বুধবার, ১৭ সেপ্টেম্বর, ২০১৪

দেওয়ানবাগী কুফরী আকিদা 1

শুরুতেই সবার কাছে অনুরোধ যে আগে নিজ বিবেক দিয়ে চিন্তা করবেন কথা গুলো আমার।  কারণ দেওয়ানবাগ এর বিষয় কিছু লিখতে সুরু করলে কান টানলে যেমন মাথা আসে ঠিক তেমন অনেক পীরের পীর গিরি প্রশ্নের সামনে আসবে। যাই হোক তার নাম মনে হয় মাহবুব , আর এই মাহবুব থেকেই মাহবুবে খোদা সুফী সম্রাট নাম দিয়েছে।  ১৯৪৯ সালে বিবারিয়া এর আশু-গঞ্জ থানাধীন বাহাদুর পুর গ্রামে তার জন্ম ও তাল পুর আলিয়া মাদ্রাসা থেকে কিছু শিক্ষা গ্রহণ করেন ও কফিল উদ্দিন লাল মিয়া  নামের একজন এর কাছে মুরিদ হন।  ১৯৭৪ সালে ফরিদ্পুরস্ত (চন্দ্র পারা ) এর প্রতিষ্টাতা আবুল ফজল সুলতান আহমাদ এর নিকট মুরিদ হয় ও তার কন্না কে বিয়ে করেন। (এর মানে হল চন্দ্র পারা আর দেওয়ান ব্যাগ ) জামাই সশুর ) 
সসুর এর গদি দখল করে বেশি দিন টিকতে না পেরে নারায়ণ গঞ্জ বন্দর থানাধীন এর দেওয়ানবাগ গ্রামে আস্তানা গড়ে। সেখানে তার কুফরী মতবাদের কারণে লোক্জন আন্দোলন করে তাকে উত্খাত করে।  এর পর সে ঢাকার ১৪৭ / আরামবাগে সে আস্তানা গেড়ে বর্তমানে আরামের সাথে মাহবুবে খোদা (খোদার মাহবুব) লোকব লাগিয়ে আছে।  এই লোকব টি ও গুস্তাকি।  কারণ মাহবুব এ খোদা  আমার নবী আখেরুজ্জামান আহমাদ এ মোস্তফা মোহাম্মদ এ মোস্তফা সল্লেল্লাহু আলায়হে  ওয়া সাল্লাম।  

তার মোটামুটি একটু সংক্ষিপ্ত বিবরণ  আশা করি আমি জানাতে পেরেছি আপনাদের।  আর একটু বললে মনে হয় সুবিধা হবে যে সে মক্কা মদিনায় যায় না আর আটরশির পীরের মত সে বাইরেও যায়না ভুতের ভয়ে।  পীরের কাজ শত রাস্তা পাড়ি দিয়ে ইসলাম প্রচার করা আর আটরশি ও দেওয়ানবাগী রা আস্তানা গেড়ে  বসেছেন নড়ানড়ি নাই।  
কিছু মতবাদ ;- চন্দ্রপাড়ার পীর সাহেব তার কিতাব ( হক্কুল ইয়াকিন ) এর ২৯ নং পৃষ্টায় লিখেছেন কেউ যদি নফ্সির মাকামে গিয়ে পৌছে তার আর ইবাদত লাগে না।  আর মাহবুবে খোদা উরফে দেওয়ান বাগী চন্দ্রপাড়ার জামাই বিধেয় সেও এই কিতাব কে সমর্থন করেচেন (দেওয়ানবাগী ও উক্ত মতালম্বী ও আল্লাহ কোন পথে ) বইয়ের ৯০ নং পৃষ্টায় লিখেছেন যে নফ্সির মর্যাদা সবার উর্ধে।  
 এখন একটু বিবেক করুন যে মাকাম এ নফস এ গেলে তার ইবাদত লাগে না :- কথাটা একটু খোলাসা করি।  মাকাম সব্দের অর্থ হচ্ছে অবস্থান আর নফস মানে হচ্ছে আমাদের দিলের ভিতরের যে সয়তান সেটা।  দেখবেন সবাই  বলে থাকে যে নিজের নফস কে কন্ট্রল কর।  মানে হচ্ছে তোমার ভিতরের সয়তান কে কন্ট্রোল কর।  তো মাকাম মানে অবস্থান ও নফস মানে সয়তান ,সো কি দাড়ালো ? মাকাম এ নফস - সয়তানের অবস্তান  বা সয়তানের জায়গা বা সয়তানের পজিসন।  
চন্দ্রপাড়ার পীর ও সত্য বলেছেন আর ভন্ড দেওয়ানবাগী ও সত্য কে সমর্থন করেছেন কারণ হচ্ছে কেউ যদি সয়তানের অবস্থানে গিয়ে পৌছে তো তার কি ইবাদত এর প্রয়োজন আছে ? জবাব আপনারা দিবেন।  
আচ্ছা মেনে নিলাম যে সে খানে গেলে ইবাদত এর প্রয়োজন নাই তো আমার নবী পাক কি সেই জায়গা হাসিল করতে পারে নাই ? যা চন্দ্রপারা ও দেওয়ান বগি গণ হাসিল করলো ? আমার নবী তো দীন ইসলাম প্রোটিস্ট করে দুনিয়া কে বিদায় দেয়ার পূর্ব মুযুর্ত পর্যন্ত বলে গেল আস-সালাত আস-সালাত।  জানি না এরা কোন মাকাম পেল যে নামাজ লাগে না। 

হজরত পীর সুবহানি ,কুতুব এ রাব্বানী, গাঁওউস এ চামদানি সুলতানুল আরেফিন হজরত সাইয়েদ বড় পীর আব্দুল কাদীর জিলানি ক্বদ সরহুল আজিজ (রহ)  , খাজা গরিবে নেওয়াজ খাজা মইনুদ্দিন চিশতি আজমেরী (রহ) হজরত খাজা বাহাউদ্দিন নক্শবন্দী বোখারী (রহ) হজরত খাজা ইমামুত তরিকত কুতুবে রাব্বানী মুজাদ্দেদ আলফেসানি শায়েখ আহমেদ ফারুকী (রহ) এর কেউ এই মাকাম হাসিল করতে পারল না কিন্তু চন্দ্রপারা আর দেওয়ানবাগ (জামাই আর শশুর )মিলে হাসিল করল।  চিন্তার বিষয়। 
আর একটা কথা যে ফানাফিল্লাহ বলে অনেকে ইবাদত কে দূরে রাখতে চান।ফানাফিল্লাহ হাসিল হলে নামাজ লাগে না রোজা লাগে না।  
এটা একটা চরম বোকা বানানোর বাহানা।  কারণ ফানাফিল্লাহ হচ্ছে যে কতগুলো লোক ইবাদত করতে করতে একপর্যায় পাগল হয়ে যায় আর সে তখন পাগলের মত আচরণ ও করতে থাকে।  সে না খাওয়ার আশা করে না পরার আশা করে।  মোট কথা পাগল। আল্লাহর প্রেমে পাগল হয়ে সব কিছু ভুলে যায় / আর এমন পাগল এমন ভাবে চলে যে আপনি জীবনে এদের কে ধরতে পারবেন না যদি সে নিজে না ধরা দেয়।  যেমন শাহ শামস তাবরেজ (রহ) ছিলেন।  সুধু মাওলানা জালালুদ্দিন রুমি কে ধরা দিয়েছিলেন আর আজ মাওলানা জালালুদ্দিন রুমি সাহেব কে লোকজন কত স্রধার সাথে মনে করে থাকে।  
ফানাফিল্লাহ এর পাগল ও সাধারণ পাগলের মাঝে সরিয়াতের দিক থেকে আলাদা কোনো বিধান নাই।  পাগল সারিয়্ত এর পাবন্দ না। তার উপর শরীয়াত প্রযোজ্য না।  পাগলের কোনো আমল লেখা হয়না। আল্লাহ চাইলে পাগলকে ক্ষমাও করতে পারেন আবার সাজাও দিতে পারেন।  তো যদি সত্যি পাগল হন তা হলে তার জন্য ইবাদত বা শরীয়াত প্রযোজ্য হবে না।  কিন্তু বর্তমান চন্দ্রপারা আর দেওয়ান বগি (জামাই সসুর ) মিলে যে ফানাফিল্লাহ আর মাকামে নফস এর সুরু করে ইবাদত থেকে দূরে রাখছেন লোকদের এটা কতটুকু  শরীয়াত সম্মত ? আপনারা কি নিজেকে ফানাফিল্লাহ এর মাকামে আছেন বলে মনে করেন ? তা হলে আপনাদের এত সুন্দর কাপড় কেন পরনে ? আপনাদের এত সাজসজ্জা কেন ? তৌবা করুন ,আকাশে এখন ও তারা দেখা যায় আল্লাহর দরবারে এখনো তৌবা কবুল হয়।  আর জারা চন্দ্রপারা আর দেওয়ান্বাগের মুরিদ কেউ গালি না দিয়ে একটু চিন্তা করুন।  
সোহেল রানা 

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন