শনিবার, ১৫ নভেম্বর, ২০১৪

ইংরেজ দের দালাল কারা

Kazi saifuz zaman qadiani একটা পোস্ট করেছে যে দেওবন্দিদের আন্দোলনের কারণেই ইংরেজরা দেশ ছেড়েছে , আমার মনে হয় এরা ঠিক সেই ধর্মান্দ জারা সাইয়েদ আহমাদ এর মত দস্সুকে সাহায্য করেছিল আফিমের খেত লুতরাজ করতে। 



আশরাফ আলী থান্বির কিতাব (হৃদয় ছোয়া কাহিনী -২) এর ৪৩ নং পৃষ্টায় লিখেছেন যে ;- ইংরেজরা এই উপমহাদেশের একটা নিকৃষ্ট জাতিকে অগ্রসর হওয়ার সুযোগ করে দিয়েছিল ও অপর একটি জাতিকে পশ্চাদপদ করে রেখেছিল। তবে এর ফল যা হয়েছিল তাতে পরবর্তিতে ইংলিশ্রাই দুক্ষ প্রকাশ করেছিল। কোনো একজন উচ্চস্তরের ইংরেজ হেকিম কোনো এক জমিদারের মানেজারের সাথে কথা বলতে গিয়ে একটা ঘটনা বলেছিল যে ;- কোনো এক দরবেশের ঘরে একটা ইদুর কিছু বাচ্চা প্রসব করে আর পরে দরবেশ কে দেখে একটা বাচ্চা ফেলে রেখে চলে যায়। দরবেশ  ইদুরের বাচ্চা কে লালন করে  বড় করে তলে। একদিন সে বাইরে গেলে তাকে বিড়াল ধরতে চেষ্টা করে আর ইদুর যান বাঁচিয়ে পালিয়ে আসে। দরবেশ কে সব  খুলে বলে যে আমি আজ প্রাণে বেছে এসেছি বিড়ালের হাত থেকে। আমাকে বিড়াল বানিয়ে দাও।দরবেশ তাকে ছুয়ে দিয়ে বিড়াল বানিয়ে দিল। পরের দিন সেই বিড়াল কে কুত্তা ধরতে চ্চেস্তা করে আর যান বাঁচিয়ে ফিরে এসে বলে আমাকে কুত্তা বানিয়ে দাও। তা হলে কুত্তা আমাকে আর ধরতে চাইবে না। দরবেশ আবারো তাকে ছুয়ে দিয়ে কুত্তা বানিয়ে দেয় ও পরের দিন সেই কুত্তা বাঘের সামনে পরে ও প্রাণ বাঁচিয়ে আবারও দরবেশের কাছে আসে আর বলে আমাকে বাঘ বানিয়ে দাও। দরবেশ তাকে ছুয়ে দিয়ে বাঘ বানিয়ে দেয়। পরের দিন আবার সেই বাঘের দেখা। বাঘ বলে যে তুই কালকের সেই কুত্তা না ? তুই বাঘ হলি কিভাবে ? নকল বাঘ বলল যে আমাকে মেরো না। আসল বাঘ বলল আমি তো তোমাকে মারতে পারব না কিন্তু তোমাকে যে কুত্তা থেকে বাঘ বানিয়েছে সে তো তোমাকে মেরে ফেলতে পারবে।  নকল বাঘ বলল এখন কি করব ? আসল বাঘ বলল যে তোমাকে কুত্তা থেকে বাঘ বানিয়েছে তাকে গিয়ে মেরে ফেল , তাহলে কেউ তোমাকে মারতে পারবে না। 

সে ফিরে দরবেশের কাছে গেল। তার ভাব গতি অন্যরকম দেখে দরবেশ বলল যে কি হয়েছে আজ ? নকল বাঘ বলল আমাকে আর কেউ মারতে পারবে না তুমি ছাড়া ,তাই তোমাকে মারতে এসেছি। দরবেশ বুঝতে পেরে বলল সোন তোমাকে আমিও মারতে পারব না তার উপায় আছে।  নকল বাঘ বলল কি উপায় তাই কর। দরবেশ কৌসলে তাকে আবার ছুয়ে দিয়ে ইদুর বানিয়ে দিল। 

এর পর থানবী সাহেব আবার লিখেছেন যে ;- এই ঘটনা বর্ণনা করে ইংলিশ হেকিম বলল যে আমরা এমন এক জাতিকে অগ্রসর করতে এসে এমন ভাবে বিপদের পরেছি যে তারা এখন আমাদের উপর ক্ষমতার অপবেবহার করে যাচ্ছে। এই জাতি আসলেই অকৃতজ্ঞ। সুতরাং এই ঘটনা থেকে আমাদের শিক্ষা নেওয়া উচিত (হৃদয় ছোয়া কাহিনী -২) আশরাফ আলী থান্বির লেখা পৃষ্টা ৪৩-৪৫

কিতাবের পেজ যার প্রয়োজন বলবেন। মূল কিতাব থেকে দিয়ে দিব ইনশাল্ল্লাহ 



এই খানে আমি বলতে চাই যে দেওবন্দ মাদ্রাসা এর এত বড় আন্দোলন এর দাবি করে কিন্তু এদের কিতাব থেকে তো মুসলমানদের কে অকৃতজ্ঞ বরং সমস্ত ভারতবাসী কে অকৃতজ্ঞ বলে ফতোয়া মারলেন। আমরা সত্যি অকৃতজ্ঞ যে আমরা ইংলিশদের কে আপন মনে করি নাই, তাদের বিরুদ্ধে সব সময়  যুদ্ধ করে গেছি। আর আপনারা দালালি করে আমাদের কে অকৃতজ্ঞ বলে ফতোয়া মেরে গেছেন। 


(মাকাল্লামাতুল সাদেরিন ) কিতাবের ৮-৯ নং পৃষ্টায় সাব্বির আহমাদ উসমানী লিখেছেন যে :- ইংরেজ হুকুমত থেকে আশরাফ আলী থানবী প্রতি মাসে ৬০০ রুপিয়া নিয়ে থাকত ও এই টাকা রশিদ আহমাদ গান্গুহির মাধ্যমে আসতো (মাকাল্লামাতুল সাদেরিন) সাব্বির আহমাদ উসমানী পৃষ্টা ৮-৯ 


 

লক্ষ্য করুন ;- the indian muslim কিতাবে তত্কালীন ইংলিশ জেনারেল ডব্লিউ ডব্লিউ হান্টার ৩ নং পৃষ্টায় লিখেছেন যে : পাঞ্জাব সীমান্তে বিদ্রোহের গোড়াপত্তন করে সাইয়েদ আহমাদ , কুখ্যাত এক দস্যুর অশ্বারোহী রূপে জীবন সুরু করে ও বহু বছর যাবত মালওয়া অঞ্চলে আফিম সম্মৃদ্ধ গ্রামগুলোতে লুটতরাজ চালায়।  রঞ্জিত সিংহের নেত্রীতে উদীয়মান সক্তি পার্শ বর্তী মুসলিমদের উপর যে নিস্গেধাগ্গা আরোপ করে তাতে মুসলিম দস্যুদের কার্যকলাপ বিপদসংকুল হয়ে পরে ও দস্যু বৃত্তি লাভজনক থাকে না ( the indian muslim ) পৃষ্টা ৩-৪ 


এর  পর আবার দেখুন :- শিকদের গোড়া হিন্দুয়ানির কারণে উত্তর ভারতে মুসলমানদের উত্সাহিত করতে থাকে।  সাইয়েদ আহমাদ অত্যান্ত বিচক্ষনতার সহিত দস্যু বৃত্তি ত্যাগ করে ও ১৮১৬ খ্রিস্টাব্দ নাগাদ চলে যান ইসলামের এক সুবিখ্যাত পন্ডিতের নিকট (শাহ আব্দুল আজিজ ) the indian muslim পৃষ্টা ৪ 


এখান থেকে সুস্পস্ট প্রমানিত সাইয়েদ আহমাদ একজন কুখ্যাত ডাকাত ছিল পরে রঞ্জিত সিংহের বিচক্ষনতার কারণে  যখন দস্শুবৃত্তি লাভজনক থাকে না তখন তিনি দস্যু বৃত্তি ত্যাগ করে শাহ আব্দুল আজিজ সাহেবের কাছে যান।  


দেওবন্দী দের কিতাব ( দেওবন্দ আন্দোলন , ইতিহাস , ঐতিয্য ও অবদান ) বাংলাদেশ কৌমী শিক্ষা বর্ড থেকে পাঠ্য পুস্তক হিসেবে  প্রকাশিত ৯৯ নং পৃষ্টায় লিখেছেন যে ;- শাহ আব্দুল আজিজের নিকট সাইয়েদ আহমাদ গেলে তাকে একটা কিতাব পড়তে দেন।  তখন তাকে কিতাবের প্রতি অন্যমনস্ক দেখে শাহ আব্দুল আজিজ সাহেব জিগ্গেস করেন  পরচ না কেন ? তখন সাইয়েদ আহমাদ জবাব দেন যে আমি কাছের কোনো কিছু দেখতে পাই না ( দেওবন্দ আন্দোলন ) পৃষ্টা ৯৯-১০০


এখান থেকে একটা জিনিস প্রমাণিত যে সাইয়েদ আহমাদ কানা ও ছিল। আসলে সারা জীবন করেছে আফিমের খেত লুট এখন সামনে আঙ্গুর রাখলে কি তার চোখে পর্বে ? দেওবন্দী, বালকটি ,গোলাপী , আহলে হাদিস রা বলে সাইয়েদ আহমাদ নাকি মুজাদ্দেদ।  আসলে সে নিজে ছিল কানা আর কানাদের জন্য ছিল মোজাদ্দেদ।  আমাদের না।  


দি ইন্ডিয়ান মুসলিম কিতাবের ৫ নং পৃষ্টায় লিখেছেন যে ৩ বছর সে শাহ আব্দুল আজিজের সাহেভের কাছে থাকেন এর পর সম্পুর্ন নতুন রূপে লোকদের বায়েত নেওয়া সুরু করেন ( আওর মোহাম্মদী তরিকায়)  ও নিজেই ধর্মের প্রচারক রূপে আত্মপ্রকাশ করেন।  ফলে কিছু দুর্ধর্ষ একদল ভক্ত অনুসারী তার পশ্চাতে সমবেত হয়।  


এখান থেকে একটা বিষয় লক্ষ্য করুন যে  সে ডাকাতি ছেড়ে দিয়ে ৩ বছরে সে একজন ধর্মীয় প্রচারিক ও সম্পুর্ন নতুন এক তরিকার জন্ম দেন  যাকে আওর মোহাম্মদী তরিকা বলা হয় বাংলাদেশের ( ফুলতলী,জয়্ন্পুরি,আট রশি ,সরছিনা , চরমোনাই , রাজারবাগ, চন্দ্র পারা ) এই সিলসিলার অন্তির্ভুক্ত , এদের সেজ্রায় (বুজুর্গ দের লিস্টে) সাইয়েদ আহমাদ এর নাম আছে ) 

অথচ দেওবন্দী গণ সাইয়েদ আহমাদ কে মোজাদ্দেদ মানে কিন্তু তার তৈরী (আওর মোহাম্মদী ) তরিকা মানে না।  


দি ইন্ডিয়ান মুসলিম কিতাবের ৫ নং প্রিস্তাই লিখেছেন যে ১৮২২ সালে হজ্জ করতে যায় পরের বছর অক্টোবর এ ফিরে আসে ও রায় বেরেলি (তার জব্মস্থান) এ কিছু অশান্ত প্রকৃতির লোক কে তার দলে টেনে নেয়।  এর পর সে ধর্মান্দ কুসংস্কারাচনন পাঠান অধ্যষিত এলাকায় যায় এবং পবিত্র জিহাদ এর দাওয়াত দেয় , আর বলে যে পরিমান হিন্দুদের সম্পদ লুট হবে জারা বেছে যাবে যুদ্ধে থেকে তারা এক বিশাল পরিমান সম্পদ নিয়ে ঘরে ফিরতে পারবে।  

পাঠানরা তার কোথায় সম্মত হয় ও সাইয়েদ আহমাদ ও এটাকে কাজে লাগায় পুরাণ দুস্মনির জবাব দেয়ার জন্য ( দি ইন্ডিয়ান মুসলিম ) পৃষ্টা ৫ 


এখান থেকে একটা জিনিস প্রমাণিত যে দস্যু বৃত্তি করার সময় রঞ্জিত সিংহের সাথে থাকা পুরাণ দুস্মনির জন্যই সাইয়েদ আহমাদ শিখদের সাথে যুদ্ধে জড়িয়েছিলেন।  আর পাঠান রা আজ ও পাগলের মত , পাঠান দের কে দেওবন্দিদের মুজাদ্দেদ আশরাফ আলী থানবী অনেক খানে বেজ্জাত করেছেন ( দেখে নিন মুসলমানের হাসি  পৃষ্টা         (ইফাজাতুল য়াওমিয়াহ ) পার্ট ২ পেজ ২৮৬ (হৃদয় ছোয়া কাহিনী পৃষ্টা ৩১) এই কুসংরাচন্ন পাঠান রা লুটতরাজ এর জন্যই সাইয়েদ আহমাদ এর সাথ দিয়েছিল।  


এবং সেই পাঠানদের মেয়েদের সাথে জুলুম করার কারণেই পলানোর সময় বিপদে পরে থাকা শাহ ইসমাইল দেহলবী কে সাহায্য করার সময় শিখদের হাতে নির্মম ভাবে মিত্তু বরণ করেন ( দি ইন্ডিয়ান মুসলিম ) ১১ নং পৃষ্টা 


ডব্লিউ ডব্লিউ হান্টার এর এই কিতাবে তিনি কোনো খানেই লিখে যান নাই যে সাইয়েদ আহমাদ ইংরেজদের কে লক্ষ্য করে একটা বুলেট চুরেচেন।  

অথচ দেওবন্দিদের মুখে সুধু সাইয়েদ আহমাদ এর গুন্কির্তিন শোনা যায়।  


তাদের নিজের হাতে লিখা কিতাব ( দেওবন্দ আন্দোলন ) এর ৯৯-১৩৬ পর্যন্ত মোট ৩৭ পেজ এ সাইয়েদ আহমাদ এর জীবনী বর্ণনা করেছেন।  তারা নিজেরাই সেই কিতাবে লিখতে পারে নাই যে সাইয়েদ আহমাদ ইংরেজদের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করেছেন।  আমু ডি ইন্ডিয়ান মুসলিম কিতাবের a-z পর্যন্ত ও দেওবন্দ আন্দোলনের ৯৯-১৩৬ পর্যন্ত সকল পৃষ্টা দিব।কোনো দেওবন্দী মায়ের লাল থাকলে যেন আমার চলেংজ করে।  


আব্দুল ওয়াদুদ এর লিখা কিতাব (ওয়াহাভি আন্দোলন)  লিখেছেন যে - সাইয়েদ আহমাদ সৌদি তে গিয়ে ওহাবী শিক্ষায় দীক্ষিত হয়ে আসে ও উপজাতি অঞ্চলগুলোতে সুন্নি মুসলিমদের কে মুশরিক মাজার পুজারী ও তাদের ধন সম্পদ গনিমত বলে ফতোয়া প্রদান করেন।   যখন সাইয়েদ আহাম্মক জিন্দা ছিলেন তখন পুরা হিন্দুস্তান এ ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানির অধীন পুরা ছিল না৷ আর তখন সকল মুসলিম রা জিহাদ এর জন্য এক পায়ে খাড়া ছিলেন কিন্তু সাইয়েদ আহমাদ দেশের ভিতরে না থেকে সকল মুসলিম কে একখানে না করে তাদের কে কোন পথ না দেখিয়ে তিনি পার্শবর্তী মুসলিম রাজ্য গুলো যেমন সোয়াত ,ইউসুফ যাই ( মালালা ইউসুফ যাই এর এলাকা ) , কাবুল , কান্দাহার , পেশাবর , উজিরিস্তান , এই সকল এলাকায় হামলা চালান যাতে করে হিন্দুস্থান এর মুসলিম দের দিকে তারা নজর দিতে সময় না পান ও পাঞ্জাব এর শিকদের সাথে তিনি খন্ড খন্ড ২-১ তা যুদ্ধে লিপ্ত হন তাতে ও গো হারা হেরে পলায়ন করেন ৷ (ওহাবি আন্দোলন ১-৮৭ পৃষ্ট )


মুসলিম রাজ্য গুলোতে এত পরিমান অত্যাচার করেছেন তা( ওহাবী আন্দোলন ) আব্দুল মৌদুদ এর লেখা দেখলে চোখে পর্বে আর সেই কিতাব এর স্ক্রিন শুট এর প্রজন বলে বলিয়েন আমি দিয়ে দিব ৷
আর তিনি ঠিক মুসলিমদের কে আব্দুল ওহাব নজদি এর মত সুন্নি মুসলিমদের কে মুশরিক ও তাদের যান মাল গনিমত বলে ফতোয়া দেন ৷ আর এইকারণে যত মুসলিম ঘর উজার হয়ছে তার হিসাব একমাত্র আল্লাহ জানেন আর ইতিহাস সাক্ষী৷ (ওহাবি আন্দোলন পৃষ্টা ৩৪)

শিক দের সাথে২-১ তা যুদ্ধ করেছেন তাও আবার ইংরেজ দের জন্য. ৷কারণ তখন পাঞ্জাব ছিল ইংরেজ মুক্ত আর সেনাপতি রঞ্জিত সিং ছিলেন এক বাহাদুর ও বিচক্ষণ সেনাপতি৷ আর ইংরেজদের সাথে কয়েকবার তাদের মোকাবেলা হয় কিন্তু ইংরেজরা কোনো কিছুই পান নাই তাই সাইয়েদ আহমাদ কে দিয়ে শিকদের কে চাপে রাখেন ও ইংরেজদের ও চেষ্টা অব্বাহত থাকে ৷ শেষে ইংরেজদের সাথে শিকরা ইংরেজদের সাথে সন্ধি করেন৷
তাওয়ারিখে অজীবাহ নামক কিতাবের ১৮২ নং পাগ বলা হয় যে সাইয়েদ সবের কোনো ইচ্ছা ছিল না ইংরেজদের সাথে যুদ্ধ করার ৷ তিনি বরং ইংরেজদের রাজত্ব কে নিজের রাজত্ব মনে করতেন ৷ তিনি যদি ইংরেজ বিরোধী হতেন তা হলে কিভাবে অনার কাছে সাহায্য পৌঁছত সে সময় ?তবে ইংরেজদের চেষ্টা ছিল সাইয়েদ আহাম্মক এর দিয়ে শিকদের চাপে রাখতে ৷

আবুল হাসান আলী নদভীর লেখা ( ছিরাতে সাইয়েদ আহমাদ) ১ম খণ্ডের ১৯০ নং পেজে বলেন যে সাইয়েদ আহম্মক সবার সামনে ইংরেজ বিরোধী ওপরে দেখালেও তিনি তার সাথের মৌলবী মুফতি গণ গোপনে ইংরেজদের কাছ থেকে সাহায্য ও সহযোগিতা নিতেন ৷


সাইয়েদ আহমাদ এর প্রধান সেনাপতি মহা পন্ডিত শাহ ইসমাইল দেহলবী একবার কলকাতা এর মসজিদে শিখদের বিরুদ্ধে জেহাদ এর দাওয়াত দিতেছিল এমন সময় একজন লোক বলে উঠে যে আপনি ইংরেজ দের বিরুদ্ধে  যুদ্ধের দাওয়াত করছেন না কেন ? ইংরেজদের বিরুদ্ধে যুদ্ধ ঘোসনা না করে শিখদের বিরুদ্ধে যুদ্ধের দাওয়াত দিতেছেন ?
শাহ ইসমাইল বলেন যে ইংরেজর আমাদের কোনো ধর্মীয় বিসয়াদি তে ও কোনো প্রকার অসুবিধা এর সম্মুখীন করছে না তাই এদের বিরুদ্ধে যুদ্ধ ফরজ তো দূর ওয়াজিব ও না ৷ ইংরেজদের ওপর যদি কেউ হামলা চালায় তো ইংরেজদের হয়ে তাদের বিরুদ্ধে আমাদের যুদ্ধ করা ফরজ কারণ আমরা তাদের প্রজা ৷ কিন্তু পাঞ্জাবে যখন আমাদের মুসলিমদের সমসা হচ্ছে তাই তাদের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করা প্রজন ।

মির্জা হায়াত দেহলবী প্রণীত ( হায়াতে তায়য়েবাহ ) শাহ ইসমাইল এর জীবনী গ্রন্থ পেজ ২৭১ 

মুন্সী মোহাম্মদ জাফর থানেস্সরী তার কিতাব ( সাওয়ানিয়ায়ে আহমাদি ) পৃষ্টা ৪৭ এ তাই বলেছেন 

মজার কথা হচ্ছে সিলেট এর ফুলতলী এর পীর মোহাম্মদ ইমাজ উদ্দিন চৌধুরী ( সাইয়েদ আহমাদ বেরেলবী এর জীবনী) পুস্তক লিখতে গিয়ে তার দিতীয় সংস্করণ এর ৪৮ ও ৪৯ নং পেজ লিখেছেন ( ইংরেজ অথিত্ত ) তে বলেন ইসার নামাজের পর সাইয়েদ সাহেব কে খবর দিল যে মশাল হাতে কয়েকজন লোক এদিকে আসছে ৷ সাইয়েদ সাহেব খবর নিতে গিয়ে দেখেন কয়েকজন ইংরেজ ৷ তার মধে থেকে একজন এসে বলল সাইয়েদ সাহেব কে ৷ তিনি বললেন আমি ৷ইংরেজ বলল আমরা ৩ দিন যাবত আপনার রাস্তা দেখতেছি ৷ আজ খবর পেলাম আপনি এদিক দিয়ে যাচ্ছেন তাই এই নগন্য খাদ্য দ্রব্য গুলো কবুল করেন 


যে সকল দলিল আমি পেশ করেছি তা সব গুলি দেওবন্দী বুজুর্গ ও গোলাপী সুন্নিদের কিতাব থেকে, মানে হচ্ছে যারা সাইয়েদ আহমাদ কে নিজেদের আকবের মানে ও মুজাদ্দেদ মানে তাদের কিতাব থেকেই দিলাম।  এখন নিজের চোখে দেখে আমাকে জবাব দিন কে ? আর করা ? ইংরেজদের দালাল ছিল ? 

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন