শুক্রবার, ১৩ মার্চ, ২০১৫

প্রতিবাদ সভা কি শরিয়াত সম্মত ?

ওনেক দিন কোন বিশদ আকারে পোষ্ট করা হয় না । 
আজকে দেশের এই অন্তিম মুহুর্তোতে কিছু কথা না বলে পারছি না । 
অভিজিৎ নামের এক জন নাস্তিক মরেছে , তো তার জন্য হাজার নাস্তিক দেশে মিছিল করছে , আর ইসলাম পন্থি যারা আছে তারাও আবার তাদের বিরুদ্ধে মিছিল করছে মিটিং করছি মাথায় টুপি ও পাগরি পরে । 

তোমাদের কি এতই খারাপ দিন এসে গেছে ? যে  তোমরা নাস্তিক দের জবাব নাস্তিক দের তৈরি করা তরিকা হরতাল মিছিল মিটিং করে দিতেছ ? 

তোমাদের প্রতিবাদের  তরিকা যদি হয় সেই বে-দ্বীন ও নাস্তিক দের মতই তা হলে তোমাদের উন্নতি না বরং হবে অবনতি হবে দিন দিন । 

নাস্তিক দের বিরুদ্ধে সবার আগে বিশাল আকারে প্রতিবাদ সভা করল পেটের দায়ে বাংলার তেতুল ।৩০ কোটি টাকার জমির জন্য এত দিন লালা ঝড়ীয়েছে আর যখন পেয়ে গেল তখন চুপ আর কোন কথা নাই । 
যাই হোক লালা সফী কিন্তু যে ভাবেই হোক না কেন নিজের মুখ থেকে যার জন্য লালা পড়ত তা ঠিকই বুঝিয়ে  নিয়েছে । 

একটু দেখা যাক কি বলা আছে তাদের কিতাব গুলোতে :-
আন্দোলন :-  বর্তমান কালের আন্দোলন গুলোতে লাভের চেয়ে ক্ষতি বেশি । আর নিয়ম হল,  ক্ষতির চেয়ে লাভ বেশি হলে ক্ষতি কেই বেশি প্রাধান্য দিতে হবে । আর যে কাজে মন্দ বেশি সে কাজ কি ভাবে যায়েজ হতে পারে ? ভালের সাথে মন্দ মিশ্রিত করলে মন্দই সৃষ্টি হয় (মালফুজাত এ হাকিমুল  উম্মত ) পৃষ্টা নং;- ১৫৯ 
ইসলাহুল মুসলেমিন পৃষটা ;- ৪থা অধ্যায় পৃষ্টা নং ৯৭ 

তো এটা থেকে প্রমান হয় যে এই সকল আন্দোলন কোন দিন বুযুর্গগন সমর্থন করেন নাই। আমি সুন্নি দের কথা বাদ দিলাম । তারা এখন ধর্মের নামে শুরু করেছে ধর্মের বেবসা রাজনীতি । এরা তো প্রতিদিন হারাম করে নতুন নতুন ইস্যু বানিয়ে সে যেই হোক না কেন । 
আর যে গুলো দল ধর্মের দোহাই দেন না তাদের কথা বলে তো আর মানুষ হাসানো উচিত হবে না । 
মিছিল মিটিং ;- 
শরিয়াত কর্তৃক নির্ধারিত পদ্ধতির বিপরিত কোন পদ্ধতি অবলম্বন করাকে অবশ্যই নিষিদ্ধ বলতে হইবে । বিষেশত ওই পদ্ধতি যদি অহেতুক বেহুদা ও ক্ষতিকারক হয় তো তা হলে হারাম হওয়ার বিপক্ষে সন্দেহ কোথায় ? হরতাল , মিছিল, মিটিং মুলত এই জাতীয়। ইহাতে আছে সময় , শ্রম, অর্থের ব্যয়,।  নামাজ নষ্ঠ ও সাধারনদের জীবন মালের নিরাপত্তা নষ্ঠ করা তাদের কে চলাচল এ বাঁধা বিঘ্ন সৃষ্টি করা মুলত কষ্ট দেয়া । সুতরাং ইহা কি রুপে যায়েয হইতে  পারে ? ( ইসলাহুল মুসলেমিন ) পৃষটা নং ৯৭ 

এই সকল কাজ দিয়ে দ্বীনের কোন ফায়দা হয় না বরং , তা ছাড়া অবৈধ কাজ ভাল নিয়ত নিয়ে  করলে ও তা বৈধ হয়ে যায় না। মিছিল করা মিটিং করা গলায় মালা পড়ানো এগুলো তো নাম কুড়ানোর জন্য । এই সকল কাজ পাশ্চত্যের অনুকরন ছারা কিছুই নয় ।(মালফুজাত এ হাকিমুল উম্মত ) পৃষটা নং ১২৩. ইসলাহুল মুসলেমিন পৃষ্টা নং ৯৭ 
মন্তব্য ;- আজকাল তো কোন খানে মিছিল বা  মিটিং করা হলে দেখা যায় যে ১৫ দিন আগে থেকে  পোষ্টার প্রচার করা হয় । আর এক এক জন আলেম নামের জালেম দের নামের সাথে ১৫-২০ টা করে লকব লাগানো । আর এক একজনের গলার মালা বহন করতে পাশে আবার অতিরিক্ত লোক থাকে । 
আর তাদের নামের সাথের লকব দেখে আমার তো মনে হয় ইমামে আজম আবু হানিফা (রহ) এর ও হিংসা হয় (নাউজুবিল্লাহ) কারন আজ পর্যন্ত দেখলাম না ইমাম এ আজম ইমাম আবু হানিফা (রহ) এর নামের সাথে একটা লকব লাগানো আছে । 
বর্তমান সময়ের আলেম দের নামের সাথের লকব গুলো দেখলে আমার মাঝে মাঝে মনে হয় যে তারা মনে হয় ইমাম আবু হানিফা ;রহ) কে পিছনে ছাড়িয়ে গেছেন। আপনাদের কি মনে হয় ? 
জবাব দিবেন 

মার খাওয়া ও জেলে  যাওয়া ;- ক্ষমতা না থাকলে এমন কোন  কাজ করা যার পরিবর্তে মার খাইতে হয় জেলে  যেতে হয় , শরিয়াত তা অনুমোদন করে না । ইহা না করিয়া প্রতিকুল পরিবেশে ধর্য ধরা উত্তম । ইসলামের সর্নযুগে দুইটি নিয়ম প্রচলিত ছিল । শক্তি থাকলে প্রতিরোধ করা আর তা না থাকলে , ধৈর্যধারণ করা । 
ইহা ব্যতীত সকল পদ্ধতি মানুষের মন গড়া । এই সবে  কোন বরকত নাই (মালফুজাত এ হাকিমুল উম্মত ) পৃষ্টা ১৫৫ ইসলাহুল মুসলেমিন পৃষ্টা ৯৮ । 

মন্তব্য :- আমার কাছে এসে যদি একজন খৃষ্টান বলে লা ইলাহা ইল্লাল্লাহ , ইসা মাসীউল্লাহ । তার এই কথা টা যেমন মিথ্যা নয় ও আপনাকে তা কবুল করতে হবে যে তিনি আল্লাহর একজন নবী ছিলেন ঠিক তেমন আমার কাছে যদি কোন সত্য কথা আসে কোন কাফেরের মুখ থেকে ও আমি তা এক বাক্য কবুল করে থাকি । ওনেকের মাঝে চুলকানি শুরু হতে পারে যা আমি আসরাফ আলী থানবীর কিতাব কে কেন দলিল দিচ্ছি । 
তাই এই কথা গুলো বললাম । 
মুল কথা হচ্ছে যে বাংলাদেশে একজন নাস্তিক কে হত্যা করা হল আর আপনারা ও তাদের মত যেমন টা নাস্তিক রা ব্লগ এ বসে বা ফেসবুকে বসে রচনা করছে নিত্য নতুন কাহিনি ঠিক তাই 
আপনারা ও তাদের মত বসে বসে ঘেউ ঘেউ করছেন । আপনাদের এমন অবস্থা যে কুত্তা ও বিড়াল একে অপরকে দেখে যেমন একে অপরের বিরুদ্ধে যুদ্ধ ঘোষনা করতে চায় ঠিক তেমন। কিন্তু আসন্ন যুদ্ধের ফলাফল চিন্তা করেই চুপসে যান সকলে । 
কথা হচ্ছিল যে ;- বাংলাদেশে হাজারে  হতে পারে এক জন  নাস্তিক । কিন্তু বাকি ৯৯৯ জন আস্তিক কে কি ভাবে যে নাচচ্ছে তা কিন্তু দেখার  মত । বিশেষ করে যারা মুসলিম তাদের দৃশ্য দেখার মত । 
কিন্ত এই ১ জন নাস্তিক কো সোজা করতে পারতেছে না এরা ৯৯৯ জন আস্তিক বা মুসলিম রা । 
আপনাদের কি শক্তি নাই ? সামর্থ নাই ? 

না কি ধৈর্য ধরে আছেন সু-সময়ের জন্য ? 
না কি ইমান নাই ? 
আপনাদের কাছে সকল কিছু আছে। নাই শুধু ইমান । 
যদি ইমান থাকত তা হলে নাস্তিক দের তৈরি ও তরিকা মিছিল, মিটিং করে প্রতিবাদ করতে যেতেন  না নিজের সময় . অর্থ নষ্ট করে । 

এক টিভি উপস্থাপক নুরুল ইসলাম ফারুকি সাহেব কে বাড়িতে ঢুকে হত্যা করল কে বা কারা । 

আজ পর্যন্ত কাউকে গ্রেফতার দেখাতে পারল না সরকার  । আর কাকে জানি গ্রেফতার করে ৩ দিনের  রিমান্ড দিয়েছিল কোর্ট । আর কোন খবর পেলাম না । 

কিন্তু নাস্তিক মরেছে একটা আর ফারাবী হল গ্রেফতার আর রিমান্ড হচ্ছে ১০ দিনের । 

চিন্তা করে দেখ কাদের শক্তি বেশি । আস্তিক রুপে বে-ইমান ওয়ালাদের , নাকি প্রকাশ্য নাস্তিক দাবি করা মোনাফেক দের ? 
চিন্তার বিষয় কিন্তু । 

সত্যাগ্রহ ;- ক্ষমতা থাকলে জালীমদের বিরুদ্ধে শক্তি প্রয়োগ করিতে হইবে , আর শক্তি না থাকলে ধৈর্যধারণ করা শ্রেয়। ইহার মাঝামাঝী পন্থা , যাকে সত্যাগ্রহ বলে । ইহার উৎস আমার জানা নাই (মালফুজাত এ হাকিমুল উম্মত ) পৃষ্টা নং ২৪৩ । ইসলাহুল মুসলেমিন পৃষ্টা নং ৯৮ 
এখন যারা দেওবন্দি আছেন বা চুন্নি আছেন তাদের কে বলি । বল তোমরা কোন পন্থা অবলম্বন করতেছ ? 
তোমরা ১৬ কোটি মুসলমান। তবু ও তোমাদের কি শক্তি নাই ? 
শক্তি নাই কেন ? নারীর আঁচলের নিচে কি সব লুটায় দিয়েছে ? 
চিন্তা করতে হবে ! 

শাষকদের কে গালি দেয়া ;- বিপদে আপদে অতিষ্ঠ হইয়া ওনেকে শাষকদের কে গালী গালোজ করতে থাকে । হাদীসে আছে ;- তোমরা তোমাদের শাষক দের কে গালি দিও না । কারন তাহাদের অন্তর আমার হাতের মুঠোয় । তোমরা আমার অনুগত্য কর। তা হইলো আমি তাহাদের অন্তর কে কোমল করিয়া দিব ।(ইসলাহুল মুসলেমিন পৃষ্টা ৯৮ 

আর তারা ছাড়া বিপদ আপদ আল্লাহর পক্ষ থেকে এসে থাকে । আর আল্লাহর তরফ থেকে যখন সকল বিপদ-আপদ তখন আমাদের উচিত আল্লাহর দিকে রুজ্জু করা । আল্লাহর কালাম ও নবী পাকের সুন্নাহ কে আকরে ধরা ।(ইসলাহুল মুসলেমিন ) পৃষ্টা নং ৯৮ 

 বুজুর্গগন এর জীবন থেকে শিক্ষা গ্রহন করা ও উচিত আমাদের আমি মনে করি । 

আমরা নিজেদের ইমান মজবুত করতে পারি নাই আজ পর্যন্ত। তা হলে আমাদের শাষকগন কে আল্লাহ আমাদের জন্য আরো কঠোর করে তুলবে না কেন ? 
আমরা যদি প্রতি দিন থেকে দাঁত ভাংগা জবাব দিতাম তা হলে আজকে আমাদের কে এই করুন দিন দেখতে হত না । 

আমরা তা না করে মোমবাতির আলোতে চেয়ারে বসার সপ্ন দেখি । নির্বাচন করি । লোকসভা করি । হাদিস কোরানের আয়াত কে বিক্রি করে পেট চালাই । ওলিদের মাজারে বেবসা করি । 

নারীর আঁচলের নিচে আশ্রয় তালাশ করি । 
টাকার লোভে ৫ মে এর মত আন্দোলন করি। 

তা হলে কি ভাবে আমাদের উপর রহম করবেন আল্লাহ তায়ালা ? 

জবাব কি আছে আপনাদের কাছে ? 

কি করা উচিত এই সময় আমাদের কে ? বলবেন কি ? 

সোহেল রানা 



কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন