শনিবার, ১৫ নভেম্বর, ২০১৪

আহলে হাদিসের চেয়ে কাদিয়ানিদের ইলম বেশি

ওহাবী :- গায়ের মুকাল্লিদ এ দ্বীন এর প্রখ্যাত আলেম ইব্রাহিম মীর শিয়াল কোটি ওহাবীদের (আহলে হাদিস দের ) ও দেওবন্দিদের জ্ঞান গত যোগ্যতার সুন্দর একটা সত্যায়ন পত্র দিয়েছেন যে ;- ওই সকল আলেম গণ বিশেষ করে আহলে হাদিস ও দেওবন্দী আলেম গন বিশেষ করে জারা কংগ্রেস ও পার্টি করেন ও কংগ্রেস কে ভোট দিতে বলেন তারা এত বেশি সাদা সিদে যে অর্থোহীন বিষয়ের উপর নিজের যান ও মাল বিসর্জন দিতে বলেন (পত্রিকা , আহলে হাদিস , ৫ নভেম্বর ১৯১৫) 

আবার দেখুন ;- অব্সস ওই সব লোকের জন্য বিশেষ করে আহলে হাদিসের আলেমদের জন্য জারা ছোট ছোট বিষয় নিয়ে ফতোয়াবাজি করতে অনেক বেশি আগ্রহী , তারা কোরানে করিমের সুস্পস্ট বিবরণ ও বর্ণনাদী , ভীতি প্রদর্শন ও অতি কঠোর শর্তের মোকাবেলা করতে দুস্সাহস দেখায়।  নিজের কর্ম্পধতি কোরানের বর্ণনার অনুরূপ করে নেয়ার পরিবর্তে সেটাকে ভেঙ্গে মচ্কিয়ে নিজেদের খেয়াল খুসি ও নিজেদের পার্টি কংগ্রেস এর গৃহিত সিদ্ধান্ত অনুযায়ী চালিয়ে দিয়ে মুসলমানদের কে আল্লাহর নির্ধারিত রাজপথ থেকে বিচ্যুত করতে চায় ও ইসলাম এর গন্ডিকে লাইন-চুত করতে চায়. (পয়গাম এ হেদায়াত ) পৃষ্টা ৭৪-৭৫


উপরে বর্ণিত কথা গুলো চক্ষু-মান দের জন্য আশা করছি হেদায়াত সরূপ কাজ করবে। বর্তমান আহলে হাদিস দের কাজ কোরানের সুস্পষ্ট বর্ণনাদী যা মুশরিক দের জন্য ছিল তা অলি আওলিয়া ও আহলে সুন্নাত ওয়া জামাতের উপর আরোপ করে যাচ্ছে। আর তারা নিজে তাকলিদ না করে  চার ইমামের , মোহাম্মদ ইবনে আব্দুল ওহাব নজদি , ইবনে তাইমিয়া , ও আল বাণী এর তাকলিদ করছে। অথচ এদের ইটা কে তাকলিদ মনে হয় না। 


মৌলভি এনায়েত উল্লাহ আসারি গায়ের মুকাল্লেদ এ দ্বীন এর প্রখ্যাত আলেম মৌলভি ইসমাইল সালাফি এর বিষয় বলেচেন যে আমি একদিন এশার নামাজের পর ইসমাইল সালাফি কে বললাম যে ;- আপনি আমাকে দোয়া কুনুত পড়ে শোনান। কারণ আপনি একটা জায়গায় প্রতিদিন ভুল পরেন।  তিনি আমাকে পড়ে শোনানোর পর আমি ইচ্ছাকৃত ভাবে এক জায়গায় (জবর ) জায়গায় (জেবর ) লাগিয়ে দিলাম আর বললাম আপনি ইটা ভুল পড়েন।  তিনি আমার কথা মেনে নিলেন (আল জসরুল জলিল) ১ খ পৃষ্টা ২৭

দেখুন এদের ইলম

৩,৪,৫ নভেম্বর ১৯৪৪ জমিয়তে আহলে হাদিস অমৃতসর এর গুলবাগে জলসা হলো। তাতে মৌলভি আব্দুল্লাহ সাহেব সনির দাওয়াতের কারণে আমি হাজির হলাম। ৪ নবেম্বর জোহরের নামাজের পর ঐক্যের উপর আমার বক্তিতা হল।  আমার পর মাওলানা আবুল কাসেম বেনারসী দাড়ালেন বক্তব্যের জন্য। কথার মাঝখানে বলে দিলেন যে সানাউল্লাহ অমৃত সরির তাফসির (তাফসিরুল কুরআন বিকালা ফির রহমান) এর চেয়ে এনায়েত উল্লাহ আসারী র তাফসীরে বেশি ভুল। কিন্তু তবু সবাই সানাউল্লাহ সাহেবের পিছনেই লেগে আছেন। 

এই কথার পর ও কেউ হাফেজ সাহেব এনায়েতুল্লাহ আসারী কে কিছুই বললেন না (আল আশরুল জলিল ) ১ ক খ ১৩৫ নং পৃষ্টা 


এরা সুধু নিজেদের দল দেখে।  আর কিছু দেখে না।  

তারা তাদের নিজেদের তাফসিরুল কুরআন এর বিষয় মন্তব্য করতে গিয়ে লিখেছেন যে , একদিন আহমাদ দ্বীন সাহেব মৌলভি একদিন এনায়েত উল্লাহ আসারী এর তাফসীরে (আ-য়া -তু লিস সা-ইলিন ) এর বিষয় বলেছেন যে :- যখন তার এই তাফসির নতুন নতুন প্রকাশিত হল তখন হাফেজ মোহাম্মদ সাহেব দোকানে (তাজের এ কুতুব) কাশ্মিরী বাজার লাহোর এ বসে আব্দুল্লাহ রুপরী সাহেব তাফসীর কিতাবটা পর্জালোচনা করছিল।  তখন আমি বললাম এটার আরবি (ভাষা) কেমন ? রুপ্রী সাহেব জবাব দিল যে আরবির কথা বলছ ? ইটা তো সানাউল্লাহ এর তাফসির এর চেয়ে ও জঘন্য।  সালফে সালেহীন দের বিপরীত। ( আল ইজ্রুল বলিগ ) পৃষ্টা ৩০ 


এই হচ্ছে আহলে হাদিস দের তাফ্সিরে কোরান।  


ওহাবীদের ইমাম সানাউল্লাহ তাদের নিজেদের আলেম মলোভি ফক্বির উল্লাহ মাদ্রাজি এর বিষয় লিখেছেন যে ;- আপনার সকল কিতাব আমার সামনে আছে।  আমি পরেছি আপনার কিতাবের প্রতিটা পাতা ও লাইন।  আর প্রত্যেকটা পাতা ও লাইন এ কাফের, মুরতাদ, মুল্হিদ অপেক্ষা বড় দজ্জাল মুনাফেক , জিন্দিক বলে রটানো ছাড়া ভালো কিছুই বা উপদেশ মূলক কিছুই চোখে পড়ল না।  আপনি হাদিসের খেদমত করছেন।  বলুন তো আপনার ঈমানের সাথে যে ( গাধার মত কিতাবাদি বহন করছে ) এই আয়াত আপনার বেলায় প্রযোজ্য কি না ? ( আহলে হাদিস পত্রিকা) অমৃত সর। পৃষ্টা ১১, ৫ নভেম্বর ১৯১৫


এই হচ্ছে আহলে হাদিসের আলেম জারা সুধু গাধার মত কিতাব বহন করছে   কিন্তু কিতাবের কি শিক্ষা তা তাদের জানা নাই  . 


গায়ের মুকাল্লেদ এর আলেম আবুল বাসার মুরাদ আলী বলেছেন যে ;- যদি জমিয়তে আহলে হাদিসের আমির আমার ওপর রাগ  করে না বসে তো বলব মীর্জা আ জাহানি (কাদিয়ানী) ও জ্ঞানের ময়দানে আমাদের আগে চলে গেছেন।  অতি অল্প সময় সংখা লঘু জামাতটি একটা সক্তিসালি মিশন প্রতিস্স্তা করে গেছেন। (আহলে হাদিস , অমৃত সর , পৃষ্টা ৭ , ১৫ নভেম্বর ১৯১৫ 


আমি আমার নিজের কোনো কথা উল্লেখ করছি না।  যা রেফারেন্চ্স এ পেলাম তাই প্রকাশ করলাম। এখানে আপনাদের জন্য অনেক বোঝার বিষয় আছে 


সোহেল রানা 


কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন