বৃহস্পতিবার, ২ অক্টোবর, ২০১৪

লতিফ সিদ্দকী কে হত্যা করা ওয়াজিব

একটু পড়ুন , মনে চাইলে প্রচার করুন। 


৫ মে আর লতিফ সিদ্দিকী ;- 

কাব বিন আশরাফ নামের একজন ইহুদি ও জালাময়ী কবি ছিলেন। বদরের যুদ্ধে যখন কোরায়েশ দের পরাজয়ের খবর শোনেন তখন সে বলেছিল দুনিয়ার বুকে থাকার চেয়ে মাটির নিচে থাকা আমাদের জন্য উত্তম। তখন সে কোরায়েশ দের জন্য সহমর্মিতা ও দুক্ষ প্রকাশ করলো ও নবী পাক ও মুসলিমদের কটাক্ষ করে কবিতা রচনা করে  মক্কায় চড়িয়ে দিল এমন কি সে মুসলিম মহিলাদের কে নিয়ে ওবাজে মন্তব্য  করা সুরু করলো।  এই খবর আহমাদ এ মোস্তফা মোহাম্মদ এ মোস্তফা আলাহিস সালাম শোনার পর সবাই কে উদ্দেশ্য করে বললেন যে ;- কে এমন আছ্ , কাব  বিন আশরাফ এর বিরুদ্ধে বেবস্থা গ্রহণ করবে ,কেননা সে আল্লাহ ও তার রাসুল কে কষ্ট দিচ্ছে।  

এই আহব্বান সুনে আউশ গোত্রের একজন বিশিষ্ট আনসারী সাহাবী মোহাম্মদ বিন মাস্লামাহ দাড়িয়ে যান আর বলেন হাজির আছি ইয়া রাসুলুল্লাহ ,আদেশ করুন , আপনি কি চান যে আমি তাকে হত্যা করি ? 

নবী পাক বললেন যে :- হা।  

এই উত্তর পেয়ে তিনি নবী অলায়হিস সালামের কাছে অন্ঘিকার করেন যে কাব বিন আশরাফ কে হত্যা করবেন। 

মোহাম্মদ বান মাসলামা বাসায় ফিরে গিয়ে চিন্তা করতে লাগলেন কি ভাবে এই কাজ সম্পাদন করবেন ? কারণ কাব বিন আশরাফ থাকত তার সমর্থক দিয়ে ঘেরা একটা সক্তি সালি ইহুদি দুর্গে , চিন্তায় চিন্তায় কুল কিনারা পাচ্ছিল না কি ভাবে এই কাজ সম্পাদন করবেন। এই চিন্তায় নাওয়া খাওয়া ছেড়ে দিলেন সামান্য কিছু জীবন ধারণের জন্য সুধু সমান কিছু পানাহার করতে লাগলেন।  

এই সংবাদ রাসুলে পাক আলাইহিস সালাম সোনার পর মোহাম্মদ বিন মাসলামা কে ডেকে পাঠালেন আর জিগ্গেস করলেন এটা কি সত্যি যে তুমি পানাহার ছেড়ে দিয়েছ? 

মুহাম্মাদ বিন মাসলামা বলেন হা , আমি এই চিন্তায় পানাহার ছেড়ে দিয়েছি কি ভাবে কাব বিন আশরাফ কে হত্যা করব।  

নবী পাক তাকে বললেন যে ;- তোমার কাজ তো চেষ্টা করা , কাজ সম্পাদন করার মালিক তো আল্লাহ রাব্বুল আলামিন , তুমি সুধু চেষ্টা কর , 

মোহাম্মদ বিন মাসলামা একটা ফাদ পাতলেন ও ও নবী পাকের সামনে গিয়ে বললেন আমাকে আপনার বিরুদ্ধে কথা বলার অনুমতি দিন।  নবী তাকে অনুমতি প্রদান করেন 


এই আশ্বাস পেয়ে মহাম্মাদ বিন মাসলামা কয়েকজন সাথী কে নিয়ে রওয়ানা হয়ে যান এদের মধে একজন ছিলেন আবু নায়লা।  কথিত আছে এই আবু নায়লা কাব বিন আশরাফের আপন ভাই।   কাব বিন আশরাফ এর সাথে দেখা করেন ও তার কবিতার প্রসংসা করেন্। আর নিজেকে একজন অমুসলিম হিসেবে পরিচয় দেন , তাকে বলেন যে আমরা অনেক কষ্টের মাঝে ওই লোকটা ( নবী পাক ) কে নিয়ে।  আমাদের জন্য মনে  হয়  এটা একটা পরীক্ষা।  কাব বিন আশরাফ আশরাফ বলেন যে আমি তো আগেই জানতাম আরো দেখো আগে.  তোমাদের  কে আরো বিপদের সম্মুখীন হতে হবে। মোহাম্মদ বিন মাসলামা বলেন দেখে নিব  আমরা এটার সমাপ্তি কত দূর।  

মোহাম্মদ বিন মাসলামা বলেন যুদ্ধের কারণে আমরা অনেক অর্থ কষ্টের মাঝে আছি তোমার কাছ থেকে কি কিছু অর্থ ধার পাওয়া যাবে ? 

কাব বিন আশরাফ বলেন জামানত কি রাখবে ? তোমাদের স্ত্রী দের রেখে যাও।  

মায়হাম্মাদ বিন মাসলামা বলেন যে না , এটা করলে আমরা মুখ দেখাতে পারব না যে স্ত্রী জামানত রেখে আমরা অর্থ ধার করেছিলাম। 

কাব বিন আশরফ বললেন ঠিক আছে তো তোমাদের সন্তান দের কে রেখে যাও।  

মোহাম্মদ বিন মাসলামা বলেন না , আমাদের সন্তান বড় হলে লোকজন খোটা দিবে যে অর্থের জন্য তর বাপ তদের কে জামানত রেখে ছিল। 

বরং তুমি একটা কাজ কর , আমাদের অস্ত্র গুলো তোমার কাছে রেখে আমাদের কে কিছু অর্থ ধার দাও।  আমরা কয়েকদিন পর এসে তোমার অর্থ  দিয়ে আমাদের অস্ত্র নিয়ে যাব।  কাব বিন আশরাফ রাজি হয়ে অস্ত্র গুলো রেখে কিছু অর্থ  ধার দেন. 


কয়েকদিন পর রাতে এসে কাব বিন আশরাফ কে ডাক দেন ও বলেন বন্ধু তোমার অর্থ নিয়ে এসেছি , এগুলো রাখো আর আমাদের অস্ত্র গুলো ফেরত দাও।  কাব বিন আশরাফ তার অর্থ ফেরত নিয়ে অস্ত্র ফেরত দেন।  কাব বিন আশরাফ মোহাম্মদ বিন মাসলামা (রা) বলেন বন্ধু আজকের রাত অনেক জোসনা। কেননা আজকের রাত শায়ের আর শায়েরী কবিতা গেয়ে কাটিয়ে না দেই ? 

কাব বিন আশরাফ রাজি হয়ে যান আর বলেন ঠিক আছে।  

দুর্গের বাইরে নিয়ে আসেন আর বলেন যে বন্ধু তোমার চুল থেকে অনেক সুগন্ধি আসছে , আমি কি এটার গন্ধ নিতে পারি ? 

কাব বিন আশরাফ বলেন নাও।  

মোহাম্মদ বিন মাসলামা একবার গন্ধু সুকে বলেন ইটা তো অনেক সুন্দর।  আমি কি আর একবার এটার গন্ধ শুকে দেখব ? 

কাব বিন আশরাফ বলেন ঠিক আছে নাও।  

এর পর মোহাম্মদ বিন মসলমা তার মাঠে ধরে মারতে থাকলেন। কিন্তু সামান্য মার তাকে মারার জন্য যতেস্ত ছিল না।  সে চিত্কার করা সুরু করলে মোহাম্মদ বিন মাসলামা এর সাহাবী বন্ধু রা এগিয়ে আসেন।  তার চিত্কার সেই দুর্গের সকল ঘরে আলো জেলে উঠে।  মোহাম্মদ বিন মাসলামা বলেন তখন আমার মনে হল যে আমার কাছে একটা ছুরি লুকানো আছে।  তখন তিনি সেই ছুরি কাব বিন আশরাফ এর তলপেটে ডুকিয়ে দেন আর তার মেরুদন্ড এর হারের মধ্যে প্রবেশ করিয়ে  দেন।   আর এই ভাবে একজন আল্লাহ ও তার রাসুলের দুশমন কে বিদায় দেন মোহাম্মদ বিন মাসলামা ও আওউস গোত্রের যানবাজ সাহাবী রা।  

আরো কিছু বর্ণনা আছে যা তুলে ধরা প্রয়োজন মনে করছি না। 

বিগত দিনে ৫ মে হেফাজাত এ ইসলাম অনেক বড় এক আন্দোলন করেছিল দেশের নাস্তিক দের বিরুদ্ধে।  নাস্তিক সেই দিন একটা ও মরে নাই বরং মরেছে অনেক আমার ঈমানী ভাই রা।আর সেই দিনের রনাঙ্গন থেকে জন্ম নিয়েছে আরো অনেক ভদ্র নাস্তিক।  কারণ সেই রাতের বর্বরতা ইসলামে কোনো ভাবেই সমর্থিত না।  কোনো ভিত্তি নাই সেই আন্দোলন এর।  কত ক্ষতি হয়েছে যে ইসলামের তা এই ভদ্র নাস্তিক আব্দুল লতিফ কে দেখলেই বোঝা যায়।  সেই দিনের ঘটনা থেকে নাস্তিক গণ সামান্য একটুও চিন্তিত হই নাই বরং সেই দিনের বর্বরতা দেখে নাস্তিক গণ বসে বসে হেসেছে।  আর সেই দিন অনেক নাস্তিক এর পয়দা হয়ে গেছে।  কারণ এই যদি হয় ইসলাম তো এমন ইসলাম এর প্রয়োজন আমার নাই। আমিও নাস্তিক।  যে ইসলাম একজন নাস্তিক এর জন্য হাজার হাজার লোকের সমস্যা খাড়া করতে পারে সেই ইসলাম এর কোনো প্রয়োজন নাই।  


আমি সেই ইসলামে বিশ্বাসী যে কি না যে গুস্তাক সুধু তাকেই শাস্তি পেতে হবে।  যেমন টা এই কাব বিন আশরাফ হয়তার ঘটনা।  নবী পকের ইজাজাত নিয়ে নিজেকে একজন অমুসলিম হিসেবে পরিচয় দিয়েছেন , নবী শানে বাজে কথা ও বলেছেন একজন আনসারী সাহাবী হয়ে।  আর অতি সুনিপন ভাবে তাকে হত্যা করেছেন , অথচ তারা তার বাড়িতে হামলা করে নাই।  সুধু কাব বিন আশরাফ কে হত্যা করেছেন তার পরিবারের কারো গায়ে হাত দেন নাই।  এটাই ইসলাম।  ইসলাম সুধু অপরাধী কে সাজা দেয় , অপরাধীর ভাই বোন্ বা অন্য কাউকেই না।  


ঠিক এমন ভাবেই উপরে বর্ণিত হাদিস ও মোহাম্মদ বিন মাসলামা এর এই প্রসিদ্ধ ঘটনা থেকে শিক্ষা নেয়ার আছে কি ভাবে কাব বিন আশরাফ এর মত গুস্তাক ও আল্লাহ ও তার রাসুলের দুশমন দের কে শেষ করা সম্ভব।  তসলিমা নাসরিন কে সবাই গালি দেয়।  কেন গালি দাও ? কি লাভ হয় তাতে ? সে তোমার গালি সুনে আরো বেশি করে বাজে মন্তব্য করে ইসলাম কে নিয়ে।  আজকে নতুন ফেতনা (লতিফ সিদ্দিকী ) একেও গালি দিও না।  কারণ সে আরো অনেক কিছু বলতে পারে ইসলাম কে নিয়ে তোমার গালি সোনার পর।  


বরং সকল কুলাঙ্গার ও ধর্ম দ্রোহী কে হত্যা করার সপথ কর , তাদের কে গোপনে হত্যা কর।  আর তাকে তুমি হত্যা করতে পারো না পারো , তুমি সুধু তাকে মারতে গিয়ে যদি মারা ও যাও তো তুমি জান্নাতি , আর যদি তাকে দুনিয়া থেকে বিদায় দিতে পারো তো তুমি মোহাম্মদ বিন মাসলামা রাযিয়াল্লাহ এর সঙ্গী।  এর একজন সাধারন উম্মত হয়ে একজন সাহাবীর সঙ্গী হওয়া এর চেয়ে কি সুখের হতে পারে ? 

নিজে চিন্তা করে নাও ,,


আর কোনো ৫ মে দেখেতে চাই না আমি।  আমি কাব বিন আশরাফের হত্যার মত কিছু দেখতে চাই।  সেই দিন আমি শান্ত হব।  আর আল্লাহ যেন তার মিত্তু আমার হাতে দেয়।  আমি আর কিছু চাই না।  আল্লাহ যেন আমাকে সেই সুযোগ দেয়।  


সোহেল রানা 


কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন