শনিবার, ১৫ নভেম্বর, ২০১৪

(শরীয়াত ও তরিকত কা তালাজুম ) পর্ব ২

Shariyat o tarikat 2 (শরীয়াত ও তরিকত কা তালাজুম ) 

পর্ব ২ 

উক্ত কিতাবের ১০ পেজ এ তাবলিগীদের আজিম শায়খুল হাদিস জাকারিয়া সাহেব হজরত জাবের (রা;) এর একটা হাদিস বর্ণনা করেন যে রাসুলুল্লাহ সা; ইরশাদ করেছেন যে গাছের নিচে যে মুমিন সাহাবা গণ মুরিদ হয়েছেন তাদের কেউ জাহান্নামে যাবে না ৷ তিরমিজি সরিফ ২ য় খন্ডের ২২৫ নং পৃষ্টা

এই খানে জাকারিয়া সাহেব উপরে বর্ণিত হাদিসের বেখাতে বলেছেন যে সকল সাহাবী সেই দিন মুরিদ হয়েছিলেন নতুন করে মুসলমান হুয়ার পর আবার বায়েত গ্রহণ করেছিলেন তাদের কেউ জাহান্নামে যাবেন না৷ তাদের সাথে ওয়াদা করা হয়েছে তারা সবার আগে হাসতে হাসতে জান্নাতে চলে যাবে ৷ 

আহ মুরিদ নবী সা; এর সর্ণ তরিকা কতই না মূল্যবান ৷ হে আল্লাহ যারা মুরিদ হউয়ার ভেদ বোঝেনি তাদের কে আমল করার তৌফিক দান করুন ৷ (শরীয়াত ও তরিকত কা তালাজুম) পৃষ্টা নং ১০-১১ 
মুরিদ না হলে বেইমান হয়ে মরতে হয় ;- হজরত আব্দুল্লাহ ইবনে ওমর বলেন রাসুল্লুল্লাহ (সা;) বলেন যে বেক্তি আল্লাহ ও তার রাসুলের অনুকরণ থেকে হাত সরিয়ে নিবে কেয়ামতের দিন তার নাজাতের জন্য কোনো দলিল থাকবে না ৷ আর যে বেক্তি মুরিদ হওয়া ছাড়া মরবে তার মিত্তু জাহেলি যুগের বেইমান লোকদের মত হবে ( মুসলিম শরিফ ২ খ ১২৮ প্রিষ্ট) 
বর্ণিত হাদিসের বেক্ষাতে জাকারিয়া সাহেব লিখেছেন যে ;- রাসুলুল্লাহ বলেছেন আল্লাহ ও তার রাসুলের অনুকরণ না করলে ক্ষমার কোনো দলিল থাকবে না তার পক্ষে কিয়ামতের দিন আর ও বলেন মুরিদ না হয়ে মরলে জাহেলিদের মত মিত্তু হবে ৷যেহেতু নবী পাক দাওয়াত ও তাবলিগ দ্বারা সকলকে মুরিদ করে ঈমানী শিখা দিতেন ৷ তাই তার ও আল্লাহ পাকের অনুকরণে মুরিদ না হলে জাহান্নামী হতে হবে ৷সুরা ফাতাহ এর ১০ নং আয়াতে আল্লাহ তায়ালা সকল সাহাবীকে মুরিদ করার ঘোসনা দিয়েছেন ৷ তাই মুরিদ করা ও মুরিদ হওয়া আল্লাহ ও নবীর সর্ণ তরিকা হিসেবে মর্যাদার স্থান পেয়েছে ৷ আর কোরান ও হাদিস দ্বারা ও তা প্রমানিত ৷ এভাবে মুরিদ না হলে আল্লাহ ও তার রাসুলের বিরোধী বলা হয়েছে ও তাদের কে অশিক্ষিত কাফেরদের মত জাহান্নামী বলা হয়েছে ৷ আর মুজতাহিদ ইমামগণ ও মুরিদ হওয়ার বিসয় কটর মনোভাব বেকত করেছেন ৷ (শরীয়াত ও তরিকত কা তালাজুম ) দেওবিন্দিদের আজিম শায়খুল ইসলাম জাকারিয়া সাহেবের লেখা পৃষ্টা no ১১ 

বর্তমান দেওবন্দী গণ পির মুরিদীর নাম শুনলে মুশরিক ভন্ড বেদাতি বলে ফতোয়া মারা সুরু করেন ৷ আমরা জাতি বলি তারা আমাদের কথা সনে না ৷ তাই আমি তাদের আলেমদের কিতাব থেকে কথা গুলো তুলে ধরলাম ৷ একজন আমাকে বলেছে যে আমি নাকি তাদের বিরুধিতা করি সবসময় ৷ এই খানে জাকারিয়া সাহেব যে সকল কথা বলেছেন আমি নিজেও সেই সকল কথায় পাবন্দ ৷ বরং ফাজায়েলে আমল এর লেখক জাকারিয়া সাহেবের কথা খোদ দেওবিন্দী রা নিজেরাই মানে না৷ তারা নিজেরাই তাদের আকাবের্দের কথা মানে না ৷ আমি সেই সকল কথার বিরুধিতা করি যা আমার জামাতের খেলাপ ৷ কিন্তু দেওবিন্দী রা তোমাদের আলেমের কথা তো মেনে নাও ৷ আগামী কাল মুজতাহিদ এমাম গণ মুরিদ হওয়ার বিসয় কি বলেছেন তা ইনশাল্লাহ তুলে ধরব ৷ আল্লাহ হাফেজ 

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন