এই খানে একটা কথা সুস্পষ্ট যে ওহাবীদের মাথায় ঘি সবসময় যে কম থাকে তার প্রমান মিলে। এই খানে তিনি লিখেছেন যে নবী পাক কে উপস্থিত মনে করে কেউ সালাম প্রেরণ করলে তা বেদাত হবে।
আমি এই খানে একটা কথা বলতে চাই যে আল্লাহ কি সর্বত্র হাজির নাজির ? আল্লাহ কি এখন আপনার সামনে আছে ? আল্লাহ কি পৃথিবীর বুকে আছেন ? নাই। আল্লাহ রাব্বুল আলামিন আরশে অবস্থান করছেন। তিনি আপনার সামনে নাই। এমন কি যে আপনি যে নামাজ পরেন তখন ও আল্লাহ আপনার সামনে আসেন ও না ও বসেন ও না আপনার নামাজ দেখার জন্য। তবু আপনি আল্লাহ পাক কে সামনে মনে করে নামাজ করে থাকেন।
আর দেওবন্দিরা বলে যে তোমাদের নবী যে হাজির নাজির তো তোমার নবী কি তোমার সামনে আছে হাজির ? আমি তাকে প্রশ্ন করছি আল্লাহ কে যে আপনি হাজির নাজির মনে করেন আপনার আল্লাহ কি আপনার সামনে এখন হাজির আছে ? জবাব তা দিবেন।
আল্লাহ রাব্বুল আলামিন যেমন আর যে সক্তিতে আরশে বসে সকল কিছু প্রতেক্ষ করছেন ঠিক সেই সক্তির রহমতে আমার নবী মদিনায় সুয়ে সব কিছু কে প্রতেক্ষ করছেন। পারলে আর থাকলে কোনো মায়ের লাল আল্লাহ আপনার সামনে এখিন হাজির আছেন তা প্রমান করুন।
আর নবী পাকের বিষয় আমাদের আকিদা হচ্ছে যে তিনি আমাদের বিষয় সর্বক্ষণ অবহিত আছেন। তিনি আমাদের সামনে অপস্থিত নাই , কিন্তু প্রতিটা খন এর অবহিত আছেন। আল্লাহ পাক যদি আরশে ময়াল্লায় বসে সারা কায়েনাত এর খবর রাখতে পারেন তার হাবিব দুনিয়ার বুকে সুয়ে থেকে সুধু তার গোনাহ্গার উম্মত এর খবর রাখতে পারেন না ?
আর প্রধান যে কথা ,তা হচ্ছে যে আমাদের নবী কে অনুপস্থিত জেনে ও উপস্থিত মনে করে সালাম দেওয়া তে কোনো অসুবিধা নাই তা ত্বকী উসমানী সাহেব সুন্দর করে জবাব দিয়েছেন।
তিনি সোজা বলে দিয়েছেন যে নবী পাক কে উপস্থিত মনে করাতে বা হাজির ও নাজির মনে করাতে (যে উপস্তিত থাকে সেই হাজির ও নাজির হতে পারে ) ও উপস্তিত মনে করে সালাম প্রেরণ করাতে কোনো প্রবলেম নাই। কিত্নু বর্তমান দেওরান্দী দের বাচ্চা রা শিরক শিরক বলে আর শান্ত হয় না। কিন্তু তাদের বাপ সুস্পষ্ট লিখেছেন তাদের কিতাবে যে উনুপস্তিত জেনে ও উপস্তিত মনে করাতে কোনো প্রবলেম নাই।
হা সত্যি ইটা যে নবী পাক আমাদের সামনে হাজির থাকেন না বা নাই যেমন আল্লাহ রাব্বুল আলামিন আমাদের সামনে হাজির ও নাজির না।
আল্লাহ পাক কে যেমন আমরা হাজির নাজির মনে করি হাজির না থেকে ও সেই ভাবে ত্বকী উসমানী করতে বললেন যে নবী পাক হাজির নাজির না জেনেও হাজির ও নাজির মনে করাতে কোনো প্রব্ব্লেম নাই।
এখন যদি দেওবন্দী রা বলে ইটা শিরক তবে সেই শিরক এর দায়ে সোবার আগে অভিযুক্ত হতে হবে ত্বকী উসমানী কে।
কারণ নবী পাক বলেছেন যখন নামাজ পড় তখন ইটা মনে করবে যে আবার বলছি মনে করবে যে তুমি আল্লাহ কে দেখছ না কিন্তু আল্লাহ তোমাকে দেখছে।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন