শনিবার, ১৫ নভেম্বর, ২০১৪

আনগুল এ চুমু খাওয়ার দলিল দেওবনদি দের কিতাব থেকে

প্রিন্সিবাল নুরুন্নবী এর একাউন্ট আহলে সুন্নাত ওয়াল (বাকা ) জামাত পোস্ট করেছে যে  নবী পাকের নাম সুনে বা পরে চোখে আঙ্গুল লাগিয়ে চুমু খাওয়ার জাদিস জাল। এই হাদিস টা ইমামে জালালুদ্দিন সুয়ুতি (রহ) অনার সীয় কিতাব (খাসায়্স উল কুবুরা) তে বর্ণনা করেছেন। এরা হচ্ছে এত বড় কুলাঙ্গার যে এদের ফতোয়া জীবনে শেষ হবে না।সয়ং রাসুলে পাক আলাইহিস সালাম বললেও সন্দেহ এদের থেকে যাবে। যে ঈমানদার তার জন্য একটা দলিল যথেষ্ট আমলের জন্য। কিন্তু মোনাফেকের !!!!! আবু জাহেল কে এত মোজেজা দেখানো হয়েছে সে কি ইমান এনেছে ? আনে নাই। ঠিক বর্তমান দেওবন্দী ও তাই। কিন্তু তাদের আলেম ও মুফ্তিয়ে আজোম মোহাম্মদ সফি এর ছেলে পাকিস্তান এর চিফ অফ জাস্টিস ত্বকী উসমানী এর কিতাব (ইসলাহে খুতুবাত ) ১ম খ এর ১৮৬ নং পৃষ্টায় লিখেছেন যে ;- মসজিদে আজান এর সময় আশহাদু আন্না মোহাম্মাদুর রাসুলুল্লাহ সোনার সময় বা নবী পাকের নাম সুনে তোমার অন্তরে নবী পাকের মহাব্বাত জেগে উঠেছে। আর মহাব্বাতের জোসে ,মনের অজান্তে আঙ্গুল চোখে ছুয়ে নিলেন। তাহলে সত্তাগত ভাবে আপনার কাজটি বিদাত হবে না বরং কাজ টি অনিচ্ছাকৃত ভাবে নবী পাকের মহাব্বাতে করেছেন। আর প্রিয় নবীর প্রতি মহাব্বাত অবশ্যই প্রসংসার যোগ্য। ঈমানের নিদর্শন ও বটে। সুতরাং আপনি এই কাজের জন্য সোয়াবের হকদার হবেন। 


কিন্তু এই কারণে যদি আপনি বাধতামূলক বলে প্রচার করেন যে চোখে আঙ্গুল  দেয়া সুন্নাত ও মুস্তাহাব। আর সবাইকে পালন করার জন্য চাপ প্রয়োগ করেন ও না করলে গোনাহ্গার বলে প্রচার করতে থাকেন তা হলে ইটা বেদাত হবে 

(ইশলাহে খুতুবাত) খ ১ পৃষ্টা ১৮৬-১৮৭। কিতাবের পেজ দেখতে চাইলে বলবেন। এই অধম কিতাবের পাতা দিতে বাধ্য। 


দেওবন্দী কুলাঙ্গার রা তাদের বাপের বিরুদ্ধে কথা বলে, তা অনেক প্রমান করেছি আমি। আজ ও এমনি একটা বিষয় সুস্পষ্ট প্রমানিত। এই  খানে ত্বকী উসমানী সাহেব অতি সুন্দর করে বলেছেন যে যদি আপনি রাসুলে পাকের মহাব্বাতের কারণে লোক দেখানোর উদ্দেশ ছাড়া চোখে আঙ্গুল লাগান তা হলে তা নবী প্রেমের কারণে প্রসংসার যোগ্য ও তার কারণে আপনি সোয়াবের হকদার হবেন। 

কিন্তু যদি কেউ প্রচার করে যে ;- নবী পাকের নাম সুনে চোখে আঙ্গুল দেয়া বাদ্ধতামুলুক বলে প্রচার করে তা হলে ইটা অতিরঞ্জন হিসেবে বেদাত হবে। 


আমি বা আমরা কাউকে জোরপূর্বক বলি না যে ;- নবী পাক আলাইহিস সালাম এর নাম শুনলেই চোখে আঙ্গুল দেয়া লাগবে। বরং আমরা বলি ইটা নবী পাকের প্রেমের বহির্প্রকাশ। তাই এটা করলে সয়াব পাবেন , না করলে নাই। আপনার যেমন নবী প্রেম তেমন করুন। 


আসল কথা হচ্ছে এরা নবী পাকের শান মান কমানোর চিন্তায় রাতে বালিশ নিয়ে সুয়ে সুয়ে চিন্তা করে। আর সুন্নি সাধারণ যা সোয়াবের আশায় পালন করে ও নবী পাকের প্রেমের প্রকাশ করে তা দেখে ওদের জলন সুরু হয়ে যায়। নিজে তো কোনো কিছু ভালো আমল করতে পারে না,তাই অন্যরা ও যাতে না করে সেই ফন্দি ফিকির করে এদের মাথার চুল পাকে। খবিসের দলেরা 

সোহেল রানা 

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন