pratidin.com/editorial/2016/06/13/150692


এ অবস্তায় জাকির নায়েকের কিছুই করা সম্বব নয় ।


আর আমরা বলি isis ইসরাইলের তৈরি। আর ভারতের সাথে ইসরাইলের সম্পর্কের কথা বলার দরকার মনে করছি না


সোহেল রানা

শুক্রবার, ৮ জুলাই, ২০১৬

নুশরুত্বিব কিতাবে থানভীর সাক্ষী নবি নুর

abdus salam নামের যে একটা দেওভুত আছে , তা সবারই জানা।  বিগত দিনে তারে নাকানি চুবানী এতো দিয়েছি যে  আজ আমার পোস্টে আসার হিম্মত করে না( কোন ছাগলের দুধ পান না করে যদি তার হালাল গর্ভধারিনী মায়ের দুধ পান করত ত্বর ঠিকই হিম্মত করত এ,আর সাথে চ্যালেঞ্জ এ ০ 


 কিন্তু দূরে থেকে ঠিকই তার নিকৃষ্ট কার্য্কলাপ কন্টিনিউ রাখে। আর যদি বলি আসো  মাঠে দেখা যাক , তখন বিড়ালের মত গাছে ঝাঁপ মেরে চড়ে  বসে থাকে।  

এস শয়তানের কাজ হল ফেতনা সৃষ্টি করা , হকের মোকাবেলা করা নয়।  
 

কিন্তু সে হয়তো ভুলে গেছে যে , 
আল্লামা গুফরানা মাহমুদ শিয়ালভি বলেন 

উসুল জিন্দা হেয় হার যে উসুল কি লিয়ে।  

বাংলা হল ;- হক জীবিত আছে প্রতিটা মিথ্যার জন্য।  

বিষয় হল নূর নিয়ে।  অনেক দিন আগের পট তার আজ চোখে  পড়ল , 
সে পোস্ট প্রসব করেছে নবী (সা) মাটি দিয়ে তৈরি তার সেই সকল বানোয়াট দলিল গুলো।  

কিন্তু মজার কথা হল তাদের  মোজাদ্দেদ এ জামান হেকিমুল উম্মাত জনাব ওয়ালা আশরাফ আলী থানবী তার কিতাব নুশরুত-ত্বীব  এ নবী (সাঃ) এর সৃষ্টিগত উপাদান বর্ননা করেছেন।  তা আল্লাহর নূর এর নির্যাস , 

দেখুন হাদিস খানা ;-  
নূরে মোহাম্মদীর বিবরণ ;- আব্দুর রাজ্জাক তার সনদ সহ হজরত জাবের ইবনে আব্দুল্লাহ থেকে বর্ননা করেছেন যে ;- আমি আরজ করলাম , ইয়া রাসূলুল্লাহ ! আমার পিতা মাতা আপনার জন্য কুরবান হোক , আমাকে এই খবর দিন আল্লাহ তায়ালা সর্ব প্রথম কোন বস্তুটি সৃষ্টি করেছেন।  

প্রিয় নবী (সা) এরশাদ করেন ; হে জাবের  আল্লাহ পাক সর্বপ্রথম তোমার নবীর নূর কে নিজের নূর থেকে সৃস্টি করেছেন।  সেই নূর আল্লাহ পাকের কুদরতে তার ইচ্ছানুযায়ী ভ্রমন করছিলো। আর সে সময় লওহ কলম বেহেস্ত দোজখ কিছুই ছিল না।  এমনকি সেই সময় আসমান জমিন চন্দ্র সূর্য জীন  ইনসান কিছুই ছিল না ( নুসরুত-ত্বীব পৃষ্টা নং ১১ ) দেওবন্দীদের মোজাদ্দেদ আশরাফ আলী থানবীর লেখা কিতাব।  



উপরে ১ নং ফটোতে  কিতাবের নাম ও লেখকের নাম দেখুন।  
(২) নং ফটোতে  দেখুন হাদিস খানা 
আর ৩ নং ফটো দেখুন আব্দুস  শয়তানের  পোস্ট।  


যে সন্তানরা পিতার অবাদ্ধ হয় লোকে তাদের কে জারজ  বলে।  
শিক্ষকের অবাদ্ধ হলে তারে কি বলা যাবে ? 

note ;- আব্দুস সালাম নবী সা কে মাটির তৈরি ও তার মত  মানুষ প্রমান করতে কমরে গামছা বেঁধে চেষ্টায় রত সেই ৪ বছর থেকে দেখছি , অথচ তাদের আলেম আশরাফ আলী থানবী সাক্ষী দেয় আমাদের নবী (সাঃ) কে আল্লাহ তায়ালা যখন তৈরি করেছেন তখন আসমান যমীন  চাঁদ  ছিল না , তখন আল্লাহ মাটি কোথায় থেকে নিয়ে আসলো ? 

মনে আব্দুস সালাম তখন মাটি দিছিলো ( নাউযুবিল্লাহ ) 


আব্দুস সালাম নিজেকে নবীর মত বানাতে চায় , হাজার পোস্ট আছে হয়ত তার নবী আমাদের মত মানুষ , 

তার উল্টা কি সে নবীর মত।  

আরে তোর মত যারা গান্দা  নালীর কীড়া  আছে তারাই নিজেকে নবীর মত আর নবী (সাঃ) নিজের মত মানুষ মনে করে।  কোনো হালালের ঘরের সন্তান নিজেকে নবীর মত ও নবী কে তার নিজের মত মনে করে না।  

এখন বল আশরাফ আলী থানবীর বিষয় কি ফতোয়া দিবে ? 

আশরাফ আলী থানবী একজন মূর্খ মাজার পূজারী আমাদের মত মুশরিক আকীদা ছিল তার যার কারণে নবী (সাঃ) কে নূর বলে কিতাবে উল্লেখ করেছেন , তাই নয় কি ? 

দে দেখি এমন ফতোয়া কোন তেতুলের জন্ম তুই।  

আর যদি দিতে না পারো এমন ফতোয়া তবে তবে কর এমন আকিদা থেকে যে আকিদা তোমাকে সাহস যোগায় নিজেকে নবীর মত মনে করতে  . 

মেনে নাও তোমাদের আলোম ও মোজাদ্দেদ আশরাফ আলী থানবীর কিতাবের কথা আমাদের নবী নূর হী  নূর 


সোহেল রানা 





মঙ্গলবার, ৫ জুলাই, ২০১৬

মদিনা হামলাকারি মুসোলমান নয় , হাদীস থেকে প্রমান

শুরু করব কি দিয়ে চিন্তা করছি শুধু।  


পবিত্র মদিনা শরীফে আত্মঘাতী হামলা , কিন্তু করা এরা ? মুসলিম !!!!!!!!!

যারা কালো পতাকায় লেখা ""আল্লাহ "" রাসূল '''মুহাম্মাদ এর ব্যানার নিয়ে হাতে বন্দুক নিয়ে দাঁড়িয়ে থাকে সেই সকল মুসলিম
তারা কি আসলেই মুসলিম
দেখা যাক তারা কেমন মুসলিম।  

তার আগে  মদিনা শহর  যারা হামলা করল , মানুষ মারল সেই মদিনা সম্পর্কে কিছু জেনে নেয়া যাক বিষয় ---
আল্লাহ সুবহানু  তায়ালা পবিত্র কোরান মদিনা শরীফের নাম   বার নিয়েছেন যথা ::
(সূরা তাওবাহ: ১০১,
()সূরা তাওবা  ১২০,
()সূরা আল আহযাব: ৬০
(সূরা আল-মুনাফেকুন:

 আর হাদীসে নামটি অসংখ্যবার এসেছে।

মদিনার আরেকটি নামত্বাবাহ ইমাম মুসলিম জাবের রাদিয়াল্লাহু আনহু থেকে বর্ণনা করেন যে, রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন,

«إِنَّ اللَّهَ تَعَالَى سَمَّى الْمَدِينَةَ طَابَة»

‘‘আল্লাহ তায়ালা মদিনাকেত্বাবাহনামে নামকরণ করেছেন।’’ [সহীহ মুসলিম, হাদীস নং ৩৪২৩]

শহরের অন্যতম আরেকটি নাম হলত্বাইবাহবাত্বাইয়েবাহ ইমাম মুসলিমের আরেকটি বর্ণনা এসেছে, রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন,

«هَذِهِ طَيْبَةُ هَذِهِ طَيْبَةُ هَذِهِ طَيْبَة»

‘‘ নগরী হল ত্বাইবাহ, ত্বাইবাহ, ত্বাইবাহ’’ [সহীহ মুসলিম, হাদীস নং ৭৫৭৩]

ত্বাবাহ ত্বাইবাহ কিংবা ত্বাইয়েবাহ শব্দগুলোর অর্থ হল পবিত্র বা উত্তম।

আরো যে সব নামে মদিনাকে অভিহিত করা হয় তম্মধ্যে রয়েছেআদ-দার’, ‘আল-হাবীবা’, ‘দারুল হিজরাহ’, ‘দারুল ফাতহইত্যাদি।

আর জাহেলী যুগে মদীনার নাম ছিলইয়াসরিব কিন্তু নবী করীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম নামে শহরটিকে অভিহিত করতে অপছন্দ করেছেন। ইমাম বুখারী মুসলিম বর্ণনা করেন, রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন,

«أُمِرْتُ بِقَرْيَةٍ تَأْكُلُ الْقُرَى يَقُولُونَ يَثْرِبُ وَهْيَ الْمَدِينَة»

‘‘আমাকে এমন এক জনপদে হিজরত করার নির্দেশ দেয়া হয়েছে যা অন্য সব জনপদকে গ্রাস করবে। লোকজন একে ইয়াসরিব বলে। অথচ এটি হল মদিনা’’ [সহীহ বুখারী - ১৮৭১ সহীহ মুসলিম-৩৪১৯



তো এই হল মদিনার সামান্য বর্ননা।  

আমাদের নবীর কারণে মদীনা মনোয়ারা হয়ে গেলো,  যে পাপিষ্ট শহর ইয়াসবির পবিত্র হল , যে নবীর কারণে মদীনা মুসলমানের দ্বিতীয় হেরেম হল , সেই মদিনায় যারা হামলা করল তারাকবে মুসলমান ছিল ? 

 তা একটু দেখে নেয়া যাক



বুখারী শরীফে হাদীস নং ১৭৪৬
আবু নুমান রহ……….আনাস ইবনে মালিক রা. থেকে বর্ণিত যে নবী করীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন : মদীনা এখান থেকে ওখান পর্যন্ত হারম (রূপে গণ্য) সুতরাং তার গাছ কাটা যাবে না এবং কুরআন-সুন্নাহর খেলাফ কোন কাজ মদীনায় করা যাবে না। যদি কেউ কুরআন-সুন্নাহর খেলাফ কোন কাজ করে তাহলে তার প্রতি আল্লাহর লানত এবং ফেরেশতাদের সকল মানুষের।  

বোম্ব মারা তাও আবার আত্মঘাতী হামলা এটা কোন কোরান সুন্নাহর আমল করল তারা একটু জানবেন কি


আরো দেখুন 
বুখারী শরীফ হাদীস নং ১৭৪৯
মুহাম্মদ ইবনে বাশশার রহ………আলী রা. থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, আমাদের নিকট আল্লাহর কিতাব এবং নবী করীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম থেকে বর্ণিত, এই সহীফা ছাড়া আর কিছুই নেই। তিনি আরো বলেন, আয়ির নামক স্থান থেকে অমুক স্থান পর্যন্ত মদীনা হল হারম। যদি কেউ এতে কুরআর-সুন্নাহর খেলাফ অসঙ্গত কোন কাজ করে অথবা কুরআর-সুন্নাহর খেলাফ আচরণকারী কে আশ্রয় দেয়, তাহলে তার উপর আল্লাহর লানত এবং সকল ফেরেশতা মানুষের। সে ব্যক্তির কোন নফল এবং ফরয ইবাদত কবুল করা হবে না। তিনি আরো বলেন, মুসলমান কর্তৃক নিরাপত্তা দানের অধিকার সকলের ক্ষেত্রে সমান। তাই যে ব্যক্তি কোন মুসলমানের দেওয়া নিরাপত্তাকে লংঘন করবে, তার প্রতি আল্লাহর লানত এবং সকল ফেরেশতা মানুষের। আর কবুল করা হবে না তার কোন নফল কিংবা ফরয ইবাদত। যে ব্যক্তি তার মাওলার (মিত্রের) অনুমতি ব্যতীত অন্য কওমের সাথে বন্ধুত্ব করবে, তার প্রতিও আল্লাহ লানত এবং সকল ফেরেশতা মানুষের। তার নফল কিংবা ফরয কোন ইবাদতই কবুল করা হবে না। আবু আবদুল্লাহ রহ. বলেন, ‘আদলুনঅর্থ বিনিময়।

এখন কথা হল যারা মদিনা শহরে অন্যের নিরাপত্তা নষ্ট করে মানুষদের কে হত্যা করে তারা কেমন মুসলিম
নাকি ইহুদিদের এজেন্ডা বাস্তবায়নে বেস্তা তারা।  

বুখারী শরীফের ১৭৫৪ নং হাদিসে আবদুল্লাহ ইবনে ইউসুফ রহ…….সুফিয়ান ইবনে আবু যুহায়র রা. থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, আমি নবী করীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম -কে বলতে শুনেছি : ইয়ামান বিজিত হবে, তখন একদল লোক নিজেদের সাওয়ারী হাঁকিয়ে এসে স্বীয় পরিবার-পরিজন এবং অনুগত লোকদেরকে উঠিয়ে নিয়ে যাবে। অথচ মদীনাই ছিল তাদের জন্য কল্যাণকর, যদি তারা জানত। এরপর ইরাক বিজিত হবে তখন একদল লোক নিজেদের সাওয়ারী হাকিয়ে এসে স্বজন এবং অনুগতদেরকে উঠিয়ে নিয়ে যাবে, অথচ মদীনাই তাদের জন্য ছিল কল্যাণকর, যদি তারা জানত।


এই মদীনা কে আমাদের নবী কত গুরুত্ব দিত উপরের হাদিস থেকে বুঝা যায়।  

এই মদীনায় মসজিদে নববীর পাশে যারা হামলা করে নিরীহ মানুষ মারে তারা কেমন মুসলমান


এটা কিয়ামতের আলামত নয়

নজদীদদের বিষয় হাদিসে পায় যায় আমার নবী (সা) বলেছেন তারা মুসলমান হয়ে মুসলমানদের কে হত্যা করবে কাফের দেড় সাথে বন্ধুত্ব করবে , তাদের কথায় কথায় কোরানের আয়াত ঝরবে কিন্তু কোরানের জ্ঞান তাদের কণ্টনালী অতিক্রম করবে না , তাদের মধ্যে  থেকে ইলম এমন ভাবে বেরিয়ে যাবে যেমন তীরের সামনে থেকে শিকার বেরিয়ে যায় অন্য বর্ননায় এসেছে শিকার ভেদ করে তীর বের হয়ে যায়।  

আজ যদি আমরা দেখি , তবে আই  এস এই  এস বা জট জঙ্গি আছে তারা মুসলমান হয়ে মুসলমানদের রক্তে হাত রণজিৎ করেছে আর কাফেরদের সাথে বন্ধুত্ত করেছে গোপনে বা প্রকাশ্য।  
তারা কথায় কথায় কোরান বলে আর করণের অপবেক্ষা করে।  

 এটা কিয়ামতের একটা আলামত যে আল্লাহ তায়ালা ইলম তুলে নেবেন।  

বুখারি হাদিস নং ৮০ 
ইমরান ইব্ন মায়সারা () …….. আনাস (রা) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ্ (সাঃ) বলেছেন যে, কিয়ামতের কিছু নিদর্শন হলঃ ইলম লোপ পাবে, অজ্ঞাতার বিস্তৃতি ঘটবে, মদপান ব্যাপক হবে এবং ব্যভিচার ছড়িয়ে পড়বে।

আজ যদি আমরা তাদের ইলম ইসলামের মানদন্ডে দেখি তবে অবসোস হয় বলতে যে কোরানের সেই আয়াত (গাধা কিতাব বহন করছে ) অবস্থা দেখতে পাই।  তারা শুধু কিতাব বহন করছে কিন্তু আল্লাহ তায়ালা তাদের কে জ্ঞান কে বিমুখ মাহরূম রেখেচেন।  


 বুখারি হাদিস ০৮১
মুসাদ্দাদ () …….. আনাস (রা) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, আমি তোমাদের এমন একটি হাদীস বর্ণনা করব যা আমার পর তোমাদের কাছে আর কেউ বর্ণনা করবেন না। আমি রাসূলুল্লাহ্ (সাঃ)কে বলতে শুনেছি যে, কিয়ামতের কিছু নিদর্শন হলঃ ইলম কমে যাবে, অজ্ঞতার প্রসার ঘটবে, ব্যভিচার ছড়িয়ে পড়বে, স্ত্রীলোকের সংখ্যা বেড়ে যাবে এবং পুরুষের সংখ্যা কমে যাবে, এমনকি প্রতি পঞ্চাশজন স্ত্রীলোকের জন্য মাত্র একজন পুরুষ হবে তত্ত্বাবধায়ক।


আজ আসলে ইলম কমে শুন্যের কোটায় চলে এসেছে আর অজ্ঞতায় দুনিয়া ভরে।  
পথে ঘটে এখন মুফতি আর মুফাস্সির দেখা মেলে , টেলিভিশনের পর্দায় আজ পি এইস  ডি অর্জন করা যায়।  


অবাক করার মত হাদিস হল 
বুখারির ৮৫ নং হাদিস খানা 
মাক্বী ইব্ন ইবরাহীম () …….. আবূ হুরায়রা (রা) থেকে বর্ণিত, নবী করীম (সাঃ) বলেনঃ (শেষ যামানায়) ‘ইলম তুলে নেওয়া হবে, অজ্ঞতা ফিতনার প্রসার ঘটবে এবংহারাজবেড়ে যাবে। জিজ্ঞাসা করা হল, ইয়া রাসূলুল্লাহ্! ‘হারাজকি? তিনি হাত দিয়ে ইশারা করে বললেনঃ রকম।যেন তিনি এর দ্বারাহত্যাবুঝিয়েছিলেন।

 আজ যদি দেখি তবে আমাদের অজ্ঞতার কারণে হত্যার আর হিসেবে করতেও পারছিনা
আমাদের অজ্ঞতার পরিমান এতো বেশি হয়ে গেছে।  

যারা আজ দুনিয়ার বুকে হত্যা বোম্বারি করছে ফেতনা সৃষ্টি  করছে , যারা পবিত্র মদীনায় বোমা হামলা করে হেরেমের পবিত্রতা নষ্ট করছে , তারা আর  যায় হোক মুসলমান না।  

আমাদের বাংলাদেশে আই  এস  আই  এস এর সমর্থক দেখা যায় ফেসবুক ,তাদের তাওবা করা উচিত , তাদের ফিরে আসা উচিত সঠিক পথে , সারা দুনিয়ার জতো  জঙ্গি আছে তাদের  এমন বর্বরতা ছেড়ে তবে করা উচিত।  


কিন্তু না তারা ফিরে আসবে না , এটাই সত্যি ,  

কারন সাইয়েদ আলাভী (রহ) বর্নানা করেন যে , যখন আমি ইমামুল মুফাচ্ছেরিন আব্দুল্লাহ ইবনে আব্বাস (রা) এক যিয়ারতের জন্য বের হলাম তায়েফ পৌঁছলাম , তখন আল্লামা তাহের সম্বুল হানাফি ইবনে আল্লামা শায়েখ মোহাম্ম্দ সম্বুল শাফেঈ (রহ) সাথে সাক্ষাত ঘটে তখন তিনি বলেন আমি দলটির খন্ডনে একটা কিতাব রচনা করেছি নাম দিয়েছি (ইন্তাসারুল আওলিয়া-ইল আবরার

আশা করছি যে , যে লোকের ভিতর নজদি বিদয়াত ঢুকেছে , তার সফলতার আশা করা যায় না , কারন  বুখারী শরিফে বলা হয়েছে যে তারা দ্বীন থেকে এমন ভাবে বের হয়ে যাবে যে তারা ফিরে আসবে না (আদ-দুরুসুস স্যানিয়া ) পৃ ৯০

 তো আমাদের বুযুর্গানে দ্বীন যারা ছিলেন তারা বলে গেছেন তারা ফিরে আসবে না তাদের মতামত থেকে , সো তাদের ফিরে আসার আশা  করা নিরর্থক বৈকি ককিছুই নয়।  

শুধু আশা  ঈমান নিয়ে কবরে যেতে পারলেই হয়।  


 সোহেল রানা