শনিবার, ১৫ নভেম্বর, ২০১৪

আহলে হাদিস ঈমান ধংস কারি

(no title)

বিসমিল্লাহির রাহমানির রহিম ,
আমি আজ থেকে ওহাবী ,সালাফি ,মৌদুদী, ও গায়ের মুকাল্লেদ নামের যে আহলে হাদিস আছে এদের পূর্ব পুরুষদের কিছু কাদা ছোরা ছুরি প্রকাশ করব , আর আশা করব দেওবন্দিগন যেন ফাকা গুলি করতে চেষ্টা না করে , যে ৩০০ এর অধিক পোস্ট আছে সুধু দেওবিন্দী দের বিরুদ্ধে তা দিয়ে পুরা ১ বছর দৌড় এর উপর রাখতে পারব।
বর্তমান আহলে হাদিস বা ওহাবী দের আকিদা দেওবিন্দী দের কে সাপোর্ট করতে দেখা যায় , যারা আসলেই প্রকৃত দেওবন্দী আকিদার বিষয় ওয়াকেফ নেই। আর কিছু দেওবন্দী আছে যারা সুধু আহলে খবিস বলেই শেষ করে দেয়। আসলে তাদের কিতাব , পত্রিকা, ফতোয়া এই সকল কিছু আমাদের প্রকাশ করা উচিত ,
আগের দিনের দেওবিন্দী গন খরগ হস্ত ছিলেন আহলে হাদিসের বিরুদ্ধে , দেওবন্দী দের প্রখ্যাত আলেম মৌলবী হুসাইন আহমাদ মাদানী  লিখেছেন যে ;- শানে নবুয়াত ও রিসালাতে ওহাবীরা অতিমাত্রায় বেআদবি মূলক সব্দ বেবহার করে (আশ-শিহাবুস-সাকিব পৃষ্টা ৪৭) 

 ওহাবী মতবাদের এক মৌলভ্বি নাম চেরাগ দিন সাহেব লিখেছেন যে ;- আমি একবার দারুল উলুম দেওবিন্দ এ গেলাম। সেখানে হুসাইন আহমাদ মাদানী গায়ের মুকাল্লেদ দের বিষয় বলেন যে ;- তারা মিথ্যুক প্রতারক,দাগাবাজ,ইমান হরন  করি, মানুষের ইমান ধংশ কারী।  তাদের থেকে সতর্ক থেক , কখন ও তাদের জালে আটকে পর না , তাদের কথা গুলো সুনীয় না (সাপ্তাহিক আল হুদা ৪:১৫ ফেব্রুয়ারী ১৯৫৭ )


ওহাবীদের মৌলভি মোহাম্মদ জামাল আরিফ , শিক্ষক বরলদাঙ্গা মাদ্রাসা , মুর্শিদাবাদ 

তিনি লিখেছেন (আখবার এ আহলে হাদিস ) দিল্লি থেকে প্রকাশিত (দারুল উলুম দেওবন্দ থেকে কেন বের হলাম) নামের শিরোনামে যে ;- হুসাইন আহমাদ মাদানী বলেন দারুল উলুম দেওবন্দ এ গায়ের মুকাল্লিদ এর না কোনো জায়গা আছে , আর না আছে কোনো অবকাশ। (আখবার এ আহলে হাদিস পৃষ্টা ৭ , আগস্ট ১৯৫৪) 

কবি বলেন ;- আমরা মহান আল্লাহর দরবারে আদবের সাহায্য চাই , কারণ বেআদব (গায়ের মুকাল্লিদ) আল্লাহর অনুগ্রহ থেকে বঞ্চিত।  

সত্যি সত্যি দারুল উলুম দেওবন্দ একটা উপিমহাদেশের শ্রেষ্ট বিদ্দাপিট মাদ্রাসা গুলোর একটা। সেখানে আল্লাহর রহমত হোক , তাই হুসাইন আহমাদ মাদানী সেই খানে কোনো গায়ের মকাল্লেদ নামের বেআদব কে রাখতে রাজি ছিল না। 

কিন্তু বর্তমান সময় বিয়াদবের শীর্ষে দেওবন্দিদের ও অবস্থান , কারণ সেই সকল দেওবন্দী আলেমগণ পীর ,মুর্শিদ, অলি ও আওলিয়া দের চরণে পরে থাকত , আর বর্তমান দেওবিন্দী গণ সেই সকল অলি আইলিয়াদের মাথার পাগড়ি খোলার জন্য উঠে পরে লেগেছে ঠিক সেই বেআদব গায়ের মুকাল্লেদ দের মতই। 


যাই হোক , 

ওহাবী সম্প্রদায়য়ের মলোভি মোহাম্মদ ইউসুফ লিখেছেন যে ;- আহলে হাদিসের বংশধরদের মাঝে ঐসব দোষ বিদ্যমান  যা তাদের পূর্বপুরুষ দের মাঝে ছিল , তাদের মাঝে ফিরকাবন্দি ও জিহাদ  বর্জনের প্রচলন বেপক হারে বেড়েই চলেছে, যা  বিশ্বের সকল মুসলমান ধংসের জন্য যথেস্ট। (আল ইর্শাদুল জাদিদ ) ২৫/২৬  এপ্রিল ১৯৫৪

উপরের কথাটা আহলে হাদিসের আলেমের মুখ থেকে প্রকাশিত। আজ দেখুন আহলে হাদিসের প্রধান প্রধান এজেন্ডা রা চুপ করে বসে থাকে যখন মুসলিম বিশ্বের প্রতি জুলুম করা হয়। আর তারা ফেরকা ছেড়ে যে স্বাধীন হতে চাচ্ছে তার ও ফল প্রকাশ করব এদের মুখ থেকেই 


গায়ের মুকাল্লিদ এর অন্যতম আলেম মোহাম্মদ ইব্রাহিম মীর শিয়ালকোটি (পাকিস্তান) তিনি লিখেছেন যে ;-আহলে হাদিস (স্হাদ্রা ) ও আল ইতিশাম নামের  ২ তা পত্রিকায় মৌসুমী আন্দোলন হিসেবে কিছু কিছু প্রকাশ করা হয়ে থাকে।  

কোনো কোনো আহলে হাদিসের বক্তা এমন এমন বক্তৃতা প্রকাশ করেন যে তা থেকে অনেক খারাপ কিছু প্রকাশ হওয়ার অসংখা থাকে। 

যেহেতু উভয় পত্রিকা আহলে হাদীসেরই , তারা যেহেতু নিজেদের কে আহলে হাদিস বলে দাবি করে থাকেন , জ্ঞানের মুর্খতা ও অসম্পূর্ণতার অধিক্কের কারণে  অসম্পূর্ণ জ্ঞানী সম্প্রদায়ের মাঝে জ্ঞানী ও সম্মানিত হিসেবে বিবেচিত হয়। যেহেতু ফের্কাবন্দীর ভুত সবার উপর চরে বসেছে , অন্যথায় পক্ষপাতিত্ব ও পরস্পর বিরোধিতা সবার মাঝে বিভিন্ন ভাবে সঞ্চারিত আছেই (ইহিযুয়েল মাইয়েত প্রিস্ট ৩৪) 


এই হচ্ছে আহলে হাদিস দের ইলম ও তাদের নিজেদের আলমের মুখ থেকে 


এরা দাবি করে আমরা আহলে হাদিস , তাই হাদিস ও কুরআন অনুযায়ী এদের মাঝে কোনো বিরোধ থাকা উচিত নয় , কিন্তু উপরের বর্ননা থেকে এদের বক্তব্য ও বিরুধিতা বিদ্যমান তা প্রতিফলিত হয় 


আরো দেখুন :- ওহাবীদের নেতা সানাউল্লাহ অমৃতসরী বলেন ;-আজ ১২ বছর যাবত গজনি পরিবার ও মলোভি বাটাল্ভি সাহেব আমার বিরুধিতা করেই যাচ্ছেন ( আহলে হাদিস পত্রিকা) পৃষ্টা ৩ ২৯ জানুয়ারী ১৯১৫ 


এই সানাউল্লাহ সাহেব আহলে হাদিসের একজন প্রখ্যাত আলেম আর বাটালবি তাদের মজ্তাহিদ। 

এদের আর একজন আলেম আব্দুল্লাহ কাদের রুপরী এর বিষয় আব্দুল্লাহ রুপ্রী এর চাচা লিখেছেন যে ;- আব্দুল্লাহ তার পুরাণ পাত্র লেহনের পিছেই হট ধরে বসেই  আছে.ওই প্রতারণা ও অপবাদ রচনায় লেগেই আছে। সে কোরানের ভাষায় আলাদ্দুল খিশাম (জঘন্ন সত্রু) ও মুফ্সিদ ফিল আরাদ (বিপর্যয় সৃষ্টি কারী ) বৈ কিছুই নয়।( আখবার এ মোহাম্মদী , পৃষ্টা ১৩-১৪ এপ্রিল ১৯৩৯) 


একজন আহলে হাদিস আর একজন আহলে হাদিসের আলেম কে কি মনে করত তা একটু লক্ষ্য করুন। 


সানাউল্লাহ অমৃতসরী তার নিজের ফেরকার আলেম  আব্দুল্লাহ রুপ্রী এর বিষয় লিখেছেন যে ;- আপনি যেদিন থেকে বয়প্রাপ্ত  হয়েছেন সেই দিন থেকেই আমার সাথে ধর্মীয় বিরুধিতা করেই আসছেন (আখবার এ আহলে হাদিস ) পৃষ্টা ৯ সংখা জানুয়ারী ১৯৩৭


এরা হচ্ছে হাদিস আর কোরানের মান্য কারী , এদের কারো মুখে কিছুই আটকে না , কারণ তারা কারো অনুসরণ করে না , যা মন চায় নিজ মতে বলে বেড়ায়, ইটা তারই ফল। 


ওহাবী নেতা আব্দুল ওহাব দেহলবী তিনি আব্দুল্লাহ রুপ্রী এর বিষয় মন্তব্য করেছেন যে ;- বছরের পর বছর আপনি আহলে হাদিসের নিজের মধ্যে ঝগড়ায় আপনি আগুনে ফুকেছেন , সুধু আপনি নন , আপনার ভাড়াটে রা ও এই কাজে ইন্ধন দিয়ে এসেছে , যেখানে আগুন একটু ঠান্ডা হয় আপনি আবার সেখানে গিয়ে খাড়া হয়ে যান , আগুনে আবার ইন্ধন দিয়ে উত্তপ্ত করে দেন (আখবার এ মোহাম্মদী পৃষ্টা ১৬ সংখা ১ জানুয়ারী ১৯৩৯)


এই বিষয় জমিয়তে আহলে হাদিসের তত্কালীন আমির বলেছেন ;- রুপরী অঞ্চলের ওহাবীদের মাঝে পরস্পর ঝগড়ার কারণে তেমন কোনো উন্নতির মুখ দেখেনি (অখবার এ আহলে হাদিস , অমৃতসর , ৮ জানুয়ারী ১৯৩৬)


মৌলভি মোহাম্মদ দেহলবী  গ্রুপের সানাউল্লাহ অম্রিত্সরিকে পরামর্শ দিয়ে বলেন ;- আব্দুল্লাহ রুপরী কে প্রলাপ বকতে দাও , যতক্ষণ পর্যন্ত আধার থাকে আর কুত্তা ভুক্তেই থাকে ততক্ষণ। (আখবার এ আহলে হাদিস , দিল্লি , ১৭ কলম , ১, জানুয়ারী , ১৯৩৯


মাদ্রাসা ফায়েজিয়া এর এক সভায় কার্যবিবরণী লিপিবদ্ধ করা হয়েছে , তাতে হাফেজ আব্দুল্লাহ কাদের রুপরী এর বিষয় অত্র মাদ্রাসার ছাত্র শিক্ষক সকলে এই প্রস্তাব গৃহিত করে যে ;- সভা মিল্লাতের বেরাদারান বিশেষ করে আহলে হাদিস জামাতের খেদমতে আরজ করছি যে , তারা যেন এই ধরনের সভা সমাবেশ আয়োজন করে আব্দুল্লাহ রুপ্রীর বিরুদ্ধে মনের খফ প্রকাশ করে ও স্থানীয় ভাবে এই ফিতনার প্রতিরোধ করেন (আহলে হাদিস অমৃতসর সংখা ১৬ , জানুয়ারী ১৯৩৭) 


এই হচ্ছে আহলে হাদিস , একজন আলেম আর একজন কে ফেতনা বলে সম্মোধন করে থাকতেন। এ তো গেল আব্দুল্লাহ রুপরী এর উপর ফতোয়া সানাউল্লাহ অম্রিত্সরির গ্রুপ থেকে , আগামী তে ওপর গ্রুপের ফতোয়া প্রকাশ করব। 


আহলে হাদিসের সামান্য কিছু আলেমদের মতভেদের নমুনা পেশ করলাম আজ , এরা বলে বেড়ায় যে কথা সুধু কোরান আর হাদিসের , কুরআন ও হাদিস তো একটা আর একটার সাথে টক্কর খায় না , তবু আপনাদের পূর্ব সুরিদের মাঝে এত মতভেদ কেন ছিল ? ইটা কি আমার আকা আলাইহিস সালাম এর ভবিস্যত বাণী থেকে প্রমানিত নয় যে ;- আমার উম্মত কখনই ভ্রান্তির মাঝে এক হয়ে থাকবে না।  


তোমরা চরম ভ্রান্তির মাঝে আচ , যা বুঝতে তোমাদের কষ্ট হচ্ছে , পোস্ট গুলো ভালো করে দেখিও , হয়ত হেদায়াত হতে পারে।  


কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন