শনিবার, ১৫ নভেম্বর, ২০১৪

তুফা হাকিমের জবাব তাবলীগ জামাতের কাজ পীর মুরিদি পরোচার করা


  পোস্ট   মন দিয়ে পড়ুন ;- 


লতা নাহিদা@ কালকের পোস্ট মনে হয় পরেছিস কিন্তু পাচায় দম হয়নি এসে কথা বলার। আর তুফা হেকিম , নিজেদের কে সিংহের জাতি দাবি করে কুত্তার মত ঘেউ ঘেউ কর ? তোমাদের অধপতন এখনো অনেক বাকি। 

তুফা হেকিম পোস্ট করেছে কোন এক পীরের মুরিদ তাদের তাবলীগের জিম্মাদার কে প্রথমে ধাক্কা মেরে ফেলে দেয় আর সেই ধাক্কা খেয়ে তাবলিগ জামাতের জিম্মাদার পরে যায় ও কাদতে সুরু করেন কষ্টে। কস্ট হওয়া স্বাভাবিক। পরে সকালে ফজোরে নামাজ পড়তে এসে সেই পীরের মুরিদ জিম্মাদার এর কানে কানে কি বললেন আর চলে গেলেন আর জিম্মাদার একটু একটু হাসলেন । এর পর দেখি ট্রেন এর টিকেট একটা বেশি। সেটা সেই পীরের মুরিদ এর জন্য এবং সে ও তাবলীগের জামাতের সাথে যোগ দিয়েছে। তার কাছে বসে জিজ্ঞাসা করলাম কেমন লাগছে ? জবাব আমার পারফেক্ট মনে আসছে না। তবে এমন যে আজকে সত্যিকারের দিশা পেলাম। এই কথা গুলো হচ্ছে তুফা হেকিম এর পোস্ট থেকে নেয়া। আমি একটু সর্ট করে মূল বক্তব্য তুলে ধরেছি মাত্র। 


আপনাদের হয়ত জানা নাই যে তাবলিগ জামাতের প্রধান কাজ হচ্ছে পীর মুরিদির প্রচার করা। বিশ্বাস হয় না ? দেখুন :- 

বাংলাদেশ তাবলিগ জামাতের অন্যতম একজন আলেম ও মুফতি মাহমুদ হাসান গান্গুহির খলিফা শায়খুল হাদিস হজরত মাওলানা মামুনুর রশিদ সাহেব (দা;বা;) কে আশা করি তাবলিগ জামাতের কথিত ঠিকাদার গণ জানেন।  তিনি মশা আল্লাহ অনেক উর্দু কিতাব বাংলায় অনুবাদ করা ছাড়া ও নিজ হাতেও মনে হয় কয়েকটা কিতাব লিখেছেন।


 যাই হোক ওনার অনুবাদ কৃত মাওলানা জাকারিয়া (রহ) এর (আকাবির কা সুলুক ও এহ্সান ) ১৪ নং পৃষ্টায় লিখেছেন যে ;- তাবলিগ জামাতের পূর্ববর্তী আকিদা বিচ্যুতির ফলে বাধ্য হয়ে কলম তুলে নিলাম , কিছু কালামে পাকের আয়াত ও হাদিস ও মাওলানা ইলিয়াছ ও তার দ্বীনি দাওয়াত (আবুল হাসান আলী নাদ্ভির লেখা ) মালফুজাত এ মাওলানা ইলিয়াছ ( মাওলানা মঞ্জুর নোমানী কর্তৃক সংগ্রহিত ও সংকলিত ও অনুবাদ ডা; মোহাম্মদ ছানাউল্লাহ বেরিসটার ) অনুসরণে একটা কিতাব লিখলাম তার নাম দিলাম (রাসুলুল্লাহ (সা )এর দাওয়াত-তাবলিগ এবং হজরত মাওলানা ইলিয়াছ এর তাবলিগ ও পীর মুরিদী)  



অকবির কা সুলুক ও এহসান কিতাবের ১৬ নং পৃষ্টায় আবার লিখেছেন যে ;- সেই কিতাবের বিষয়বস্তু ছিল দাওয়াত তাবলিগ - মাদ্রাসা ইলম হাসিল করা -পীর মুরিদী ইসলাহী মেহনত করা।

এটাই হল কোরানের আদেশ ও নবীর আদেশ এবং মাওলানা ইলিয়াছ (রহ) এর তরিকা এটাই মুমিন মুসলমানদের তরিকা হওয়া চাই ,মুরিদ না হলে কি শাস্তি হবে সে বিষয় মুসলিম সরিফের ২য় খন্ডের ১২৮ পৃষ্টায় বর্ণিত হাদিস কঠোর ভাষা সেই কিতাবে উল্লেখ করা হল। 


একটু নিচেই লিখেছেন যে ;- কিতাব টা মানুষের হাতে পৌছানোর সাথে সাথে অনেক কানা ঘুসা সুরু হয়ে গেল। একজন তাবলিগ জামাতের জিম্মাদার তো বলেই ফেললেন যে ;- মুরিদ না হয়ে মরলে যদি বেইমান হয়ে মরতে হয় তা হলে আর মুরিদী হব না, যদিও মুরিদ হওয়ার ইচ্ছা ছিল। পৃষ্টা ১৬

তোমরা এখন তোমাদের এই তাবলিগ জামাত কে যে কি মনে কর যে তোমরা বেইমান হয়ে মরতে রাজি আছ কিন্তু কারো মুরিদ হতে রাজি নাই। ধিক তোমাদের কে হাজার ধিক। আসলেই তোমরা বেইমান। 


আরো কিছু কথা আছে যা প্রশ্ন সামনে আসলে প্রকাশ করব ,এখন প্রয়োজন মনে করছি না। 


আকাবির কা সুলুক ও এহসান কিতাবের ২০ নং পৃষ্টায় লিখেছেন যে ;- হজরত মাওলানা ইলিয়াছ (রহ) তাবলীগের নামে পীর মুরিদীর ও জিকির আজকার এর যে মেহনত চালু করেছেন এবং তা করতে সকল কে আদেশ করেছেন ও আমলি নমুনা পেশ করেছেন তাও জেনে এই বেপারে আমার মনস্থির হল যে ;- তাবলীগের নামে পীর মুরিদীর প্রচার করা। (আকাবির কা সুলুক ও এহসান কিতাবের ২০ নং পৃষ্টা)


যে তাবলিগ জামাতে গিয়ে তুমি পীরের মুরিদ কে খোটা মারো মিথ্যা বেবুনিয়াদ তঃমত লাগিয়ে সেই তাবলিগ জামাতের কাজ হচ্ছে পির মুরিদী প্রচার করা /



যাই হোক একটু নিচে আবার লিখেছেন যে ;- কেননা মাওলানা ইলিয়াছ সাহেব নিজে ১০ বছর বয়সেই মাওলানা রশিদ আহমাদ গান্গুহির হাতে মুরিদ হন , ১০ বছর রশিদ আহমাদ এর কাছে  শিক্ষা গ্রহণ করেন এর পর ওনার মিত্তু হলে রশিদ আহমদের খলিফা মাওলানা খলিল আহমাদ সাহারান পুরীর হাতে মুরিদ হন ও খেলাফত লাভ করেন । আর এক জনের নাম মনে আসছে না তিনি  তার কাছে জিহাদের জন্য ও মুরিদ হয়েছিলেন। 



মাওলানা ইলিয়াছ সাহেবের মিত্তুর আগের রাত্রের দিন বুধবার মাওলানা জাকারিয়া কে বলেন যে ;- এই তাবলিগ জামাতের মধ্যে ৬ জন লোক গুরুত্বপূর্ন ,জারা আমার হাতে মুরিদ হতে চান তারা যেন এই ৬ জনের মধ্যে হতে যার কাছে ইচ্ছা মুরিদ হয়। এই ৬ জনের নাম হচ্ছে ;- (১)মৌলভি ইউসুফ (২) মৌলভি এনামুল হাসান (৩) মৌলভি রেজা হাসান (৪) মৌলভি ইহ্তিশামুল হাসান (৫) হাফেজ মক্বুল হাসান(৬) ক্বারী দাউদ 


পরে মাওলানা ইলিয়াছ সাহেবের মিত্তু হলে মৌলভি ইউসুফ কে সর্বসম্মতি ক্রমে মুরিদ করার দায়িত্ব দেয়া হয়। (আকাবির কা সুলুক ও এহসান) পৃষ্টা ২১


লতা নাহিদা হিজরা তার পোস্ট এ কমেন্ট করেছিল যে আমরা ইলিয়াচি তাবলিগ করি না ,আমরা হাদিস ও কুরআন এর তাবলিগী করি। ধংশ হয়ে যাও তোমরা। মাওলানা ইলিয়াছ সাহেব এর রক্ত পানি করে গড়া তাবলিগ জামাত। আমি  মালফুজাত এ মাওলানা ইলিয়াছ কিতাব পরেছি। তাতে মাওলানা ইলিয়াছ সাহেব অতি সুন্দর করে লিখেছে যে এই কাজ এর মাধ্যমে যত মানুষ হেদায়াত হবে আশা করা যায় এর হকদার আমরাও হব(উপস্থিত ওলামায়ে কেরাম কে লক্ষ্য করে বলেন ) 

আজ লতা নাহিদা হিজরা হারামি বলে যে আমরা ইলিয়াচি তাবলিগ করি না। তোমরা যে নিজেদের আকবের দের কে বেজ্জাত কর ইটা একটা জলন্ত প্রমান। 


আর তুফা হেকিম। 

কুয়ার ব্যাং তুমি। ক্ষেত দেখে অনেক লাফা ঝাপা কর তাই না ? এখনো কিন্তু নালা,ডেরা ,নদী মোহনা,সাগর,মহাসাগর অনেক বাকি। কলার ধরলে তোমারে খুঁজে পাওয়া যাবে না 


সোহেল রানা 


কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন