বৃহস্পতিবার, ২ অক্টোবর, ২০১৪

বুদ্ধির ধোকা

মন দিয়ে পড়ুন 


পবিত্র হজ্জ এর বিষয় লতিফ সিদ্দিকী ( সিদ্দিক বলতে কষ্ট হচ্ছে , সো সিদ্দিক বাদ দিলাম ) যে যুক্তি দেখিয়েছে তা দেখে খোলসে,পুটি সবাই নাচতে সুরু করেছে , এমন কি এটাকে রাজনৈতিক ও আকিদা গত ফায়দা হাসিলের চেষ্টা করতে ও দেখা যাচ্ছে।  কিন্তু মূল বিষয় বস্তু সন্পুর্ন ভিন্ন সত্য থেকে।  

হজ্জ অবশ্যই ইসলাম এর অন্য তম পবিত্র কাজ।  

কিন্তু কিছু জ্ঞান পাপীদের জ্ঞান ভুল জায়গায় বেবহার এর কারণে আজ এই সকল নতুন নতুন ফেতনার সম্মুখীন হতে হচ্ছে ইসলামকে।  ইটা একটা উদাহরণ দেয়া যেতে পারে এমন করে যে ;- একজন ভাই তার বোন্ কে অত্যান্ত আদর স্নেহ করে বড় করে , আর সেই বোন্ ও তার ভাই য়ের খানা বানানো ,কাপড় ধোয়া সকল কাজ করে থাকে। তারা একজন আর একজন কে অনেক ছোট থেকেই চিনে ও জানে কার কেমন মনের ভাব  চিন্তা ধারা। অথচ সেই ভাইটি তার বোন্ কে অন্য এক ছেলের সাথে বিয়ে দিয়ে দেয় আর এটা  ও জানা যায়না যে সেই ছেলের সাথে আমার বোনের মনের মিল হবে কি না ,ছেলেটা আমার বোন্ কে ঠিক ভাবে বুঝতে পারবে কি না ? 

আর সে নিজেও তার বোন্ কে অন্যের ঘরে বিয়ে দিয়ে নিজে আর একজন এর বোন্ কে বিয়ে করে নিয়ে আসে। 

সো এটা কি উত্তম নয় ? যে সেই ছেলেটা নিজেই তার বোন্ কে বিয়ে করে নিজের ঘরেই রেখে দিবে ,কারণ তারা একজন আর একজন কে অতি উত্তম ভাবে জানে ও বুঝে।  একজন বোন্ যদি তার ভাইয়ের জন্য খানা বানাতে পারে কাপড় ধুতে পারে তো এক বিছানায় সারা জীবন কাটাতে সমস্যা কোথায় ? এটা তো অনেক উত্তম কাজ।  আজ কাল হাজার হাজার দাম্পত্য জীবনে গন্ডগোল ও তালাক এর বিষয় নিয়ে জর্জরিত। এই সমস্যা ও সমাধান হয়ে যেতে পারে।  

আমাকে গালি দিবেন না। আগে বুঝুন , এই কথা গুলো আসলেই বুদ্ধির দিক দিয়ে মোটেই খারাপ না। বরং অতি উত্তম বলে বিবেচিত।আর এটাই বুদ্ধির ধোকা।  কিন্তু আমাদের পরিবেশ ও নৈতিকতার কাছে এটা একটা চরম গোমরাহী ছাড়া কিছুই না।  আর এটাই বুদ্ধির ধোকা।আমাদের বুদ্ধি বিবেক আমাদের কে ধোকা দেয়।  আমাদের চোখ ধোকা দেয় , আমাদের কান ধোকা দেয় ,আমাদের ইন্দ্রিয় ধোকা দেয় ।এখন কেউ কেউ বলতে পারেন যে যদি আমাদের  বুদ্ধি,বিবেক,চোখ,কান,ইন্দ্রিয় সব কিছুই আমাদের কে ধোকা দেয় তা হলে এসবের প্রয়োজন কি ? না থাকলেই তো ভালো হত। তাকে বলব যে আপনার ছোট নিক্তি দিয়ে যদি পাহাড় ওজন করতে চান ,পাহাড়ের ওজন করা তো হবেই না বরং আপনার সেই নিক্তি টাই কোনো কাজের জন্য অবশিষ্ট থাকবে না। যেটার যে খানে কাজ সেটা সেই খানে বেবহার করুন। যেটার স্থান যে খানে সেটাকে সেই খানে থাকতে দিন।চোখ দিয়ে অন্ধকারে দেখা যায় না ,এর মানে কি এই যে চোখ এর কোনো প্রয়োজন নাই আমাদের ? আছে ,অবশ্যই আছে ,কারণ চোখ দিয়ে দিনের বেলা দেখা যায় আর রাতের বেলা ও দেখা যায় যদি জায়গাটা আলোকিত হয়।  

তাই আমাদের সকল কিছুর একটা সীমা আছে ,সেটা হোক না কেন আমাদের বুদ্ধি,বিবেক,চোখ,কান।  যখন আমাদের বুদ্ধি  বিবেক কোনো একটা জায়গায় গিয়ে থেমে যাবে তখন আমাদের উচিত (ওহি ) এর প্রতি লক্ষ্য করা, আর যে খানে ওহীর মাধ্যমে ফয়সালা হয়ে গেছে সেই বিষয় নিয়ে টানা টানি না করা,ইলহাম এর জন্য অপেক্ষা করা। কারণ মানুষের বুদ্ধি বিবেক দিয়ে যদি সব কিছু সমাধান হত তাহলে আল্লাহর কোনো ওহীর প্রয়োজন ছিল না। আসমানী প্রত্যাদেশ এর কোনো প্রয়োজন হত না।  আর আমাদের বিবেক বুদ্ধি যে খানে কাজ করে না সেখান থেকেই ওহি ও ইলহাম এর উত্পত্তি সুরু হয়।  

আর ওহীর প্রতি যদি আমরা প্রত্যাবর্তন করি তা হলে বোনের সাথে ভাইয়ের বিয়ে বা এমন কিছু উদ্ভট চিন্তা ধারা আমাদের মনে কখনই স্থান পাবে না।  আর এই সকল কিছু তখনই স্থান পায় আমাদের মাঝে যখন আমরা আমাদের পাপী জ্ঞান কে ভুল জায়গায় বেবহার করি , যেমন টা করেছেন হজ্জের বিষয় নিয়ে কুলাঙ্গার লতিফ সিদ্দিকী।  তার মতে হজ্জ করে টাকা ও সময় দুটোই নষ্ট।  অথচ সে যদি একটু খেয়াল করত এই বিশ্ব জগত সেই মহান স্রষ্টার গড়া ,আর তোমার আমার যা কিছু আছে তা সেই মহান স্রষ্টার দান ,আর তারই দেয়া দান তারই রাস্তায় খরচ করাতে আপত্তি করার কি আছে ? আর সময় ? তোমার জীবন তো সেই মহান স্রষ্টার দেয়া দান। তো তার জন্য সময় নষ্ট না করে এই দুনিয়ার জন্য কিছু করে কি লাভ ? আপনি আজ মারা গেলে এই দুনিয়ার মাটির নিচে পুতে রাখবে।  তো দুনিযার জন্য কেন করবে ? যদি এই দুনিয়া আপনার সাথেই না যায় আপনি মিত্তু বরণ করলে ? বরং হজ্জ কাজে আসবে তাবলিগ কাজে আসবে।  মিত্তু কে সরণ করুন , জ্ঞান কে মানুষ যদি ভুল জায়গায় বেবহার করা সুরু করে তা হলে প্রতিদিন এমন হাজার হাজার নতুন বিষয় ফেতনা সরূপ প্রকাশ করা সুরু করবে।   আমাদের উচিত হবে এই সকল বিষয় নিয়ে চুপ থাকা। কারণ এতেই আমাদের জন্য মঙ্গল। 


সোহেল রানা 

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন