জামাত এ ইসলামী নামে আমাদের দেশে কে খারেজি ধর্মের প্রচার চলছে তা অনেকের অজানা। সবাই মনে করে যে তারা তো আল্লাহ ও রাসুলের কথা বলেন। কোরান ও হাদিস ছাড়া তো তারা কোনো কথা বলেন না। তাদের কে বলব যে হজরত মাওলা আলী কারামুল্লাহ আলায়হে ওয়াসাল্লাম কে মুল্জিম নামের একজন খারেজি শাহিদ করেছিল ও তাকে যখন ইমাম হাসান বলল যে তোমার কি কোনো ইচ্ছা আছে ? তখন ইবনে মুল্জিম বলেছিল যে আমি হাতিমে কাবায় বসে প্রতিগ্গা করেছিলাম হয় আলী কে মারব নয় নিজে মরব। এখন যদি আপনি আমাকে সুযুগ দেন তো আমি মুয়াবিয়া কে খতম করে ফিরে এসব আল্লাহর কসম। তখন এমাম হাসান বলেছিল যে তোমাকে সেই সুযোগ দেয়া হবে না আর এখন জাহান্নাম এ পাঠিয়ে দিব।
আমার এই অধম এর কথা হচ্ছে যে সেই খারেজি তো আল্লাহর নাম কসম করে এই কাজ করেছে তবু তাকে কেন হত্যা করা হল ? তার মতে সে তো আল্লাহর ইচ্ছে এমন কাজ করেছেন।
কেউ কেউ বরননা করেছেন আব্দুল্লাহ ইবনে জাফর ইবনে মুল্জিমের দুই হাত দুই পা কেটে ফেলেন ও দুই চোখ উপরে ফেলেন। তবু সে (ইকরা বিচমে রাব্বিকাল্লাজি খালাকা ) পর্তেয়্ছিল। তখন অর জীব কেটে দেয়ার কথা বললে সে বলেছিল যে আমি আল্লাহর কালাম পাঠ করা ছাড়া বেছে থাকতে চায়না (আল বিদা ওয়ান নিহায়া ৭খ পৃষ্টা ৫৮৬-৫৮৭)
এই কথা গুলো উল্লেখ করলাম সুধু যে এই সেই মুল্জিম যে আমাদের নবী পাক এর আপন ভাতিজা ,জামাই ,ভাই, নবী পাকের পর আমাদের অভিবাবক কে হত্যা করেছিল। কিন্তু তার মুখে সব সময় কোরান উচ্চারিত হত। সে ঠিক ছিল ? যদি আল্লাহ পাকের কোরান পাঠ করে মরল তবু যদি সে হক না হয় তা হলে জামাত এ ইসলামী কোরান আর হাদিসের কথা বললেই যে হক হবে এমন কোনো নিশ্চয়তা দেয়া নিজেদের গোড়ামি এর পরিচয় দেয়া
যাই হোক , কথিত মাওলানা রফিকুল ইসলাম এম এম তে কিতাব (কোরান ও হাদিসের আলোকে দেওবন্দী আকিদা) এর ৮ নং পৃষ্টায় লিখেছেন যে ভারত উপমহাদেশে ভাগ্গেন্নাসী সুফী গণ পাড়ি জমে তুর্কি বিজয়ের পর। তারা এসে এদেশের প্রতন্ত অঞ্চল গুলোতে ইসলামের প্রচার ও প্রচলন সুরু করে। তাদের এমন সন্নাসী সন্নাসী ভাব দেখে ও সেই সময় হিন্দু রাজা জমিদারদের হাত থেকে রক্ষার জন্য তারা ইসলাম কবুল করে হিন্দু ও বৌদ্ধ ধর্ম ছেড়ে। তবে ইটা বলা অত্যান্ত মুস্কিল যে যে তাদের মাঝে সহিহ কোরান ও হাদিসের ইলম ছিল। আবার এটাও লিখেছেন যে তারা (সুফী) আগমনের পূর্বে অনেক জায়গা শাসকদের হাতে আসে। মুসলিম শাসক ও সুফিদের ছত্র ছায়ায় ও উদারতার প্রতি আকৃষ্ট হয়ে বেদীন রা ইসলাম কবুল করে। আবার লিখেছে যে আরব দেশে যে ইসলাম আছে তা থেকে এই সুফী বাদের ইসলাম অনেক দূরে ছিল। তিনি এই ল্হানে সর্ত দিয়েছেন যে কেন না মুহাদ্দিস সরফুদ্দিন ইবনে তাওয়ামা ১২৬৮ ক্রিস্তাব্দের শেষের দিকে বুখারী ও মুসলিমের মত সহিহ হাদিসের কিতাব নিয়ে আসেন। আর এটাও লিখেছেন যে জীবনের শেষের দিকে তাসাউফ এর প্রাণ পুরুষ ইমাম গাজালী বুখারী সরিফের দেখা পান ও বুখারী সরিফ নিয়ে কেদে কেদে মিত্তু বরণ করেন। আজ এই টুকু রদ করব। বাকি পরে দেখা যাবে
প্রথমত তিনি শিকার করেছেন যে উপমহাদেশে সুফিরাই প্রথম আগমন করেন ইসলাম প্রচার এর জন্য। কিন্তু সাথে একটু খোচাও মেরেছেন যে তুর্কি বিজয়ের পর ভাগ্গান্নেশী সুফী গণ। হাজার হলেও মৌদুদী এর উম্মত বলে কথা। আজ পর্যন্ত কোনো অলি আওলিয়া কি নিজের ভাগ্যের অন্নেষণ করেছেন ? কেউ প্রমান দিতে পারবে যে তারা এসে রাজত্ব কায়েম করেছেন ? বরং তারা নিজেদের জীবন বাজি রেখে দীন এ ইসলাম প্রচার করে গেছেন। সিলেট মাটি এখনো সাক্ষী আছেন শাহ জালাল এর জালালী নিয়ে। খাজা মইনুদ্দিন চিশতি আজমেরী এর কথা কেউ ভোলেনি হিন্দু রাজার জাদুর বলে উড়ে বের সিংহাসন পায়ের খরম দিয়ে নিচে ফেলে দিয়েছিলেন। ১২ আওলিয়া এর বাংলাদেশ এর কোনো খানে কেউ প্রমান দিতে পারবে না যে তারা ইসলাম প্রচার করে নিজের রাজত্ব কায়েম করেছেন। তোমরা যে হারামি তা অনেকের জানা নাই।
এর পর বলেছে যে মুসলিম শাসকদের ছত্র ছায়ায়। ইতিহাস সাক্ষী যে বাংলা দেশে ১৩৫৪ ক্রিস্টাব্দে শাহ জালাল (রহ) আগমন করেন। তখন কোথায় আর কে মুসলিম শাসক ছিল ? খাজা মইনুদ্দিন ৯০ লক্ষ্য কে মুসলিম করেছেন কোন মুসলিম শাসকের ছত্র ছায়ায় ? জবাব দিতে পারবেন ? জানি পারবেন না।
এর পর বলেছেন ১২৬৮ তে প্রথম বুখারী ও মুসলিমের মত হাদিস এর কিতাব নিয়ে আসেন। সেই কিতাব নিয়ে এসে কোন কলা গাছের পাতা কেটে খেয়েফেলেছিল ? তার কেউ নাম ও জানে বিলে মনে হয় না। কেউ কি জানেন মুহাদ্দিস সরফুদ্দিন ইবনে তাওয়ামা কে ছিল ? জানাবেন।
এর পর বলেছেন যে তাসাউফ এর প্রাণ পুরুষ ইমাম গাজালী জীবনের শেষ সময় বুখারী সরিফ পেয়ে বুকে ধরে কেদে কেদে মিত্তু বরণ করেচেন। এবার আসুন ইমাম গাজালী এর ইলম ও আমল।
ইমাম গাজালী এর পুরা নাম মোহাম্মদ আবু হামেদ। ঔতিহাসিক দের মতে তিনি তুস শহরের গাজ্জাল এ ৪৫০ হিজরী তে জন্ম নেন। আর গাজ্জাল থেকেই তিনি গাজালী নামে পরিচিতি লাভ করেন। ছাত্র জীবনের বিষয় তিনি বলেন আমি প্রথমে আমি পার্থিব ও জীবিকার জন্য ইলম হাসিল করা সুরু করি কিন্তু পরে দেখলাম ইলম সেভাবে অর্জিত হবার নয় বরংবইলম আল্লাহর জন্য হাসিল হতে পারে। একবার তুষের নিজামুল মূলক এ বিতর্ক হয় সেখানে তিনি মুকুট লাভ করেন তরুণ বয়সে। তখন অনার ইজ্জাত অনেক গুনে বেড়ে গিয়েছিল। আল্লামা ইসমাইল হাফসি ও ওমর বিন আবিল হাসান রেসানির কাছ থেকে বুখারী ও মুসলিম সরিফের শিক্ষা লাভ করেন আর তারা ছিল সেই সময়কার বিখ্যাত হাদিস বিশারদ। ৪৮৪ হিজরীতে দারুল উলম নিজামিয়া তে প্রধান পন্ডিত হিসেবে ইজ্জাতের সাথে যোগদান করেন। পরবর্তিতে তিনি দুনিয়া দাড়ি ছেড়ে আধ্যাতিক বিষয় মন নিবেশ করেন। তিনি যখন উফ্ত লাভ করেন এর পূর্বে নিজের হাতে কিনে আনা কাফন চেয়ে নিয়ে নিজের সরিরে ,চোখে মুখে ঘসতে থাকেন আর বলেন আল্লাহর ইচ্চ্চা সবার উপর. এর পর তিনি বিছানায় সুয়ে পরেন ও ওফাত লাভ করেন। (সৃষ্টি দর্শন , ইমাম গাজালী সাহেবের কিতাব , ১-১১)
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন