বৃহস্পতিবার, ২ অক্টোবর, ২০১৪

ওহাবি আর জামাতী একই কথা

কথিত জামাত-এ-ইসলামী এর কাট মোল্লা

রফিকুল ইসলাম তার কিতাব (কোরান ও হাদিসের আলোকে দেওবন্দী আকিদা) এর ১১ নং পৃষ্টায় লিখেছেন যে আল্লাহ কে সর্বজায়্গায় কল্পনা করা তথা বিরাজমান চিন্তা করা সম্পুর্ন শিরক। কিন্তু দেওবন্দী দের আকিদা হচ্ছে আল্লাহ সর্বত্র বিরাজমান। প্রিস্ট ১১.

 আমি বলতে চাই যে সুধু দেওবন্দী না ,আমার আকিদা ও আল্লাহ সর্বত্র বিরাজমান। 

এর পর তিনি কত গুলো আয়াত দয়েছেন কোরান পাক থেকে ;- আল্লাহর আকার আছে (,জুমার ৬৭)আল্লাহর হাত আছে ,(সুরা ফাতহ ১০)আল্লাহর চোখ আছে ,(সুরা হুদ ৩৭)আল্লাহর মুখ আছে (বাকারা ২৭২)আল্লাহর পা আছে (কালাম ৪৭) 


উক্ত আয়াত গুলো  দিয়েছেন যে আল্লাহ পাক এর আকার আছে প্রমান করার জন্য।  আর তিনি দোষারোপ করেছেন যে দেওবন্দী ও ব্রেলভী গন আল্লাহ নিরাকার ও অহ্দাতুল অজুদ এ বিশ্বাসী।  পৃষ্টা ১১. 


আমি অধম বলতে চাই যে আল্লাহ নিরাকার এই আকিদায় আমি ও বিশ্বাসী।  কারণ আল্লাহ পাকের আকার নিয়ে মন গড়া কোনো কল্পনা করা যাবে না।  আল্লাহর বাণী :- আল্লাহ সব কিছু দেখেন ও শোনেন ( আল ইমরান ২২১)এই খানে সোনার কথা বলা হয়েছে , কানের কথা বলা হয় নাই।  এ আকার কোনো সৃষ্টির মত না , কোনো সৃষ্টির সাথে তুলনা করা যাবে না(শু'রা ১১) আল্লাহ কে জ্ঞান দ্বারা আয়ত্ত করতে পারব না ( ত্বহা ১১০) আল্লাহর আকার আল্লাহর মত , তার মত  কোনো কিছু নাই।

আল্লাহর আকার আছে এটা সত্য , কিন্তু রফিকুল ইসলাম আপনি কি মনে করেন যে আল্লাহ হাত ,পা, আঙ্গুল,চোখ,হাসি  দুনিয়ার কোনো হাত,পা,আঙ্গুল ,চোখ, হাসি এর সাথে মিল আছে ? যাকে আপনি দেখেন নাই সুধু কিতাবে নাম শুনেছেন আর মুখে বর্ণনা করেছেন তার আকার আপনি কি ভাবে   নির্ণয় করবেন ? 


যদি আপনি আল্লাহর অঙ্গ প্রত্যঙ্গ গুলো কে এই দুনিয়ার কোনো কিছুর সাথে তুলনা  চান তো তা হবে কুফরী।  তাই আমরা আল্লাহর কোন নির্দিস্ট আকার আছে বলে ধারণা করি না। কারণ যাকে দেখিনাই তার আকার কি ভাবে বর্ণনা করব? 

আর আপনি বলেছেন যে আল্লাহ সর্বত্র বিরাজমান না।  ইটা কুফরী।  আপনাদের ওহাবীদের এত ইলম আল্লাহ দেন নাই।  আপনাদের সোনা মাপার নিক্তি দিয়ে যদি পাহাড় মাপতে চান তো কি হবে ? উল্টা আপনার সেই ছোট নিক্তি টাই বরবাদ হবে। আল্লাহ পাক যদি সর্বত্র বিরাজমান না হন তা হলে আল্লাহ কি ভাবে সব কিছু দেখেন ও শোনেন (আল ইমরান ২২১)  তো আপনি যদি এখন বলেন যে আল্লাহ সর্বত্র বিরাজমান না আয়াত  অস্বিকার করলেন। সেই কারণে আপনি ইসলাম থেকে খারিজ। আর আল্লাহ পাক এর অস্তিত্ব ও গুনাবলী আপনি একটু আল্লাহ পাকের এই সৃষ্টি কুলের দিকে লক্ষ্য করলে পেয়ে যাবেন যে যিনি আল্লাহ আসলে তিনি কেমন।  


আমি অধম সামান্য একটু উদাহরণ দিচ্ছি ;- আপনি আপনার ডান হাতের আঙ্গুল গুলোর দিকে লোক্জ্হ করিন।  দেক্গুন বুড়ো আঙ্গুল টা সব চেয়ে ছোট অন্য আর ৪ টা আঙ্গুল এর চেয়ে। বুড়ো আঙ্গুলে ২ টা রেখা আছে আর বাকি ৪ আঙ্গুলে ৩ করে রেখা আছে।  কিন্তু তবু দেখেন সেই ছোট বুড়ো আঙ্গুলটা বাকি ৪ টা আঙ্গুল এর উপর দিয়ে চলা ফেরা করছে, তার থেকে বড় ৪ টা আঙ্গুল অন্য সবার উপর দিয়ে ঘোরা ফেরা করতে অক্ষম ।লক্ষ্য করুন আপনার আল্লাহ কি ভাবে কত নিখুত ভাবে এই দুনিয়ার বুকে ছোট ও ক্ষুদ্র বস্তু দিয়ে বড় বড় কাজ সম্পাদন  করছেন।  আপনি কাল ছিলেন আপনার পিতার বীর্যের মধ্যে।  আল্লাহ আপনাকে কতই না নিখুত ভাবে দুনিয়ার বুকে জন্ম দিয়েছেন ও লালন পালন করছেন।  এতে কি আপনার দুনিয়ার বুকে আল্লাহর অস্তিত্বের প্রমান চোখে পরে না।  


আরবিতে একটা কথা আছে :- মান আরাফ নাফসহ , ফাকাদ আরাফ রব 

:- যে নিজেকে চিনতে পেরেছে সে আল্লাহ কে চিনতে পেরেছে 

আপনি নিজে নিজেকে এখনো চিনতে পারেন নাই তো আল্লাহ কে কি চিনবেন ? আদর বেপারী জাহাজের খবর !!! নিজে জাহেরী আলেম হয়ে সুফিবাদের প্রতি ফতোয়া মেরে লাভ নাই।  আপনর মত আলেম কে ধুল চাটাতে কারো শনিবার আর মঙ্গলবার এর প্রয়োজন নাই।  


এই কারণেই বলা হয় যে আল্লাহ সর্বত্র বিদ্যমান।  আল্লাহ রাব্বুল আলামিন আরশে অবস্থান করেন এবং আরশ সূর্যের উপর ও বসানো কুরসী জমিন পর্যন্ত বিস্তরিত   ।  আর চোখ খুললেই দেখা যায় আল্লাহর সিফাতের সাক্ষ্য সারা দুনিয়া প্রদান করেন তিনি সর্বত্র বিরাজ্মান।  

এর পর রফিকুল ইসলাম সুরু করেছেন এর গায়েব বিষয় ফতোয়া দেয়া।  যে আল্লাহ ছাড়া কেউ গায়েব জানে না ( সুরা নমল ৬৫) নবী গণ গায়েব জানতেন না ( আরাফ ১৮৮)  সুতরাং নবী ও ওলি গণ গায়েব জানেন এটা বলা সম্পুর্ন শিরক। 

অব্চচের বিষয় তারা সুধু নবী পাকের কোথায় কোথায় কম্জুরি আছে খুঁজে ঘুরে ফেরে কোরান পাক এ।  

কিন্তু তারা মনে হয় এই আয়াত গুলো কোনো দিন চোখে দেখেন নাই ;- গায়েবেত খবর জানিয়ে দিয়েছেন আল্লাজ নিজে ( হুদ -৪৯) আল্লাহ গায়েব প্রকাশ করেন না তার মনোনিত রাসুল গণ বেতীত ( সুরা জিন -২৬-২৭) আল্লাহ সাধারণ মানুষ ছাড়া তার  রাসুল গন কে গায়েবের খবর জানিয়ে দিতেন (সুরা ইউসুফ -১২,১০২) নবী গণ এটাও বলে দিতে পারতেন কে কি খেয়েছে আর ঘরে কি রেখে এসেছে ( আল ইমরান ৪৯) 

এ ছাড়া  সুরা আরাফ এর বর্ণনায় হজরত খিজির (অ) ও মুসা (অ) এর বর্ণনা দেখুন ( আল বিদা খ ১ পেজ ৬৬২-৬৬৭) 

হজরত ইলিয়াছ ও খিজির (অ) এর বর্ণনা দেখুন ( আল বিদা খ ১ পৃষ্টা ৭১৯-৭২০) 

একবার নবী পাক কিছু গায়েব এর কথা ওনার স্ত্রী কে বলেন ,পরে স্ত্রী সেই কথা ওন্যকে বলে দেন ।(সুরা তাহরিম ৬৬:৩)

হাদীস তো আছে হাজার ও আছে । কিতাবের পেজ দেখার ইচ্ছা থাকলে বলিয়েন। দিয়ে দিব   ।

আরো কত বলা লাগবে যে আল্লাহর নবী ও রাসুল গন আল্লাহ পাকের রহমতে গায়েবের সংবাদ প্রদান করত।  আর নবী শব্দের অর্থ কি ? সংবাদ দাতা।  কিসের সংবাদ দিত আমাদের নবী ?  তিনি জান্নাত জাহান্নাম ও আল্লাহ পাকের সংবাদ দিত।  এগুলো কি জাহের ? নাকি গায়েব ? 


আবার বলে নবী গায়েব জানে না 


আরে নবী তো অনেক বড় কথা।  নবীর সাহাবী দের কথা শোন :- আবু বাক্কার সিদ্দিক রাদিয়াল্লাহ ওনার মিত্তুর পূর্বে মা আয়েশা কে বললেন যে তোমরা সত্যি দুই ভাই দুই বোন্।  (আমার জানা মতে তিনি এটা ও বলেছিলেন যে তার জন্য যেন আমার সংসার এর ভাগ রাখা হয় ) অথচ তখন অনার ২ তা ছেলে ও একটি মেয়ে আমাদের উম্মুল মোমেনিন আয়েশা সিদ্দিকা ছিলেন সুধু আর অনার স্ত্রী ছিলেন তখন গর্ভবতী।  এই খানে দেখার বিসয় তা হচ্ছে যে তিনি জানতেন যে অনার স্ত্রীর পেটে কন্না সন্তান আছে ও এটাও জানতেন যে অনার সেই বাচ্চা সহিহ সালামত প্রথিবীতে জন্ম নিবেন।  তাই তিনি এমন টা বলতে পেরেছিলেন। 

হজরত ওমর রাযিয়াল্লাহ জুম্মার খোতবার সময় কাস্ফের মাধমে জেনে নেন যে কাফের সন্য গণ মুসলিম মুজাহিদ দের কে ধাওয়া করছে।  তখন তিনি সেখান থেকেই মুসলিম বাহিনীকে পাহাড়ের দিকে সরে যেতে বলেন  . আর ওনার সেই আওয়াজ যুদ্ধে অবস্থান রত সন্য বাহিনীর কাছে পৌছে যায় যাতে মুসলিম বাহিনী বিশাল এক লোকসানের হাত থেকে রক্ষা পান।  ইটা ছিল ওমর রাযিয়াল্লাহ এর কারামত। আনাস ইব্মে মালিক থেকে বর্ণনা যে তিনি বলেন আমিএকদিন হজরত উসমান রাদিয়াল্লাহ এর খেদমতে যাওয়ার জন্য রুয়ানা হলাম পথিমোধে একজন অপরূপ সুন্দরী মেয়ে দেখতে পেয়ে আমি তাকে খুব ভালো করে পর্যবেক্ষণ করলাম।  যখন আমি অসমান রাদিয়াল্লাহ এর দরবারে হাজির হলাম তখন তিনি আমাকে দেখে বললেনে যে আজকাল আমার দরবারে তোমাদের মাঝে কেউ কেউ আগমন করে আমি তার  চেহরার মাঝে জিনার চিনহ দেখতে পাই।  তোমার কি জানা নাই কুদৃষ্টি করা হচ্ছে চোখের জিনাহ ? তুমি তাওবা কর নয় তো আমি তোমাকে সাজা দেব। আমি জিগ্গেস করলাম নবী পাক চলে যাওয়ার পর ও কি ওহি আসে ? তিনি বললেন যে না।  কিন্তু অন্তর দৃষ্টি ও দূর দর্শিতার কারণে জানা যায়(ইহ্যুয়ায়ে উলুমুদ্দীন ,সুফী বাদ অধ্যায় পৃষ্টা ২৮৮) 

এখন এই সকল কিছু কে অস্বিকার করার কারণে কে এই জামাত নেতার ইমান আরো বাকি আছে ? জবাব দিবেন 


সোহেল রানা 



কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন