রবিবার, ৩ জুলাই, ২০১৬

মজলিসে গাজালী ;----
একদিন  এক দরবেশ আমাকে বলিলেন আমি এক নাগাড়ে ৪০ বৎসর সাধনা করিয়া আল্লাহর ইবাদত বন্দেগীতে  ডুবিয়া রহিয়াছি / কিন্তু এই দীর্ঘ সময়ে এমন কোনো নূর বা উন্নতি দেখিতে পারি নাই যাহা ৪ টি বিষয় অবলম্বন করিয়া দেখিতে পাইয়াছি       /    তা হল ;-- কম খাওয়া , কম কথা বলা , কম নিদ্রা যাওয়া ও লোকের সাথে কম মেলা মেশা করা /    এই নিয়ম মুখ্য ব্রত হিসাবে গ্রহণ করার পর আমি আকাশের দিকে তাকাইলে আল্লাহর আরশ পর্যন্ত দেখিতে পাই / ইহাতে আমার দৃষ্টিতে কিছুইঅন্তরায় হইয়া দাঁড়ায় না / আর যখন মাটি দিকে দেখি তখন সপ্তম জমিনের কোনো কিছুই গোপন থাকে না আমার কাছে /




প্রকৃতপক্ষে দরবেশ তো তাহারাই যাহারা কথা বলা কম করিয়া দিয়েছেনও বোবায় পরিণত হইয়াছেন।  লতা পাতা চিবাইয়া জীবন ধারণ করেন।  এবং লোক সমাগমকে কোলাহল তুল্লো  মনে করেন।  এই গুণাবলী অর্জন করার পরই  আল্লাহর আল্লাহর সান্নিদ্ধ লাভের মর্তবায় উপনীত হয় যায়।


মজলিসে গাজালিতে ইমাম গাজালী (রহঃ) বলরন যে , জালেমদের হাত থেকে রক্ষা করিয়া যখন ঈসা  (আঃ ) কে চতুর্থ আসমানে নেয়া হল , তখন আল্লাহ তায়ালা নির্দেশ দিলেন তাকে এখানেই রাখো।  কেননা এখন ও তাহার  নিকট পার্থিব সুখ -সম্পদের বস্তু রহিয়াছে।

 হজরত ঈসা (আঃ ) এই বাণী শুনে বিস্মিত হলেন ,এবিং লক্ষ করিতে লাগিলেন যে পার্থিব সুখ-সম্পদের কোন বস্তু ওনার নিকট অবশিষ্ট  আছে। তখন দেখিতে পাইলেন একটা সুই ও এক পেয়ালা চর্বি  রহিয়াছে (আমি সোহেল সোহেল রানা অন্য বর্ননায় পড়েছিলাম গোসলের সময় শরীরে  যে লোটা  থাকে তা হজরত ঈসা (আঃ ) এর সাথে ছিল ). //// তখন ঈসা (আ) বললেন হে পরওয়ারদেগার , এখন আমি ইহা  কি কৰিব।

তখন এরশাদ হইল , তুমি তোমার পায়ে কুঠারাঘাত করেছো।  তুমি কি উহা পৃথিবীতে ফেলিয়া আসিতে পারো নাই? সুতরাং সেখানেই অবস্থান কর , আর সামনে অগ্রসর হইতে পারিবে না।
রেফারেন্স ( মজলিসে গাজালী , ইমাম গাজালী রহঃ , পৃষ্টা নং ৯-১০ )

এখন মূল কথা হল আমার ভাই, আমাদের আলেমরা বক্তব্য যেই ধরে ছাড়ার নাম তখন নেয় যখন দুই  দাঁতের চোঁয়ালের মারামারিতে দাঁতের বেথা শুরু যখন ।  আগে থেকেই কন্টাক হয় আমি গেলে ২ ঘন্টা বক্তব্য দেয়ার সময়  দিতে হবে।  এমন ও মৌলভী আছে যারা প্রধান অতিথি না বানালে মাহফিলের দাওয়াত কবুল ও করবে না  যাবে ও না।  এসি কার আরো সেই রকম বেবস্থা থাকা লাগবে ।  হুজুরের খাবারের কথা কি বলবো বাবা।  সেটা পেট বললেও চলে  হায়  হায়  বললেও চলে।  সালামি বা নাজরানা বা বক্তব্যের মূল্য বা ভিজিটের  কথা তো সবারই জানা আছে। এমন যদি হয় আলেম তারা সারাজীবন মানুষকে ইসলামের দিকে ডাকলেও একজন কে ইসলামের মূল ধারায় পরিচালিত করযে  পারবেন  না।

আল্লামা সোহায়েল তসতরী (রহঃ )  কে কিছু মানুষ জিজ্ঞেস করল হজরত আপনি  বক্তব্য রাখেন না কেন কোথাও ?

আল্লামা সোহায়েল তাসতরী (রহঃ ) বলেন যে আমি নিজে দুনিয়া থেকে নিজেকে আলাদা করতে পাই নাই , তো আমি কি করে অন্যকে ডাকতে পারি ? কি করে অন্যের সামনে বক্তব্য রাখতে পারি ?

আর যাদের ভুরি দেখলে মনে হয় মহিশের ভুরি তারা করে ওয়াজ !

নিজেকে আগে দুনিয়া থেকে আলাদা করে এর পরে অন্যদের কে ইসলামের দিকে ডাক দেয়া উচিত

সোহেল রানা


কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন