শুক্রবার, ১৩ মার্চ, ২০১৫

যারা ইসমাইল দেহলবী বিষয় চুড়ান্ত ফায়সালা

আব্দুস সালাম তার এক পোষ্ট এ আমাকে আমন্ত্রণ করেছে যে (আমি  সুফী বাদের আসল রুপ      তুমাকে এখানে  আমন্ত্রণ করলাম। 

মাশাআল্লাহ।  দাওয়াত কবুল করা তো সুন্নাহ। আর সাথে  যদি কোন তৌফা নিয়া যাওয়া যায় মেজবানের জন্য তো আর কোন কথাই নাই। 

বিষয় হচ্ছে শাহ ইসমাইল , শাহ ইসমাইল ও সাইয়েদ আহমেদ এর যৌথ কিতাব তাকবিয়াতুল ইমান। 
সে যা লিখেছে তা দেখুন :- ইনসান আপাছ মে বাড়ে ভাই হে , যো বাড়ে বুযুর্গ হে ও বাড়ে ভাই হে , যো উসকি বাড়ে কিছি তাজীম কিযিয়ে , ওর হামারা মলিক স্রেফ আল্লাহ , ওর বান্দেগী উনকা  কারনা চাহিয়ে , ইস হাদীস মে মালুম হুয়া কি আওলিয়া, আম্বিয়া, ইমাম ওর ইমামজাদে,পীর ইয়ানি জিতনে আল্লাহ কি মুকার্রার বান্দা হে ও ছাব ইনসান হি হে , মাগার আল্লাহ নে উনকো বড়া দিগর দি ওর বড়া ভাই হুয়ে .আল্লাহ হামকো উনকা ফরমাবদারী কা হুকুম কিয়াহে, হাম উনকি ছোটে হে ওর উনকি তাজীম ইনসান হোনে কি নাতে কারনা চাহিয়ে ) 
এই কথা টা তার লিখে দেওয়া। আমি একটু সুন্দর আর স্পষ্ট করে লিখে দিলাম। কারন তার উর্দু মাশাআল্লাহ ওনেক গান্ধা ।


বাংলা দেখুন ;- ইনাসান আপাস মে ভাই হে , 
প্রথমে এই কথা টার বিশ্লেষন করা প্রয়োজন। 
ইনসান আপাস মে ভাই হে এই কথার বাংলা অর্থ হচ্ছে যে ;- দুনিয়ার সকল মানুষ একে অপরের ভাই।  আর এই কথা যদি বিস্বাস করেন তা হলে হিন্দু , খৃষ্টান , বৌদ্ধ, চোর,চামার,ডোম,ডাওয়াই যত ধর্মের লোক আছে সবাই দেওবন্দিদের ভাই হয়ে যাবে। 
কয়েকদিন আগে একচা ভিডিও দেখলাম। তাতে দেওবনদি ওলামায়ে  ওয়াক থু বলতেছে শিব তাদের বাবা ও নবী , তারাও হিন্দু। 
তো তাঁরাই তাদের মত  বে-দ্বীন দের কে ও ভাই মনে করতে পারে নিজেকে হিন্দু মনে করতে পারে। 

বরং সহীহ হাদিস হচ্ছে :- 
মুসলমান গন পরস্পর ভাই ভাই।  

ইনসান সব আপাস মে ভাই হোতে হে বা দুনিয়ার সকল মানুষ একে অপরের ভাই এমন কোন হাদীস থাকলে পেশ করার জন্য অনুরোধ করা হল। তা নির্ভরযোগ্য হলে বাক্য বেতীত কবুল করা হবে । 

যো বাড়ে বুযুরগ হোতে হে  ও বাড়ে ভাই।  

যে বড় বুযুরগ হয় সে বড় ভাই 

তাদের কাছে বুযুরগ দের ইজ্জাত বড় ভাই য়ের চেয়ে বেশি নয়। 

দেওবনদি দের প্রখ্যাত আলেম আমের উসমানি 
মাসিক তাজাল্লি পত্রিকায় একটা কবিতা লিখেছিলেন তার ৭ -৮ নং লাইন টা দেখুন 
;- ৭) তোমার ফতোয়া বানের আঘাতে পূর্ববর্তী বুজুর্গ গনের বুক ঝাজরা হয়ে গেছে 
কাফির বলার ক্রমবর্ধমান আগ্রহ দেখতে পাচ্ছি। 
৮) তুমি পরকে ভালবাস , আপনকে ভাব পর !!! 
তোমার মধ্যে পরিবর্তিত উন্মাদনারই ধরন দেখতে পাচ্ছি।  

মাসিক তাজাল্লি ) দেওবন্দ থেকে প্রকাশিত পৃষ্টা ৫৩, ১৯৫৭ ইংরেজি 

তোমরা শুধু বড় বুযুর্গ দের কে ভাই না বরং তাদের বুক ঝাঝড়া করে দিয়েছ।  

মালিক স্রেফ আল্লাহ হে।  আমরা কোন দিন বলি নাই আমাদের জাতী মালিক আল্লাহ নন।  বরং মলিক ২ প্রকার হয়ে থাকে।  যেমন জাতী ও আতাই।  তোমরা জাতি মালিক আল্লাহর নামে তো চিল্লায় গলা ফাটাও কিন্তু আতাই মালিক বলতে যে একটা কথা আছে তা বুঝতে চাওনা।  
যেমন একটা গরু যা তোমার বাড়ী তে আছে।  তার মালিক তুমি , এই খানে তার যে তুমি মালিক হলে তা এই কারনে যে এই সকল কিছুর মালিক আল্লাহ।  গরু ও তোমার দুজনের মালিক আল্লাহ।  কিন্তু তুমি হচ্ছ শুধু দুনিয়াবি মালিক। তোমাকে মালিক করা হয়েছে।  আল্লাহ চাইলে তোমার কাছে থেকে ছিনিয়ে নিতে পারেন। চাইলে বেশি ও দিতে পারেন। এটা তোমাদের বোঝা উচিত। এটাই আতাই ও জাতি মালিকের পার্থক্য। তোমাকে আল্লাহ দিয়েছেন। আর আল্লাহ কে কেউ দেয় নাই। সব কিছু ওনার সৃষ্টি। 

আর ইবাদত সকলে আল্লাহর করে থাকে।  মেজবানের বাড়ীতে মেহমানদারী খেয়ে মানুষ হাত ধুয়ে আগে বলে শুক্কর আলহামদুলিল্লাহ ।  
তো আমরা ও তাই করি । 

অর ইস হাদীস মে মালুম হুয়া কি আওলিয়া আম্বিয়া সব কি সব মুকার্রার বান্দা হে ওর ইনসান ই হে । 

আমি তোমাকে চা্যনেন্জ করলাম যদি কোন খানে দেখাতে পার আল্লাহ বলেছেন এই আমার নবী মুহাম্মদ , আপনি তাদের মতই মানুষ। 

যদি আল্লাহ নবী পাক কে মানুষ বলেন নাই কোন দিন।  বরং ওনাকে ইয়া বাশিরু, ইয়া মুবাশ্বেরু, বলে ডেকেছেন।  এরা ডাকে মানুষ বলে।   কত বড় বে আদব।  
ওর হা আমরা নবী পাকের বাশারিয়াত এর এনকার  করি না। তিনি মানুষের মত ছিলেন না আমরা তা বলি না। তিনি দেখতে মানুষের মতই ছিলেন ।  এখন যদি বল এটা কেমন কথা তো তিনি কে ছিলেন ? আর মানুষ সেজে কেন আসলেন ? 

তো আমি বলব সুরা মরিয়াম আয়াত নং ১৯ দেখে নাও। যদি জিব্রাইল (আ) মানুষের রুপ নিয়ে আসতে পারেন প্রকাশ্য নুর হয়ে তে আমার নবী কেন পারবে না ? 

আর আমার নবী কোন দিন মানুষ ছিলেন না। বরং তিনি নূর হি নূর ছিলেন আর নবী দের নবী ছিলেন। মানুষ কোন  দিন ছিলেন না। 


এর পর দাবি করেছে যে ;- বাড়ে আজীজ ওর হামারী ভাই হে , লা হাওলা ওলা কুয়াতা । 

প্রথম যে কথা বলেছো যে  ইনসান আপাস মে ভাই হোতেহে , তো আমি প্রমান করেছিলাম সকল ইনসান কে যদি ভাই মনে কর তো নিজের ইমান থাকবে না আপ বে-দ্বীন দের কে ভাই কবুল করতে হবে, আর বে-দ্বীন যদি ভাই হয় তো আপনি ও বে-দ্বীন হবেন। 

এই খানে একটা সুক্ষ্ন চাল দেখুন আওলিয়া, (আম্বিয়া ) আম্বিয়া শব্দ বেবহার করেছে , কিন্তু নবী বেবহার করে নাই , যাই হোক। আল্লাহ পাকের মেহেরবানি তে আম্বিয়া কাকে বলে আমাদের জানা আছে , 
কালামুল্লাহ দেখা যাক। কি বলে কালামুল্লাহ ;- 
نَّبِيُّ أَوْلَى بِالْمُؤْمِنِينَ مِنْ أَنفُسِهِمْ وَأَزْوَاجُهُ أُمَّهَاتُهُمْ وَأُوْلُو الْأَرْحَامِ بَعْضُهُمْ أَوْلَى بِبَعْضٍ فِي كِتَابِ اللَّهِ مِنَ الْمُؤْمِنِينَ وَالْمُهَاجِرِينَ إِلَّا أَن تَفْعَلُوا إِلَى أَوْلِيَائِكُم مَّعْرُوفًا كَانَ ذَلِكَ فِي الْكِتَابِ مَسْطُورًا

06

নবী মুমিনদের নিকট তাদের নিজেদের অপেক্ষা অধিক ঘনিষ্ঠ এবং তাঁর স্ত্রীগণ তাদের মাতা। আল্লাহর বিধান অনুযায়ী মুমিন ও মুহাজিরগণের মধ্যে যারা আত্নীয়, তারা পরস্পরে অধিক ঘনিষ্ঠ। তবে তোমরা যদি তোমাদের বন্ধুদের প্রতি দয়া-দাক্ষিণ্য করতে চাও, করতে পার। এটা লওহে-মাহফুযে লিখিত আছে।

এই আয়াত দ্বারা নবী পাকের স্ত্রীদের কে মোমেন দের মাতা বলা হয়েছে , 
তোমার কথা মোতাবেক যদি নবী পাক আমাদের ভাই হয় তা হলে নবী পাকের সাম্মানিত স্ত্রী গন কি তোমার ভাবী হবে না (নাউযুবিল্লাহ ) জবাব দাও আমার। 

যে খানে নবী পাকের স্ত্রীরা মোমেনের মা হয় সে খানে নবী পাকের ইজ্জত বড় ভাই য়ের মত হয় কি করে ? জবাব দিও। 

আর শাহ ইসমাইল কে বাঁচাতে সে তার কথা সত্য দাবি করেছে . 

বাড়ে আজীজ >খুবই প্রিয়, ওর হামারা ভাই হে 
আর আমাদের ভাই।  


কি করে ভাই দাবি  কর ? 
আর খুবই প্রিয় বলে কি পার হয়ে যেতে পারবে ? নবী পাক বলেছেন ততক্ষন পর্যন্ত কেউ মোমিন হতে পারবে না যে পর্যন্ত না আমি তার কাছে প্রিয় হই তার জান মাল পিতা মাতা ওপেক্ষা । 

এর পর হযরত ওমর (রা) বর্ননা তে দেখা যায় যে :- তিনি বলেন হে আল্লাহর রাসুল। আল্লাহর শপথ নিশ্চয় আপনি আমার নিকট আমার প্রান ছারা সব চেয়ে বেশি প্রিয় । আমার নবী বললেন , হে ওমর না ( এতে তুমি মোমিন হতে পার না ) আমি যেন তোমার জীবনের চেয়ে প্রিয় হই (তা হলে মোমীন হতে পারবে ।হযরত  ওমর (রা) বললেন আল্লাহর শপথ  (এখন থেকে) আপনি আমার নিকট সকল কিছু চেয়ে প্রিয় হয়ে গেলেন। (সুরা আহযাব, তাফসীর ইবনে কাছির ৭৪১ নং পাতা ) 

এদের কাছে নবীর ইজ্জাত কত ? খুবই প্রিয় ও আমাদের ভাই ।  

নিজের ইমান প্রমান কর।  তোমার যদি এই আকিদা থাকে তো তুমি ও বেইমান ও গুসতাক এ রাসুল । 

আমাদের নবী আমাদের  রুহানীর পিতা তুল্য, হয়ত আমার রুহানীর পিতা বলা ও ভুল হবে আল্লাহ ক্ষমা করুন যদি ভুল হয়। আমার কথা আমি হাদীস থেকে বলছি ;- হযরত আবু হোরায়রা (রা) থেকে বর্নিত আছে যে ;- রাসুলুল্লাহ সাল্লেল্লাহু আলাই হে ওয়া সাল্লাম বলেছেন যে আমি তোমাদের পিতার স্থলাভীষিক্ত । আমি তোমাদের কে শিক্ষা দিচ্ছি পায়খানা করার সময় যেন কেউ কিবলার দিকে মুখ না করে , পিঠ ও যেন না করে , ডান হতে যেন ঢেলা বেবহার না করে ও ডান হাতে ইস্তেনজা ও যেন না করে ,তিনি ইস্তেনজার জন্য ৩ টি ঢিলা নিতে বলেছেন। গোবর হাড় দিয়ে ইস্তেনজা করতে নিষেদ করেছেন। (ইবনে কাছির , সুরা আহযাব এর তাফসীর পেজ নং ৭৪২) 

অন্য আয়াতে আছে ( মোহাম্মাদ (সা) তোমাদের পুরুষদের কারো পিতা নন) ৩৩:৪০  

মা আয়েশা সিদ্দিকা থেকে বর্ননিত আছে যে ;-নবী পাক কে আবুল মোমেনিন (মোমেন দের পিতা) বলা যাবে না। সুরা আহযাব এর তাফসীর , ইবনে কাছির পেজ নং ৭৪২) 

এ খানে পিতা বলতে ও আল্লাহ মানা করেছেন। তো কি ভাবে তুমি ভাই দাবি করতে পার ? আমার জবাব দিবে কি ? জানি এ পোষ্ট দেখার পর আর খুঁজে পাওয়া যাবে না । 

উক্ত কিতাবের আরো কিছু কুফরি কথা ও শাহ ইসমাইল এর বিষয় মতামত দেওবন্দ আলেম দের ;- 

ওহাবী ইমাম ইসমাঈল দেহলভী বলেন...হুযুর সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম মরে মাটির সাথে মিশে গেছেন।নাউযুবিল্লাহ
(তাকভীয়াতুল ঈমান,পৃঃ ৬০)

@@&&& 

নামাযের মধ্যে হুজুর আকরাম সাল্লাল্লাহু তায়ালা আলাইহি ওয়ালিহি ওয়াসাল্লাম এর শুধু খেয়াল আসা ও গরু-গাঁধার খেয়ালের মধ্যে ডুবে যাবার চেয়েও খুবই নিকৃষ্ট। “নাউযুবিল্লাহ”। (সিরাতে মুস্তাকিম, পৃঃ নং-৫১ লেখক-ইসমাইল দেহলভী দেওবন্দী)।
অথচ আহলে সুন্নাত ওয়াল জামায়াতের আকি্বদা হচ্ছে তাশাহুদের মধ্যে নবীজীকে স্মরন করে, হাজির জেনে অতঃপর সালাম দিতে হবে। যেমন জগৎ শ্রেষ্ঠ দার্শনিক হযরত ইমাম গাজ্জালী (রাঃ) স্বীয় কিতাব “ইহয়াউ উলুমুদ্দিন” নামক বিশ্ব বিখ্যাত গ্রন্থের “……………………………………………..” নামাযের ভেদসমূহ অধ্যায়ের মধ্যে সুস্পষ্ট লিখেছেনঃ “………………………………………………………………………..”। অর্থাৎ-আগে নিজের কলবে নবীজীকে উপস্থিত জেনে অতঃপর সালাম দাও। (“ইহয়াউ উলুমুদ্দিন” ১ম খন্ড, পৃঃ নং-২৫৮)




@@&&&&

বড় অর্থাৎ নবী, ছোট অর্থাৎ বাকী সব সাধারণ বান্দা। অর্থাৎ-মহান আল্লাহর সকল বান্দা, সাধারণ গোনাহগার বান্দা হোক আর নবী রাসূল হোক সবাই বে-খবর ও মূর্খ। “নাউযুবিল্লাহ” (তাকবিয়াতুল ঈমান, পৃঃ নং-৩)


@@&&&
 গ্রামের মধ্যে যেমনি মর্যাদা চৌধুরী ও জমিদারদের। ঠিক তেমনি উম্মতের মধ্যে, নবীর মর্যাদা। “নাউযুবিল্লাহ”। (তাকবিয়াতুল ঈমান, পৃঃ নং-৬১, লেখক-ইসমাইল দেহলভী।)
এক্ষেত্রে গ্রামের চৌধুরী ও জমিদারের মর্যাদার সাথে নবী-রাসূলের মর্যাদাকে তুলনা করে জঘন্য বেয়াদবী ও চরমভাবে মানহানী করা হয়েছে, যা প্রকাশ্য কূফরী।

@&&&&

যার নাম মুহাম্মদ অথবা আলি, তিনি কোন কিছুর এখতিয়ার রাখেন না। নবী হোক বা অলি হোক কিছুই করতে পারেন না। “নাউযুবিল্লাহ” (তাকবিয়াতুল ঈমান, পৃঃ নং-৪১, ইসমাইল দেহলভী)।



@@&&
নবী-অলিদের আল্লাহর বান্দা জানার পরও উকিল এবং সুপারিশকারী মনে করা কুফরী ও শিরক। “নাউযুবিল্লাহ” (তাকবিয়াতুল ঈমান, পৃঃ নং-২৭, ইসমাইল দেহলভী)।


@@&&&
= "বাড় মাখলুক অর্থাৎ নবী, আর ছোট
মাখলুক অর্থাৎ অন্যসব
বান্দা আল্লাহর শান বা মর্যাদার
সামনে চামার অপেক্ষাও
নিকৃষ্ট। নাউজুবিল্লাহ (তাক্বভিয়াতুল
ঈমান, পৃষ্ঠা ১৪, কৃত


@@&&&&
= আল্লাহ্র সামনে সমস্ত নবী ও
ওলী একটা নাপাক
ফোঁটা অপেক্ষাও নগণ্য। নাউজুবিল্লাহ
(তাক্বভিয়াতুল ঈমান,
পৃষ্ঠা ৫৬, ঈসমাইল দেহলভী ওহাবী)।


এবার এই কথা গুলোর বিষয় দেওবনদি আলেম রা কি বলেছে তা দেখা যাক ;- 


দেওবন্দী দের আলেম মাওলানা আশরাফ আলী থানবী সাহেব লিখেছেন ; - মলোভি শাহ ইসমাইল শাহিদ ছিল।যেহেতু সুক্ষ্ণ মুহাক্কিক ছিল , সেহেতু কয়েকটি মাসালার মতবিরোধ করেছিল।  আর নিজের পির বুজুর্গ গন যেমন শাহ ওয়ালিউল্লাহ প্রমুখ বুজুর্গ কে মানতে অশিকৃতি জানাল ( ইমদাদুল মুস্তাক ) পৃষ্টা ৭ 

আবার ও আশরাফ আলী থানবী লিখেছেন যে ;- কোনো কোনো কথা এত কঠিন , জঘন্য যে সাধারণ মানুষ বুঝতেই অক্ষম। এমন সব সব্দ থেকে জনসাধারণ এর কর্ণযুগল কে বাচানো উত্তম (আহলে হাদিস পত্রিকা ) অমৃত সর , পৃষ্টা ৮ , ১৭  এপ্রিল ১৯০৮ 


এর পর সে বলেছে যে রেজভীরা শাহ ইসমাইল কে কাফের ফতোয়া দিয়েছে। 
এটা একটা মিথ্যা কথা। যদিও আমি ব্রেলভী না আমার প্রয়োজন নাই যে আমি জবাব দেই এ সকল আপত্তির। কিন্তু একজন হক আলেমের বিরুদ্ধে অভিযোগ দেখে আমি কলম তুললাম। 

ব্রেলভী দের ইমাম আলা হযরত আহমেদ রেযা খান ফাজেলে ব্রেলভী (রহ) কোন দিন শাহ ইসমাইল কে কাফের ফতোয়া দেন নাই। 
আর আহমেদ রেযা খান যদি কোন কিতাবে লিখে থাকেন যে শাহ ইসমাইল কে আমি কাফের বললাম তো আমাকে তার দলিল দাও। 

আর হযরত আল্লামা ফজলে হক খায়রাবাদী (রহ) শাহ ইসমাইল কে ওনার ফতোয়া কিতাব (তেহকিক এ ফতোয়া ) তে শাহ ইসমাইল কে কাফের ফতোয়া দিয়েছেন। 

আলা হযরত এর বড় হচ্ছেন আল্লামা ফজলে হক খায়রাবাদী , আলা হযরত নিজে তিনি ফজলে হক খায়রাবাদী এর  পায়ের সমতুল্য মনে করতেন।  আর তিনি খায়রাবাদী এর ফতোয়া পড়েছেন। বলেছেন। কিন্তু নিজে আবার নতুন করে তাকে কাফের ফতোয়া দেন নাই। সই করেন নাই।  

ডক্টর তাহেরুল কাদরী এর ভিডিও লিং 


তাহেরুল কাদরী সাহেব ব্রেলভী দের বর্তমান সময়ের সবচেয়ে বড় আলেম ও শায়েখ।  দেখেন , কি বলেন শুনে নেন। 


এর পর আহলে হাদীস দের আলেম  সুন্নি আলেম হানিফ কোরেশী এর সাথে মুনাযেরা করতে বসে সুন্নি দের সামনে শাহ  ইসমাইল এর এমন কথা কে কুফর বলেছেন দেখুন ;- http://youtu.be/m0VDg6odZWo


পীর নাসিরুদ্দিন শাহ , যিনি হাজী এমদাদুল্লাহ মুহাজের এ মক্কি (রহ) এর সিলসিলার পীর ও আরেফ বিল্লাহ । যেমন টা কি না চরমোনাই এর সিলসিলা দেওবনদি দের ঠিক তেমন গোলড়ভী শরীফ এর পীর নাসিরুদ্দিন শাহ তিনি ও কাফের বলেছেন আশরাফ আলি থানভি ও শাহ ইসমাইল কে।  তার ভিডিও লিংক   

দেখুন :- http://youtu.be/m0VDg6odZWo


এখন বল কি বলবে ? 
তোমাদের বুযুরগ গন কাফের বলেছে।  আমরা শুধুই তাদের বলা কথা বলি। কিন্তু নিজে থেকে আবার নতুন করে ফতোয়া লিখতে চাইনা। কারন তারা আমাদের বুযুরগ।  তাদের কথা গুলো আমাদের কথার চেয়ে বেশি কার্যকর।  তাই তাদের কথা তুলে ধরা যথেষ্ট মনে করি আমি। 

সোহেল রানা।  


 

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন